SIFAT BABU

SIFAT BABU Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from SIFAT BABU, Digital creator, Thakurgaon.

বিয়ে ঠিক রিজিকের মতোই। রিজিক যেমন আপনার ইচ্ছে অনুযায়ী নয়, আল্লাহ যখন চান তখনই আসে—তেমনি বিয়েও আল্লাহর ইচ্ছা ও পরিকল্...
08/12/2025

বিয়ে ঠিক রিজিকের মতোই। রিজিক যেমন আপনার ইচ্ছে অনুযায়ী নয়, আল্লাহ যখন চান তখনই আসে—তেমনি বিয়েও আল্লাহর ইচ্ছা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়।

রিজিক যেমন আপনাকে খুঁজে নেয় যেখানেই থাকুন না কেন, ঠিক তেমনি আপনার জন্য নির্ধারিত জীবনসঙ্গীও আপনার কাছে পৌঁছাবে যখন আপনার কদর সেই মুহূর্তের সঙ্গে মিলবে।

আল্লাহর সময়ের উপর ভরসা রাখুন।

— সংগৃহীত

🤤🤩
04/12/2025

🤤🤩

হযরত লোকমান (আঃ) নিজের ছেলেকে দেওয়া ৭৬ টি উপদেশ!♻️১। বৎস! কর্জ হইতে নিজেকে হেফাজাত রাখিও। কেননা ইহা দিনের বেলায় অপমান এ...
25/11/2025

হযরত লোকমান (আঃ) নিজের ছেলেকে দেওয়া ৭৬ টি উপদেশ!
♻️১। বৎস! কর্জ হইতে নিজেকে হেফাজাত রাখিও। কেননা ইহা দিনের বেলায় অপমান এবং রাত্রিতে দুশ্চিন্তা।

♻️২। বৎস ! তুমি মোরগের চাইতে বেশী অক্ষম হইও না। সে তো শেষ রাত্রিতে জাগিয়া চিৎকার শুরু করিয়া দেয়, আর তুমি নিজের বিছানায় পড়িয়া ঘুমাইতে থাকো।

♻️৩। বৎস! গুরুত্ব সহকারে জানাযায় শরীক হইও এবং অহেতুক অনুষ্ঠানাদি শরীক হওয়া হইতে বাঁচিয়া থাকিও।

♻️৪। বৎস আল্লাহর সান্নিদ্ধ অবলম্বন করবে।

♻️৫। অন্যকে উপদেশ দেওয়ার আগে নিজে আমল করার চেষ্টা কর।

♻️৬। নিজের মান মর্যাদা বজায় রেখে কথা বলবে।

♻️৭। ভাল মানুষ রূপে বিবেচিত হওয়ার চেষ্টা করবে।

♻️৮। স্বীয় অধিকারের প্রতি সচেতন থাকবে।

♻️৯। গোপন তথ্য কারো নিকট প্রকাশ করবে না।

♻️১০। বিপদে বন্ধুর পরীক্ষা নিবে।

♻️১১। বন্ধুদের ভাল মন্দ উভয়টাই পরীক্ষা করবে।

♻️১২। বিচক্ষণ এবং জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে বন্ধুত্ব করবে।

♻️১৩। ভাল কাজে পুণঃপুণঃ অংশগ্রহণ করবে ।

♻️১৪। নিজের কথা প্রমাণ করে দিবে।

♻️১৫। বন্ধুদের সাধ্যমত ভালবাসবে।

♻️১৬। শত্রু মিত্র সকলের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করবে।

♻️১৭। মাতা পিতাকে সর্বাধিক সম্মান করবে।

♻️১৮। শিষ্যকে সর্বাধিক মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখবে।

♻️১৯। আয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ব্যয় করবে।

♻️২০। কথা বলার সময় মুখ আয়ত্বের মধ্যে রাখবে।

♻️২১। বীরত্ব কে নীতি হিসাবে গ্রহণ করবে।

♻️২২। শরীর এবং পোষাক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবে।

♻️২৩। ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকবে।

♻️২৪। প্রচলিত অস্ত্র সস্ত্র ও যানবাহন পরিচালনা শিখে নিবে।

♻️২৫। প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার যোগ্যতা অনুযায়ী দায়িত্ব প্রদান করবে।

♻️২৬। রাতের বেলায় যদি কথা বলার প্রয়োজন হয় তাহলে আস্তে এবং নরম স্বরে কথা বলবে।

♻️২৭। দিনের বেলায় কথা বলার সময় চতুর্দিকে লক্ষ্য করে কথা বলবে।

♻️২৮। কম কথা বলা কম খাওয়া এবং কম ঘুমানোর অভ্যাস করবে।

♻️২৯। নিজের জন্য যা পচন্দ করো না তা অন্যের জন্য পচন্দ করবে না।

♻️৩০। বিচক্ষণতা ও কৌশল অবলম্বন করে কাজ করবে।

♻️৩১। উপযুক্ত শিক্ষিত না হয়ে অন্যকে শিখাতে যেও না।

♻️৩২। অন্যের ধন সম্পদের প্রতি লক্ষ্য করবে না।

♻️৩৩। নীতিহীনদের কাছ থেকে কৃতজ্ঞতা আশা করবে না।

♻️৩৪। কোনো কাজেই চিন্তামুক্ত হইও না।

♻️৩৫। যে কাজ তুমি করনি এরূপ কাজ করেছ বলে মনে করো না।

♻️৩৬। আজকের কাজ আগামীকালের জন্য ফেলে রাখবে না।

♻️৩৭। বড়দের সাথে হাসি ঠাট্টা করতে যেও না।

♻️৩৮। আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করিও না।

♻️৩৯। তোমার প্রতি যারা আশা রাখে তাদের নিরাশ করো না।

♻️৪০। বড়দের সামনে কথা দীর্ঘায়িত করবে না।

♻️৪১। অতীতের তিক্ততা মনে রেখো না ।

♻️৪২। নিজের ধন সম্পদের কথা অন্যের নিকট প্রকাশ করবে না।

♻️৪৩। সৎ লোকদের নিন্দা করবে না ।

♻️৪৪। আপনজনদের কাছ থেকে কখনও বিচ্ছিন্ন হইও না।

♻️৪৫। অহংকার করবে না।

♻️৪৬। মানুষের সামনে দাঁত খেলাল করবে না।

♻️৪৭। মানুষের সামনে মুখে বা নাকে অঙ্গুল প্রবেশ করবে না।

♻️৪৮। শব্দ করে থুতু ফেলবে না।

♻️৪৯। হাই তোলার সময় মুখে হাত রাখবে।

♻️৫০। কাউকে জনসম্মুখে লজ্জা দিবে না।

♻️৫১। চোখ দিয়ে ইঙ্গিত করবে না।

♻️৫২। এক কথা বারবার বলবে না।

♻️৫৩। তামাশা মূলক অবাস্তব কথা বলবে না।

♻️৫৪। ঠাট্টা বিদ্রুপ থেকে বিরত থাকবে।

♻️৫৫। অন্যের সামনে নিজের প্রশংসা করবে না।

♻️৫৬। মেয়েদের ন্যায় সাজসজ্জা করবে না।

♻️৫৭। কথা বলার সময় হাত নাড়াচাড়া করবে না।

♻️৫৮। আপনজনদের শত্রুর সাথে উঠাবসা করবে না।

♻️৫৯। কারো মৃত্যুর পর তার সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করবে না।

