19/04/2025
-----------আমাদের মিলন----------
মিয়ানমারে উদ্ধার অভিযানে পীরগঞ্জের মিলন,ফিরলেন অভিজ্ঞতা নিয়ে
হেলমেটটা ঘামে ভিজে গেছে। হাতে ড্রিল মেশিন, মুখে মাস্ক। ধসে পড়া একটি পাঁচতলা ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে শরিফুল ইসলাম মিলন তখন প্রস্তুত আরেকটি যুদ্ধের জন্য। তবে এই যুদ্ধ শত্রুর বিরুদ্ধে নয়, এ যুদ্ধ মানুষকে বাঁচানোর!
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা থেকে উঠে আসা পঁচিশ বছর বয়সী তরুণ শরিফুল ইসলাম মিলন এখন ফায়ার সার্ভিসের একজন প্রশিক্ষিত ফায়ার ফাইটার। পেশাগত পরিচয়ের বাইরেও মিলন হচ্ছেন সেই মানুষ, যিনি মানুষের কান্না শোনেন ধ্বংসস্তূপের নিচে। থেমে যান না যতক্ষণ না কাউকে খুঁজে বের করেন।
সম্প্রতি মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাঠানো ৫৫ সদস্যের উদ্ধার ও চিকিৎসা দলে ছিলেন মিলন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত এই মিশনে তাঁর ভূমিকা ছিল সামনে থেকে।
শরিফুল ইসলাম মিলন বলছিলেন, ‘আমরা যখন পৌঁছালাম, পুরো শহর থমকে গেছে। আমরা একটা পাঁচতলা ভবনের ধ্বংসাবশেষে ঢুকি। অনেকক্ষণ খুঁজে একজনকে পাই। তবে তিনি আর বেঁচে ছিলেন না।"
এক সপ্তাহের বেশি সময় মিয়ানমারে কেটেছে মিলনদের মতো উদ্ধারকারী সদস্যদের নিদ্রাহীন।
মিলন আরো বলেন, ‘আমার পরিচয় এখন শুধু ফায়ার ফাইটার না, একজন মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়।’
শরিফুল ইসলাম মিলনের মতো মানুষরা যখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্যের জীবন বাঁচাতে যান, তখন বোঝা যায়, দায়িত্ব কেবল চাকরি নয়, সেটা এক ধরনের ভালোবাসাও।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।।