Bangladesh News Network

  • Home
  • Bangladesh News Network

Bangladesh News Network সর্বশেষ বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনায় অঙ্গিকারাবদ্ধ ।

পরী তুমি! আমার হৃদয়ের শুভ্রতার অপ্সরী তুমি! তোমার এক লহমার অপলক দৃষ্টিবাণে আমার ভালোবাসার উষ্মসমুদ্রে উত্তাল সপ্তরাঙ্গা ...
07/11/2024

পরী তুমি! আমার হৃদয়ের শুভ্রতার অপ্সরী তুমি! তোমার এক লহমার অপলক দৃষ্টিবাণে আমার ভালোবাসার উষ্মসমুদ্রে উত্তাল সপ্তরাঙ্গা প্লাবনের ঢেঁউয়ে উদ্বেলিত আজ আমিত্ব।

তোমায় নিয়ে ইদানিং কতোনা অলীক কল্পনায় বিভোর আমার মনের প্রতিটি স্বপ্ন পিয়াসী পালক গুলো!

ভালোবাসার অনন্ত খেয়ার মাঝি হয়ে, তোমায় নিয়ে স্বপ্নতরীতে ভেসে, নীল আকাশের নীলীমায় রাজত্ব সাঁজাতে বড়বেশি ইচ্ছে হয়!

জানি, এ শুধুই আমার কল্পনা প্রসুত আবেগি খেয়াল মাত্র।

তোমায় নিয়ে ভালোবাসার রাজত্ব সাঁজাতে পারি, আর নাইবা পারি! তবুও ভালো থাকুক পৃথিবীর সব ভালোবাসার মানুষেরা।

সব স্বামী এবং বাবাদের পড়া উচিত, পড়ে দেখুন, নিশ্চই ভালো লাগবে। আমি মোবাইলে খবর দেখছিলাম, আমার ৭ বছরের ছোট্ট মেয়েটা বারান্...
04/11/2024

সব স্বামী এবং বাবাদের পড়া উচিত, পড়ে দেখুন, নিশ্চই ভালো লাগবে।

আমি মোবাইলে খবর দেখছিলাম, আমার ৭ বছরের ছোট্ট মেয়েটা বারান্দায় খেলনা হাঁড়িপাতিলে রান্না করছে। হঠাৎ দৌড়ে এসে জিজ্ঞেস করল, বাবা, চা খাবে?

চা খাবার বদ অভ্যেসটা আমার বেশ পুরনো! আমি ওর খেলনার বাটিতে চুমুক দিয়ে তৃপ্তি পাবার অভিনয় করে বললাম, খুব ভালো হয়েছে মা।

- আর এককাপ খাবে?
- না মা! আমি পড়াশোনা করছি।
- তাইলে নিডো খাও! শক্তি হবে!

আমি ওর দিকে তাকালাম। আমাকে নিয়ে এমন চিন্তিত চেহারায় আমার গর্ভধারিণী মায়ের পর আর কাউকে দেখেছি বলে মনে পড়ে না! হাত বাড়িয়ে বুকে টেনে নিলাম। ঘাড়ে মাথা দিয়ে ও চুপ করে শুয়ে আছে, ওর মাথার ঘ্রাণটা আমার চোখে পানি এনে দিচ্ছে! আহা মা! আহা বন্ধন! মাঝে মাঝেই আমার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। সব কন্যার বাবাই হয়তো আমার মতো লুকিয়ে কাঁদে।

আমার বিয়ের সময় বিদায়বেলায় আমার শ্বশুর তার মেয়েকে বুকে জড়িয়ে কেঁদেছিলেন। আমার হাত চেপে ধরে বলেছিলেন, মেয়েটা আমার বড্ডো আদরের, ও কোনো ভুল করলে আমাকে বলবে বাবা, বকাঝকা করো না।

আমিও সুবোধ বালকের মতো মাথা নেড়ে বলেছিলাম, অবশ্যই বাবা!

