Prothoma Prokashan

Prothoma Prokashan সারা বছর সেরা বই

২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করে প্রথমা প্রকাশন বাংলাদেশের একটি শীর্ষ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। সাত শতাধিক সুনির্বাচিত, সুসম্পাদিত আর ভালো ছাপা ও বাঁধাইয়ের বই প্রকাশ করে পাঠকের আস্থা অর্জন করেছে। বাঙলা ভাষার শ্রেষ্ঠ লেখকদের ইতিহাস, গবেষণা, মুক্তিযুদ্ধ, অর্থনীতি ও সৃজনশীল বইয়ের নির্ভরযোগ্য নাম প্রথমা।

ইতিহাসের আয়নায় বদরুদ্দীন উমর ও বামপন্থাএকাধারে শিক্ষক, লেখক, চিন্তক ও রাজনৈতিক কর্মী— বদরুদ্দীন উমর বামপন্থী ধারার এক ব্...
27/09/2025

ইতিহাসের আয়নায় বদরুদ্দীন উমর ও বামপন্থা

একাধারে শিক্ষক, লেখক, চিন্তক ও রাজনৈতিক কর্মী— বদরুদ্দীন উমর বামপন্থী ধারার এক ব্যতিক্রমী ও গভীরতম প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিত্ব। তাঁর জীবন ও রাজনৈতিক চিন্তার অনুপম পাঠ হলো মহিউদ্দিন আহমদের লেখা বামপন্থার সুরতহাল: বদরুদ্দীন উমরের ইতিহাস পরিক্রমা।

প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ১৯২ পৃষ্ঠার এই বই এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে রচিত হলেও এটি নিছক কথোপকথন নয়। বরং এখানে মিলেছে আত্মজৈবনিক প্রসঙ্গ, রাজনৈতিক ইতিহাস, তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ এবং বাংলাদেশের বাম রাজনীতির বহু অজানা অধ্যায়ের প্রাণবন্ত বিবরণ। বইটি যেমন ব্যক্তি বদরুদ্দীন উমরের ভাবনার ভেতর প্রবেশের দরজা খুলে দেয়, তেমনি পাঠককে নিয়ে যায় ইতিহাসের উত্থান-পতনের অভ্যন্তরেও।
বাংলাদেশের বাম রাজনীতির ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করতে গেলে যাঁর নাম অবধারিতভাবে চলে আসে, তিনি বদরুদ্দীন উমর। একাধারে শিক্ষক, লেখক, চিন্তক ও রাজনৈতিক কর্মী—তিনি বামপন্থী ধারার এক ব্যতিক্রমী ও গভীরতম প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিত্ব। তাঁর জীবন ও রাজনৈতিক চিন্তার অনুপম পাঠ হলো মহিউদ্দিন আহমদের লেখা বামপন্থার সুরতহাল: বদরুদ্দীন উমরের ইতিহাস পরিক্রমা।

প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ১৯২ পৃষ্ঠার এই বই এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে রচিত হলেও এটি নিছক কথোপকথন নয়। বরং এখানে মিলেছে আত্মজৈবনিক প্রসঙ্গ, রাজনৈতিক ইতিহাস, তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ এবং বাংলাদেশের বাম রাজনীতির বহু অজানা অধ্যায়ের প্রাণবন্ত বিবরণ। বইটি যেমন ব্যক্তি বদরুদ্দীন উমরের ভাবনার ভেতর প্রবেশের দরজা খুলে দেয়, তেমনি পাঠককে নিয়ে যায় ইতিহাসের উত্থান-পতনের অভ্যন্তরেও।

