Ismail Bin Haidar

Ismail Bin Haidar সর্বদা ভীষণ অপরাধবোধ হয়! সেই দিন রবের সামনে দাঁড়িয়ে কি জবাব দিবো।

রাষ্ট্র কেবল একটি ভৌগোলিক সীমানা নয়; এটি ইতিহাসের নির্যাস, ত্যাগের প্রতিধ্বনি, এবং জাতির আত্মমর্যাদার দৃঢ় প্রতীক। যে মাট...
12/10/2025

রাষ্ট্র কেবল একটি ভৌগোলিক সীমানা নয়; এটি ইতিহাসের নির্যাস, ত্যাগের প্রতিধ্বনি, এবং জাতির আত্মমর্যাদার দৃঢ় প্রতীক। যে মাটিতে অগণিত শহীদের রক্তে স্বাধীনতার বৃক্ষ রোপিত হয়েছে, সে মাটি কখনো নিঃস্ব হতে পারে না—যদি তার সন্তানরা সতর্ক থাকে, ঐতিহ্য স্মরণে রাখে, আর ন্যায় ও প্রজ্ঞায় পথচলা শিখে নেয়।

আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ এমন এক রাষ্ট্র, যে তার জন্মলগ্ন থেকেই সংগ্রামের সন্তান। এই ভূমি বারবার দেখেছে কূটকৌশল, ষড়যন্ত্র, বৈদেশিক চাপ, এবং অভ্যন্তরীণ প্রলোভনের ভেতর দিয়ে নিজেকে টিকিয়ে রাখার লড়াই। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়—যে জাতির মানুষ বিশ্বাসে অবিচল, সে জাতিকে পরাভূত করা যায় না।

রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী এক অনন্য প্রতীক। তারা রাষ্ট্রের “অতন্দ্র প্রহরী”—জেগে থাকে, যেন আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি। তাদের ত্যাগ, শৃঙ্খলা, এবং আত্মসমর্পণ আমাদের জাতিসত্তাকে বলীয়ান করে তোলে। তাই এই বাহিনীকে নিয়ে কূটকৌশল বা বিদ্বেষ ছড়ানো মানে রাষ্ট্রের মেরুদণ্ডে আঘাত করা। ইতিহাসের অন্ধকার অধ্যায়গুলো প্রমাণ করে—যে দেশ নিজের সেনাবাহিনীকে অবিশ্বাস করেছে, সে দেশ পরাশক্তির পদতলে নত হয়েছে।

তবে অন্যদিকে, সত্যিকারের দেশপ্রেমিক সমাজ কখনো অপরাধীকে রক্ষা করে না। অপরাধী সে সেনা, রাজনীতিক, বা সাধারণ নাগরিক—সবার জন্যই ন্যায়বিচার অপরিহার্য। কিন্তু ন্যায়ের নামে প্রতিহিংসা, কিংবা বিচারপ্রক্রিয়ার আড়ালে সুযোগসন্ধানীদের প্রবেশ—এটাই রাষ্ট্রের সর্বনাশের সূচনা। ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়, রোমান সাম্রাজ্য থেকে শুরু করে উমাইয়া ও আব্বাসীয় যুগ, এমনকি আধুনিক পৃথিবীর শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোকেও ভিতরে ভিতরে ধ্বংস করেছে তাদের অভ্যন্তরীণ বিভাজন ও আত্মঅবমূল্যায়ন।

এই বাস্তবতায়, আজ আমাদের প্রয়োজন “জ্বলে ওঠা নয়, হুশে থাকা”—অর্থাৎ আবেগে নয়, বুদ্ধিতে কাজ করা। জাতিকে এখন যে শত্রুর মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তা সবসময় সীমান্ত পেরিয়ে আসে না; অনেক সময় সে আসে কূটনৈতিক টেবিলের হাসিতে, মিডিয়ার ছদ্মবেশে, কিংবা রাজনীতির মঞ্চে দেশপ্রেমের মুখোশ পরে। তাই রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, বিশেষত সেনাবাহিনী, বিচারবিভাগ ও প্রশাসনকে হতে হবে ন্যায়, সততা ও দূরদর্শিতার অদ্বিতীয় প্রতীক।

