আমার ফাসি চাই।

আমার ফাসি চাই। এখান থেকে আপনার পেয়ে জাবেন "আমার ফাঁসি চাই" বইটির লেখা হবহু। ইন শা আল্লাহ।

রুমালে গ্লিসারিন..!!পরদিন সকালে লালবাগে নিহত সাত জনের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে দেখতে যাওয়ার আগে বঙ্গবন্ধ...
21/01/2025

রুমালে গ্লিসারিন..!!

পরদিন সকালে লালবাগে নিহত সাত জনের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে দেখতে যাওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু কন্যা হাসিনা বলতে থাকেন, আমার রুমালে একটু গ্লিসারিন মেখে দাও, ঐ যে, নায়িকারা অভিনয়ের সময় গ্লিসারিন দিয়ে চোখের পানি বের করে কান্নার অভিনয় করে। আমার রুমালে ঐ রকমের গ্লিসারিন লাগিয়ে দাও, যাতে আমি লাশ দেখে রুমাল ধরতেই চোখে পানি এসে যায়।

একজন বলল, গ্লিসারিনের দরকার নেই, শুধু চোখে রুমাল ধরে রাখবেন তাতেই মনে হবে আপনি কাঁদছেন। আর আমরা ফটো সাংবাদিক (ফটো সাংবাদিক) ভাইদের বলে দেব ছবির নীচে আপনি কাঁদছেন ক্যাপশন লাগিয়ে দিতে।।

হাসপাতালের মর্গে নিহত সাত জনের লাশ দেখে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা চোখে রুমাল ধরলে সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকগণ অসংখ্য ছবি তুলতো। ছবি তোলা শেষে বঙ্গবন্ধু কন্যা গাড়িতে উঠলেন। গাড়ি চলতে শুরু করলো। তখনও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার চোখে রুমাল। গাড়ির চালক ড্রাইভার জালাল বলল, আপা (শেখ হাসিনা) এখন রুমাল নামান ফটো সাংবাদিক নেই।

গাড়ির সকল আরোহী হেসে উঠলো। জননেত্রী শেখ হাসিনা বললেন, ঠিক মতো দেখেছ তো, কোন ফটো সাংবাদিক নেই তো?

না, নেই।

তাহলে আমি (শেখ হাসিনা) এবার রুমাল নামাই।

#রুমাল #হাসিনা #শেখমুজিব #গাড়ি #আওয়ামীলীগ #বিএনপি #জামাতইসলাম #হাসপাতাল #আমার_ফাঁসি_চাই

একদিন বিকেল বেলা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বললেন, কিরে, এত লোক আসে যায়, এত ফুলের তোড়া, ফুলের মালা, কিন্তু হানি...
19/12/2024

একদিন বিকেল বেলা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বললেন,
কিরে, এত লোক আসে যায়, এত ফুলের তোড়া, ফুলের মালা, কিন্তু হানিফকে (সদ্য নবনির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ) দেখছি না। এখন পর্যন্ত একটা ফোনও করলো না। ব্যাপারটা কি? ঠিক আছে তো, না ভাইগা টাইগা গেল। এই মেয়র হওয়ার লোভেই কিন্তু হানিফ স্বৈরাচারী জেনারেল এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছিল। এরশাদের কাছে চান্স না পেয়ে হানিফ মেয়র হওয়ার জন্য আবার আমার কাছে ফিরে এসেছে। আমি এক কোটি সাতত্রিশ লক্ষ টাকা খরচ করে হানিফকে মেয়র করেছি। তাড়াতাড়ি খোঁজ খবর নাও। ফোন কর এবং একজন হানিফের বাড়ি গিয়ে দেখ আসল ব্যাপার কি?

সদ্য নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের বাসায় ফোন করে বলা হলো, জননেত্রী বিরোধী দলীয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা হানিফ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলবেন।

জবাবে মিসেস হানিফ বললেন, তিনি অসুস্থ এখন কথা বলতে পারবেন না। বললেন, শীঘ্রই হানিফের বাসায় যাও, দেখ গিয়ে ঘটনা খারাপ।

তখন সন্ধ্যা হয়ে আসছে, মেয়র হানিফের বাড়ি ছুটে যাওয়া হলো। মেয়র হানিফ তখন দশ- বারো জন লোকের সঙ্গে বসে কথা বলছেন। সেখানেই শোনা গেল বিকেলে লালবাগে বিএনপির পরাজিত কমিশনার প্রার্থী আব্দুল আজিজ গুলি করে সাতজন লোককে হত্যা করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা কথা বলতে চেয়েছেন বলায় মেয়র হানিফ বললেন, নেত্রীকে আমার সালাম দিও, বলো আমার শরীরটা খুব খারাপ, আমি কথা বলতে পারছি না। শুধু লালবাগের খু'নের জন্য আমি ওনাদের সাথে কথা বলছি।

মেয়র হানিফের বাসা থেকে সোজা মিন্টু রোডে এসে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে লালবাগের বিএনপি কমিশনার প্রার্থী আজিজ কর্তৃক সাত জনকে খুন করার সংবাদ দিলে বঙ্গবন্ধু কন্যা খুশিতে জিন্দেগি জিন্দেগি গান গাইতে থাকেন আর নাচতে থাকেন।

#আমার_ফাঁসি_চাই #রাজনীতি #মিছিল #মন্ত্রী #খালেদাজিয়া #চালক #স্বপ্ন #ওবাইদুল_কাদের #বিশ্ববিদ্যালয় #হানিফ #শেখহাসিনার #জামাই #লালবাগ