আমি কথা রাখিনি। সংসার জীবনের পথ পরিক্রমায় আমি আরেকজনের কন্যাকে কাঁদিয়েছি, বকাঝকাও করেছি! আমি জানি আমার স্ত্রী এগুলো মনে রাখেনা। সে এখন একমাত্র আমার সংসার নিয়েই চিন্তিত, এর বাইরে তার মাথায় কিছু কাজ করে না! তার বাবার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে, সে তৈরি করেছে আলাদা এক বৃত্তের পৃথিবী। সেই বৃত্তের কেন্দ্রে শুধুই আমার দুই সন্তান, আর প্রচন্ড ব্যস্ত আমি। তার পৃথিবীটা আজ শুধুমাত্র আমাদেরকে ঘিরেই আবর্তিত হয়। ভাবলে অবাক লাগে, কী আত্মত্যাগটাই না একজন নারী করে তার সংসারের জন্য!

আমার ছোট্ট মেয়েটাও একদিন হয়তো আমাকে কাঁদিয়ে আরেক বৃত্তে চলে যাবে! আমাকেও হয়তো আরেক যুবকের হাত ধরে সেই একই কথাটার পুণরাবৃত্তিই করতে হবে! আমি চাই না, আমার ব্যর্থতা আমার কন্যাসন্তানকে স্পর্শ করুক! আমি ক্ষমাপ্রার্থী আর অনুতপ্ত আমার শ্বশুরের নিকট, কথা রাখতে না পারার জন্য।

কন্যার পিতা হওয়া অনেক কষ্টের। কতটুকু কষ্টের, সেটা কন্যাসন্তানের পিতা হবার পূর্বে অনুভূত হয় না। আমার চোখের কোণায় জল গাঢ় হচ্ছে, আমার ছোট্ট মেয়েটা খুবই অস্থির হয়ে উঠেছে, ভ্রু কুঁচকে পড়ার চেষ্টা করছে, এক অপরাধীর জবানবন্দি। ওর চোখেও জল! কি জানি! মেয়েরাই হয়তো বাবার অনুভূতি পড়তে পারে, সৃষ্টিকর্তা মেয়েদেরকে বাবার অনুভূতি পড়তে পারার এক অদ্ভুত শক্তি দিয়েই পৃথিবীতে পাঠান।

একজন বাবা, তার সন্তানের কাছে কেমন, তা নির্ভর করে তিনি স্বামী হিসেবে তার স্ত্রীর সাথে কেমন আচরণ করছেন, তার উপর। সন্তানেরা মায়ের চোখ দিয়েই বাবাকে দেখে। একজন স্ত্রী তার স্বামীকে শ্রদ্ধা করলে, ভালবাসলে, সন্তানেরাও বাবাকে ভালবাসতে শেখে, শ্রদ্ধা করে। একজন স্ত্রী তার স্বামীকে ঘৃণা করলে, সন্তানেরাও তাদের বাবাকে আজীবন ঘৃণার চোখে দেখে।

বাবাদের মূল্যায়ন তার নিজের কাজ দিয়ে হয় না। বরং, মা কিভাবে বাবাকে সন্তানদের সামনে উপস্থাপন করছেন, তার আলোকেই নির্ধারিত হয়। সন্তানেরা মায়ের চোখ দিয়েই বুঝে নেয়, বাবা কি হিরো, নাকি ভিলেন। তাই, একজন ভাল বাবা হওয়ার আগে, একজন ভাল স্বামী হওয়া খুবই জরুরী।

কেউ যখন আপনাকে বারবার প্রতিযোগিতার কথা মনে করিয়ে দেয়, সরে যান। জীবন, সত্যিকার অর্থেই কোন প্রতিযোগিতা না ।  অন্যের জীবন, ...
03/11/2024

কেউ যখন আপনাকে বারবার প্রতিযোগিতার কথা মনে করিয়ে দেয়, সরে যান। জীবন, সত্যিকার অর্থেই কোন প্রতিযোগিতা না ।

অন্যের জীবন, অন্যের সফলতার দিকে তাকানো বন্ধ করে দিন। জীবন আপনাকে দেয়া সৃষ্টিকর্তার এক পরম সময়। তাতে এই আধুনিক সময়ের সংজ্ঞায় নির্ধারিত সফলতা বা অসফলতায় কিছু যায় আসেনা।

সরল থাকুন। নিজের ঘরে নিজের দুপুরটা উপভোগ করতে শিখুন। ভালোবাসার মানুষ গুলোকে জড়িয়ে রাখুন। এত ক্ষুদ্র এ জীবন। এত অনিশ্চিত!

