রসুলপুর সার্বজনীন দূর্গাপূজা উৎসব কমিটি

  • Home
  • Bangladesh
  • Thakurgaon
  • রসুলপুর সার্বজনীন দূর্গাপূজা উৎসব কমিটি

রসুলপুর সার্বজনীন দূর্গাপূজা উৎসব কমিটি মন হল মন্দির । It's Founded on 1960 Bengoli 1367

13/10/2025
29/09/2025

রসুলপুর সার্বজনীন দূর্গাপূজা উৎসব কমিটি Opening Theme

29/09/2025
কলাবউ পূজাকলাবউ পূজা আসলে নবপত্রিকা পূজা-রই আরেক নাম।🔹 কলাবউ মানে কী?“কলা” মানে কলাগাছ, আর “বউ” মানে নববধূ।সপ্তমীর সকালে...
29/09/2025

কলাবউ পূজা

কলাবউ পূজা আসলে নবপত্রিকা পূজা-রই আরেক নাম।

🔹 কলাবউ মানে কী?

“কলা” মানে কলাগাছ, আর “বউ” মানে নববধূ।

সপ্তমীর সকালে কলাগাছকে স্নান করিয়ে, শাড়ি পরিয়ে, দেবী দুর্গার আসনে স্থাপন করা হয়। তখনই তাকে বলা হয় কলাবউ।

🔹 কেন বউ বলা হয়?
লোকবিশ্বাসে কলাবউকে অনেক সময় গণেশের পত্নী হিসেবে ধরা হয়। আবার শাস্ত্রে বলা হয়, নবপত্রিকা দেবী দুর্গারই এক অঙ্গরূপ।

🔹 পূজার ধাপ:

ভোরে কলাগাছসহ নয়টি গাছ (নবপত্রিকা) গঙ্গা বা পবিত্র জলে স্নান করানো হয়।

স্নানের পর শুদ্ধ কাপড়ে (সাধারণত সাদা লালপাড় শাড়ি) সাজানো হয়।

কলাগাছকে দেবীর মণ্ডপে বসিয়ে পূজা করা হয়।

এরপর দেবীর পূজার সঙ্গে নবপত্রিকাও পূজিত হয়।

🔹 গুরুত্ব:
কলাবউ পূজার মাধ্যমে প্রকৃতির শক্তিকে দেবীর সঙ্গে একাত্ম করা হয়। কৃষিজ সমাজে ধান, কলা, হলুদ ইত্যাদি ফসলকে দেবীর কৃপা হিসাবে মানা হয়। তাই কলাবউ হলো সমৃদ্ধি, অন্নভাণ্ডার ও প্রকৃতির প্রতীক।

👉 সহজ কথায়, কলাবউ পূজা মানেই মহাসপ্তমীর সকালে কলাগাছকে বউরূপে সাজিয়ে দেবীর অঙ্গরূপে পূজা করা।

নবপত্রিকা পূজানবপত্রিকা পূজা দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যাকে বাংলায় অনেকে কোলাবউ বলেও চেনেন।🔹 অর্থ:"নব" মানে ন...
29/09/2025

নবপত্রিকা পূজা

নবপত্রিকা পূজা দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যাকে বাংলায় অনেকে কোলাবউ বলেও চেনেন।

🔹 অর্থ:
"নব" মানে নয় আর "পত্রিকা" মানে পাতা/গাছের পত্রবিশেষ। দেবী দুর্গার পূজায় নয় প্রকার গাছ বা উদ্ভিদকে একত্রে বাঁধা হয় এবং দেবীর সঙ্গে পূজিত হয়।

🔹 নয়টি গাছ (নবপত্রিকা):

কলা (কদলী)

কচু

হলুদ

জয়ন্তী

বিল্ব (বেল)

দাড়িম্ব (ডালিম)

অশোক

ধান

মান/অরুম গাছ (মনির মানা)

🔹 পদ্ধতি:

মহাসপ্তমীর ভোরে ঘাটে গিয়ে নবপত্রিকা সংগ্রহ করে গঙ্গাজল বা পবিত্র জলে স্নান করানো হয়।

তারপর হলুদ মাখানো নতুন শাড়ি (সাধারণত লাল-পাড় সাদা শাড়ি) দিয়ে সাজিয়ে কলাগাছকে দেবী রূপে স্থাপন করা হয়।

নবপত্রিকাকে দেবী দুর্গার অঙ্গ বা বিশেষভাবে গণেশের পত্নী (কোলাবউ) রূপে পূজা করা হয়।

🔹 গুরুত্ব:
নবপত্রিকা প্রকৃতির শক্তির প্রতীক। কৃষিনির্ভর সমাজে ধান, কলা, হলুদ ইত্যাদি ফসল ও ভেষজ উদ্ভিদকে দেবীর সঙ্গে একাত্ম করে পূজা করা হয়, যেন সারা বছর অন্নসম্ভার ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।

👉 সহজ ভাষায়, নবপত্রিকা পূজা মানে হলো প্রকৃতির নয়টি গাছকে দেবীর অঙ্গরূপে পূজা করা, যা মহাসপ্তমীর সকালে হয়।

কল্পারম্ভ হলো দুর্গাপূজার অন্যতম প্রধান সূচনাপর্ব।🔹 অর্থ: "কল্প" মানে হলো সঙ্কল্প বা মনের মধ্যে স্থির সিদ্ধান্ত, আর "আরম...
28/09/2025

কল্পারম্ভ হলো দুর্গাপূজার অন্যতম প্রধান সূচনাপর্ব।

🔹 অর্থ: "কল্প" মানে হলো সঙ্কল্প বা মনের মধ্যে স্থির সিদ্ধান্ত, আর "আরম্ভ" মানে শুরু। সুতরাং কল্পারম্ভ মানে হলো পূজার সূচনার জন্য সঙ্কল্প গ্রহণ করা।

🔹 কখন হয়: সাধারণত মহাষষ্ঠীর সকালে কল্পারম্ভ অনুষ্ঠিত হয়। এই আচার দিয়ে দেবী দুর্গার মূল পূজা শুরু হয়।

🔹 পদ্ধতি:

পুরোহিত প্রথমে স্নান-ধ্যান করে ঘটস্থাপন করেন।

জলভরা ঘটের উপর আম্রপল্লব ও নারকেল স্থাপন করা হয়।

ঘটের ভিতরে দেবীর আহ্বান করা হয়।

এর মাধ্যমে পূজার চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শাস্ত্রসম্মতভাবে শুরু হয়।

🔹 গুরুত্ব: কল্পারম্ভ মূলত দেবীকে আহ্বান জানানোর একটি আচার। এটি না করলে পূজা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় না।

👉 সহজভাবে বললে, কল্পারম্ভ মানেই মহাষষ্ঠীর সকালে সঙ্কল্প গ্রহণ করে দেবী দুর্গার পূজার আনুষ্ঠানিক সূচনা।

অকাল বোধন শব্দটির অর্থ হলো — দেবী দুর্গার পূজা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শুরু করা।🔹 শাস্ত্র অনুসারে দুর্গাপূজা মূলত শরৎকালে,...
28/09/2025

অকাল বোধন শব্দটির অর্থ হলো — দেবী দুর্গার পূজা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শুরু করা।

🔹 শাস্ত্র অনুসারে দুর্গাপূজা মূলত শরৎকালে, আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত হয়। কিন্তু রামচন্দ্র যখন রাবণের সঙ্গে যুদ্ধ করার আগে দেবী দুর্গাকে পূজা করেছিলেন, তখন সেটা ছিল শরৎ ঋতুর আগে, অর্থাৎ অকাল সময়ে। তাই সেই পূজাকেই বলা হয় “অকাল বোধন”।