♻️৬০। যথাসম্ভব ঝগড়া বিবাদ থেকে বিরত থাকবে।

♻️৬১। সৎলোকের প্রতি সুধারণা রাখবে।

♻️৬২। নিজের খানা অন্যের দস্তারখানায় নিয়ে যাবে না।

♻️৬৩। কোনো কাজেই তাড়াহুড়ো করবে না ।

♻️৬৪। পার্থিব স্বার্থের মোহে নিজেকে দুঃখ কষ্টে ফেল না।

♻️৬৫। রাগান্বিত অবস্থায়ও ধীর শান্ত ভাবে কথা বলবে।

♻️৬৬।জামার আস্তিন দ্বারা নাক পরিস্কার করবে না।

♻️৬৭। সূর্য উদয়ের পূর্বেই শয্যা ত্যাগ করবে।

♻️৬৮। পথ চলার সময় বড়দের আগে চলবে না।

♻️৬৯। এদিক সেদিক উকি মেরে দেখবে না ।

♻️৭০। অন্যের কথার মধ্যে বাধা দিয়ে কথা বলবে না।

♻️৭১। মেহমানের সামনে কারো প্রতি রাগান্বিত হইও না।

♻️৭২। সন্দেহ প্রবণতা ত্যাগ করতে না পারলে দুনিয়ায় তুমি কোনো বন্ধু খুঁজে পাবে না।

♻️৭৩। বেটা ! তুমি এত মিষ্ট হইও না যে, মানুষ তোমাকে গিলিয়া ফেলে। আরএত তিক্ত হইও না যে মানুষ তোমাকে থুথুর মতো ফেলিয়া দেয়।

♻️৭৪। বেটা! নিজের খানা আল্লাহভীরু লোকদের ব্যতীত কাহাকেও খাওয়াইও না। আর নিজের কাজে আলেমগনের নিকট হইতে পরামর্শ লইতে থাকিও।

♻️৭৫। বেটা! মূর্খের সহিত বন্ধুত্ব করিও না। এমন না হয় তাহার মূর্খতা সুলভ কথাবার্তা তোমার ভালো লাগিত আরম্ভ করে। আর জ্ঞানী লোকের সহিত শত্রুতা করিও না। এমন না হয় যে, সে তোমার দিক হইতে মুখ ফিরাইয়া রাখে।

♻️৭৬। বেটা ! তুমি যেদিন হইতে দুনিয়াতে আসিয়াছ, প্রতিদিন আখেরাতের নিকটবর্তী হইতেছে।

©️

#উপদেশ #আদেশ

শহর থেকে একটু বাইরে আপনি যদি সনোলজিষ্ট(আল্ট্রাসাউন্ড) হিসাবে কাজ করতে যান আপনাকে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে...
04/11/2025

শহর থেকে একটু বাইরে আপনি যদি সনোলজিষ্ট(আল্ট্রাসাউন্ড) হিসাবে কাজ করতে যান আপনাকে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। প্রথম প্রথম খুব খারাপ লাগত।কিন্তু এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। কত আজগুবি কথা যে আপনাকে শুনতে হবে তার কোনো লাইসেন্স নাই।সেই আজগুবি কথার দিকে না গিয়ে একটা অদ্ভুত কিন্তু মজার ঘটনা শেয়ার করি–

দুই বান্ধবী আসছে আমার চেম্বারে।দুজনেরই বয়স ২০ বা ২১ বছরের মধ্যে।ধরা যাক, একজনের নাম "X"
আরেক জনের নাম "Y"!
X হচ্ছে আমার রোগী। Y তাকে নিয়ে এসেছে। দুজনেই আানম্যারিড।

কমপ্লেইন হল–তলপেটে ব্যথা..জ্বর জ্বর লাগে..রুচি নাই..শরীর দুর্বল..! মাথাও চক্কর দেয় মাঝে মাঝে।

পিরিয়ডের হিস্ট্রি নিলাম। সে ঠিকমত বলতেই পারলো না।

যেহেতু অবিবাহিতা সেহেতু সরাসরি কিছু জিজ্ঞেস করাও অশোভন।একটা আল্ট্রাসাউন্ড আর একটা প্রসাব পরীক্ষা দিলাম।
আল্ট্রাসাউন্ডে দেখি ৩ মাসের প্রেগন্যান্ট। অবাক হইনি।কারণ এটা আমাদের জন্য নতুন কিছু না। সব সনোলজিষ্টই এমন ঘটনা অহরহ ফেস করেন।
মেয়েটি যতটুকু নাটক করা দরকার সব করল । কিভাবে কি হলো সে জানেই না ।

এতেও অবাক হইনি । অনেকের বাতাসেই পেটে বাচ্চা আসে এ ঘটনাও আমরা জানি । এসব ক্ষেত্রে আমি একদম নিশ্চুপ থাকি।আমার ডায়াগনোসিস বলে আমি চুপ । যত বড় পূর্ণদৈর্ঘ‍্য বাংলা ছায়াছবিই হোক আমি চুপ তো চুপ ।

যাহোক, একটা আানম্যারিড মেয়ে প্রেগন্যান্ট এটা কিন্তু মূল বিষয় না ।

মূল বিষয়ে আসি এবার -
বাচ্চা যেভাবেই আসুক(বাতাসে,স্বপ্নে,আগুনে, অথবা পানিতে ভেসে ভেসে) যেহেতু মেয়েটি আনম্যারিড সেহেতু সে বাচ্চা রাখবে না ।
আমি যেহেতু টারমিনেশন করি না এবং এ রিলেটেড অ্যাডভাইসও দেই না সেজন্য আমি পেশেন্টকে ছেড়ে দিছি ।
কিন্তু পেশেন্ট এম আর (বাচ্চা নষ্ট করার পদ্ধতি )এখানেই করবে । রীতিমত হাতে পায়ে ধরাধরি । কান্নাকাটি । ম্যাডাম কি হবে আমার ? আমাকে বাচাঁন ।
পরে পেশেন্টকে বুঝিয়ে কাউন্টারে পাঠাইছি ।
কাউন্টার আর আমার চেম্বার পাশাপাশি। উপরে খোলা। মাঝখানে থাইগ্লাস দিয়ে পার্টিশন করা। কথা বার্তা সব শোনা যায়।
যেহেতু কৃমিনাল অ্যাবরশন,হসপিটাল কর্তৃপক্ষও মুখিয়ে থাকে। টাকার পরিমাণ নিয়ে দর কষাকষি হচ্ছিলো।
টাকার পরিমাণ শুনে রোগীর বান্ধবী উত্তেজিত হয়ে উচ্চস্বরে বলে উঠল–"এখানে এত বেশি চান কেন ? আমি গতমাসে করাইছি ৩০০০ টাকা দিয়ে !

কি বুঝলেন ? না বুঝলে জাতীয় ওষুধ নাপা খান!

-ডা.ফাহমিদা মাহবুবা

পুরুষের সবচেয়ে বড় শত্রু তার নিজের পুরুষাঙ্গ । আর নারীর? আপনার প্যান্টের ভেতরের অঙ্গটিই কি আপনার ব্রেনকে কন্ট্রোল করে? ...
26/09/2025

পুরুষের সবচেয়ে বড় শত্রু তার নিজের পুরুষাঙ্গ । আর নারীর?

