Sumaiya Hasan

Sumaiya Hasan Stay tuned for regular Islamic, ideological and educational videos.

26/07/2025

মোমেন হওয়ার শর্ত শুধু আল্লাহ ও রাসুলের উপর বিশ্বাস নয়।

#ইসলামেরকথা

আল্লাহ কী কী  বিষয় ও বস্তু হারাম তথা নিষিদ্ধ করেছেন?
25/07/2025

আল্লাহ কী কী বিষয় ও বস্তু হারাম তথা নিষিদ্ধ করেছেন?

23/07/2025

সময় হয়েছে ফতোয়ার বেড়াজাল ছিন্ন করে প্রকৃত ইসলাম জানার ও গ্রহণ করার।

#ইসলামেরকথা

17/07/2025

যদি উড়তে না পারো , তাহলে দৌড়াও।
#বিখ্যাতউক্তি

16/07/2025

যা কোর’আন হালাল করেছে।

#ইসলামেরকথা #হাদীস

14/07/2025

বকশিস গ্রহণ ব্যতীত শিক্ষা দান কর।

#ইসলামেরকথা #হাদীস

10/07/2025

এ কী বললেন মামুনুল হক?

08/07/2025

সমস্যা তোমাকে থামিয়ে দিতে আসেনা। সে আসে যাতে তুমি নতুন পথ খোঁজে পাও।

রবার্ট এইচ

#বিখ্যাতউক্তি

06/07/2025

ইমাম বলতে কোনো ঝাড়ুদারকে বোঝায় না?

#ইসলামেরকথা #হাদীস

03/07/2025

জামায়াতে ইসলামের মিটিংয়ে নারী!

#ইসলামেরকথা #হাদীস

দেশ ও জাতির শক্তি নারীমানুষ এক পায়ে চলতে পারে না। স্বাভাবিকভাবে জীবন পরিচালনার জন্য তার দুটি পা-ই সমান গুরুত্বপূর্ণ। কোন...
03/07/2025

দেশ ও জাতির শক্তি নারী
মানুষ এক পায়ে চলতে পারে না। স্বাভাবিকভাবে জীবন পরিচালনার জন্য তার দুটি পা-ই সমান গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কারণে যদি মানুষের কোন এক পা বিকল হয়ে যায় বা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে তবে তার মধ্যে আর ভারসাম্য থাকে না। এ অবস্থায় সে হাঁটতে পারে না, চলতে পারে না ফলে তার জীবন স্থবির ও নিশ্চল হয়ে পড়ে। তেমনিভাবে সমাজ একটি দেহ এবং এর দুটি পা হচ্ছে নারী ও পুরুষ। পরিবার, সমাজ, জাতি নারী-পুরুষের সমন্বয়ে গঠিত। সমাজের অর্ধেক অংশই নারী। কোন কারণে যদি সমাজের এই অর্ধেক অংশকে জাতীয় ও সামষ্টিক জীবনের সকল কার্যক্রম থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে জাতির মধ্যে আর ভারসাম্য থাকে না। সেই জাতি আর এগোতে পারে না।
