HSC All Subject Hand Note & Suggestions

HSC All Subject Hand Note & Suggestions Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from HSC All Subject Hand Note & Suggestions, Social Media Agency, Dhaka.
(5)

whats app group = https://chat.whatsapp.com/DNjEuBeNQAP4unbEcXkwHB
টেলিগ্রাম চ্যানেল = https://t.me/+u52L9u8rOPIwM2E1
ইউটিউব চ্যানেল =
https://www.youtube.com/ পেজের নীতিমালা:
*
(১) পেজে যেসকল নোটস + সাজেশন শেয়ার করা হয় তার একটা অংশ ইতিমধ্যেই অলাইনে দেয়া আছে সেখান থেকে করা হয়। কারো কোন সমস্যা থাকলে পেজে ম্যাসেজ করলে তা সরিয়ে নেয়া হবে।
*
(২) পেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ কোন গাইড বই বা বইয়ের সত

্ত্বাধীকার যুক্ত কোন কিছু স্ক্যান করে না। অনলাইন থেকে প্রাপ্ত জিনিসগুলোই পেজে আপলোড করা হয়। কারো আপত্তি থাকলে জানালে তা সরিয়ে নেয়া হবে দ্রুতই।
*
(৩) কোন ফাইল সম্পর্কে ফাইলটির লেখক/সত্ত্বাধিকারীর কোন আপত্তি থাকলে অনুগ্রহ করে ফাইলটির নামসহ আমাদের পেইজে ইনবক্স করুন। ইনশাআল্লাহ ফাইলটি মুছে ফেলা হবে।

15/07/2025

শহর অঞ্চলের যানজট নিরসনের ছোট্ট একটি পরামর্শ যেটা এআই থেকে পাওয়া

এইচএসসিতে কোন বিষয়ে কত পেলে পাশ? CQ তে কত পেতে হবে এবং MCQ তে কত পেতে হবে পাশ করতে হলে দেখে নাও।
14/07/2025

এইচএসসিতে কোন বিষয়ে কত পেলে পাশ? CQ তে কত পেতে হবে এবং MCQ তে কত পেতে হবে পাশ করতে হলে দেখে নাও।

সর্দি-কাশি হলে ভরসা রাখতে পারেন লবঙ্গের ঘরোয়া গুণে***গলা খুসখুস, হালকা জ্বর বা সর্দি-কাশি দেখা দিলেই অনেকেই তৎক্ষণাৎ প্য...
14/07/2025

সর্দি-কাশি হলে ভরসা রাখতে পারেন লবঙ্গের ঘরোয়া গুণে
***
গলা খুসখুস, হালকা জ্বর বা সর্দি-কাশি দেখা দিলেই অনেকেই তৎক্ষণাৎ প্যারাসিটামল খেয়ে থাকেন। কিন্তু ঘন ঘন ওষুধ খাওয়া শরীরের পক্ষে মোটেই ভালো নয়। বরং প্রাকৃতিক উপায়ে প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোই সবচেয়ে কার্যকর। আমাদের রান্নাঘরেই রয়েছে এমন একটি উপাদান, যা ছোট হলেও গুণে অতুলনীয়, লবঙ্গ।

শুধু ঠাণ্ডা-জ্বর নয়, লবঙ্গের রয়েছে বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা। প্রতিদিন মাত্র ১-২টি লবঙ্গ খাওয়ার অভ্যাস শরীরের নানা সমস্যা থেকে দূরে রাখতে পারে। চলুন, জেনে নিই লবঙ্গের অসাধারণ স্বাস্থ্যগুণ।
হাড় শক্ত করে
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় দুর্বল হয়ে যায়।

পরিশ্রম, অনিয়মিত জীবনযাপন বা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থেকে দেখা দিতে পারে অস্টিওপোরোসিস। লবঙ্গে থাকা উপকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও পলিফেনল হাড়ের ক্ষয় রোধে সাহায্য করে, হাড়কে করে তোলে আরও শক্তপোক্ত।
পাকস্থলীর সুরক্ষা দেয়
গ্যাস্ট্রিক, অম্বল বা পেপটিক আলসারের সমস্যা যাদের রয়েছে, তাদের জন্যও লবঙ্গ অত্যন্ত উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, লবঙ্গের এসেনশিয়াল অয়েল পাকস্থলীতে গ্যাস্ট্রিক মিউকাস তৈরি বাড়িয়ে দেয়, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচের কাজ করে।

এমনকি পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায় এটি।
দাঁতের যন্ত্রণায় আরাম
দাঁতে ব্যথা বা মাড়িতে ইনফেকশন হলে লবঙ্গের ব্যবহার বহু পুরনো। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান দাঁতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত লবঙ্গ দিয়ে তৈরি মাউথওয়াশ ব্যবহারে মাড়ি সুস্থ থাকে এবং দাঁতের ইনফেকশনের ঝুঁকি কমে।

সাইনাস সমস্যায় দারুণ কার্যকর
সাইনাসের সমস্যা যাদের রয়েছে, তাদের জন্যও লবঙ্গ হতে পারে কার্যকর প্রাকৃতিক ওষুধ।

ঠাণ্ডা লাগলে বা সাইনাস বাড়লে লবঙ্গের তেল গরম করে কপালে মালিশ করলে আরাম মেলে। আবার প্রতিদিন লবঙ্গ খেলে ধীরে ধীরে সাইনাসের প্রকোপও কমে আসে।
যেভাবে খাবেন লবঙ্গ
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১টি লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়া উপকারী। ঠাণ্ডা লাগলে ২-৩টি লবঙ্গ গরম পানিতে ফুটিয়ে চা বানিয়ে পান করুন। দাঁতের ব্যথায় সরাসরি লবঙ্গ বা লবঙ্গ তেল প্রয়োগ করুন। প্রাকৃতিক চিকিৎসার দুনিয়ায় লবঙ্গ নিঃসন্দেহে একটি ছোট কিন্তু শক্তিশালী উপাদান। নিয়মিত গ্রহণ করলে ওষুধের প্রয়োজন অনেকটাই কমে যেতে পারে।