🔹 পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, রামচন্দ্র ১০৮টি নীলপদ্ম দিয়ে দেবীর পূজা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু একটি পদ্ম কম পড়ায় তিনি নিজের পদ্মসম চোখ দেবীকে অর্পণ করতে উদ্যত হন। তাঁর সেই ভক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে দেবী দুর্গা রামের অকাল পূজায় বোধিত (জাগ্রত) হন।

🔹 বর্তমান সময়ে মহালয়ার দিনে অকাল বোধন হয় — ভোরে চণ্ডীপাঠ, দেবীর আহ্বান এবং পূজারম্ভের আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুর্গাপূজার সূচনা হয়।

👉 সংক্ষেপে, অকাল বোধন মানেই দেবী দুর্গার আগাম পূজার সূচনা, যা মহালয়ার দিন পালন করা হয়।

বিল্ব নিমন্ত্রণদুর্গাপূজার ষষ্ঠী তিথিতে মায়ের পূজার সূচনা হয়। এর আগে দেবী দুর্গাকে আনুষ্ঠানিকভাবে "নিমন্ত্রণ" জানানো হয়,...
27/09/2025

বিল্ব নিমন্ত্রণ

দুর্গাপূজার ষষ্ঠী তিথিতে মায়ের পূজার সূচনা হয়। এর আগে দেবী দুর্গাকে আনুষ্ঠানিকভাবে "নিমন্ত্রণ" জানানো হয়, যেটাকেই বলা হয় বিল্ব নিমন্ত্রণ। এখানে বিল্বপাতা (বেলপাতা) মূল প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

আচার-প্রক্রিয়া

পূজার আগের দিন (পঞ্চমী রাত্রি বা ভোরে ষষ্ঠীর আগে) বিল্বপত্র, আম্রপল্লব, ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য নিয়ে মাকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়।

মায়ের আগমনের প্রতীক হিসেবে গঙ্গার জলে বা পুকুরের জলে নিমন্ত্রণ করা হয়।

পুরোহিত বা গৃহস্থ বলতেন —
“আগমনী মন্ত্র পাঠ করে, হে মা দুর্গা, আপনাকে আমাদের গৃহে বা মণ্ডপে পূজার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”

এর মাধ্যমে বিশ্বাস করা হয় যে দেবী দুর্গা কৈলাস থেকে তাঁর সন্তানদের নিয়ে পৃথিবীতে এসে পূজার আসন গ্রহণ করবেন।

তাৎপর্য 🌸

বিল্বপাতা শিবের প্রিয়, আর দুর্গা শিবান্বিতা; তাই বিল্বপাতার মাধ্যমে মায়ের আহ্বান।

এটি পূজার আনুষ্ঠানিক সূচনা, যেন দেবী নিজে এসে বসেন।

লোকাচারে এখনও অনেক জায়গায় পুকুরে প্রদীপ ভাসিয়ে বা বিল্বপাতা জলে ফেলে এই নিমন্ত্রণ করা হয়।

🔸সংস্কৃত মন্ত্র
एहि देहि महादेवि महाबले महाभुजे।
गृहाणाचलनं देवि त्वामहं प्रार्थये सदा॥

🔸বাংলা উচ্চারণ
এহি দেহি মহাদেবী মহাবলে মহাভুজে।
গৃহাণাচলনং দেবী ত্বামহং প্রার্থয়ে সदा॥

🔸 অর্থ
হে মহাদেবী, মহাশক্তিশালী, মহাবাহু দুর্গা—
আমার এই আহ্বান গ্রহণ করুন, আপনাকে আমি পূজার আসনে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

✨ এরপর বিল্বপাতা, আম্রপল্লব, প্রদীপ, ধূপ, ফুল ও অঞ্জলি দিয়ে দেবীকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়।

20/06/2024

Address

Thakurgaon
5102

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when রসুলপুর সার্বজনীন দূর্গাপূজা উৎসব কমিটি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to রসুলপুর সার্বজনীন দূর্গাপূজা উৎসব কমিটি:

Share