12/12/2024
শবে কদর বিষয়ে অভিন্ন রাত সংক্রান্ত হাদিসটি সঠিক, বিভিন্ন রাত সংক্রান্ত হাদিস সমূহ সঠিক হলেও তা’ মানসুখ
সূরাঃ ৯৭ কদর এর অনুবাদ-
১। নিশ্চয়ই আমরা কোরআন নাযিল করেছি কদরের রাত্রিতে।
২। তুমি কি জান কদরের রাত্রি কি?
৩। কদরের রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।
৪। সে রাতে ফিরিশতাগণ ও রুহ নাযিল হয় প্রত্যেক কাজে তাদের রবের অনুমতিক্রমে।
৫। শান্তিই শান্তি সে রাত প্রভাত উদয় হওয়া পর্যন্ত।
সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।
* কোরআন শবে কদরের রাত একটি রাত হওয়ার কথা বলেছে। কোরআন অভিন্ন পথকে সিরাতাম মুসতাকিম বলেছে। সুতরাং শবে কদর বিভিন্ন রাতে হওয়া সংক্রান্ত হাদিস সমূহ সঠিক নয়।
# সূরাঃ ৯৭ কদর, ১ নং আয়াতের তাফসির – তাফসিরে ইবনে কাছির
১। ইবনে আব্বাস (রা.) প্রমুখ সাহাবী হতে বর্ণিত আছে যে, লাইলাতুল কদরে সমগ্র কোরআন লাওহে মাহফুয হতে প্রথম আসমানে অবতীর্ণ হয়। তারপর ঘটনা অনুযায়ী দীর্ঘ তেইশ বছরে ধীরে ধীরে রাসূলুল্লাহর উপর অবতীর্ণ হয়। উবাই ইবনে কাব (রা.) হতে বর্ণিত একটি হাদিসে রয়েছে, রাসূলূল্লাহ (সা.) বলেছেন, এটি (লাইলাতুল কদর, রমজানের) সাতাশতম রাত- (মুসলিম-২/৮২৮)।
সহিহ আল বোখারী, ৪১১৫ নং হাদিসের (যুদ্ধ-বিগ্রহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪১১৫। হযরত আবুল খায়ের (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ছানাবিহকে জিজ্ঞাস করলাম, আপনি কবে হিজরত করে (মদীনায়) আসলেন? ছানাবিহী বলেন, আমরা ইয়ামান হতে হিজরত করে পথে যুহফার নিকপ উপনিত হলাম, পথে একজন অশ্বারোহীকে দেখলাম, আমি তাঁর নিকট (মদীনার) সংবাদ জিজ্ঞাস করলাম।সে বলল, আজ পাঁচদিন হলো আমরা তাঁকে (মহানবি) (সা.) দাফন করেছি। আবুল খায়ের এও বললেন, আমি ছানাবিহকে জিজ্ঞাস করলাম, আপনি লাইলাতুল কদর সম্পর্কে কিছু শুনেছেন কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ শুনেছি। আমি নবি করিমের (সা.) মোয়াজ্জিন বেলালকে (রা.) বলতে শুনেছি যে, লাইলাতুল কদর হলো, রমজানের শেষ দশ রাতের সপ্তম রাতে।
সহিহ মুসলিম, ১৬৫৮ নং হাদিসের (সাতাশ তারিখের রাত কদরের রাত হওয়ার প্রমাণ) অনুবাদ-
১৬৫৮। হযরত যির ইবনে হুবাইশ উবাই ইবনে কা’ব থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি উবাই ইবনে কা’ব (রা.) ‘লাইলাতুল কদর’ রাত সম্পর্কে বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি রাতটি সম্পর্কে জানি এবং এ ব্যপারে আমি সর্বাপেক্ষা বেশী জানি। যে রাতে রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে নামাজ পড়তে আদেশ করেছেন সেটিই অর্থাৎ সাতাশ তারিখের রাতই কদরের রাত।
সহিহ মুসলিম, ১৬৫৭ নং হাদিসের (সাতাশ তারিখের রাত কদরের রাত হওয়ার প্রমাণ)অনুবাদ-
১৬৫৭। হযরত (ইবনে হুবাইশ) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উবাই ইবনে কাবকে বলতে শুনেছি। তাঁকে বলা হলো যে, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ বলেন, যে ব্যক্তি সারা বছর রাত জেগে নামাজ পড়বে সে কদরের রাত পাবে। এ কথা শুনে উবাই ইবনে কাব বললেন, যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই সেই মহান আল্লাহর শপথ! নিশ্চিতভাবে লাইলাতুল কদর রমজান মাসে। একথা বলে তিনি কসম করেন কিন্তু ইনশাআল্লাহ বললেন না। এরপর তিনি আবার বললেন, আল্লাহর কসম! কোন রাতটি কদরের রাত তাও আমি জানি। সেটি হলো এ রাত যে রাতে রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে নামাজ পড়তে আদেশ করেছেন। সাতাশ তারিখ সকালের পূর্বের রাতটিই সে রাত। আর ঐ রাতের লক্ষণ হলো, সে রাত শেষে সকালে যে সূর্য উদিত হবে তা’ উজ্জল হবে কিন্তু সে সময় তার কোন আলোক রস্মি থাকবে না।
