Lamha Islam - লামহা ইসলাম

Lamha Islam - লামহা ইসলাম মনের কল্পনা গুলো কলমে প্রকাশ করার নামই গল্প☺️🌺🥀

13/09/2025

#বেপরোয়া_নারী
#গল্পফ্যাক্ট
#নতুনগল্প
#স্পয়লার
#প্রথম_পর্ব

18/08/2025

েখানে_হৃদয়_সেখানে
#গল্পফ্যাক্ট
#সমালোচনা

12/08/2025

েখানে_হৃদয়_সেখানে

#লেখিকা_লামহা_ইসলাম

#পর্ব_৫৫

খান বাড়ির গেটে দাড়িয়ে আছে সবাই যারা বউ আনতে গেছিলো নিলিমা এখন ভালো হয়ে গেছে লামহাকেও মেনে নিয়েছে তাই অনেক আনন্দ করছে আশেপাশে থেকে লোকজন আসছে লামহাকে দেখার জন্য নতুন বউ বলে কথা সবাই এসে তো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে এই মেয়ে নাকি বউ তাদের ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে তাই সবাই কানা ঘোসা শুরু করলো বাড়ির কেউ তাতে খেয়াল নেই নিলিমা লামহার পাশে ছিলো তাই সে সব শুনতে পাচ্ছে।
নিলিমা : আপনাদের কি সমস্যা আমাদের বাড়ির বউ আমরা বুঝে নেব আপনারা ফুটেন এইখান থেকে।
আয়াত : কি হয়েছে তুই ওনাদের সাথে এমন ভাবে কথা বলছিস কেনো ভদ্রতা ভুলে গেছো।
প্রতিবেশি : আপনাদের বাড়ির কোন ছেলে মেয়েই ভদ্রতা শেখে নি আর এখন বউ একটা এনেছেন তার মধ্য ভদ্রতা আছে বলে তো মনে হয় না।
আয়াত : নিলিমা তুমি আমাকে আগে বলবে না যাইহোক তুমি ভদ্রতা দেখিয়ে ভুল করেছো আম্মু অভদ্রদের সাথে ভদ্রতা দেখাতে নেই আর এই মিষ্টি গুলো কিচেন এ রাখো ভিকারি দের দিয়ে দিব আর আপনারা আসবেন নাকি আমার স্পেশাল ঝাটা আনব মানে আমি আমার সন্তানদের ওইটা দিয়েই ভদ্রতা শেখাই এই আর কি।
লামহা নিলিমা হেসে কুটি কুটি হচ্ছে শাশুড়ী পেয়েছে লাখে একটা।
তারপর ছোটরা সবাই ফ্রেস হতে গেলো।
লামহা : ফুপি খুদা লাগছে খেতে দাও সারাদিন খায়নি।
আয়াত : তোকে কিসের খাবার দেব সর সামনে থেকে।
লামহা : মানে?
আয়াত : মানে আমি তোর কিসের ফুপি যদি আম্মু বলতে পারিস তাহলে খায়িয়ে দেব।
লামহা : ওহ নো তুমিও না আচ্ছা মেরি মা আমার জন্য খাবার আনুন খুব খুদা লাগছে।
আয়াত গেলো লামহার জন্য খাবার আনতে হৃদ চলে গেলো ফ্রেস হতে আয়াত এসে লামহাকে খায়িয়ে দিলো তারপর লামহাকে ফ্রেস হতে যেতে বলল লামহা কল আসলো তাই একটু কথা বলতে গেলো।
বাড়ির সবাই যার যার রুমে চলে গেছে। ছোটরা গেছে দরজা আটকাতে।
মাহির : আরে হৃদ বাহিরে ও এখন ও আসেনি ঘরে লামহা আছে তালা মার।
আদিল : ভাইয়া ঠিক বলছো তুমি।
নিলিমা : আরে হ্যা তুমি আটকাও।
তারপর দরজা লাগিয়ে দিলো হৃদ গোসল করতে চলে গেলো। এসে দরজা খুলতে যাবে দেখে দরজা অফ তাই আর কি রুমেই বসে রইল।
সামনে থাকা ব্যাক্তি কে দেখে কাজিনমহল সবার কপালে চোখ।
মুন : এইখানে লামহা হলে ঘরে কে?
আইরাত : নিশ্চয়ই হৃদ ভাইয়া।
সবার কপালে হাত।
নিলিমা : বইন তুই এখানে হলে রুমে কে?
লামহা : আমি কি করে জানবো?
নিলিমা : যাহ তোর জন্য সব প্ল্যান শেষ এখন আমরা টাকা কই পাবো?
লামহা : কিসের টাকা?
মুন : বাসর ঘরে যাওয়ার সময় বরদের কাছ থেকে টাকা নিতে হয়।
লামহা : ওহ আচ্ছা আমাকে যেতে দে তোদের ভাই এর কাছ থেকে নিস।
মাহির : না না তা হবে না তুমিই যখন বাহিরে তুমিই দাও তা না হলে তোমাকে ঘরে ডুকতে দেব না।
লামহা : ওকে আমি আমার শাশুড়ির সাথে ঘুমাই তাহলে বাই গুড নাইট গাইস।
নিলিমা : এই তুই এতো কিপটা কেন রে টাকা দিয়ে দিলেই তো হয়।
লামহা ; যেতে দিবি নাকি চলে যাব
তারপর ওরা বাধ্য হয়ে দরজা খুলে দিলো তারপর ঘরে ডুকলো।
লামহা : দাড়াও তোমরা আসছি আমি।
লামহা ঘরে গিয়ে নিজের ব্যাগ থেকে একটা চেক এনে ওদের হাতে দিয়ে বলল যা খুশি এমাউন্ট বসিয়ে খরচ করো বলেই দরজা অফ করে দিলো।
সকলে খুশিতে লাফিয়ে উঠলো।
নিলিমা : এই কালকেই আমরা গ্র্যান্ড পার্টি করব ওকে।
সকলে বলল ওকে।
লামহা ঘরে গিয়ে নিজের ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুমে যেতে নিলো।
হৃদ : একটা অনুরোধ রাখবে।
লামহা : এভাবে বলছেন কেনো আর এতো ভাব আমার পছন্দ না আপনি জানেন তাই সরাসরি বলুন।
হৃদ : এই শাড়ি টা পরো প্লিজ কারো সামনে যেতে হবে না শুধু আমার সামনে প্লিজ এইটা আমার গিফ্ট হিসেবে দাও।
লামহা : আপনি তো জানেন আমি শাড়ি পরতে পারি না আর পরিও না।
হৃদ : তাহলে আমি পরিয়ে দেই কি কি বলো
লামহা : চুপ করুন দিন তবে আজকেই আর কখনো এমন অনুরোধ করবেন না।
হৃদ : ওকে ওকে।
লামহা শাড়িটা নিয়ে ওয়াশরুমে ডুকে গেলো দশমিনিট পর হৃদ কে বলল আমার ফোনটা দিনতো।
হৃদ : কেনো
লামহা : শাড়ি পড়া দেখবো।
হৃদ লামহাকে ফোন দিলে লামহা ফোন দেখে যা পারলো পড়ে নিলো বাট দেখেই বোঝা যাচ্ছে শাড়িটার উপর কত অত্যাচার হয়েছে হৃদ সেই দিকে তাকিয়ে হো হো করে হেসে উঠলো।
লামহা : কি সমস্যা হাসছেন কেনো
হৃদ : এইটা শাড়ি পরেছো তুনি নাকি এর জানাযা পরেছো।
লামহা : রাগ উঠাবেন না খুলে ফেলব কিন্তু।
হৃদ : এই না না সরি আচ্ছা এইদিকে আয় আমি পরিয়ে দিচ্ছি
লামহা : যা আছি ভালো না লাগলে বলুন খুলে ফেলব।
হৃদ : না সুন্দর লাগছে আমার বউ তো চাঁদের থেকেও সুন্দর।
লামহা : থাক পাম দিতে হবে না।
লামহা হৃদ কে সালাম করতে গেলো হৃদ লামহাকে আটকে দিলো।
হৃদ : বাবাহ আমার মিসেস এইসব মানে তোমার স্থান আমার পায়ে নয় বুকে বুঝলে রাগিনী।
লামহা : আম্মু বলেছিলো তাই করতে চাইছিলাম নাহলে করতাম না।
হৃদ : আচ্ছা বুঝলাম।
হৃদ লামহাকে গলায় একটা চেইন পরিয়ে দিলো তারপর কিছু গোলাপ হাতে দিয়ে বললো ভালোবাসি আমার বিবিজান।
লামহা : আপনাকেও আপনার নতুন জীবনে শুভেচ্ছা খান সাহেব।
হৃদ : চলো আজ চন্দ্র বিলাস করি গল্প করি তোমার বলতে না পারা সব কথা শুনতে চাই আমি।
লামহা : আপনার বারান্দা টা অনেক সুন্দর ফুল গুলো বেশি।
হৃদ : তার চেয়ে আমার ব্যাক্তিগত ফুলটা বেশি সুন্দর।
লামহা : আচ্ছা কফি বানিয়ে আলছি বসেন আপনি।
হৃদ : পারো তুমি।
লামহা : মোটামুটি পারি।
হৃদ : আচ্ছা যাও তাহলে
লামহা নিচে গেলো দেখলো আয়াত কিছু করছে।
লামহা : কি ব্যাপার আম্মু কি করছো?
আয়াত লামহাকে দেখে খুশিতে চোখ চিক চিক করে উঠলো।
আয়াত : শাড়িতে আমার মা টাকে সুন্দর লাগছে। শাড়ি কেন পরতে চাস না।
লামহা : কি যে বলো তোমার ছেলে বললো পরতে তাই পড়লাম।
আয়াত : ছেলের কথা রাখলি ছেলের মায়ের কথা রাখবি না।
লামহা : আম্মু তুমি কি আমাকে মেয়ে ভাবো না আর দেখো শাড়ি পড়া হয়েছে নাকি আমি পরতে পারি না পড়ে যাবো।
আয়াত : কাল সকালে আমি গিয়ে পরিয়ে দিয়ে আসবো ওকে।
লামহা : আমাী তো আর শাড়ি নেই।
আয়াত : আমার আছে। কি করতে এসেছিস এতো রাতে।
লামহা : কফি বানাবো।
আয়াত : আমি বানিয়ে দেই
লামহা : না তুমি ঘুমোও আমিই বানাচ্ছি।
লামহা কফি বানাতে লাগলো আর আয়াত চলে গেলো। লামহা কফি বানিয়ে রুমে ডুকলো।
লামহা : এই নিন কফি।
হৃদ কফি হাতে নিয়ে খেতে লাগল পাশে লামহার কোলে শুয়ে চাঁদ দেখতে লাগল আর গল্প করতে লাগল কথা বলতে বলতে দুজনেই ঘুমিয়ে পড়লো সকালে হৃদ এর আগে ঘুম ভাঙলো ব্যালকনি তেই দুজন শুয়ে আছে দেখেই মুচকি হাসলো লামহাকে কোলে নিয়ে বিছানায় শুয়িয়ে দিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে গেলো তার কিছুক্ষন পর আয়াত আসলো লামহাকে ডাকতে দেখলো শুয়ে আছে। আস্তে আস্তে ডাকা শুরু করলো। লামহা চোখ খুলে আয়াত কে দেখল।
আয়াত : উঠ কাজ আছে আমার তোকে রেডি করিয়ে দিয়ে যাব।
লামহা : আম্মু শাড়ি পরবো না আমি প্লিজ জোর করো না।
আয়াত : কলা রাতে কি বলেছিলাম যা ফ্রেশ হয়ে আয় আজ আমি নিজ হাতে সাজাবো তোকে।
লামহাকে শাড়ি গহনা সব পরিয়ে দিলো লামহা কিছু বললো না ও চাই না ওর জন্য এই বাড়ির কেউ অসম্মানিত হোক। তারপর লামহাকে সাজিয়ে দিয়ে চলে গেলো সকল আয়োজন করতে আজ অনেক লোক আসবে তাই লামহা একটু কাজ করলো তারপর নিচে নামলো সবাই ওকে দেখে হা হয়ে গেলো মানে সুন্দর লাগছে আবার ও শাড়ি পরেছে বিশ্বাস যোগ্য না ওই দিকে তাহিয়ে হৃদ মুচকি হাসতে লাগলো।
লামহাদের বাড়ির সকলে এসেছে আরো অনেক আত্মীয় স্বজন এসেছে ওকে দেখে সবাই সুনাম ই করলো লামহা
চুপচাপ সহ্য করছে কিছু বলছে না বাড়ি ভরতি মানুষ তাই।

