05/08/2025                                                                            
                                    
                                                                            
                                             েখানে_হৃদয়_সেখানে 
 #লেখিকা_লামহা_ইসলাম 
 #পর্ব_৫১ 
যখন আজমেরির লোকেরা সবার উপর আক্রমণ  করবে তখন লামহার গ্যাং এর সকলে চলে আসে এসে ওদের দলের সবাইকে ধরে পরে সবাইকে বলে তোমরা সকলে মুখ ডেকে কেন আছো খুলে ফেলো আজকের পর আর আমাদের পরিচয় লোকানোর দরকার নেই। 
তারপর একে একে সবাই মুখ খোলে সেখান থেকে দুটো পরিচিত মুখ দেখে আদিল, নিলিমা আর রিমি জোরে চিল্লিয়ে  উঠে। 
রিমি : সালী ধোঁকাবাজ আমাদের সাথে থেকে আমাদের পেছনেই ছুড়ি চালাস। 
মিমি : ধোঁকাবাজ দের সাথে  ধোঁকা দেওয়ায় যায়।
সিয়াম : তোমরা কোন ভালো কাজ করোনি যে তোমাদের মাথায় নিয়ে নাচতে হবে। 
লামহা : আসলে ওদের আমিই তোদের কাছে পাঠিয়েছিলাম যাতে তোদের সব খবর পাই হাহাহহাহাহ।
আদিল : সিয়াম এইভাবে না ঠকাইলেও পারতি। 
লামহা : ওমা এতো দেখি ভুতের মুখে রাম রাম চোরে বলছে চুরি কেন করেছো। আপনি কি নিজের অতীত ভুলে গেছেন মিস্টার আদিল। 
আদিল চুপসে যাই। তারপর নিজেকে বাচানোর জন্য লামহার কাছে ক্ষমা চাই। 
লামহা : আমার ডিকশনারিতে ক্ষমার কোন নাম নেই তাই বলছি চুপচাপ বসে থাক। 
রাহেলা : লামহা তুই আমাকে একটু বলবি ওই দুই কালসাপ কি করেছে। 
লামহা : একটু পরেই জানবে সারা বাংলাদেশ টিভিতে অনলাইনে শুধু এই ক্রিমিনালদের ই মুখ  দেখা যাবে। 
রাহেলা : আমার বিশ্রাম দরকার এদের মুখ আমি দেখতে চাই না। 
তারপর আসাদুজ্জামান হঠাৎ করে লামহার দিকে গুলি ছুড়ে মারে।  সকলে স্তব্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে রাহেলা চিৎকার করে উঠে। সবাই সেদিকে তাকিয়ে দেখে লামহাকে সরিয়ে দিয়ে নিশান দাড়িয়ে পরে।  সেই দিকে তাকিয়ে আছে সবাই কি করবে। লামহা সাথে সাথে আসাদুজ্জামান কে সুট করে সে জায়গায় খতম। লামহা নিশান কে ইমিডিয়েট হাসপাতালে নিতে চাই কিন্তু গুলিটা হার্টের মাঝখানে লাগার কারনে সাথে মৃত্যুর কোলে ডোলে পরে তখনও নিশান লামহার হাত জরিয়ে আছে। লামহা কি বলবে বুঝতে পারলো না।  তার কি লোকটাকে কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত কিন্তু লোকটা তো মনে হয় আর কথা বলবে না তাহলে কি করে বলবে। কেউ এখন আর আড়াল থেকে তাকে বাঁচাবে না।  কেউ বলবে না মায়াপাখি একটা সুযোগ দিবি।  হঠাৎ হঠাৎ কেউ এসে একটু কথা বলার আবদার করবে বা। তার কি লোকটার জন্য মায়া হওয়া উচিত। কিন্তু আমিই তো বলেছি মৃত্যু আমি দেব কিন্তু এমন মৃত্যু তো চাইনি।  বাড়ির সবাই কান্না করছে নওশেদ ছেলের কাছে আসে ছেলেকে ডাকে। এই নিশান এই উঠ দেখ আমি বলছি আমি তোকে নিয়ে অনেক দূরে চলে যাব শোন না তোকে বলেছিলাম এইসবে জরাস না আমি সব সামলে নিব কিন্তু শুনিস নি এখন আর কে আছে আমার বল।লামহা নওশেদ কে তুলে জরিয়ে ধরে।  লামহাকে জরিয়ে কান্না করতে থাকে। 