কিন্তু বর্তমানে ধর্মের দোহাই দিয়ে সমাজের এই অর্ধেক অংশকে অবশ, অথর্ব করে রাখা হয়েছে। তাদের চিন্তা চেতনাকে সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে। নারীকে করা হয়েছে ঘরমুখী। তাকে শেখানো হয়েছে তার কাজ কেবল ঘর নিয়ে, স্বামী-সংসার, সন্তান নিয়ে। এই গণ্ডিটুকুই তার জীবন, তার সমস্ত চিন্তা, তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সবকিছুই এই সংসার কেন্দ্রিক। এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে ভুলখাতে প্রবাহিত করে নারীকে বিকৃত পর্দাপ্রথার বেড়াজালে আটকিয়ে সমাজ, রাষ্ট্র, বিশ্ব থেকে তাকে আলাদা করে দিয়েছে। ফলে অনিবার্যভাবেই জাতির জীবনীশক্তি লোপ পেয়েছে, জাতি হয়ে পড়েছে স্থবির, গতিহীন, নিশ্চল। নারী সমাজের চালিকাশক্তি, জীবনীশক্তি। সমাজের এই অর্ধেক অংশকে সামাজিক, অর্থনৈতিক, সামষ্টিক জীবন থেকে বাদ রেখে অন্ধকারে ঠেলে দিয়ে উন্নতি-অগ্রগতি সম্ভব না।
রসুলাল্লাহর সাহাবী উম্মে শেফা (রা.) ছিলেন বাজার ব্যবস্থাপক। তিনি কোমরে তলোয়ার নিয়ে বাজারে ঘুরে ঘুরে দেখতেন কেউ পণ্যে ভেজাল দেয় কিনা। হাসপাতালের সব কাজে মেয়েরা অংশ নিতেন। তারা আহতদেরকে চিকিৎসা করতেন, সেবা করতেন, শহীদদের দাফন করতেন। হাসপাতালের অধ্যক্ষও ছিলেন একজন মেয়ে রুফায়দাহ (রা.)। জুম্মার নামাজে মেয়েদের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক ছিল। রাতের বেলার নামাজেও তারা মসজিদে যেতেন। এভাবে জীবনের প্রত্যেকটা কাজে মেয়েদের অংশগ্রহণ আল্লাহর রসুল নিশ্চিত করেছিলেন। নারী প্রগতির এক বিস্ময়কর অধ্যায় তিনি রচনা করেছিলেন। নারীরা সমাজের প্রতিটি কাজে পুরুষের পাশাপাশি অবদান রেখেছিল। এমনকি যুদ্ধের মতো বিপদসংকুল স্থানেও নারীরা যুদ্ধ করেছিল।
ওহুদের যুদ্ধে শত্রুরা যখন রসুলাল্লাহকে ঘিরে ফেলল তখন উম্মে আম্মারা (রা.) খোলা তরবারি হাতে ছুটে গেছেন রসুলাল্লাহকে রক্ষা করতে। সেদিন তাঁর অবদান সম্পর্কে বলতে গিয়ে রসুলাল্লাহ মন্তব্য করেন, ওহুদের দিন আমি ডানে বায়ে যেদিকেই তাকিয়েছি সেদিকেই উম্মে আম্মারাকে দেখেছি। এই যদি হয় প্রকৃত ইসলামের নারীদের রূপ তাহলে আমাদের আলেমশ্রেণী কোন দলিলের ভিত্তিতে ফতোয়া দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্মদাত্রী, জাতি তৈরির কারিগর নারীকে চার দেয়ালে বন্দি করে রেখেছে? আজ সময় এসেছে যাবতীয় কুসংস্কার, মিথ্যার বেড়াজাল ভেদ করে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও মানবতার কল্যাণে জাতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখার, নারীদের বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব দূর করার। আর একমাত্র প্রকৃত ইসলামই পারে নারীদের সেই হারানো গৌরব ফিরিয়ে দিতে।

