29/07/2025
অরণ্য ছোট্ট এক গ্রাম্য ছেলেটি। বয়স সাত বছর। শহরের ঝাঁ-চকচকে স্কুলে পড়ার সুযোগ হয়নি তার। গ্রামের স্কুলেই সে পড়ে, কিন্তু সবার মতো নয়—তার শেখার গতি একটু ধীর। অন্যরা যখন সহজেই যোগ-বিয়োগ করে ফেলে, অরণ্য তখনও সংখ্যার সাথে যুদ্ধ করে।
শিক্ষক রফিক স্যার কখনো তাকে বকা দেন না। বরং, ধৈর্য নিয়ে তাকে বোঝান। একদিন ক্লাসে সবাই যখন একটি কঠিন প্রশ্নে হিমশিম খাচ্ছে, অরণ্য হঠাৎ নিজের মতো করে সমস্যাটার সমাধান করে ফেলল। সবাই তাকিয়ে রইল অবাক হয়ে। স্যার মুচকি হেসে বললেন,
“দেখেছো, সময় দিলে, নিজের মতো করে শেখালে—এই অরণ্যই একদিন জ্ঞানী মানুষ হবে।”
সেই দিন থেকেই অরণ্যর আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেল। ধীরে ধীরে সে বিজ্ঞান নিয়ে ভাবতে শুরু করল, গাছের পাতায় সূর্যের আলো কীভাবে কাজ করে, মাটির নিচে পানি কেন নামে—এসব প্রশ্ন তাকে টানে। বছর পেরিয়ে যায়। গ্রামের সেই ধীর-গতির ছেলেটিই একদিন হয় একজন খ্যাতনামা উদ্ভিদ বিজ্ঞানী।
তার নিজের কথা মনে পড়লে সে বলে—
“আমার শিক্ষকরা আমাকে সময় দিয়েছিল, বিশ্বাস রেখেছিল। ওটাই আমার শক্তি ছিল।”