সূত্র : এই সময়

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে নিয়মিত ব্যায়াম ও ওজন নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্ব গবেষকদের***বিশ্বজুড়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের হার ক্রমশ...
14/07/2025

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে নিয়মিত ব্যায়াম ও ওজন নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্ব গবেষকদের
***
বিশ্বজুড়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের হার ক্রমশই বাড়ছে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক এ রোগে আক্রান্ত এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এই হার ৭ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধযোগ্য একটি রোগ। ওজন নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রিডায়াবেটিস থেকে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে রূপ নেওয়া ঠেকানো সম্ভব। প্রিডায়াবেটিস এমন এক অবস্থা যেখানে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়।

সম্প্রতি কার্ডিওভাসকুলার ডায়াবেটোলজি–এন্ডোক্রিনোলজি রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ব্যায়াম টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে দুই ঘণ্টার বেশি ব্যায়াম করলে প্রিডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এই অবস্থাকে উল্টে দিতে সক্ষম হন এবং এটি ডায়াবেটিসে রূপ নেওয়া থেকে রোধ করা যায়।

প্রভিডেন্স সেন্ট জনস হেলথ সেন্টার, সান্তা মনিকা, ক্যালিফোর্নিয়ার বোর্ড-সনদপ্রাপ্ত পারিবারিক চিকিৎসক ড. ডেভিড কাটলার মেডিকেল নিউজ টুডে-কে জানান, ‘ডায়াবেটিস থাকলে স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এতে হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি বিকল, রক্তনালীর রোগ, অন্ধত্ব এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এসব কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা আগেই মৃত্যুবরণ করেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জীবনমান নষ্ট হয়ে যায়। যদিও প্রিডায়াবেটিসে এই ঝুঁকি কম, তবে এটি একটি সতর্কবার্তা, কারণ আমরা জানি ২৫-৫০ শতাংশ প্রিডায়াবেটিক রোগী ডায়াবেটিসে রূপান্তরিত হন। তাই প্রিডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা বা এটি রোধ করে ফেলা বুদ্ধিমানের কাজ।’

গবেষণায় বলা হয়েছে, সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের বেশি শারীরিক পরিশ্রম করলে প্রিডায়াবেটিস থেকে মুক্তির সম্ভাবনা চার গুণ বেড়ে যায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে ফেরানোর সুযোগ তৈরি হয়।

ড. কাটলার বলেন, ‘গবেষণাটি পুনরায় প্রমাণ করেছে যে দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এখন রোগীদের জন্য একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যও আছে—প্রতি সপ্তাহে ১৫০ মিনিট ব্যায়াম।’

গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি এইচবিএ১সি (HbA1c) মাত্রা ৬.০ শতাংশের নিচে রাখা প্রিডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।
সূত্র: যুগান্তর, ০৯ জুলাই ২০২৫।

মৌসুমী ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা কী, লক্ষণ ও প্রতিকার কী?***মৌসুমী ফ্লু (seasonal flu) যা ইনফ্লুয়েঞ্জা নামেও পরিচিত, একটি ভা...
14/07/2025

মৌসুমী ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা কী, লক্ষণ ও প্রতিকার কী?
***
মৌসুমী ফ্লু (seasonal flu) যা ইনফ্লুয়েঞ্জা নামেও পরিচিত, একটি ভাইরাসজনিত রোগ। যা সাধারণত শীতকালে বেশি দেখা যায়। কিন্তু এখন এই মৌসুমেও এর প্রকোপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস এ ও বি দ্বারা সৃষ্ট হয়।

মৌসুমী ফ্লুর লক্ষণগুলোর মধ্যে- জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, সর্দি, শরীর ব্যথা, ক্লান্তি, অবসাদসহ বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা যেতে পারে।

লক্ষ্য করার বিষয় হচ্ছে-ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি ভাইরাল শ্বাসযন্ত্রের রোগ; যা খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতা এবং কখনও কখনও মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। শীতকালে ইনফ্লুয়েঞ্জা আরও ব্যাপক হতে থাকে, কিন্তু এটি বছরের যেকোনো সময় সংক্রমিত হতে পারে।

যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম যেমন শিশুদের ও বয়স্ক মানুষদের। যাদের বয়স ৬৫ এর বেশি সঙ্গে কো-মরবিডিটিতে ভুগছেন যেমন- ডায়াবেটিস বা কিডনি বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই অবশ্যই শুরুতেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

কিছু মানুষের মধ্যে গুরুতর স্বাস্থ্যগত সমস্যা হতে পারে। নিজেকে রক্ষা করার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা, যা ফ্লু শট নামেও পরিচিত। ফ্লু ভাইরাসের স্ট্রেন (strain) শরীরে প্রবেশ করানো হয় এবং শরীর সেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। টিকা নেওয়া থাকলে যদি কেউ ফ্লু ভাইরাসের সংস্পর্শে আসে তখন ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়। যদি কেউ ভাইরাসের বিভিন্ন স্ট্রেনের সংস্পর্শে আসেন, তবে ভ্যাকসিন সাহায্য করবে এবং লক্ষণগুলো কম গুরুতর হবে।
শিশুদের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। কারণ শিশুরা বেশি ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়ায় ভুগতে পারে। তাই টিকাদানের পাশাপাশি জীবাণুর বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি মানার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। অনুশীলন এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শিশুকে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান ও পানি দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুতে উৎসাহিত করতে হবে। টিস্যু বা কনুই দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে তাদের কাশি এবং হাঁচির সঠিক শিষ্টাচার শেখাতে হবে।
এ সময় আবার করোনা দরজায় কড়া নাড়ছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কোভিড নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে, তার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প কোনো পথ নেই।