__________
পাঁচ বছর পর
লামহা : শাঈরা তুমি কি আমার সাথে ঘুমোবে নাকি আমি ঘুমিয়ে যাব।
শাঈরা : আমি পাপাহ র থাতে ঘুমোবো তুমি থলো।
হৃদ : গুড গার্ল মাই প্রিন্সেস ঘুমোবো তো চলো।
হৃদ আর মালহার মেয়ে শাঈরা, আনিশা আর আহিয়ান এর এক ছেলে মাহির আর আইরাত এর বিয়ে হয়েছে আদিল আর নিলিমার হয়েছে আর রিমি এখনও ও জেলে।
হৃদ লামহাকে নিয়ে আজকেও চন্দ্র বিলাস করতে গেলো ব্যালকনি তে বসলো।
হৃদ : এত বার ভালোবাসা প্রকাশ করছি কী একটু মায়া হয় না??
লামহা : হুম হয় তো অনেক হয়।
হৃদ : আমার তো উচিত তোমার নামে মামলা করা তুমি এখনও তোমার স্বামীকে ভালোবাসো বলোনি।
লামহা : আপনার আগে আমিই আপনার নামে কেস করবো খান সাহেব।
হৃদ : কেন আমি কি করলাম।
লামহা : এইযে আপনি আমার মন চুড়ি করেছেন আপনি আমার মনের জেলে ডুকে পরেছেন তাহলে আপনি চোর নন?
হৃদ : তোমার মনে আজীবনের জন্য আমার জেল হোক, পুরো দুনিয়ার উকিল ক্লান্ত হয়ে যাক তবুও আমার জামিন না হোক.............
লামহা : আপনার দাবি মন্জুর করা হলো খান সাহেব আপনি শুধু এবং শুধুই আমার জেলে বন্দী থাকবেন ডোকার রাস্তা পেয়েছেন কিন্তু বের হওয়ার রাস্তা পাবেন না।
হৃদ : ভালোবাসি.
লামহা : আমিতো বাসি না 😁😁😁
হৃদ : তবে রে এই বলেই হৃদ লামহাকে দৌড়াতে লাগলো।
লামহা : সবাই বলে যাকে তুমি ভালোবাসো সে তোমাকে ৫০% দিবে আর যে তোমাকে ভালোবাসে সে তোমাকে ১০০% তাই যাকে তুমি ভালোবাসো তাকে না যে তোমাকে ভালোবাসে তুমি তারই হও....
হৃদ : আজ আমরা সুখী
লামহা : আসলেই আপনি সুখী আমার তো মনে হয় আপনি আমার অত্যাচারে শুধু পালাতে চান।
হৃদ : আপনার এই অত্যাচার আমি সারাজীবন সহ্য করতে চাই বিবিজান।
লামহা : ভালোবাসা ভালোবাসে শুধুই তাকে ভালোবেসে ভালোবাসায় বেঁধে যে রাখে।
হৃদ : তোমার মুখ থেকে ভালোবাসি শোনার জন্য যে আর কি করা লাগবে??
রাত বারোটা বাজতে আর ৫ মিনিট হৃদ লামহাকে নিয়ে চোখ বেঁধে নিয়ে গেলো বাগানে চারিদিক সাজানো। বাগানে নিয়ে লামহার চোখ খুলে দিলো
হৃদ : Happy Anniversary শাঈরার আম্মু।
লামহা : Happy Anniversary শাঈরার আব্বু।
এভাবে চলতে থাকলো তাদের জীবন.......

______সমাপ্ত _________

( খারাপ লাগলো শেষ করতে তবে কোন কিছু যদি মনের মতো না হয় তাহলে তার প্রতি আর ইন্টারেস্ট থাকে না তেমন আমারও আমি চেয়েছিলাম গল্পটাকে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে আমার মনে হয় আমি পারি নি তাই আমি এটাকে নিয়ে আর এগোতে চাইনি তোমরা যারা পাশে ছিলে তারা সবাই আমার ভালোবাসার পাঠিকা তোমাদেরকে ধন্যবাদ এতো সময় আমাদের পাশে থাকার জন্য জানি না কার কেমন লেগেছে সামনে ভালো কিছু দেওয়ার চেষ্টা করব আজকে লাস্ট পার্ট তাই আমি তোমাদের বলব না যে গল্প বেশি বেশি শেয়ার করো কমেন্ট করো এখন তোমাদের যা ভালো লাগে তোমরা এতোদিন ছিলে আমার পাশে এর জন্য আমি খুবই খুশি আবার ধন্যবাদ ভুল হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবে আমার কোন ব্যাবহার বা গল্পে কোন কিছু খারাপ লাগলে আমাকে বলবে ভালো থাকো)

