08/09/2025
#থাইরয়েড নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথাঃ-
(পরিবারের সহমর্মিতাই থাইরয়েড রোগীর বড় শক্তি")
থাইরয়েড মূলত দুই প্রকারের হতে পারে— হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম।
এটি এমন এক সমস্যা, যা বাইরে থেকে সহজে বোঝা যায় না, কিন্তু ভেতর থেকে মানুষের জীবনকে ভয়াবহভাবে নষ্ট করে দেয়।
থাইরয়েড সমস্যার সাধারণ উপসর্গসমূহঃ-
ঘন ঘন মুড সুইং হওয়া, হঠাৎ রেগে যাওয়া।
শরীরে সবসময় ক্লান্তি থাকা, অথচ ঠিকমতো ঘুম না হওয়া।
মাথা ঘোরা, হাত-পা কাঁপা।
চোখে ঝাপসা বা অন্ধকার দেখা।
শরীরের বিভিন্ন স্থানে অকারণ ব্যথা।
ভুলে যাওয়া, মনোযোগ কমে যাওয়া।
কখনও ওজন বেড়ে যাওয়া, আবার কখনও কমে যাওয়া।
খাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন আসা।
চুল পড়া, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া।
মন খারাপ থাকা, আনন্দ না পাওয়া।
বাইরে থেকে দেখলে এগুলোকে অনেকেই “অলসতা” মনে করে, কিন্তু আসলে এগুলো হরমোনাল ইমব্যালেন্স এর প্রভাব।
সামাজিক ভুল ধারণাঃ-
অনেক সময় আশেপাশের মানুষ ভাবে—
“হাঁটাচলা তো ঠিকই করছো, কষ্ট কোথায়?”
“কম খাও, বেশি হাঁটো, সব ঠিক হয়ে যাবে!”
কিন্তু তারা বোঝে না যে, হাইপোথাইরয়েডিজমে মেটাবলিজম স্লো হয়ে যায়, ঘুমের চক্র নষ্ট হয়, এমনকি মানসিক শক্তিও অনেক কমে যায়।
বিদেশে বনাম আমাদের সমাজঃ-
উন্নত দেশগুলোতে থাইরয়েড রোগী থাকলে পরিবারের সদস্যদেরও কাউন্সেলিং করানো হয়—
রোগীর সাথে কেমন ব্যবহার করতে হবে
কী খাওয়া যাবে আর কী যাবে না
মানসিকভাবে কিভাবে সাপোর্ট দিতে হবে
কিন্তু আমাদের দেশে বেশিরভাগ পরিবারে মুডসুইং বা ডিপ্রেশনকে “ঢং” বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে রোগীরা শারীরিক কষ্টের পাশাপাশি মানসিকভাবেও ভেঙে পড়ে।
করণীয়ঃ-
থাইরয়েড একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হলেও সচেতনতা ও সঠিক চিকিৎসা নিলে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
তাই পরিবারের সদস্য, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সমাজের সবার উচিত—
রোগীকে বোঝা
সহমর্মিতা দেখানো
সঠিক চিকিৎসা ও নিয়মিত চেকআপে উৎসাহিত করা
মনে রাখবেন, থাইরয়েড শুধু শরীর নয়, মানসিক স্বাস্থ্যকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করে। তাই রোগীর পাশে দাঁড়ানোই সবচেয়ে বড় সহায়তা।
Credit:: Dr.Ammar Hossain
(Collect) 🙏🙏