DEAR BABU

DEAR BABU Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from DEAR BABU, Faridpur.

22/07/2025

এত বড় একটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটলো—দেশব্যাপী শোক, আতঙ্ক, প্রশ্ন। কিন্তু এয়ার চীফ কোথায়? কোথায় সশস্ত্র বাহিনীর সেই প্রতিশ্রুত সজাগ দৃষ্টি? বিগত ১৫ বছরে সামরিক ও বিমান বাহিনীর বাজেট কত বিলিয়ন টাকা হয়েছে—তা কি শুধু মহড়ার ছবি আর নতুন বাহন দেখানোর পেছনে গেছে?

বাকশালিরা কী করেছে এই খাতে? কে কে এই খাত থেকে কমিশন বা ধান্দা করেছে? আমরা চাই শ্বেতপত্র—একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন, যেখানে খোলাসা হবে বাজেট কোথায় গেছে, কতখানি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল, আর কতখানি ছিল নিছক দেখনদারি।

আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা কতখানি প্রস্তুত?
কত দ্রুত রেসপন্স করা সম্ভব? কোথায় কোথায় দুর্বলতা রয়েছে? কেন আজো radar coverage সম্পূর্ণ নয়? কেন critical installations এখনো vulnerable?

আমরা জানতে চাই—

বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা প্রটোকল কতটা হালনাগাদ?

বেসামরিক ও সামরিক উভয় বিমান চলাচলে কে কোন দায় বহন করে?

আগামী দিনে কোন প্রযুক্তি বা অবকাঠামো দরকার আকাশ প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে—সেটা এখন জাতিকে জানান।

এখানে ভারতের আধিপত্যবাদও অস্বীকার করার সুযোগ নেই। প্রতিবেশী দেশের বিমান, স্যাটেলাইট নজরদারি, এমনকি সাইবার হামলার সম্ভাবনা নিয়েও আজ কথা বলতে হবে।

একটি স্বাধীন দেশের প্রথম শর্ত তার আকাশপথের নিরাপত্তা।

এটি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তা শুধু এক দুর্ঘটনার বেদনা নয়, বরং একটি গোটা নিরাপত্তা কাঠামোর ব্যর্থতার সঙ্কেত। এখন সময়—বস্তুনিষ্ঠ প্রশ্নের উত্তর, স্বচ্ছ তদন্ত, আর জাতীয় নিরাপত্তা নীতির খোলামেলা আলোচনা।

যাই বলেন না কেন,   আজ আর কোনো আশা বা পরিবর্তনের প্রতীক নয়—এটা এখন লাখো চাকরিপ্রার্থীর স্বপ্নভঙ্গের নাম।যারা সেশনজটে আটকে...
18/07/2025

যাই বলেন না কেন, আজ আর কোনো আশা বা পরিবর্তনের প্রতীক নয়—এটা এখন লাখো চাকরিপ্রার্থীর স্বপ্নভঙ্গের নাম।যারা সেশনজটে আটকে পড়েছিল, করোনায় বছরের পর বছর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পকেটের শেষ টাকা দিয়ে ফরম তুলেছিল—তাদের সঙ্গে নিষ্ঠুর প্রতারণা করেছে এই দল।

জনপ্রশাসন সুপারিশ করেছিল ৩৫, এমনকি ৩৭ বছর পর্যন্ত বয়সসীমা বাড়ানোর। বাস্তবতা, মানবিকতা এবং লাখো তরুণের কষ্ট বিবেচনায় এটাই ছিল যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত। কিন্তু এনসিপি নেতারা বললেন—“আমরা চাই ৩২।” আর অবাক হওয়ার মতোভাবে, তাই-ই হলো।

আজ বলা হচ্ছে—"আনন্দের বিষয় যে ৩২ হয়েছে, কারণ এনসিপির নেতারা তা চেয়েছে।"
কিন্তু সাধারণ চাকরিপ্রার্থীরা, কখনোই ৩২ চাইনি। তারা চেয়েছিলাম ন্যায্যতা, একটা সুযোগ, একটা সুবিচার।

জুলাই আন্দোলনে আমরা রাস্তায় নেমেছিলাম কোনো দলের পতাকা নিয়ে নয়, নিজেদের অধিকার রক্ষার জন্য। কিন্তু সেই আন্দোলনের ফসল হিসেবে এনসিপি নেতারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করল, আর আমরা হারালাম আমাদের স্বপ্ন, আমাদের সময়।