মৌসুমী ফ্লু থেকে বাঁচতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। এজন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারলে এবং রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম হলে রোগব্যাধি হলেও সহজেই রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমরা সুস্থ থাকতে পারব।

লেখক: ডা. আয়শা আক্তার
সূত্র: যুগান্তর, ১৪ই জুলাই ২০২৫।

সন্তানের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটাবেন যেভাবে***আজকাল বেশিরভাগ বাবা-মাই কর্মজীবী। প্রতিযোগিতার যুগে চাকরি জীবনে টিকে থাকতে...
14/07/2025

সন্তানের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটাবেন যেভাবে
***
আজকাল বেশিরভাগ বাবা-মাই কর্মজীবী। প্রতিযোগিতার যুগে চাকরি জীবনে টিকে থাকতে হলে অফিসের পরেও সামলাতে হয় অনেক দায়িত্ব। এর পাশাপাশি ঘরের কাজ তো আছেই। সব মিলিয়ে এত বেশি ব্যস্ত থাকতে হয় যে বাবা-মায়েরা সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানোর অবসর পান না। এতে বাবা-মা যে কষ্ট পান না তা নয়। আবার সন্তানেরও মনখারাপ হওয়াই স্বাভাবিক। তবে একটি রুটিন তৈরি করে নিলেই সন্তানের সঙ্গে কাটাতে পারেন ‘কোয়ালিটি টাইম’।

১.ঘুম থেকে আগে উঠে পড়ুন। এরপর সন্তানের ঘুম ভাঙিয়ে স্কুল যাওয়ার জন্য তৈরি করে দিন। টিফিন গুছিয়ে তার ব্যাগ দিন। সময় থাকলে সন্তানকে স্কুলে পৌঁছে দিতে পারেন।

২. সারাদিনের মধ্যে অল্প সময়ও যদি সন্তানের সঙ্গে কাটান তাহলে সে খুশি হতে পারে। শুধু বকাঝকা না করে সেই মুহূর্ত যেন আনন্দদায়ক হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। একসঙ্গে ছবি আঁকতে পারেন। কিংবা তাকে জড়িয়ে ধরতে পারেন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে সারাদিন সে কি করলো তা নিয়ে গল্প করতে পারেন।

৩. সারাদিন অফিসে থাকলেও বাবা-মায়ের সন্তানকে নিয়ে চিন্তা থাকে। সন্তানও মিস করে তাদের। বাড়িতে যিনি সন্তানের দেখাশোনা করছেন তাকে হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস মেসেজ পাঠাতে পারেন। কিংবা কাজের ফাঁকে একটু ভিডিও কল সেরে নিতে পারেন সন্তানের সঙ্গে। এতে সে খুশি হবে।

৪.ব্যস্ততা থাকলেও, সন্তানের জন্য সপ্তাহে একদিন একটু বেশি সময় বের করতেই হবে। ওইদিন আপনি সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে যেতে পারেন। কোথাও খেতেও যেতে পারেন। বাড়ি থেকে বেরতে না চাইলে তাকে নিয়ে সিনেমা দেখুন কিংবা ভালো গান শুনুন। সন্তান বেশি ছোট হলে তার সঙ্গে খেলায় মাতুন। দেখবেন সে খুশি হবে।
সূত্র: সমকাল পত্রিকা, ১২ জুলাই ২০২৫।

এক টানা বসে পায়ে ব্যথা? স্বস্তি পাবেন যেভাবে*যারা অফিসে কাজ করেন দিনের অনেকটা সময় তাদেরকে দীর্ঘক্ষণ একজায়গায় বসে থাকতে হ...
14/07/2025

এক টানা বসে পায়ে ব্যথা? স্বস্তি পাবেন যেভাবে
*
যারা অফিসে কাজ করেন দিনের অনেকটা সময় তাদেরকে দীর্ঘক্ষণ একজায়গায় বসে থাকতে হয়। এর ফলে যে সমস্যাটি সবচেয়ে বেশি হয়, তা হল পায়ে ব্যথা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক ভাবে বসে কাজ করার কারণে অনেক সময় পা ফুলে যায়, হাঁটতে সমস্যা হয়। কারও আবার অনেকক্ষণ বসে থাকলে পায়ে টান ধরে যায়। বিভিন্ন কারণে এমন হতে পারে। এমন হলে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়, পেশিতে পানি জমে, কোমর-কাঁধেও ব্যথা হয়।

পায়ের ব্যথা কমাতে অনেকেই পায়ে মালিক করেন, ব্যথা দূর করার ওষুধ খান। এতে সাময়িক ভাবে স্বস্তি পাওয়া গেলেও, সমস্যা পুরোপুরি যায় না। সে ক্ষেত্রে আরও কিছু ব্যাপারে দৃষ্টি দেয়া জরুরি। যেমন-

সঠিক চেয়ারে বসুন
অনেক সময় চেয়ারের কারণে এমনটা হতে পারে। চেয়ার যদি খুব উঁচু হয়, পা ঝুলিয়ে বসতে হয় তা হলে চেয়ার পাল্টানো জরুরি। তা ছাড়া শক্ত চেয়ার হলেও বদলানো প্রয়োজন। চেয়ারে বসলে পায়ের উপর যদি চাপ পড়ে তাহলে সেই চেয়ারও বদলানো প্রয়োজন।

সঠিক ভঙ্গিতে বসুন
সঠিক ভঙ্গিতে না বসার কারণে অনেক সময় পায়ে ব্যথা হয়। বসার সময় মেরুদণ্ড যেন সোজা থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। আবার অনেক সময় সোজা হয়ে না বসার কারণেও পায়ে ব্যথা হতে পারে।

