Babor Vlogs

Babor Vlogs How to help people through my video.

25/07/2025
24/07/2025

৩০০ ফিটে ট্রাফিক পুলিশের সাথে ইজিবাইক চালকের ভেলকিবাজি
সবাই এই পেইজটি তে ফলো দিন। ভিডিও টি শেয়ার করুন।




24/07/2025

জুলাইয়ের ৩৬ দিন: উন্মোচিত হচ্ছে শেখ হাসিনার গোপন আদেশনামা!

আল জাজিরার অনুসন্ধান!
সবাই এই ভিডিও টি শেয়ার করুন।




24/07/2025

ইণ্ডিয়া থেকে নাকি চিকিৎসক আসছে।
তবে তার আগে নিচের লেখাটি ভালো করে পড়ুন।

আমাদের Bangladesh Air Force কে কেন আজ পুরাতন USSR আমলের বিমান ওড়াতে হয় জানেন? কারণ ভারত সরকার আপনাদের বিমান কিনতে দেয়নি। '১৭ সালের মার্চে বাংলাদেশ থেকে টেণ্ডার দেওয়া হয় ৮+৪ টি Multirole Combat Aircraft (MRCA) এর জন্য। রাশিয়া MIG-35 অফার করে আমাদের।

'১৯ সালের মার্চে Объединённая авиастроительная корпорация তথা রাশিয়ার United Aircraft Corporation এর Vice President বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশকে শুধুমাত্র MIG-35 নয়, বরং সাথে সাথে SU-30 SME দিতেও প্রস্তুত। কিছু রিপোর্ট থেকে আরো জানা যায় যে, রাশিয়া থেকে Bangladesh Air Force 'কে এমনকি সেসময় সবেমাত্র সার্ভিসে আসা ও পৃথিবীর অন্যতম আধুনিক জঙ্গিবিমান SU-35 ও অফার করা হয়েছিল। তবে, তখন মস্কো থেকে ঢাকাকে বলে দেওয়া হয় যে, SU-35 আমরা দিব, যদি তোমরা সাথে সাথে MIG-35 নিতেও রাজি থাকো। মানে, রাশানরা বলছিলো, আমরা আমাদের একটি অত্যাধুনিক বিমানের সাথে আরেকটি এমন বিমান দিব, যা তোমাদের রাতারাতি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী বিমান বাহিনী বানিয়ে দিবে। শর্ত হলো, দু'টি একসাথে নিতে হবে!

SU-35 কতখানি ভয়ঙ্কর যুদ্ধবিমান তা আশা করি আমার বলে দেওয়ার দরকার নাই। NATO এর কাছে Super Flanker হিসাবে পরিচিতি পাওয়া SU-35 আজকের পৃথিবীর অন্যতম সর্বাধুনিক Air Defence Fighter। তৎকালীন সময়ে Indian Air Force এর হাতে এর সমকক্ষ কোনো বিমান ছিল না। এখন এসেছে Rafale। তবে আকাশ যুদ্ধে Within Visual Range (WVR) Combat হলে SU-35 যুদ্ধবিমান Dassault Rafale কে সহজে দমন করতে সক্ষম।

আমরা SU-30 SME, SU-35S ও MIG-35 এর অফার পায়ে ঠেলে দিলাম। চিন্তা করতে পারেন!

তারপর '২০ সালের মার্চে জানা গেলো যে, France এর তৎকালীন Minister of Armed Forces বাংলাদেশের সেকালের Prime Minister শেখ হাসিনার অফিসে নাকি টেলিফোন করেছিলেন। জানা যায় যে, French Minister তখন বাংলাদেশের Prime Minister 'কে সরাসরি ওনাদের Dassault Rafale অফার করেন। যেখানে ঢাকা থেকে না করে দেওয়া হয়।

আরো অবাক করার বিষয় হলো, তার আগের মাসে Prime Minister এর ইতালি ভ্রমণের কালে ওদের তরফ হতে আমাদের Euro Fighter Typhoon (EFT) অফার করা হয়। তারও পূর্বে, '১৯ সালে লণ্ডন থেকে বাংলাদেশকে আধুনিক যুদ্ধবিমান সরবরাহের আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।