সহিহ আবুদাউদ, ১৩৮৬ নং হাদিসের (লাইলাতুল কদরের বর্ণনা) অনুবাদ-
১৩৮৬। হযরত ওবায়দুল্লাহ ইবনে আবু সুফিয়ান (রা.) মহা্নবি (সা.) হতে লাইলাতুল কদর সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রমজানের সাতাইশ তারিখ হলো লাইলাতুল কদর।
সহিহ বোখারী ১৮৮১ নং হাদিসের (কিতাবু সালাতিত তারাবীহ) অনুবাদ-
১৮৮১।হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। তোমরা ২৪ তম রাতে (লাইলাতুল কদর) তালাশ কর।
সহিহ বোখারী ১৮৮০ নং হাদিসের (কিতাবু সালাতিত তারাবীহ) অনুবাদ-
১৮৮০। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.)থেকে বর্ণিত। নবি করিম (সা.) বলেছেন, তোমরা লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ দশ দিনে তালাশ কর। লাইলাতুল কদর এসব রাতে আছে। যখন নয়, সাত কিংবা পাঁচ রাত বাকী থেকে যায়।
* তিন জন সাহাবা বলেছেন শবে কদর সাতাশ তম রাতে, একজন সাহাবা বলেছেন শবে কদর ২৪ রাতে। যিনি ২৪ তম রাত বলেছেন তাঁর অন্য বিবরণে একাধীক রাতের কথা থাকায় তাঁর বিবরণ গৃহিত হবে না। সুতরাং যাঁরা সাতাশ তশ রাতের কথা বলেছেন তাঁদের বিবরণ গৃহিত হবে।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।
সূরাঃ ১০১ কারিয়া, ৬ নং থেকে ৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। তখন যার পাল্লা ভারী হবে
৭। সেতো লাভ করবে সন্তোষ জনক জীবন।
৮। কিন্তু যার পাল্লাহ হালকা হবে
৯। তার স্থান হবে হাবিয়া।
সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী পাল্লাভারী জামায়াত নাজাতের কারণ।শবে কদর একরাত্রি বলা হাদিসের বিবরণে রমজানের সাতাশতম রাত পাল্লাভারী হওয়ায় শবে কদর বিষয়ে শুধুমাত্র এ হাদিস গৃহিত হবে। আল্লাহ তিনি এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে উপস্থাপিত সকল হাদিস বাতিল করায়। আল্লাহ এবং তাঁর আয়াতে সাব্যস্ত রমজানের সাতাশতম রাতের পরিবর্তে উপস্থাপিত সকল হাদিস বাতিল সাব্যস্ত হবে।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
* আল্লাহ বলছেন শবে কদর এক রাত। একরাত শবে কদর বলা হাদিসের পাল্লাভারী বিবরণ সেই রাত রমজানের সাতাশতম রাত। সুতরাং শবেকদর রমজানের সাতাশতম রাত হওয়া বিষয়ে কোন মতভেদ গৃহিত হবে না।
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
মেশকাত ২২৪ নং হাদিসের (ইলম অধ্যায়) অনুবাদ-
২২৪। হযরত আওফ ইবনে মালেক আশজায়ী (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্বয়ং আমির অথবা আমীরের পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা কোন অহংকারী ব্যতীত অপর কেউ ওয়াজ করতে পারে না।
সহিহ বোখারী ১৮৭০ নং হাদিসের (কিতাবু সালাতিত তারাবীহ) অনুবাদ-
১৮৭০। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমযানের রাতে ঈমানের সাথে এবং ছাওয়াবের আশায় (নামাযে) দাঁড়ায় তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। ইবনে শেহাব বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) ইন্তেকাল করলেন এবং হকুমও এ অবস্থায়ই রয়ে গেল। তারপর আবু বকর (রা.) এর সম্পূর্ণ খেলাফত আমল এবং ওমরের (রা.) খেলাফত আমলের প্রথম ভাগ এ অবস্থায়ই কেটে গেল। (এ সময়) সকলেই একা একা তারাবীহ পড়ত।