আজ যারা নিজেদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ বলে প্রচার করছে, তারা আসলে জনতার নয়, নিজেদের সুবিধার জন্য লড়েছে। এটা কোনো বিজয় নয়—এটা বিশ্বাসঘাতকতা, এটা আত্মপ্রচার আর ক্ষমতার অপব্যবহারের নগ্ন উদাহরণ।

এনসিপির প্রতি আজ আর কোনো সহানুভূতি নেই। কারণ যারা জনতার কণ্ঠস্বর হয়ে উঠতে চেয়েছিল, তারাই আজ হয়ে উঠেছে সবচেয়ে বড় প্রতারক।

08/07/2025

বর্তমান সময়ের মিডিয়া ব্যবস্থায় চলছে এক ধরনের পরিকল্পিত ব্ল্যাকআউট। এই নীরবতা নিছক কোনো সম্পাদকীয় নীতির অনুসরণ নয়—বরং এটি একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক অবস্থান।

যেসব বিষয় মানুষকে ভাবায়, নাড়া দেয়, প্রশ্ন তোলে—সেইসব ইস্যুগুলোকে আজ খবরের কাগজ আর চ্যানেলগুলোতে স্থান দেওয়া হয় না। বরং গণমাধ্যম ব্যস্ত থাকে ফাঁপা নর্তকীদের সর্বশেষ ‘পারফরম্যান্স’ দেখিয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জনে।

এই মিডিয়া নীরবতা আসলে পুরনো খেলার নতুন চাল।
একটি শোষণভিত্তিক সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতা আজও সক্রিয়, এবং গণমাধ্যমের অনেকেই এই ব্যবস্থার সুবিধাভোগী। তারা যেন তাদের লোম আর গা-ঢাকা বস্ত্র দিয়ে সত্যের সূর্যকে ঢেকে ফেলার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিদিন আমরা দেখি—যেখানে আলো ফেলা দরকার, সেখানেই যেন অন্ধকার চুপচাপ বিস্তার করে।
জনগণের চোখে ধোঁয়া দেওয়ার জন্য তৈরি হয় ‘বিকল্প আলোচনার’ মঞ্চ, যেখানে বাস্তবতাকে ঢেকে দেওয়া হয় প্যাকেজ-তথ্য আর সাজানো বিনোদনে।

ভোক্তার জানার অধিকার কোথায়? আমরা কী খাচ্ছি, তা কি সত্যিই জানি?প্রতিদিন আমরা মুখে তুলি এমন বহু পণ্যে লুকিয়ে থাকে অদৃশ্য ব...
05/07/2025

ভোক্তার জানার অধিকার কোথায়? আমরা কী খাচ্ছি, তা কি সত্যিই জানি?

প্রতিদিন আমরা মুখে তুলি এমন বহু পণ্যে লুকিয়ে থাকে অদৃশ্য বিষ, আর আমরা জানিই না।
কারণ লেবেলে নেই স্বচ্ছতা, নেই সততার ছাপ।

🛢️ সরিষার তেল (Mustard Oil):

এই দেশের অনেক মানুষ এখনো সরিষার তেল ব্যবহার করেন—রান্নায়, শরীরে, এমনকি শিশুর মালিশে।
কিন্তু কতজন জানেন, তেলের ভেতরে Erucic Acid এর পরিমাণ কত?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতে, Erucic Acid-এর মাত্রা ৫% এর বেশি হলে তা হৃদরোগ, কিডনি সমস্যা, এমনকি লিভার ড্যামেজ ঘটাতে পারে।

👉 অথচ বাংলাদেশের বাজারে থাকা অনেক তেলেই এর পরিমাণ ২০% বা তারও বেশি—কিন্তু বোতলের গায়ে কোথাও তা লেখা নেই।

🍚 প্যাকেটজাত মুড়ি (Rice Puff):

চালের গুঁড়ো দিয়ে বানানো এই মুড়ি সস্তা, সহজলভ্য, আর তাই সর্বজনপ্রিয়।
কিন্তু কৃষি পর্যায়ে মুড়ির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত চালে কীটনাশক বা ফাঙ্গিসাইড ব্যবহার করা হয়।
এগুলো ঠিকমতো ধোয়া বা নিষ্কাশন না হলে সেই বিষ চলে আসে মুড়িতে।

