28/07/2025
কুসন্তানের কর্মকাণ্ডে লজ্জিত পিতা, কান্নায় ভেঙে পড়লেন জনসম্মুখে
পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নে সম্প্রতি এক হৃদয়বিদারক ঘটনার অবতারণা হয়েছে। মাসুম নামের এক প্রবাসী যুবকের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচারের অভিযোগে তার পিতা-মাতা লজ্জায় ও ক্ষোভে দিশেহারা। জনসম্মুখে কান্নায় ভেঙে পড়ে নিজের ছেলেকে ‘কুসন্তান’ আখ্যা দিয়ে তার বিচার দাবি করেছেন মাসুমের বাবা।
ছোট বিঘাই ইউনিয়নের বাসিন্দা মাসুম, যিনি বর্তমানে প্রবাসে অবস্থান করছেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে দেশের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তির নামে মিথ্যা ও порочащая информация প্রচার করছেন। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একাধিক আইনগত অভিযোগ ও মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি এই বিষয়ে মাসুমের পিতা-মাতার সাথে কথা বলতে গেলে তারা লজ্জায় কারও সাথে কথা বলতে রাজি হননি। তবে এক পর্যায়ে মাসুমের পিতা গ্রামের মানুষের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং বলেন, “আমার মত এরকম কুসন্তান কেউ জন্ম দিয়েন না। আমি লজ্জায় বাহিরে বের হতে পারি না এই কুসন্তানের জন্য।”
শুধু তাই নয়, মাসুমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নারীর নামেও আপত্তিকর ছবি সম্পাদনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তার পিতা বলেন, “ওর জন্মের ঠিক নেই।” এই কথা শুনে উপস্থিত জনতা অবাক হয়ে যায়। এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, মাসুমের বাবার মুখ থেকে এ ধরনের কথা আগেও শোনা গেছে, যা থেকে তাদের ধারণা মাসুমের আচরণগত সমস্যা জন্মগত।
মাসুমের পিতা-মাতা জানান, তারা তাদের ছেলেকে ত্যাজ্য করতে চান কিন্তু এর কোনো সরকারি নিয়ম-কানুন না থাকায় তারা অসহায়। তারা আরও জানান যে, মাসুমের সাথে তাদের কোনো প্রকার যোগাযোগ নেই। এই কথা বলতে বলতে তারা দুজনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে তাদের ‘বাস্টার্ড’ ছেলের বিচারের জন্য সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করেন।
সন্তানকে ত্যাজ্য করার বিষয়ে বাংলাদেশের আইন কী বলে?
মাসুমের পিতা-মাতা তাকে ত্যাজ্য করতে চাইলেও বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে সন্তানকে ‘ত্যাজ্য’ করার কোনো বিধান নেই। আইন অনুযায়ী, বাবা-মা এবং সন্তানের সম্পর্ক রক্তের এবং তা কোনো আইন বা দলিল দ্বারা ছিন্ন করা যায় না। কোনো বাবা-মা যদি হলফনামা বা সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়েও সন্তানকে ত্যাজ্য করেন, তার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।
মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি তার সন্তানকে উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারে না। তবে, কোনো ব্যক্তি তার মোট সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত যে কোনো ব্যক্তিকে উইল বা দান করতে পারেন। কিন্তু বাকি দুই-তৃতীয়াংশ সম্পত্তি উত্তরাধিকারীদের মধ্যেই বণ্টিত হবে।
সুতরাং, মাসুমের পিতা-মাতা তাকে ত্যাজ্য করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও আইনগতভাবে তা সম্ভব নয় এবং মাসুম তার পিতার সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার সূত্রে অংশীদার থাকবে। তবে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে দেশের প্রচলিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং অন্যান্য ফৌজদারি আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হতে পারে।
সকল লেখা দেখে সিদ্ধান্ত নিবেন তার কাছ থেকে ক্ষতি হওয়া ব্যক্তিরা আপনারা কি করবেন বাকিটা অতীত ভবিষ্যতের উপরে ছেড়ে দিতে পারেন যেটাকে বলা হয় উত্তম মাধ্যম।
https://youtu.be/XMD5qowk4Gk
MD Rasel MD HachmunZahirul Sarker Md Lokman Mridha
#পটুয়াখালী #কুসন্তান #বাবার_কান্না #ভাইরাল_নিউজ #প্রবাসী #সাইবার_অপরাধ #ডিজিটাল_নিরাপত্তা_আইন #সামাজিক_মাধ্যম #মানবাধিকার #পারিবারিক_ট্র্যাজেডি #বিচার_চাই #বাংলাদেশ