‘অর্গানিক ইন্টেলেকচুয়াল’ হয়ে ওঠার পথে
বদরুদ্দীন উমরের চিন্তাজগৎ বোঝার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা হলো ‘অর্গানিক ইন্টেলেকচুয়াল’, যার উৎপত্তি ইউরোপীয় মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিকদের ভাবনায়। এই ধারণায় এমন এক বুদ্ধিজীবীর কথা বলা হয়, যিনি কেবল তত্ত্ব নির্মাণ করেন না, বরং বাস্তবেও সেই তত্ত্ব প্রয়োগে সক্রিয় থাকেন। বদরুদ্দীন উমর এ ধারণার বাস্তব প্রতিফলন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার পেশা ছেড়ে তিনি যুক্ত হন পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টিতে (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী)। যদিও পরবর্তীকালে মতপার্থক্যের কারণে দলীয় রাজনীতিতে তাঁর অবস্থান কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, তবু বাম রাজনীতির সঙ্গে তাঁর সংলগ্নতা অটুট থাকে। গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রশ্নে আন্দোলন, সভা-সেমিনার, লেখালিখি—সবখানেই তিনি থেকেছেন সক্রিয়।
রাজনীতি, দর্শন ও ব্যক্তি
বইটির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, রাজনৈতিক ইতিহাসের সঙ্গে বদরুদ্দীন উমরের ব্যক্তিজীবনের সংযোগটি এতে যত্নের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে কাটানো শৈশব ও কৈশোর, পরিবারের পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসা, ছাত্রজীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা, শিক্ষকতা, পরবর্তীকালে লেখালেখিতে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ—সবই এসেছে তাঁর নিজস্ব কণ্ঠে। যদিও এটি কোনো পূর্ণাঙ্গ আত্মজীবনী নয়, তবু তাঁর চিন্তার পেছনের পারিপার্শ্বিক বাস্তবতা এখানে গভীরভাবে প্রতিফলিত।

বদরুদ্দীন উমর অকপটে জানিয়েছেন, ছাত্ররাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত না থেকেও কীভাবে তিনি বাম রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন। কমিউনিস্ট পার্টি গঠনের চেষ্টাও করেন। তবে পরবর্তীকালে সক্রিয় রাজনৈতিক সংগঠকের চেয়ে তাঁর ভূমিকা বেশি হয়ে ওঠে চিন্তক ও লেখকের। এটি এক অর্থে তাঁর রাজনৈতিকতা ও আত্মজিজ্ঞাসার অনুপম দলিল।

বামপন্থার সুরতহাল
বইয়ের মূল অংশজুড়ে এসেছে বাম রাজনীতির নানা বাঁকবদলের আলোচনা। সেখানে অবধারিতভাবে এসেছে আওয়ামী লীগের জন্ম, শেখ মুজিবের উত্থান, ভাসানীর রাজনৈতিক অবস্থান, ন্যাপ গঠন, পূর্ব-পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বৈষম্য, ঊনসত্তরের গণ–অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, একাত্তর–পরবর্তী সময়, জাসদের উত্থান, সর্বহারা পার্টির রাজনীতি, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড, এমনকি বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতাও।

এ বই কেবল ইতিহাস নয়, দৃষ্টিভঙ্গিরও দলিল। বদরুদ্দীন উমরের বিশ্লেষণ তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও দায়বদ্ধতা থেকে উৎসারিত। তিনি কেবল সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের তাত্ত্বিকতা নয়; বরং জীবনের বাস্তবতায় তার প্রয়োগযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। ফলে বইটি হয়ে উঠেছে তত্ত্ব ও বাস্তবতার দ্বন্দ্ব-সন্ধির এক মনস্তাত্ত্বিক দলিলও।

বইয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায়জুড়ে রয়েছে তাঁর পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের গল্প। ১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার গ্রহণ না করে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি নিজের তাগিদে, নিজের আনন্দে বই লিখি। এর জন্য কেউ আমাকে পুরস্কার দেবে, এটা আমি গ্রহণ করতে পারি না। এটা একধরনের ইগো বলতে পারেন।’ নোবেল পুরস্কার সম্পর্কেও তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, নোবেল অনেক সময় সাম্রাজ্যবাদের কূটকৌশলের অংশ হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এমন স্পষ্ট ও আত্মবিশ্বাসী অবস্থান নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম।

লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ এখানে কেবল প্রশ্নকারী নন; তিনি একধরনের শ্রুতিলেখক, যিনি বক্তার কণ্ঠস্বর ও বয়ানের স্বচ্ছতা বজায় রেখে তাঁর অন্তর্গত চিন্তার বিন্যাসে এক ধ্যানস্থ দক্ষতা দেখিয়েছেন। তাঁর ভাষা সহজ, নির্ভার। রাজনৈতিক ইতিহাসের মতো কঠিন বিষয়কেও তিনি উপস্থাপন করেছেন কথোপকথনের প্রাণবন্ত ধারায়।

