30/07/2025
বারোর বাড়াবাড়ি,,,, 🤔😂
স্কুলে গিয়ে জানলাম ১২ ইঞ্চিতে এক ফুট, বারোটায় এক ডজন। তারপর জানলাম বারো মাসে এক বছর, আবার বারো বছরে নাকি এক যুগ!
দিনে বারো ঘণ্টা, রাতে বারো ঘণ্টা—তাও জীবন আরামদায়ক নয়।
বারোটা রাশি, বারোটা লগ্ন, বারোটা ঘর—জন্মকুণ্ডলীর পুরো সাম্রাজ্যই যেন বারোর উপর দাঁড়ানো।
দশ বা পনেরো হলে মহাভারত অশুদ্ধ হতো কিনা কে জানে—but বারোটা যেন পবিত্র সংখ্যাও, আবার ভয়ংকর ইঙ্গিতও।
বারো ক্লাস না পাস করলে ইউনিভার্সিটিতে ঢোকা যায় না।
এদিকে আবার "বারোটা বাজা" মানে খারাপ হয়ে যাওয়া।
কখনো শুনি—“ছেলেটার বারোটা বেজে গেছে”, “দেশের বারোটা বাজতে চলেছে”, “পরিস্থিতির বারোটা বেজে গেছে”—
কিন্তু ঘড়িতে তো রোজ দু’বার বারোটা বাজে! তা হলে ঘড়ির কি বারোটা বেজে যায়?
আর আছে সেই চিরচেনা প্রবাদ:
“বারো হাত কাঁকুড়ের তেরো হাত বিচি”—
এক হাত কাঁকুড়েই তো চলত, এর এত ‘বারো হাত’ বাড়তি কেন?
কে জানে, হয়তো তখন থেকেই শুরু হয়েছে অতিরঞ্জনের যুগ।
“বারো ভুতের শ্রাদ্ধ”, “বারো ঘর এক উঠোন”—
যেন সমাজের প্রতিচ্ছবিও বারো দিয়ে বাঁধা!
বারোমাসি দুঃখ, বারো ভুঁইয়ার ভাগাভাগি,
আর বারো হাত কাপড়—নাকি লজ্জা ঢাকা যায় না?
এদিকে ক্রিকেটেও বারো নম্বর প্লেয়ার মানেই তো “সাবস্টিটিউট”—আদতে অবহেলিত!
আর টিফিনের বারোটার ঘণ্টা বাজতেই সবাই যেন হিংস্র হয়ে উঠে—তখন আর পড়াশোনার ‘দশটা’ও থাকে না!
সত্যি বলতে কি, বারো সংখ্যাটার মধ্যে রহস্য আছে, ইতিহাস আছে, ঠাট্টা আছে, আর আছে ভীষণ বাস্তবতা।
আবার ঋণাত্মক অর্থেও বারো ভাতারি, বারো মাইস্যা ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে থাকে। বারো যেন শুধুই সংখ্যা নয়, একটা অনুভূতি, একটা গল্প, একটা নিঃশব্দ চিৎকার।
যতই লিখি, বারোর যেন শেষ নেই,,,,
😄
#𝑪𝒐𝒍𝒍𝒆𝒄𝒕𝒆𝒅