সবাইকে মুক্ত করে লামহা। তার নিজেকে কেমন অপরাধী মনে হচ্ছে লোকটা অন্যায় করেছে আইন শাস্তি দিত কিন্তু এভাবে শাস্তি চাইনি সে। তারপর ক্রোধান্বিত দৃষ্টিতে আসাদুজ্জামান এর দিকে তাকায় ওকে গিয়ে ধরে এনে ঠাডিয়ে এক চড় মারে নিলিমা বাবার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেই সে খারাপ কিন্তু এত খারাপ না অহংকার আছে হিংসা আছে কিন্তু এতো বড় অন্যায় সে মেনে নিতে পারছে না। তারপর হুড়মুড় করে প্রেসের লোক ডুকে পরে। 
মিডিয়া _ম্যাম এখানে AD কে আমরা তার সাথে কথা বলতে চাই। 
লামহা : আমি বলুন কি জানতে চান। 
সবাই একবার দেখে লামহাকে এই তো NA তাদের মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। 
মিডিয়া : ম্যাম আপনি বলেছিলেন AK এবং তার গ্যাং ধরবেন তাই আজকে আমাদের ডাকা। 
লামহা : হুম এই যে অপরাধী আমাদের সামনে দাড়িয়ে আছে এই যে এই দুটো মেইন ক্রালপিট আইরাত ওদের নিয়ে যা গুন্ডা আর এই দুটোকে। 
আইরাত : চাচ্চুর কি করব কানের কাছে এসে বলে। 
লামহা : ওনার দোষ নেই আমার কাছে তাই যা এটা পরে সব বলব আপাতত ওদের নিয়ে যা আমি এখন প্রেসের থেকে বেঁচে ফিরি তারপর ওদের রিমান্ডে নিব। 
তারপর ক্রিমিনাল গুলে আর নিশান এর লাশ নিয়ে ওরা চলে যায়। 
রাহেলা : এটাকে এখানে কেন রেখেছিস একেও নিয়ে যা। 
লামহা : আহ ছোটআম্মু বেশি কথা বলো চুপচাপ থাকো মিডিয়ার লোক যাক তারপর কথা বলছি। 
মিডিয়া : ম্যাম আপনি কি কিছু লুকাতে চাইছেন। 
লামহা : এই থাপ্পড় চিনিস এক থাপ্পড়ে দাত ফালাই দিব এই রকম প্রশ্ন করার জন্য  তোদের টাকা দেয় নাকি সত্য নিউজ ছড়ানোর জন্য যদি কোন যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন থাকে তাহলে বলেন নাহলে আসতে পারেন। 
মিডিয়া : ম্যাম আপনি সব প্রমান সহ সব কিছু জমা দিয়েছেন নিউজ চ্যানেলে সব কিছু প্রমান আছে। 
লামহা : হুম সব আছে এখন আপনারা জান আমার ফ্যামেলি প্রবলেম চলছে আসতে পারেন নাহলে বিষয়টা ভালো হবে না। 
তারপর প্রেস মিডিয়া চলে গেলে বাড়ির সবাইকে নিয়ে বাড়ি যায়।  সবাই আজ ওদের বাড়িতেই কাউকে কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না লামহার। 
হৃদ : এখন আমাদের সব কিছু বল কি হয়েছে কিছু তো আমি জানি আর সব বল। 
লামহা : এখন আমি কিছু বলতে পারবো না আমার কাজ তোমার তোমাদের কাজ করো আর হ্যা আমাকে ডিস্টার্ব করবে না সময় হলে আমি নিজেই তোমাদের সব বলব। 
লামহা চলে গেলো উপরে।  গিয়ে নিজের রুমের দিকে যাওয়ার আগে নিশান এর ঘর খোলা পেলো কেনো জেনো আজ তার একটু অনুতপ্ত বোধ হচ্ছে সত্যি কি সে খুব খারাপ কিন্তু আমার সাথে যা হয়েছে তাও তো খারাপ। তারপর লামহা আস্তে আস্তে নিশান এর ঘরে গেলো যেয়ে একটু অবাক হলো পুরো ঘরে তার ছবি সবদিক ঘুরে দেখলো একটা ডাইরি।  ডাইরিটা পড়ার আগ্রহ জাগলো।  ডাইরিটা হাতে নিলো তারপর নিশানের ঘরেই বিছানায় বসল আজ নিশান থাকলে হয়ত বলত ওহে নারী তোমার মনে না যেতে পারলেও তুমি আমার ঘরে তো এসেছো এতেই ধন্য একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ডাইরিটা পড়া শুরু করলো পড়তে পড়তে হালকা বুকে ব্যাথা অনুভব হলো তারপর একটা লেখায় চোখ আটকে যায় সবকিছু প্রায় তাকে নিয়েই লেখা ডাইরিতে। তারপর সে ওই লেখাটা পড়া শুরু করে...... 
