মামা কই রে

মামা কই রে ।।সবার আগে নতুন নতুন ভিডিও পেতে এখুনি ফলো দিন।।

অরণ্য ছোট্ট এক গ্রাম্য ছেলেটি। বয়স সাত বছর। শহরের ঝাঁ-চকচকে স্কুলে পড়ার সুযোগ হয়নি তার। গ্রামের স্কুলেই সে পড়ে, কিন্তু স...
29/07/2025

অরণ্য ছোট্ট এক গ্রাম্য ছেলেটি। বয়স সাত বছর। শহরের ঝাঁ-চকচকে স্কুলে পড়ার সুযোগ হয়নি তার। গ্রামের স্কুলেই সে পড়ে, কিন্তু সবার মতো নয়—তার শেখার গতি একটু ধীর। অন্যরা যখন সহজেই যোগ-বিয়োগ করে ফেলে, অরণ্য তখনও সংখ্যার সাথে যুদ্ধ করে।

শিক্ষক রফিক স্যার কখনো তাকে বকা দেন না। বরং, ধৈর্য নিয়ে তাকে বোঝান। একদিন ক্লাসে সবাই যখন একটি কঠিন প্রশ্নে হিমশিম খাচ্ছে, অরণ্য হঠাৎ নিজের মতো করে সমস্যাটার সমাধান করে ফেলল। সবাই তাকিয়ে রইল অবাক হয়ে। স্যার মুচকি হেসে বললেন,
“দেখেছো, সময় দিলে, নিজের মতো করে শেখালে—এই অরণ্যই একদিন জ্ঞানী মানুষ হবে।”

সেই দিন থেকেই অরণ্যর আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেল। ধীরে ধীরে সে বিজ্ঞান নিয়ে ভাবতে শুরু করল, গাছের পাতায় সূর্যের আলো কীভাবে কাজ করে, মাটির নিচে পানি কেন নামে—এসব প্রশ্ন তাকে টানে। বছর পেরিয়ে যায়। গ্রামের সেই ধীর-গতির ছেলেটিই একদিন হয় একজন খ্যাতনামা উদ্ভিদ বিজ্ঞানী।

তার নিজের কথা মনে পড়লে সে বলে—
“আমার শিক্ষকরা আমাকে সময় দিয়েছিল, বিশ্বাস রেখেছিল। ওটাই আমার শক্তি ছিল।”

সকাল ৭:৩০ কর্মব্যস্ত শহর পাকা।
28/07/2025

সকাল ৭:৩০ কর্মব্যস্ত শহর পাকা।

রিয়াজ একসময় এলাকার সম্মানিত মানুষ ছিল। ব্যবসা ভালোই চলত। আত্মীয়স্বজনদের বাসায় নিমন্ত্রণ থাকত, ফোন আসত, হাসিমুখে দেখা হতো...
28/07/2025

রিয়াজ একসময় এলাকার সম্মানিত মানুষ ছিল। ব্যবসা ভালোই চলত। আত্মীয়স্বজনদের বাসায় নিমন্ত্রণ থাকত, ফোন আসত, হাসিমুখে দেখা হতো। এক দুর্ঘটনায় ব্যবসা ভেঙে পড়ে, দেনায় জর্জরিত হয় সে।
এখন রিয়াজ যখন আত্মীয়দের বাসায় যায়, দরজায় দাঁড়িয়েই বলে, “ভাই আছি, একটু দেখা করতেই আসলাম।”
ভেতর থেকে কেউ বলে, “ওহ রিয়াজ ভাই! আপনি বসেন তো, আম্মা ঘুমাচ্ছেন।”
কেউ চায়ের কথাও বলে না।
আগে যেসব ভাগ্নে-ভাগ্নি “মামা আসছেন” বলে দৌড়ে আসত, এখন দূর থেকে তাকিয়ে থাকে। কারও চোখে করুণা, কারও চোখে বিরক্তি।

একদিন এক আত্মীয়র বিয়েতে নিমন্ত্রণ ছিল। পুরনো একটা জামা পরে রিয়াজ গেল। কিন্তু সবাই তার দিকে এমনভাবে তাকাচ্ছিল যেন সে এই আনন্দের জায়গায় কষ্টের ছায়া হয়ে এসেছে।

তবে রিয়াজ জানে, সময় যেমন ছিল তার, তেমনি আবার হবে।
এই চোখের চাহনি বদলাবে... সময় বদলালেই।

এই হলো আবু সাঈদ। বয়স প্রায় পঁইত্রিশ, কিন্তুু মুখটা যেন চল্লিশ পেরিয়েছে বহু আগেই। গ্রামে একসময় ছোটখাটো মুদি দোকান চালাতেন...
27/07/2025

