13/06/2024
হজ্বের মর্মকথাঃ যে ব্যক্তি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর কাছে সোপর্দ করে দেবে এবং মুসলিম মিল্লাতের পিতা হযরত ইব্রাহীম (আ.) যে ইরাদা ও ইয়াকিনের সাথে মহান প্রভুর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করেছিলেন, তা পালন করবে। এ পবিত্র কোরানুল করিমে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে: তিনিই ইব্রাহীম, যিনি তার রবের সাথে কৃত ওয়াদা পূরণের হক আদায় করেছেন। ইসলামের হজ্বের গুরুত্ব ও মাহাত্ম অপরিসীম। সুরা আল ইমরানে বলা হয়েছে, মানুষের ওপরে আল্লাহর এ অধিকার যে, বায়তুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছানোর যে শক্তি সামর্থ রাখে, সে যেন হজ্ব করে এবং যে এ নির্দেশ অমান্য করে ও কুফরের আচরণ করে তার জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ বিশ্বপ্রকৃতির ওপর অবস্থানকারীদের মুখাপেক্ষী নন। হযরত নবী করিম (সা.) এ সম্পর্কে বলেন, যে ব্যক্তির কাছে হজ্ব আদায়ের অর্থসামগ্রী আছে, যানবাহন আছে, যার দ্বারা মক্কা পৌঁছতে পারে, তারপর সে হজ্ব আদায় করে না, তাহলে সে অন্যধর্মী হয়ে মরুক, তাতে কিছু আসে যায় না। সারাবিশ্বে ভ্রাতৃত্ব ও সাম্যের বন্ধন রচনায় হজ্বের তাৎপর্য অপরিসীম। আরাফাতের ময়দানে এই ভ্রাতৃপ্রেম খুলে দেয় এক নতুন দিগন্ত। নানা বর্ণের, নানা ভাষার মানুষগুলো এক রাব্বুল আলামীনের তাঁবেদার হয়ে যায়। গোটা বিশ্বের মুসলমানরা তখন একই মিল্লাতের মানুষ। সবাই এক আদমের সন্তান, পবিত্র হজ্ব এটাই আমাদের শিক্ষা দেয় এবং ইবাদতের পাশাপাশি মহামিলনের মাঝে বৃহৎ ঐক্য স্থাপনের নজিরই হচ্ছে পবিত্র হজ্ব।
( তথ্য নেট থেকে সংগ্রহ )