প্রিয় মায়াপাখি,
আমি  তোকে এতোটাই চাই যে এই পৃথিবীর কোনো ভাষা দিয়ে এটা বোঝানো সম্ভব না! পৃথিবীতে এমন কোনো যন্ত্র এখনো আবিষ্কার হয়নি, যেটা তোর  প্রতি আমার ভালোবাসার পরিমাণ আন্দাজ করতে পারবে! তোকে  পেয়ে গেলে আমি হবো ভোরের শিশির, ফুলের সুভাষ, আকাশে উড়তে থাকা পাখি! শুধু তোকে পেয়ে গেলে আমার অসমাপ্ত গল্পের সমাপ্তি ঘটবে। আমি  তোকে এতোটাই চাই যে এই পৃথিবীর কোনো ভাষা দিয়ে এটা বোঝানো সম্ভব না! পৃথিবীতে এমন কোনো যন্ত্র এখনো আবিষ্কার হয়নি, যেটা তোর  প্রতি আমার ভালোবাসার পরিমাণ আন্দাজ করতে পারবে!
আমি না হয় তোর মনে নাই থাকলাম_তবুও মনে রাখিস আমার সবটা জুড়ে শুধু তুই ছিলি! 
মনে রাখিস আমার ভালো মন্দ, হাসিখুশি সব কিছুতে শুধু তুই  জড়িয়ে ছিলি!
তুই বরং আমাকে ভুলে যা! 
আমি না হয় তোর মনে নাই থাকলাম_তবুও মনে রাখিস আমার সবটা জুড়ে শুধু তুই ছিলি! 
মনে রাখিস আমার ভালো মন্দ, হাসিখুশি সব কিছুতে শুধু তুই  জড়িয়ে ছিলি!
তুই বরং আমাকে ভুলে যা! 
মনে রাখিস _কেউ একজন ছিলো যে তোকে  অন্তর্য্যিন্তে জড়িয়ে রাখতে চেয়েছিলো নিজের ভিতর;
কিন্তু  তা তুই অগ্রাহ্য করে দূরে ঠেলে দিয়েছিলি !
তুই  নেই, তবুও  তুই আছিস!  তুই  আছিস আমার দীর্ঘশ্বাসে,আমার নিঃশব্দ রাতে,আমার হাসিতে,আমার কান্নায়,আমার সবটা জুড়ে শুধু  তোর আনাগোনা!
মনে রাখিস, তুই  যাকে এত সহজে না করতে পেরেছিস 
সে আজও  তোকে ভেবে চোখের জল ফেলে!
মনে রাখিস _যাকে  তুই  ভালোবাসতে চাসনি ,
সে  তোকে  আজও ভালোবেসে যাচ্ছে!
তুই মনে রাখিস  _যাকে তুই  অবহেলায় ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলি _তার প্রায়োরিটি এর শীর্ষ তালিকায় ছিলি তুই!
তুই জেনে রাখিস—
তোর  মতো করে আমি আমি স্বার্থপর হবে না তোকে ভুলে যাবো না..! তোকে  মনে রাখবো!
মনে রাখবো মৃত্যুর পর যে সাত মিনিট মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে তখন ও আমি তোকেই মনে করব। 
ইতি, 
ঘৃণিত ব্যাক্তি
চলবে.... 
( আজকে একদিনে দুই পর্ব দিলাম তাই সবার কাছে অনুরোধ পরের পর্ব চাইলে ৪০০ কমেন্ট আর ১০০ শেয়ার করো তারপর গল্প দিব)