24/07/2025
ইণ্ডিয়া থেকে নাকি চিকিৎসক আসছে।
তবে তার আগে নিচের লেখাটি ভালো করে পড়ুন।
আমাদের Bangladesh Air Force কে কেন আজ পুরাতন USSR আমলের বিমান ওড়াতে হয় জানেন? কারণ ভারত সরকার আপনাদের বিমান কিনতে দেয়নি। '১৭ সালের মার্চে বাংলাদেশ থেকে টেণ্ডার দেওয়া হয় ৮+৪ টি Multirole Combat Aircraft (MRCA) এর জন্য। রাশিয়া MIG-35 অফার করে আমাদের।
'১৯ সালের মার্চে Объединённая авиастроительная корпорация তথা রাশিয়ার United Aircraft Corporation এর Vice President বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশকে শুধুমাত্র MIG-35 নয়, বরং সাথে সাথে SU-30 SME দিতেও প্রস্তুত। কিছু রিপোর্ট থেকে আরো জানা যায় যে, রাশিয়া থেকে Bangladesh Air Force 'কে এমনকি সেসময় সবেমাত্র সার্ভিসে আসা ও পৃথিবীর অন্যতম আধুনিক জঙ্গিবিমান SU-35 ও অফার করা হয়েছিল। তবে, তখন মস্কো থেকে ঢাকাকে বলে দেওয়া হয় যে, SU-35 আমরা দিব, যদি তোমরা সাথে সাথে MIG-35 নিতেও রাজি থাকো। মানে, রাশানরা বলছিলো, আমরা আমাদের একটি অত্যাধুনিক বিমানের সাথে আরেকটি এমন বিমান দিব, যা তোমাদের রাতারাতি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী বিমান বাহিনী বানিয়ে দিবে। শর্ত হলো, দু'টি একসাথে নিতে হবে!
SU-35 কতখানি ভয়ঙ্কর যুদ্ধবিমান তা আশা করি আমার বলে দেওয়ার দরকার নাই। NATO এর কাছে Super Flanker হিসাবে পরিচিতি পাওয়া SU-35 আজকের পৃথিবীর অন্যতম সর্বাধুনিক Air Defence Fighter। তৎকালীন সময়ে Indian Air Force এর হাতে এর সমকক্ষ কোনো বিমান ছিল না। এখন এসেছে Rafale। তবে আকাশ যুদ্ধে Within Visual Range (WVR) Combat হলে SU-35 যুদ্ধবিমান Dassault Rafale কে সহজে দমন করতে সক্ষম।
আমরা SU-30 SME, SU-35S ও MIG-35 এর অফার পায়ে ঠেলে দিলাম। চিন্তা করতে পারেন!
তারপর '২০ সালের মার্চে জানা গেলো যে, France এর তৎকালীন Minister of Armed Forces বাংলাদেশের সেকালের Prime Minister শেখ হাসিনার অফিসে নাকি টেলিফোন করেছিলেন। জানা যায় যে, French Minister তখন বাংলাদেশের Prime Minister 'কে সরাসরি ওনাদের Dassault Rafale অফার করেন। যেখানে ঢাকা থেকে না করে দেওয়া হয়।
আরো অবাক করার বিষয় হলো, তার আগের মাসে Prime Minister এর ইতালি ভ্রমণের কালে ওদের তরফ হতে আমাদের Euro Fighter Typhoon (EFT) অফার করা হয়। তারও পূর্বে, '১৯ সালে লণ্ডন থেকে বাংলাদেশকে আধুনিক যুদ্ধবিমান সরবরাহের আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।
যার কোনটাই রহস্যময় কারণে বাংলাদেশ থেকে গৃহীত হয়নি। তার মানে হলো, পৃথিবীতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী হলো একমাত্র বাহিনী, যারা SU-30 SME, SU-35S, MIG-35, Euro Fighter Typhoon ও Dassault Rafale এর অফার পেয়েছে। ও সবগুলোকে ধরে বাতিল করে দিয়েছে।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, Financial Express '১৯ সালে রিপোর্ট করে যে, চীন বাংলাদেশের কাছে ওদের J-10C যুদ্ধবিমানের অফার নিয়ে এসেছিল। বাংলাদেশ তার আগের বছর বিমান বাহিনী থেকে বিমানটির Field Survey এর জন্য নাকি দলও পাঠায়। তবে, J-10C নিজেও তারপর বাংলাদেশের কাছে আর পাত্তা পায়নি।
তার মানে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কাছে পৃথিবীর প্রতিটি আধুনিক যুদ্ধবিমান বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর সকল দেশ হতে অফার করা হয়েছে, আর ওরা কোনো অজানা কারণে তা বাতিল করেছে। আর আপনারা আশা করি খুলে না বললেও অজানা কারণটি বুঝতে পারছেন। যার জন্য আমাদের মাথার ওপরে আজ F-7 নামক Flying Coffin উড্ডয়ন করে থাকে। আরেকটি বিষয় হলো, ওপরে আপনারা যে মাত্রার প্রত্যাখ্যান দেখলেন, তার ফলে আমাদের ওপর Global Military Industry তে ক্রেতা হিসাবে কেমন আস্থাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে, তা একবার চিন্তা করে দেখুন!
আপনার দেশের প্রতিটি দূর্নীতি ও দূর্দশার পেছনে ভারত জড়িত। ঢাকা কেন এমন বাজে নগর পরিকল্পনার শিকার হলো, কারণ ভারতের স্পন্সর করা দূর্নীতির ফলে দূর্নীতিবাজ ও অযোগ্যরা সমস্ত স্থানে গিয়ে বসেছে, যার কারণে ঢাকার অবস্থা আজ এমন। আপনার Education, Health, Finance, Foreign Affairs, Home Affairs, Defence মোদ্দাকথা, যেখানে আপনার সমস্যা, সেখানে আপনি ভারতের হাত পাবেন। আর এখন আপনাকে গরু মেরে জুতার তলার একটি পরমাণুর ভগ্নাংশ দিতে আসলো, আর আপনি খুশি হয়ে গেলেন? আপনার আত্মমর্যাদা নাই? এরকম নিচে নামছেন আপনারা!
আপনি ADGPI - Indian Army এর Tweet দেখেছেন আজ? দেখে নিবেন। সেখানে ওরা ওদের অত্যাধুনিক Apache AH-64 পাওয়া নিয়ে লিখেছে, "Milestone Moment For The Indian Army"। ভেঙে বলতে হবে না আশা করি!
আরেকটা কথা হলো, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী যদি গতদিনের মর্মান্তিক কাণ্ডের পর বিমান কিনতে যায়, পুরানো ও সামান্য কিছু যুদ্ধবিমান কিনে যেন মানুষকে বোকা বানাবার চেষ্টা না করে। পাশাপাশি, শুধুমাত্র বিমান দিয়ে আজকের দুনিয়ার যুদ্ধ চলে না। বিমান কিনে সাজিয়ে রাখলাম, ওসব করে লাভ নাই। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্য এটা নিজেকে নতুন করে আগা-গোড়া ঢেলে সাজানোর হয়তো সর্বশেষ সুযোগ।
Revan M