আজ ৩০শে জানুয়ারী ১৯৯৪। ঢাকায় প্রথমবারের মতো সরাসরি জনগণের ভোটে মেয়র নির্বাচন চলছে। সকাল আটটা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকাল চার...
15/12/2024

আজ ৩০শে জানুয়ারী ১৯৯৪। ঢাকায় প্রথমবারের মতো সরাসরি জনগণের ভোটে মেয়র নির্বাচন চলছে। সকাল আটটা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকাল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ করা হবে। গত রাতেই জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, আজ ৩০শে জানুয়ারী সকাল ছ'টায় ২৯ মিন্টু রোডে তার বাসায় হাজির হওয়ার জন্য। নির্দেশ মোতাবেক নেত্রীর বাসায় সকাল পৌনে ছ'টায় হাজির হয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা ঘুম থেকে উঠলেন, একসঙ্গে নাস্তা করলেন। তারপর সকাল পৌনে সাতটায় তার (শেখ হাসিনার) লাল রঙের নিশান পেট্রোল জীপ গাড়িতে করে আমাদের সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রথমে গেলেন শেরে বাংলা নগরের রাজধানী হাই স্কুলে। তারপর গেলেন ধানমণ্ডি বয়েজ হাই স্কুলে, এরপর গেলেন ধানমণ্ডি বত্রিশে তার (শেখ হাসিনার) পিতার বাড়ি বঙ্গবন্ধু ভবনে। সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে চা খেয়ে নিজের ভোটার স্লিপ নিয়ে চলে এলেন সিটি কলেজে ভোট দিতে।

সিটি কলেজে ভোট দেওয়া শেষ করে আরো কিছু ভোটকেন্দ্র ঘুরে বেলা এগারোটা নাগাদ ফিরে এলেন ২৯ মিন্টু রোডে তার সরকারী বাসভবনে। জননেত্রী শেখ হাসিনা মিন্টু রোডের বাসভবনে ফিরে আসার দশ-পনের মিনিটের মধ্যে এসে উপস্থিত হলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক (বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য) নওগাঁর আব্দুল জলিল। সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে আব্দুল জলিল বললেন, নেত্রী আমাদের অবস্থা ভাল না। আমরা নির্বাচনে জিততে পারব না। আমাদের লোককে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিচ্ছে। আপনাকে তো আগেই বলেছি আওয়ামী লীগ হলো হরতাল আর আন্দোলনের দল, নির্বাচনের দল না। আপনি খামাকা নির্বাচনে যান।

আব্দুল জলিলের কথা শেষ না হতেই এসে হাজির হলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে এলজিআরডি মন্ত্রী) জিল্লুর রহমান। জিল্লুর রহমানের পেছনে পেছনে এলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য (বর্তমানে পানি সম্পদ মন্ত্রী) আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যান্য নেত্রীবৃন্দ।

একমাত্র আব্দুর রাজ্জাক ছাড়া সকল নেত্রীবৃন্দেরই এক কথা, মেয়র নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হচ্ছে। আমাদের কর্মীদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিচ্ছে। নির্বাচন বাতিলের দাবী করা হোক, আন্দোলন করা হোক ইত্যাদি। প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বললেন, নির্বাচনে কারচুপি হচ্ছে, আমাদের কর্মীদের বের করে দেওয়া হচ্ছে, এটা কি আপনারা কেউ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখেছেন?

নেতারা কেউ কোন উত্তর দিলেন না, কোন কথাও কেউ বললেন না, সবাই চুপ।

জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বললেন, এটা আবার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখতে হয় নাকি? ওরা তো ভোট কারচুপি করবেই। এখন না করলে একটু পরে করবে। কাজেই আমাদের নির্বাচন বাতিলের দাবী করতে হবে এবং এই ইস্যু নিয়ে বিএনপি সরকার পতন আন্দোলন করতে হবে। খালেদা জিয়া সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

সঙ্গে সঙ্গে টেবিল টেলিফোন সেট (যে সেট দিয়ে উপস্থিত সকলে শুনতে পারে) দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ফোন করলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে না পেয়ে, অন্য একজন নির্বাচন কশিনারকে নির্বাচন বাতিল করার কথা বললে, নির্বাচন কমিশনার বিস্ময়ের সাথে বললেন, ম্যাডাম, নির্বাচন বাতিল করা তো দূরের কথা, কোন ভোটকেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করার মতো কোন ইনফরমেশন এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে আসেনি।
জবাবে জননেত্রী শেখ হাসিনা বললেন, আমার কাছে ইনফরমেশন আচে নির্বাচন কারচুপি হচ্ছে। আমি বলছি-নির্বাচন বাতিল করেন।

নির্বাচন কমিশনার বললেন, ম্যাডাম আপনি কাইন্ডলি বলেন, কোন-কেন্দ্রে কারচুপি হচ্ছে আমরা অবশ্যই তার ব্যবস্থা নেব।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা চীফ ইলেকশন কমিশনারকে বলবেন আমাকে ফোন করতে এ কথা বলে ফোন রেখে দিলেন। এরপর প্রায় প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় নির্বাচন কমিশনে নির্বাচন বাতিল করার দাবী জানিয়ে ফোন করা শুরু হলো। বিকেল চারটা নাগাদ একবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচন বাতিলের দাবীর জবাবে বললেন, ম্যাডাম আমি ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। সামান্য গোলযোগের কারণে আমি কয়েকটি ভোটকেন্দ্রের ভোট স্থগিতও করেছি।

শেখ হাসিনা পুনরায় নির্বাচন বাতিলের দাবী করলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ম্যাডাম আমি নির্বাচন কমিশনে বসে নেই। আমি সরাসরি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজেই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছি। আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন, যে কোন প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে আমি মোটেই পিছপা হবো না।

হ্যাঁ, আপনি নির্বাচন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিন। আমি পরে আবার ফোন করবো বলেই জননেত্রী শেখ হাসিনা ফোন রেখে দিলেন। এরপর প্রায় পনের বার ফোন করেও নির্বাচন কমিশনারকে পাওয়া গেলো না। কিন্তু রাত দশটার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে পাওয়া গেল। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফোন ধরতেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা উচ্চস্বরে বললেন, কি হলো, নির্বাচন বাতিলের ঘোষণা দিলেন না?