ইবনে শিহাব ওরওয়াহ ইবনে জোবায়ের থেকে বর্ণনা করেছেন,আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল কারী বলেছেন, আমি রমযানের এক রাতে ওমর ইবনে খাত্তাবের সাথে মসজিদের দিকে বের হলাম। ;দেখলাম,বিভিন্ন অবস্থায় বহুলোক একা একা নামায পড়ছে।তখন হজরত ওমর (রা.) বললেন,আমার মনেহয় এদের সকলকে একজন কারীর সাথে জামাতভুক্ত করে দিলে সর্বাপেক্ষা ভাল হবে।অতঃপর তিনি তাই করার মনস্থ করলেন এবং তাদেরকে উবাই ইবনে কা’ব (রা.) এর পিছনে জামাতভুক্ত করে দিলেন। এরপর আমি দ্বিতীয় রাতে আবার তাঁর সাথে নামাজে বের হলাম। দেখলাম, লোকেরা তাদের ইমামের সাথে নামাজ পড়ছে। ওমর (রা.) বললেন এটি একটি উত্তম বিদয়াত। রাতের যে অংশে লোকেরা নিদ্রা যায়, তা যে অংশে তারা ইবাদত করে তদপেক্ষা উত্তম।অর্থাৎ রাতের প্রথমভাগ অপেক্ষা শেষ ভাগের নামায অধিক উত্তম। এটিই তিনি বুঝাতে চেয়েছেন।
* হযরত উবাই ইবনে কাব (রা.) আমির হযরত ওমর (রা.) কর্তৃক নির্দেশ প্রাপ্ত বিধায় শবে কদর বিষয়ে তাঁর ওয়াজের বিপরীতে অন্য কারো ওয়াজ গৃহিত হওয়ার কোন সুযোগ নাই। তিনি শবে কদর রমজানের সাতাশতম রাতে বলায় সেই রাত ছাড়া অন্য কোন রাতে শবে কদর বলা সঠিক নয়।
সূরাঃ ২৫ ফুরকান, ৭৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৪। আর যারা প্রার্থনা করে, হে আমাদের প্রতি পালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান কর যারা হবে আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্য ইমাম কর।
সহিহ মুসলিম, ১৭৩৬ নং হাদিসের (ফাজায়েলে কোরআন) অনুবাদ-
১৭৩৬। হযরত আনাস ইবনে মালেক কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) উবাই ইবনে কাবকে (রা.) লক্ষ্য করে বললেন, মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাকে তোমার সামনে কোরআন শরীফ সুস্পষ্ট করতে আদেশ করেছেন। উবাই ইবনে কাব (রা.) বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করেন, আল্লাহ তা’য়ালা কি আপনার নিকট আমার নাম উল্লেখ করেছেন? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, হ্যাঁ, আল্লাহ তা’আলা আমার নিক তোমার নাম উল্লেখ করেছেন।বর্ণনাকারী আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন একথা শুনে উবাই ইবনে কাব (রা.) ক্রন্দন আরম্ভ করলেন।
সহিহ মুসলিম, ১৭৩৭ নং হাদিসের (ফজায়েলে কোরআন) অনুবাদ-
১৭৩৭। হযরত আনাস ইবনে মালেক কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) উবাই ইবনে কাবকে (রা.) লক্ষ্যকরে বললেন, মহান আল্লাহ তোমার সামনে আমাকে ‘লাম ইয়াকুনিল্লাযিনা কাফারু মিন আহলিল কিতাবি’ পড়ার জন্য আদেশ করেছেন। উবাই ইবনে কাব বলেন, তিনি আপনার নিকট আমার নাম উল্লেখ করে বলেছেন? রাসূলূল্লাহ (সা.) বলেন, হ্যাঁ। (একথা শুনে) তিনি কেঁদে ফেলেন।
সহিহ আল বোখারী, ৩৫৩১ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৫৩১। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবিকে (সা.) বলতে শুনেছি, চার ব্যক্তির নিকট থেকে তোমরা কোরআনের শিক্ষা গ্রহণ কর। (১) ইবনে মাসউদ (রা.) (২) আবু হোযায়ফার (রা.) মুক্ত গোলাম সালেম (রা.) (৩) উবাই (ইবনে কাব) (রা.) (৪) মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.)।
* হযরত উবাই ইবনে কাব আল্লাহ ও রাসূল (সা.) কর্তৃক সঠিকতার সনদপ্রাপ্ত। আমির তাঁকে সাহাবায়ে কেরামের (রা.) ইমাম নিয়োগদান করায় তিনি সুনিশ্চিতভাবে মোত্তাকীদের ইমাম। সুতরাং তাঁর সাথে আর কারো মতভেদের আর কোন সুযোগ থাকলো না। সুতরাং শবে কদর সৃনিশ্চিতভাবেই রমজানের সাতাশতম রাতে।