আপনার প্যান্টের ভেতরের অঙ্গটিই কি আপনার ব্রেনকে কন্ট্রোল করে? পুরুষের পতন কি তার নিজের রক্ত-মাংসে লেখা থাকে?
আর নারীর সর্বনাশ কি তার অফুরন্ত চাহিদার আগুনে?

আজ কোনো ভদ্রতার মুখোশ নয়, কোনো মিষ্টি কথার প্রলেপ নয়। আজ আমি, ফারহানা, সেই কদর্য, ভয়ংকর সত্যটা তুলে ধরব, যা আমাদের সমাজকে, সম্পর্কগুলোকে, আর আমাদের ভেতরকার সত্তাটাকে একটা অদৃশ্য ক্যান্সারের মতো কুরে কুরে খাচ্ছে।

ভয় পাবেন না, কারণ ভয় পেয়েই তো জীবনটা শেষ করে দিলেন। আজ মুখোমুখি হওয়ার দিন।

পুরুষ: আপনার সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতক কি আপনার নিজের শরীরেই বাস করে?

চলুন, সমস্ত ভনিতা আর সামাজিকতার দেয়াল ভেঙে আজ কথা বলি। একজন পুরুষ হিসেবে, আপনার জীবনের সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে বিধ্বংসী শত্রু কে? কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী? কোনো অশুভ শক্তি? নাকি আপনার ভাগ্য? না। আপনার সবচেয়ে বড় শত্রু আপনারই শরীরের একটি অংশ। হ্যাঁ, আমি আপনার সেই অঙ্গটির কথাই বলছি, যাকে ঘিরে আপনার পৌরুষের অহংকার, আপনার ক্ষমতার দম্ভ, আপনার আদিম অস্তিত্বের জানান। আপনার ‘নুনু’। যে অঙ্গটি আপনাকে সৃষ্টির স্বর্গীয় ক্ষমতা দিয়েছে, সেই অঙ্গটিই যখন আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন সেটি আপনার জন্য নরকের দরজা খুলে দেয়।

একবার আপনার জীবনের দিকে ফিরে তাকান। কতগুলো সাজানো স্বপ্ন, কতগুলো সুন্দর সম্পর্ক, কতগুলো উজ্জ্বল সম্ভাবনা শুধু এক মুহূর্তের শারীরিক উন্মাদনার কাছে বলিদান দিয়েছেন? আপনার প্যান্টের ভেতরের সেই আদিম আগ্নেয়গিরি যখন জেগে ওঠে, তখন কি আপনার মস্তিষ্ক, আপনার বিবেক, আপনার বছরের পর বছর ধরে অর্জিত জ্ঞান আর সম্মান—সবকিছু এক মুহূর্তে ছাই হয়ে যায় না?

আপনি একজন বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ মানুষ। আপনি জানেন কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল। আপনি আপনার স্ত্রী বা সঙ্গীকে ভালোবাসেন, তাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির মূল্য বোঝেন। কিন্তু যখন এক মুহূর্তের জন্য আপনার চোখের সামনে অন্য কোনো শরীর ভেসে ওঠে, তখন আপনার ভেতরের সেই নিয়ন্ত্রণহীন জানোয়ারটা জেগে ওঠে। সেই জানোয়ার আপনার সমস্ত বিবেককে গলা টিপে হত্যা করে। সে আপনাকে বোঝায়, "এটাই জীবন। একবারই তো সুযোগ। উপভোগ করে নাও।" আর আপনি, একজন শক্তিশালী পুরুষ, সেই কয়েক ইঞ্চি মাংসের দাসের মতো তার নির্দেশ পালন করেন।

আপনি ভাবেন, কেউ জানবে না। কিন্তু আপনি ভুলে যান, আপনার সবচেয়ে বড় বিচারক আপনি নিজেই। ক্ষণিকের উত্তেজনার পর যখন আপনি একা হন, তখন নিজের প্রতি যে ঘৃণা, যে আত্মগ্লানি অনুভব করেন, সেই নরকযন্ত্রণা থেকে আপনাকে কে মুক্তি দেবে? যে পুরুষ তার যৌন ইচ্ছাকে শাসন করতে পারে না, সে আসলে একজন ক্রীতদাস। তার শরীর তার কাছে একটা কারাগার। সে সারাজীবন শুধু তাৎক্ষণিক মুক্তির জন্য ছটফট করে, আর সেই মুক্তির লোভে সে তার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সবকিছু—বিশ্বাস, ভালোবাসা, সম্মান, শান্তি—একে একে হারাতে থাকে।

ইতিহাস সাক্ষী, পৃথিবীর বহু ক্ষমতাধর রাজা, জ্ঞানী ব্যক্তি, সফল মানুষ ধ্বংস হয়ে গেছে শুধু তাদের এই একটি দুর্বলতার কারণে। তাদের তলোয়ারের ধার, বুদ্ধির জোর—কোনোকিছুই তাদের কামনার আগুনের সামনে টিকতে পারেনি। আপনিও সেই একই ফাঁদে পা দিচ্ছেন না তো? আপনার জীবনের যত বিপর্যয়, যত অশান্তি, তার মূলে কি আপনার এই নিয়ন্ত্রণহীন শারীরিক ক্ষুধা দায়ী নয়? নিজেকে প্রশ্ন করুন। উত্তরটা যদি ভয়ঙ্কর হয়, তাহলে বুঝবেন, বিপদ সংকেত আপনার কানের পাশেই বাজছে। সময় থাকতে লাগামটা ধরুন, নইলে এই লাগামহীন ঘোড়া আপনাকে এমন জায়গায় আছড়ে ফেলবে, যেখান থেকে ফেরার কোনো পথ থাকবে না।

নারী: আপনার অতৃপ্ত লোভই কি আপনার শরীরকে পণ্য বানিয়ে তুলেছে?

এবার নারীদের দিকে আসি। সমাজের চোখে আপনারা কোমল, মমতাময়ী, ভালোবাসার প্রতিমূর্তি। কিন্তু আপনার বুকের ভেতরের সেই গোপন কুঠুরিতে কী বাস করে? সেখানে কি ভালোবাসা আর মমতার পাশাপাশি এক অতৃপ্ত, ক্ষুধার্ত রাক্ষসী বাস করে না? যে রাক্ষসীর খিদে কখনো মেটে না? আর সেই রাক্ষসীর নাম হলো ‘লোভ’।

আপনার স্বামী বা সঙ্গী আপনাকে ভালোবাসে। সে তার সাধ্যের সবটুকু দিয়ে আপনার সব চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করে। সে আপনাকে সম্মান দেয়, সময় দেয়, নিরাপত্তা দেয়। আপনার জীবনটা হয়তো অনেকের কাছেই স্বপ্নের মতো। কিন্তু আপনার মন ভরে না। কারণ, আপনার চোখ নিজের প্লেটের দিকে নয়, অন্যের প্লেটের দিকে। ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে অন্যের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা, বান্ধবীর নতুন ডায়মন্ডের নেকলেস, প্রতিবেশীর নতুন মডেলের গাড়ি—এই সবকিছু আপনার ভেতরের অতৃপ্তির আগুনে ঘি ঢালে। আপনার মনে হয়, "আমার যা আছে, তা যথেষ্ট নয়। আমার আরও চাই, আরও চাই, আরও চাই!"