এই হলো আবু সাঈদ। বয়স প্রায় পঁইত্রিশ, কিন্তুু মুখটা যেন চল্লিশ পেরিয়েছে বহু আগেই। গ্রামে একসময় ছোটখাটো মুদি দোকান চালাতেন। বাবার রেখে যাওয়া ছোট ভিটেটাই ছিল শেষ সম্বল। একমাত্র মেয়েটার জন্য স্বপ্ন ছিল— "ও বড় হবে, মাস্টারনি হবে"।

করোনার সময় দোকান বন্ধ হলো। ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে গেলেন। মেয়ের পড়াশোনা চালানোই কঠিন হয়ে দাঁড়াল। স্ত্রীও চলে গেল বাবার বাড়ি— "তুমি আর পারো না" বলে।

এখন ঢাকায় এসে ফুটপাতে চা বিক্রি করেন। একহাতে ঝাপসা স্টিলের কেটলি, অন্য হাতে এক পলিথিন ব্যাগ— যেখানে থাকে কিছু বিস্কুট, পাউরুটি। দিনে যা আয় হয়, তা দিয়ে হয়তো রাতের খাবার চলে, কিন্তু মেয়ের খরচ— সেখানেই হার মেনেছে সে।

তবু হাল ছাড়ে না আবু সাঈদ। রাতে যখন ফুটপাতের উপর শুয়ে পড়ে, মনে মনে মেয়ের মুখটা আঁকে— "আমার মেয়ে একদিন ঠিকই মাস্টারনি হবে।"

আমাদের গ্রামের বাড়িতে একটা পুকুর আছে।বেশ বড় পুকুর। আব্বাকে বললাম, পুকুরে মাছ আছে? আব্বা বললেন অনেক মাছ আছে। তুমি দেখতে চ...
27/07/2025

আমাদের গ্রামের বাড়িতে একটা পুকুর আছে।বেশ বড় পুকুর। আব্বাকে বললাম, পুকুরে মাছ আছে? আব্বা বললেন অনেক মাছ আছে। তুমি দেখতে চাও। আমি বললাম, হ্যা। সারাদিন ধরে সেই পুকুরের পানি মটর দিয়ে ফেলে দেওয়া হলো। তখন গ্রামের সব ছেলেমেয়েরা, বউ ঝি'রা সব পুকুরে নেমে পড়লো। সবাই কাঁদা মাটি মাড়িয়ে মাছ ধরতে শুরু করলো। ゚viralfbreelsfypシ゚viral ゚viralシ ゚ গ্রামীন ভালোবাসা

ঢাকার “মাইলস্টোন স্কুল” ছিলো শহরের অন্যতম বড় আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিনের মতো সেদিনও ক্লাস চলছিলো, হঠাৎই ২য় তলার...
24/07/2025

ঢাকার “মাইলস্টোন স্কুল” ছিলো শহরের অন্যতম বড় আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিনের মতো সেদিনও ক্লাস চলছিলো, হঠাৎই ২য় তলার একটি শ্রেণিকক্ষে বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে আগুন ও ধোঁয়া। শিশুরা চিৎকার করে দৌড়াতে শুরু করে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে।

ঠিক তখনই সামনে এগিয়ে আসেন শিক্ষিকা মেহরীন ম্যাডাম। পরনে সাদা-লাল শাড়ি, মাথায় আঁচল – মুখে ভয় নয়, বরং দৃঢ়তা। আগুন আর ধোঁয়ার তোয়াক্কা না করে তিনি দৌড়ে ঢুকে পড়েন ভবনের ভেতরে। তার একটাই লক্ষ্য – যতটা সম্ভব শিশুদের নিরাপদে বের করে আনা।

হাতে ধরে বের করে আনেন দুইটা ছোট শিশু – যারা তখন ভয় আর কান্নায় দিশেহারা। মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বই, ব্যাগ। পেছনে আতঙ্কিত বাচ্চারা দৌড়ে বের হচ্ছে, আর ভবনের জানালা দিয়ে বের হচ্ছে গাঢ় ধোঁয়ার কুণ্ডলী।

মেহরীন ম্যাডামের সাহসের কারণেই বড় একটি দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচে অনেক শিশুর জীবন।

আজ সবাই তাকে ডাকে – “অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ এক মা”।

ঢাকার উত্তরা।একটা সাধারণ সকাল। শিশুরা স্কুলে যাচ্ছে, মায়েরা ভাত গরম করে রাখছে, বাবারা হয়তো অফিসের পথে।মাইলস্টোন স্কুলের ...
22/07/2025

ঢাকার উত্তরা।
একটা সাধারণ সকাল। শিশুরা স্কুলে যাচ্ছে, মায়েরা ভাত গরম করে রাখছে, বাবারা হয়তো অফিসের পথে।
মাইলস্টোন স্কুলের ক্লাস ফোরের ছোট্ট ছেলেটি, নাম রায়হান। মায়ের হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছিল স্কুলের দিকে। বইভরা স্কুলব্যাগ পিঠে, মুখে দুষ্টু এক চাহনি—যেমনটা একটা ১০ বছরের ছেলের থাকে।

