Sukun Publishing

Sukun Publishing শব্দে আঁকা স্বপ্ন...

যে প্রাপ্তি ছাপিয়ে যায় সমস্ত অপ্রাপ্তিকে!💚উক্তিটি 'পুনরাবৃত্তি' বই হতে নেওয়া।…
24/08/2025

যে প্রাপ্তি ছাপিয়ে যায় সমস্ত অপ্রাপ্তিকে!💚

উক্তিটি 'পুনরাবৃত্তি' বই হতে নেওয়া।…

কী আশ্চর্য সুন্দর আর বিনয়ী এক স্বীকারোক্তি! বাবা হিসেবে আমরা প্রায়ই নিজেদেরকে শিক্ষকের আসনে বসিয়ে ফেলি। আমরা ভাবি, আমরা ...
23/08/2025

কী আশ্চর্য সুন্দর আর বিনয়ী এক স্বীকারোক্তি! বাবা হিসেবে আমরা প্রায়ই নিজেদেরকে শিক্ষকের আসনে বসিয়ে ফেলি। আমরা ভাবি, আমরা শেখাব আর সন্তান শিখবে। কিন্তু 'আপনি যখন বাবা' বইয়ের লেখক শুরুতেই আমাদের সেই ধারণা ভেঙে দিয়েছেন। তিনি বলছেন, তার সন্তানই হলো তার ভালো বাবা হয়ে ওঠার পাঠশালা।

এই একটি বাক্যই যেন ‘ভালো বাবা’ হওয়ার মূল সংজ্ঞাটা আমাদের সামনে তুলে ধরে। ভালো বাবা মানে তো কোনো ত্রুটিহীন শাসক বা সর্বজান্তা পরিচালক নন। ভালো বাবা মানে হলেন একজন আজীবনের ছাত্র, যিনি তার সন্তানের সাথেই একটু একটু করে বেড়ে ওঠেন, প্রতিনিয়ত শিখতে থাকেন।

বাবা সন্তানের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার আগে নিজের ভুলগুলো শোধরানোর চেষ্টা করেন। লেখক তার এই উৎসর্গের মাধ্যমে প্যারেন্টিংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন—তিনি দেখিয়েছেন, পিতৃত্ব কোনো ক্ষমতার প্রদর্শনী নয়, বরং এটি ভালোবাসা, বিনয় আর পারস্পরিক শিক্ষণীয় যাত্রা।

তাহলে কীভাবে একজন ভালো বাবা হওয়া যায়?

বইটি আমাদের শেখায়—এর জন্য বড় বড় তত্ত্বকথা নয়, বরং ছোট ছোট কিছু আন্তরিক প্রচেষ্টাই যথেষ্ট। যেমন, সন্তানের সাথে কথা বলার সময় আদেশের সুরে নয়, বরং অনুরোধের সুরে কথা বলা, ধমক দেওয়ার আগে নিজের আবেগটাকে নিয়ন্ত্রণ করা, সন্তানের সামনে তার মাকে সম্মান করা—এই সাধারণ কাজগুলোই সন্তানের কচি মনে অসাধারণ প্রভাব ফেলে। বাবা যখন সন্তানের বন্ধু হয়ে তার জগৎটাকে বোঝার চেষ্টা করেন, তখন শাসনের প্রয়োজন কমে আসে, সম্পর্কটা হয়ে ওঠে নির্ভরতার।

বইটি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, সন্তান আমাদের কথা শোনার চেয়ে আমাদের কাজকে বেশি অনুসরণ করে। আমরা যদি চাই আমাদের সন্তান সৎ, বিনয়ী আর আল্লাহভীরু হোক, তাহলে সবার আগে সেই গুণগুলো আমাদের নিজেদের চরিত্রে ফুটিয়ে তুলতে হবে। বাবার চরিত্রই সন্তানের জন্য সবচেয়ে বড় পাঠ্যবই। একজন বাবা যখন নিজের জীবন দিয়ে সততা আর তাকওয়ার উদাহরণ তৈরি করেন, তখন সন্তানকে আর মুখে বলে নৈতিকতা শেখাতে হয় না।

কীভাবে সন্তানের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হয়ে উঠবেন? কীভাবে আপনার প্রতিটি কাজ সন্তানের জন্য এক একটি শিক্ষণীয় অধ্যায় হয়ে উঠবে? এই সুন্দর সফরের প্রতিটি পদক্ষেপের দিশা পেতে পড়ুন কারিম আশ-শাযলি রচিত ‘আপনি যখন বাবা’ বইটি।
সুকুন পাবলিশিং
শব্দে আঁকা স্বপ্ন…