11/08/2025

েখানে_হৃদয়_সেখানে

#লেখিকা_লামহা_ইসলাম

#পর্ব_৫৪

স্টেজে থাকা মানুষটাকে দেখে খান বাড়ি আর চৌধুরী বাড়ির সবাই অবাক কারন সেখানে আর কেউ না লামহা বাট তারা আর কোন কিছুই বলতে চায় না কারন লামহাকে নিয়ে ভাবা তাদের কাজ না সবাই অবাক হলেও খুশি।
তারপর লামহা স্টেজে গান শেষ করে থামল তারপর বলা শুরু করলো ইতিমধ্যে সবাই আমাকে চিনে গেছেন চেনারই কথা তাই না তিন তিনটা নাম আমার তাই আশা করি সবাই চিনবেন। তবে আগের কথা বাদ আজকে আপনাদের বলব আমি গানের জগতে আসার কারন আর এই নামের কারন JS এর ফুল মিনিং জুনিয়র সিঙ্গার আসলে আমার দাদাই আমাকে ছোট বেলায় জুনিয়র সিঙ্গার বলে ডাকত কারন তার গানের গলা সুন্দর ছিলো কিন্তু মিডিয়া জগতে আসে নি তাই তিনি আমাকে ছোট বেলা থেকে জুনিয়র সিঙ্গার বলে ডাকত তার ইচ্ছে তেই আমার গান গাওয়া আর এতদূর আসা আর আমি দেশের জন্য কিছু করব এইটা আমার বাবার ইচ্ছে বাট এখানে আরও অনেক কারন তাই এখানে নিজেকে নেওয়া তবে হ্যা বিজনেস নিয়ে আমার কোন ইচ্ছে ছিলো না বাধ্য হয়েই আসতে হয় তবে আজ আসি আবারও দেখা হবে আর আমি বলেছিলাম আমার উডবি কে দেখাবো হ্যা আমার কাজিন আমার ফিয়ংসে তাই আজ আর কথা বলতে চাই না ভালো থাকবেন সবাই।
চারিদিকে করতালিতে মুখোর সবার মুখে লামহা লামহা লামহা। লামহা এতো কিছু অপেক্ষা করে ওর পরিবারের সামনে গেলো সবাইকে নিয়ে বের হচ্ছে তখন একটা গুলি দেয়ে আসলো লামহার কাছে সেদিকে হৃদ তাকিয়ে দিলো দৌড় লামহাকে বাঁচানোর জন্য কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না গুলিটা লাগলো তবে লামহার হাত ছুয়ে গেছে আর এতে লামহার কিছু হবে না কারন সে এইসবে অভ্যস্ত যদি অন্য কোথাও লাগত ভাবা যেতো হাত ছুয়ে গেছে রক্ত পরছে শুধু গুলি করা ব্যাক্তি টিকে দেখে সবাই অবাক কারন রিমি এই মেয়ের আর লজ্জা হয়লো না পুরাই নির্লজ্জ আবার আইসা পরছে। হৃদ রিমির কাছে গিয়ে দিলো দাবাং মারকা চড়। লামহা গেলো হৃদ কে টেনে আনলো কি করছেন কি খান সাহেব ওকে এইবাবে মারছেন কেনো।
হৃদ : তুমি বলছো মারছি কেনো ও কি করেছে দেখেছো তুমি ওর কত বড় সাহস ও তোমার গায়ে হাত দেয়।
লামহা : তাই কি আপনি একটা মেয়ের গায়ে হাত দেবেন তাও আবার এই রকম মেয়েকে ছি ছি।
হৃদ : তুমি ওর সার্পোটে কথা বলছো।
লামহা একটা ভিলেনি হাসি দওয়ে বললো আপনাকে বলেছি এইভাবে কেউ হাত দেয় তার মানে আপনি এই নরকের কিট কে কেনো ছুবেন এটাই কই কথা তাই বলেই লামহা ওর বন্দুক দিয়ে রিমির পা বরাবর মারলো গুলি সাথে সাথে রিমি পরে যায় লামহা হৃদকে বললো এইভাবে মারতে হয় বুঝলেন মিমি ওর মতো থার্ড ক্লাস মেয়েকে নিয়ে যাও আর হ্যা মা আর মেয়েকে একসাথে রাখবে যাতে সুখ দুঃখের আলাপ করতে পারে।
মিমি : ওকে ম্যাম।
লামহা : আর হ্যা যেখানে গুলি লেগেছে ওইখানে অবশ্যই ঔষধ লাগাবে না হলুদ মরিচ লবন যা পারো লাগিয়ে দিবে বাট ঔষধ না মনে থাকে যেনো।
মিমি : হাহাহাহাহা ওকে।
হৃদ লামহাকে নিয়ে গাড়িতে গেলো গিয়ে হাতে ব্যান্ডেজ করে দিলো তারপর সবাই গেলো লামহার মা লামহার পাশে বসলো।
লামহা : চলো আম্মু ফুসকা খেয়ে আসি ভালো লাগছে না।
আইরাত : সারাদিন এতো খাস কেমনে বইন।
নিশি : তুই ও তো খাস লামহা কি সেইটা বলেছে।
আইরাত : মা তুমি কিন্তু তোমার ঐ মেয়ের পক্ষ নিচ্ছো।
আহিয়ান : ওহ আমিতে ভুলেই গেছিলাম আমাকে পালতে আনছে এক হাড়ি চাল দিয়ে তাই না।
বাড়ির সকলে হেসে দিলো এদের এমন দুষ্টুমি দেখে সকলে বাড়ি গেলো।

বড়রা সকলে কথা বললো লামহা হৃদ এর বিয়ের ডেইট ঠিক করলো সবাই কেনাকাটা করছে কিন্তু লামহা যায়নি ওর নাকি ভালো লাগে না সকলেই কেনাকাটা করেছে লামহার জন্যও এনেছে কিন্তু লামহা দেখেওনি ওইগুলো হৃদ কত বুঝালো তাও লাভ হয় না।

হৃদ : তোমার বিয়ে করার ইচ্ছে নেই।
লামহা : বেশি বুঝা ভালো না।
হৃদ : তাহলে এমন করছ কেনো আমার তো খারাপ লাগছে।
লামহা : আপনি তো জানেন আমার এইসব ভালো লাগে না আপনিও অন্যদের মতো কথা বলছেন।
হৃদ : তাহলে ঠিক আছে শুধু বিয়েতে শাড়ি পরো ওকে।
লামহা : সবই মুড এখন যান ঘুমোবো।
হৃদ : আর মাত্র দুদিন তারপর তুমি আমার আহ কি শান্তি অবশেষে তুমি আমার।
লামহা : ঘুমাবো আপনার কথা ফোনে রেকড করে রাখুন বিয়ের পর শুনবো বাই বলেই লামহা মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিলো হৃদ আর কি করবে চলে গেলো বাড়ি এসেছিলো লামহা কে দেখতে।
___________°
দুদিন পর আজ লামহা আর হৃদের বিয়ে সবাই খুব খুশি কিন্তু লামহা সে শাড়ি পরবে না যা পড়ে তাই পড়বে সেই কথা যদি ওকে কেউ ডিস্টার্ব করে তাহলে ও সারাদিন ঘর থেকে বের হবে না। সবাই লামহার জেদ সম্পর্কে জানে তাই কেউ আর কিছু বলে নি। সবাই বলছে বর এসেছে বর এসেছে তারপর সকলে গেট ধরতে চলে গেলো।
কাজী বিয়ে পরাতে আসলো হৃদ বসে আছে তারপর সবাই লামহাকে আনতে বললো লামহা নিজেই উপর থেকে নামছে তা দেখে সবার মুখ চুপসে গেলো আর কাজি তো চোখ দুইটা বড় বড় করে আছে যাক নিজেকে স্বাভাবিক করে বললো সবার উদ্দেশ্য বললো বউকে আনুন তারপর লামহা কাজির পাশে এসে বসে বললো বিয়ে পড়ানো শুরু করেন।
কাজী : হুম করবো বউ আনেন।
লামহা : দেখছেন না বউ কে আসছি তো শুরু করেন।
কাজী : আ্যহ আপনি বউ আপনাকে দেখে কে বলবে আপনি বউ মিথ্যা কম বলেন বউকে আনেন তাড়াতাড়ি।
হৃদ : এই এতো বেশি কথা বলেন কেনো আমার বউ যা ইচ্ছে পরবে আপনার কি আপনি বিয়ে পরান।
কাজী আর কিছু বললো না চুপচাপ শুরু করলো।
হৃদ : সবার বউ বিয়েতে পড়ে শাড়ি আর আমার বউ পরেছে ছেলেদের পোশাক ছ্যাহ এই দুঃখ কই রাখি...
লামহা : দুঃখিত দুঃখ বেচার জায়গা নাই তা না হলে দুঃখ বাইচা দিতাম আর একটা আইফোন ও কিনতে পারতাম।
হৃদ : তাহলে তুই কিসের বিজনেস ম্যান কিসের অফিসার আর কিসের সিঙ্গার যদি সামান্য একটা আইফোন কিনতে দুঃখ বেচা লাগে তুই বড়লোক কিপটা রে বইন...
লামহা : আরে নাহ কিপটা না আসলে আমার অনেক ইচ্ছা জামাই এর কিডনি বেইচা আইফোন কিনবো তাই এখনও কিনি নাই
হৃদ : আস্তাগফিরুল্লাহ এমন বউ জেনো কারো না হয়। আগে বউরা বলতে আমি দেইখা তোমার ভাত খাইয়া গেলাম এখন থেকে ছেলেরাও বলবে তার প্রমান আমি নিজে ভাগ্যিস আমার মতো জামাই পাইছেস আমি দেইখা তোর লগে সংসার কইরা যাইতাছি।
ওদের কথার মাঝেই কাজী বললো কাবিন কত টাকা করবো। হৃদ কিছু বলবে তার আগেই লামহা বলল থামুন সিনেমার নায়কদের মতো এখন বলবেন না যে কাবিন হিসেবে আমি তোমাকেই চাইব যাতে ছেড়ে যেতে না পারে এইগুলা বাদ দেন কাজী সাহেব আপনি ১০ কোটি রাখেন যাতে সারাজীবন এও কাবিনের টাকা দিতে না পারে আর ছাইড়া যাওয়ার আগে ১০ কোটি টাকা রেডি রাখে।
কাজী : কিন্তু মা কাবিনের টাকা যে বউকে দিয়ে তারপর বউয়ের কাছে যেতে হয়।
লামহা : দূর রাখেন আপনার নিয়ম এখনকার সমাজে কয়জন কাবিন দেয় ১০০% এ ৫% দেয় আর সব ডির্ভোস এর পর জামাই এর কাছ থিকা জোর কইরা নেই তাই আমি যা বলছি তাই করুন।
কাজী আর কি করবে বুঝেছে যে এই মেয়ে খুবই ত্যাড়া তাই আর কথা না বাড়িয়ে যা বললো তাই করলো।
বাড়ির সবাই শুধু দেখছে..... লাইক সিরিয়াসলি নিজের বিয়েতে কেউ এমন করে হৃদ এর ফ্যামিলির সবাই জানে তাই হেসেই যাচ্ছে।
তারপর হৃদ কে কবুল বলতে বলা হলে বলল আর লামহাকে বলার আগেই কবুল কবুল কবুল বলে খালাস মানে কাজী শকড এমন বিয়েও হয় প্রথম দেখলো কাজী মানে মানে কেটে পরলো।

