13/10/2024
সমালোচনা বলতে আমি বুঝি-
আদব ও আখলাকিয়্যাতের মধ্য দিয়ে সমালোচনা করা।
শ্রদ্ধেয় "আলেমদের" আপত্তিকর বক্তব্যগুলোতে
১মত আমাদের উচিত শরীয়তের ব্যাখ্যা খোঁজা।
অর্থাৎ বক্তব্যে ইতিবাচকতা কী আছে তা বের করা।
ব্যাখ্যা না পেলে/নেতিবাচক হলে নিজেরা "কাফের, মুনাফেক, মুশরিক, যিন্দীক, লোভি, মূর্খ, ভণ্ড, অজ্ঞ" ইত্যাদি ফতোয়া না দিয়ে ভুল/সঠিক সর্বত্র ইনসাফ রাখতে, মধ্যমপন্থা অবলম্বনের খাতিরে আদবের সাথে বিরত থাকবো। আপসোস হয়! কারও আপত্তিকর বয়ান ও কর্মগুলোকে আমরা লম্বাচওড়া করে কুফর আর শেরেক পর্যন্ত নিয়ে যাই। অন্যদিকে.. মন্তব্য করা কিন্তু সহজ নয়। কেন না আলেমদের থেকে আমরা জ্ঞানে>জ্ঞানশূন্য, গুণে>গুনশূন্য। বাহ্যিক/অভ্যন্তরীণ ও ইলমী জ্ঞানে-গুণে তাঁদের সামনে আমরা শিশুসুলভ হওয়া সত্ত্বেও নিজেরা বিচারক হয়ে অশালীন মন্তব্য করে জাতির কাছে তাঁদের ঘৃণিত এবং নিজেরে অশালীন করেই চলেছি!?
তাঁদের সংশোধনের জরুরত হলে, আমাদের বড়োজন উক্ত আলেমের সাথে কথা বলবেন।
সমালোচনা যেনো হয় শুধুমাত্র সাহাবাওয়ালা পন্থায় যেটা ইনশাআল্লাহ পারবেন আমাদের বয়োজ্যেষ্ঠ আলেমগণ।
আলেমরাও মানুষ, তো মানুষের কি ভুল হয় না? হয়। কিন্তু ভুলেরও যে সুন্দর, সাবলীল আর মার্জিত সমালোচনা করা যায় সেটার চর্চা আমাদের মধ্যে সক্রিয় করতে হবে।
আল্লাহ আমাদের বুঝ দান করুক, ফেতনা থেকে হেফাজত করুক ইসলামি জীবনব্যবস্থায় প্রশংসনীয় অবস্থানে চলমান থাকবে মুরুব্বীদের অধীন করুক। (আমিন)