মানুষ একজনের থেকে আরেকজন ম্যাজিস্টিকলি ডিফরেন্ট জিনিস। আপনার যা ভালো লাগে, আরেক জনের তা লাগেনা। যে গান আপনি শুনেন, তা আরেক জন শুনেনা। যে রঙ আপনার মনে বিহবলতা আনে, তা আরেকজনের আনেনা।

আপনার লেখাপড়া, আপনার চাকরি, চিন্তা একেবারেই আপনার মতন হবে।কাউকে তেড়েফুঁড়ে গিয়ে ফলো করার কিছু নাই। চাকরি ভালো না লাগলে, ব্যবসা করবেন। তা ভালো না লাগলে সময় নিন। দেখেন কি করলে আপনার মস্তিষ্ক কম্ফোর্ট পায়।

একটাই জীবন, তাতে নিজেকে কষ্ট দেয়ার তো দরকার নাই! কেউ যদি বলে, যে বন্ধু পাশে দাঁড়ায় নাই, তাকে মনে রাখ, তাকে শত্রু তালিকাবদ্ধ কর, তাকে ক্ষমা করোনা। তাকে এড়িয়ে চলুন। সে আপনাকে ভুল তথ্য দিচ্ছে। আপনার মনে নেগেটিভিটি নিয়ে আসছে। ঘৃণা তৈরি করছে। জিনিসগুলো আপনার আত্মাকে নষ্ট করবে। আপনাকে ক্ষুদ্র করবে। ঘৃণা, ইগো হচ্ছে স্যাটানিক খেলা। নেগেটিভিটির খেলা।

মানু্ষকে ক্ষমা করা শিখুন দয়াকরে। দয়াকরে মন নরম করে আনুন। অনেকের অনেক রকম বাস্তবতা থাকে। কোন কারনে আপনার সাথে তার গন্ডগোল হয়েছে হয়তোবা, হয়তোবা সে ইচ্ছা করেই কিছু একটা করেছে বা ইগনোর করছে।

দৃষ্টি সরিয়ে নেয়া শিখুন। এ এক অদ্ভুত মানব জনম,,এ এক অসাধারন গিফট,,একে ঘৃণা, রাগ, নেগেটিভিটির বিশ্রী আস্তরে ঢেকে ফেলবেন না দয়াকরে।

বাতাসে বহিছে প্রেম প্রিয়, একটা সরল অরুন্ধতী ফুটেছে গগনে, একটা নরম বাতাস ছুঁয়ে এসেছে ফুল!

ভালোবাসুন মন খুলে, প্রাণ দিয়ে। নিজের জিবনটাকে ক্রিটিক্যাল ফাঁদে না জড়িয়ে, উপভোগ করুন সুন্দর সরলভাবে।

আজ ০৬ সেপ্টেম্বর, আমার একমাত্র কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস প্রিয়াংকা মামনির জন্মদিন।সকল প্রিয় আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, শুভ...
05/09/2024

আজ ০৬ সেপ্টেম্বর, আমার একমাত্র কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস প্রিয়াংকা মামনির জন্মদিন।

সকল প্রিয় আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, শুভানুধ্যায়ীদের নিকট আমার কন্যার জন্য বিনীতভাবে দোয়া প্রার্থনা করছি।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলআমীন এর দরবারে কোটি কোটি শুকরিয়া ঞ্জাপন করছি আমাকে কন্যা সন্তান দান করার জন্য। আল্লাহর এই নেক আমানতকে আমি সঠিকভাবে পরিচালনা করে তার গন্তব্যে পৌছে দিতে পারি, আল্লাহ যেন আমাকে সেই তৌফিক দান করেন।আমীন।

আর আমার কন্যা যেন জিবনে একজন সৎ, সাহসী ও আদর্শবান ভালোমানুষ হতে পারে, এ কামনাই অবিরত।

দি লষ্ট প্যারাডাইস! ৮০ ও ৯০ দশকে আমরা যারা জন্মেছি, তাদের হারানো আর পাওয়ার হিসাব নিকাশ।আমরাই সেই শেষ জেনারেশন, যাঁরা জীব...
04/09/2024

দি লষ্ট প্যারাডাইস!