( জানি আজকে গল্পের পার্ট ছোট হয়েছে তবুও শরীর ভালো না শুধু তোমাদের কথা ভেবে দিলাম নেক্সট পার্টে গল্প শেষ করার চেষ্টা করবো তাই সকলে আজকের পর্বে অন্তত সকলে কমেন্ট লাইক শেয়ার করে পাশে থাকো সকল নিরব পাঠিকারা সারা দাও প্লিজ ৪০০ কমেন্ট আর ১০০ শেয়ার করে দাও আমি চাই সকলে আজকে বেশি বেশি কমেন্ট করে কমেন্ট ফিল আপ করুক একেকজন দশটা কমেন্ট করলেও অনেক যাইহোক যদি সবাই গল্প কালকে চাও তাহলে সকলে সকাল ১০ টার মধ্য টাস্ক পুরন করে ফেলো)

11/08/2025

🌸 Welcome to Lamha Styles 🌸
✨ Where Elegance Meets Trend ✨

হ্যালো ফ্যাশনপ্রেমী বন্ধুরা 💙
আমরা নিয়ে এসেছি আপনার জন্য স্টাইলিশ ও ট্রেন্ডি পুরুষ ও নারীদের পোশাকের দারুণ কালেকশন 🛍
আপনি পাবেন—
👗 মেয়েদের জন্য ফ্যাশনেবল ড্রেস ও স্টাইলিশ আউটফিট
👔 ছেলেদের জন্য ট্রেন্ডি শার্ট, প্যান্ট ও ব্লেজার
📦 অনলাইন অর্ডার ও দ্রুত ডেলিভারি

আপনার স্টাইলকে এক নতুন মাত্রা দিতে আমরা সবসময় প্রস্তুত ❤️
✅ এখনই পেজটি Follow করুন
✅ পছন্দের পোশাকের স্ক্রিনশট নিয়ে ইনবক্সে পাঠান

Lamha Styles – আপনার স্টাইল, আমাদের দায়িত্ব! 💙

(আমার সকল ভালোবাসার ফলোয়ার যারা আছো তারা বেশি বেশি ফলো করে দাও যদি তোমরা সকলে মিলে ৫০০ শেয়ার করে দাও প্লিজ)

Lamha Styles
✨ Where Elegance Meets Trend ✨
আপনার জন্য নির্বাচিত স্টাইলিশ পুরুষ ও নারীদের পোশাক 🛍
📦 অনলাইন অর্ডার ও দ্রুত ডেলিভারি
📩 ইনবক্সে অর্ডার করুন

08/08/2025

েখানে_হৃদয়_সেখানে

#লেখিকা_লামহা_ইসলাম

#পর্ব_৫৩

চৌধুরী বাড়িতে কলিংবেল বাজছে লামহা গিয়ে দরজা খুলে দিলো দেখল লাশবাহী গাড়ি থেকে লাশ নামানো হচ্ছে লামহা সেদিকে স্থীর নয়নে তাকিয়ে আছে তারপর অন্যদিকে চলে গেলো বাড়ির ভেতরে লাশটাকে রেখে লাশবাহী গাড়ি নিয়ে চলে গেলো নিশান এর মা বাবা কান্না আর আহাজারি শুরু করে দিলো যতই সন্তান তো বাবা মার সামনে সন্তানের লাশ যে খুবই ভাড়ি। সকলে কান্না করছে কম বেশি শুধু লামহা তাকিয়ে দেখছে।
আয়মান : বোন এইবার ওকে শেষ গোসল করাতে হবে তুমি থামো কি করবে বলো ভাগ্যর বেশি পাওয়া যায় না তো।
রাহেলা : আমার ছেলে কে শেষ করে তুমি খুশি তো তোমার জন্যই ও এই ধ্বংসের খেলায় নেমেছিলো।
নওশাদ : কোন বাবা কি চায় তার সন্তান খারাপ পথে যাক তুমি বলো।
রাহেলা : এই তোরাএকে কেন জেলে দিলি না ও তো সমান দোষী।
লামহা : সে দোষ করেনি কিন্তু তোমার ছেলে দোষ করেছে।
আয়মান : মানে?
লামহা সবাইকে সবটা বলল সবটা শুনে সবাই কেঁদে দিলো আয়মান ভাইকে জরিয়ে কেঁদে দিলো।
তারপর বাড়ির ছেলেরা নিয়ে গেলো গোসল এর জন্য কেউ কাটছে বাঁশ আবার কেউ বা খুঁড়ছে কবর বরই পাতার গরম পানি দিয়ে গোসল করানোর তোর জোর করছে। তারপর সাদা কাফনে জরানো হলো অনেকে আসলো শেষ দেখা করার জন্য কেউ দুফোটা চোখের পানি জরিয়ে দুঃখ প্রকাশ করছে নিশান এর মা কান্না করছে প্রতিবেশি রা সান্তনা দিচ্ছে কান্না করো না কান্না করলে যদি মৃত মানুষ ফিরে আসতো তাহলে সবাই কান্না করে তাদের প্রিয়জনদের ফিরিয়ে আনতো সকলে মিলে কান্না করছে চৌধুরী বাড়ি খান বাড়ি সকলের চোখে পানি। সব শেষে খাটিয়া তোলা হলো নিশান কে নিয়ে যাওয়ার জন্য তখনই নিশান এর মা অজ্ঞান হয়ে গেলো হৃদ বাকি সবাই মিলে খাঁটিয়া তুলল নিয়ে যাবে লামহা এখানেই চুপচাপ দাড়িয়ে আছে।

লামহা : পৃথিবীর মানুষগুলো যতটা মনোযোগ দিয়ে একটা মৃত ব্যাক্তির মুখের দিকে তাকায়, ততোটা মনোযোগ দিয়ে জীবিত ব্যাক্তির দিকে তাকায় না।
ঠিক এই কারনেই আমাদের বিদায় বেলাটা ভয়ংকর সুন্দর হয়...........আজকে একটু বেশি সুন্দর লাগছে ঘৃণিত ব্যাক্তি টাকে আগে কখনো এতো মনোযোগ সহকারে দেখা হয়নি শেষ দেখা তাই হয়ত দেখলাম। পরপারে আমাদের দেখা হবে না কারন আপনাকে আমি ক্ষমা করতে পারবো না আপনার পাপের ক্ষমা হয় না। বিদায় ভালো থাকবেন আমার না হওয়া পুরুষ।
এই চোখ টাও না বড্ড বেইমানী করছে আজকাল নিজের হয়েও অন্যর জন্য পানি পরতে চায় কি আজব না না না একদম না পানি বের হলে তুই শেষ লামহা কোন কাপুরুষের জন্য চোখের পানি বের করবি না লামহা...

লামহা উপরে চলে গেলো নিশান কে নিয়ে যাওয়া হলো মাটি দেওয়ার জন্য। বাড়ি শূন্য মনে হয় মানুষ নেয় এমন যে যার মতো কেউ কথা বলছে না।
বাড়ির পুরুষ সবাই চলে আসলো যে যার মতো রুমে গেলো। এভাবেই চলতে থাকলো দিন সবাই স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে।

জীবন থেকে চলে গেছে দুই মাস সবাই নিজেদের মতো করে বাঁচা শুরু করেছে। সেদিনের পর সবাই লামহার পরিচা পেয়েছে লামহা এখন যা করে সবার সামনে।
আহিয়ান আর আনিশার বিয়ে ঠিক করেছে আর হৃদ আর লামহার তো আগেই ঠিক করা ছিলো সবাই মিলে। তো আজকে লামহাদের বাড়িতে সবাই আসবে বিয়ের ডেট ঠিক করতে একদিনে দুই বিয়ে হবে তাই আলোচনা করবে।

