13/10/2025
#প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত থামছে না আন্দোলন: ২০% বাড়িভাড়া ও ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতার দাবিতে কর্মবিরতি অব্যাহত
মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা ও মাসিক ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতার দাবিতে দেশজুড়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (এমপিওভুক্ত) শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের এই ন্যায্য দাবি পূরণ করে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের এই আন্দোলন থামবে না, বরং তা চলতেই থাকবে, ইনশাআল্লাহ।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে এই মুহূর্তে হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারী রাজধানী ঢাকা/কলকাতার (যদি পশ্চিমবঙ্গের খবর হয় তবে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী লিখুন, নইলে কেবল ঢাকা লিখুন) রাজপথে তাঁদের দাবি আদায়ে সোচ্চার। সম্প্রতি সরকার/অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাড়িভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বৃদ্ধির যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের মতে, বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ৫০০ টাকা বৃদ্ধি নিতান্তই অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব। বর্তমানে শিক্ষকরা ১০০০ টাকা বাড়িভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের মূল দাবিগুলি হলো:
১. মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা প্রদান।
২. চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০০ টাকা করা।
৩. এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করা।
জোটের শীর্ষ নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, দাবি বাস্তবায়নের প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাগাতার কর্মবিরতি চলবে। এর আগে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষক-কর্মচারীরা বিভিন্ন তারিখে অর্ধদিবস ও পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন এবং বর্তমানে তাঁরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন।
নেতৃবৃন্দ দৃঢ়তার সঙ্গে উল্লেখ করেন, বর্তমানের কর্মবিরতি ও লাগাতার অবস্থান চলতে থাকবে এবং তাঁরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী যে, সরকার তাঁদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করবে, যার মাধ্যমেই এই আন্দোলন সম্পূর্ণভাবে স্থগিত হবে, ইনশাআল্লাহ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না তাঁরা—এই প্রতিজ্ঞাই এখন শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল সুর।