বিরতি নিন
কাজের চাপ থাকবেই। তারপরও কাজের ফাঁকে অন্তত ১৫-২০ মিনিটের বিরতি নিতে চেষ্টা করতে হবে। একটানা কাজ না করে অন্তত মাঝেমাঝে কিছুক্ষণের জন্য নিজেকে বিশ্রাম দিন। বাইরে অফিসের বাইরে খোলা হাওয়ায় হাঁটুন। না হলে অফিসেই হাঁটাহাঁটি করুন। এতে কাজের একঘেয়েমিও কাটবে। আবার পেশিগুলিও সচল হবে। সেই সঙ্গে চোখও বিশ্রাম পাবে।
সূত্র: সমকাল পত্রিকা, ১০ জুলাই ২০২৫।

আমাদের চোখের সামনে ঘটে যাচ্ছে একটি নীরব বিপ্লব। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি দিন দিন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এট...
14/07/2025

আমাদের চোখের সামনে ঘটে যাচ্ছে একটি নীরব বিপ্লব। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি দিন দিন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এটি এখন আর শুধু কল্পগল্পের ফ্যান্টাসি নয়, বাস্তবে মানুষের প্রতিদ্বন্দ্বী। এআইয়ের কারণে মানুষ ভবিষ্যতে চাকরি হারাবে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে নানা মুনির নানা মত। কেউ কেউ মনে করেন, এআই মানুষের প্রতিদ্বন্দী নয়, বরং সহযোগী হবে। আবার অনেকের মতে, এআই অল্পদিনের মধ্যে এমন জায়গায় পৌঁছে যাবে যে মানুষ চাকরি হারাতে বাধ্য হবে।
এদিকে কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, ২০২৬ সালের মধ্যে পাঁচটি পেশা এআই দখল করে নেবে। এটা কিন্তু শুধু ভবিষ্যদ্বাণী নয়, ইতিমধ্যে বাস্তব হতে চলেছে। চলুন সেই পেশাগুলো সম্পর্কে জেনে নিই।

১. আইনের মারপ্যাচ এখন রোবটের নখদর্পণে।
একসময় চুক্তিপত্র পর্যালোচনার জন্য আইনজীবীরা ঘণ্টায় ৫০-৬০ হাজার টাকা নিতেন। তবে সেই দিন এখন অতীত। এআই এখন মানুষের চেয়ে দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে চুক্তিপত্র পর্যালোচনা করতে পারে। হার্ভে এবং ডুনটপের মতো এআই প্ল্যাটফর্মগুলো ইতিমধ্যে এসব কাজে এআই ব্যবহার করছে। তাছাড়া এআই ব্যবহার করলে অভিজ্ঞতারও দরকার হয় না।
একজন জুনিয়র আইনজীবী দিনে সর্বোচ্চ ২০টি চুক্তি পর্যালোচনা করতে পারে। কিন্তু এআই একই সময়ে ২ হাজারের বেশি চুক্তি পর্যালোচনা করে ৯৯.৭ শতাংশ নির্ভুলতার সঙ্গে। এই তুলনা দেখলেই বোঝা যায়, এই কতটা বিপ্লব ঘটিয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম বড় আইনবিষয়ক সংস্থা লিঙ্কলেটার্স বর্তমানে এআই ব্যবহার করে বাণিজ্যিক চুক্তি পর্যালোচনা করছে। কাজটা করতে এআইয়ের লাগে মাত্র ১ মিনিট। কিন্তু আগে মানুষের এই একই কাজ করতে লাগত ঘণ্টার পর ঘণ্টা। খরচও বেঁচে গেছে অনেক। আগে যে কাজ করতে ৫০ হাজার ডলার খরচ হতো, এখন সেই কাজ করা যাছে মাত্র ৫০০ ডলারে।
এই পরিবর্তনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে চুক্তি পর্যালোচনাকারী, প্যারালিগ্যাল গবেষক, নথি বিশ্লেষক এবং আইনি সচিবদের ওপর।
২. হিসাবের খাতায় অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়বে মানুষ।
আপনার কাজ যদি হয় স্প্রেডশিট বা হিসাব মেলানো, তাহলে ভবিষ্যতে আপনার চাকরি যাওয়ার আশঙ্কা আছে। মাইন্ডব্রিজ এবং অ্যাপজেনের মতো এআই অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার এখন জালিয়াতি শনাক্ত করতে পারে, বিল প্রসেসিং করতে পারে, এমনকি আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করতে পারে। আর এসব কাজ করতে পারে যেকোনো মানুষের চেয়ে দ্রুত। তাছাড়া এসব সফটওয়্যারের কফি বিরতি নিতে হয় না। হিসাবেও ভুল করে না বললেই চলে। কাজ করতে পারে টানা ২৪ ঘণ্টা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টাকা যে বেঁচে যাবে, তা আর বলতে। এমন সুযোগ থাকতে কোম্পানিগুলো কেন এআইয়ের পরিবর্তে মানুষকে চাকরি দেবে বলুন তো!
৩. স্বাস্থ্যসেবার কাজে বিপ্লব।
চিকিৎসক এবং নার্সরা চাকরিতে নিরাপদ থাকলেও স্বাস্থ্যসেবার বিশাল প্রশাসনিক কর্মীবাহিনী এআইয়ের কাছে দ্রুত চাকরি হারাবে। মেডিকেল কোডার, ইন্স্যুরেন্স ক্লেইম প্রসেসর, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, রোগীর তথ্য প্রবেশ—এসব কাজ এআইয়ের সাহায্যে আরও দ্রুত করা যাবে।
অ্যানথেম নামে একটি কোম্পানি এআই ব্যবহার করে বছরে ২০ কোটির বেশি মেডিকেল ক্লেইম প্রসেস করেছে। আগে এই কাজ করতে সপ্তাহ লেগে যেত। এখন করা যাচ্ছে কয়েক মিনিটে। প্রশাসনিক খরচও কমেছে ৩০ শতাংশ।
৪. কল সেন্টারে কথা বলবে যন্ত্র।
শিগগিরিই কাস্টমার সার্ভিস প্রতিনিধিরা চাকরি হারাবেন। এআই চ্যাটবট এবং ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টগুলো এখন মানুষের সহায়তা ছাড়াই ৮০ শতাংশ গ্রাহককে সাহায্য করছে। এগুলো কখনো বিরক্ত হয় না, অসুস্থ হয়ে ছুটি নেয় না এবং হাজার হাজার গ্রাহককে একসঙ্গে সাহায্য করতে পারে। তাই ভবিষ্যতে হয়তো আপনি কল সেন্টারে কল করলে মানুষের পরিবর্তে কোনো যন্ত্রের সঙ্গে কথা বলবেন। সেই যন্ত্র মানুষের চেয়ে জ্ঞানী না হলেও বেশি ধৈর্যশীল হবে।
৫. কলম চলে যেতে পারে এআইয়ের হাতে।
কন্টেন্ট তৈরি এবং ডেটা ব্যবস্থাপনার মতো কাজগুলোকে একসময় মানুষের নিজস্ব জগৎ বলে মনে হতো। কিন্তু চ্যাটজিপিটি বা জেমিনির মতো এআই মডেলগুলো সেই ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করেছে। মানুষের চেয়ে অনেক দ্রুত এআই কন্টেন্ট তৈরি করে দিতে পারে। তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন তৈরিতেও এআই বেশ পটু।
এআইয়ের কখনো রাইটার্স ব্লক হয় না। প্রতিবেদন তৈরি করতেও লাগে না বাড়তি সময়। ১০ জন মানুষ প্রতিদিন যে প্রতিবেদন বা কন্টেন্ট তৈরি করতে পারে, এই তা করতে পারে কয়েক মিনিট বা ঘণ্টার মধ্যে। মানুষের বেতনের চেয়ে এআইয়ের খরচও অনেক কম। তাই ভবিষ্যতে লেখক, সম্পাদক, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার, ডেটা এন্ট্রি স্পেশালিস্ট এমনকি বেসিক গ্রাফিক ডিজাইনারদেরও চাকরি হারানোর ঝুঁকি আছে।