আমরা ভুলে যেতে পারি না—এই রাষ্ট্র আমাদের, এর প্রতিটি ইট, প্রতিটি নদী, প্রতিটি পতাকা আমাদেরই উত্তরাধিকার। বাহ্যিক শক্তি আমাদের দেহে আঘাত করতে পারে, কিন্তু অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা যদি হৃদয়ে বাসা বাঁধে, তখন রাষ্ট্ররূপী দেহটি পঙ্গু হয়ে যায়। তাই আমাদের কর্তব্য, আমাদের সামর্থ্য, আমাদের প্রহরীদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে—এই রাষ্ট্রকে রক্ষা করা, সাজানো, এবং ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য নিরাপদ করে যাওয়া।

ইতিহাস সাক্ষী, যে জাতি নিজের প্রহরীকে দুর্বল করে, সে জাতি একদিন শত্রুর পদতলে ধূলিসাৎ হয়। আর যে জাতি ন্যায়, প্রজ্ঞা ও ঐক্যের পতাকা উঁচু রাখে—আল্লাহর সাহায্যে তার পতাকা কখনো নামতে দেয় না।

শেষ পঙক্তি:

> “রাষ্ট্র আমাদের আশ্রয়, আর সেনাবাহিনী তার প্রহরী।
ন্যায়ের পথে সতর্ক পদক্ষেপই আমাদের অস্তিত্বের প্রতিরোধক ঢাল।”

মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় শক্তি হলো নিজের প্রতি বিশ্বাস। যে ব্যক্তি নিজের সামর্থ্য চিনতে পারে, সে কখনো পরাজিত হয় না। অনেক ...
12/10/2025

মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় শক্তি হলো নিজের প্রতি বিশ্বাস। যে ব্যক্তি নিজের সামর্থ্য চিনতে পারে, সে কখনো পরাজিত হয় না। অনেক সময় সমাজ তাকে অবজ্ঞা করে, উপহাস করে; কিন্তু যখন সে নিজের যোগ্যতা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে একটি অবস্থান তৈরি করে নেয়— তখন সেই ঘোর বিরোধীরাই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়, তার পেছনেই ছুটে বেড়ায়। ইতিহাস বলে, যে মানুষ নিজের শক্তিকে অবমূল্যায়ন করে না, তাকেই একদিন শ্রদ্ধা করে তার শত্রুরাও।

মানুষের এই অবস্থান সৃষ্টি হয় পরিশ্রম, নীতি ও দৃঢ় সংকল্পের সমন্বয়ে। বিপদে যারা ধৈর্য হারায় না, যারা প্রতিকূল সময়েও দিক হারায় না, তারাই সময়ের প্রেক্ষাপটে নিজেদের যোগ্যতার সোপানে দাঁড়াতে পারে। সমাজের প্রতিটি সফল মানুষের জীবনের শুরুতে ছিল একাকিত্ব, প্রতিবন্ধকতা, বিদ্রূপ— কিন্তু শেষে ছিল বিজয়ের আলো। কারণ, নিজের সামর্থ্য জানা মানে নিজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা।

আজ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতায় আমরা এই সত্যটিকে স্পষ্টভাবে দেখতে পাই। বিশেষত ভারতের মাটিতে মুসলিম ছাত্র সমাজের মধ্যে এক নবজাগরণ চলছে। যারা এক সময় নানা বৈষম্যের শিকার হয়েছিল, আজ তারাই তাদের মেধা, চিন্তা ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে সমাজে সমাদৃত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক মঞ্চ থেকে শুরু করে সমাজসেবামূলক সংগঠন— সর্বত্র তারা দেখিয়ে দিচ্ছে, সামর্থ্যের কোনো ধর্ম নেই, নেই জাতি বা ভাষার সীমা। ভারতে ছাত্র ভাইদের যে সমাদর, তা আসলে তাদের মেধা, চরিত্র ও আত্মনির্ভরতার ফল।

এই সমাদরের পেছনে একটি গভীর বার্তা লুকিয়ে আছে— তা হলো, যে প্রজন্ম নিজের নীতিতে অবিচল থাকে, সে কখনো অবহেলিত হয় না। শুরুতে তাকে হয়তো কেউ বোঝে না, হয়তো বাধা দেয়; কিন্তু একদিন সেই প্রতিপক্ষই তার নেতৃত্বের মূল্য বুঝতে শেখে। সময় তার অবস্থানকে মজবুত করে দেয়, আর মানুষের হৃদয় জয় করে নেয় তার কর্ম।

আমাদের সমাজেও এখন প্রয়োজন এমন আত্মবিশ্বাসী তরুণ প্রজন্ম, যারা নিজের সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখবে, অন্যায়ের সামনে মাথা নত করবে না, এবং আদর্শের শক্তিতে নিজেদের অবস্থান তৈরি করবে। কারণ, যখন একজন মানুষ নিজের উপর আস্থা রাখে— তখন বিশ্বও তাকে সম্মান করতে বাধ্য হয়।