ইতিহাসের আয়নায় একটি চিন্তার পরিক্রমা
এ গ্রন্থ বাংলাদেশের বাম রাজনীতির চূড়ান্ত বা সামগ্রিক সুরতহাল নয়, বরং একজন তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক কর্মীর আত্মপ্রবণ যাত্রার দলিল। ষাট-সত্তরের দশকের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের বাম রাজনীতির ইতিহাস ও অন্তর্দ্বন্দ্ব জানতে আগ্রহী পাঠকের জন্য এটি অবশ্যপাঠ্য। তবে এই পাঠ গ্রহণের জন্য প্রয়োজন পাঠকের বিশ্লেষণী মনোভাব। ‘বামপন্থার সুরতহাল’ শুধু ব্যক্তির আত্মকথা নয়, এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক মূল্যবান অনুরণন।

ঢাকায় জিন্নামহিউদ্দিন আহমদপ্রকাশক: প্রথমা প্রকাশনপ্রকাশ: জুলাই ২০২৫প্রচ্ছদ: মাসুক হেলালপৃষ্ঠা: ১৫৬, মূল্য: ৪২০ ৳ভাষা আন্...
27/09/2025

ঢাকায় জিন্না
মহিউদ্দিন আহমদ
প্রকাশক: প্রথমা প্রকাশন
প্রকাশ: জুলাই ২০২৫
প্রচ্ছদ: মাসুক হেলাল
পৃষ্ঠা: ১৫৬, মূল্য: ৪২০ ৳

ভাষা আন্দোলনের সূচনা পর্বের অজানা অধ্যায়

ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতিসত্তার জাগরণকাল। যার পথ ধরে অধিকার আদায়ে সোচ্চার হয়েছে এই ভূখণ্ডের মানুষ। প্রতিষ্ঠা করেছে ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ। ইতিহাস–গবেষকেরা ভাষা আন্দোলনকে দুটি পর্বে ভাগ করে থাকেন। ১৯৪৮ সালের প্রথম পর্বে ছিল সভা-সমাবেশ, স্মারকলিপি, ধর্মঘট-হরতাল। আর ১৯৫২ সালের দ্বিতীয় বা চূড়ান্ত পর্ব ছিল রক্তের বিনিময়ে ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠা। ভাষা আন্দোলনের প্রথম পর্বের এক আলোচিত চরিত্র মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা, কায়েদে আজম বা মহান নেতা জিন্নাহ সম্পর্কে যৌক্তিক কারণেই যে কারও অনাগ্রহ থাকতে পারে; কিন্তু ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ইতিহাসে তাঁকে উপেক্ষা করা কঠিন। এমনকি বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসেও জিন্নাহ ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক। কারণ, ১০ দিনের জন্য পূর্ব বাংলায় এসে ঢাকার বুকে দাঁড়িয়ে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দিয়ে বাঙালি জাতির মর্মমূলে আঘাত করেছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল এক অভূতপূর্ব জাগরণযাত্রা।

১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান স্বাধীন হলে ভারতবর্ষের ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেনের কাছ থেকে গভর্নর জেনারেলের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন জিন্নাহ। এটি একটি আলংকারিক পদ হলেও ব্যক্তিত্ব ও মর্যাদায় তিনিই ছিলেন নতুন পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তি। জিন্নাহ ঢাকায় এসেছিলেন ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ। ২৯ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনের এই সফরে তাঁর সঙ্গী ছিলেন ছোট বোন ফাতেমা জিন্নাহ। এই ১০ দিনের মধ্যে দুই দিন জিন্নাহ ছিলেন চট্টগ্রামে।
পাকিস্তানের প্রধান নেতার এই ঘটনাবহুল ১০ দিন নিয়ে ইতিহাস–গবেষক ও লেখক মহিউদ্দিন আহমদের নতুন বই ঢাকায় জিন্না। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ, সরকারি নথি, রেডিওর রেকর্ডিং ও অনেক অমূল্য গ্রন্থ থেকে তথ্য সন্নিবেশিত করে ঘটনাবহুল এই ১০ দিনের একটি বিশ্লেষণমূলক ব্যবচ্ছেদ করেছেন লেখক। যাতে উঠে এসেছে ইতিহাসের অনেক অজানা অধ্যায়। যেগুলোর মধ্যে পাঠককে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করতে পারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তনে দেওয়া জিন্নাহর ভাষণ ও শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের বিষয়টি। এর আগে ভাষা আন্দোলনের এই অধ্যায় এত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে কেউ তুলে ধরেছেন বলে আমার জানা নেই।

লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে মুসলমানদের আলাদা পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বাঙালি জাতির অবদান অনস্বীকার্য। বলা যায়, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অনেক ক্ষেত্রে বাঙালিরাই সামনের সারিতে ছিলেন। যে কারণে পাকিস্তানের প্রধান ব্যক্তি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ঢাকা সফরকে ঘিরে গোটা পূর্ব পাকিস্তানে ছিল একধরনের উন্মাদনা, উৎসবের আমেজ। যদিও এর মাঝেই ভাষার প্রশ্ন নিয়ে ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তনে ঘটে যায় এক ঐতিহাসিক ঘটনা। ওই দিন জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে বিশেষ সমাবর্তনে এক অভিভাষণ দিয়েছিলেন। তাতে তিনি ভাষা আন্দোলনকে ভারতের উসকানি হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া এই আন্দোলনের পেছনে ভারতের ষড়যন্ত্র ও পাকিস্তানের মাটিতে সক্রিয় ‘পঞ্চম বাহিনী’ সম্পর্কে সতর্ক করেন জিন্নাহ।

এই সভাতেই জিন্নাহ আবারও ঘোষণা করেন ‘উর্দুই রাষ্ট্রভাষা হবে।...এই ভাষায় ইসলামি সংস্কৃতি ও মুসলিম ঐতিহ্য যত বেশি চর্চা হয়েছে, অন্য কোনো প্রাদেশিক ভাষায় সে রকম হয়নি। এই উর্দু ভাষা অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রের কথ্য ভাষার সমকক্ষ।’ কার্জন হল চত্বরে জিন্নাহর এই ঘোষণা ছাত্ররা বিনা চ্যালেঞ্জে মেনে নেননি। এই ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ হয়েছিল। এ সময় ‘নো নো’ বলে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী নাইমউদ্দীন আহমদ। তিনি ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের আহ্বায়ক। ভাষার প্রশ্নে পাকিস্তানের প্রধান নেতার সামনে নাইমউদ্দীন আহমদের এই প্রতিবাদ নিয়ে গ্রন্থটিতে বিস্তারিত আলোচনা আছে। খুব সম্ভবত এর আগে এই ঘটনার এত বিস্তারিত বর্ণনা কোথাও প্রকাশিত হয়নি। এ গ্রন্থে এটি একটি বিশেষ সংযোজন। এ ছাড়া ভাষা ও ছাত্ররাজনীতি নিয়ে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ ও রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠকের বিস্তারিত বর্ণনা আছে বইটিতে, যা ভাষা আন্দোলনের প্রতি আগ্রহী পাঠকদের চিন্তার খোরাক জোগাতে পারে।

ঢাকা থেকে আকাশপথে জিন্নাহ চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন ২৫ মার্চ। সেখানে দুদিনের কর্মব্যস্ত ঘটনার বর্ণনা আছে বইটিতে। সেখান থেকে ফিরে ২৮ মার্চ ঢাকায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা, বাংলার সাবেক প্রধানমন্ত্রী এ কে ফজলুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন জিন্নাহ। বৈঠকটি সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল না। আজিজুল হক শাজাহানের বিবরণে জিন্নাহ-ফজলুল হকের বৈঠকের যে বর্ণনা এখানে উঠে এসেছে, তা এক অনন্য সংযোজন।

বইটির উপসংহারে ভাষা আন্দোলন, জিন্নাহর ভূমিকা ও উর্দু ভাষার পক্ষে তাঁর অনুরাগের একটি বিস্তারিত বিশ্লেষণ আছে। যা পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে।

