31/12/2024
মুসলিমের কাছে কেন 31st night পালন করা হারাম।
১. বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুসরণ নিষিদ্ধ:
ইসলামে বিজাতীয় সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
“যে ব্যক্তি কোনো জাতির অনুকরণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।”
(সুনানে আবু দাউদ: ৪০৩১)
২. গান-বাজনা ও অশ্লীলতা:
হজরত আবু মালেক আশআরী (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
“আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু লোক আসবে, যারা ব্যভিচার, রেশম, মদ এবং গান-বাজনাকে হালাল মনে করবে।”
(সহিহ বুখারি: ৫৫৯০)
৩. হারাম কাজকে হালাল মনে করা:
যে ব্যক্তি হারাম কাজকে হালাল মনে করে, তার ঈমান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন:
“তোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশ্রিত করো না এবং জেনে শুনে সত্যকে গোপন করো না।”
(সূরা আল-বাকারা: ৪২)
৪. আতশবাজি ও শব্দদূষণ:
ইসলামে অন্যের কষ্টের কারণ হওয়া নিষিদ্ধ। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
“একজন প্রকৃত মুসলিম সেই ব্যক্তি, যার হাত এবং জিহ্বা থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ থাকে।”
(সহিহ বুখারি: ১০)
ইসলামে উৎসব পালনের জন্য ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা নির্ধারিত আছে। এসব উৎসব সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ও আনন্দের প্রকাশের মাধ্যম।
মুমিন তো সে যে আল্লাহর বিধানের অনুগত্য করে আমাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
“দুনিয়া হলো একজন মুমিনের জন্য পরীক্ষার স্থান এবং কাফেরের জন্য আনন্দের স্থান।”
(মুসলিম: ২৯৫৬)