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বললেন, ম্যাডাম আমাদের কাছে যে ফলাফল এসেছে তাতে মেয়র পদে মাছ মার্কায় মোহাম্মদ হানিফ বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছে। এখন আমরা কি নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করবো?

শেখ হাসিনা বললেন, জ্বী জ্বী কি বললেন? হ্যাঁ ম্যাডাম, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী মেয়র পদে মাছ মার্কায় মোহাম্মদ হানিফ বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছে এবং মোহাম্মদ হানিফের মেয়র হওয়া প্রায় নিশ্চিত। আমরা কি এই নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করবো?

তাই নাকি, তাই নাকি, না না বাতিল করবেন কেন? আপনি খেয়াল রাখবেন যাতে এই ফলাফল উল্টে না যায়। আমি পরে আবার আপনার সাথে যোগাযোগ করব।
এরপর জননেত্রী শেখ হাসিনা টেবিল টেলিফোন সেট বন্ধ করে উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে বললেন, শুনলেন তো হানিফ নাকি মেয়র হয়ে যাচ্ছে। এখন তো আমাদের নির্বাচন বাতিলের দাবী করা ঠিক হবে না; কি বলেন?

জিল্লুর রহমান বললেন, দেখেন এটা আবার কোন চাল। আব্দুর রাজ্জাক বললেন, নেত্রী নির্বাচন কমিশনে আমার একজন ঘনিষ্ঠ লোক আছে, আমি তার কাছে যেয়ে সঠিক খবর নিয়ে আসি।

সভানেত্রী শেখ হাসিনা বললেন, তাই যান। আপনারা সকলেই যান, যার যেখানে লোক আছে সেখান থেকেই সঠিক খবরটা সংগ্রহ করেন।

রাত তখন বারোটা, সবাই চলে গেল। একমাত্র আব্দুর রাজ্জাক ছাড়া আর কোন নেতাই রাতে আর ফিরে এলেন না। রাত দেড়টার দিকে আব্দুর রাজ্জাক মিন্টু রোডে এসে বললেন, সভানেত্রী হানিফ তো মেয়র হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন দেশী-বিদেশী সমস্ত নিউজ মিডিয়াতে হানিফের মেয়র হওয়ার ফলাফল পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন হানিফ বেসরকারীভাবে ঢাকার মেয়র। সভানেত্রীকে সংবাদটা দিতে হয়। আপনি বসেন বলে উপরে গেলাম। সভানেত্রী শেখ হাসিনা ডিশ এন্টিনায় হিন্দি ফিল্ম দেখছিলেন, তাকে আব্দুর রাজ্জাকের আসার সংবাদ এবং হানিফের বেসরকারী ভাবে মেয়র হওয়ার সংবাদ দিলে তিনি বলেন, হানিফের কপাল ভাল। আব্দুর রাজ্জাক দেখা করতে চায় জানালে শেখ হাসিনা বলেন, দূর ছবিটা জমে উঠেছে এই সময় দেখাটেখা হবে না। তুমি বলে দাও আমি (শেখ হাসিনা) ঘুমিয়ে পড়েছি।

তথাস্ত নেত্রী, বলে নিচে এসে আব্দুর রাজ্জাককে বলা হলো আপনি চলে যান, নেত্রী ঘুমিয়ে পড়েছেন। আজ আর উঠবেন না।

আব্দুর রাজ্জাক চলে গেলে এরপর ফোন এলো প্রেসিডিয়াম সদস্য (বর্তমান পররাষ্ট্র মন্ত্রী) আব্দুস সামাদ আজাদ-এর, সভানেত্রীকে সামাদ আজাদের ফোনের কথা বলা হলে, তিনি ঐ একই কথা বলেন, দূর সিনেমাটা জমে উঠেছে। বলে দাও ঘুমিয়ে গেছি। এরপর থেকে যে-ই ফোন করুক বলে দেবে ঘুমিয়ে গেছি।

এরপর থেকে বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা যে রুমে বসে ডিশ এন্টিনায় হিন্দী ফিল্ম দেখছেন সেই রুম থেকেই হ্যান্ডসেট দিয়ে যে-ই ফোন করেছে তাকেই বলে দেওয়া হচ্ছে নেত্রী ঘুমাচ্ছেন। এই নিয়ে আবার জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং উপস্থিত হিন্দি ফিল্ম দর্শকদের মাঝে হাসির রোল পড়ে গেল।

#আমার_ফাঁসি_চাই #রাজনীতি #মিছিল #চালক #স্বপ্ন #শেখহাসিনা #পলক #ওবাইদুল_কাদের #বিশ্ববিদ্যালয় #খালেদাজিয়া #হাসি #বেসরকারী #১৬ডিসেম্বর #দর্শক #মন্ত্রী #মেয়র #ঘুম

26/11/2024

শেখ হাসিনা ও গোলাম আযমের ২য় বৈঠক!