তবে গ্রন্থটিতে কিছু জায়গায় এক তথ্য একাধিকবার আলোচিত হয়েছে, যা এড়ানো সম্ভব ছিল। বইটি পড়তে গিয়ে ‘কুইসলিং’, ‘পঞ্চম বাহিনী’সহ বেশ কয়েকটি শব্দের বিস্তারিত বিবরণ বা ফুটনোটের প্রয়োজন অনুভূত হয়েছে।

প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মর্মকথাপ্রাণীদের মতো না হোক, জড় পদার্থও কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলে। যেমন পানি কেন ১০০ ডিগ্রিতে ফ...
27/09/2025

প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মর্মকথা

প্রাণীদের মতো না হোক, জড় পদার্থও কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলে। যেমন পানি কেন ১০০ ডিগ্রিতে ফোটে? লোহার টুকরা কীভাবে বোঝে চুম্বকের আকর্ষণে ছুটে যেতে হবে?

জড় পদার্থগুলো এসব নিয়মের বেড়াজালে কেন বাঁধা পড়ল?

আসলে প্রকৃতির এই নীতিগুলোই পদার্থবিদ্যার সূত্র ‘ফিজিক্যাল ল’। এগুলোরও সুনির্দিষ্ট চরিত্র বা ধর্ম আছে। সেই ধর্মই ঠিক করে দেয় প্রাকৃতিক বস্তুগুলো কেমন আচরণ করবে।

পদার্থবিজ্ঞান অত্যন্ত জটিল, কিন্তু এর মূল কাজ সরলীকরণ করা। অর্থাৎ প্রকৃতির জটিল সূত্রগুলোর মধ্যে যোগসাজশ খুঁজে একটা সরল উপসংহারে পৌঁছানো। প্রকৃতি আসলে সরলীকরণ ভালোবাসে। পদার্থবিজ্ঞানের মাধ্যমেই সরলীকরণের সেই পথ খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

শিক্ষার্থীদের কাছে পদার্থবিজ্ঞানের জগৎটা অনুভব করা অতটা সহজ নয়। কিন্তু শিক্ষক যদি নিজেই বিজ্ঞানী হন, তাঁর জন্য পদার্থবিজ্ঞানের সেই জটিল জগতের ছবি শিক্ষার্থীদের এঁকে দেখানো সহজ হয়ে ওঠে অনেকটাই। আর এ কাজে সবচেয়ে বড় মুনশিয়ানাটা দেখিয়েছেন বিখ্যাত মার্কিন বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক রিচার্ড ফাইনম্যান।
পদার্থবিজ্ঞানের এই মহান শিক্ষক তাঁর ক্যারিশমেটিক ব্যক্তিত্ব ও ম্যাজিক্যাল শিক্ষণপদ্ধতির জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন। বিশেষ করে পদার্থবিজ্ঞানের ওপর তাঁর লেকচার সিরিজগুলো বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীর কাছে আজও আস্থার প্রতীক।

১৯৬৪ সালে রিচার্ড ফাইনম্যান যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মেসেঞ্জার লেকচার’ শিরোনামে একটা সিরিজ বক্তব্য দেন। সেই সিরিজের সাতটি লেকচার ঠাঁই পেয়েছে দ্য ক্যারেক্টার অব দ্য ফিজিক্যাল ল বইয়ের সাতটি অধ্যায়ে। মহাকর্ষ সূত্র যে একটিমাত্র সূত্রে সীমাবদ্ধ নয়, এর বহুমাত্রিক ব্যাখ্যা ও ব্যবহার রয়েছে—তার ফিরিস্তি ফাইনম্যান এই বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে দেখিয়েছেন। মহাকর্ষ সূত্রের সঙ্গে সাধারণ বলসূত্রের যে সম্বন্ধ আছে, সম্বন্ধ আছে কেপলারের সূত্রাবলির সঙ্গেও—এসব নিয়ে করেছেন চুলচেরা বিশ্লেষণ। মহাকর্ষ সূত্র ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি নক্ষত্রের জন্ম-মৃত্যুর প্রক্রিয়া এবং সেই প্রক্রিয়ায় এই সূত্রের ভূমিকার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিয়েছেন।