যার কোনটাই রহস্যময় কারণে বাংলাদেশ থেকে গৃহীত হয়নি। তার মানে হলো, পৃথিবীতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী হলো একমাত্র বাহিনী, যারা SU-30 SME, SU-35S, MIG-35, Euro Fighter Typhoon ও Dassault Rafale এর অফার পেয়েছে। ও সবগুলোকে ধরে বাতিল করে দিয়েছে।

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, Financial Express '১৯ সালে রিপোর্ট করে যে, চীন বাংলাদেশের কাছে ওদের J-10C যুদ্ধবিমানের অফার নিয়ে এসেছিল। বাংলাদেশ তার আগের বছর বিমান বাহিনী থেকে বিমানটির Field Survey এর জন্য নাকি দলও পাঠায়। তবে, J-10C নিজেও তারপর বাংলাদেশের কাছে আর পাত্তা পায়নি।

তার মানে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কাছে পৃথিবীর প্রতিটি আধুনিক যুদ্ধবিমান বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর সকল দেশ হতে অফার করা হয়েছে, আর ওরা কোনো অজানা কারণে তা বাতিল করেছে। আর আপনারা আশা করি খুলে না বললেও অজানা কারণটি বুঝতে পারছেন। যার জন্য আমাদের মাথার ওপরে আজ F-7 নামক Flying Coffin উড্ডয়ন করে থাকে। আরেকটি বিষয় হলো, ওপরে আপনারা যে মাত্রার প্রত্যাখ্যান দেখলেন, তার ফলে আমাদের ওপর Global Military Industry তে ক্রেতা হিসাবে কেমন আস্থাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে, তা একবার চিন্তা করে দেখুন!

আপনার দেশের প্রতিটি দূর্নীতি ও দূর্দশার পেছনে ভারত জড়িত। ঢাকা কেন এমন বাজে নগর পরিকল্পনার শিকার হলো, কারণ ভারতের স্পন্সর করা দূর্নীতির ফলে দূর্নীতিবাজ ও অযোগ্যরা সমস্ত স্থানে গিয়ে বসেছে, যার কারণে ঢাকার অবস্থা আজ এমন। আপনার Education, Health, Finance, Foreign Affairs, Home Affairs, Defence মোদ্দাকথা, যেখানে আপনার সমস্যা, সেখানে আপনি ভারতের হাত পাবেন। আর এখন আপনাকে গরু মেরে জুতার তলার একটি পরমাণুর ভগ্নাংশ দিতে আসলো, আর আপনি খুশি হয়ে গেলেন? আপনার আত্মমর্যাদা নাই? এরকম নিচে নামছেন আপনারা!
আপনি ADGPI - Indian Army এর Tweet দেখেছেন আজ? দেখে নিবেন। সেখানে ওরা ওদের অত্যাধুনিক Apache AH-64 পাওয়া নিয়ে লিখেছে, "Milestone Moment For The Indian Army"। ভেঙে বলতে হবে না আশা করি!

আরেকটা কথা হলো, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী যদি গতদিনের মর্মান্তিক কাণ্ডের পর বিমান কিনতে যায়, পুরানো ও সামান্য কিছু যুদ্ধবিমান কিনে যেন মানুষকে বোকা বানাবার চেষ্টা না করে। পাশাপাশি, শুধুমাত্র বিমান দিয়ে আজকের দুনিয়ার যুদ্ধ চলে না। বিমান কিনে সাজিয়ে রাখলাম, ওসব করে লাভ নাই। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্য এটা নিজেকে নতুন করে আগা-গোড়া ঢেলে সাজানোর হয়তো সর্বশেষ সুযোগ।

