16/10/2024
টিকটক (Tik Tok) হচ্ছে বর্তমানে বহুল আলোচিত এবং জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যেখানে নাচ, গান, কৌতুক, এবং শিক্ষনীয় বিষয়ের উপর ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ৬০ সেকেন্ডের ভিডিও বানানো যায়। বর্তমানে টিকটক ব্যবহার করে খুব সহজেই অনেকে টিকটক মার্কেটিং (Tiktok Marketing) করছে এবং নিজের বিজনেসকে প্রমোট করছে। বর্তমান ইয়াং জেনারেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের কাছে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে এই টিকটক। সঠিকভাবে টিকটক মার্কেটিং-কে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ে প্রসারের মাধ্যমে উদ্যোক্তা জীবনে চ্যালেঞ্জ গুলো অনেকটাই কমে এসেছে।
আসুন জেনে নেই কিভাবে সাকসেসফুল্লি টিকটক মার্কেটিং করা যায়?
টিকটক মার্কেটিং (TiKTOK Marketing) এর সেরা দশটি স্ট্র্যাটেজি
সঠিক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন
ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রামের মত টিকটক ব্যবহারকারীদেরও নির্ভর করতে হয় হ্যাশট্যাগের উপর। ব্যবহারকারীদের ভিডিও ক্যাটাগরাইজড করতে ভিডিও ক্লিপ অনুযায়ী হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হয়। যদি ব্যবহারকারীগন ডিসকভার অপশনে ক্লিক করে তারা হ্যাশট্যাগ অনুযায়ী ভিডিও লিস্ট দেখতে পাবে। টিকটক মার্কেটিং এর জন্য এই হ্যাশট্যাগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যেটা ব্যবহারকারীর কনটেন্টের রিচ বাড়ায়, ফলোয়ার বাড়ায় এবং কম্পিটিটর সনাক্ত করে।
জনপ্রিয় কিছু টিকটক হ্যাশট্যাগগুলো হলোঃ
বর্তমান টিকটক ট্রেন্ডগুলো অনুসরণ করুন
ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে আপনি আরো একটি টিকটক মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করতে পারেন। আপনি ট্রেন্ডিং ভিডিও গুলোর মতো ভিডিও বানিয়ে শেয়ার করার মাধ্যমে টিকটক মার্কেটিং (Tiktok Marketing) করতে পারেন খুব সহজেই, কারণ ট্রেন্ড খুব দ্রুত সবার মাঝে ছড়িয়ে যায়। তবে খেয়াল রাখবেন, ট্রেন্ডিং ভিডিও বানাতে গিয়ে আপনি কোনো ভিডিও কপি করবেন না, আপনার নিজের ক্রিয়েটিভিটি ব্যবহার করে সম্পুর্ণ ইউনিক ভিডিও বানানোর চেষ্টা করবেন ট্রেন্ডিং টপিক নিয়ে।
রেগুলার পোস্ট করুন
টিকটক এমন একটা সোশ্যাল মিডিয়া যেখানে আপনি রেগুলার ঘন ঘন পোস্ট করার মাধ্যমে ভালো ফল পাবেন, টিকটকে আপনার মার্কেটিং এর সফলতা নির্ভর করে আপনি কি পরিমাণ পোস্ট করছেন সেটার উপরে। যতো বেশি ভিডিও পোস্ট করবেন ততো বেশি ফলোয়ার বাড়বে।
প্রতিদিন কমেন্ট করুন এবং অন্যদের নিজের পোস্টে কমেন্ট করতে উৎসাহিত করুন
কমেন্ট হচ্ছে চমৎকার একটি মাধ্যম এঙ্গেজমেন্ট বাড়ানোর জন্য। অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় মতো টিকটকও ইউসার এঙ্গেজমেন্ট সাপোর্ট করে থাকে। এটার মাধ্যমে আপনি আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাস্টমারদের সাথে কথোপকথন করতে পারেন।) আপনাকে অবশ্যই অর্থবহ কমেন্ট করতে হবে যেটা এঙ্গেজমেন্ট বাড়াতে সাহায্য করবে।
ইউনিক ভিডিও তৈরি করুন, হাস্যরসের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাসেজ দিন
সাধারণত টিকটক ভিডিও গুলো সর্বোচ্চ এক মিনিটের হয়ে থাকে। আপনাকে ওই এক মিনিটের কথা মাথায় রেখেই ইউনিক ভিডিও তৈরি করতে হবে, যেটা দেখে সবাই বিনোদন পাবে পাশাপাশি কিছু শিখতে পারবে। সেই সাথে আপনাকে ভালো ভিডিও ডেসক্রিপশন দিতে হবে যাতে করে ভিডিও ডেসক্রিপশন পড়ে মানুষ ইমপ্রেস হয় এবং আপনার ভিডিওয়ের কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে। মনে রাখবেন এসইওতে একটি ভালো ডেসক্রিপশন টিকটক মার্কেটিং এর জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
হ্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জ সেট করুন
টিকটক অ্যাডস এর মধ্যে হ্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জ অ্যাড সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি অ্যাড। টিকটক মার্কেটিং এ আপনার বিজনেসের এঙ্গেজমেন্ট বাড়ানোর জন্য এবং ব্র্যান্ড সচেতনতা বাড়ানোর জন্য আপনি হ্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জ দিতে পারেন। একটি ভালো হ্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জ আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে অফলাইনে কথা বলতে এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতেও আলোচনায় আসতে সাহায্য করে থাকে।
টিকটক ইনফ্লুয়েন্স আপনার ক্যাম্পেইনের অন্তর্ভুক্ত করুন
টিকটকের ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে বর্তমানে কিশোর কিশোরীরাই অনেক বেশি ভূমিকা রাখছে। ইয়াং জেনারেশনদের মধ্যে যারা অন্যান্যদের চেয়ে নিজেকে আলাদা করতে চায় অথবা যারা টেলিভিশন ও মুভি তারকাদের মত নিজেদের উপস্থাপন করতে চায় তাদেরকে আপনি আপনার টিকটক মার্কেটিং ক্যাম্পেইনে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
আপনার পোস্টে টিকটকের বিশেষ ইফেক্ট গুলো ব্যবহার করুন
বর্তমানে টিকটকে প্রতিদিন মিলিয়ন মিলিয়ন ভিডিও হচ্ছে তাই আপনাকে অবশ্যই কিছুটা ভিন্নধর্মী ভিডিও বানাতে হবে, যদি আপনার টিকটক মার্কেটিং (Tiktok Marketing) এ ভালো এঙ্গেজমেন্ট পেতে চান। টিকটকের বিভিন্ন ইফেক্ট আপনাকে এই ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। আপনি ইফেক্টসগুলো পাবেন বিভিন্ন ট্যাব, স্প্লিট, নিউ, ইন্টারেক্টিভ, এডিটিং, বিউটি, ফানি,ওয়ার্ল্ড এবং এনিমেল ক্যাটাগরিতে। আপনি চাইলে আপনার ভিডিওয়ের প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করতে পারেন।
যারা এখনও টিকটক মার্কেটিং নিয়ে দ্বিধায় আছেন তারা নির্দ্বিধায় টিকটক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন এবং উপরোক্ত কৌশলগুলো কাজে লাগিয়ে সফল ভাবে টিকটক মার্কেটিং করতে পারেন।