আদি যুগের মানুষ তির ছুড়ে পশু শিকার করতে জানত। জানত তির কোন কোণে কোন গতিতে ছুড়লে ঠিকঠাক লক্ষ্য ভেদ করবে, সেটাও। কিন্তু গতি কিংবা কোণের ব্যাপারটা তারা অনুমান করে নিত শক্তির ওপর নির্ভর করে। নিখুঁত হিসাব তারা জানত না। নিখুঁত হিসাব কষতে দরকার গণিত। সেকালের মানুষ এই গাণিতিক ভাষা আয়ত্ত করতে পারেনি। তাই পদার্থবিজ্ঞান ব্যবহার করলেও, এর অস্তিত্ব সম্পর্কে তারা অজ্ঞ ছিল।

শুধু আদিম যুগ নয়, আজ থেকে চার শ বছর আগেও প্রকৃতির সূত্রগুলো সুনির্দিষ্ট কাঠামোতে ব্যাখ্যা করতে জানতেন না বিজ্ঞানীরা। সপ্তদশ শতাব্দীতে আইজ্যাক নিউটন পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র ব্যাখ্যা করতে গাণিতিক ভাষা ব্যবহার করলেন। তৈরি হলো প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের সঙ্গে গণিতের সম্পর্ক। এই সম্পর্ক কতটা গুরুত্বপূর্ণ আর গণিত কীভাবে ভৌত সূত্রের চরিত্র ব্যাখ্যা করে, ফাইনম্যান সে বিষয়গুলো উদাহরণ আর চমৎকার বর্ণনার সাহায্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন এই বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে।

এভাবে ফাইনম্যান একে একে সংরক্ষণশীলতার নীতি, ভৌত সূত্রের প্রতিসাম্য, অতীত ও ভবিষ্যতের পার্থক্য, প্রকৃতির কোয়ান্টাম রূপ কিংবা অনিশ্চয়তার বিশ্লেষণ এবং নতুন তত্ত্বের সন্ধানের রূপরেখা দেখিয়েছেন এই বইয়ে।

সব মিলিয়ে সত্যিকার অর্থেই যাঁরা পদার্থবিজ্ঞানের মূল মর্ম বুঝতে চান, ধারণ করতে চান পদার্থবিজ্ঞানের সৌন্দর্য, তাঁদের জন্য এই বই অবশ্যপাঠ্য।

এই বই পপুলার সায়েন্স বা জনপ্রিয় বিজ্ঞানের বই নয়। তবে বইয়ের ভাষা কঠিন বা অনুবাদ জটিল নয়, বরং বেশ প্রাঞ্জল। কিন্তু এই বই পড়তে পড়তে আপনাকে বিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলো বুঝতে হবে, আত্মস্থ করতে হবে। তাই পড়তে পড়তে নিজের অজান্তেই চলে যাবেন পদার্থবিজ্ঞানের গভীর থেকে গভীরে, ভাবনা-চিন্তার জন্য বারবার থামতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পদার্থবিজ্ঞানেরে আসল সৌন্দর্যটা আপনি অনুভব করতে পারবেন।

দ্য ক্যারেক্টর অব ফিজিক্যাল ল
রিচার্ড ফাইনম্যান
অনুবাদ: উচ্ছ্বাস তৌসিফ
প্রকাশক: প্রথমা প্রকাশন
প্রকাশ: ডিসেম্বর ২০২৪
পৃষ্ঠা: ২১৬; মূল্য: ৪৫০ টাকা

মওদুদ আহমদ তাঁর স্মৃতিকথার এই খণ্ডে একজন প্রত্যক্ষদর্শী ও অংশীজনের জবানিতে ১৯৯১ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত প্রায় তিন দশকের বাংলা...
25/08/2025