Revan M

22/07/2025

তাহলে আমরা করবো কি?
আজ থেকে ২৪ বছর আগে এই রিপোর্টটি করেছিলাম। তখন এটি ছিল দেশের সর্বাধিক আলোচিত প্রতিবেদন। সাপ্তাহিক যায় যায় দিন আমার এই রিপোর্টটিকে সপ্তাহ সেরা হিসাবে উল্লেখ করেছিল তাদের পত্রিকায়।
১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর পর তদানীন্তন লীগ সরকার তাদের ট্রাডিশনাল মিত্র রাশিয়া থেকে পুরনো মিগ-২৯ জঙ্গী বিমান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।বিমান বাহিনীর অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা এই বিমান সংগ্রহের বিরোধিতা করেন। ডিজিএফআইও তাদের রিপোর্টে মিগ-২৯ ক্রয় ঠিক হবে না বলে উল্লেখ করে। সেসময় আমি আরেকটি দৈনিকে সহকারী সম্পপাদক হিসাবে কাজ করি।
একদিন আমার নামে একটি খাম এলো ডাকে। খুলে দেখি সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙ্গে যাবার পর যেসব মিগ-২৯ ডাম্প করা হয়েছিল সেসব থেকে এক স্কোয়াড্রন নিয়ে আসার পায়তারা করছে সরকার। সেখানে দুর্নীতির বিষয়টিও ভালোভাবে উল্লেখ ছিল। সম্পাদককে ওই গোপন প্রতিবেদনটি দেখানোর পর তিনি বললেন যে আমি যেন আরো খোঁজ খবর নিয়ে রিপোর্ট করি। করলাম। শীর্ষ রিপোর্ট হলো আমার প্রতিবেদন। চারদিকে আলোচনা শুরু হলো রাশিয়ার ওই বস্তাপচা মিগ-২৯ কেনা নিয়ে, ওই ক্রয়ে দুর্নীতি নিয়ে।আমাকে অজ্ঞাত স্থান থেকে হুমকিও দেয়া হলো। সরকার কিনে নিয়ে আসলো মিগ-২৯।
এরপর দৈনিক ইনকিলাবে যোগ দিলাম রিপোর্টিং বিভাগে। সেখানে যাওয়ার পর আরো তথ্য পেতে শুরু করলাম মিগ-২৯ নিয়ে। ২০০১ সালের মে মাসে এই রিপোর্টটি করার পর বিমান বাহিনীর গোয়েন্দা অধিদপ্তর ডেকে নিয়ে গেল বিমান বাহিনী সদর দপ্তরে। কোথা থেকে তথ্য পেলাম জানতে চাইলেন পরিচালক। আমি যেহেতু একসময় সেনাবাহিনীতে ছিলাম তাই গিয়েছি, যেটা সাংবাদিক হিসাবে যেতে বাধ্য ছিলাম না। যাহোক, কোন তথ্য তাদের দেইনি।
পরবর্তিতে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেখা গেল মিগ-২৯ নিয়ে আরো সমস্যা। এর স্পেয়ার পার্টস সংগ্রহ জটিল হয়ে দাড়ালো। দুর্নীতি দমন ব্যুরো শেখ হাসিনা সহ ব্যবসায়ী নুর আলীর নামে দুর্নীতির মামলা দায়ের করলো।
এদিকে বিমান স্বল্পতা ও অপারেশনাল বিষয়াদি বিবেচনা করে তখন তড়িঘড়ি করে চীন থেকে নতুন এফ-৭ বিজি বিমান সংগ্রহের ‍উদ্যোগ নেয়া হলো। ২০০৫-৬ সালের মধ্যে এলো ১৬টি বিমান। এরপর ধাপে ধাপে আরো এসেছে। এছাড়া আগের সংগৃহিত পুরনো মডেলের এফ-৭ ও রয়ে গেল আমাদের বিমান বাহিনীতে।
২০০৯ এ ক্ষমতায় এসে লীগ আবারো ঝুকলো তাদের পরম বন্ধু রাশিয়ার দিকে। নিয়ে এলো ১৬ টি ট্রেইনার কাম গ্রাউন্ড এ্যাটাক বিমান ইয়াক-১৩০। তবে এগুলোতে এভিয়নিক্সসহ অন্যান্য অনেক কিছুরই ঘাটতি ছিল। রাশিয়ানরা মায়ানমারকে এসইউ-৩০, ইয়াক-১৩০ দিয়েছে। তারা আশা করেছিল বাংলাদেশ অন্তত এসইউ -২৭ নিবে। তাই কিছুটা শর্ত ছিল ইয়াক নেয়ার ক্ষেত্রে।
