22/07/2025
আমিরে জামায়াত যে ফুটেজ রাজনীতি করার মতো ব্যক্তিত্ব নয় এটা আমরা ভালোমতোই জানি।
আপনি যাই মনে করেন না কেনো, একজন ইসলামি দলের আমিরের রুহানি শক্তি, ব্যক্তিত্ব, আত্মমর্যাদাবোধ অনেক সুউচ্চ থাকে।
তিনি তো আজ প্রথম ক্রাইসিস জোনে যাচ্ছেন না। লীগের আমলেও থেমে ছিলেন না।
কাল আমিও তাঁর বিরোধিতা করেছি এভেন এখনো এটাই বলছি সব ক্রাইসিস জোনে এভাবে হেভিওয়েটদের যাওয়া উচিত না। তবে অধিকাংশ জায়গায় পরিস্থিতি বুঝে যেতেই হবে। এভাবেই এইদেশের কালচারাল ডেভেলপ করেছে।
রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাধারণ জনতাকে গালি দেওয়ার আগে তাদের কেনো যেতে হয় সেটা ভাবুন। মূলে ফোকাস করেন নাহলে সমাধান হবে না।
এদেশে কোথাও আগুন লাগলে সাধারণ জনতাকে বালতি বালতি পানি ঢালতে হয়। ফায়ার সার্ভিসের সিস্টেম এনাফ না।
কোথাও বন্যা হলে সাধারণ জনতা ছাড়া কোনো উপায় নেই। বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়লে সাধারণ জনতা ছাড়া আমাদের উপায় নাই।
মূল সমস্যা এদেশের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টে। কিছু ঘটলেই সাধারণ জনতা ছাড়া যেহেতু উত্তরণের পথ থাকে না তাই ক্রাইসিস মোমেন্টে জনতার ভিড় জমা ছাড়া পথ কি? বলতে পারেন সবাই তো সেচ্ছাসেবী না উৎসুক জনতাও আসে। এটাও ম্যানেজমেন্টের ত্রুটিরই ফলাফল।
রাজনৈতিক দলের হেভিওয়েটদের কেনো যেতে হয়? এদেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এমনভাবে কার্যক্রম করে যে, সাধারণ জনতার তাদের উপরে কোনো আস্থা নাই।
রাজনৈতিক নেতাদের এসব মূহুর্তে দেখলে জনতা একটা আস্থা পায়। তারা যেসব ত্রুটি দেখতে পায় বাট সমাধান করতে পারে না। সেসব ত্রুটি সমাধানের আশ্বাস পায় নেতাদের দেখলে। একটা অভিজ্ঞতা বলি,
এলাকা থেকে ঢাকাতে সাধারণ কোনো মানুষ যখন চিকিৎসার জন্য বা অন্যকোনে কাজে যায়। আমি ঢাকার স্থায়ী কাউকে ম্যানেজমেন্ট/ হেল্পের জন্য ঠিক করে দিলেও বারবার আমাকেই ফোন করে।
এলাকাতেও কোনো সামাজিক কাজের ক্ষেত্রে আমার একটা ছেলেকে দায়িত্ব দেওয়ার পরে ঠিকমতো কাজ চললেও দেখা যাবে সাধারণ জনতা বা সাহায্যপ্রত্যাশী ব্যক্তি আমার সাথে দেখা করতে চাইবে, কথা বলতে চায়।
মানে সাধারণ মানুষ বিপদগ্রস্ত হলে তারা তাদের জ্ঞানে সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষকে সরাসরি পেতে চায়। প্রতিনিধি দিলেও সেভাবে আস্থা,সাহস পায় না।
এর মূল কারণ আমাদের সিস্টেম,প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা। এগুলোর সমাধান না করলে এভাবে গালি দিয়ে লাভ নাই।
আমিরে জামায়াত ইতিমধ্যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রে দেশের প্রধান আইকনে পরিণত হয়েছে। মানুষ ক্রাইসিসে তাকে চায়। আর তিনিও এমন মনের মানুষ নিজে সবকিছু দেখেশুনে সর্বোচ্চ দিয়ে সহযোগিতার চেষ্টা করেন এবং পরবর্তীতে দেখা যায় তিনিই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়, সহযোগিতা মূলক কাজগুলো করেছেন।
এসব ক্ষেত্রে প্রপার সলিউশন আমাদেরকে ভাবতে হবে।