সবাই মিলে বিয়ের ডেইট ঠিক করল সামনের শুক্রবার আজ থেকে পাঁচদিন পর। হৃদ গেলো লামহার কাছে আর আহিয়ান আনিশা কে নিয়ে গেলো কথা বলতে ছাঁদে।
হৃদ : মিসেস খান আমরা আবার বিয়ে করছি আপনি কি খুশি নন.?
লামহা : খুশি হওয়ার মতো কিছু হয়েছে বলে তো আমার মনে হয় না।
হৃদ : ঘৃণা করিস এখনো আমাকে তুই যদি বলিস তাহলে আমি তোকে মুক্তি দিয়ে দিব বল তুই। বল তুই কি চাস।
লামহা : তা কখন বললাম আর বিয়েটা ছেলে খেলা নয় খান সাহেব।
হৃদ : তাহলে এমন ভাবে বললা যে মনে হলো খুবই বিরক্ত তুমি আমার উপর।
লামহা : বাদ দিন এইসব
হৃদ : ভালোবাসা যায় না?
লামহা : আমার মতে আপনি ভালোবাসার মতো মানুষ কিন্তু চরিত্র নিয়ে যে কথা বলে তাকে কি সহজে মানা যায়? আর আসল কথা মন থেকে ভালো একজনকেই বাসা যায় আর সংসার করতে করতে ভালোবাসা না হলেও বন্ধুত্ব হয়ে যাবে তাই চিন্তা করবেন না।
হৃদ : সমস্যা নেই আমার ভালোবাসায় তোমার জন্য যথেষ্ট আসি আজ থেকে পাঁচদিন পর এসে নিয়ে যাব একবারে।।
তারপর ওরা আরো কিছু কথা বলে চলে গেলো হৃদ। আর লামহা ভাবতে লাগলো।
আপনি আমারে জিগাইলেন আমি কি চাই আমি মুচকি হাইসা চুপ রইলাম ... আপনারে আমি বলতে পারি নাই একজনকে চাইয়া কলিজায় যেই ক্ষত হয়ছে সেই ক্ষত আমি আজও বহন করি নতুন কইরা আর কাওরে চাইবার সাহস আমার নাই। ভালোবাসতে পারব কিনা জানি না তবে আমি চেষ্টা করব ভালো বউ হওয়ার।
মুন নিজের ঘরেই আজ আর বের হয় নি যতই হোক নিশানকে সে ভালোবাসতো মানুষটা ওকে না বাসলো ও তো বাসছে তাই নিজেকে মানাতে পারছে না। মিমি ওরা সবাই এসেছে বাড়িতে রিমি কে খান বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে আর নিলিমা দেশের বাহিরে চলে গেছে এসব মানতে না পেরে।
আনিশা মুন এর রুমে গেলো দেখলো শুয়ে আছে গিয়ে পাশে বসলো।
আনিশা : আপু কি হয়েছে এমন করে শুয়ে আছো।
মুন : আর বলিস না মাথা ব্যাথা করছে তো তাই বল কখন এলি।
আনিশা : অনেকক্ষন তুমি গেলে না তাই আমিই এলাম চলো নিচে সবাই আছে।
ওরা দুজন নিচে চলে গেলো।
মিমি : কি তোমাদের খবরনেই তোমাদের জন্য এলাম সবাইকে একটা ইনবাইট করতে।
আতাউর চৌধুরী : কিসের ইনবাইট গো।
আশফাক খান : কি জানি আমাদের তো কেউ চোখেই দেখে না।
হুমায়রা : বিয়ায় আমি মনে হয় জানি কি হয়েছে।
আতাউর : তাহলে বলো।
হুমায়রা : তুমি যা জানো আমিও জানি। যাইহোক দিদিভাই বলো কি বলবে।
মিমি : কালকে JS এর গান সবাই যাবেন সকলে মিলে বুঝলেন এইটা আমার অনুরোধ তাই আসলাম বলতে।
হৃদ : আমরা গিয়ে কি করব অবশ্য আমার ও ওর গান ভালোই লাগে তবে যাওয়া হয়ে উঠে না।
আহিয়ান : আমার তো ভালো লাগে দেখার ইচ্ছে আছে।
আনিশা : আমার তো ক্রাশ আমি যাবই।
মুন : আমিও যাব বাট সমস্যা এই মেয়ের মুখ দেখতে পারলাম না এতো সুন্দর গলা দেখতে না জানি কত সুন্দর ফেইস দেখতে পারলে মনের ইচ্ছা পূরন হতো।
মিমি : ওকে আপনারা সকলে কাল আসুন কাল শুনেছি JS নিজের ফেইস দেখাবে।
সকলে বললো যাবে তারপর মিমি চলে গেলো ।

___________
পরের দিন সকালে চৌধুরী বাড়ি খান বাড়ির সকলে রেডি কারন আজ JS এর গান শুনতে যাবে কালকে খান বাড়ির কেউ যায় আজ যাবে তাই। সকলে রেডি হয়ে নিচে এলো লামহা নিজের গাড়িতে মেয়েদের নিয়ে গেলো । সবাউ গিয়ে বসলো কেউ কাউকে দেখছে না অনুষ্ঠান উপভোগ করবে তাই সবাই বসলো কিন্তু কারো সাথে কেউ কথা বলছে না হৃদ আর আহিয়ান শুধু কথা বলছে।
তখন স্টেজে আ্যনাউস করা হলো গান গাইবে JS আশে পাশে লাইট অফ হয়ে গেলো JS স্টেজের মাঝখানে আসলো বোল লাইট ওর মধ্যই আছে ও উল্টো দিক ঘুরে আছে কেউ দেখছে না।
JS : আমি আজকে সবার সামনে আসছি তার আগে বলছি আজকে যে গানটা গাইব তা আমার একান্ত নিজের জন্য সবার অনুরোধ রাখব কিন্তু আজ নিজের জন্য গাইতে ইচ্ছে করলো গান শেষে আপনাদের সবার প্রশ্নের উত্তর দেব এবং সবার সামনে আসবো। JS উল্টো ঘুরেই গান শুরু করলে...

এই অবেলায়, তোমারই আকাশে, নিরব আপোষে
ভেসে যায়
সেই ভীষন শীতল ভেজা চোখ
কখনো দেখাইনি তোমায়

কেউ কোথাও ভালো নেই যেন সেই
কতকাল আর হাতে হাত অবেলায়?
কতকাল আর ভুল অবসন্ন বিকেলে
ভেজা চোখ দেখাইনি তোমায়

সেই কবেকার ভায়োলিন, বেজে যায় কতদিন
প্রাণে চাপা ঢেউ, দেখেনি আর কেউ

কখনো অভিমান, অবাধ্য পিছুটান
জানিনা কি কষ্টে এই অবেলায়
তবুও নির্বাসন বাসর সাজিয়ে
ঠোঁটে চেপে ধরা থাক ভালোবাসায়।
ঘুণে খাওয়া মেঘে কালো
হয়ে যায় হৃদয় যখন
একা একা শুধু অকারণেই ঝরে বৃষ্টি এমন
আজও তাই, অবাক রঙে এঁকে যাই
সাদাকালো রঙ মাখা ফানুসের মুহুর্ত রাঙাই
ভীষণ কালো মেঘ, পুড়ে ছাই আবেগে আজও তাই
অবাক জোছনায় পোড়া চোখ তবুও সাজাই।
এই সন্ধ্যায়, দুচোখ সাগরে, বুকের পাঁজড়ে
ভেসে যায়
অবাক জোছনায় লুকিয়ে রেখেছি
ভেজা চোখ দেখাইনি তোমায়
এই অবেলায়, তোমারই আকাশে, নিরব আপোষে
ভেসে যায়
সেই ভীষন শীতল ভেজা চোখ
কখনো দেখাইনি তোমায়
কেউ কোথাও ভালো নেই যেন সেই
কতকাল আর হাতে হাত অবেলায়?
কতকাল আর ভুল অবসন্ন বিকেলে
ভেজা চোখ দেখাইনি তোমায়

চলবে......

( সকলে মিলে ৪০০ কমেন্ট আর ১০০ শেয়ার করে দাও তারপর নেক্সট পার্ট লেখা শুরু করবো)