এর মধ্যে ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করে নিলে পশ্চিমা বিশ্ব তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ফলে রাশিয়া থেকে কোন কিছু সংগ্রহ দুরূহ হয়ে পড়ে।
১৬ টি ইয়াক-১৩০ র মধ্যে ৪ টি দুর্ঘটনায় ধ্বংস হয়েছে। পাইলট নিহত হয়েছেন।
এদিকে সেনাবাহিনীতেও রাশিয়ার তথাকথিত এক বিলিয়ন ডলারের লোন প্রটোকলের আওতায় ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্র নিয়ে আসা হয়। এগুলোর লঞ্চার আসার পর পর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হওয়ায় আর মিসাইল আসেনি! রাশিয়া প্রেম তাও যায়নি। কারন ওরা নির্বাচন এলেই লীগকে একচেটিয়া সমর্থন দিয়ে যেতো যেনতেনভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য! ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পরও দেখা গেছে এদেশের অনেক মানুষ রাশিয়া রাশিয়া করে মাতম করছে!
আমাদের বিমান বাহিনীর চতুর্থ জেনারেশন জঙ্গী বিমান নেই। গত কয়েক বছর সেসময়কার বিমান বাহিনী প্রধানগন ও সরকার এনিয়ে কিছু করেনি। হেলিকপ্টার পাইলট বিমান বাহিনী প্রধান হয়েছেন। তিনি কন্সট্রাকশন ও বিউটিফিকেশনে বিশেষ নজর দিয়েছেন। কিসের জন্য, কার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য মাল্টিরোল ফাইটার কিনবেন?! কিনেননি!
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সালে আকসা ও জিসুমিয়া চুক্তি স্বাক্ষরের অফার দেয়। সম্ভবত একমাত্র আমার সম্পাদিত ডিফেন্স জার্নালেই তাদের স্থানীয় প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ও পলিটিক্যাল কাউন্সিলর অফিসিয়াল সাক্ষাতকার দিয়ে জানান যে তারা বাংলাদেশকে এফ-১৬ জঙ্গী বিমান ও এ্যাপাচে এ্যাটাক হেলিকপ্টার দিতে রাজি আছেন যদি বাংলাদেশ ওই ‍দু’টি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। পাকিস্তান বহু আগেই এসবে স্বাক্ষর করেছে। আমাদের চেতনা জেগে ওঠে বারবার! আমরা স্বাক্ষর করিনি, হয়তো করবোও না। আর এই দু’টি চুক্তিতে স্বাক্ষর না করলে মার্কিন কোন ভারী সমরাস্ত্র পাওয়া যাবে না। পুরনো পরিবহন বিমান বা হেলিকপ্টার পাওয়া যেতে পারে মাত্র।
মজার বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশকে যখনি আমেরিকা কোন কিছু অফার করে তখনি ভারত ও চীনের যতো প্লাটফর্ম আছে সেগুলো একযোগে গেল গেল সুর তোলে বাংলাদেশে। কি কমিউনিস্ট, কি ধর্মীয় কিছু গোষ্টি- সব মার্কিন বিরোধি জিগির তোলে। এই দুটি দেশ যে কখনোই বাংলাদেশে মার্কিন বা পশ্চিমা কোন ভালো সমরাস্ত্র আসতে দিবে না সেটা এরা আর বুঝতে পারে না। চারদিকে শোনা যায় সেন্ট মার্টিন নিয়ে গেল! আমরা হয়তো কোন কালেই আর এফ ১৬ বা এরকম আধুনিক কোন বিমান আনতে পারবো না। অথচ আমাদের যদি অল্প বিস্তর হলেও পশ্চিমা বিমান থাকে তাহলে তা ব্যালেন্স অফ পাওয়ার রক্ষায় কার্য়কর ভূমিকা পালন করতে পারে। পাকিস্তান তাই করছে। ১৪০ টার মতো এফ-১৬ তাদের দিয়েছে ব্যাপক ডিফেন্সিভ ক্ষমতা।
