06/04/2025
ইদানিং একগ্লাস পানি খেতে গেলেও চোখে পানি চলে আসে ভাবলে; ফি/লি/স্তিনে আজ কয়টা বছর ধরে সুপেয় পানি নাই; কাঁদা সেকে পানি খাওয়া লাগে সেইখানে।
এই আমার চোখের সামনে কল ভর্তি পানি ঝরঝর ঝরে অথচ সেইখানে, এক ফোঁটা কাদা পানিও নাজুক হাত থেকে ছিটকে পড়লে আমার মায়েদের কলিজা কেঁপে ওঠে অপচয়ের।
তারা পিপাসায় কাতর, তাদের চোখের পানিও শুকিয়ে মাটি।
আজকাল থালা থেকে ভাতের লোকমা তুলতেও গলা ধরে আসে আমার। মনে পড়ে; তীব্র খাদ্যাভাবে, কখনো মাটি কখনো ঘাস পর্যন্ত খাওয়া লাগছে আমার ভাইবোনদের। নিজের অসহায় গলা দিয়ে খাবার নামতে তখন লাগে দীর্ঘতম সফর।
আম্মা আব্বার মুখের দিকে তাকাইলে লাগে; কত শত নাদান শিশু এতিম হয়ে গেছে সেই ক্ষমাহীন প্রান্তরে। আম্মা-আব্বা বলে ডাকার কেউ নাই, ব্যথা লাগছে শুনার কেউ নাই। দরদ করে ক্ষতই "ফুঁ" দিয়ে দেওয়ার কেউ নাই।
"ইয়া আল্লাহ ইয়া আল্লাহ" বলে ফুলের মত শিশুরা কাঁদতে কাঁদতে ছুটে বেড়াচ্ছে এদিক ওদিক। ছুটতে ছুটতেই অকস্মাৎ বো* মার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে সেই ছোট্ট ফুলের দেহের কোমল পাপড়িগুলো।
আর সেই রক*তাক্ত কুড়িগুলো কুড়িয়ে কুড়িয়ে গোছানো লাগছে শেষ জানা*যার তরে। হায় খোদা! হায় আল্লাহ!
আমি রাতে ঘুমাচ্ছি নরম বিছানায়, মাথার উপর শীতল পাখা, হাতের ধারে উষ্ণ কাঁথা। অথচ গা* যা রা*ফায় আমার ভাইদের মাথার উপরে ছাদ পর্যন্ত নাই! শোবার মত জমিন নাই।
এই শীতেই দেখলাম তীব্র ঠান্ডায় সারা শরীর নীল সাদা হয়ে নিথর শুয়ে আছে জান্নাতি পাখিরা ।
আমার ভাইদের সিজদাহ দেবার জায়গা জুড়ে আজ কেবল লালমাটির জায়নামাজ, বোনদের পরদা করবার মত কাপড় পর্যন্ত পুড়ে কালো ছাই। আমার ফিলি* স্তিনি মায়ের চোখে সভ্যতার প্রতি তীব্র ঘৃণা, বাবার বুকে জমাটবাধা ক্ষোভ ।
আমি মাঝে মাঝেই ফোনে গুগোল আর্থে বিশ্ব মানচিত্রটা দেখি; ছোট্ট একটা না*/পাক দেশ যার চারপাশে বিশাল বিশাল মুসলিম দেশ। থু* থু দিলে সে দেশ ভেসে যাবে এমন মনে হবে দেখলে। অথচ;
অথচ সেই ন*পুং*সক শাসকদের ঋদয় পাপে এতটা কলুষিত, মোহে এতটাই ক্ষুদ্র যে দুনিয়াবি ভোগবিলাসের ফাঁকে তাদের কাউকেই এতটুকু ছুঁয়ে যায় না, জানালার ধারের জলপাই বনের করূণতম লু হাওয়া ।
নিজের কাপুরুষ অবয়বে তাকিয়ে দেখি এইভাবে বেঁচে থাকাও কত লজ্জার, কত গ্লানির, কত আযাবের! ফালা* স্তিনের দিকে তাকিয়ে দেখি এইভাবে ম*রে যাওয়াও কত সাহসের, কত সম্মানের, কত গৌরবের!
কোটি কোটি মুসলিম তরুণ, অঢেল অর্থসম্পদ, পারমা**ণবিক শক্তি, ই