06/04/2025
*লেখাটি অনেক বড় হবে। কিন্তু আমি চাই আপনি পুরোটা পড়ুন। পারলে সবাইকেই পড়াতাম আমি লেখাটি।*
[এগুলো নিয়ে অফলাইনে বন্ধুদের মাঝে আলোচনা করি। এখানে বললাম আজ। কারণ আমি চাই আপনিও আপনার সার্কেলে এভাবে আলোচনা করুন। নিজেদের প্রস্তুত করুন।]
দৃশ্যপট-১:
Gaজ্জা ও ফিলিস৩ ইস্যু সাম্প্রতিক নয়। এমনকি এটা গত ৩-৪ বছরের ঘটনাও নয়। অনেক ছোটবেলা থেকেই এই ইস্যু সম্পর্কে শুনে আসছি। মূলত এর বীজ বপন করা হয়েছে ১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বjuদ্ধ শেষে। শুরুর দিকে আরবের প্রায় সব রাষ্ট্রই এর বিরোধিতা করে এবং একাধিক juদ্ধও হয় ইজ রা ইলের বিরুদ্ধে। তখন হতদরিদ্র ইজ রা ইলের পাশে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। প্রত্যেক আরব রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে juদ্ধে ইজ রা ইল তাদের থেকে সামরিক ও আর্থিক সহযোগিতা পেতে থাকে। একে একে আরব রাষ্ট্রগুলো পরাজিত হতে থাকে। ষাট-সত্তর দশকে গিয়ে অবস্থা এতোই খারাপ হয় যে ফিলিস৩ কে সাহায্য করা তো দূরে থাক, এখন সকল আরব রাষ্ট্র নিজেদের বাঁচানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইজ রা ইল ও তাদের অন্যান্য মদদের সাথে শান্তিচুক্তি, অর্থনৈতিক চুক্তি, কূটনৈতিক চুক্তি করতে থাকে। আরববাসী পরিচিত হয় "পেট্রোডলার", " নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার" ইত্যাদি টার্মের সাথে। আর এর মাধ্যমেই সমগ্র আরব এদের কাছে জিম্মা হয়ে যায়। তারা চাইলেও এখন কিছু করতে পারবে না কিংবা করতে পারলেও পরবর্তী ধাক্কা সামলানোর ভয়ে তা করতে চাইবে না।
স্পেন, ফিলিস৩, অটোman Emপায়ার সবকিছুতে আপনি দুইটি প্যাটার্ন লক্ষ করতে পারবেন।
১) দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য নিয়ে Kaফির রাষ্ট্রগুলো musলিমদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। হঠাৎ করে গায়ের উপর উঠে পড়ে না। আস্তে আস্তে পুরো বিশ্বের কাছে musলিমদের উগ্রবাদী আর নিজেদের নির্যাতিত হিসেবে তুলে ধরতে থাকে।
২) Musলিম প্রধান রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রনেতারা নিজেদের মসনদ রক্ষা করার জন্য আল্লাহ ও রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাথে বেঈমানি করতে সময় নেয় না।
এটুকু মাথায় রাখুন। দৃশ্যপট-৪ এ এই থিওরি আলোচনায় আসবে আবার।
দৃশ্যপট-২:
আমরা অনেকেই মনে করি যে, Dajজাল যখন আত্মপ্রকাশ করবে তখন ইহুdiরা হবে নির্যাতিত, নিপীড়ত, দুস্থ। তাদের এই অবস্থা থেকে রক্ষা করার জন্য হয়তো Dajজালের আবির্ভাব হবে। তারপর তারা পুরো বিশ্ব শাসন করবে। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। Dajজাল যখন আসবে তখন ইহুdiরা তার জন্য পুরো মসনদ প্রস্তুত করে রাখবে। সে এসে জাস্ট ডিরেক্ট ঐ সিংহাসনে বসবে। অর্থাৎ সে যখন আসবে তখন ইহুdiরা সবকিছুতেই প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকবে। আর তারা কিন্তু ঠিক সেটাই করছে। নিজেদের Messiah (পড়ুন ভুয়া Messiah) এর জন্য সকল কিছু প্রস্তুত রাখতে তারা কিন্তু নিজেদের সর্বোচ্চ দিচ্ছে। এক বিন্দু ছাড় কোনো বিষয়েই দিচ্ছে না।
দৃশ্যপট-৩:
তারা (বনী ইস*রাইল) বলল, “হে মূসা, তারা (জেরুজালেমে অবস্থানকারী শক্তিশালী ও অত্যা*চারী গোষ্ঠী) যতক্ষণ সেখানে (জেরুজালেমে) থাকবে ততক্ষণ আমরা সেখানে কখনো প্রবেশ করব না; কাজেই তুমি আর তোমার রব গিয়ে যুদ্ধ কর। নিশ্চয় আমরা এখানেই বসে থাকব। (সূরা মায়িদা: আয়াত-৫)
মুসা আলাইহিসসালামকে যখন আল্লাহ জেরুজালেম বিজয়ের জন্য উনার কওমকে Jiহাদ করার আহ্বান জানান তখন তাদের উত্তরটা এমন ছিলো। এই উত্তর কিন্তু তারা এমনি এমনি দেইনি। এই হুকুম দ্বারাই Musলিম জাতির উপর Jiহাদের বিধান সর্বপ্রথম আরোপিত হয়। এর আগে সেই আদম আলাইহিসসালাম থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত কখোনোই Musলিমদের উপর দ্বীনের পক্ষে ও বাতিলের বিরুদ্ধে Jiহাদ করার আদেশ আরোপিত হয়নি। আদ জাতিকে আল্লাহ Dhongস করেছেন বাতাস দিয়ে। সামুদ জাতিকে Dhongস করেছেন জোরালো শব্দ দিয়ে। এমনিভাবে নূহ আলাইহিসসালাম এর কওমকে পানি দিয়ে, লূত আলাইহিসসালাম এর কওমকে জমিনে উপুর করে ও পাথর বর্ষণ করে, নমরূদকে মশা দিয়ে, ফিরাউনকে পানি দিয়ে। সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা নিজ হাতে বাতিলকে উৎখাত করার দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু মুসা আলাইহিসসালাম এর কওমের উপর সেবারই প্রথম বাতিলের বিরুদ্ধে তার নিজের গোলামকে এগিয়ে আসার আদেশ করেন। কিন্তু সেই অভাগা ও অভিশপ্ত কওম আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের হুকুম মান্য করেনি। মনে করেছে আগে যেমন রাসূল ও তাঁর রব বাতিলের বিরুদ্ধে যেত এখনো বুঝি তাই হবে। এই মাইন্ডসেটের মাঝেই রয়ে গেছে এই আহাম্মকগুলো। ফলাফল? ৪০ বছরের জন্য উদবাস্তুর মতো দ্বীপে ঘোরাফেরা করতে থাকে। তারপর যখন বোধোদয় হয় ও রবের কাছে ক্ষমা চায় তখন তাদের কাছে একই হুকুম করে আল্লাহ তালুতকে নেতা হিসেবে নির্বাচন করেন । আল্লাহ তাঁকে নেতা হিসেবে নির্বাচন করার পক্ষে দুটি গুণের কথা উল্লেখ করেছেন, জ্ঞান ও পেশিশক্তি। এই দুটি গুণ মাথায় রাখবেন। এখন পরের দৃশ্যপটে যাই।
দৃশ্যপট-৪:
এই পোস্টের সাথে সংযুক্ত ছবিটি 'The New York Times' পত্রিকার ১ এপ্রিল, ২০২৫ এর বাংলাদেশের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে করা এক সংবাদ ; যা পুনরায় ৩ এপ্রিল, ২০২৫ এ আপডেট করা হয়েছে। উক্ত সংবাদটির শিরোনাম বাংলা করলে যা দাঁড়াবে তা হলো, "যখন বাংলাদেশ নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তুলছে, ইসলামপন্থি কট্টরপন্থিরা দেখছে একটি সুযোগ"।
গত বছরের শেষের দিকে প্রকাশ্য RSS সমর্থক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে একজন Musলিম আইনজীবীকে প্রকাশ্যে RSS সমর্থক কয়েকজন উগ্র Hinদু কু*পি%য়ে hotতা করে। আর সামগ্রিক ব্যাপারে The New York Times এর সংবাদের শিরোনাম ছিলো, "India and Bangladesh have traded angry accusations about Bangladesh’s Hindu minority."
এই সংবাদ তারা প্রকাশ করে ২৮ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে।
প্যাটার্ন খেয়াল করেছেন? দৃশ্যপট-১ এ যেভাবে বললাম ঠিক তেমন। ইন্ডিয়ায় যে রাষ্ট্রীয়ভাবে Musলিমদের দ্বিতীয় সারির নাগরিক হিসেবে তালিকা করা হয়েছে & দিনের পর দিন তাদের উপর নির্যাতন চলছে, ওয়াকফ বিল পাশ হচ্ছে.. এসব ব্যাপারে কোনো নিউজ তাদের নাই। আর এসব নিউজ হবেও না।
এই চারটি দৃশ্যপট কেনো বললাম?