আপনি কি এই পাঁচ পেশার কোনোটির সঙ্গে জড়িত? তাহলে আপনার সামনে এখন দুটি পথ আছে। এক, নিজেকে বদলে নেওয়া বা নিজের দক্ষতার উন্নয়ন করা। অর্থাৎ এআই টুলসের ব্যবহার শিখুন। পাশাপাশি এমন কোনো সৃজনশীল ও কৌশলগত কাজে মনোযোগ দিন এবং জটিল সমস্যা সমাধানের মতো মানবিক দক্ষতা বাড়ান, যেগুলো এআইয়ের পরিপূরক। আর দুই, নতুন পেশা বেছে নিন। আপনি যদি এখনও একঘেয়ে রুটিন কাজ করে যেতে থাকেন, তাহলে নিশ্চিত থাকবেন অল্পদিনের মধ্যে আপনার জায়গা দখল করেছে এআই।
সারকথা হলো, চাকরি পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে না, শুধু ধরন বদলাচ্ছে। তবে এই বদলের আশঙ্কা শুধু তাদের জন্যই, যারা সময়ের সঙ্গে নিজেদের বদলাতে পারবে না।
______________
সূত্র: মিডিয়াম ও এআই মাইন্ড

14/07/2025

SSC মার্কস সহ রেজাল্ট জানার জন্য কমেন্ট এ তথ্য দিতে পারেন। অথবা পেজে ম্যাসেজ করতে পারেন।

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই যেসব বিষয়ে কোর্স বিক্রি করে আয় করতে পারেনএকটা সময় ছিল, যখন মনে করা হত সার্টিফিকেট না থাকলে উ...
14/07/2025