👉 কিন্তু প্যাকেটের গায়ে কী লেখা থাকে? “Pure”, “Healthy”, “Crispy”... অথচ কোনো পরীক্ষার ফলাফল নেই, নেই “Pesticide-Free” ঘোষণা।

🍚 সুগন্ধি চাল (Aromatic Polao Rice):

এই চাল দেখতে সাদা ও চকচকে। কিন্তু প্রকৃত চাল এমন চকচকে হয় না। অনেক সময় চালকে ঝকঝকে করার জন্য কার্বনেট, পলিশিং পাউডার, বা সুগন্ধি কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়—যা হজমে সমস্যা, কিডনির ওপর চাপ, এমনকি বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।

👉 অথচ এসব চালের প্যাকেটে না আছে রাসায়নিক পরীক্ষা, না আছে কোনো সতর্কতা।

🍭 কৃত্রিম রঙ মেশানো মিষ্টি, আইসক্রিম ও পানীয়:

তুমি হয়তো জানো না—বাংলাদেশে এখনো অনেক দোকান ও কারখানা ব্যবহারের জন্য নিষিদ্ধ "Rhodamine B", "Malachite Green", "Sudan Red" জাতীয় রঙ ব্যবহার করে।
এইসব কেমিক্যাল ক্যান্সার, লিভার ডিসঅর্ডার, শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

🥬 সবজিতে ফরমালিন ও কীটনাশক:

একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ঢাকার ৭০%-এর বেশি সবজিতে গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি কীটনাশক রেসিডিউ পাওয়া গেছে।
ফলমূলে পাওয়া গেছে কার্বাইড ও ফরমালিন—যেগুলো নিষিদ্ধ, অথচ সহজলভ্য।

কিন্তু সমস্যা কেবল এসব পণ্যে নয়—সমস্যা হচ্ছে আমাদের ‘লেবেলিং আইন’ বাস্তবায়নে মারাত্মক গাফিলতি।

🔹 বাংলাদেশে "Food Labeling" সংক্রান্ত কিছু নিয়ম থাকলেও,
🔹 তা বাধ্যতামূলক নয়,
🔹 আর নেই কোনো কার্যকর মনিটরিং সিস্টেম।

আমরা কি চাই? খুব বেশি কিছু না—শুধু স্বচ্ছতা।

সব বোতলজাত তেলে Erucic Acid এর শতকরা পরিমাণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হোক

সব প্যাকেটজাত মুড়ি ও চালে “Pesticide Free” সনদ বা ঘোষণা বাধ্যতামূলক হোক

আইসক্রিম, পানীয় ও মিষ্টিতে রঙ ব্যবহারের ধরন ও উৎস লেবেলে লেখা হোক

কেমিক্যাল ব্যবহৃত পণ্যের উপর ‘Warning Label’ থাকুক

স্বাস্থ্যবান্ধব খাদ্যপণ্যের জন্য “Green Mark” চালু করা হোক

🙏 এই অনুরোধ কোনও রাজনৈতিক দাবি নয়—এটা মানবিক দাবির ভাষা।
আমাদের মা-বাবা, আমাদের বন্ধুরা যেন অজান্তে বিষ খেয়ে অসুস্থ না হয়—এই তো চাওয়া।

এই কাজগুলো করতে কোনও বিশাল খরচ লাগে না,
শুধু নীতিনিষ্ঠতা, স্বচ্ছতা, আর মানবিক দায়বদ্ধতা লাগে।

**








**

05/07/2025

সত্য যেখানেই থাকুক, শেষমেশ আলো ফোটায়। ঘেউ ঘেউ করে রাত কাঁটানো কুকুরগুলো যেমন সকাল হলে চুপ করে যায়, তেমনি এই মানুষরূপী ছায়ারাও একসময় থেমে যায়। শুধু এগিয়ে চলা মানুষের পায়ের শব্দটাই থেকে যায় ইতিহাসের পাতায়।

04/07/2025

একটি সুন্দর ফুল যেমন সকালে ফোটে , দুপুরের রোদে রঙ হারাতে শুরু করে, আর সন্ধ্যার আগে ঝরে পড়ে—ঠিক তেমনি আমরাও ধীরে ধীরে বিবর্ণ হয়ে যাই, হারিয়ে যাই।
একটা মানুষ চোখের আড়ালে চলে গেলে তার মুখচ্ছবিও মলিন হতে থাকে, কিন্তু থেকে যায় তার ব্যবহার, তার আচরণ, তার বলা কিছু কথা। আমরা বুঝে উঠতে পারিনা—নয়নের দেখা শেষ হলে, হৃদয়ের অনুভবই হয়ে ওঠে চূড়ান্ত বাস্তবতা।