Gaজ্জাসহ পুরো ফিলিস৩ ও ভারতের Musলিম সহ পুরো বিশ্বের Musলিমদের উপর এমন নির্যাতন আসলে আসতেই হতো। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে এটা আমাদের সময় হয়েছে। আমাদের অন্তর যে নিফাক দ্বারা পরিপূর্ণ এর প্রমাণ হিসেবে এগুলো আমাদেরই দেখতে হচ্ছে।
সাওবান (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, অনতিদূরে সকল বিজাতি তোমাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবে, যেমন ভোজনকারীরা ভোজপাত্রের উপর একত্রিত হয়। (এবং চারদিক থেকে ভোজন করে থাকে।) একজন বলল, ’আমরা কি তখন সংখ্যায় কম থাকব, হে আল্লাহর রসূল?’ তিনি বললেন, বরং তখন তোমরা সংখ্যায় অনেক থাকবে। কিন্তু তোমরা হবে তরঙ্গতাড়িত আবর্জনার ন্যায় (শক্তিহীন, মূল্যহীন)। আল্লাহ তোমাদের শত্রুদের বক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি ভীতি তুলে নেবেন এবং তোমাদের হৃদয়ে দুর্বলতা সঞ্চার করবেন। একজন বলল, ’হে আল্লাহর রসূল! দুর্বলতা কী?’ তিনি বললেন, দুনিয়াকে ভালোবাসা এবং মরতে না চাওয়া।
(আবূ দাঊদ ৪২৯৯, মুসনাদে আহমাদ ২২৩৯৭)।
এই হাদিসই তার প্রমাণ। আমাদের অন্তর নিফাক দ্বারা পরিপূর্ণ হলে আল্লাহ আমাদের জায়গায় এমন কওম আনবেন যারা ঠিকই সংখ্যায় কম হলেও ঈমানের দিকে আকাশকে ছুয়ে যাবেন। আর আল্লাহ তাদেরকে দিয়েই জুলুমের অবসান ঘটাবেন। এই দ্বীন বিজয় হবেই। আমাকেসহ হবে নাহয় আমাকে ছাড়া হবে।
ইহুdiরা তাদের ভণ্ড Messiah এর জন্য সকল প্লাটফর্ম একের পর এক প্রস্তুত করে যাচ্ছে। আর আমরা ইমাম মাহদি ও ঈসা আলাইহিস সালাম আসবেন বলে Torবারি ফেলে দিয়ে তাসবিহ পাঠ করছি আর বনী ইস রা ইল জাতির মতো নিজেদের পশ্চাতদেশ ভূ-জমিনে আঠার মতো লাগিয়ে অলৌকিকতার আশা করে যাচ্ছি। ধরুন ইমাম মাহদি কাল আসলেন। আপনাকে Gazওয়ায়ে Hiন্দ এ যোগদানের জন্য পাঠাইলেন। তখন আপনার মানসিক অবস্থা কী দাঁড়াবে? আপনি কি আসলেই যাবেন? আপনি প্রস্তুত? ইহুdiরা যেমন তাদের নেতার জন্য সব স্টেজ পার্ফেক্টলি সেট করে রেখেছে ঠিক তেমনি আপনিও সেট করে রেখেছেন? নিজের দৈহিক ও মানসিক কসরত সেই লেভেলে নিতে প্রস্তুত আছেন? বুকে হাত দিয়ে বলেন তো। যদি প্রস্তুত না হয়ে থাকুন তাহলে নিজেকে ক্লিক করার সময় এখন হয়েছে। কীবোর্ড Mujaহিদ এর তালিকা হতে নিজেকে মুক্ত করুন। নিজের শরীর ও মনকে ডেইলি ট্রেইন করুন। তালুতের দুইটি গুণের কথা মনে আছে না? নিজেকে শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রচুর জ্ঞানের অধিকারী করতে হবে নিজেকে। এখানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট আনার কারণও ঠিক সেইম। ফিলিস৩ এর মতো এই অঞ্চলকেও আস্তে আস্তে আপনার জন্য বিভীষিকাময় করে তোলা হচ্ছে। ভেবে দেখুন... আজ থেকে ২০ বছর আগেও কি এই দেশে আপনার আমার Isলাম নিয়ে এতো কটুক্তি ও নেগেটিভিটির স্কোপ পেয়েছে তারা? পায়নি। এখন পাচ্ছে। আস্তে আস্তে সেটা বাড়বে। অনেক বাড়বে। এই ভূখণ্ডকেও তারা Dhongসপ্রাপ্ত ফিলিস৩ বানাতে চায়।
এতে আপনার আমার করণীয় কী?