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই যেসব বিষয়ে কোর্স বিক্রি করে আয় করতে পারেন
একটা সময় ছিল, যখন মনে করা হত সার্টিফিকেট না থাকলে উপার্জন সম্ভব নয়—কাজ নেই, আয় নেই, স্বপ্নও যেন ফিকে। ইন্টারনেটের এই সময় একদমই ভিন্ন কথা বলে। আপনি ভাল রান্না করতে পারেন? সেটা থেকেই আপনি আয় করতে পারবেন অনলাইনে।
সাধারণ চাকরিজীবী ও উদ্যোক্তাদের বাইরেও যারা পরিবার সামলান, ছোট শহর বা গ্রামে থাকেন, বা বাইরে চাকরি করার সুযোগ পান না—তাদের জন্য ঘরে বসেই কোর্স বিক্রি করে আয় করা এখন নতুন সুযোগ। আপনার সেলাই সুন্দর, হয়ত মোবাইলেই দারুণ ছবি তোলেন—এই ছোট ছোট দক্ষতাগুলিই হতে পারে আপনার কোর্সের বিষয়।
এই লেখায় থাকবে—কোন কোন বিষয় নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট ছাড়াই কোর্স বানাতে পারবেন, কীভাবে সেটা বিক্রি করবেন, আর কীভাবে ক্রেতার আস্থা তৈরি করবেন। আপনার অভিজ্ঞতা আর গল্পই হতে পারে অন্যের শেখার উৎস ও অনুপ্রেরণা।
১. নিজের স্কিল খুঁজে বের করুন
সবচেয়ে আগে ভাবুন—আপনার কাছে এমন কী আছে, যা অন্যরা শিখতে চাইবে? অনেকে বলে, ‘আমি তো তেমন কিছু পারি না!’—আসলে আমাদের অনেকেরই ছোট ছোট দক্ষতা থাকে, যা নিজের কাছে তুচ্ছ লাগে।
ধরুন, আপনার হাতের রান্না এতই ভাল যে আত্মীয়-স্বজন সবসময় প্রশংসা করে। কিংবা বাচ্চার স্কুল প্রজেক্টে আপনি দারুণ কারুকাজ করেন। এসবই হতে পারে আপনার কোর্সের বিষয়।
একটা সহজ উপায়—একটা নোটবুক নিন, লিখে ফেলুন—“আমি কী কী জানি, যা অন্যকে শেখাতে পারি।” বন্ধুদের জিজ্ঞেস করুন—“তোমরা আমার কোন জিনিসটা শিখতে চাও?” অনেক সময় অন্যের চোখে আমাদের স্কিলগুলি স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে।
আরেকটা বিষয়—যা শিখছেন, সেটা নিয়ে অন্তত ছয় মাস বা এক বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকলে ভাল। এতে শেখানোর সময় আপনি আত্মবিশ্বাসী থাকবেন।
২. হস্তশিল্প, ক্রাফট আর হোমডেকর
বাংলাদেশের লোকজ হস্তশিল্পের জন্য কোনো সার্টিফিকেটের দরকার হবে না। নকশিকাঁথা, হাতে বাঁধাই পুতুল, মৃৎশিল্প—এমন অনেক কাজই আছে, যা গ্রামের গৃহিণী থেকে শহরের তরুণী পর্যন্ত শিখতে আগ্রহী। আপনি যদি এই কাজগুলি নিজে করতে জানেন, তাহলে সহজেই ছোট ভিডিও টিউটোরিয়াল আকারে শেখাতে পারেন।
একটা ভাল হস্তশিল্প কোর্সে থাকবেই—কাঁচামাল কোথা থেকে আনবেন, কত দামে পাবেন, কোন কাজের জন্য কোন যন্ত্রপাতি দরকার হবে।
সবার আগে বেসিক নকশা দিয়ে শুরু করুন—ধাপে ধাপে দেখান কীভাবে হাতে ধরতে হবে, কোন ছোট ভুল কীভাবে এড়াবেন। কোর্সের শেষে ২-৩টা প্রজেক্ট দিন, যাতে শিক্ষার্থীরা নিজের হাতেই পুরোটা তৈরি করতে পারে। চাইলে সেটাকে বিক্রি করার সহজ উপায়ও দেখাতে পারেন—যেমন ফেসবুক পেইজ বা লোকাল দোকানে দিয়ে আসা।
কেন মানুষ আপনার কোর্স কিনবে?
কারণ তারা বিশ্বাস করবে—আপনি নিজের হাতে কাজটা শিখেছেন, বানিয়েছেন, আর সেটাই হাতে ধরে দেখাচ্ছেন। আরেকটা কাজ করুন—ক্লাসের কিছু অংশ ফ্রি লাইভে বা ইউটিউবে দিন, দেখবেন অনেকেই আগ্রহ নিয়ে পুরো কোর্স কিনতে চাইবে।
৩. রান্না ও বেকিং
রান্নাকে শুধু ঘরের কাজ না ভেবে আয় করার বিষয় হিসাবেও দেখতে পারেন। মা-দাদির পুরনো রেসিপি, নিজের তৈরি ফিউশন বা হোম বেকিং—সবই শেখানো যায়। বেকিং শেখার চাহিদা এখন খুবই বেশি, কারণ হোম বেকারি বিজনেস চালু করতে চান এমন নারীরা সহজ অথেনটিক গাইড খোঁজেন।
আপনার কোর্সে রেসিপি হবে, সেটা তো থাকবেই। সঙ্গে থাকবে হাতেকলমে ভিডিও—ফ্রিজের তাপমাত্রা, ওভেনের সেটিং, ডেকোরেশন, খাবার পরিবেশন—সব।
রেসিপি কার্ড পিডিএফ আকারে দিন, যাতে শিক্ষার্থীরা হাতের কাছে রাখতে পারে। চাইলে কিচেন ম্যানেজমেন্ট, হাইজিন, অর্ডার ডেলিভারি—এসব নিয়ে ছোট মডিউল রাখুন।
অনেকেই খাবার বানাতে পারে, কিন্তু প্যাকেজিং আর কাস্টমারের হাতে ঠিকভাবে পৌঁছানোই তাদের সমস্যা হয়—আপনি যদি সেটা শেখাতে পারেন, আপনার কোর্স সবার উপকারে আসবে!
৪. ফ্রিল্যান্সিং স্কিলস—আপনার অভিজ্ঞতাই হবে অন্যদের গাইড
অনেকেই ভাবে, ফ্রিল্যান্সিং শেখাতে হলে ডিগ্রি লাগবে—আসলে একদমই না!
আপনি যদি ফাইভার, আপওয়ার্ক বা ফেসবুকের লোকাল গ্রুপ থেকে ছোট ছোট অর্ডার পেয়ে থাকেন, সেটাই হতে পারে বাস্তব অভিজ্ঞতা। কেউ যদি শোনে যে “আপনিও আমার মত একদিন প্রথম অর্ডার পেয়েছিলেন, ভুল করেছেন, শিখেছেন”—তাহলে তারা আপনার শেখানো পদ্ধতিই সহজে বুঝবে।