৮০ ও ৯০ দশকে আমরা যারা জন্মেছি, তাদের হারানো আর পাওয়ার হিসাব নিকাশ।

আমরাই সেই শেষ জেনারেশন, যাঁরা জীবনের স্বর্গ দেখেছি ও হারিয়েছি! আর কোনো জেনারেশনই আর তা দেখতে পাবে না।!

আমরাই সেই জেনারেশন, যারা গরুর গাড়ি থেকে সুপার সনিক কনকর্ড জেট দেখেছি। পোস্টকার্ড, খাম, ইনল্যান্ড লেটার, পাঁচ পয়সা, দশ পয়সা, এ্যানালগ টাইপরাইটার থেকে শুরু করে আজকের হোয়াটস্যাপ চ্যাটিং, ফেসবুক, ই-মেইল পর্যন্তও করছি। অসম্ভব মনে হওয়া অনেক জিনিসই সম্ভব হতে দেখেছি।

আমরা সেই জেনারেশন, যারা টেলিগ্রাম এসেছে শুনলেই, ঘরগুষ্টির মুখ শুকিয়ে যেতে দেখেছি…!

আমরাই সেই জেনারেশন, যারা মাটিতে বসে মাদুর পেতে ভাত খেয়েছি, আর পিরিচে ঢেলে চা খেয়েছি সুরুৎ শব্দে, পরে জেনেছি ওটা বদ-অভ্যাস ।

আমরাই সেই জেনারেশন, যারা ছোটবেলায় বন্ধুদের সাথে লুকোচুরি, বাঘবন্দি, ডাঙ্গুলি, দাড়িয়াবাধা, ডাঙ্গুলী, গোল্লাছুট, মার্বেল, লাটিম খেলেছি, বলার আঠায় বাঁশপাতা কাগজের ঘুড়ি বানিয়ে আকাশে উড়িয়েছি। নারকেল পাতা দিয়ে ঘড়ি ও চশমা বানিয়ে ওয়েষ্টার্ণ সেঁজেছি!

আমরাই সেই জেনারেশন, যারা হ্যারিকেন আর কূপির আলোতে পড়াশুনা করেছি, বেত, কলমী লতার ডাল ও পাখার ডাঁটের বাপাঝাপ শো শো শব্দের বারি খেয়ে পাছা লাল করেছি। আর চাদরে উপুড় হয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে Adventure সিরিজ পড়তে গিয়ে মায়ের হাতের ধুপধাপ কিল খেয়েছি। মধুর ব্যাথা ছিলো, কিন্তু মা চলে যাওয়ার পরে ভাই বোনের কে কয়টা খেলো, সেটা নিয়ে হিসেব কষে মখবন্ধ করে ফোসফোস করে হেসেছি চোখে জল নিয়ে!

আমরাই সেই জেনারেশন, যারা মোবাইল, কম্পিউটার, ফ্যান, এসি, হিটার, ফ্রীজ, গ্যাস, মাইক্রো- ওভেনের অস্থাবর সুখ ছাড়াই ছোটবেলা কাটিয়েছি ।