আপনাকে আমাকে সর্বপ্রথম কমিউনিটি বেইসড ও জেনেরেশন বেইসড Isলামিক মাইন্ডসেট ডেভেলপ করতে হবে। Gazওয়ায়ে Hiন্দ ও জেরুজালেম mukতির Judধে আপনি অংশ না নিলে আপনার ছেলে নিবে, সে না নিলে তার ছেলে নিবে... এভাবে চলতে থাকবে কিন্তু একজন না একজন নিবেই। আর এজন্য আপনার আমার মাথায় এই মাইন্ডসেট ইন্সটল করতে হবে। নিজেকে প্রস্তুত রাখার সফটওয়্যার আপডেট করতে হবে প্রতিটি দিন। এজন্য কী করবেন?
১)আপনাকে অবশ্যই Isলামের মৌলিক বষয় (ঈমান, Tawহিদ, রিসালাত, আকিদা, জান্নাত, জাহান্নাম) সম্পর্কে জানতে হবে।
২)রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সীরাত সম্পর্কে অবশ্যই ধারণা নিতে হবে।
৩)Isলামের প্রাথমিক যুগ থেকে শুরু করে ওসমানী khilaফাত পর্যন্ত যতো Jiহাদ হয়েছে সবগুলোর সম্পর্কে আপনার জানা থাকতে হবে।
৪)আপনার এই মাইন্ডসেট আপনার পরিবারের অন্য সকলদের মাঝে ইনপুট করার চেষ্টা করুন। চেষ্টা করুন আত্মীয়স্বজনদের মাঝে স্প্রেড করার। একটা ইনফিনিটি চেইন রিয়েকশন ঘটান। একজন থেকে যেনো এক শতাধিক মানুষ জানতে পারে।
৫)আপনার আশেপাশে যতো Isলামিক প্লাটফর্ম আছে সেগুলোকে জায়ান্ট হিসেবে কনভার্ট হতে হেল্প করুন। বিশেষ করে যেসব জায়গায় Isলামিক শিক্ষা প্রদান করা হয় (যেমন: মাদ্রাসা, মক্তব) সেখানে যতো পারেন দান করুন। সেখানে কোয়ালিটি বাস্তবায়নে যেনো অর্থের কোনো কমতি না পড়ে।
৬)যতো Isলামিক সংগঠন আছে সব জায়গায় বেশি বেশি দান করুন। "আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন" সহ অন্য যেসব অর্গানাইজেশন আছে তাদের এমন উচ্চতায় নিয়ে যান যেনো সরকার হতে তাদের উপর কোনো অপ্রীতিকর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাষ্ট্রপ্রধানের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। এগুলোকে Taliবান এর মতো সরকারের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান।
৭)অনলাইন এক্টিভিস্ট হলে "X" প্লাটফর্মে খুব খুব এক্টিভ থাকুন। সকল আপডেটেড তথ্য ফেইসবুক, ইউটিউবের পাশাপাশি "X" এ শেয়ার করুন। এটায় এজন্য শেয়ার করবেন না যে আপনি বিশ্ববাসীকে জানাতে চাচ্ছেন। এটা এজন্য করছেন যে তাদেরকে আপনি জানাচ্ছেন যে, "এগুলোর সব হিসাব করে রাখছি। নিজেকে প্রস্তুত করছি। প্রত্যেক সেকেন্ডের বদলা নেওয়া হবে।" তাদেরকে জানিয়ে রাখুন যে তাদের কাজ আপনিও জানছেন।
৮)নিজের ফ্রেন্ড সার্কেলের মাঝে এরূপ মাইন্ড যাদের আছে তাদের সাথে ওঠাবসা বেশি করুন। নিজেরা একসাথে হাসি তামাশা করুন, ঘোরাফেরা করুন, আড্ডা দেন, ট্যুর দেন... যা ইচ্ছা তা করুন.. কিন্তু বন্ড স্ট্রং রাখুন। এই সার্কেলটা দরকার। আজীবন মেইনটেইন রাখুন এটা।
৯)নিজেকে ফিজিক্যালি ও মেন্টালি ফিট রাখুন। স্ট্রং রাখুন। আপনাকে কোথায় যেতে হবে আর সেটার জন্য আপনার কেমন প্রস্তুতি দরকার তা ভেবে সেরূপে নিজেকে প্রস্তুত করুন। তালুতের কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দিলাম। আপনি কি তালুতের মতো হতে চান না? তবে নিজেকে প্রস্তুত করুন।