কোর্সে রাখবেন—প্রোফাইল সেটআপ, কীভাবে বায়ো লিখবেন, প্রপোজাল কেমন হবে, প্রাইস কত রাখবেন, কাস্টমারের সাথে কনভার্সেশন কীভাবে হবে।
অনেকে বলেন, ‘ইংরেজি পারি না, তাই ফ্রিল্যান্সিং শেখা হবে না।’ আসলে শুরুটা আপনি বাংলায় করতেই পারেন: কীভাবে প্রোফাইল বানাবেন, কীভাবে প্রপোজাল লিখবেন, কেমন টুল ব্যবহার হবে। এসব প্রথমে বাংলাতেই শেখা ভালো। এতে ভয় কমে, বিষয়গুলি মাথায় গুছিয়ে যায়।
কিন্তু সত্যি কথা হল, ফ্রিল্যান্সিং একবার শুরু হলে ক্লায়েন্টদের সাথে কথা বলতে, মেসেজ লিখতে, প্রেজেন্টেশন দিতে, দরকার হলে মিটিং করতে আপনার ইংরেজি জানতেই হবে। তাই শেখানোর সময়ই বার বার বলুন, বাংলায় শেখা শুধু বেসিক বুঝতে, কিন্তু ক্লায়েন্টকে ম্যানেজ করতে গেলে ধীরে ধীরে ইংরেজি প্র্যাকটিস শুরু করতেই হবে।
ইংরেজি শেখার ছোট ধাপগুলি একসাথে বলে দিন:
• দৈনিক ৫-১০টা প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সিং শব্দ শিখুন। যেমন — proposal, milestone, deliverables, revision, deadline, budget — এসব শব্দে অভ্যস্ত হয়ে যান।
• ছোট ছোট মেইল বা ক্লায়েন্টের মেসেজ পড়ে অনুবাদ করুন। দরকার হলে গুগল ট্রান্সলেট বা চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করুন, কিন্তু চোখ বুলাতে থাকুন।
• নিজে প্র্যাকটিস মেসেজ লিখুন। মনে করুন, আপনি ১০ ডলারের কাজের প্রপোজাল দিচ্ছেন — কীভাবে politely বলবেন, সেটার খসড়া তৈরি করুন।
• বন্ধু বা ছোট গ্রুপে spoken practice করুন। জোরে পড়ুন—এতে উচ্চারণ ও আত্মবিশ্বাস দুটোই বাড়বে।
• ক্লায়েন্ট মেসেজের কিছু রেডি ফরম্যাট বানিয়ে রাখুন। পরে দরকারে কপি করে একটু পরিবর্তন করে পাঠাবেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল—ছোট কেস স্টাডি দিন। যেমন:
“আমি প্রথমে একেবারেই ইংরেজিতে কথা বলতে পারতাম না। প্রথম প্রপোজাল লিখতে গিয়ে Google Translate আর YouTube টিউটোরিয়াল মিলিয়ে লিখেছিলাম। প্রথম অর্ডারটা মাত্র ৫ ডলার হলেও সেটাই আমার আত্মবিশ্বাসের শুরু। ধীরে ধীরে প্রতিদিন অল্প অল্প শিখে আজ আমি ফ্রিল্যান্সিংয়ে ভাল ইনকাম করছি।”
এভাবে গল্প বললে নতুনরা বুঝবে, শুরুতে ভুল হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যিনি চেষ্টা করেন, তিনিই টিকে থাকেন।
৫. সেলাই ও ফ্যাশন ডিজাইন
সেলাই শিখতে চায় এমন মানুষের অভাব নেই—বিশেষ করে বিয়ের মৌসুমে ব্লাউজ, শাড়ির পাড় সেলাই, বেবি ফ্রক, স্কুল ড্রেস—সবকিছুরই চাহিদা আছে। আপনি যদি দর্জির কাছে কাজ শিখে থাকেন বা নিজের বাসায় জামা তৈরি করে থাকেন, সেটাই কোর্সের বিষয় হতে পারে।
আগে বেসিক থেকে শুরু করুন—মেশিন সেটআপ, কাপড় বাছাই, মাপ নেয়ার কৌশল। তারপর দেখান—একই ডিজাইনের ছোট ছোট ভ্যারিয়েশন কীভাবে করা যায়। সাধারণ ফিটিং সমস্যা আর্টিস্টিকভাবে মডিফাই করলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।
চাইলে “ঘরে বসে অর্ডার নিয়ে কীভাবে কাজ শুরু করবেন”—এমন ছোট বিজনেস টিপসও দিন। এতে ছাত্রীরা শুধু সেলাই শিখবে না, আয়ও শুরু করতে পারবে।
৬. মোবাইল ফটোগ্রাফি ও কন্টেন্ট ক্রিয়েশন—ছোট দোকানদারদের জন্য বাঁচার দাওয়াই
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ছবি ভাল না হলে প্রোডাক্ট বিক্রি হয় না। DSLR না থাকলেও মোবাইল দিয়েই অসাধারণ ছবি তোলা সম্ভব। আর এই কাজ শেখাতে পারেন আপনিও—যদি নিজেই ফ্রেমিং, লাইট, এডিটিং নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে থাকেন।
কোর্সে যা শেখাবেন—মোবাইলে ক্যামেরা সেটিং কীভাবে ঠিক করতে হয়, প্রোডাক্ট শুট আর পার্সোনাল ব্র্যান্ড শুটের টেকনিক, কম আলোতে কীভাবে ছবি তুলতে হবে। ব্যাকগ্রাউন্ড সেটআপ, ছোট প্রপস, ফ্রি এডিটিং টুল—সব দেখান হাতে ধরে। নিজেই তোলা কিছু ছবি আগে-পরের তুলনায় দেখালে শিক্ষার্থীরা বুঝবে—আপনার শেখানো কাজে দিচ্ছে।
৭. শিশুদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট
ছোট বাচ্চাদের জন্য গল্প বলা, আঁকা শেখানো, হাতের কাজ শেখানো—সবকিছুই অনলাইনে শেখানো সম্ভব। অনেক মা-বাবা চান সন্তান মোবাইলে ভিডিও দেখার বদলে কিছু শেখুক। এই কোর্সগুলি ছোট ও কালারফুল হলে শিশুরাও আনন্দ পায়।
এ ধরনের কোর্সে ভিডিও ৫-৭ মিনিটের বেশি রাখবেন না—বাচ্চাদের মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন।