টাকা, নাম, খ্যাতি সবই হারিয়ে যায় সময়ের স্রোতে। কিন্তু আচরণ—তা থেকে যায় অদৃশ্য ছায়ার মতো, অনেকদিন, অনেক দূর পর্যন্ত।আমরা ভুলে যাই, মানুষ নয়, তার হৃদয়ের ছোঁয়া, তার স্পর্শ, তার কথাগুলো—এইগুলোই থেকে যায়।

জুলাই বিপ্লবের সাথে এই বিশ্বাসঘাতকতা কেন?এই দেশের ইতিহাস খুব বিস্ময়কর।যে দাবিতে রাজপথ রক্তে রাঙে, সেই দাবিটাই পরে হারিয়ে...
01/07/2025

জুলাই বিপ্লবের সাথে এই বিশ্বাসঘাতকতা কেন?

এই দেশের ইতিহাস খুব বিস্ময়কর।যে দাবিতে রাজপথ রক্তে রাঙে, সেই দাবিটাই পরে হারিয়ে যায় ফাইলের গহ্বরে।যে কথায় সরকার কাঁপে, সেই কথাটাই পরে “উপেক্ষাযোগ্য” ঘোষণা পায় প্রশাসনের ঠোঁটে।

২০১১ সাল থেকে চলা একটা আন্দোলন—চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ করার আন্দোলন—আজবিস্ময়করভাবে উপেক্ষিত।আর এই উপেক্ষার দায় কার?এই কি সেই সরকার, যাঁরা জুলাই বিপ্লবের আগুনে সেঁকে নিয়েছিল নিজেদের জনপ্রিয়তা?এই কি সেই নেতৃত্ব, যারা বলেছিল—“ছাত্রদের দাবি ন্যায্য, সরকার মানছে সব কিছু”?
তবে প্রশ্ন আসে—৩৫ কোথায় গেল?কোথায় গেল শেষন জটের কবলে হারিয়ে যাওয়া প্রজন্মের ন্যায্য সুযোগ?
আর করোনায় আটকে পড়া লক্ষ শিক্ষার্থীর পেছনে কে নিল দায়িত্ব?

🤫৩২? কার নির্দেশে? জনগণ চায়নি তো!

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব সংস্কার কমিটি সুপারিশ করেছে ৩৫/৩৭।কিন্তু কে যেন কোথাও ফিসফিস করে বলে দিল—৩২ করা হবে।না কোথাও আন্দোলন হলো ৩২ নিয়ে,না কোথাও ছাত্রজনতা মিছিল করল এই দাবিতে।তবু ৩২ এ থামিয়ে দেওয়া হলো।

জিজ্ঞেস করলে বলে, “তাড়াহুড়ো করে আমরা সময় কম পেয়েছি”।তাহলে প্রশ্ন, জুলাই বিপ্লবের আগুন দেখে ভয় পেয়েছিলেন যাঁরা, তাঁরা ক্ষমতায় এসেই এত তাড়াহুড়ো করলেন কেন?জুলাইয়ের দাবির ৯৫% মেনে নিলেন,শুধু ১টা জায়গায় চুপ—চাকরির বয়স।

👉শেষন জট ও করোনায় পোড়া প্রজন্মের কী হবে?
এই দেশে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয় দেরিতে,
সেশনজট গিলে ফেলে ২-৩ বছর অনায়াসে।
তারপর এলো করোনা—পড়াশোনা বন্ধ, পরীক্ষা স্থগিত, নিয়োগও বন্ধ। ফলাফল—বয়স পেরিয়ে গেছে লক্ষ শিক্ষার্থীর।

এই শিক্ষার্থীরা কি দেশের নাগরিক না?
তাদের ব্যর্থতা কি ছিল?তাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়টা যদি রাষ্ট্রই কেড়ে নেয়, তবে সেই রাষ্ট্রের দায়িত্ব কি নেই তাদের পাশে দাঁড়ানোর?কিন্তু সরকার আজ মনে করে, এরা শুধু সংখ্যা, ভোট নয়, তাই মূল্যও নয়।
👉জুলাই বিপ্লব আসলে ছিল কার জন্য?