১০)আপনার এই ধারণা আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মে কীভাবে স্থানান্তর করা যায় সেটা নিয়ে পরিকল্পনা করুন। আপনার ছেলেকে ফিজিক্যালি & মেন্টালি স্ট্রং হওয়ার শিক্ষা দেওয়ার কথা ভাবুন। সে যেনো আবার তার ছেলেকে এইভাবে ডেভেলপ করে সেজন্য প্রস্তুত করুন।
১১)আপনার কমফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে আসুন মাঝে মাঝে। আপনার উপর আপনার রব কতো দায়িত্ব দিয়েছেন তা মাঝে মাঝে ছক করুন মনে মনে। জীবনে আনন্দ-ফুর্তি অবশ্যই করবেন। কিন্তু সেটা আপনার দায়িত্ব থেকে আপনাকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে নাকি ভাবুন।
১২) নিজেকে ফাইনানশিয়ালি স্ট্যাবল রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন। মনে রাখবেন, Boদর Judধে ফাইনানশিয়াল ক্ষমতা আপ টু মার্ক না থাকার জন্য অনেক সাহাবি ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সেই মহান Judধে অংশ নিতে পারেন নি। শুধু আবেগ দিয়ে কিছু হয় না। তার জন্য নিজেকে আস্তে আস্তে সেই জায়গার উপযুক্ত করতে হয়।
১৩) রাষ্ট্র কেন্দ্রিক ধারণা থেকে নিজেকে সরিয়ে আনুন। রাষ্ট্র Isলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সবসময় কথা বলবে না। বর্তমান আরব বিশ্ব তার প্রমাণ। নিজেকে একটি কমিউনিটি বেসিসে ডেভেলপ করুন। যাদের সবার মজ্জা হবে Tawহিদ ও জান্নাত। যারা সকলে নিজেদেরকে ঐ দলে যুক্ত করার জন্য রেডি করবে যখন ডাক আসবে। সেদিন তারা রাষ্ট্রের নেতার অক্ষমতার দোহাই দিবে না, এমন দলে নিজেকে বিল্ড আপ করুন।
পুরো প্লট রেডি হয়ে আসছে একটার পর একটা। আপনার প্রতিপক্ষ একদম আপাদমস্তক প্রস্তুত হয়ে আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। এখন প্রশ্ন শুধু একটাই। "আপনি প্রস্তুত তো?" আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তালুতকে যেই দুটি গুণ দিয়েছিলেন সেই দুটি গুণ অর্জনের জন্য আপনি প্রস্তুত তো? প্রস্তুত তো "জ্ঞান" আর "পেশিশক্তি" বৃদ্ধি করার জন্য? উত্তর যদি "না" হয় তবে নড়েচড়ে বসুন। আপনাকে যতদ্রুত সম্ভব প্রস্তুত করতে হবে নিজেকে।
সূরা তাওবার একটা আয়াত ও আবু দাউদের একটি হাদিস বলে শেষ করি।
(হে নবি, তাদেরকে) বলুন, ‘তোমাদের নিকট যদি আল্লাহ্, তাঁর রাসূল এবং তাঁর (আল্লাহ্র) পথে Jiহাদ করার চেয়ে বেশি প্রিয় হয় তোমাদের পিতৃবর্গ, তোমাদের সন্তানেরা, তোমাদের ভ্রাতাগণ, তোমাদের স্ত্রীগণ, তোমাদের আপনগোষ্ঠী, তোমাদের অর্জিত সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য যার মন্দা পড়ার আশংকা কর এবং তোমাদের বাসস্থান যা তোমরা ভালবাস, তবে অপেক্ষা কর আল্লাহ্ তাঁর নির্দেশ নিয়ে আসা পর্যন্ত।’ আর আল্লাহ্ ফাসিক সম্প্রদায়কে হেদায়াত দেন না। (সূরা তাওবা: আয়াত-২৪)।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যদি তোমরা ঈনা পদ্ধতিতে বেচাকেনা কর, গাভীর লেজ ধরে থাক, ক্ষেত-খামার নিয়েই সন্তুষ্ট থাক, আর Jiহাদ ছেড়ে দাও, তবে আল্লাহ তোমাদের উপর এমন অপমান চাপিয়ে দিবেন যে, যতক্ষণ তোমরা তোমাদের দ্বীনের দিকে ফিরে না আসবে, ততক্ষণ সে অপমান তোমাদের থেকে তিনি সরাবেন না। [আবু দাউদ: ৩৪৬২]