05/08/2025

েখানে_হৃদয়_সেখানে

#লেখিকা_লামহা_ইসলাম

#পর্ব_৫১

যখন আজমেরির লোকেরা সবার উপর আক্রমণ করবে তখন লামহার গ্যাং এর সকলে চলে আসে এসে ওদের দলের সবাইকে ধরে পরে সবাইকে বলে তোমরা সকলে মুখ ডেকে কেন আছো খুলে ফেলো আজকের পর আর আমাদের পরিচয় লোকানোর দরকার নেই।
তারপর একে একে সবাই মুখ খোলে সেখান থেকে দুটো পরিচিত মুখ দেখে আদিল, নিলিমা আর রিমি জোরে চিল্লিয়ে উঠে।
রিমি : সালী ধোঁকাবাজ আমাদের সাথে থেকে আমাদের পেছনেই ছুড়ি চালাস।
মিমি : ধোঁকাবাজ দের সাথে ধোঁকা দেওয়ায় যায়।
সিয়াম : তোমরা কোন ভালো কাজ করোনি যে তোমাদের মাথায় নিয়ে নাচতে হবে।
লামহা : আসলে ওদের আমিই তোদের কাছে পাঠিয়েছিলাম যাতে তোদের সব খবর পাই হাহাহহাহাহ।
আদিল : সিয়াম এইভাবে না ঠকাইলেও পারতি।
লামহা : ওমা এতো দেখি ভুতের মুখে রাম রাম চোরে বলছে চুরি কেন করেছো। আপনি কি নিজের অতীত ভুলে গেছেন মিস্টার আদিল।
আদিল চুপসে যাই। তারপর নিজেকে বাচানোর জন্য লামহার কাছে ক্ষমা চাই।
লামহা : আমার ডিকশনারিতে ক্ষমার কোন নাম নেই তাই বলছি চুপচাপ বসে থাক।
রাহেলা : লামহা তুই আমাকে একটু বলবি ওই দুই কালসাপ কি করেছে।
লামহা : একটু পরেই জানবে সারা বাংলাদেশ টিভিতে অনলাইনে শুধু এই ক্রিমিনালদের ই মুখ দেখা যাবে।
রাহেলা : আমার বিশ্রাম দরকার এদের মুখ আমি দেখতে চাই না।
তারপর আসাদুজ্জামান হঠাৎ করে লামহার দিকে গুলি ছুড়ে মারে। সকলে স্তব্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে রাহেলা চিৎকার করে উঠে। সবাই সেদিকে তাকিয়ে দেখে লামহাকে সরিয়ে দিয়ে নিশান দাড়িয়ে পরে। সেই দিকে তাকিয়ে আছে সবাই কি করবে। লামহা সাথে সাথে আসাদুজ্জামান কে সুট করে সে জায়গায় খতম। লামহা নিশান কে ইমিডিয়েট হাসপাতালে নিতে চাই কিন্তু গুলিটা হার্টের মাঝখানে লাগার কারনে সাথে মৃত্যুর কোলে ডোলে পরে তখনও নিশান লামহার হাত জরিয়ে আছে। লামহা কি বলবে বুঝতে পারলো না। তার কি লোকটাকে কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত কিন্তু লোকটা তো মনে হয় আর কথা বলবে না তাহলে কি করে বলবে। কেউ এখন আর আড়াল থেকে তাকে বাঁচাবে না। কেউ বলবে না মায়াপাখি একটা সুযোগ দিবি। হঠাৎ হঠাৎ কেউ এসে একটু কথা বলার আবদার করবে বা। তার কি লোকটার জন্য মায়া হওয়া উচিত। কিন্তু আমিই তো বলেছি মৃত্যু আমি দেব কিন্তু এমন মৃত্যু তো চাইনি। বাড়ির সবাই কান্না করছে নওশেদ ছেলের কাছে আসে ছেলেকে ডাকে। এই নিশান এই উঠ দেখ আমি বলছি আমি তোকে নিয়ে অনেক দূরে চলে যাব শোন না তোকে বলেছিলাম এইসবে জরাস না আমি সব সামলে নিব কিন্তু শুনিস নি এখন আর কে আছে আমার বল।লামহা নওশেদ কে তুলে জরিয়ে ধরে। লামহাকে জরিয়ে কান্না করতে থাকে।
সবাইকে মুক্ত করে লামহা। তার নিজেকে কেমন অপরাধী মনে হচ্ছে লোকটা অন্যায় করেছে আইন শাস্তি দিত কিন্তু এভাবে শাস্তি চাইনি সে। তারপর ক্রোধান্বিত দৃষ্টিতে আসাদুজ্জামান এর দিকে তাকায় ওকে গিয়ে ধরে এনে ঠাডিয়ে এক চড় মারে নিলিমা বাবার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেই সে খারাপ কিন্তু এত খারাপ না অহংকার আছে হিংসা আছে কিন্তু এতো বড় অন্যায় সে মেনে নিতে পারছে না। তারপর হুড়মুড় করে প্রেসের লোক ডুকে পরে।
মিডিয়া _ম্যাম এখানে AD কে আমরা তার সাথে কথা বলতে চাই।
লামহা : আমি বলুন কি জানতে চান।
সবাই একবার দেখে লামহাকে এই তো NA তাদের মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।
মিডিয়া : ম্যাম আপনি বলেছিলেন AK এবং তার গ্যাং ধরবেন তাই আজকে আমাদের ডাকা।
লামহা : হুম এই যে অপরাধী আমাদের সামনে দাড়িয়ে আছে এই যে এই দুটো মেইন ক্রালপিট আইরাত ওদের নিয়ে যা গুন্ডা আর এই দুটোকে।
আইরাত : চাচ্চুর কি করব কানের কাছে এসে বলে।
লামহা : ওনার দোষ নেই আমার কাছে তাই যা এটা পরে সব বলব আপাতত ওদের নিয়ে যা আমি এখন প্রেসের থেকে বেঁচে ফিরি তারপর ওদের রিমান্ডে নিব।
তারপর ক্রিমিনাল গুলে আর নিশান এর লাশ নিয়ে ওরা চলে যায়।
রাহেলা : এটাকে এখানে কেন রেখেছিস একেও নিয়ে যা।
লামহা : আহ ছোটআম্মু বেশি কথা বলো চুপচাপ থাকো মিডিয়ার লোক যাক তারপর কথা বলছি।
মিডিয়া : ম্যাম আপনি কি কিছু লুকাতে চাইছেন।
লামহা : এই থাপ্পড় চিনিস এক থাপ্পড়ে দাত ফালাই দিব এই রকম প্রশ্ন করার জন্য তোদের টাকা দেয় নাকি সত্য নিউজ ছড়ানোর জন্য যদি কোন যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন থাকে তাহলে বলেন নাহলে আসতে পারেন।
মিডিয়া : ম্যাম আপনি সব প্রমান সহ সব কিছু জমা দিয়েছেন নিউজ চ্যানেলে সব কিছু প্রমান আছে।
লামহা : হুম সব আছে এখন আপনারা জান আমার ফ্যামেলি প্রবলেম চলছে আসতে পারেন নাহলে বিষয়টা ভালো হবে না।
তারপর প্রেস মিডিয়া চলে গেলে বাড়ির সবাইকে নিয়ে বাড়ি যায়। সবাই আজ ওদের বাড়িতেই কাউকে কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না লামহার।
হৃদ : এখন আমাদের সব কিছু বল কি হয়েছে কিছু তো আমি জানি আর সব বল।
লামহা : এখন আমি কিছু বলতে পারবো না আমার কাজ তোমার তোমাদের কাজ করো আর হ্যা আমাকে ডিস্টার্ব করবে না সময় হলে আমি নিজেই তোমাদের সব বলব।
লামহা চলে গেলো উপরে। গিয়ে নিজের রুমের দিকে যাওয়ার আগে নিশান এর ঘর খোলা পেলো কেনো জেনো আজ তার একটু অনুতপ্ত বোধ হচ্ছে সত্যি কি সে খুব খারাপ কিন্তু আমার সাথে যা হয়েছে তাও তো খারাপ। তারপর লামহা আস্তে আস্তে নিশান এর ঘরে গেলো যেয়ে একটু অবাক হলো পুরো ঘরে তার ছবি সবদিক ঘুরে দেখলো একটা ডাইরি। ডাইরিটা পড়ার আগ্রহ জাগলো। ডাইরিটা হাতে নিলো তারপর নিশানের ঘরেই বিছানায় বসল আজ নিশান থাকলে হয়ত বলত ওহে নারী তোমার মনে না যেতে পারলেও তুমি আমার ঘরে তো এসেছো এতেই ধন্য একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ডাইরিটা পড়া শুরু করলো পড়তে পড়তে হালকা বুকে ব্যাথা অনুভব হলো তারপর একটা লেখায় চোখ আটকে যায় সবকিছু প্রায় তাকে নিয়েই লেখা ডাইরিতে। তারপর সে ওই লেখাটা পড়া শুরু করে......
প্রিয় মায়াপাখি,
আমি তোকে এতোটাই চাই যে এই পৃথিবীর কোনো ভাষা দিয়ে এটা বোঝানো সম্ভব না! পৃথিবীতে এমন কোনো যন্ত্র এখনো আবিষ্কার হয়নি, যেটা তোর প্রতি আমার ভালোবাসার পরিমাণ আন্দাজ করতে পারবে! তোকে পেয়ে গেলে আমি হবো ভোরের শিশির, ফুলের সুভাষ, আকাশে উড়তে থাকা পাখি! শুধু তোকে পেয়ে গেলে আমার অসমাপ্ত গল্পের সমাপ্তি ঘটবে। আমি তোকে এতোটাই চাই যে এই পৃথিবীর কোনো ভাষা দিয়ে এটা বোঝানো সম্ভব না! পৃথিবীতে এমন কোনো যন্ত্র এখনো আবিষ্কার হয়নি, যেটা তোর প্রতি আমার ভালোবাসার পরিমাণ আন্দাজ করতে পারবে!
আমি না হয় তোর মনে নাই থাকলাম_তবুও মনে রাখিস আমার সবটা জুড়ে শুধু তুই ছিলি!
মনে রাখিস আমার ভালো মন্দ, হাসিখুশি সব কিছুতে শুধু তুই জড়িয়ে ছিলি!
তুই বরং আমাকে ভুলে যা!
আমি না হয় তোর মনে নাই থাকলাম_তবুও মনে রাখিস আমার সবটা জুড়ে শুধু তুই ছিলি!
মনে রাখিস আমার ভালো মন্দ, হাসিখুশি সব কিছুতে শুধু তুই জড়িয়ে ছিলি!
তুই বরং আমাকে ভুলে যা!
মনে রাখিস _কেউ একজন ছিলো যে তোকে অন্তর্য্যিন্তে জড়িয়ে রাখতে চেয়েছিলো নিজের ভিতর;
কিন্তু তা তুই অগ্রাহ্য করে দূরে ঠেলে দিয়েছিলি !
তুই নেই, তবুও তুই আছিস! তুই আছিস আমার দীর্ঘশ্বাসে,আমার নিঃশব্দ রাতে,আমার হাসিতে,আমার কান্নায়,আমার সবটা জুড়ে শুধু তোর আনাগোনা!
মনে রাখিস, তুই যাকে এত সহজে না করতে পেরেছিস
সে আজও তোকে ভেবে চোখের জল ফেলে!
মনে রাখিস _যাকে তুই ভালোবাসতে চাসনি ,
সে তোকে আজও ভালোবেসে যাচ্ছে!
তুই মনে রাখিস _যাকে তুই অবহেলায় ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলি _তার প্রায়োরিটি এর শীর্ষ তালিকায় ছিলি তুই!
তুই জেনে রাখিস—
তোর মতো করে আমি আমি স্বার্থপর হবে না তোকে ভুলে যাবো না..! তোকে মনে রাখবো!
মনে রাখবো মৃত্যুর পর যে সাত মিনিট মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে তখন ও আমি তোকেই মনে করব।
ইতি,
ঘৃণিত ব্যাক্তি

চলবে....