'ইসলামি বইমেলা-২৫' এর নতুন বইয়ের ঘোষণা-০১আসন্ন রবিউল আউয়াল মাসে, বায়তুল মুকাররম গেইটে সীরাতুন্নবির মাস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ...
23/08/2025

'ইসলামি বইমেলা-২৫' এর নতুন বইয়ের ঘোষণা-০১

আসন্ন রবিউল আউয়াল মাসে, বায়তুল মুকাররম গেইটে সীরাতুন্নবির মাস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া 'ইসলামি বইমেলা-২৫' এ সুকুন থেকে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে একঝাঁপি নতুন বই, ইন শা আল্লাহ।

আজ আমরা প্রচ্ছদ উন্মোচন করছি সুবিখ্যাত এবং কালজয়ী একটি হাদিসগ্রন্থের যে গ্রন্থটি যুগ যুগ ধরে মুসলিমবিশ্বে বহুল পঠিত হয়ে আসছে। গোটা মুসলিম বিশ্বে অত্যধিক চর্চিত, পঠিত এবং নিয়মিত অধ্যয়নের জন্য সুবিদিত এই গ্রন্থ। সুবিখ্যাত মুসলিম মনীষী, হাদিস শাস্ত্রের মহান ইমাম, যিনি ইমাম নববী নামেই সুপরিচিত, তাঁরই সংকলিত 'চল্লিশ হাদিস'। আমাদের বক্ষ্যমান এই গ্রন্থটির ব্যাখ্যা করেছেন আরবের প্রখ্যাত এবং প্রতিথযশা আলিম, শাইখ ড. সালিহ আল ফাওযান হাফিজাহুল্লাহ।

সরল অনুবাদ, সহজ ব্যাখ্যা, জীবনঘনিষ্ঠ উদাহরণে সাজানো এই বইটি প্রকাশিত হতে যাচ্ছে আসন্ন ইসলামি বইমেলায়, ইন শা আল্লাহ। মহান রব যেন কাজটাকে কবুল করেন। গোটা উম্মাহর জন্য উপকারি বানিয়ে দেন। মহান রবই একমাত্র তাউফিকদাতা।
সুকুন পাবলিশিং
শব্দে আঁকা স্বপ্ন...

ভালোবাসার পরীক্ষাগুলো বড্ড কঠিন, তাই না? আর সেই পরীক্ষা যদি হয় মায়ের ভালোবাসার বিপরীতে নিজের ঈমানকে দাঁড় করানোর, তাহলে প...
23/08/2025

ভালোবাসার পরীক্ষাগুলো বড্ড কঠিন, তাই না?

আর সেই পরীক্ষা যদি হয় মায়ের ভালোবাসার বিপরীতে নিজের ঈমানকে দাঁড় করানোর, তাহলে পরিস্থিতিটা কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তা কি আমরা কল্পনা করতে পারি?

সাদ ইবনু আবি ওয়াক্কাস (রা.), রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর সেই সৌভাগ্যবান সাহাবি, যাঁকে দুনিয়াতেই জান্নাতের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছিল, তাঁকে ঠিক এমনই এক কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এই পরীক্ষা ছিল তাঁর ঈমানি দৃঢ়তার, তাঁর রবের প্রতি ভালোবাসার এক অগ্নিপরীক্ষা।

সাদ (রা.) ছিলেন তাঁর মায়ের অত্যন্ত আদরের সন্তান। মা তাঁকে এতটাই ভালোবাসতেন যে, তাঁর সামান্যতম কষ্টও সহ্য করতে পারতেন না। যখন তিনি জানতে পারলেন, তাঁর কলিজার টুকরা সন্তান ইসলাম গ্রহণ করেছে, তখন তিনি যেন আকাশ থেকে পড়লেন। তিনি ভাবলেন, তাঁর ভালোবাসা দিয়েই সাদকে ফিরিয়ে আনবেন। তাই তিনি এক চরম সিদ্ধান্ত নিলেন—আমরণ অনশন।

তিনি ঘোষণা দিলেন, ‘সাদ যতক্ষণ মুহাম্মাদের (ﷺ) দ্বীন ত্যাগ না করবে, ততক্ষণ আমি মুখে একদানা খাবার বা এক ফোঁটা পানিও তুলব না। আমি এভাবেই মরব, আর সারা আরব তোমাকে ‘মাতৃহন্তা’ বলে ধিক্কার দেবে।’

কী কঠিন এক পরিস্থিতি! একদিকে জন্মদাত্রী মায়ের জীবন, অন্যদিকে নিজের ঈমান। আমাদের সময়ে হলে হয়তো অনেকেই দোটানায় পড়ে যেতেন। কিন্তু সাদ (রা.)-এর অন্তর ছিল তাওহিদের আলোয় এতটাই উজ্জ্বল যে, সেখানে কোনো সন্দেহের অবকাশ ছিল না।