মওদুদ আহমদ তাঁর স্মৃতিকথার এই খণ্ডে একজন প্রত্যক্ষদর্শী ও অংশীজনের জবানিতে ১৯৯১ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত প্রায় তিন দশকের বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস তুলে ধরেছেন। এ সময় স্বৈরশাসনের অধীনে কীভাবে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক ও নাগরিক অধিকার উপেক্ষিত ও অবদমিত হয়েছে, প্রচুর তথ্য ও দালিলিক উদাহরণসহ তার বিশদ বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছেন। সেদিক থেকে বর্তমান ও ভবিষ্যত্ কালের পাঠক, গবেষক ও ইতিহাসবিদদের জন্য এ বইটির মূল্য অপরিসীম। একজন বিরোধী রাজনীতিক হিসেবে লেখক নিজেও এ সময় নানা রকম নিগ্রহ ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে তাঁকে। বন্দী অবস্থায় কারাগারে বসেও তিনি দিনপঞ্জির আকারে নিজের অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ লিপিবদ্ধ করেছেন। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ আদালত অবধি আইনি লড়াই চালিয়ে গেছেন। সে লড়াইয়েরও বিশদ ও অনুপুঙ্খ বর্ণনা আছে বইটিতে, যা একে একটি আকরগ্রন্থের মর্যাদা দিয়েছে। বিশ্বের খ্যাতনামা কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে লেখকের সাক্ষাৎ ও আলাপচারিতা এবং কয়েকটি গ্রন্থ পাঠের বিবরণ যেমন, তেমনি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের কিছু মর্মন্তুদ ঘটনার স্মৃতিও স্থান পেয়েছে বইটিতে। অধ্যায়গুলো পড়ার সময় একজন সন্তানহারা পিতার আর্তি পাঠকমনকে ভারাক্রান্ত করবে।

চলমান ইতিহাস: জীবনের কিছু সময় কিছু কথা ১৯৯১ থেকে ২০১৯
লেখক: মওদুদ আহমদ
মলাট মুল্য ১০০০ টাকা। শীগ্রই বাজারে আসবে।

প্রথমা প্রকাশনের বইয়ে নিয়ে ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত মাইলস্টোন কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলছে বইমেলা। মেলা চলবে ২৪-৩০ আগস্ট ২...
24/08/2025

প্রথমা প্রকাশনের বইয়ে নিয়ে ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত মাইলস্টোন কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলছে বইমেলা। মেলা চলবে ২৪-৩০ আগস্ট ২০২৫। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা। আপনারা সবাই আমন্ত্রিত। মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত।

প্রথমা প্রকাশনের প্রকাশিতব্য নতুন বই নরক নিবাস: অয়ন-জিমি > লেখক: ইসমাইল আরমান > প্রচ্ছদ: সাদাতউদ্দীন আহমেদ এমিল > প্রকাশ...
21/08/2025

প্রথমা প্রকাশনের প্রকাশিতব্য নতুন বই
নরক নিবাস: অয়ন-জিমি
> লেখক: ইসমাইল আরমান
> প্রচ্ছদ: সাদাতউদ্দীন আহমেদ এমিল
> প্রকাশক: প্রথমা প্রকাশন
> বাঁধাই: হার্ডকভার
> মূল্য: ৩৫০ টাকা
> পৃষ্ঠা: ১২০ পৃষ্ঠা
প্রথম প্রকাশ: ভাদ্র ১৪৩২, আগস্ট ২০২৫