“আজ কিন্তুু আমি ম্যাডামকে জোক বলব,” বলেই হাসছিল সে। মা হেসে ফেললেন, “বাজে বকিস না, ক্লাসে মন দে।”

ঠিক দুপুর ১টা বেজে ৬ মিনিট।

একটা শব্দ—আকাশ ফেটে পড়ল যেন।
তারপর…
ধোঁয়া, আগুন, আতঙ্ক, কান্না।
স্কুল মাঠে যেখানে ঘণ্টা বাজত, সেখানেই পড়ে আছে একটা ছিন্নভিন্ন বিমান।
তার পাশে—রায়হানের স্কুলব্যাগ।

সাদা জামাটা কালো হয়ে গেছে ধোঁয়ায়। বইয়ের পাতা উড়ে যাচ্ছে বাতাসে।
একটা পাতায় রং পেন্সিল দিয়ে লেখা ছিল
“আমার স্বপ্ন — বড় হয়ে পাইলট হব।”
সেই স্বপ্নটা আর কোনোদিন পাখা মেলবে না।
রায়হানের মা এখনো চিৎকার করে বলেন, “ছেলেটা তো শুধু স্কুলে গিয়েছিল! যুদ্ধ তো করেনি!”

যে শিশুরা পড়তে গিয়েছিল, তারা আর ফিরল না।
মা-বাবারা শুধু একটা ব্যাগ, একটা ছবি, আর অনেক না বলা কথা নিয়ে বসে আছেন হাসপাতালের বারান্দায়।
এই গল্প কোনো গল্প না, এটা বাস্তবের কান্না।
২১ জুলাই ২০২৫, বাংলাদেশের আকাশে একটা স্বপ্ন ভেঙে পড়েছিল।
আর সেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে গেল শত শত মায়ের বুকের সন্তান।
🙏 আল্লাহ সেই সকল নিষ্পাপ শিশুদের জান্নাত দান করুন।
এই জাতি যেন কখনো এমন হারানো আর সহ্য না করে, এটাই প্রার্থনা।

তোমার অপেক্ষায় সূর্যটাও যেন একটু আগে উঠে এসেছে আজ... এই মাটির ঘরে তোমার স্পর্শ এখনও রয়ে গেছে।গ্রামীণ জীবনের ছোঁয়ায়।  ゚v...
19/07/2025

তোমার অপেক্ষায় সূর্যটাও যেন একটু আগে উঠে এসেছে আজ... এই মাটির ঘরে তোমার স্পর্শ এখনও রয়ে গেছে।গ্রামীণ জীবনের ছোঁয়ায়। ゚viralfbreelsfypシ゚viral ゚viralシ

রাত ১টা। সবাই ঘুমিয়ে গেছে। কিন্তু রান্নাঘরের হালকা আলোটা এখনো জ্বলছে। মা চুপচাপ বসে আলু ছাড়াচ্ছেন।কাল ছেলের স্কুলে টিফি...
07/07/2025

রাত ১টা। সবাই ঘুমিয়ে গেছে। কিন্তু রান্নাঘরের হালকা আলোটা এখনো জ্বলছে। মা চুপচাপ বসে আলু ছাড়াচ্ছেন।
কাল ছেলের স্কুলে টিফিন নিতে হবে।
আজ বাজার করতে পারেননি, তাই একটু আগেই বাসার পুরনো আলু গুলো খুঁজে বের করেছেন।

ঘরের সবাই ভাবে, মা'র কোনো কাজ নেই। সারাদিন ঘরেই তো থাকেন।
কিন্তুু কেউ দেখে না
ভোর ৫টায় উঠে বাবা আর ছেলেমেয়ের জন্য চা বানানো, দুপুরে গরম খাবার, কাপড় ধোয়া, সংসারের খুঁটিনাটি সব কিছু ঠিক রাখা।

নিজের জন্য একটা নতুন জামা কিনেননি বহুদিন।
নিজের অসুখের কথাও বলেন না, যাতে কেউ চিন্তা না করে।
কারণ, মা'রা সবকিছুর আগে পরিবারের কথা ভাবেন।

তারপরও তাকে কেউ বলে না
মা, তুমিও একটু বিশ্রাম নাও।

02/07/2025

বাস্তবতা বড়ই কঠিন। ゚viralシ Raffy Tulfo in Action Raffi Ahmad

সকালে গ্রামীণ দৃশ্য কি অপরুপ সুন্দর।
02/07/2025

সকালে গ্রামীণ দৃশ্য কি অপরুপ সুন্দর।

Address

Tejgaon

Telephone

+8801718339945

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মামা কই রে posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মামা কই রে:

Share