তিনি তাঁর মাকে ভালোবাসতেন, কিন্তু তাঁর রবের ভালোবাসা ছিল সবকিছুর ঊর্ধ্বে। তিনি মায়ের কাছে গেলেন, তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু মা যখন তাঁর সিদ্ধান্তে অটল, তখন সাদ (রা.) তাঁর জীবনের সেই ঐতিহাসিক উক্তিটি করলেন, যা আজও প্রতিটি মুমিনের অন্তরকে কাঁপিয়ে দেয়। তিনি বললেন, ‘মা! আল্লাহর কসম, আপনি জেনে রাখুন, আপনার যদি একশোটা প্রাণ থাকত, আর সেই প্রাণগুলো একে একে বের হয়ে যেত, তবুও আমি এই দ্বীন ছাড়ব না।’

সুবহানাল্লাহ! ভালোবাসার কী অপূর্ব প্রকাশ, আবার ঈমানের কী অকল্পনীয় দৃঢ়তা! এই একটি বাক্যই বুঝিয়ে দেয়, তাঁদের কাছে ঈমানের মূল্য কতখানি ছিল।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই তো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা পবিত্র কুরআনে আয়াত নাযিল করেছিলেন, যেখানে তিনি পিতা-মাতা শিরকের আদেশ দিলেও তাদের আনুগত্য করতে নিষেধ করেছেন, তবে দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাব বজায় রাখতে বলেছেন।

সাহাবিদের জীবন তাই আমাদের জন্য শুধু কিছু গল্পের সমাহার নয়, বরং এটি এক জীবন্ত পাঠ। এই পাঠ আমাদের শেখায়, কীভাবে ভালোবাসতে হয়, কীভাবে ত্যাগ করতে হয়, আর কীভাবে ঈমানের প্রশ্নে পাহাড়ের মতো অটল থাকতে হয়।

কীভাবে সেই সাধারণ মানুষগুলো আল্লাহর রাসুলের স্পর্শে সোনার মানুষে পরিণত হয়েছিলেন? তাঁদের জীবনের সেই অসাধারণ পাঠগুলো আরও গভীরভাবে জানতে পড়ুন ‘সুরভিত সাহাবি জীবন’ বইটি। বইটি আপনাকে সেই সোনালি মানুষদের জগতে নিয়ে যাবে, যাঁদের জীবনের গল্প আজও আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়।
সুকুন পাবলিশিং
শব্দে আঁকা স্বপ্ন…

একবার আমাদের চারপাশের পৃথিবীর দিকে তাকাই। বিলবোর্ড, টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়ার নিউজফিড—সবাই আমাদের একটাই বার্তা দিচ্ছে: ত...
23/08/2025

একবার আমাদের চারপাশের পৃথিবীর দিকে তাকাই। বিলবোর্ড, টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়ার নিউজফিড—সবাই আমাদের একটাই বার্তা দিচ্ছে: তোমার যা আছে, তা যথেষ্ট নয়।

সুখ পেতে হলে তোমার চাই নতুন মডেলের ফোন, আরও দামী পোশাক, আরও বড় বাড়ি, আরও বিলাসবহুল ছুটি। আমরা এই মরীচিকার পেছনে দৌড়াচ্ছি, একটা পাওয়ার পর আরেকটার পেছনে। কিন্তু এই দৌড় কি আমাদের আসলেই সুখী করছে, নাকি আরও বেশি ক্লান্ত আর অতৃপ্ত করে তুলছে?

এই অন্তহীন চাহিদার দৌড়ের বিপরীতে ইসলাম আমাদের এক অসাধারণ জীবনদর্শনের কথা বলে। তা হলো ‘যুহদ’—অর্থাৎ, সাদাসিধে ও অনাড়ম্বর জীবন।

যুহদ মানে ফকিরি বা দারিদ্র্য নয়। যুহদ মানে দুনিয়াকে বর্জন করাও নয়। যুহদ হলো এমন এক জীবনব্যবস্থা, যেখানে দুনিয়া আপনার হাতে থাকবে, কিন্তু অন্তরে প্রবেশ করবে না। আপনার সুখ, আপনার প্রশান্তি কোনো বস্তু বা জাগতিক অর্জনের উপর নির্ভরশীল থাকবে না। এই জীবনদর্শনের সেরা উদাহরণ হলেন আমাদের প্রিয় নবী (ﷺ)।

তিনি ছিলেন সমগ্র আরবের নেতা, আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় বান্দা। তিনি চাইলেই পাহাড়কে সোনায় রূপান্তরিত করে নিতে পারতেন। কিন্তু তাঁর জীবন কেমন ছিল? তাঁর ঘরে এমনও দিন যেত যখন চুলায় আগুন জ্বালানোর মতো কিছুই থাকত না। তাঁর বিছানা ছিল একটি খেজুর পাতার চাটাই, যার দাগ তাঁর পিঠে বসে যেত।

একদিন উমর (রা.) তাঁর ঘরে এসে এই অবস্থা দেখে কেঁদে ফেলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “হে আল্লাহর রাসূল, পারস্য ও রোমের সম্রাটরা ভোগ-বিলাসে ডুবে আছে, আর আপনি আল্লাহর নবী হয়েও এই সাধারণ জীবন যাপন করছেন!”