( আজকে একদিনে দুই পর্ব দিলাম তাই সবার কাছে অনুরোধ পরের পর্ব চাইলে ৪০০ কমেন্ট আর ১০০ শেয়ার করো তারপর গল্প দিব)

05/08/2025

েখানে_হৃদয়_সেখানে

#লেখিকা_লামহা_ইসলাম

#পর্ব_৫০

(সকলে শেষের অংশ টুকু পরবেন দয়া করে)

কিরে তোকে কি বলে সম্বোধন করব AD নাকি NA নাকি লামহা চৌধুরী।
লামহা : তিনজনই আমি তাই আপনার যা খুশি বলতে পারেন খালাম্মা।
আজমেরি : এই মেয়ে আমাকে একদম এইসব বলে ডাকবে না আর শোন আমি হেরে যাওয়ার মানুষ না তুমি আমাকে ভালো ভাবেই চেনো তোমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ আমার কাছে।
লামহা : ওহ তাই নাকি তাহলে আনুন দেখি কোথায় সে।
আজমেরি : আনব কেনো তুই কি আমাকে বোকা ভাবিস এত বছর ধরে গল্প টা সাজালাম আর তুই দু মিনিটে শেষ করে দিবি তা তো হবে না।
লামহা : এক্সাটলি খালাম্মা এটাই আমি আপনাকে বোঝাতে চাইছি আপনার জন্য এত বছর বাড়ির বাহিরে থাকলাম ভয়ংকর দোষী হলাম তাহলে আপনার কি মনে হয় আপনাকে শেষ না করেই আমি শান্ত হবো নো নো তা হবে না।
আজমেরি : তাহলে তোর দাদাকে ভুলে যা ওনার মুখ আর জীবনে দেখতে পারবি না।
লামহা সারা ঘর কাঁপিয়ে হাসতে লাগলো মনে হলো কেন মজার জোকস শুনেছে।
আয়াত : তুই আমার বাবা কে মেরেছিস তুই আমি বিশ্বাস করতে পারছি না মেরি মানুষ কিভাবে এতো খারাপ হয়।
আজমেরি : তোরাও তো হয়েছিলি তোরাও তো স্বার্থপর। নিজেদের টা দেখলি আমার টা কখনো দেখেছিসছিস।
আয়মান : তুমি আর আমরা দুটো আলাদা বিষয় এভাবে তুমি উন্মাদ হয়ে যাবে আগে জানলে তোমার মতো মানুষের থকে দূরে থাকতাম।
নিশি : এইটুকু শুনেই হাঁপিয়ে গেলে তাহলে পুরো কাহিনি শুনলে কি করবে।
আয়াত : ভাবী ও আর কি কি করেছে।
লামহা : আরে শাশুমা এতো হাইপার হচ্ছো কেনো দেখো তো কি কি হয়।
আজমেরি : আমাকে আটকানো তোমার কাম নয় মেয়ে সামান্য পুটি মাছের জান নিয়েএসেছো আমার সাথে লড়তে।
লামহা : আই এম ইমপ্রেস। AK হাত পা বাঁধা অবস্থায় ও থ্রেট দিচ্ছে তাও আবার কাকে AD যার নাম শুনলে পুটো মাফিয়া থেকে শুরু করে তোর মতো ক্রিমি নাল রাও পায়ের নিচে থাকে।
আজমেরি : আমার তো মনে হয় না তুই AD
তারপর লামহা ওর কার্ড দেখালো আজমেরি কিছু টা ভরকে যায় তাও চুপ করে থাকে দেখতে চায় লামহা কি করবে।
লামহা : তা তোর কাছ থেকে কোন হিসাব নেবো বলে। আমার দাদাকে মারতে চাওয়ার নাকি আমার বোনকে মলেস্ট করে তাকে মেরে ফেলতে চাওয়ার অপরাধ নাকি আমার পুটো পরিবার ধ্বংস করতে চাওয়ার নাকি আমার মাকে মারতে চাওয়ার ব্লা ব্লা ব্লা। তোর তো অপরাধের শেষ নেই তাই তোর ক্ষমাও নেই।
আজমেরি সাইকোর মতো হাসতে থাকে যার হাসিতে ছিলো ভয়ংকর কিছু।
আজমেরি : আমি তো সার্থক তোর মাকে কষ্ট দিতে পেরেছি তোর বোন কে কেড়ে নিয়ে তোর মায়ের খুব কাছের শ্বশুর কে কেড়ে নিয়ে।
লামহা আবারও হাসলো খুব ভয়ংকর হাসি।
লামহা : আমি ওতো কাঁচা কাজ করি না খালা ওইযে ওই দিকে তাকাও তাহলে তোমার উত্তর পেয়ে যাবে।
সবাই সেই দিকে তাকায় দেখে বয়স্ক এক লোক এগিয়ে আসছে দাম্বিকতার সাথে। সাথে একজন মেয়ে অফিসার এর মতো লাগছে।
সেখানে থাকা প্রত্যকটা মানুষ নিশ্চুপ হয়ে গেছে তারা আর নিতে পারছে না একদিনে এত কিছু কি করে নেবে। হুমায়রা বেগম নিজের স্বামীকে দেখে চোখ টিপ মেরে দিলেন তাতে বয়স্ক লোক টি লজ্জা পেয়ে গেলেন।
লামহার পাশে এসে বসলেন আজমেরি সেই দিকে তাকিয়ে রাগান্বিত দৃষ্টিতে চেয়ে রইলেন এটা কি করে সে তো এই লোক কে নিজের আস্তানায় রেখেছিলো।
লামহা : AC তোমাকে যে কাজ দিয়েছিলাম সেটা করেছো।
AC : ইয়েস ম্যাম।
লামহা : AC তোমাদের বস AA কে ছাড়ো মুক্ত করো বেচারা অভিনয় করতে করতে টায়ার্ড হয়ে গিয়েছে। AC গিয়ে হৃদ এর হাত পা খুলে দিলো।
হৃদ : গাদার দল আসতে এতো টাইম লাগে কতক্ষন হাত পা বাধা ছিলো জানে।
সবাই রিয়্যাক্ট করতে ভুলে গেছে কে কি বলছে কেউ বুঝতে পারছে না তবে এইটা বুজতে পেরেছে আজ তাদের শুধু দেখার পালা আর কিছু না। আতাউর আলম কে দেখে তো সবাই আবেগে ভেসে গেছে এতো বছর পর দেখে সবাই একটা গোরের মধ্যে আছে।
লামহা : তো সবাই কি অতীত জানতে চাও।
সবাই একসাথে মাথা নারায় মানে জানতে চায়।
লামহা : তো আজমেরি খান তুই বলবি নাকি আমি বলব কোনটা।
আজমেরি চুপ থাকে। লামহা বুঝে যায় যে ওকেই বলতে হবে।
( আয়াত, আয়মান, নিশি, আজমেরি একই ভার্সিটি তে পড়ত আয়াত, নিশি, আর আজমেরি ছিলো একই ইয়ারের তিনজনের বন্ধুত্ব ছিলো খুব ভালো। মাঝখানে আয়মান বিদেশ থেকে এসে ওদের উপরের ব্যাচে পরে আয়াত এর ভাই হিসেবে সবার সাথে টুকটাক কথা হতো কিন্তু আয়মান ভালোবেসে ফেলে নিশি কে আর আজমেরি ভালোবাসে আয়মান পরে আয়মান আর নিশি যখন রিলেশনে যায় তখন আজমেরি সহ্য করতে না পেরে আয়মান কে বলে দেয় যে তাকে সে পছন্দ করে কিন্তু আয়মান তাকে বলে সে অন্য কাউকে ভালোবাসে আর তাকেই বিয়ে করবে। আজমেরি সবাইকে বলে যাতে আয়মান কে রাজি করায় কিন্তু কেউ কি তার ভালোবাসার ভাগ দিবে কখনোই না নিশি চৌধুরী তেমন সেদিন রাগে আজমেরিকে চড় লাগায় তারপর থেকে ওদের বন্ধুত্ব ওখানেই শেষ হয় পরে আয়মান আর নিশির বিয়ে হয় এর মধ্য আজমেরি অনেক চেষ্টা করে ওদের মধ্যে ভাঙন ধরানোর তারপরও হয় না। পরে কিছুদিন শান্ত থাকলো যখন শুনলে নিশি প্রেগনেন্ট তখন আবার গেটে গেলো মস্তিষ্ক আবার বললো তুই ওদের ভালো থাকতে দিবি না তাই ভেবে আম্মু যখন আটমাস তখন সিড়ি থেকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে আর সেখানে ভয় দেখায় নওশাদ চৌধুরী কে যাতে তার সাথে হাত মেলায় নাহলে সে সব শেষ করে দেবে এমন ভয় দেখায় আর নওশেদ সেদিন নিশি চৌধুরী কে বাঁচালে তারপর আজমেরি ওকে ওর দলে নেয় নানা রকম কথা বলে তারপর ভাইয়া হলো তখন আজমেরি নিজেকে প্রতিষ্টা করার জন্য নানা রকম পথ বেছে নিলো তারপর সকল ধরনের কালো ব্যাবসায় যোগ দেয় পরে আমরা দুই যমজ বোন হয় তাতে সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে পরে আস্তে আস্তে নিজের প্ল্যাম গুছাতে থাকে আজ থেকে ৬ বছর আগে যেদিন আমার জন্মদিন ছিলো সেদিন আমি সবার কাছে খারাপ হয় সবাই আমাকে ভুল বোঝে শুধু তিনজন মানুষ ছাড়া মা, দাদা, দাদি কারন তারা সত্য জানত। আর আমি আর মা নিজ চোখে সব দেখি আমার বোন আইরাত কে কিভাবে ওই পশু গুলো খুবলে নিচ্ছিলো আর সেটা করায় আজমেরি দাদা দেখে ফেলে যে কারনে তাকে এখন ওইখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয় এই সব কিছু মা আমার সাথে দেখে ফেলে মাকে আমি বলি তুমি আপাতত চুপ করো তারপর আমি দাদীকে বলে দেশের বাহিয়ে চলে যায় আর আজমেরি শেখের আমাদের সম্পত্তির উপর নজর ছিলো আর সম্পত্তি ছিলো আমার নামে তাই আমাকেও মেরে ফেলতো তাই দাদী আর মা মিলে আমাকে দেশের বাহিরে পাঠিয়ে দেয় যাতে আমি পরিপূর্ণ হয়ে আসতে পারি ততদিনে আমার ক্ষমতায় আমি দাদাকে খুঁজে বের করি। আর সেইদিন সবার চোখে আমাকে খারাপ বানানোর জন্য আইরাত কে নিয়ে সকল কাহিনী আদিল যেগুলো বলেছিলো সব আদিল করেছিলো আমার বোনের সাথে এবং সব করেছে ওই আজমেরি খান এর কথায়। আর এতদিনে বহুবার বাবা মার ক্ষতি করতে চেয়েছে কোন ভাবে পারেনি কারন আমি আমার লোকদের লাগিয়েছিলাম যাতে নজর রাখে৷)
