15/07/2025
দুদকের তিনঘন্টার অভিযান:
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, রোগীর খাদ্য সরবরাহ সহ সেবাখাতে অনিয়ম অসঙ্গতি পেয়েছে দুদক:
নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম অভিযান পরিচালনা করেছে। ১৪ জুলাই সোমবার দুপুরে দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন এর নেতৃত্বে একটি টিম তিনঘণ্টার বেশি সময় হাসপাতালে অবস্থান করে প্রাথমিক তদন্তে চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন খাতে অনিয়ম অসঙ্গতি সনাক্ত এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বেশকিছু ওষুধ জব্দ করেছেন।
অভিযান শেষে বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অভিযোগ পেয়ে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযানে নেমেছে দুদক। আমরা প্রায় তিনঘণ্টা হাসপাতালে অবস্থান করে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এবং সরেজমিনে দেখে অনেকগুলো অনিয়ম অসঙ্গতি সনাক্ত করেছি।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া রোগীদের জন্য সরকারি টাকার বিপরীতে সরবরাহ করা খাবার কেউ ফেলেও, কেউ পায়নি। আবার অনেকে নিজ বাড়ি থেকে রান্না করে এনেছেন। যা খাবার দেওয়া হয়েছে তাও খাওয়ার অনুপযোগী। হাসপাতালের স্টোররুমে মেয়াদোর্ত্তীণ ওষুধ পড়ে আছে, নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা ওষুধ রোগীদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।
দুদক টিমের পর্যবেক্ষন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১০০শয্যাবিশিষ্ট চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর খাবার, দালাল, ওষুধ ও ডাক্তারের ডিউটি ফাঁকিসহ একাধিক অভিযোগ পেয়েছে দুদক। দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন সহকারী পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন। এসময় হাসপাতাল থেকে মেয়াদোর্ত্তীণ বেশকিছু ওষুধ জব্দসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে দুদকের দল।
দুদকের কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযানে আমরা বেশ কিছু অনিয়ম পেয়েছি। খাবার গুণগত মান নিয়ে অভিযানে রোগীর সামান্য পরিমাণ অভিযোগ ছিল। হাসপাতালের স্টোররুমে মেয়াদোর্ত্তীণ ওষুধ পাওয়া গেছে, তা আলামত হিসেবে জব্দ করেছি। ওষুধ সেখানে সংরক্ষণ করেছে, তা সঠিকভাবে করেছে কীনা দেখে কিছু অনিময় পেয়েছি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. মো. জায়নুল আবেদীন বলেন, ‘হাসপাতালে ডাক্তাররা নিয়ম মেনে ডিউটি করেন। হাসপাতালে স্টোর রুমে মেয়াদোর্ত্তীণ ওষুধ থাকার কথা না, কিছু ওষুধ রোগী কম থাকায় সরবরাহ হয়নি, এমন হতে পারে।
তিনি বলেন, দুদক তাঁদের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে হাসপাতালে এসেছেন। অফিস থেকে তাঁরা যেসব তথ্য ও কাগজপত্র চেয়েছেন, সবই সরবরাহ করা হয়েছে। আমরাও চাই, চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে কোনধরনের অসঙ্গতি থাকলে তা শোধরে নেওয়া হবে। # #