উত্তরে নবীজি (ﷺ) বলেছিলেন, “হে উমর, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, তাদের জন্য থাকুক দুনিয়া আর আমাদের জন্য আখিরাত?” [১]

এই একটি বাক্যই সাদাসিধে জীবনের পুরো দর্শনকে তুলে ধরে। যার দৃষ্টি আখিরাতের দিকে নিবদ্ধ, দুনিয়ার চাকচিক্য তাকে আর আকৃষ্ট করতে পারে না। সে বোঝে যে, এই জীবনটা একটা মুসাফিরখানা মাত্র। এখানে এত বাহুল্য আর বোঝা বাড়িয়ে লাভ কী?

একটি সাদাসিধে জীবন আধুনিক মনস্তত্ত্বের দিক থেকেও প্রশান্তিদায়ক। যখন আপনার চাহিদা কম, তখন আপনার মানসিক চাপও কম। অন্যদের সাথে নিজেকে তুলনা করার মতো বিষাক্ত প্রতিযোগিতা থেকে আপনি মুক্ত। আপনার যা আছে, তা নিয়ে আপনি যখন কৃতজ্ঞ (শুকরিয়া আদায়কারী) হতে পারবেন, তখন দেখবেন, আপনার চেয়ে সুখী মানুষ আর কেউ নেই।

নবীজি (ﷺ) বলেছেন, “সফলকাম সেই ব্যক্তি, যে ইসলাম গ্রহণ করেছে, যাকে প্রয়োজনমাফিক রিযিক দেওয়া হয়েছে এবং আল্লাহ তাকে যা দিয়েছেন, তাতে তুষ্ট রেখেছেন।” [২]

আজকের এই ছুটির সকালে হয়তো আমাদের মন নতুন কিছু কেনার জন্য বা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য আকুল হচ্ছে। কিন্তু তার আগে কি আমরা একবার নিজেদের প্রশ্ন করতে পারি—আমার অন্তরের প্রশান্তির জন্য কি আসলেই এই জিনিসটা প্রয়োজন? নাকি আমার যা আছে, তাতেই শুকরিয়া আদায় করার মধ্যে আসল শান্তি লুকিয়ে আছে?

আসুন, জীবন থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস আর অন্তহীন চাহিদার বোঝাগুলো একটু একটু করে কমাতে শুরু করি। দেখবেন, জীবন যত হালকা হবে, আপনার অন্তরও তত বেশি প্রশান্তিতে ভরে উঠবে, ইন শা আল্লাহ।
রেফারেন্স:
[১] সহীহ আল-বুখারী, হাদীস: ৪৯১৩ (ভাবানুবাদ)
[২] সহীহ মুসলিম, হাদীস: ১০৫৪
সুকুন পাবলিশিং
শব্দে আঁকা স্বপ্ন…

রাতের নির্জনতায় দরুদ পাঠ করতে করতে কখনো কখনো এক অপার্থিব মুহূর্ত তৈরি হয়; মনে হয়, যেন আপনি সরাসরি রওজার সামনে দাঁড়িয়েই আ...
22/08/2025

রাতের নির্জনতায় দরুদ পাঠ করতে করতে কখনো কখনো এক অপার্থিব মুহূর্ত তৈরি হয়; মনে হয়, যেন আপনি সরাসরি রওজার সামনে দাঁড়িয়েই আপনার সালাম আর ভালোবাসা পেশ করছেন।

গভীর রাতের নিস্তব্ধতা এই অনুভূতিকে আরও তীব্র করে তোলে। তখন দুনিয়ার কোনো কোলাহল থাকে না, থাকে না কোনো লোকদেখানো ব্যস্ততা। থাকে শুধু আপনি, আপনার অশ্রুসিক্ত চোখ, আর আপনার প্রিয় নবির (ﷺ) প্রতি আপনার নিখাদ ভালোবাসা।