এই ‘আরও চাই’ রোগটা এক ভয়ংকর মানসিক ক্যান্সার। এটা আপনার শান্তিকে কেড়ে নেয়, আপনার ঘুমকে নষ্ট করে দেয়। আপনার সঙ্গীর অক্লান্ত পরিশ্রম, তার ভালোবাসা, তার ত্যাগ—সবকিছু আপনার কাছে তুচ্ছ মনে হতে থাকে। আপনার চোখে তখন সে আর ভালোবাসার মানুষ থাকে না, হয়ে ওঠে আপনার অফুরন্ত চাহিদার জোগান দেওয়ার একটা মেশিন।

আমি বলছি, আমি নিজের চোখে দেখেছি কীভাবে এই সর্বনাশা লোভ একটা সাজানো সংসারকে ধ্বংস করে দেয়। যখন একজন নারীর স্বামী তার আকাশছোঁয়া চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, আর ঠিক সেই মুহূর্তে অন্য কোনো পুরুষ তার সামনে অর্থের ঝনঝনানি, ক্ষমতার হাতছানি আর বিলাসিতার রঙিন স্বপ্ন নিয়ে হাজির হয়, তখন কী হয়?

তখন কিছু নারী তার নীতি, আদর্শ, সততা, এমনকি তার নিজের শরীরকেও বিসর্জন দিতে দ্বিধা করে না। যে শরীরটা ছিল ভালোবাসার মন্দির, সেই শরীরকেই সে তার লোভ মেটানোর জন্য সবচেয়ে সহজ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। সে এক পুরুষের ভালোবাসা আর বিশ্বাসকে পায়ের নিচে পিষে অন্য পুরুষের অর্থে কেনা বিছানায় নিজেকে সঁপে দেয়। সে ভাবে, সে খুব চালাক। সে ভালোবাসা আর বিলাসিতা—দুটোই ভোগ করছে। কিন্তু সে আসলে নিজের আত্মাকেই একটু একটু করে বিক্রি করে দিচ্ছে।

এই ধরনের নারীরা ভুলে যায়, টাকা দিয়ে দামী অলংকার কেনা যায়, সম্মান নয়। টাকা দিয়ে বিলাসবহুল জীবন কেনা যায়, কিন্তু মানসিক শান্তি কেনা যায় না। যখন সেই অর্থদাতা পুরুষটি তাকে ব্যবহার করার পর ছুড়ে ফেলে দেয়, তখন সে না পায় সম্মান, না পায় ভালোবাসা। তার জন্য পড়ে থাকে শুধু একরাশ অনুশোচনা আর একাকীত্ব। যে নারী অল্পে তুষ্ট থাকতে জানে, যে তার সঙ্গীর পাশে থেকে শূন্য থেকে শিখরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে, সেই প্রকৃত রানী। আর যে নারী অন্যের তৈরি প্রাসাদের লোভে নিজের কুঁড়েঘরের রাজাকে ছেড়ে যায়, তার ভাগ্য দাসী হওয়া ছাড়া আর কিছুই লেখা থাকে না।

এতক্ষণ ধরে যে দুটি ভয়ংকর শত্রুর কথা বললাম—পুরুষের নিয়ন্ত্রণহীন ‘নুনু’ আর নারীর অতৃপ্ত ‘লোভ’—এগুলোই আপনার জীবনের ৭০ শতাংশ সমস্যার মূল কারণ। বিশ্বাস হচ্ছে না?

একবার ভাবুন, যে পুরুষ তার যৌন ক্ষুধাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিখে গেছে, সে কখনও বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। তার পরিবারে অশান্তি থাকবে না। সে তার সমস্ত শক্তি, মেধা আর সময় নিজের উন্নতিতে এবং পরিবারকে ভালোবাসায় ব্যয় করবে। তার জীবনে আসবে সফলতা, সম্মান আর মানসিক স্থিতি।

আর যে নারী তার লোভকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখে গেছে, সে তার সঙ্গীর অল্প আয়েও সুখী থাকবে। সে বাইরের চাকচিক্য দেখে হাহুতাশ করবে না। সে তার সঙ্গীর সবচেয়ে বড় শক্তি হয়ে উঠবে, বোঝা নয়। তাদের সংসারে থাকবে বিশ্বাস, বোঝাপড়া আর অফুরন্ত ভালোবাসা।

বিষয়টা খুবই সরল। আপনার যুদ্ধটা বাইরের কারো সাথে নয়, আপনার যুদ্ধ আপনার নিজের ভেতরের এই পশুটার সাথে। পুরুষকে তার প্যান্টের ভেতরের পশুটাকে বশ করতে হবে, আর নারীকে তার বুকের ভেতরের পশুটাকে।

আজ রাতেই সিদ্ধান্ত নিন। আপনি কি আপনার ভেতরের জানোয়ারটার দাস হয়েই জীবনটা কাটিয়ে দেবেন? নাকি তাকে শিকল পরিয়ে নিজের আত্মার অধিপতি হবেন?

পুরুষদের জন্য: আপনার আসল পৌরুষ আপনার নিয়ন্ত্রণহীনতায় নয়, আপনার কঠোর আত্মনিয়ন্ত্রণে। আপনার শক্তি হাজারটা শরীর জয় করায় নয়, একটা মনকে আজীবন বিশ্বস্ত থাকায়।

নারীদের জন্য: আপনার আসল সৌন্দর্য দামী পোশাকে নয়, আপনার তৃপ্ত হাসিতে। আপনার আসল শক্তি অন্যের সম্পদে নয়, নিজের সঙ্গীর প্রতি (অটুট) বিশ্বাসে।
আপনাদের বিচার করতে আসিনি। এসেছি শুধু আয়নাটা তুলে ধরতে। সেই আয়নায় নিজের প্রতিবিম্ব দেখে যদি ভয় লাগে, যদি নিজেকে অপরাধী মনে হয়, তাহলে জানবেন—এখনো সময় আছে। কাল সকালটা আপনার জন্য একটা নতুন সুযোগ। হয় নিজেকে বদলান, নয়তো এই আত্মবিধ্বংসী খেলায় তিলে তিলে শেষ হয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন। সিদ্ধান্ত আপনার।

'বিয়ে' তাকদীরে মুবরাম কিন্তু 'কার' সাথে বিয়ে হবে এইটা তাকদীরে মুআল্লাক। তাকদীরে মুবরাম হলো সেই তাকদীর যা পূর্বে থেকেই লি...
07/09/2025

'বিয়ে' তাকদীরে মুবরাম কিন্তু 'কার' সাথে বিয়ে হবে এইটা তাকদীরে মুআল্লাক।

তাকদীরে মুবরাম হলো সেই তাকদীর যা পূর্বে থেকেই লিপিবদ্ধ আছে এবং কোনো অবস্থাতেই খণ্ডনীয় নয় অর্থাৎ দুআর উছিলায় পরিবর্তিত হবে না। তাকদীরে মুআল্লাক হলো যে তাকদীর ঝুলন্ত সিদ্ধান্তের মতো থাকে অর্থাৎ দুআ/চেষ্টার উছিলায় পরিবর্তনীয়!