আমরা যদি হুজুগ,আবেগ তাড়িত হয়ে উন্নত পশ্চিমা বিমান না আনি তাহলে ক্ষতিটা আমাদেরই। লাভ ভারত ও চীনের। কিন্তু আমরা তো চীনকে বাদ দিতে চাই না। তাদের কাছ থেকে আমাদের অস্ত্র, বিমান আনতেই হবে। সম্পর্কটা গাড় করতে হবে। তবে এজন্য মার্কিনীদের শত্রু বানিয়ে নয়, জিগির তুলে নয়।
চীন থেকে আমাদের আনতে হবে জে-১০ মাল্টি রোল ফাইটার।এফ-৭ গুলোর প্রতিস্থাপন হবে কি দিয়ে? পাকিস্তান তো জেএফ-১৭ দিয়ে প্রতিস্থাপন করছে। আমরা কি দিয়ে করবো? বিমান বাহিনীর কর্তারাই তা বের করবেন।
জঙ্গী বিমান রক্ষনাবেক্ষন, ওভারহলিংয়ের আধুনিক ব্যবস্থাপনা গড়তেও তো সময় ও অর্থ লাগে অনেক। আমাদের বিমান বাহিনীকে কি সে পরিমান অর্থ দিচ্ছে সরকার? না।
এছাড়া আছে বোমা, মিসাইল, স্পেয়ার পার্টস ক্রয়ের বিষয়টি। এগুলোর জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন। অর্থ ছাড়া আবার কিছুই হবে না। বাংলাদেশ পাকিস্তানের মতো জঙ্গী বিমান বানাতে পারবে না, ওই চেষ্টা করাটাও অপচয় ও সময়ের অপব্যবহার হবে। সেটা করার প্রয়োজনীয়তাও নেই।
পুরনো, মান্ধাতার আমলের প্রযুক্তি নির্ভর এফ-৭ দিয়ে আর কতো কাল? চীনা বিমান বাহিনীতে এগুলো এখন ব্যবহার করা হয় না। পাাকিস্তান ফেইজ আউট করছে। মিগ-২১ বিমানের মডেলকে ধরে চীনারা এই এফ-৭ বিমান তৈরি করে। ভারত ইসরাইল ও ফরাসী সহায়তায় আপগ্রেড করে এখনো অবশ্য মিগ-২১ বিমান পরিচালনা করছে। সেদেশে এই মিগ-২১ কে বলা হয় ফ্লাইং কফিন, উইডো মেকার। পাকিস্তান বিমান বাহিনীতেও এফ-৭ অনেক দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। মারিয়াম মুক্তার নামে একজন বিখ্যাত নারী পাইলট এমন এক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
গত ২০ জুলাই ঢাকায় যে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে এফ-৭ বিমানের তার আগেও এই বিমান ধ্বংস হয়ে আরো পাইলট নিহত হয়েছেন। কয়েক বছর আগে বার্ষিক মহরার সময় মেয়াদো উওীর্ণ মিসাইল ছুড়তে গিয়ে একজন উইং কমান্ডার নিহত হন। আমাদের এফ-৭ গুলোর কোন বিভিআর ( বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ) ক্যাপাবিলিটি নেই। কোন আধুনিক এভিয়নিক্স নেই। যেভাবেই হোক বিমান বাহিনীকে সাজাতে হবে এবং তা হতে হবে খুব দ্রুত।
মাইলস্টোন স্কুলের দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। এনিয়ে ষড়যন্ত্র ত্বত্ত না খুঁজে বাস্তব সম্মত চিন্তা করাটাই হবে শ্রেয়। আশা করবো সরকার বিমান বাহিনীকে পর্য়াপ্ত বাজেট দিবেন ও আমাদের বিমান বাহিনী তার সদব্যবহার করবে।