মহান নারীর পরিচয় ইসলাম গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে একজন নারীকেই আমরা দেখি। যিনি ছিলেন রসুল (সা.) এর প্রিয় সহধর...
02/07/2025

মহান নারীর পরিচয়
ইসলাম গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে একজন নারীকেই আমরা দেখি। যিনি ছিলেন রসুল (সা.) এর প্রিয় সহধর্মিনী হযরত খাদিজা (রা.)। তেমনি নিজের ঈমান রক্ষা করতে গিয়ে প্রথম যিনি শহীদ হয়েছিলেন, তিনিও ছিলেন একজন নারী- হযরত সুমাইয়া (রা.)। যে নারী ইসলামের ইতিহাসে প্রসিদ্ধ হয়ে আছেন। অনেকের মনে অনুপ্রেরণার বীজ হয়ে আছেন।
সুমাইয়া বিনতে খাব্বাত বা সুমাইয়া বিনতে খাইয়াত হলেন ইসলামিক ঐতিহ্য অনুসারে হিজরত পূর্ব সময়ের প্রথম শহীদ সাহাবী বা মহিলা যিনি ইসলামধর্ম গ্রহণ করার কারণে আবু জাহলের হাতে নিহত হন। তিনি ইয়াসির ইবনে আমিরের স্ত্রী এবং আম্মার ইবনে ইয়াসিরের মাতা ছিলেন, যারা প্রাথমিক মুসলিম ধর্মান্তরিতদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। এবং কঠিন নির্যাতনের শিকার হন।
শহীদ সুমাইয়া (রা.) এর জন্ম হয়েছিল তৎকালীন আরবের এক সাধারণ পরিবারে। যাদেরকে দাস বা দাসির কাজ করতে হতো। অভিজাত বংশের প্রভাব বা ছায়া তার মাথার উপর ছিল না। তাই রসুল (সা.) ইসলাম প্রচার করার সাথে সাথে যখন সুমাইয়া (রা.), তাঁর স্বামী এবং ছেলেরাও ইসলামগ্রহণ করে মুসলিম হন তখন তাদের উপর নেমে আসে সীমাহীন অত্যাচার।
ইসলামের একদম গোড়ার দিকে কাফেরদের অত্যাচার ও উৎপীড়ন সহ্য করার এক কষ্টবহ দুঃসহ কাল ছিল। তাই যারাই ইসলাম গ্রহণ করতেন তারা সমাজ ও গোত্র-নেতাদের নির্যাতন-নিপীড়নের ভয়ে তা প্রকাশ করতেন না। সত্যের দীক্ষা গ্রহণ করতেন গোপনে, সত্য শিখতেন গোপনে এবং গোপনেই তাঁরা প্রচারকার্য চালাতেন।
এর মধ্যেও যারা সামাজিকভাবে শক্ত শেকড়বিহীন ছিল, শক্ত প্রভাব যাদের ছিল না, যারা ছিলেন কারো গোলাম বা ক্রীতদাস তাদের অবস্থা হতো আরও শোচনীয়। কোনভাবে তাদের ইসলাম গ্রহণের কথা প্রকাশ হয়ে গেলেই তাদের কাউকে গরম বালিতে পাথর চাপা দিয়ে, কাউকে লোহার বর্ম পরিয়ে রেখে অত্যাচার করা হতো। এসব অত্যাচার যে কত তীব্র আর হৃদয়বিদারক ছিল তার উদাহরণ বিলাল (রা.) ও খাব্বাব (রা.) এর জীবনী।
শহীদ সুমাইয়া (রা.) ছিলেন শুরুর দিক থেকে ইসলাম গ্রহণ করার মাঝে ১৭তম ব্যক্তি। ইসলাম গ্রহণ করার পর তার উপর আবু জাহেল অকথ্য অত্যাচার শুরু হয়। আবু জাহেল তাকে এবং তার পরিবারকে মক্কার আল-বাতহা উপত্যকার মরুভূমির তপ্তবালুর মাঝে লোহার পোষাক পরিয়ে শুইয়ে রেখেছিল। যেহেতু তার কোন নিজস্ব গোত্র ছিল না, প্রভাব ছিল না তাই আবু জাহেল তার ইচ্ছামত তাদেরকে অত্যাচার করেছিল।
‘আল-বাতহা’ উপত্যকার পথ ধরে রসুল (সা.) হেঁটে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন কোনো এক সাহাবী। তাঁরা দেখতে পেলেন প্রখর রোদের মধ্যে আম্মার, তাঁর মা-বাবা এবং ভাইয়ের উপর চালানো হচ্ছে অবর্ণনীয় অত্যাচার। বুকফাটা এই দৃশ্য দেখে তার শরীর ও মন বিষণ্ণ হলো। কারণ তাঁর উপরও তখন চারদিকের চাপ। হাত-পা বাঁধা অবস্থার মতো। তিনি ইচ্ছে করলেও কাফেরদের এই পশুত্বের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবেন না। তাকে দেখে ইয়াসির বলে উঠলেন, ইয়া রাসুরুল্লাহ এর শেষ কোথায়? বুকের ভেতর কষ্ট চাপা দিয়ে রসুল (সা.) তাঁদের বললেন, হে ইয়াসির পরিবার ধৈর্য ধরো।
তোমাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ। তোমাদের জন্য রয়েছে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি। হে আল্লাহ ইয়াসির পরিবারকে ক্ষমা করুন। রসুল (সা.) যখন তাদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দিলেন, তখন সুমাইয়া (রা.) রসুল (সা.) কে উদ্দেশ্য করে বললেন- “ইয়া রসুল (সা.), আমি জান্নাতের সুগন্ধ এই তপ্ত মরুভূমির বুকে শুয়েই পাচ্ছি।” দীর্ঘদিন নির্যাতন করার পরও যখন সুমাইয়া (রা.) ইসলাম ত্যাগ করলেন না তখন নরাধম আবু জাহেল তার লজ্জাস্থানে বর্শা নিক্ষেপ করে তাকে শহীদ করে দিলেন। তাকে শহীদ করার পর ইয়াসীর ইবনে আমির (রা.) কেও তীরবিদ্ধ করে শহীদ করা হলো। এবং আম্মারকে হত্যার আগে রসুল (সা.) তাকে উদ্ধার করলেন আবু জাহেলের হাত থেকে।
সুমাইয়া বিনতে হাসান

Address

Uttara
2030

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sumaiya Hasan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sumaiya Hasan:

Share