এই সময়ে আমাদের অন্তর সবচেয়ে নরম থাকে, আমাদের তাওবা সবচেয়ে আন্তরিক হয়, আর আমাদের ভালোবাসা সবচেয়ে খাঁটি রূপে প্রকাশ পায়। এই সময়টাতে দরুদ পাঠ করা মানে নিজের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা, প্রিয় নবি (ﷺ)-এর সাথে নিজের আধ্যাত্মিক বন্ধনকে আরও মজবুত করা।

কীভাবে এই রাতের মুহূর্তগুলোকে কাজে লাগিয়ে প্রিয় নবি (ﷺ)-এর সাথে আত্মিক সম্পর্ক গড়া যায়? কীভাবে প্রতিটি দরুদকে হৃদয়ের গভীর থেকে পাঠানো একেকটি চিঠি হিসেবে অনুভব করা যায়? ভালোবাসার এই গভীর অনুভূতি আর আত্মশুদ্ধির পথের দিশা পেতে পড়ুন আমজাদ ইউনুসের লেখা ‘দরুদমাখা সবুজ চিঠি’ বইটি।
সুকুন পাবলিশিং
শব্দে আঁকা স্বপ্ন…

নামাজ ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত। একাগ্রতা ও মনোযোগের সাথে নামাজ আদায় করা আবশ্যক। তবে মানুষ হিশেবে আমাদের ভুল-ত্রুটি হওয়া...
21/08/2025

নামাজ ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত। একাগ্রতা ও মনোযোগের সাথে নামাজ আদায় করা আবশ্যক। তবে মানুষ হিশেবে আমাদের ভুল-ত্রুটি হওয়া স্বাভাবিক।

নামাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতেও অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু মহান আল্লাহ্‌র অশেষ রহমত যে, তিনি আমাদের এই ভুলগুলো সংশোধন করার একটি সুন্দর ও সহজ পদ্ধতি শিখিয়েছেন, যাকে ‘সিজদায়ে সাহু’ বা ভুলের সিজদা বলা হয়।

নামাজের ভুলগুলো মূলত তিন প্রকার, এবং প্রত্যেকটির বিধান ভিন্ন:

১। ফরজ বা রুকন ছুটে যাওয়া: নামাজের কিছু কাজ ‘ফরজ’ বা ‘রুকন, যা ছাড়া নামাজ শুদ্ধই হয় না। যেমন: তাকবীরে তাহরিমা, দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া (কিয়াম), রুকু করা, সিজদা করা ইত্যাদি।

বিধান: যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ফরজ বা রুকন ছুটে যায় এবং নামাজের ভেতরেই মনে পড়ে, তবে সেই রাকাতটি বাতিল হয়ে যাবে। আপনাকে উঠে দাঁড়িয়ে ওই রাকাতটি পূর্ণ করে বাকি নামাজ শেষ করতে হবে এবং শেষে সাহু সিজদা দিতে হবে। আর যদি সালাম ফেরানোর পর মনে পড়ে, তবে সাহু সিজদা যথেষ্ট হবে না, বরং সম্পূর্ণ নামাজটি পুনরায় আদায় করতে হবে।

২। ওয়াজিব ছুটে যাওয়া: নামাজের কিছু কাজ ‘ওয়াজিব’, যা ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দিলে নামাজ পুনরায় পড়তে হয়, কিন্তু অনিচ্ছাকৃতভাবে ছুটে গেলে সাহু সিজদার মাধ্যমে তা সংশোধন করা যায়।

বিধান: নামাজের কোনো ওয়াজিব, যেমন—সূরা ফাতিহা পড়া, প্রথম বৈঠক, তাশাহহুদ পড়া, বিতর নামাজে দোয়া কুনুত পড়া ইত্যাদি অনিচ্ছাকৃতভাবে ছুটে গেলে, নামাজের শেষে সাহু সিজদা দিলেই নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে।

৩। সুন্নত ছুটে যাওয়া: নামাজের সুন্নত কাজগুলো ছুটে গেলে নামাজ শুদ্ধ হয়ে যায়, এর জন্য সাহু সিজদা দিতে হয় না। তবে ওই সুন্নতের সওয়াব থেকে বঞ্চিত হতে হয়।


সাহু সিজদা কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণে ওয়াজিব হয়।

প্রধান কয়েকটি কারণ হলো:
১। কোনো ওয়াজিব অনিচ্ছাকৃতভাবে ছুটে গেলে: যেমন, রুকুতে গিয়ে ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম’ বলতে ভুলে যাওয়া বা প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ পড়তে ভুলে সরাসরি তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যাওয়া।
২। কোনো ওয়াজিব পালনে দেরি করলে: যেমন, প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ পড়তে যতটুকু সময় লাগে, তার চেয়ে বেশি দেরি করে ফেলা।
৩। কোনো ফরজ বা রুকন পালনে দেরি করলে: যেমন, রুকু থেকে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়াতে দেরি করা।
৪। কোনো ফরজ বা রুকন আগে বা পরে করে ফেললে: যেমন, সিজদার আগে রুকু করা বা রুকুর আগে কিরাত পড়া।
৫। কোনো ফরজ বা রুকন একাধিকবার করে ফেললে: যেমন, ভুলবশত এক রাকাতে তিনবার সিজদা করে ফেলা।
৬। রাকাত সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে: এটি একটি সাধারণ সমস্যা। যেমন, তিন রাকাত পড়া হয়েছে নাকি চার রাকাত, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হওয়া।