গানে গানে কবিতা শেখানো, কাগজের কারুকাজ, ছোট রঙের কাজ—সব সহজ ও মজার করে সাজান। বাবা-মার জন্য ছোট গাইড দিন—“কোর্স চলাকালে কীভাবে বাচ্চাকে সাপোর্ট দেবেন।” এতে তারা আপনাকে ভরসা করবে।
ভিডিও আর কন্টেন্ট তৈরি—খরচ কম, ফল বেশি
শুরুতে অনেকেই ভাবে ভাল কোয়ালিটির ভিডিও বানাতে স্টুডিও, ক্যামেরা, মাইক্রোফোন দরকার। বাস্তবে, আপনার মোবাইল ফোন আর স্বাভাবিক আলোই যথেষ্ট। দিনের বেলা জানালার পাশে বসে ভিডিও করুন। চেষ্টা করুন যাতে কোনো শোরগোল না থাকে—দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন, ফ্যানের আওয়াজ এড়িয়ে চলুন।
ভিডিও শুট হয়ে গেলে সহজ এডিটিং টুল ব্যবহার করুন—CapCut, VN, Canva এর মত ফ্রি সফটওয়্যারেই প্রাথমিক সব কাজ হয়ে যাবে। লম্বা ভিডিওর বদলে বিষয় ভিত্তিক ছোট ছোট ক্লিপ বানান। এতে যারা শিখবে তারা মনোযোগ ধরে রাখতে পারবে এবং আপনার কন্টেন্টও আরও গোছানো মনে হবে।
কোর্সের দাম ঠিক করবেন কীভাবে?
অনেকেই শুরুতে ভেবে নেন দাম কম রাখলে বেশি বিক্রি হবে। কিন্তু খুব কম দামে কোর্স দিলে অনেকে কোয়ালিটি নিয়ে সন্দেহ করে। আবার দাম একদম বেশি হলে প্রথমবার কেউ কিনতে চাইবে না। তাই বাজারে অন্যদের কোর্সের দাম দেখে নিন। নিজের সময়, শ্রম আর অভিজ্ঞতার দাম হিসাব করুন।
ছোট বেসিক কোর্স সবার হাতে পৌঁছাতে তুলনামূলক কম দামে দিন। পরে আপনার ছাত্রছাত্রীরাই যদি সন্তুষ্ট হয়, তাহলে তারা আপনার অ্যাডভান্স লেভেলের কোর্স বা আলাদা মডিউল নিতে আগ্রহী হবে—সেটাতে আপনি ন্যায্য দাম রাখতে পারবেন।
গ্রাহকের আস্থা—আপনার বাস্তব গল্পই সবচেয়ে বড় প্রমাণ
প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট না থাকলে বিশ্বাসযোগ্যতা গড়া খুব জরুরি। এক্ষেত্রে আপনার কাজই হবে সবচেয়ে বড় প্রমাণ। প্রথম দিকে কয়েকজনকে ডিসকাউন্ট বা একদম ফ্রি কোর্স দিন। তাদের কাছ থেকে রিভিউ, ভিডিও টেস্টিমোনিয়াল সংগ্রহ করুন। এগুলি আপনার পেইজ বা প্রোমো ভিডিওতে ব্যবহার করুন।
সাথে ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে একটা কমিউনিটি গ্রুপ চালু রাখুন—শিক্ষার্থীরা একে অপরের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবে, আপনাকে ফিডব্যাক দেবে। এতে নতুনদের আস্থা বাড়বে।
কিছু অংশ ইউটিউবে ফ্রি রাখলে মানুষ আপনার শেখানোর ধরন বুঝতে পারবে, যা বিক্রির সম্ভাবনা বাড়াবে।
কোর্স মার্কেটিং—সঠিকভাবে ছড়িয়ে দিন
মার্কেটিং শুধু বিজ্ঞাপন নয়—আপনি কীভাবে আপনার কাজের মান মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছেন সেটাই মূল বিষয়।
প্রথমে নিজের ফেসবুক পেইজ ও প্রোফাইল থেকে শুরু করুন। ক্লাসের ছোট অংশের ক্লিপ, বিক্ষিপ্ত লাইভ সেশন বা টিজার পোস্ট দিন। যারা একেবারে নতুন, তাদের জন্য ইউটিউবে সংক্ষিপ্ত ফ্রি ক্লাস আপলোড করুন।
প্রথম কিছু শিক্ষার্থীকে স্পেশাল অফার দিন, ছাড় দিন। পেমেন্ট সিস্টেম সহজ রাখুন—বিকাশ, নগদ, রকেটের মত লোকাল অপশন থাকলে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে আপনার কোর্স কিনতে পারবে।
শুরু করার আগে ছোট চেকলিস্ট
• নিজের স্কিল ও বিষয় নির্ধারণ করুন
• কনটেন্ট পরিকল্পনা লিখে ফেলুন
• ভিডিও রেকর্ড করুন
• সহজ এডিটিং করে ভিডিও গুছান
• দাম ঠিক করুন
• প্রথম ব্যাচের রিভিউ সংগ্রহ করুন
• শিক্ষার্থীদের জন্য কমিউনিটি তৈরি করুন
• নিয়মিত প্রোমোশন চালিয়ে যান—ভয় পাবেন না
প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেটের বদলে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা, শেখানোর সহজ ভাষা আর আন্তরিকতাই হবে সবচেয়ে বড় সার্টিফিকেট। আর এই গল্পটাই অন্য নারীদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে। হাতে থাকা মোবাইল আর একটু সাহস—এই দুই থাকলেই শুরু করা সম্ভব। আজই এক ধাপ এগিয়ে যান, নিজের ছোট কোর্সের মধ্যে গড়ে তুলুন বড় স্বপ্নের ভিত।
Clt

14/07/2025

তোমরা সেই আগুনকে ভয় করো, যা অবিশ্বাসীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
- আল কোরআন (সুরা: আল-ইমরান)

বৃষ্টির ফোঁটা পড়ার কারণে গাছের পাতার চিত্রটা অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে।
14/07/2025

বৃষ্টির ফোঁটা পড়ার কারণে গাছের পাতার চিত্রটা অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when HSC All Subject Hand Note & Suggestions posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to HSC All Subject Hand Note & Suggestions:

Share