Queen of Mystery

Queen of Mystery Assalamu Alaikum ❤️

21/07/2025

"আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি শহীদ"

দুনিয়ায় একজন মানুষ যখন আগুনে পুড়ে, আমরা কেবল তার চিৎকার শুনি, দেখি তার দগ্ধ চামড়া, তার ছটফটানি—আর হয়তো শেষে নিথর দেহটা। কিন্তু আমরা কি জানি—এই যন্ত্রণার ভেতরেও আছে এক মহিমান্বিত মর্যাদা? আছে আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ ঘোষণা?

আগুনে পোড়া মৃত্যু শহীদের মর্যাদা পায়। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: “আগুনে পোড়া ব্যক্তি শহীদ ” (আবু দাউদ: ৩১১১)

এই হাদীসটা কোনো সাধারণ হাদীস নয়, এটা এক বুক জ্বালার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা স্বস্থির আশ্বাস। যে মানুষটা আগুনে পুড়ে তীব্র কষ্টের মধ্যে প্রাণত্যাগ করল—তার মৃত্যুটা আল্লাহর কাছে সাধারণ মৃত্যু নয়, সে "শহীদ"।

আগুনে দগ্ধ হওয়া মানে এক নিঃসীম যন্ত্রণা। সেকেন্ডে সেকেন্ডে ত্বক ফেটে যাচ্ছে, শরীরের প্রতিটি কোষ চিৎকার করে উঠছে। এ যন্ত্রণা ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়।

এমন সময় কেউ যদি “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলতে পারে, কিংবা নিজের অন্তরে আল্লাহকে স্মরণ করে বিদায় নিতে পারে—তাহলে তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে রাখা হয়। এটা আল্লাহর ন্যায়বিচার—যিনি কষ্ট দিয়েছেন, তিনিই তার প্রতিদান দিয়েছেন শহীদের সম্মানে।

কুরআনে শহীদদের মর্যাদা নিয়ে আল্লাহ বলেন: “তোমরা কখনোই ভাবো না যে, যারা আল্লাহর রাহে শহীদ হয়েছে, তারা মৃত। বরং তারা জীবিত, তাদের রবের কাছে তারা রিজিকপ্রাপ্ত।”— (সূরা আলে ইমরান: ১৬৯)

যদিও এই আয়াত সরাসরি যুদ্ধে শহীদদের নিয়ে বলা হয়েছে, কিন্তু হাদীস আমাদের জানায়—যারা আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যান, তাঁরাও শহীদি মর্যাদার অংশীদার। এমন মৃত্যুকে অপমৃত্যু নয়, বরং সম্মানের চোখে দেখা উচিত। শহীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো উচিত এবং বেশি বেশি দোয়া করা উচিত।

হে আল্লাহ, যেভাবে আপনি শহীদদের মর্যাদা দেন, আগুন দগ্ধ প্রতিটি মুমিন প্রাণকে তেমনি শহীদের সম্মান দান করুন। তাদের কষ্টগুলো আপনার কাছে কবুল করে নিন। নিষ্পাপ শিশুদের জন্য, বুক খালি হওয়া মায়েদের জন্য আপনি যথেষ্ট হয়ে যান।

02/07/2025

আশুরার ২ টি রোজা রাখলে গুনাহ মাফ হয়— এটি সম্পূর্ণ বিদয়াতি কথা। এটি হাদিস বিকৃতি।

না বুঝে অনেকে এই জিনিসটি প্রচার করছে।
গুনাহ মাফ হয় আশুরার একটি মাত্র রোজায়। সেটি হলো মুহাররমের ১০ তারিখের রোজা।

তবে উত্তম হলো আশুরার দুটি রোজা রাখা।
৯ তারিখ ও ১০ তারিখ দুটি রোজা রাখা উত্তম।
রসুল ﷺ ইন্তিকালের আগের বছর রোজা রাখার সময় বলেছিলেন যে, তিনি বেচে থাকলে আগামী বছর ৯ ও ১০ তারিখ দুটি রোজা রাখবেন।

যদিও অনেকের মতে ১০ ও ১১ তারিখ রাখা বা ৯,১০ ও ১১ তারিখ রাখার কথাও পাওয়া যায়।
তবে স্পষ্ট সহিহ হাদিসে ৯ ও ১০ তারিখ রাখার কথা বলা হয়েছে — এ নিয়ে কোনো মতবিরোধ নেই।

অতএব ৯ ও ১০ তারিখ রাখার অবশ্যই চেষ্টা করবেন।
আর না পারলে শুধু ১০ তারিখ রাখবেন।

তবে এটা ভুললে চলবে না যে, "গুনাহ মাফ হয় শুধু ১০ তারিখের রোজায়!"

হাদিস না বুঝে প্রচার থেকে বিরত থাকবেন।

কসাইয়ের মজুরি 🐄🔪
07/06/2025

কসাইয়ের মজুরি 🐄🔪

05/06/2025
27/05/2025

চলতি যিলক্বদ মাস ২৯ দিনে হলে আগামী ২৮ মে বাদ মাগরিব থেকে জিলহজ্ব শুরু হবে। যারা কুরবানীর নিয়ত করেছেন, তারা জিলহজ্ব মাসের চাঁদ উঠার আগেই ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, চুল, নখ কেটে রাখুন ইনশাআল্লাহ্।

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন : যখন তোমরা জিলহজ্ব মাসের (নতুন চাঁদ দেখতে পাও) আর তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা করে, তবে সে যেন তার চুল না ছাটে ও নখ না কাটে। (সহীহ মুসলিম : ১৯৭৭)