বিধান: এ অবস্থায় আপনার মন যেদিকে বেশি সায় দেবে (প্রবল ধারণা), সেটিকেই সঠিক ধরে বাকি নামাজ পূর্ণ করবেন এবং শেষে সাহু সিজদা দেবেন। আর যদি কোনো ধারণাই প্রবল না হয়, তবে কম সংখ্যাটি (যেমন: ৩ রাকাত) নিশ্চিত ধরে নিয়ে বাকি নামাজ (১ রাকাত) পূর্ণ করবেন এবং শেষ বৈঠকে সাহু সিজদা দেবেন। [১]


সাহু সিজদা আদায়ের সবচেয়ে প্রচলিত ও সহজ পদ্ধতিটি হলো:
১। নামাজের শেষ বৈঠকে বসবেন।
২। শুধুমাত্র ‘আত্তাহিয়্যাতু’ বা তাশাহহুদ পাঠ করবেন।
৩। এরপর ডান দিকে একবার সালাম ফেরাবেন (আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বলবেন)।
৪। সালাম ফেরানোর পর নামাজের সাধারণ সিজদার মতোই দুটি সিজদা দেবেন। প্রতিটি সিজদায় ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা’ পাঠ করবেন।
৫। দুই সিজদার পর আবার বসে পড়বেন এবং সম্পূর্ণ তাশাহহুদ (আত্তাহিয়্যাতু), দরুদ শরিফ ও দোয়া মাসুরা পাঠ করবেন।
৬। সবশেষে দুই দিকে সালাম ফিরিয়ে নামাজ সম্পন্ন করবেন। [২]

সাহু সিজদার বিধান ইসলামের সৌন্দর্য ও সহজতার এক অনন্য নিদর্শন। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি বিশেষ ছাড়, যা আমাদেরকে সামান্য ভুলের কারণে সম্পূর্ণ ইবাদত নষ্ট হয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেয়। তাই নামাজের ভুল হলে ঘাবড়ে না গিয়ে স্থিরতার সাথে এই বিধান পালন করা উচিত।
রেফারেন্স:
[১] সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৭১ (আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসের মূলনীতি অবলম্বনে)
[২] সহিহ বুখারি, হাদিস: ১২২৯; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৭৩ (যুল-ইয়াদাইন (রা.) সম্পর্কিত হাদিস, যা থেকে সাহু সিজদার বিধান ও পদ্ধতি প্রমাণিত হয়।)
সুকুন পাবলিশিং
শব্দে আঁকা স্বপ্ন…

21/08/2025

মিষ্টি মিষ্টি গল্পের একঝাঁপি কাজ চলে আসছে, ইন শা আল্লাহ!🌺

জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই মূল্যবান। অবহেলায় কাটানো সময়ের পরিণতি কেবলই আফসোস।  কথাটি 'আল্লাহর রঙে রাঙি' বই হতে নেওয়া।
21/08/2025

জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই মূল্যবান। অবহেলায় কাটানো সময়ের পরিণতি কেবলই আফসোস।


কথাটি 'আল্লাহর রঙে রাঙি' বই হতে নেওয়া।

পৃথিবীর বুকে কত প্রাচীন স্থাপনা আছে, তাই না? পিরামিড, কলোসিয়াম—কত শত বছরের ইতিহাস বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সেগুলো। কিন্...
21/08/2025

পৃথিবীর বুকে কত প্রাচীন স্থাপনা আছে, তাই না? পিরামিড, কলোসিয়াম—কত শত বছরের ইতিহাস বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সেগুলো।

কিন্তু এমন এক স্থাপনা আছে, যা শুধু প্রাচীনই নয়, বরং এর প্রতিটি পাথরের কণার সাথে জড়িয়ে আছে মানবজাতির সবচেয়ে পবিত্র ইতিহাস। না, এটি কোনো রাজার প্রাসাদ নয়, কোনো সম্রাটের সমাধি নয়। এটি হলো পৃথিবীর বুকে আল্লাহর ইবাদতের জন্য নির্মিত প্রথম ঘর—পবিত্র কা'বা।

