13/07/2025
মেহেরীন যখন আদালতে উ*ন্মা*দের মতো তার বাবা - মায়ের নামে অভিযোগ করছিলো তখন তার মা কাঠগড়ায় মাথা নিচু করে দাড়িয়ে ছিল আর তার বাবা তার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো। মেহেরীন তার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। হয়তো তারা এই সন্তানের সমস্ত চাহিদা চাওয়া মাত্রই পূরণ করেছেন, নিজেরা কষ্ট করে হলেও তার স্বাদ আহ্লাদ পূরণ করতে কার্পণ্য করেননি। কিন্তু আজ তার সন্তান বলছেন, সে সমস্ত পৃথিবীকে জানাতে চায় তার বাবা - মা "অ*প*রা*ধী"। আপনাদের অনেকরই হয়তো ঐশীর কথা মনে আছে। পু*লি*শ বাবার সন্তান অগাধ টাকাপয়সা পেয়ে বখে গিয়ে একসময় তার বাবা - মাকেই শেষ করে দিয়েছিলো। আমার মনে আছে একবার ছোটবেলায় স্কুল শেষে স্কুলের মাঠে বন্ধুদের সাথে খেলতে গিয়ে, জুতা হারিয়ে ফেলেছিলাম। সারা মাঠে আমি দোয়া ইউনুস পড়ে কেঁদে কেঁদে আল্লাহ কে ডেকে জুতা খুঁজতে থাকলাম, কারণ আমি জানতাম স্কুল থেকে সরাসরি বাসায় না গিয়ে, মাঠে খেলে জুতা হারিয়ে ফেলার কারণে আমাকে শা*স্তি পেতে হবে, স্কুলের জুতা ছাড়া কয়েকদিন স্কুলে গিয়ে স্যারের কাছেও শা*স্তি পেতে হবে। প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো বছরে ২/১ বার কেনা হয়, চাইলেই যখন তখন পাওয়া যায় না, ( আমার বাবা - মা যে অভাবী ছিলেন এমনটাও না, তারা এভাবেই আমাদের বড় করেছেন) অপেক্ষা করতে হয়। আজকে মেহেরীন কিংবা ঐশীর এই অস্বাভাবিক আচরণের দায় তাদের বাবা - মাকেও নিতে হবে। সন্তানকে আদর ভালোবাসার নামে একটা বেয়াদব জেনারেশন তৈরি করেছেন তারা। তাদের কাছে এটা Good parenting! চোখের সামনে সন্তান নিজের জিনিসপত্রের যত্ন করছে না, বড়দের সামনে শান্ত থাকছে না, যখন যা মন চায় পেয়ে যাচ্ছে, প্রথম প্রথম এই কাজগুলো বাইরের মানুষের সাথে বেশি করে, তখন এই অতি আধুনিক বাবা -মায়ের কুসুম কুসুম হাসি পায়, সবাইকে ঢাকঢোল পিটিয়ে বলে আমার বাচ্চার যা জি*দ! যা চায় তাই দিতে হয়!তারপর এই অত্যাচার যখন খারাপ চাহিদা নিয়ে শুরু হয়, তখন তারা হঠাৎ করে লাগাম টানতে গিয়ে নিজেরাই ভি*লেন হয়ে যাচ্ছেন।তাই সন্তানকে কিছুটা অভাব দেখানো উচিৎ, তাদের বোঝানো দরকার চাইলেই সবকিছু পাওয়া যায় না, অর্জণ করতে ও অপেক্ষা করতে হয়, ভুল করলে শা*স্তি পেতে হয় আর ভালো কাজে প্রশংসা ও আদর পাওয়া যায়।আর না হলে এইভাবেই, নিজের কে নিজেরই প্রতিপক্ষ হিসেবে আদালতে আবিষ্কার করতে হবে। #রাইম_সুলতানা #চলো_একসাথে_বাঁচতে_শিখি