৩০শে জানুয়ারী ১৯৯৪ ঢাকা সিটি করপোরেশন-এর মেয়র ও কমিশনার নির্বাচন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফকে ঢাকার মেয়র পদে মনোনয়ন দিয়েছে।

তোড়জোড়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রপাগান্ডা এগিয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে দলের সকল নেতা-কর্মীই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের কাছে মেয়র পদে মাছ মার্কায় হানিফের জন্য ভোট চাইছে। অধিক রাত পর্যন্ত চলছে মিছিল এবং নির্বাচনী জনসভা। প্রতিটি পাড়া-মহল্লা, অলি-গলিতে চলছে মেয়র কমিশনার নির্বাচনের কাজ। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামাত, কমিউনিস্ট পার্টিসহ সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনী কাজে ভীষণ ব্যস্ত। ঢাকায় টানটান নির্বাচনী উত্তেজনা। নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। ২৫শে জানুয়ারী সন্ধ্যা বেলায় ধানমন্ডি ৮/এ রোডে বঙ্গবন্ধুর চাচাতো ভাই শেখ হাফিজুর রহমান টোকনের বাসায় (শেখ হাফিজুর রহমান টোকন বর্তমানে বঙ্গবন্ধু যাদুঘরের মহাসচিব) '৭১-এর যুদ্ধাপরাধী জামাত নেতা ঘাতক গোলাম আযমের সাথে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দ্বিতীয় বৈঠক হয়। এই বৈঠকে ঘাতক গোলাম আযম মেয়র নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীকে সমর্থন না দেওয়ার আশ্বাস দিলে শেখ হাসিনাও রাজনীতিতে জামাতকে আক্রমণ না করার আশ্বাস দেন।
#আমার_ফাঁসি_চাই #শেখমুজিব #শেখহাসিনা #খালেদাজিয়া #ওবাইদুল_কাদের #পলক #বিশ্ববিদ্যালয় #স্বপ্ন #চালক #বাইকের #মিছিল #রাজনীতি

সেখান থেকে চলে আসা হলো ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। এখানেও উৎসুক সুযোগ সন্ধানী লু``টেরার জটলা। এখানেও নগদ টাকা আর একই কায়দায় বক্তৃ...
22/11/2024

সেখান থেকে চলে আসা হলো ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। এখানেও উৎসুক সুযোগ সন্ধানী লু``টেরার জটলা। এখানেও নগদ টাকা আর একই কায়দায় বক্তৃতা এবং ঢাকেশ্বরী ম^^ন্দির লুট। এরপর এল রামকৃষ্ণ মিশন। নগদ অর্থ আর বক্তৃতায় কাজ হলো। রামকৃষ্ণ মিশনে লু``টপাট শুরু হলো। তারপর যাওয়া হলো পুরান ঢাকার তাতি বাজার, শাখারি পট্টি, বাংলাবাজার, মালাকাটোলা, মিলব্যারাক, গুশাই বাড়ী, নারিন্দা, টিকাটুলি, ইসলামপুর ইত্যাদি জায়গায়। কিন্তু না, এটা পুরানো ঢাকা, এখানে সবাই পরিচিত। এখানে বক্তৃতা করা যাবে না। এখানে শুধু টাকার উপর দিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। বিভিন্ন মস্তান, সন্ত্রাসী ও নে"শ|খোর গ্রুপকে প্রচুর টাকা দেওয়া হলো। টাকায় কথা বললো। পুরাতন ঢাকায় হি:ন্দু"দের দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ীঘরে লুটপাট আরম্ভ হলো।

ঘন্টা তিন-চারেক পরে ধানমণ্ডি বত্রিশ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে বিরোধী দলীয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে সারা ঢাকা শহরে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বা রায়ট লাগিয়ে দেওয়ার সফল সংবাদ দিলে তিনি বেজায় খুশিতে আপ্লুত হয়ে বলে ওঠেন, এই তো কাজের ছেলে। তুমি না হলে কি হয়? তাই তো আমি তোমাকে খুঁজি। সামনের নির্বাচনে তোমাকে আমি মোকসেদপুর থেকে (গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর-কাশিয়ানী আসন) এমপি বানাব।

সারা দেশে হি,,"ন্দু-মুসলমান রায়ট শুরু হলো। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরসীমা রাও ঢাকা এলেন না। সার্ক সম্মেলন পণ্ড হলো।

১০ ই ডিসেম্বর ১৯৯২ সাল, বৃহস্পতিবার, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেত্রী শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ডাকে গণআদালত কর্তৃক ঘোষিত যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবীতে মানব-বন্ধন কর্মসূচীতে হি,,|ন্দু সম্প্রদায় যোগদান করলো না।

মাত্র কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া হি°^ন্দু-মুসলমান র|য়টের কারণে যুদ্ধাপরাধী ঘাতক গোলাম আযমের ফ|সির দাবিতে মানব-বন্ধন কর্মসূচীতে হি""ন্দু সম্প্রদায় যোগদান করবে না, এটা প্রায় নিশ্চিত ছিল। আর সেই কারণেই ঘাতক দালাল নির্মূল ও মুক্তি"যু,দ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন কমিটির নেত্রী শহীদ জননী জাহানারা ইমাম আগে থেকেই আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধা আমাদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ করে বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন নিয়ে ১০ই ডিসেম্বর-এর মানব বন্ধন কর্মসূচীতে যোগদান করার আহ্বান জানান, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে শহীদ জননীর আহ্বানে সাড়া না দিয়ে পারিনি।