শেষ পর্যন্ত সত্য একটাই:

> নিজের সামর্থ্য দেখিয়ে অবস্থান তৈরি করে নিলে, বিরোধীরাও একদিন অনুসারী হয়ে যায়।

ঠেলার নাম বাবাজি
11/10/2025

ঠেলার নাম বাবাজি

11/10/2025

বট বাহিনীর রিপোর্টের কারনে Ismail Bin Haidar মূল আইডিতে পোস্ট করতে পারছি না।
ঠিক হওয়া পর্যন্ত পেইজে থাকবো।

11/10/2025

কুরআনের অপমান কোনভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়।

11/10/2025

আজ বিশ্ব ডিম দিবস!
প্রশ্ন হলো;
ডিম আগে নাকি মুরগী আছে?

29/09/2025

আমিন

25/09/2025

লাকাল হামদু ইয়া রাব্বি

24/09/2025

আমরা সবাই রাসূল সেনা ভয় করিনা বুলেট বোমা

17/09/2025

আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় ভাই, বোন ও বন্ধুগণ বাংলাদেশ বেতার ঠাকুরগাঁও আলোচনার সামান্য একটু অংশ....
আপনাদের সুপরামর্শ, দুয়া ও ভালোবাসার প্রত্যাশী।

09/04/2025
25/12/2024

📢📢ইসলামিক দাওয়াহ সেমিনার ঠাকুরগাঁও ২০২৫– মুসলিমের আত্মপরিচয় ও উম্মাহর পরবর্তী পদক্ষেপ

وَ مَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّنْ دَعَا إِلَى اللَّهِ وَ عَمِلَ صَالِحًا وَ قَالَ إِنَّنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ

তার চেয়ে উত্তম কথা আর কার, যে আল্লাহর দিকে ডাকে, সৎকর্ম করে ও বলে, 'আমি তো আদেশ মান্যকারীদের একজন?'
[৪১:৩৩]


🪄আয়োজনে: ইন্সপায়ার ফাউন্ডেশন
তারিখ: ১১ ই জানুয়ারী ২০২৫
সময়: বিকাল ৩ টা
স্থান:মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তন, কালিবাড়ী, ঠাকুরগাঁও
❏ Google Map: https://maps.app.goo.gl/17GUsbGN65u7gimz7?g_st=com.google.maps.preview.copy

🪄 সম্মানিত অতিথিগণ -
১.শায়খ হারুন ইজহার (হাফিঃ)
আলেম,দাঈ,ইসলামী চিন্তাবিদ

২.শায়খ জসীমউদ্দিন রাহমানী (হাফিঃ)
আলেম,লেখক, ইসলামী চিন্তাবিদ

🪄সেমিনারের মূল লক্ষ্য:
ইসলামী জীবনবোধ, মুসলিমদের আত্মপরিচয় এবং আল্লাহর নির্ধারিত মহৎ লক্ষ্যের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন।

❖ আপনার জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?
❏ মুসলিমদের আত্মপরিচয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া।

❏ ইসলামী জীবনব্যবস্থার গভীর দর্শন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি।

❏নিজের জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে পরিষ্কার ধারণা লাভ।

❏দাওয়াহর খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে বাস্তবমুখী আলোচনা

❏লাইভ প্রশ্নোত্তর পর্ব- আপনার জিজ্ঞাসার সরাসরি উত্তর

❖ আসন সংখ্যা সীমিত
রেজিষ্ট্রেশন ফি : ১০০/= টাকা।

❖ রেজিস্ট্রেশনের শেষ তারিখ - ০৬/০১/২৫ ইং

❖ রেজিস্ট্রেশন লিংক: https://docs.google.com/forms/d/18IJCHOMDx9kEdA19Yr4WweiGTQaNEGGt1aQmUBrX_zw/edit?ts=67586376

কোনো সমস্যা হলে ইনবক্সে নক দিন
অথবা যোগাযোগ :
০১৩০৪১৯৫০০৪
০১৭১৮৭০১২৩৬
০১৭১৮৮৩৫৭৬৩

[ রেজিষ্ট্রেশন অনলাইনে করতে সমস্যা হলে অফলাইনে করার সুযোগ আছে ]

Address

Thakurgaon
5100

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ismail Bin Haidar posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ismail Bin Haidar:

Share