আজ মনে হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল গুটিকয়েক মুখের লাফিয়ে ওঠার মঞ্চ।জনগণের ঘামে ভেজা দাবি তারা ব্যবহার করেছে ক্ষমতায় আসার সিঁড়ি হিসেবে।ক্ষমতায় বসে তাদের চোখে এখন শুধু ‘নৈতিক সংস্কার’ নয়, বরং ‘ব্যবহারযোগ্য সংস্কার’।তাদের দৃষ্টিতে বয়স বাড়ালে সরকার ব্যর্থতার দায় নেবে।তারা ভুলে গেছে, দায় স্বীকার না করাই বড় ব্যর্থতা।

এটা হলো সেই ছাত্রদের প্রতি রাষ্ট্রের সম্মান ফিরিয়ে দেওয়া,যারা লাইব্রেরিতে দিনরাত কাটিয়ে আজ হতাশায় নিঃস্ব।যারা করোনার ছোবলে চাকরির স্বপ্ন বিসর্জন দিয়েছে,যারা আজও বিসিএস প্রস্তুতির বই খুলে ভাবে—“সময়টা যদি আর এক বছর পেতাম…”

তাদের জন্য ৩৫ মানে একবিন্দু আশা।আর যাঁরা এই আশা ছিন্ন করেছেন,তাঁদের মনে রাখা উচিত—
জুলাই বিপ্লব গুটিকয়েক মুখের পকেটে বন্দি থাকলে, পরবর্তী আন্দোলন অচিরেই সেই পকেট ছিঁড়ে ছুড়ে ফেলবে।

"এই রাষ্ট্রকে যারা ভালোবাসে, তারা কোনো অনায্য দাবি করছে না।তারা শুধু বলছে—'আমরা হারিয়েছি সময়,আপনারা দিন সুযোগ।'"

প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়া জরুরিস্বাধীনতার ৫৪ বছর পার করেও বাংলাদেশের জনগণ আজও সবচেয়ে ...
30/06/2025

প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়া জরুরি

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার করেও বাংলাদেশের জনগণ আজও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ—প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি—নির্বাচনের অধিকার থেকে বঞ্চিত। অথচ এই দুটি পদই জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। প্রশ্ন হলো, তাহলে দেশের মানুষ কি কেবল শাসিত হওয়ার জন্য? শাসক বেছে নেওয়ার সুযোগ কি কখনোই আসবে না?

বর্তমানে রাষ্ট্রপতি হন সংসদ সদস্যদের ভোটে, আর প্রধানমন্ত্রী হন সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা। কিন্তু বাস্তবতা হলো—আজকের সংসদ নির্বাচনগুলোই যখন প্রশ্নবিদ্ধ, তখন এই পদ্ধতির গণতান্ত্রিক বৈধতা নিয়েই সন্দেহ জাগে।
রাতের আঁধারে ব্যালট ভর্তি, ভোটারবিহীন কেন্দ্র, ভয়ভীতি ও দমন-পীড়নের মাধ্যমে গঠিত সংসদের মাধ্যমে যদি রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাচিত হন—তাহলে সেটা গণতন্ত্রের নামে কেবলই একটি চমৎকার মোড়ক।

রাষ্ট্রপতি, যদিও অনেকটা প্রতীকী পদ, তবুও তিনি রাষ্ট্রের নৈতিক অভিভাবক। সংবিধান রক্ষার ভার যার ওপর, তাঁর নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হলে পুরো রাষ্ট্র কাঠামোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর প্রধানমন্ত্রী—তিনি তো দেশের আইনপ্রণয়ন, অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, প্রশাসন সবকিছুর প্রধান। এমন একজনকে জনগণের সরাসরি ভোটে না আনার অর্থই হলো—জনগণের থেকে তাঁর জবাবদিহিতা শূন্যে নেমে আসা।

বিগত পাঁচ দশকের ইতিহাসে আমরা দেখেছি—একদলীয় বাকশাল, সামরিক শাসন, সেনা সমর্থিত সরকার, এবং ভোটের নামে নানা ধরনের প্রহসন। এসব অভিজ্ঞতা থেকে স্পষ্ট যে, গণতন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি হচ্ছে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন।