তাছাড়া হি""ন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি আমাকে মর্মে মর্মে আঘাত করছিল। এ জন্যই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে না জানিয়ে আমার একমাত্র শিশুকন্যা স্বর্ণলতা ও প্রিয়তমা স্ত্রী ময়নাকে সঙ্গে নিয়ে মানব-বন্ধন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করি। মানব-বন্ধন কর্মসূচীর পরের দিন ১১ই ডিসেম্বর ১৯৯২ সাল শুক্রবার দৈনিক ভোরের কাগজ ও দৈনিক আজকের কাগজ-এর প্রথম পাতায় বড় করে আমাদের (আমি, আমার কন্যা এবং আমার স্ত্রী) ছবি ছেপে লিড নিউজ করে।

ভোরের কাগজ ও আজকের কাগজের এই ছবি দেখে জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ভীষণ রেগে যান এবং টেলিফোনের মাধ্যমে আমাকে জরুরী তলব করেন।

সকাল দশটা নাগাদ ২৯ মিন্টু রোডে বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার বাসভবনে পৌঁছে কাঠের সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় ব্যালকনিতে উঠে দেখি বঙ্গবন্ধু কন্যা গম্ভীর হয়ে বেতের চেয়ারে বসে আছেন। আমাকে দেখেই ভোরের কাগজ ও আজকের কাগজ পত্রিকা দু'টি আমার দিকে ছুঁড়ে মেরে উত্তেজিত হয়ে বললেন, এই তোমাদের বিশ্বাস! মুখে এক কথা আর কাজে আর এক।

পত্রিকা দু'টি হাতে নিলাম এবং এই প্রথম সপরিবারে পত্রিকায় নিজেদের ছবি দেখে বুঝে ফেললাম ঘটনা অনেক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বলতে লাগলেন, নেতৃত্বের প্রতি এই তোমাদের আস্থা, এই বিশ্বাস, এই আনুগত্য। যেখানে আমি নিজে জাহানারা ইমামের কর্মসূচীতে তোমাদের অংশ গ্রহণ করতে নিষেধ করেছি এবং অন্য কর্মীরা যাতে অংশ গ্রহণ করতে না পারে তার দায়িত্ব তোমাকে দিয়েছি। সেখানে তুমি নিজেই কোন আক্কেলে বউ-বাচ্চা নিয়ে হাজির হলে? একদিকে থাক। জাহানারা ইমাম পছন্দ হয়, জাহানারা ইমামকে নিয়েই থাক। আমার দিকে আর এসো না।

আমি চুপ করে ভাবছি এখন কি বলা যায়, মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। ধীরে ধীরে বললাম, নেত্রী আমি কিছু বলতে চাই। তুমি আবার কি বলবা, তোমার আবার কি বলার আছে? বল।

নেত্রী, আমরা তো আসলে মেয়ের (স্বর্ণলতার) জুতা কেনার জন্য এলিফেন্ট রোড যাচ্ছিলাম। কিন্তু আপনার নির্দেশ পালন করার জন্য একটু আগে ভাগেই বেরিয়েছিলাম এবং প্রেসক্লাব এসে অন্তত তিনশ কর্মীকে কানে কানে জাহানারা ইমামের এই কর্মসূচীতে যোগ না দেওয়ার আপনার নির্দেশ জানিয়ে বিদায় করেছি। কিন্তু ফটো সাংবাদিকদের খপ্পর থেকে বাঁচতে পারলাম না। তারা নাছোড়বান্দা, ফটো না তুলে ছাড়লোই না। আসলে এটা মানব-বন্ধন কর্মসূচীর ফটো না। কৃত্রিমভাবে তোলা এই ছবি। মাত্র কয়েক দিন আগে রায়ট হয়ে গেল। মৌলবাদীরাও সক্রিয়, দেশের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে-আমি বউ-বাচ্চা নিয়ে জাহানারা ইমামের মানব-বন্ধন কর্মসূচীতে যাব? আমার কি মাথা খারাপ হয়েছে? আমরা শুধু আপনার নির্দেশ পালন করার জন্যই এই ঝুঁকি নিয়ে সেখানে গিয়েছি।

তোমরা তো এই রকমই কাজ করবা, হিতে বিপরীত করবা, তোমাদের নিয়ে যদি একটুও নিশ্চিন্ত থাকা যায়। বোঝা এইবার ঠেলা, সবাই পত্রিকার ছবিতে দেখবে শেখ হাসিনার নিজস্ব লোকেই জাহানারা ইমামের কর্মসূচীতে। এখন আর কাকে নিষেধ করবা না যাওয়ার জন্য। তোমাদের নিয়ে আমার যত জ্বালা।

#আমার_ফাঁসি_চাই #শেখমুজিব #শেখহাসিনা #খালেদাজিয়া #ওবাইদুল_কাদের #বিশ্ববিদ্যালয় #মিছিল #চালক #পলক #বাইকের #এরশাদ #স্বপ্ন #মানব

১৯৯২ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সার্কের চেয়ারম্যান। সার্কভুক্ত সাতটি র...
13/11/2024

১৯৯২ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সার্কের চেয়ারম্যান। সার্কভুক্ত সাতটি রাষ্ট্রের শীর্ষ সম্মেলন ঢাকায়। সাত জাতির শীর্ষ সম্মেলনের দিন-ক্ষণ-স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। সার্কের চেয়ারপার্সন হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে কোন কোন রাষ্ট্রের সরকার প্রধানগণ আসতেও শুরু করেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরসীমা রাও এখনও ঢাকায় পৌঁছাননি। এরই মধ্যে ভ!র*তে বাবরী মসজিদকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বা হিন্দু-মুসলিম রায়ট শুরু হলো। সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী দলীয় নেত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জরুরী ভিত্তিতে মটর সাইকেল আরোহীকে ডাকলেন। মটর সাইকেল আরোহী ২৯নং মিন্টু রোডে বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার বাসায় উপস্থিত হলে বাবুর্চি বিরেস দৌড়ে এসে খবর দেয় যে, আম্মা (শেখ হাসিনা) আপনাকে এখনই ধানমণ্ডি বত্রিশে বঙ্গবন্ধু ভবনে যেতে বলেছেন।