১ম ফ্লাপ
লোকে বলে হেল হাউস, মানে নরক নিবাস...সোয়া শ বছরের পুরোনো এক প্রাচীন বাড়ি। দেখলেই ভয় করে। বলতে গেলে ধরেবেঁধেই অয়ন আর জিমিকে সেখানে নিয়ে গেল রিয়া। কারণ, ওর অ্যান্টিক-পাগল খালা কিনেছেন বাড়িটা, আর তার পর থেকেই অদ্ভুত সব কাণ্ড ঘটছে সেখানে। শোনা যাচ্ছে ভুতুড়ে শব্দ, রাতদুপুরে জ্যান্ত হয়ে উঠছে ব্রোঞ্জের মূর্তি, বাড়ির চারপাশে ঘুরঘুর করছে রহস্যময় কিছু মানুষ। তদন্তে নেমে দিশাহারা দশা হলো ওদের, পড়তে হলো মারাত্মক বিপদে। কী ঘটছে, কেন ঘটছে, কিছুই বোঝার উপায় নেই। এই জটিল রহস্য কি আদৌ ভেদ করতে পারবে ওরা?
লেখক পরিচিতি
ইসমাইল আরমান
জন্ম ১৯৭৬ সালে, ফেনীতে। পড়াশোনা কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজে। লেখালেখি তাঁর ধ্যানজ্ঞান ও নেশা। ছেলেবেলা থেকেই জড়িত লেখালেখির সঙ্গে। প্রথম বইটি যখন সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশ পায়, তখন তিনি দশম শ্রেণির ছাত্র। এর পর থেকে লিখে চলেছেন নিয়মিত। ছোটদের জন্য লিখেছেন অয়ন-জিমি সিরিজের গল্প-উপন্যাস, করেছেন অনেক অনুবাদ। ছায়ালেখক হিসেবে লিখেছেন দেশের একটি জনপ্রিয় সিরিজের বেশ কিছু বই। প্রথম আলো, কিশোর আলো, রহস্য পত্রিকা, কিশোর পত্রিকা, কালের কণ্ঠ সহ দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রচুর লেখা ছাপা হয়েছে তাঁর। এখন পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৮১-এর বেশি। পেশায় সরকারি চাকরিজীবী।

প্রথমা প্রকাশনের নতুন বই "ঢাকায় জিন্না" বাজারেলেখক: মহিউদ্দিন আহমদপ্রচ্ছদ: মাসুক হেলাল প্রকাশক: প্রথমা প্রকাশনবাঁধাই: হা...
19/08/2025

প্রথমা প্রকাশনের নতুন বই "ঢাকায় জিন্না" বাজারে
লেখক: মহিউদ্দিন আহমদ
প্রচ্ছদ: মাসুক হেলাল
প্রকাশক: প্রথমা প্রকাশন
বাঁধাই: হার্ডকভার
মূল্য: ৪২০ টাকা
পৃষ্ঠা: ১৫৬ পৃষ্ঠা
ISBN: 9789845370264
প্রকাশ: প্রথম প্রকাশ; শ্রাবণ ১৪৩২, জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ নামের যে ভূখণ্ডটি এখন আছে, সেটি প্রথম স্বতন্ত্র ভৌগোলিক অস্তিত্ব পায় ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। মোহাম্মদ আলী জিন্নার একক নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পাকিস্তান। তাঁকে বলা হতো কায়েদে আজম বা মহান নেতা। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান বা গভর্নর জেনারেল। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকায় ছিল বাঙালি মুসলমান। তারা না চাইলে পাকিস্তান হতো না। এ কারণেই জিন্না এ দেশের ইতিহাসের অংশ হয়ে আছেন।
জিন্না একবারই এসেছিলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে দশ দিনের সফরে, ১৯৪৮ সালের মার্চে। ঢাকায় ছিলেন আট দিন আর চট্টগ্রামে দুই দিন। এখানে অবস্থানকালে তিনি কাটিয়েছেন কর্মব্যস্ত সময়। নানান জায়গায় ভাষণ দিয়েছেন। কথা বলেছেন অনেকের সঙ্গে। তাঁর কিছু কিছু উক্তি বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। নানান তথ্য ঘেঁটে তাঁর সেই সফরনামা প্রথমবারের মতো তুলে এনেছেন গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান বইমেলা ২০২৫--------------------------------------------সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়,বাংলাদেশ...
27/07/2025

জুলাই গণঅভ্যুত্থান বইমেলা ২০২৫
--------------------------------------------
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়,
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে

জুলাই গণঅভ্যুত্থান বইমেলা ২০২৫
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গন
৩১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ২০২৫
প্রতিদিন: সকাল ১১ টা থেকে রাত ৮ টা।

অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ৬০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান।

Address

19, Karwanbazar
Tejkunipara
1215

Opening Hours

Monday 10:00 - 18:00
Tuesday 10:00 - 18:00
Wednesday 10:00 - 18:00
Thursday 10:00 - 18:00
Saturday 10:00 - 18:00
Sunday 10:00 - 18:00

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Prothoma Prokashan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Prothoma Prokashan:

Share

Category