22/07/2025
এত বড় একটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটলো—দেশব্যাপী শোক, আতঙ্ক, প্রশ্ন। কিন্তু এয়ার চীফ কোথায়? কোথায় সশস্ত্র বাহিনীর সেই প্রতিশ্রুত সজাগ দৃষ্টি? বিগত ১৫ বছরে সামরিক ও বিমান বাহিনীর বাজেট কত বিলিয়ন টাকা হয়েছে—তা কি শুধু মহড়ার ছবি আর নতুন বাহন দেখানোর পেছনে গেছে?
বাকশালিরা কী করেছে এই খাতে? কে কে এই খাত থেকে কমিশন বা ধান্দা করেছে? আমরা চাই শ্বেতপত্র—একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন, যেখানে খোলাসা হবে বাজেট কোথায় গেছে, কতখানি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল, আর কতখানি ছিল নিছক দেখনদারি।
আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা কতখানি প্রস্তুত?
কত দ্রুত রেসপন্স করা সম্ভব? কোথায় কোথায় দুর্বলতা রয়েছে? কেন আজো radar coverage সম্পূর্ণ নয়? কেন critical installations এখনো vulnerable?
আমরা জানতে চাই—
বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা প্রটোকল কতটা হালনাগাদ?
বেসামরিক ও সামরিক উভয় বিমান চলাচলে কে কোন দায় বহন করে?
আগামী দিনে কোন প্রযুক্তি বা অবকাঠামো দরকার আকাশ প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে—সেটা এখন জাতিকে জানান।
এখানে ভারতের আধিপত্যবাদও অস্বীকার করার সুযোগ নেই। প্রতিবেশী দেশের বিমান, স্যাটেলাইট নজরদারি, এমনকি সাইবার হামলার সম্ভাবনা নিয়েও আজ কথা বলতে হবে।
একটি স্বাধীন দেশের প্রথম শর্ত তার আকাশপথের নিরাপত্তা।
এটি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তা শুধু এক দুর্ঘটনার বেদনা নয়, বরং একটি গোটা নিরাপত্তা কাঠামোর ব্যর্থতার সঙ্কেত। এখন সময়—বস্তুনিষ্ঠ প্রশ্নের উত্তর, স্বচ্ছ তদন্ত, আর জাতীয় নিরাপত্তা নীতির খোলামেলা আলোচনা।