21/07/2025
21/07/2025
21/07/2025
21/07/2025

আমার দেশের অবলা নাগরিক! তোমাকে কত পর্যায়ে? কত ভাবে? কত ভিন্ন ব্যক্তি লুট করে! জানলে তুমি মনঃকষ্টে রাতে ঘুমাতে পারতে না!

প্রেক্ষিতঃ স্কুলে ফাইটার ক্রাশ...
- নতুন ফাইটার / প্রশিক্ষণ প্লেন কেনার পর্যাপ্ত বরাদ্ধ থাকে না কেন? দেশের টাকা কীভাবে হরিলুট হয়?
- প্রশিক্ষণ প্লেন / ফাইটার কেনার সময় মন্ত্রী / এমপি / বিগ শটরা কে? কত % খায়?
- এগুলোর নিয়মিত মেণ্টেনেন্স কেন করা হয় না? সেই টাকার ভাগ কে কত % পায়?
- বাহিনীগুলোর বাজেটের কত % অপারেশনাল কাজে খরচ হয়? আর কত % জাঁকজমক ও আমোদ-ফুর্তিতে ব্যয় হয়?

আমার অবলা জাতি, তুমি শান্তিতে ঘুমাও!

21/07/2025

বিমান বাহিনীর ক্রয় সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত আমলনামা!

ক। MiG‑29 যুদ্ধবিমান ক্রয় কেলেঙ্কারি (১৯৯৯): রাশিয়া থেকে ৮টি MiG‑29 কেনা হয় প্রায় ~৭০০ কোটি টাকায়, যেখানে উচ্চ পদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কমিশন গ্রহণ ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

খ। F‑7 বিমান কেনায় অস্বচ্ছতা ও অতিরিক্ত ব্যয় (২০০৪–০৬): ১৬টি F‑7 কেনায় চুক্তিতে মূলত 93.6M ডলার বলা হলেও পরবর্তীতে মূল্য বেড়ে 117.9M ডলার হয়ে যায়। এর মধ্যে প্রায় 9M অস্বচ্ছ ব্যয় হিসাবে গণ্য হয়েছে।

গ। Yak‑130 প্রশিক্ষণ বিমান ক্রয়ে দুর্নীতি (২০১৫–১৬): রাশিয়ার Rostec থেকে Yak‑130 কেনার জন্য প্রায় 1 বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে কমিশন ও দামবৃদ্ধির অভিযোগ ওঠে।

ঘ। K‑8W Karakorum বিমান কেনায় কমিশন লেনদেন (২০১৪–১৮): চীন-পাকিস্তানের যৌথভাবে তৈরি এ বিমান কেনাতেও মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে অতিরিক্ত কমিশন বিতরণের অভিযোগ রয়েছে।

ঙ। PT‑6 প্রশিক্ষণ বিমানে দুর্নীতি (বিভিন্ন বছর): চীন থেকে কেনা পুরনো বিমানগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত দাম ও জাল হিসাবের অভিযোগ পাওয়া যায়।

চ। Yak‑130 ও MiG‑29 রক্ষণাবেক্ষণে জাল ভাউচার ও বিলিং: বিমানের খুচরা যন্ত্রাংশে অত্যধিক দাম দেখানো ও কল্পিত খরচ দেখানোর অভিযোগ ওঠে।

ছ। Su‑30SME যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তাবে দুর্নীতির অভিযোগ: প্রস্তাবিত প্রতিটি Su‑30SME যুদ্ধ বিমানের দাম 60M ডলার, যেখানে রাজনৈতিক নেতা/তৃতীয় পক্ষ থেকে 120M ডলার কমিশন আদায়ের অভিযোগে চুক্তি বাতিল হয়। একই বিমান মায়ানমার অনেক কম দামে কিনেছিল।

জ। Air Chief Marshal Abdul Hannan এর দুর্নীতি (২০২৫): প্রায় ~৩০০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়, বিদেশ যাত্রা নিষেধাজ্ঞা ও ব্যাংক হিসাব জব্দ হয়।

ঝ। পরিদর্শন ও দুর্ঘটনার পর প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড: চট্টগ্রামে Yak‑130 দুর্ঘটনার পর বিমান রক্ষণাবেক্ষণ মান বজায় না রাখায় উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা বরখাস্ত হন। অভিযোগ ছিল অনিয়ম, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ও জাল রিপোর্ট তৈরীর।

ঞ। বাহিনী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ (AWT, SKS) পরিচালনায় দুর্নীতির অভিযোগ, যার ফলে বিমান বাহিনীর বাজেট সার্ভিসের বাইরে ব্যবসায় কাজে ব্যবহৃত হয়েছে! তাহলে ফাইটার / ট্রেনিং প্লেন কিনবে কীভাবে?

ট। রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে বিমান ক্রয় ও প্রতিরক্ষা প্রকল্পে দুর্নীতি মামলা: যেমনঃ দিল্লীর বান্দির বিরুদ্ধে MiG‑29 ও নৌবাহিনীর ফ্রিগেট কেনার ক্ষেত্রে প্রায় 126M ডলারের দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছিল।

সংক্ষিপ্ত আমলনামাটি শেষ হল!

Address

Tangail

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Babor Vlogs posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Babor Vlogs:

Share

Category