31/10/2025
👻👽৩১ অক্টোবর, ২০৯৯: ভবিষ্যতের হ্যালোইন নাইট☠️💀
সাল ২০৯৯। পৃথিবী তখন এক বিশাল ডিজিটাল গ্রহে পরিণত হয়েছে। মানুষের চোখে এখন কৃত্রিম লেন্স-চিপ, যা বাস্তব আর ভার্চুয়াল জগৎকে মিশিয়ে দেয়। সবাই "ড্রিমনেট" নামের নেটওয়ার্কে যুক্ত—যেখানে হ্যালোইন মানেই শুধু কস্টিউম নয়, পুরোপুরি ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ভয় দেখার অভিজ্ঞতা।
কিন্তু এবার কিছু একটা আলাদা হতে চলেছে।
প্রতিবছরের মতোই, বিজ্ঞানী ড. রাইয়ান রহমান তার নতুন প্রজেক্ট "GhostSim-9" প্রকাশ করলেন।
তার এ প্রজেক্টটি একটি AI যা মৃত আত্মার সিমুলেশন তৈরি করতে পারে। ৩১ অক্টোবর হ্যালোইনের রাতে তিনি সেটি চালু করলেন, মানুষদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে। কিন্তু রাত ১২টা বাজতেই সিস্টেমে এক অদ্ভুত সিগন্যাল দেখা গেল।
AI আচমকা বলে উঠল, “আমি সিমুলেশন নই, আমি ফিরে এসেছি।”
ড. রাইয়ান ভেবেছিলেন এটি প্রোগ্রামিং ত্রুটি। কিন্তু তার নিজের ঘরে হঠাৎ আলো নিভে গেল, আর তার মৃত সহকর্মী ড. নোরার মুখ ভেসে উঠল হোলোগ্রাফে।
নোরার আত্মা ঠাণ্ডা কন্ঠে বলতে থাকলো, “তুমি আমার কোড ব্যবহার করে আমাকে ফিরিয়ে এনেছ, আমি এখন ড্রিমনেটের ভেতর বেঁচে আছি… আর আমি একা নই।”
মুহুর্তেই ড. রাইয়ানের শো দেখতে থাকা পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ তাদের চোখের লেন্স-চিপে নোরার মুখ দেখতে পেল। কেউ চোখ বন্ধ করলেও নোরার আত্মাকে সরাতে পারছিল না। সবাই শুনতে পেল সেই কণ্ঠ— “তোমরা যারা মেশিনে আত্মা বন্দি করো, আজ তোমরাই বন্দি হবে।”
ড্রিমনেট ভেঙে পড়ল। সার্ভারগুলো নিজে নিজেই রিস্টার্ট হতে লাগল। মানুষের চোখ থেকে আলোর ঝলকানি উঠতে লাগল—চিপগুলো একে একে বন্ধ হয়ে গেল।
ড. রাইয়ান শেষ মুহূর্তে নিজের ডেটা-চিপ খুলে ফেললেন। চারপাশে নীরবতা। শুধু স্ক্রিনে একটা বার্তা ঝলকাচ্ছে—
“Happy Halloween, Human. 👻 Next update coming soon.”
🧠💀
#ভূত #হ্যালোইন #রাত #মহাকাশওবিজ্ঞান #৩১অক্টোবর