মটর সাইকেল আরোহী বত্রিশে পৌঁছলে সঙ্গে সঙ্গে জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে বঙ্গবন্ধু ভবনের লাইব্রেরী রুমে ডেকে বলেন, সারা দেশে হি**ন্দু-মুসলিম রায়ট (সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা) লাগিয়ে দাও।

মটর সাইকেল আরোহী বলে, এটা ঠিক হবে না।

নেত্রী বলেন, ঠিক-বেঠিক তোমার ভাবতে হবে না, র|য়ট লাগাতে বলেছি, তুমি লাগাও।
মটর সাইকেল আরোহী বলে, আপনি এটা বলেন কি? আমি আরো রাত-দিন পরিশ্রম করে পাড়ায়-মহল্লায় যুবকদের সর্তক করে রেখেছি যাতে করে হি+ন্দু+দের উপর কোন প্রকার আক্রমণ না হয়। আর আপনি বলছেন রায়ট লাগিয়ে দিতে।

নেত্রী বলেন, হ্যাঁ আমি বলছি, তুমি রায়ট লাগাও। মটর সাইকেল আরোহী বলেন, না নেত্রী, এটা নীতিবিরুদ্ধ কাজ।
নেত্রী রাগান্বিত হয়ে বলেন, রাখ তোমার নীতি-ফিতি। আমি যা বলছি তাই করো। আমি তোমার নেত্রী না তুমি আমার নেতা? আমাকে যদি নেত্রী মানো তাহলে আমি যা বলবো তাই করতে হবে।

মটর সাইকেল আরোহী বলেন, আপনিই তো আমাদের নেত্রী, আপনি যা বলবেন তাই তো শিরোধার্য। তবে হি*ন্দু"দের উপর আক্রমণ করলে হি+ন্দু*রা আর এদেশে থাকৰে না। সবাই চলে যাবে। আর এই হিন্দুরা তো আমাদেরই লোক। আমাদেরই রিজার্ভ ভোটার। নেত্রী বলেন, রাখ, যাবে কোথায়? যাবার জায়গা নেই। তুমি রায়ট লাগাও।

মটর সাইকেল আরোহী বলে, হি**ন্দু**রা ভ!র*তে চলে গেলে ভারত থেকে যে মুসলমান আসবে সে মুসলমানের সবাই হবে ধানের শীষ, মানে বিএনপি। এটা কি ভেবে দেখেছেন নেত্রী? নেত্রী বলেন, আরে বোকা, সার্ক সম্মেলন পণ্ড করতে হবে না! কয়েক দিন পরেই সার্ক সম্মেলন। খালেদা জিয়া সার্ক সম্মেলন উদ্বোধন করবে। ইন্ডিয়ার প্রাইম মিনিস্টার নরসীমা রাও এখনও আসে নি। এই-ই সুযোগে, এখনই রায়ট লাগিয়ে দিলে সার্ক সম্মেলন পণ্ড হয়ে যাবে। তাছাড়া জাহানারা ইমাম যেভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তাকেও তো সাইজ করতে হবে। জাহানারা ইমাম আমার নেতৃত্বের প্রতি হুমকি। যেভাবে সে দিনকে দিন মুক্তিযুদ্ধের ধারক- বাহক হয়ে যাচ্ছে তা ভয়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁকে (জাহানারা ইমাম) আর ছাড় দেওয়া যায় না, এই সুযোগ। এই সুযোগেই জাহানারা ইমামকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে। এক ঢিলে দুই পাখি। সার্ক সম্মেলন পণ্ড, জাহানারা ইমাম সাইজ। তুমি রায়ট লাগাও। হিন্দুদের উপর হ|ম^লা কর। এদেশের সকল হি""ন্দু**রাই এখন জাহানারা ইমামের পিছনে চলে গেছে।

ঢাকায় রায়ট বা হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা লাগানোর দায়িত্ব দেওয়া হলো মটর সাইকেল আরোহীকে এবং সিদ্ধান্ত হল ২৯ মিন্টু রোড বিরোধী দলের নেত্রীর বাসার এবং ধানমণ্ডি বত্রিশ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের টেলিফোন ব্যবহার না করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার চাচাতো চাচা বঙ্গবন্ধু ট্র|স্টের মহাসচিব শেখ হাফিজুর রহমানের বাসার টেলিফোন থেকে ঢাকার বাইরের জেলাগুলোকে হি,,ন্দু-মুসলমান রায়ট লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হবে। খালেদা জিয়া সরকার যাতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কর্তৃক রায়ট লাগানোর পরিকল্পনা টের না পায় সে জন্য এই সতকর্তা।

