16/10/2025
এটা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পটিয়ারই কৃতি সন্তান ও শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব কুতবে যামান হযরত মুফতি আজিজুল হক (রহ.)-এর হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান — আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া।
এটি একটি মকবুল এদারা, যার খ্যাতি ছড়িয়ে আছে সারা বিশ্বজুড়ে। সত্যি বলতে, এটি এক পবিত্র জমিন — যেখানে কুরআন ও হাদীসের আলোয় আলোকিত হয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। জামিয়ার শিক্ষার্থীরা আজ পৃথিবীর নানা প্রান্তে ইসলামের খেদমতে নিয়োজিত, যা এই প্রতিষ্ঠানেরই গৌরবময় উত্তরাধিকার।
জামিয়ার এই অনন্য সৌন্দর্যের প্রতীক — তোরণটি, ইতিহাসের সাক্ষী। একে প্রতিষ্ঠা করতে লেগেছিল রক্ত, ত্যাগ, আর অসীম নিষ্ঠা। সেই রক্তের বিনিময়ে গড়া এই তোরণের উপর আজ পর্যন্ত কেউ কিছু লাগানোর সাহস পায়নি, এমনকি বিগত ফ্যাসিস্ট আমলেও না। কারণ, দিনশেষে সবাই জামিয়াকে ভালোবাসে।
সবচেয়ে বড় কথা, আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে কোনো রাজনৈতিক ব্যানার বা প্রভাবের স্থান নেই। তাই এ প্রতিষ্ঠানের গায়ে রাজনীতির রঙ চড়ানো কোনোভাবেই মানবিক বা ভ্রাতৃত্বপূর্ণ আচরণ হতে পারে না।
আপনার নেতা আসছে হাজারো দেওয়াল আছে,আমাদের জামিয়ার তোরণে দেওয়া কোন সভ্যতায় পড়ে?
আমরা কাউকে ঘৃণা করি না, ভাই।
আজ যেমন আপনারা জামিয়ায় এসেছেন—সাদর আপ্যায়ন, ঘুরিয়ে দেখানো, সবকিছুই সম্মানের সঙ্গে করা হয়েছে। কারণ আমরা মেহমানদারিকে আমাদের দ্বীনি দায়িত্ব মনে করি।
কিন্তু অনুরোধ রইলো,
দয়া করে এই পবিত্র দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা রাজনীতির ছোঁয়া থেকে রক্ষা করুন।
আপনারা আপনাদের কাজ করুন—আমাদের দোয়া সবসময় থাকবে আপনাদের জন্য।
তবে অন্যের উপর চাপিয়ে দিয়ে, দ্বীনের ঘরে রাজনীতির রং লাগানো—এটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
আল্লাহর ওয়াস্তে, এমন কাজ থেকে বিরত থাকুন।
আমরা আশা করি, আপনারা এ বিষয়ে দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।
সংগ্রহীত!