এবার বলি আসল কথা যা আমি বলতে চাইছিলাম,
অনেকে একটা কথা বলে থাকেন জন্ম মৃত্যু বিয়ে লিপিবদ্ধ আছে এর কোনো খণ্ডন হবে না। হ্যাঁ কথা সত্য তবে এখানে বিয়ে লেখা আছে বলতে এমনটা বোঝানো হয় যে 'জীবনসঙ্গী সুনির্ধারিত' কিন্তু মূলত এখানে ব্যাপারটা একটু ভিন্ন।

কারো 'বিয়ে হবে নাকি হবে না' এটা সুনির্ধারিত কিন্তু জীবনসঙ্গী কে হবে তা সুনির্ধারিত নয় বরং এটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার ঝুলন্ত সিদ্ধান্ত অর্থাৎ আপনি দুআ এবং উত্তমরূপে খোঁজ খবর নিয়ে প্রচেষ্টার দ্বারা একজন মনের মতো জীবনসঙ্গী পেতেও পারেন ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহর কাছে প্রকৃত তাকওয়াবান, উত্তম আখলাক এবং চক্ষুশীতলকারী জীবনসঙ্গী চান, সাথে এটাও চাইবেন যেনো আপনি তার জন্য চক্ষুশীতলকারিণী হন। যতই সুন্দর হোক দেখতে, তাকওয়া না থাকলে বাকি সবগুলো ধূলোয় মিশে যায়।

বই: বিবাহ_সমাচার
ড. শায়খ আলী তানতাভী

বিয়ে করে কি পেয়েছি?-বিয়ে করে সর্বপ্রথম একটা বউ পেয়েছি!-পকেটে একটা মোবাইল থাকার পরও সারাদিনে যখন একটাও কল আসেনা তখন একটা ...
31/07/2025

বিয়ে করে কি পেয়েছি?

-বিয়ে করে সর্বপ্রথম একটা বউ পেয়েছি!
-পকেটে একটা মোবাইল থাকার পরও সারাদিনে যখন একটাও কল আসেনা তখন একটা কল করে ' তুমি এখন কোথায়? বলার মানুষ পেয়েছি! তখন নিজেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ 'পাবলিক' মনে হয়।
- একজন কুকার/সেফ/পাঁচক/রাঁধুনি পেয়েছি। একটা ওয়াসিং মেশিন পেয়েছি। পাঞ্জাবীটা ময়লা হয়েছে বললেই, মেশিন অটো চলে!

-একটা অটো টেপরেকর্ডার পেয়েছি, মাঝে মাঝে 'কি-বোর্ড' টেপা ছাড়াই বাজতে থাকে! কখনো জোড়ে 'স্টপ' বললে বন্ধ হয়, কখনো শব্দ পরিবর্তন হয়ে 'বৃষ্টি' চালু হয়! কখনো 'হাইফাইভ' দেখালে অটো বন্ধ হয়ে যায়। বড় বিচিত্র এই রেকর্ডার!

-সপ্তাহ পাঁচ-সাত দিন পর পর অতি যত্ন সহকারে বাজার-সদায়ের লিস্ট ধরিয়ে দেয়ার জন্য একজন 'কেয়ারটেকার' পেয়েছি!
-আমার ঘরে রাত ১১টা সাড়ে ১১টার পর আমাকেই প্রবেশ নিষেধ বলে হুমকি দেয়ার 'দারোয়ান' পেয়েছি!

-ছোট একটা 'এলার্মক্লক' পেয়েছি!

-বাড়তি প্রাপ্তি হিসেবে শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি, শালা-শালী, সম্বন্ধী পেয়েছি। সম্পূর্ণ অপরিচিত কিছু মানুষকে নিকটাত্মীয় হিসেবে পেয়েছি।

-এত এত প্রাপ্তির মাঝে কিছু হারিয়েছিও! প্রথমত, কুমারত্ব হারিয়েছি ! (যদিও কোন মেডিকেল রিপোর্ট নাই)

-অতঃপর, মানিব্যাগ আর রিমোর্টের একছত্র অধিকার হারিয়েছি। মাঝে মাঝে মোবাইলটাও বেদখল হয়ে যায়!

সর্বশেষ সুখে- দুঃখ একটা কথা বলার সঙ্গী পেয়েছি!❤️

ছবি: কালেক্টড

প্রিয় সন্তান, আমি তোমাকে ৩ টি কারণে এই চিঠিটি লিখছি...১। জীবন, ভাগ্য এবং দুর্ঘটনার কোন নিশ্চয়তা নেই, কেউ জানে না সে কতদ...
31/07/2025

প্রিয় সন্তান, আমি তোমাকে ৩ টি কারণে এই চিঠিটি লিখছি...

১। জীবন, ভাগ্য এবং দুর্ঘটনার কোন নিশ্চয়তা নেই, কেউ জানে না সে কতদিন বাঁচবে।
২। আমি তোমার বাবা, যদি আমি তোমাকে এই কথা না বলি, অন্য কেউ বলবে না।
৩। যা লিখলাম, তা আমার নিজের ব্যক্তিগত তিক্ত অভিজ্ঞতা - এটা হয়তো তোমাকে অনেক অপ্রয়োজনীয় কষ্ট পাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।

জীবনে চলার পথে এগুলো মনে রাখার চেষ্টা কোরো...

১। যারা তোমার প্রতি সদয় ছিল না, তাঁদের উপর অসন্তোষ পুষে রেখো না। কারণ, তোমার মা এবং আমি ছাড়া, তোমার প্রতি সুবিচার করা কারো দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। আর যারা তোমার সাথে ভালো ব্যবহার করেছে - তোমার উচিত সেটার সঠিক মূল্যায়ন করা এবং কৃতজ্ঞ থাকা। তবে তোমার সতর্ক থাকতে হবে এজন্য যে, প্রতিটি মানুষেরই প্রতি পদক্ষেপের নিজ নিজ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। একজন মানুষ আজ তোমার সাথে ভালো - তার মানে এই নয় যে সে সবসময়ই ভালো থাকবে। কাজেই খুব দ্রুত কাউকে প্রকৃত বন্ধু ভেবো না।

২। জীবনে কিছুই কিংবা কেউই "অপরিহার্য" নয়, যা তোমার পেতেই হবে। একবার যখন তুমি এ কথাটির গভীরতা অনুধাবন করবে, তখন জীবনের পথ চলা অনেক সহজ হবে - বিশেষ করে যখন বহুল প্রত্যাশিত কিছু হারাবে, কিংবা তোমার তথাকথিত আত্মীয়-স্বজনকে তোমার পাশে পাবে না।

৩। জীবন সংক্ষিপ্ত। আজ তুমি জীবনকে অবহেলা করলে, কাল জীবন তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে। কাজেই জীবনকে তুমি যতো তাড়াতাড়ি মূল্যায়ন করতে শিখবে, ততোই বেশী উপভোগ করতে পারবে।