উল্লেখ্য, যারা কুরবানী দিবেন না, তারাও এই আমল করতে পারবেন এবং সেক্ষেত্রে সমপরিমাণ সওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ্।

ফরয নামাজের পরে করনীয় আমলসমূহ 🤍
27/04/2025

ফরয নামাজের পরে করনীয় আমলসমূহ 🤍

শবে বরাত পালন বন্ধ করুন। শবে বরাত উপলক্ষ্যে বিশেষ কোনো সালাত, সিয়াম বা অন্য কোনো ইবাদতের কোনো ভিত্তি ইসলামী শরী'আতে নেই...
14/02/2025

শবে বরাত পালন বন্ধ করুন। শবে বরাত উপলক্ষ্যে বিশেষ কোনো সালাত, সিয়াম বা অন্য কোনো ইবাদতের কোনো ভিত্তি ইসলামী শরী'আতে নেই।
সুতরাং শবে বরাত পালন একদিকে যেমন শরী'আত পরিপন্থী, তেমনি কথিত শবে বরাত কে কেন্দ্র করে জাল, ভিত্তিহীন, বিদআতী, বানোয়াট, ভুয়া আমলগুলো পরিত্যায্য।

মধ্য শাবান (শবে বরাত) এ রাতে আল্লাহ সকল সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন মুশরিক, এবং বিদ্বেষ পোষনকারী ব্যতিত সবাইকে ক্ষমা করে দেন! বেশি বেশি আল্লাহর কাছে তওবা করবেন।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ১৩৯০)

আর প্রত্যেক মাসে ১৩,১৪,১৫ আইয়্যামে বীজের রোজা রাখা সুন্নত তার মাঝে মধ্য শাবান পরে তাই ঐ দিন সহ তিনটা নফল রোজা।

মধ্য শাবান (শবে বরাত)  এ রাতে আল্লাহ সকল সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন মুশরিক, এবং বিদ্বেষ পোষনকারী ব্যতিত সবাইকে ক্ষমা ক...
13/02/2025

মধ্য শাবান (শবে বরাত) এ রাতে আল্লাহ সকল সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন মুশরিক, এবং বিদ্বেষ পোষনকারী ব্যতিত সবাইকে ক্ষমা করে দেন! বেশি বেশি আল্লাহর কাছে তওবা করবেন ।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ১৩৯০)

আর প্রত্যেক মাসে ১৩,১৪,১৫ আইয়্যামে বীজের রোজা রাখা সুন্নত তার মাঝে মধ্য শাবান পরে তাই ঐ দিন সহ তিনটা নফল রোজা ।

সাদার জন্য প্রস্তুত তো কাল⁉️
13/02/2025

সাদার জন্য প্রস্তুত তো কাল⁉️

12/02/2025

মু'মিনদের ঘরে সারা সপ্তাহ-মাস, সারা বছর জুড়েই সিয়াম লেগে থাকে!

সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার- ২টি।
আইয়ামে বীজের- ৩টি।
মহররমে- ২টি।
রমাদানে- ৩০টি।
শাওয়ালে- ৬টি।
জিলহজ্বে- ১০টি।
আরাফার- ১টি।
শাবানে - প্রায় পুরো মাস।

আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর রাসূল ﷺ সারা সপ্তাহ-মাস-বছর জুড়ে মুসলমানদের কত সুন্দর সিয়াম পালন শিখিয়েছেন।

এতো এতো মর্যাদাপূর্ন সব সিয়ামের আমল রেখে আমরা (শবে মেরাজ, শবে বরাত, ঈদুল মিলাদুন্নবী ইত্যাদি) নামক নব উদ্ভাবন বিদায়াতি আমল করি, আল্লহুম্মাগফিরলি!

আল্লাহ্ সবাইকে সঠিক ও সুন্নাহ মোতাবেক বিদ'আত মুক্ত আমল করার তৌফিক দান করুন, আমিন ইয়া রব।

শাবান মাসের আইয়্যামে বীযের রোজা বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার অর্থাৎ বুধবার রাতে সাহরী করে, পরপর তিনটি রোজা রাখলে, আমরা...
11/02/2025

শাবান মাসের আইয়্যামে বীযের রোজা বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার অর্থাৎ বুধবার রাতে সাহরী করে, পরপর তিনটি রোজা রাখলে, আমরা পুরো মাস রোজা রাখার সাওয়াব পাবো ইনশাআল্লাহ।

এই মাসে অবশ্যই আমরা এই তিনটি রোজা রাখার চেষ্টা করবো, আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পূর্ণ শাবান মাস জুড়েই রোজা রাখতেন।তার উপর ১৪ তারিখ দিবাগরত রাতে লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান।

এ রাতকে ঘিরে আমাদের মাঝে নফল ইবাদত, রোজার প্রচলন আছে, সেইদিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখবো, রোজার নিয়্যাত যেন আইয়্যামে বীযেরই হয়।

আপনি হয়ত জানেন, এই রাতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বান্দাদের দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন, এবং
হিংসুক ও শিরকে লিপ্ত বান্দা ছাড়া সবাইকে মাফ করে দেন।

যদি বান্দা ঘুমিয়েও থাকে, তবুও সে এই ক্ষমা পেয়ে যাবে, এজন্য আলাদা কোনো ইবাদত মেন্ডেটরি নয়, এজন্য মেন্ডেটরি হচ্ছে শুধুমাত্র একটি পবিত্র অন্তর ও জ্ববান। 🤌❤️

Address

Uttara
Turag
1230

Telephone

+8801744345975

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Queen of Mystery posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Queen of Mystery:

Share