আমরা চাই না রাষ্ট্রপতি হন কেবল দলীয় আনুগত্যের পুরস্কার।আমরা চাই না প্রধানমন্ত্রী হন এমন একজন, যিনি কেবল দলীয় অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের ফলাফল।
আমরা চাই—রাষ্ট্রের শীর্ষ দুই পদে বসুক সেই ব্যক্তি, যাকে জনগণ সরাসরি ভোট দিয়ে বেছে নিয়েছে।

গণতন্ত্র মানে কেবল নির্বাচন নয়, গণতন্ত্র মানে নির্বাচনের আস্থা, গ্রহণযোগ্যতা, এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ।এই আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনেও ব্যালটই হতে হবে একমাত্র পথ।

এখন সময় এসেছে পদ্ধতির পরিবর্তনের কথা ভাবার।
রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব ফিরিয়ে দিতে হবে তার প্রকৃত মালিকের হাতে—সেই মালিক, যার নাম “জনগণ”।

24/06/2025

⏳ "ঘড়ির কাঁটায় বাঁধা অহংকার"

অহংকার এক অদৃশ্য আগুন—যা মানুষ নিজের ভেতরেই জ্বালায়, আর ভাবে সে যেন অমর কোনো শক্তির অধিকারী।
কিন্তু সময়?
সে চুপচাপ থেকে যায় না—
সময় এক নির্মম শিক্ষক, যিনি কাউকে ছাড় দেন না।

আজ যিনি সিংহাসনে বসে রাজত্ব করছেন,
কাল তাকেই দেখা যায় ধূলোমাখা কোনো কোণায় বসে
শুধু পুরোনো দিনগুলো গুনে গুনে শ্বাস ফেলতে।

মাটির মানুষ মাটি হয়েই থাকে।
যতই উঠুক উঁচুতে, তার শিকড় কিন্তু নিচেই গাঁথা।
আজ যে শরীরের জাঁকজমক, কাল সে শরীরটাই হবে মাটির অঙ্গে মিলিয়ে যাওয়া এক অচেনা অস্তিত্ব।

ঘড়ির কাঁটা ঘুরছে—
কারো জন্য নয়, সবার জন্য।
যে বোঝে সময়কে, সে বিনয় শেখে।
আর যে শেখে বিনয়, সে কখনো পরাজিত হয় না।

তাই অহংকার নয়,
জীবনটা হোক কৃতজ্ঞতায় পূর্ণ।
কারণ শেষ পর্যন্ত...
সবাইকে যেতে হয় এক দিকেই—নিঃশব্দে, নিঃসঙ্গতায়, এবং বিনয় নিয়ে।
💌 ভাবনার দেয়াল💌

বাংলাদেশ একসময় শব্দে শক্তিশালী ছিল।এক সময় বইয়ের পাতায় জন্ম নিত বিপ্লব, চায়ের দোকানে উঠত যুক্তির বিস্ফোরণ। নতুন প্রজন্মের...
23/06/2025

বাংলাদেশ একসময় শব্দে শক্তিশালী ছিল।এক সময় বইয়ের পাতায় জন্ম নিত বিপ্লব, চায়ের দোকানে উঠত যুক্তির বিস্ফোরণ। নতুন প্রজন্মের কাঁধে ছিল ভবিষ্যতের ভাষা, আর মাথায় ছিল চিন্তার জবাবদিহি।

কিন্তু এখন?

এখন জাতি বসে থাকে—“নেক্সট কী ভাই?”নেক্সট মিম, নেক্সট রিল, নেক্সট নাচ।চিন্তা এখন ভিডিওর নিচে “😂😂” কমেন্ট হয়ে গেছে।

🧠 ইন্টেলেকচুয়ালিটি এখন আলগরিদমের দাস:

আজকাল যারা “কন্টেন্ট” বানায়,তারা পড়েনি আহমদ ছফা, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, তারা বোঝে না হুমায়ুন আজাদের হাহাকার। তাদের কাছে "চিন্তা" মানে--কত সেকেন্ডে মানুষ হেসে উঠবে।

যে দেশে একসময় ‘প্রসঙ্গ’ নিয়ে ডিবেট হতো,সেই দেশে এখন "প্র্যাঙ্ক" আর "চ্যালেঞ্জ" নিয়ে ভাইরাল হয় সভ্যতা।
চিন্তা একটা ভার ছিল, এখন সেটা চিপ্সের প্যাকেট।
যে খোলা মাত্র শেষ—কিছু মচমচে আওয়াজ, কিছু বায়ু, তারপর শূন্যতা।