৪. ভালবাসা একটি ক্ষণস্থায়ী অনুভূতি ছাড়া কিছুই নয়। মানুষের মেজাজ আর সময়ের সাথে সাথে এই অনুভূতি বিবর্ণ হবে। যদি তোমার তথাকথিত কাছের মানুষ তোমাকে ছেড়ে চলে যায়, ধৈর্য ধরো, সময় তোমার সব ব্যথা-বিষন্নতা কে ধুয়ে-মুছে দেবে। কখনো প্রেম-ভালবাসার মিষ্টতা এবং সৌন্দর্যকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে না, আবার ভালবাসা হারিয়ে বিষণ্ণতায়ও অতিরঞ্জিত হবে না।

৫. অনেক সফল লোক আছেন যাদের হয়তো উচ্চশিক্ষা ছিল না - এর অর্থ এই নয় যে তুমিও কঠোর পরিশ্রম বা শিক্ষালাভ ছাড়াই সফল হতে পারবে! তুমি যতোটুকু জ্ঞানই অর্জন করো না কেন, তাই হলো তোমার জীবনের অস্ত্র। কেউ ছেঁড়া কাঁথা থেকে লাখ টাকার অধিকারী হতেই পারে, তবে এজন্য তাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে।

৬. আমি আশা করি না যে, আমার বার্ধক্যে তুমি আমাকে আর্থিক সহায়তা দিবে। আবার আমিও তোমার সারাজীবন ধরে তোমাকে অর্থ সহায়তা দিয়ে যাব না। যখনি তুমি প্রাপ্তবয়স্ক হবে, তখনি বাবা হিসেবে আমার অর্থ-সহায়তা দেবার দিন শেষ। তারপর, তোমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে - তুমি কি পাবলিক পরিবহনে যাতায়াত করবে, নাকি নিজস্ব লিমুজিন হাঁকাবে; গরীব থাকবে নাকি ধনী হবে।

৭. তুমি তোমার কথার মর্যাদা রাখবে, কিন্তু অন্যদের কাছে তা আশা করো না। মানুষের সাথে ভালো আচরণ করবে, তবে অন্যরাও তোমার সাথে ভালো থাকবে - তা প্রত্যাশা করবে না। যদি তুমি এটি না বুঝতে পারো, তবে শুধু অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রণাই পাবে।

৮. আমি অনেক বছর ধরে লটারি কিনেছি, কিন্তু কখনও কোন পুরষ্কার পাইনি। তার মানে হলো এই যে - যদি তুমি সমৃদ্ধি চাও তবে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। বিনামূল্যে কোথাও কিছু জুটবে না।

৯. তোমার সাথে আমি কতোটা সময় থাকবো - সেটা কোন ব্যাপার না। বরং চলো আমরা আমাদের একসাথে কাটানো মুহুর্তগুলো উপভোগ করি ...মূল্যায়ন করি।

ভালোবাসা সহ, তোমার বাবা।
এই বাবাটি হলেন একজন চাইল্ড সাইকোলজিষ্ট এবং হংকং-এর প্রখ্যাত টিভি সম্প্রচারকারী। তার কথাগুলো বয়োজ্যেষ্ঠ, বয়োকনিষ্ঠ, বৃদ্ধ কিংবা তরুন, শিশু, আমাদের সবার জন্যই প্রযোজ্য।

(সংগৃহীত)

27/07/2025

আমার বয়স এখন প্রায় চব্বিশ-পঁচিশ বছর। বিশ বছর হওয়ার আগে আমার দ্বীনি অবস্থা উন্নত ছিল। মস্তিষ্ক পরিষ্কার ছিল। ক্লাসে আমি একজন ভালো ও আদর্শ স্টুডেন্ট ছিলাম। কিন্তু কলেজে এডমিশন নেওয়ার পর ভালো অবস্থায় থাকা কোনো অংশেই কারামতের চেয়ে কম নয়। আপনিও আমাদের সহশিক্ষার ব্যাপারে ভালোই অবগত আছেন এবং পড়ালেখা শেষ করে পূত-পবিত্রতা ও সুচরিত্রতার সাথে বের হওয়া যে, কতটা অসম্ভব, তাও জানেন।
যেখানেই যাই, গুনাহের দৃশ্য দৃষ্টিগোচর হয়। সর্বত্র পাপের সয়লাব। এদিকে ঘরের পরিবেশ দ্বীনদার হওয়া সত্ত্বেও গুনাহের আখড়া হয়ে আছে। ভিসিআর ও টেলিভিশনের সমস্ত প্রোগ্রাম আমরা দেখি। দেখতে বাধ্য হতে হয়। কখনো কখনো বন্ধু-বান্ধব ও ক্লাসমেটরাও চলে আসে। একবার তো... (অপ্রকাশযোগ্য হওয়াতে এখানে ঘটনার প্রায় দশ লাইন উহ্য রাখলাম।)

এ জাতীয় আরও অন্যান্য ঘটনার কারণে আমার স্বাস্থ্য ভেঙে গেছে। পড়ালেখা বরবাদ হয়ে গেছে। এর জন্য আমার বিরাট ক্ষতি হয়েছে। আমি এখন ক্ষয়রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছি। নিয়মতিই প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে ধাতু বের হতে থাকে। ডাক্তারদের শরণাপন্ন হয়েছি। বহু রকমের চিকিৎসা করেছি, কিন্তু কোনোই উপকার পাচ্ছি না। তারা সকলেই আমাকে বিয়ের পরামর্শ দিয়েছেন। বিয়ে ছাড়া এ রোগ ভালো হবে না বলে তারা জানিয়েছেন। পিতা-মাতাকে আমি এ কথা জানিয়েছি। কিন্তু মাওলানা সাহেব! তারা কিছুতেই গ্র্যাজুয়েট কমপ্লিট করার আগে আমাকে বিয়ে করাবে না। আর এদিকে পড়ালেখা শেষ হতে আমার আরও চার-পাঁচ বছরের অধিক সময় বাকি।

এমতাবস্থায় আমার পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার নামান্তর। একজন তরুণ শিক্ষার্থীর যদি এই অবস্থায় হয়, তাহলে সে কীভাবে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারে?
অনুগ্রহপূর্বক আপনি এ ব্যাপারে আমাকে পরামর্শ দেবেন।

এক. আমি যদি এখন পড়ালেখা ছেড়ে দিয়ে চাকরি নিয়ে বিয়ে করি এবং পিতা-মাতা তাতে সন্তুষ্ট না থাকে, তাহলে আমার জন্য এর অবকাশ আছে কি? এক্ষেত্রে আমি কি পিতা-মাতার অবাধ্য বলে বিবেচিত হব?

দুই. উল্লিখিত অবস্থায় যদি পিতা-মাতা বিয়েতে প্রতিবন্ধক হয় এবং বিবাহ না করার দরুন আমার থেকে কোনো গুনাহ প্রকাশ পায়, তাহলে এর দায় কি তাদের ওপর বর্তাবে?'