আমরাই সেই জেনারেশন, যারা ঈগল পেন থেকে বমি করা সুলেখা কালি হাতে মেখে মাথায় মুছে ‘বাবরের যুদ্ধবৃত্তান্ত’ লিখেছি, বড়দের পকেটে বড় নিবের উইংসাঙ পেন দেখেছি, আর নতুন বই-খাতার একটা আলাদা গন্ধ আর আনন্দ উপভোগ করেছি। কাঠের হলুদ স্কেলের টাসটাস মারের শব্দে স্কুলের স্যারের বকুনি খেয়েছি। আমদের দিকে ছুড়ে দেয়া ডাষ্টার আর চক ক্যাচ ধরতে ধরতে আমরা ক্রিকেট শিখেছি। নারকেল ও তাল গাছের পাতার ডাট দিয়ে তৈরী ব্যাট হাতে আমরা চার ছক্কার ঝড় তুলেছি।

আমরাই সেই জেনারেশন যারা বিনা টিফিনে স্কুলে গেছি, স্কুলে দোষে বা বিনাদোষে টিচারের হাতে মার খেয়ে, বাড়ি এসে নালিশ করাতে, বাবা ও মায়ের হাতে সেকেন্ড-রাউন্ড বেদম ফ্রি-ষ্টাইল ওয়ান-ওয়ে চরম ক্যালানী সহ্য করেছি।

আমরাই সেই জেনারেশন, যারা বড়দের এবং শিক্ষকদের সন্মান করেছি এবং আজও করে যাচ্ছি।

আমরাই সেই জেনারেশন, যারা দুপুরে ও জোৎস্না রাতে ছাদে রেডিওতে বিবিসি’র খবর, মনিহার সিনেমা হলের নতুন ছবির ঢিসুম ঢাসুম এবং সৈনিক ভাইদের চিঠির মাধ্যমে গানের অনুরোধের আসর "দূর্বার" উপভোগ করেছি।

আমরা সাদাকালো টেলিভিশনে কোথাও কেউ নেই, বহুব্রিহী, সংসপ্তক, বারো রকমের মানুষ নাটক, ও নাইট রাইডার, ম্যাকগাইভার ইংরেজী সিরিজ, নিনজা টার্টেলস, স্পাইডার ম্যান কার্টুনসহ বাংলা সিনেমার গানের আসর ছায়াছন্দ এবং ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদী দেখেছি।

আমরাই সেই জেনারেশন, যারা টেলিভিশনে খেলা দেখার জন্য ছাদে উঠে এ্যন্টেনা এডজাস্ট করে স্যিগনাল ধরে ছঁবি ক্লিয়ার করার জন্য ছাদের উপরে একজন, নিচের সিড়িতে একজন ও টিভির সামনে একজন করে ভয়েস রিলে ম্যান দাড় করিয়ে চিৎকার করে বলেছি " আইছে"। তিন লাঠির এন্টেনা, টিভি স্ক্রিনে পার্মানেন্ট ঝিলমিলানি, তাতে কোনও প্রব্লেমই হোত না আমাদের, ওটা জীবনের অঙ্গ ধরাই ছিল। গন্ডগোল পাকাতো ঐ লোডশেডিং।

মাঝে মাঝে ভোল্টেজ কম থাকার কারনে, টিভিতে দাড়ানো ছঁবিগুলোকে হুদাই স্লোমোশনে মাজা বাঁকিয়ে ড্যান্স দিতে দেখেছি, তাতেও আমাদের কোন সমস্যা ছিলো না। আমরা টিভিতে টু উ উ উ উ শব্দে লম্বা দাগের চেক পড়তে দেখেছি! পরবর্তীতে বলতে শুনেছি "প্রচারে বিঘ্ন ঘটায় আমরা দু:খিত'!

প্রতি শুক্রবার বিকাল সাড়ে তিনটায় শুরু হওয়া বাংলা সিনেমাটি দেখার জন্য ঘরটাই পাড়া প্রতিবেশিদের ভিড়ে সিনেমা হল হতে দেখেছি। একেকবার এ্যাড দেয়া শুরু হলে ২০/২৫ মিনিট শুধু এ্যাডই চলতো " কসকো" সাবান, তিব্বত পাউডার, স্নো, স্টার ও সিজার সিগারের, ফিলিপস্ বাতির সেই ঐতিহাসিক ডায়লগ " ও মানিক, কি বাত্তি লাগাইলি! মাছের রাজা ইলিশ, আর বাত্তির রাজা ফিলিপস্"! দেখেছি। বিকাল সাড়ে তিনটায় শুরু হওয়া বাংলা সিনেমা স্বন্ধ্যা ৭ টায় শেষ হতে দেখেছি।