এর গল্পটা শুরু হয়েছিল বহু হাজার বছর আগে, যখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তাঁর বন্ধু, নবি ইবরাহিম (আ.)-কে একটি ঘর নির্মাণের আদেশ দিলেন। জায়গাটা ছিল ধূসর মরু প্রান্তর। ইবরাহিম (আ.) তাঁর প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে সাথে নিয়ে সেই ঐশ্বরিক আদেশের বাস্তবায়নে লেগে পড়লেন।

বাবা আর ছেলের সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য! ছেলে ইসমাইল (আ.) দূর-দূরান্ত থেকে পাথর বয়ে আনছেন, আর বাবা ইবরাহিম (আ.) পরম মমতায় সেই পাথরগুলো দিয়ে একটার পর একটা দেয়াল গাঁথছেন।

যখন দেয়ালগুলো উঁচু হতে লাগল, তখন ইবরাহিম (আ.) একটি পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে কাজ করতে শুরু করলেন। আজও সেই পাথরে তাঁর পায়ের ছাপ অমলিন হয়ে আছে, যা ‘মাকামে ইবরাহিম’ নামে পরিচিত। এই ঘর নির্মাণ কোনো সাধারণ স্থাপত্যকর্ম ছিল না, এটি ছিল আল্লাহর প্রতি এক বাবা ও তাঁর সন্তানের ভালোবাসার এক জীবন্ত দলিল।

এই সেই ঘর, যাকে কেন্দ্র করে বিবি হাজেরা (আ.) একফোঁটা পানির জন্য সাফা-মারওয়ায় ছুটেছিলেন আর যার পাশে শিশু ইসমাইল (আ.)-এর পায়ের আঘাতে উৎসারিত হয়েছিল জমজমের পবিত্র ধারা। এই ঘর শুধু একটি ইবাদতখানা নয়, এটি হলো পৃথিবীর সকল মুসলমানের ঐক্যের কেন্দ্রবিন্দু, আমাদের প্রথম কিবলা। এটিই পৃথিবীর আদিমতম ইবাদত গৃহ, যার গল্প আমাদের ঈমানকে নাড়া দেয়, আমাদের শেকড়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।

কীভাবে নির্মিত হয়েছিল এই ঘর? এর সাথে জড়িয়ে থাকা আরও অলৌকিক আর হৃদয়স্পর্শী কাহিনীগুলো জানতে আপনার সন্তানকে পড়তে দিন অথবা তাকে নিয়ে পড়ুন ‘পবিত্র মাসজিদের গল্প' সিরিজ। এই সিরিজের প্রতিটি বই আপনার সন্তানকে ইসলামের গৌরবময় ইতিহাসের সাথে এক নতুন বন্ধনে আবদ্ধ করবে, ইন শা আল্লাহ।
সুকুন পাবলিশিং
শব্দে আঁকা স্বপ্ন…

যখন আপনার পায়ে ছোট্ট একটা কাঁটা ফোটে, তখন কি শুধু পা-ই ব্যথা অনুভব করে? নাকি আপনার পুরো শরীর, আপনার মন, আপনার মস্তিষ্ক—...
20/08/2025

যখন আপনার পায়ে ছোট্ট একটা কাঁটা ফোটে, তখন কি শুধু পা-ই ব্যথা অনুভব করে? নাকি আপনার পুরো শরীর, আপনার মন, আপনার মস্তিষ্ক—সবাই মিলে সেই ব্যথায় সাড়া দেয়?

আমাদের কপালে ঘাম জমে, মুখটা ব্যথায় কুঁচকে যায়, পুরো শরীরটাই যেন সেই কাঁটার যন্ত্রণা বয়ে বেড়ায়। এক মুহূর্তের জন্যও আমরা শান্তি পাই না, যতক্ষণ না কাঁটাটি বের করে ফেলা হয়।

আমাদের প্রিয় নবী (ﷺ) ঠিক এই উদাহরণটিই দিয়েছেন মুসলিম উম্মাহর জন্য।

তিনি বলেছেন, “পারস্পরিক দয়া, ভালোবাসা ও সহানুভূতিতে তুমি মুমিনদেরকে একটি দেহের মতো দেখবে। যখন এর একটি অঙ্গ অসুস্থ হয়, তখন পুরো শরীর জ্বর ও অনিদ্রার মাধ্যমে এর প্রতি সাড়া দেয়।” [১]

সুবহানাল্লাহ! কী অসাধারণ একটি ধারণা! ফি-লি-স্তি-নের গা-জা-য় বো-মার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত একটি শিশুর কান্না, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত একজন রোহিঙ্গা বৃদ্ধের হাহাকার, কিংবা পৃথিবীর অন্য কোনো প্রান্তে নির্যাতিত একজন মুসলিমের নীরব আর্তনাদ—এই সবকিছুই আমার, আপনার, আমাদের সবার হৃদয়ে একই রকম ব্যথা তৈরি করার কথা। কারণ আমরা এক উম্মাহ, এক দেহ।