পত্রের জবাব__

এক. উদ্ভুদ পরিস্থিতিতে আপনার কোনো নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে অথবা সরাসরি নিজেই আপনার অবস্থা লিখে পিতা-মাতাকে অবগত করুন। তারা যদি পড়ালেখা ছেড়ে চাকরি গ্রহণের ব্যাপারে সম্মত হয় এবং আপনাকে বিয়ে করিয়ে দেয়, তাহলে তারা অসন্তুষ্ট হয়-এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন না। আর যদি তারা তাতে রাজি না হয় এবং আপনার বিয়ে করার সামর্থ্য থাকে, তাহলে আপনি নিজেই বিয়ে করে নিন। আপনার জন্য এই মুহূর্তে বিয়ে করা ফরজ। এমন পরিস্থিতিতে পিতা-মাতার আনুগত্য আবশ্যক নয়। যদি বিয়ে করার সামর্থ্য আপনার না থাকে, তাহলে চাকরি নিয়ে বিয়ের সামর্থ্য অর্জন করে তারপর বিয়ের করুন। আর সামর্থ্য না হওয়া পর্যন্ত রোজা রাখতে থাকুন।

দুই. এমতাবস্থায় যদি আপনি পিতা-মাতার কথানুযায়ী বিয়ে না করেন এবং এর জন্য গুনাহে লিপ্ত হন, তাহলে আপনি ও আপনার পিতা-মাতা সকলেই কবিরা গুনাহের অপরাধী হবেন।

বই- বিয়ে ও রিজিক

বি:দ্র: আপনার জন্য বিয়ে করা ফরজ হয়ে গেলে, এই ক্ষেত্রে পিতা-মাতার আনুগত্য করা আবশ্যক নয় এবং তাদের অবাধ্য হয়ে বিয়ে করলে শরিয়তে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
এবং বিয়ে না করে কোনো গুনাহে লিপ্ত হলে এর দায় পিতা-মাতাকেও নিতে হবে। অর্থাৎ সবারই কবিরা গুনাহ হবে।

প্রথমে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করুন। কোনমতে পড়াশোনা শেষ করে বিয়ে করুন। ন্যূনতম প্ল্যানিং ছাড়াই বাচ্চা পয়দা করুন...
17/06/2025

প্রথমে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করুন। কোনমতে পড়াশোনা শেষ করে বিয়ে করুন। ন্যূনতম প্ল্যানিং ছাড়াই বাচ্চা পয়দা করুন। এরপর শুরু করুন আসল গেম …

যেহেতু আপনার বেশি টাকা নেই, তাই আপনার সন্তানকে একটি বাল-ছাল স্কুলে ভর্তি করান। সবচেয়ে ভালো হয় সরকারি স্কুল কিংবা হালকা-পাতলা নাম আছে – এমন কোনো স্কুলে ভর্তি করালে। কারণ আপনি যেই সমাজে থাকেন, সেখানে তথাকথিত সরকারি স্কুল কিংবা কিঞ্চিৎ নামী স্কুল একটা স্ট্যাটাসের বিষয় হলেও সেখানে পড়াশোনার নামে হয় না বাল্ডাও। সেখানে শিক্ষকেরা একটা প্রাচীন, ধ্বজভঙ্গ সিলেবাস ধরে পড়ায়; যার মূল উদ্দেশ্য দু’টো। এক, এই শিক্ষকরা যাতে সহজে বেতন নিয়ে বাসায় গিয়ে প্রাইভেট বাণিজ্য করতে পারে। আর দুই, সরকার যেন ভবিষ্যত প্রজন্ম হিসেবে থটলেস, ব্রেইনলেস, কনফিডেন্সলেস গ্রুপ অব স্লেইভস পায়। যাদের পলিটিক্যালি, রিলিজিয়াসলি, ন্যাশনালি ম্যানিপুলেট করা সুপার ইজি। অবশ্যই এমন স্কুলে ভর্তি করবেন, যেন আপনার সন্তান স্কুলের নাম শুনলেই কাঁদে। স্কুলের যে এমন হওয়া উচিত, যে বাচ্চারা সেখানে আগ্রহ নিয়ে যেতে চাইবে – এসব জানার আপনার প্রয়োজনই নেই। উল্টো শিক্ষকেরা ধরে মারধোর, গালি-গালাজ করলে সন্তানকে বলবেন, ঠিকই তো আছে!

এবার শিশুর যে মানসিক বিকাশ দরকার, সেটা সম্পূর্ণ ভুলে যান। ঢাকায় এমনিতেই খেলার জায়গা নেই, তাই সন্তানকে খেলাধুলা করানোর প্রশ্নই আসে না। এছাড়াও যে সকল অ্যাকটিভিটি এ বয়সে ব্রেইনের ক্যাপাসিটি বাড়ায়, স্মার্ট বানায়, সেসব নিয়েও কোন চিন্তাই করবেন না। বাচ্চাদের মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট, আঁকা-আঁকি, বই পড়া, টুক-টাক লেখালিখি তথা যেকোনো প্রকারের ক্রিয়েটিভিটির চর্চা শেখানোকে চোদনামি ভাবুন। তাকে বাসায় একটা ফোন দিয়ে আটকে রাখুন। সোশ্যালাইজিং স্কিল তাতে পুটুম্রা খাক, সেসব মোটেও আপনার মাথা ব্যথা হওয়ার কথা না।

এরপর একটু বড় হলেই তাকে বোঝান যে সে যদি এ+ না পায়, সমাজে আপনাদের মুখ দেখানোর জায়গা থাকবে না। তাকে চরম প্রেশারে রাখুন। সবচেয়ে ভালো হয় আপনার পরিমন্ডলে থাকা বাচ্চাদের সাথে তাকে প্রায়ই কম্পেয়ার করলে। তাকে বলুন, যে অমুকেও ভাত খায়। তুইও খাস। ও পারে, তুই পারিস না ক্যান? তার সামনে কয়েকটা লক্ষ্য বেঁধে দিন। বলুন যে পৃথিবীর একমাত্র পেশা হচ্ছে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকার আর নাহলে বিসিএস ক্যাডার। এগুলো না হতে পারলে জীবনের কোন অর্থ নেই …

তাকে চরম স্ট্রাগল করে মেট্রিক, ইন্টার পাশ করতে দিন। তারপর শুরু করুন গেমের দ্বিতীয় অধ্যায়। তাকে বোঝান, যে পাবলিকে চান্স না পেলে তোমার জীবন শেষ। আপনার সমস্ত চেষ্টার পরও যে যদি ভুলেও কোন হবি বা স্কিল ডেভলপ করে, সেসবকে অপ্রয়োজনীয় বোঝাতে আপনার সর্বোচ্চ শক্তি ব্যয় করে সেটাকে ধ্বংস করার এটাই প্রকৃত সময়। তাকে ডিপ্রেশন, এনজাইটি, সোশ্যাল অকওয়ার্ডনেস ডেভলপ করতে সাহায্য করুন। তাকে বলুন যে তার পড়াশোনা ও খাওয়ানোর পেছনে কি পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে, তাকে “এই পর্যায়ে” নিয়ে আসতে আপনার কি পরিমাণ বাল ছিঁড়তে হয়েছে …

তারপর সে যদি পাবলিকে চান্স পায়, তো ভালো। আর বাই এনি চান্স না পেলে যদি তাকে ন্যাশনাল কিংবা প্রাইভেটে ভর্তি করাতে হয়, তাহলে তাকে প্রতিনিয়ত সে যে কতোবড় অথর্ব, সেটা মনে করিয়ে দিতে ভুলবেন না। ভার্সিটিতে উঠে সে যখন দেখবে তার আশে-পাশের পোলাপান সোশ্যাল স্কিলে অনেক স্মার্ট, ভালো ইংরেজি বলতে পারে, ট্রেন্ডিং স্কিল আছে, ক্রিয়েটিভ স্কিল আছে, মোদ্দাকথা যে যখন লেফ্ট আউট ফিল করবে, তখন তাকে বলুন, মানুষের পোলাপান কতো কিছু পারে, আর তুই?