আমরাই সেই জেনারেশন, যারা আত্মীয় স্বজন বাড়িতে আসার জন্য অপেক্ষা করেছি। বাড়ীতে আত্মীয় স্বজন এলে, পুরো বাড়ীতে ঈদের আনন্দ বইতে দেখেছি। ইচ্ছে করে বৃষ্টি ভিজ, কাঁদা মাটিতে আছার খেয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ঢুকেছি।বিকেলে বড় মাঠে একেক দলে ২০/২৫ জন করে খেলোয়াড় নিয়ে ধুন্দুমার গায়ের জোরের ফুটবল খেলে পাশের জঙ্গলে শিয়াল ডাকার আগেই বাড়িতে ঢুকেছি। খেলতে গিয়ে ব্যাথা পেয়ে পয়ায়ে ফুটো ফুটো জাম্ব্যাক প্লাষ্টার লাগিয়েছি।

স্কুল ফাকি দিয়ে নারকেল চুরি করে খেয়ছি, শীতের রাতে খেজুরের রস চুরি করে পায়েস পিকনিক করেছি। পরের দিন বাবার কাছে নালিশ আসার পরে সেই ঐতিহাসিক খাজুরের পাতার লাঠির চরম প্যাদানী খেয়েছি, মায়ের আশ্রয়ে গিয়েও এ্যাগাইন ডাল ঘুটনীর রিমান্ড ক্যালানী খেয়েছি। তখন জিবনটাকে মনেহতো তেজপাতা, আর নিজেকে মনেহতো ঝোলের লাউ কদু!

আমরা সেই জেনারেশন, যারা ঈদ ও পূজোর সময় শুধু একটা নুতন জামার জন্য অপারগ অভাবি বাবার দিকে অসহায় হয়ে চেয়ে থেকেছি। ঈদের দিক সকালে নতুন টাকার জন্য এ বাড়ী, ও বাড়ীতে মুরব্বীদের সালাম করে সালামী পাওয়ার আসায় ঘুরেছি। বিকেলে সব মিলিয়ে সামালী ২০/৩০ টাকা হলেই মনেহতো, আমি বড়লোকস্!

আমরা সেই প্রজন্ম, যারা রাস্তাঘাটে স্কুলের স্যারকে দেখামাত্র রাস্তাতেই নির্দ্বিধায় প্রণাম/সালাম করেছি এবং এখনো করি। আমরা কলেজে ওঠার পর সিগারেট টানা অবস্হায় এলাকার কোন মুরব্বী, বড়ভাই বা শিক্ষকদের দেখলে, হাতের মুঠোতে সিগারেট লুকিয়ে, কতোবার যে হাতে ঠোসকা ফেলেছি, তা গুনে বলা সম্ভব নয়। কতো শতবার যে সিগারেটের ধোয়া মুখে আটকে রেখে দমবন্ধ করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি! তারও হিসেব নেই।

আমরাই সেই সর্বশেষ জেনারেশন, যারা এখনও বন্ধু খুঁজি। এখনো আমাদের স্কুল কলেজের বন্ধুদের কাছে পেলে, আমরা বয়সটা ভুলে গিয়ে, সেই সোনালী ছোট্টবেলায় ফিরে যাই! ভুলে যাই পরিবারের কথাও! আর এসব দেখে, এখনকার জেনারেশন হাসে, তাকিয়ে থাকে। হয়তো ভাবে, আমরা Zen X রা আসলেই পাগল! হ্যা, আমরা আসলেই পাগল!

কারন আমাদের জীবনের চলার স্রোত, আধুনিকতা ও ডিজিটাইলাইজেশনের কারনে আমরা হারিয়েছি আমাদের জীবনের সোনালী স্বর্গ!

দি লস্ট প্যারাডাইস!

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bangladesh News Network posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share