আমাদের পরিচয়, আমাদের বন্ধন ভৌগোলিক সীমানা, ভাষা বা চামড়ার রঙের ঊর্ধ্বে। ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’—এই কালিমা আমাদের এমন এক সূত্রে গেঁথে দিয়েছে, যা রক্তের সম্পর্কের চেয়েও শক্তিশালী।

কিন্তু আজ এই দেহের বাস্তবতা কী? আজ দেহের এক অঙ্গে আঘাত লাগলে অন্য অঙ্গ কি সত্যিই সেই ব্যথা অনুভব করে? ফি-লি-স্তি-নের কোনো একটি পরিবার যখন সাহরিতে খাওয়ার মতো কিছু খুঁজে পায় না, তখন আমরা কি আমাদের ইফতারের জমকালো আয়োজন নিয়ে লজ্জিত হই?

আমরা খবর দেখি, সামাজিক মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করে একটি পোস্ট দিই, তারপর নিজের অফলাইন জীবনে ফিরে যাই। ব্যাপারটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, শরীরের একটি অঙ্গ হয়তো ক্যান্সারে আক্রান্ত, কিন্তু বাকি শরীর অবশ হয়ে গেছে, সে কোনো ব্যথাই অনুভব করছে না।

আমরা জাতীয়তাবাদ, আঞ্চলিকতা আর নানা রকম মতভেদের দেয়ালে বিভক্ত হয়ে পড়েছি। আমরা ভুলে গেছি যে, আল্লাহ আমাদের ভাই ভাই হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। [২] আমাদের এই বিভক্তির সুযোগ নিয়েই শত্রুরা আমাদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে।

হয়তো আপনি ভাবছেন, “আমি একা একজন মানুষ, এই ঢাকা-চট্টগ্রাম বা সিলেটের এক কোণায় বসে আমি আর কী-ই বা করতে পারি?” আমাদের দায়িত্ব পুরো পৃথিবীকে বদলে দেওয়া নয়, বরং নিজের অবস্থান থেকে এক দেহের অংশ হিসেবে সাড়া দেওয়া। এই সাড়া দেওয়ার প্রথম ধাপ হলো—ব্যথাটা অনুভব করা। হৃদয়টাকে এতটা কঠিন হতে না দেওয়া, যাতে অন্যের কান্না আমাদের স্পর্শ না করে।

এরপর আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ারটি হাতে তুলে নেওয়া—দোয়া। গভীর রাতে তাহাজ্জুদে দাঁড়িয়ে পৃথিবীর অন্য প্রান্তে থাকা না চেনা ভাই বা বোনের জন্য দুটো চোখের পানি ফেলাই হলো ঈমানি ভ্রাতৃত্বের সেরা প্রমাণ। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের জন্য আর্থিকভাবে সাহায্য করা, তাদের দুর্দশার কথাগুলো অন্যদের জানানো, যেন পৃথিবী তাদের ভুলে না যায়—এই প্রতিটি কাজই দেহের একটি অঙ্গের কষ্টে অন্য অঙ্গের সাড়া দেওয়ার শামিল।

আসুন, আমরা আমাদের এই অবশ হয়ে যাওয়া দেহে আবার প্রাণের সঞ্চার করি। আজ রাতে যখন আমরা নিজেদের নিরাপদ বিছানায় ঘুমাতে যাব, তখন একবার ভাবি—এই দেহের অন্য কোনো অঙ্গ কি ব্যথায় কাতরাচ্ছে? যদি উত্তর ‘হ্যাঁ’ হয়, তবে তাদের জন্য আল্লাহর কাছে দুটো হাত তুলতে যেন আমরা ভুলে না যাই। কারণ দেহের একটি অঙ্গের কষ্ট যদি বাকি শরীর অনুভব না করে, তবে বুঝতে হবে—দেহে বড় কোনো রোগ বাসা বেঁধেছে।
রেফারেন্স:
[১] সহীহ আল-বুখারী, হাদীস: ৬০১১
[২] সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১০
সুকুন পাবলিশিং
শব্দে আঁকা স্বপ্ন…

Address

66, Paridas Road, Banglabazar
Dhaka
1100

Opening Hours

Monday 10:00 - 19:00
Tuesday 10:00 - 19:00
Wednesday 10:00 - 19:00
Thursday 10:00 - 19:00
Saturday 10:00 - 19:00
Sunday 10:00 - 19:00

Telephone

+8801819887755

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sukun Publishing posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sukun Publishing:

Share

Category