তাকে বোঝান যে, যেহেতু আপনি গরিব, আপনি জীবনে একটা বালের চাকরি ছাড়া আর কিছুই করতে পারেননি, তাই তাকে ইনস্যুরেন্স পলিসি হিসেবে পয়দা করেছেন। আপনি, আপনার পরিবার, আপনার খানদান যে অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি করেছেন, তা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ যে আপনার সন্তান; এ জিনিসটা তার মাথায় ঢুকিয়ে তাকে প্রেশার দিয়ে পাগল বানিয়ে দিন। ডিপ্রেসড হলে, মাথায় সুইসাইডাল থট আসলে তাকে বলুন যে মোবাইল না টিপলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।

এভাবে সে কোনমতে ভার্সিটিটা পাশ করা মাত্র শুরু করুন গেমের তৃতীয় অধ্যায়। চাকরি না পাওয়া অবধি সে যে পরিবারের একটা বোঝা, সেটা প্রতিদিন মনে করিয়ে দিন। মানুষের ছেলে-মেয়ে কত এগিয়ে গিয়েছে, কার বেতন কত, কে কত ভালো পজিশনে আছে – এটাকেই বাসার প্রধান আলোচনায় নিয়ে আসুন। তাকে বলুন এন সংখ্যক মাইল হেঁটে, এক্স সংখ্যক কিলোমিটার নদী সাঁতরে আপনারা পড়াশোনা করে “এই পর্যায়ে” এসেছেন। সে “সবকিছু” পেয়েও কেন পারছে না?

এরপর শুরু করুন গেমের ফাইনাল স্টেজ।

তাকে বোঝান যে আপনাদের বয়স বাড়ছে। আর বেশিদিন পৃথিবীতে থাকবেন না। সন্তানের বৌ/জামাই দেখতে চান। দাদা-দাদী, নানা-নানী ডাক শুনতে চান। এদিকে তাকে সমাজের বোঝা হিসেবে বড় করায় তাকে যে কেউ পাত্তাই দেয় না, সেটা নিয়ে আপনার ভাবার কোন দরকার নেই। তাকে জোরপূর্বক পাত্র-পাত্রী দেখানো শুরু করুন। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ বিষয়টা সিস্টেমেটিক। কে কি পাচ্ছে, সেটা অনেকাংশেই মূখ্য। আপনার সন্তানের যে কিছুই দেওয়ার নেই – এই তথ্যটা তখনই তার মাথায় সেট করে দেওয়ার আদর্শ সময়। প্রতিটা চাকরির পরীক্ষা/ইন্টারভিউয়ের আগে তাকে প্রেশারে রাখুন, রেজাল্ট শুনে মুখ কালো করে এমনভাবে “কি সন্তান জন্ম দিয়েছি” বলুন, যেন সে ভাবে বাচ্চা পয়দা করার পরিকল্পনাটা আপনাদের ছিলো না, বরং সে-ই উপর থেকে আপনাদের সিগন্যাল দিয়েছিলো পয়দা হওয়া জন্য।

এভাবে ধীরে ধীরে আপনার সন্তানের জীবনটা তছনছ করে দিন।

দেখবেন, প্রচন্ড লালো ভাগবে।
🤡🤡🤡

05/06/2025

আমরা আবার মাস্ক পরার দিকে ফিরে যাচ্ছি। COVID-Omicron XBB অতীতের থেকে আলাদা কারণ এটি মারাত্মক এবং সনাক্ত করা সহজ নয়, তাই সকলকে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রাজশাহীতে নতুন ভাবে ৯ জনের করোনা শনাক্ত!

১. নতুন COVID-Omicron XBB এর লক্ষণগুলি হল:

i). কাশি নেই।
ii). জ্বর নেই।
বেশিরভাগ লক্ষণগুলি নিম্নরূপ।

iii). জয়েন্টে ব্যথা।

iv). মাথাব্যথা।
v). গলা ব্যথা।

vi). পিঠে ব্যথা।

vii). নিউমোনিয়া।

viii). ক্ষুধা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে।

২. এছাড়াও, COVID-Omicron XBB ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ৫ গুণ বেশি বিষাক্ত এবং এর মৃত্যুর হারও বেশি।

৩. খুব অল্প সময়ের মধ্যে লক্ষণগুলি অত্যন্ত তীব্র হয়ে উঠবে এবং স্পষ্ট লক্ষণগুলির অনুপস্থিতিতেও পরিবর্তন ঘটবে।

৪. তাই আপনাকে আরও সতর্ক থাকতে হবে।

* এই রূপটি নাসোফ্যারিঞ্জিয়াল অঞ্চলে পাওয়া যায়নি, এবং তুলনামূলকভাবে অল্প সময়ের মধ্যে এটি সরাসরি ফুসফুসের "জানালা" প্রভাবিত করে এবং নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখাতে শুরু করে।

৫. COVID-OmicronXBB-তে সংক্রামিত অল্প সংখ্যক রোগীকে জ্বর-মুক্ত এবং ব্যথা-মুক্ত হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়, তবে এক্স-রেতে হালকা নিউমোনিয়া দেখা যায়। এছাড়াও, নাকের গহ্বরের মধ্য দিয়ে তুলার সোয়াব পরীক্ষা করে COVID-Omicron XBB নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং নাসোফ্যারিঞ্জিয়াল পরীক্ষার সময় মিথ্যা নেতিবাচক পরীক্ষার উদাহরণ বাড়ছে। তাই এই ভাইরাসটি খুবই ধূর্ত। এর ফলে, ভাইরাসটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে, সরাসরি মানুষের ফুসফুসকে সংক্রামিত করে, ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে এবং তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি করে। এটি ব্যাখ্যা করে যে কেন COVID-Omicron XBB এত সংক্রামক এবং মারাত্মক হয়ে উঠেছে। *

৬. যতটা সম্ভব জনাকীর্ণ স্থান এড়িয়ে চলুন, খোলা জায়গায় এমনকি ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন, মাস্কের উপযুক্ত স্তর পরুন এবং লক্ষণ ছাড়া কাশি বা হাঁচি না দিলে ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিন।

এই COVID-Omicron XBB "WAVE" প্রথম COVID-19 মহামারীর চেয়েও মারাত্মক।
* অতএব, বিচক্ষণ, বৈচিত্র্যময় এবং নিবিড় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক।

নিরাপদ থাকার জন্য বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরতে ভুলবেন না।

©

নিজেকে শক্ত করে গড়ে নিও, এই শহরে খারাপ পরিস্থিতি তে কেউ পাশে থাকে না(:🥺
02/06/2025

নিজেকে শক্ত করে গড়ে নিও, এই শহরে খারাপ পরিস্থিতি তে কেউ পাশে থাকে না(:🥺

Address

Thakurgaon
5110

Telephone

+8801537330630

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when SIFAT BABU posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to SIFAT BABU:

Share