📉 বুদ্ধিজীবী শব্দটা এখন গালাগালির সমান

এখন কেউ চিন্তাশীল কথা বললেই প্রশ্ন আসে:
“ভিউ কই?”“কোন ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করেন?”
যদি কিছু বিক্রি না হয়,
তাহলে সেটার কথা বলাও নাকি অর্থহীন।

এভাবে আস্তে আস্তে চিন্তাকে অপমান করা
এই সমাজের প্রাত্যহিক চর্চা হয়ে গেছে।

📺 জাতির সামনে এখন একটা স্ক্রিন, পেছনে শূন্যতা:

নেতা বলছে, ইউটিউবার বলছে, ইনফ্লুয়েন্সার বলছে—
কিন্তু কেউ ভাবছে না।তারা বলছে, "শেয়ার করুন",
কিন্তু কেউ বলছে না, "নিজে একবার ভাবুন"।

তাদের কথা চলে "ট্রেন্ডিং"-এ,
তাদের নীতি চলে "স্পন্সর"-এ,
তাদের আত্মা চলে "ডলারে"।

📜 ফলাফল?

একটা জাতি গড়ে উঠছে—
যাদের স্মৃতি ১৫ সেকেন্ড,
মনোযোগ ৮ সেকেন্ড,
আর বিবেক?
এড স্কিপ করার আগেই হারিয়ে যায়।

🧩 শেষ কথা:

এই সমাজ যদি বুদ্ধির চর্চা না করে,তবে কেবল হাসতে হাসতেই পশ্চাৎযুগে ঢুকে যাবে।আমাদের দরকার কনটেন্ট না, সচেতনতা।আমাদের দরকার ভাইরাল না,
জ্ঞানচর্চা। আমাদের দরকার না নাচা-কাঁদা কন্টেন্ট,
আমাদের দরকার একটা প্রশ্ন—
“আমরা কোথায় যাচ্ছি?”

🤫 ভাবনার জানালা🤫

22/06/2025

⚖️ “মূল্য আপনার নয়, আপনার অবস্থানের”

একটি মাছি যদি বসে সবজির ওজনের উপর—
কোনো দোকানদার সেটা গোনে না।
কারণ, ওটা "তুচ্ছ"।

কিন্তু সেই একই মাছি যদি বসে এক টুকরো স্বর্ণের পাল্লায়—তখন হয়তো দশ-বিশ হাজার টাকার ওজন বাড়িয়ে দেয়। একটিমাত্র মাছি, কিন্তু প্রভাব আকাশ-পাতাল পার্থক্যের!

🔎 এখানে আসল বিষয়টা 'ওজন' নয়,
বিষয়টা হলো—কোন জায়গায় বসছে মাছিটি।

মানুষও ঠিক তেমনই।
আপনার জ্ঞান, মেধা বা পরিশ্রম তখনই মূল্য পায়,
যখন আপনি নিজেকে সঠিক জায়গায় রাখেন,
ভালো মানুষদের মাঝে থাকেন,
সততার ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে থাকেন।

🔹 সবজি বাজারে বসে থাকা মাছি আর স্বর্ণের পাল্লায় বসে থাকা মাছির ওজন এক হলেও, মূল্য এক নয়।
🔹 মানুষের মর্যাদাও তেমনি—নিজের অবস্থান ও পরিবেশের উপর নির্ভর করে।
যদি আপনি নিজেকে নিচু পরিবেশে ফেলে দেন,
তাহলে আপনি যতই ভালো হন, কেউ আপনার দাম দেবে না।
আর যদি নিজেকে উচ্চতর চেতনার মানুষদের পাশে রাখেন—তখন আপনার উপস্থিতিই অনেক কিছু বদলে দিতে পারে।

📌 জীবনে সবসময় এমন মানুষের পাশে থাকুন,
যারা আপনার মূল্যকে বুঝতে পারে—
আর এমন পরিবেশে থাকুন,
যা আপনাকে আরও মূল্যবান করে তোলে।

#মূল্য_ও_মর্যাদা
#আপনার_অবস্থান_আপনার_পরিচয়
#ভালো_সংস্পর্শ_ভালো_পরিণতি
#জীবনের_আসল_বুঝ

Address

Faridpur

Telephone

+8801874106106

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when DEAR BABU posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to DEAR BABU:

Share