লামহা : এম আই রাই আজমেরি খান আর আপনি নাকি কাউকে ভালোবেসে এসব করছেন তাহলে আপনার পাপের ফসল ওখানে কি করছে আর পাপের ফসল ও তো আপনার মতোই হয়েছে রিমিকে দেখিয়ে বলে।
আজমেরি : হ্যা হ্যা হ্যা আমি সব করেছি প্রতিশোধ আর টাকার জন্য হুম তোদের শাস্তি দেওয়ার আমার একমাত্র লক্ষ। তোদের মধ্যে তো তোট বোনকে সরাতে পেরেছি ওকে মেরে ফেলেছি আর তোদের ও মারবো হাহাহাহাহা।
লামহা আবার হাসে। আসলেই আপনি না খুবই বোকা এই ব্রেইন নিয়ে কি করে যে এই পর্যন্ত এসেছে কে জানে।
আজমেরি : মানে।
লামহা : সেদিন কি আসলেই আমার বোনকে মারতে পেরেছিলেন একটু মনে করে দেখেন তো।
আজমেরি শেখ সহো সকলে চমকে উঠে তার মানে কি সে সব দিকে থেকে হেয়ে যাবে না না না এটা হতেই পারে না।
আজমেরি : হ্যা মেরেছি আমি আর তোরা তো তার লাস ও দেখেছিলি।
লামহা : একদমই না ওই আমার প্ল্যান ছিলো আইরাত বেঁচে ছিলে ওকে আমরা হসপিটালে নিয়ে যায় সেখান থেকে একটা থেতলে যাওয়া বডি এনে তোদের দেখায় কারন জানলে আবার মেরে ফেলবি তাই।
আতাউর : তারপর বলো গিন্নি আজকে ওর শেষ করেই ছাড়বো।
সবাই চুপচাপ নিরব দর্শক হয়ে দেখে যাচ্ছে কেউ কিছু বলার সাহস নেই কারন এতো গুলো শক নেওয়া কোন মানগষের পক্ষে সম্ভব না সবাই চুধু দেখে যাচ্ছে।
লামহা : AC তোমার মুখটা দেখাও তো সকলকে। সকলে মুখ দেখে আরো অবাক এখন সবাই চিল্লিয়ে বলে জেরিন।
আয়মান : ও তো জেরিন তোমার সাথে কি করছে।
নিশি : ও তোমার মেয়ে আর ও কালো মেকআাপ করে নিজেকে অন্য রকম করে সেজে আছে তাই নিজের মেয়ের মুখ ভুলে যাচ্ছো।
আয়াত : ভাবী তুমি সব জানতে আমাদের বলোনি কেনো।
নিশি : হ আনারে তো পাগলা কুত্তায় কামড়াইছে তোমাদের বলি আর তোমরা নাচতে নাচতে সবাইরে কও আর আমাদের প্ল্যান নষ্ট হোক তোমার বাড়িতেই তো কালসাপ থাকে।
আয়মান : কিন্তু ও কাজের লোক সেজে কেনো ছিলো।
লামহা : কারন পর পরিচয় জানলে সবাই ওকে মারার চেষ্টা করত আর ও আমার আ্যসিসটেন্ট তাই তোমাদের সকল খবর রাখত ও আর আমাকে দিতো নাহলে এতোক্ষনে সকলে উপরে যমের সাথে হাই হ্যালো করতে।
আহিয়ান : আচ্ছা আমার হাত টা খোল বইন এই বেডিরে ঠাডায়য়া একটা চড় মাইরা নেই।
লামহা : কত জোরে মারতে হবে বল।
আহিয়ান : বেশি না যাতে নাক মুখ বচকাইয়া যাই ততো জোরে দিলেই হবে।
লামহা উঠে এমন জোটে থাপ্পড় মারলো তাতে আেয়ার নিয়ে নিচে পরে গেলো নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে লাগলো হৃদ উঠে দাড়াবে তখন লামহা বলে খান সাহেব উঠবেন না বসে থাকুন আমি যতক্ষন না বলবো কেউ চেয়ার থেকে উঠবে না চেয়ারে বোম লাগানো আছে উঠলেই ব্লাস্ট হবে সবাই চুপ করে বসে থাকো।
আজমেরি : হাহাহা এটাও জেন গেছিস গুড গুড তবে সবাইকে তো মরতেই হবে কিছু করার নেই।
লামহা : আগে তুই নিজে কি করে বাচিস সেইটা দেখ বুড়ি।
AC (আইরাত) : আপু ওদের আসতে আরও সময় লাগবে।
লামহা : গাদার দল দিয়ে একটা কাজ হয় না আজ যেয়ে সবকয়টা কে বের করব টিম থেকে।
তখনই গুলি চালাতে চালাতে কিছু লোক ভিতরে প্রবেশ করলো সকলের মুখ আটকানো দুজন সামনে দাড়িয়ে আছে।
লামহা : বাহ আপনিও এসেছেন আসেন।
দাড়িয়ে থাকা ব্যাক্তি গুলো চমকে যায় তাদের চিনার কথা না তাহলে এভাবে বলছে কেনো।
লামহা : আরে নিশান ভাই আপনার মুখ টা দেখার জন্যই হা হুতাশ করছিলাম যাক এখন আপনাদের কি কাজ বলে ফেলুন।
_ আপনি ভুল বলছেন আর ওনাদের ছেড়ে দিন আমি কথা দিচ্ছি আপনাদের কারো কোন ক্ষতি হবে না ওনাদের ছেড়ে দেন।
লামহা : আহারে অভিনয়ের জন্য পুরুষ সেরা রেহ কি সুন্দর মিথ্যা কথা বলেরে। আমি খুবই কষ্ট পাচ্ছি আপনাকে এভাবে দেখে নিশান ভাই। তারপর লামহা এক টানে নিশান আর মাহিম মুখের মুখোশ খুলে ফেলে। এইবার আর কেউ কিছু বলে না তারা সবাই স্পিসলেস রাহেলা বেগম চিৎকার করতে থাকে।
নওশেদ : তোমাকে বলেছিলাম ডুকো না এসবের ভিতরে এলে কেনো একটা কথা শুনতে মন চায় না।
নিশান : দেখো তোমাদের সবার জীবন রিস্ক আমি চাই ওনাকে ছেড়ে দাওতাহলে তোমরাও মুক্তি পেয়ে যাবে আমি কথা দিচ্ছি।
লামহা : কি ধূসর রাঙা চোখের মালিক বলেছিলাম না সময় এলে সব হিসাব বরাবর করব।
মাহিম : এই তুই চিনিস আমাদের এত কথা কেন বলছিস ছেড়ে দে সবাইকে নাহলে এখানেই পুতে ফেলবো।
নিশান : সাহস কি করে হয় ওর সাথে এভাবে কথা বলার।
লামহা : এভাবে ঝগড়া করবে না আপনাদের তো আমি সযত্নে মারবো এভাবে মরতে হবে না।
নিশান : অবুঝ মেয়ে উড়তে দেখলে কিন্তু পুড়তে দেখলে না।
লামহা : এই যে হাতে যে মালটা দেখছেন একটা ট্রিগার প্রেস করলে আপনি নামক মানুষটার পুরো অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে.... আমার টার লাইসেন্স আছে আপনার টার লাইসেন্স নেই সাহেব আমি মারলে ক্রস ফায়ার আর আপনি মারলে খুন।
নিশান : এতটা নিষ্ঠুর মৃত্যু কি আসলেই আমার প্রাপ্য??তবে মনে রাখিস লাশটা সারাজীবন তার খুনিকেই ভালোবাসবে... বুকের বা পাশের মালিকানা যে শুধু তার। আর হ্যা তোর ট্রিগার প্রেস করতে কষ্ট হবে না আমি জানি তবুও বলছি বুকের বা পাশের হার্ট বরাবর করিস যাতে খাঁচার পাখি বের হতে সময় না নেয় কারন চোখ বোঝার আগে পর্যন্ত আমার খুনিটাকে পাওয়ার আশায় গলা কাটা মুরগীর মতো ছটফট করতে হবে।.....

চলবে......

( কেমন যেন আমারো খারাপ লাগছে হয়ত গল্পটা ওতো সুন্দর ভাবে তোমাদের সামনে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে পারিনি নানা ভাবে ব্যাস্ত থাকায় গল্পটা নিয়মিত দিতে পারিনি জানি তোমরাও বিরক্ত তবুও প্রথম লেখা কেমন যেনো অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে প্রায় শেষের দিকে । আমি চাই এর পরে কিছু লিখলে তখনি তোমরা আমার পাশে থাকবে আর এট পর নিয়মিত হবো কারন ফ্রি থাকবো একদম) আর আজকের পর্বে সকলে মিলে ৩০০ কমেম্ট করে দাও প্লিজ সবাই দুই তিনটা করে কমেন্ট করলেও অনেক আর অনেক নিরব পাঠিকা আছো তারাও সারা দাও প্লিজ ৩০ টা শেয়ার করে দাও অনুরোধ টা রাখো)

Address

Tangail
1900

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Lamha Islam - লামহা ইসলাম posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share