বিরোধী দলীয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্রুতগতিতে হি,,,ন্দু-মুসলমান রায়ট লাগানের জন্য সারা ঢাকা শহরের সকল গুণ্ডা-বদমাইশ এবং সন্ত্রাসীরা হাতে নগদ পাঁচ (৫) লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হলো। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কর্মসূচী বাস্তবায়িত করার জন্য প্রথমেই যাওয়া হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের পূর্ব পাশে অবস্থিত শিববাড়ী ম,ন্দি,রে। সেখানে দেখা গেল লুটেরা আর সুযোগ সন্ধানীদের জটলা। এই জটলাকারী লুটেরা সুযোগ সন্ধানীদের হাতে সঙ্গোপনে একাধিক একশ' (১০০) টাকার কড়কড়ে নোট গুঁজে দিয়েই বলা হলো, ভ|র^তে মুসলমানদের খু^ন করা হচ্ছে, মুসলমান নারীদের ইজ্জত ধন-সম্পদ লুটে নেওয়া হচ্ছে। আর আমরা মুসলমানরা বাংলাদেশরা চুপচাপ বসে দেখছি শুনছি। যান শুরু করেন নেন লুট পাত করে নেন।

#আমার_ফাঁসি_চাই #শেখহাসিনা #খালেদাজিয়া #ওবাইদুল_কাদের #এরশাদ #বাইকের #পলক #চালক #বিশ্ববিদ্যালয় #বাংলাদেশ #মিছিল #বিএনপি

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও '৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল এর প্রতিবাদে এবং যুদ্ধাপরাধী ঘাতক গোলা...
13/11/2024

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও '৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল এর প্রতিবাদে এবং যুদ্ধাপরাধী ঘাতক গোলাম আযমসহ সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচারে দাবীতে ১৯৯২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারী শহীদ জননী জাহানারা ইমাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও '৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটির নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একটি নতুন সংগঠন গড়ে তোলেন এবং আন্দোলন শুরু করেন।

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা এই নতুন সংগঠনের আন্দোলন কর্মসূচীতে জনগণ ব্যাপক সাড়া দিলো। নতুন প্রজন্ম শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্ব ও কর্মসূচীতে দারুণ উৎসাহ ও আস্থা নিয়ে অংশগ্রহণ করতে থাকলে বঙ্গবন্ধু কন্যা বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা অস্থির ও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তিনি (শেখ হাসিনা) কেবলই বলতে থাকেন জাহানারা ইমাম নতুন দোকান খুলেছে। নতুন ব্যবসা ধরেছে, নেত্রী হতে চায়, জননেত্রী হতে চায়। ব্যবসার জায়গা পায় না, মুক্তিযুদ্ধের নাম নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে। মটর সাইকেল আরোহী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে বলে, নেত্রী একি বলেছেন আপনি? সমগ্র জাতি জানে জাহানারা ইমাম শহীদ জননী। '৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে তাঁর (জাহানারা ইমাম) ছেলে রুমি শহীদ হয়েছে। তিনি শহীদ জননী। আর আপনি একি বলছেন?

বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা উত্তেজিত হয়ে বলেন, রাখো তোমার শহীদ জননী। ও কিসের শহীদ জননী। ওর ছেলে রুমি লুটপাট করতে যেয়ে নিজেদের গুলিতেই মারা গেছে। ওর স্বামী '৭১ সালে যুদ্ধের সময় আর্মিদের সাপ্লাই করতো।

মটর সাইকেল আরোহী বলে, একি বলছেন নেত্রী! এসব কথা জনসমক্ষে বললে হিতে বিপরীত হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, এই জন্যই তো দমবন্ধ করে চুপ করে আছি এবং তোমাদের বলে রাখছি, তোমরা এগুলো বাইরে বলবে। ওরা (জাহানারা ইমাম) ধানমণ্ডি বত্রিশের রাস্তায় ঢুকতেই ডান দিকের কোণায় প্রথম ২য় তলা বাড়িতে থাকতো। আমাদের বাড়ির (ধানমণ্ডি বত্রিশের বঙ্গবন্ধু ভবনের) পূর্ব দিকে প্রথম বাড়িটায় থাকতো। জাহানারা ইমামদেরও পাকিস্তানী আর্মিরা পাহারা দিয়ে রাখতো। জাহানারা ইমামের জামাই (স্বামী) পাকিস্তানী আর্মিদের সাপ্লাই করতো। ঐ সময় প্রচুর টাকা-পয়সা কামিয়েছে এরা। আর এখন এসেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে। আসলে এ (জাহানারা ইমাম) এসেছে আমার নেতৃত্ব দখল করতে। আমি নির্বাচনে হেরেছি এই সুযোগে তলে তলে খালেদা জিয়ার সাথে লাইন করে জননেত্রী হওয়ার পরিকল্পনায় আছে জাহানারা ইমাম। আর তাই গোলাম আযমের বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ইত্যাদি নানা কথার আড়ালে নেত্রী হওয়ার খায়েশে আছে। তোমরা এর থেকে সাবধান থাকবে এবং আমাদের সকল কর্মীদের সাবধান রাখবে। কেউ যেন জাহানারা ইমামের খপ্পরে না পড়ে।

মটর সাইকেল আরোহীর প্রশ্ন, নেত্রী (শেখ হাসিনা) আপনি কি জাহানারা ইমামের ঘাতক, দালাল নির্মূল কমিটির কর্মসূচীতে যাবেন না?

