18/10/2024
কৃষক মরছে, প্রতারিত হচ্ছে ভোক্তা: সমাধান কোথায়?
কৃষির মিথ্যা তথ্য দিয়ে আর কতদিন দেশ চলবে?
বাজার মনিটরিং কমিটি, নাকি বাজার কমিটি দরকার?
ভোক্তার পকেট কতটুকু কাটছে, আর কৃষক কতটুকু মারা খাচ্ছে তার একটি ছোট্ট হিসাব আজকের কালের কন্ঠের প্রতিবেদনে।
সম্প্রতি বাজার মনিটরিং কমিটি করা হয়েছে, এখন প্রশ্ন, সেই কমিটি কাদের মনিটর করবে?
কর্তৃপক্ষ মনে হয় ভূলেই গেছে, অনেক বাজারেতো আগের ফ্যাসিবাদ কমিটিগুলো নেই। কিংবা অনেক বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি ভঙ্গুর অবস্থায় চলছে। আবার অনেক বাজারে আগের সরকারকে যেভাবে হুমকি দিতো, সেই কমিটি এখনো সেইভাবে না হলেও নানান কৌশলে হুমকি দিচ্ছে। তারা মনে করছে তাদের সিন্ডিকেট আগের মতই শক্তিশালী রয়েছে। সরকার কিছুই করতে পারবে না। এই বাজার কমিটিগুলোর এই ফ্যাসিবাদি আত্মবিশ্বাস কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না।
ফলে এই মূহূর্তে প্রয়োজন দেশের সকল পর্যায়ের বাজার কমিটি গঠন কিংবা কিছু ক্ষেত্রে কমিটি পূর্নগঠন করে বাজার ব্যবস্থাপনাকে সচল করা। সেই কমিটিগুলোতে অগ্রাধিকারভাবে ছাত্র-ছাত্রী প্রতিনিধি রাখতে হবে।
ফলে কয়েকটি সুপারিশ:
প্রথমত:
মনিটিরিং কমিটি শুধু রাজধানীর বা শহরের খুচরা বাজার তদারকি করলেই হবে না। সেই সঙ্গে কৃষক বা উৎপাদক পর্যায়ের বাজারগুলো তদারকি করা প্রয়োজন। সেখানে দেখতে হবে কি দামে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে প্রান্তিক পর্যায়ের বাজার তদারকির তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানী ও জেলা শহরে এসব পণ্যের দাম কেমন হবে সেটি নির্ধারণ করতে পারবে। তা না হলে সরকারী প্রতিষ্ঠানে নখ দন্তহীন তথ্য দিয়ে বাজার মনিটর করলে যে লাই সেই কদু থাকবে। মরবে কৃষক প্রতারিত হবে ভোক্তা।
দ্বিতীয়ত:
দেশের সকল পাইকারি ও খুচরা বাজারে আগে যেসব কমিটি ছিল তারা এখনো থাকলে তাদের আইনের আওতায় আনেন। বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিচারের সম্মুখীন করেন। বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে দুর্বৃত্তদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার, ছাত্র ও সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে দেশের সকল পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলোতে নতুন পরিচালনায় কমিটি গঠন করতে হবে। যারাই বাজার বা দোকান ঘোষনা দিয়ে বন্ধ রাখবে তাদের জেলে ঢুকান।
তৃতীয়ত:
কৃষি পন্যের উৎপাদন ও চাহিদা সংক্রান্ত তথ্যের জন্য যেসব সরকারী প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা দায়িত্বশীল রয়েছে সেগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। তাদেরকে এক মাসের মধ্যে প্রকৃত ও সঠিক তথ্য নির্ধারণ করতে হবে। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য ভেরিফাই করতে হবে। দেশ ধ্বংস করতে একটি মিথ্যা তথ্যই যথেষ্ট। কৃষি বিষয়ক হাজারো মিথ্যা তথ্য দিয়ে দেশকে পরিচালিনা করা হচ্ছে।