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জবাব দেন, সে আমি যাই বা না যাই তোমরা যাবে না। আর আওয়ামী লীগের কোন কর্মীকে যেতে দেবে না। বোঝা না, আমার তো ইচ্ছে না থাকলেও অনেক জায়গায় যেতে হয়। জাহানারা ইমামের মুক্তিযুদ্ধের নামে দেওয়া কর্মসূচীতে হয়তো আমি (শেখ হাসিনা) কৌশলগত কারণে যাব। কিন্তু তোমরা যাবে না।

#আমার_ফাঁসি_চাই #শেখ_মুজিবর_রহমান #শেখহাসিনা #খালেদাজিয়া #এরশাদ #পলক #ওবাইদুল_কাদের #ক্ষমতা #জনতা #মিছিল #বিশ্ববিদ্যালয় #পরামর্শ #সাইকেল #বাইকের #চালক

বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেত্রী। প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিরোধী দ...
12/11/2024

বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেত্রী। প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার মাঝে সহযোগিতা সম্প্রীতি দূরের কথা বরং বৈরিতা এবং হিংসা আগের চেয়ে আরো তীব্র হলো। এই সুযোগে স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদী রাজনৈতিক দল জামাতে ইসলামী তাদের নেপথ্যের মূল নেতা যুদ্ধাপরাধী ঘাতক গোলাম আযমকে জামাতে ইসলামীর আমীর (প্রধান) বানায়।

এর প্রতিবাদে এবং যুদ্ধাপরাধী ঘাতক গোলাম আযমসহ সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচারে দাবীতে ১৯৯২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারী শহীদ জননী জাহানারা ইমাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও '৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটির নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একটি নতুন সংগঠন গড়ে তোলেন এবং আন্দোলন শুরু করেন।

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা এই নতুন সংগঠনের আন্দোলন কর্মসূচীতে জনগণ ব্যাপক সাড়া দিলো। নতুন প্রজন্ম শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্ব ও কর্মসূচীতে দারুণ উৎসাহ ও আস্থা নিয়ে অংশগ্রহণ করতে থাকলে বঙ্গবন্ধু কন্যা বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা অস্থির ও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তিনি (শেখ হাসিনা) কেবলই বলতে থাকেন জাহানারা ইমাম নতুন দোকান খুলেছে। নতুন ব্যবসা ধরেছে, নেত্রী হতে চায়,

জননেত্রী হতে চায়। ব্যবসার জায়গা পায় না, মুক্তিযুদ্ধের নাম নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে। মটর সাইকেল আরোহী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে বলে, নেত্রী একি বলেছেন আপনি? সমগ্র জাতি জানে জাহানারা ইমাম শহীদ জননী। '৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে তাঁর (জাহানারা ইমাম) ছেলে রুমি শহীদ হয়েছে। তিনি শহীদ জননী। আর আপনি একি বলছেন?

বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা উত্তেজিত হয়ে বলেন, রাখো তোমার শহীদ জননী। ও কিসের শহীদ জননী। ওর ছেলে রুমি লুটপাট করতে যেয়ে নিজেদের গুলিতেই মারা গেছে। ওর স্বামী '৭১ সালে যুদ্ধের সময় আর্মিদের সাপ্লাই করতো।

মটর সাইকেল আরোহী বলে, একি বলছেন নেত্রী! এসব কথা জনসমক্ষে বললে হিতে বিপরীত হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, এই জন্যই তো দমবন্ধ করে চুপ করে আছি এবং তোমাদের বলে রাখছি, তোমরা এগুলো বাইরে বলবে। ওরা (জাহানারা ইমাম) ধানমণ্ডি বত্রিশের রাস্তায় ঢুকতেই ডান দিকের কোণায় প্রথম ২য় তলা বাড়িতে থাকতো। আমাদের বাড়ির (ধানমণ্ডি বত্রিশের বঙ্গবন্ধু ভবনের) পূর্ব দিকে প্রথম বাড়িটায় থাকতো। জাহানারা ইমামদেরও পাকিস্তানী আর্মিরা পাহারা দিয়ে রাখতো। জাহানারা ইমামের জামাই (স্বামী) পাকিস্তানী আর্মিদের সাপ্লাই করতো। ঐ সময় প্রচুর টাকা-পয়সা কামিয়েছে এরা। আর এখন এসেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে। আসলে এ (জাহানারা ইমাম) এসেছে আমার নেতৃত্ব দখল করতে। আমি নির্বাচনে হেরেছি এই সুযোগে তলে তলে খালেদা জিয়ার সাথে লাইন করে জননেত্রী হওয়ার পরিকল্পনায় আছে জাহানারা ইমাম। আর তাই গোলাম আযমের বিচার, যু"দ্ধাপরাধীদের বিচার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ইত্যাদি নানা কথার আড়ালে নেত্রী হওয়ার খায়েশে আছে। তোমরা এর থেকে সাবধান থাকবে এবং আমাদের সকল কর্মীদের সাবধান রাখবে। কেউ যেন জাহানারা

ইমামের খপ্পরে না পড়ে। মটর সাইকেল আরোহীর প্রশ্ন, নেত্রী (শেখ হাসিনা) আপনি কি জাহানারা ইমামের ঘাতক, দালাল নির্মূল কমিটির কর্মসূচীতে যাবেন না?

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জবাব দেন, সে আমি যাই বা না যাই তোমরা যাবে না। আর আওয়ামী লীগের কোন কর্মীকে যেতে দেবে না। বোঝা না, আমার তো ইচ্ছে না থাকলেও অনেক জায়গায় যেতে হয়। জাহানারা ইমামের মুক্তিযুদ্ধের নামে দেওয়া কর্মসূচীতে হয়তো আমি (শেখ হাসিনা) কৌশলগত কারণে যাব। কিন্তু তোমরা যাবে না।

#আমার_ফাঁসি_চাই #শেখ_মুজিবর_রহমান #খালেদাজিয়া #বিশ্ববিদ্যালয় #শেখহাসিনা #মিছিল #পলক #এরশাদ #পরামর্শ #ক্ষমতা #কন্যা

রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের স্থলে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় বিরোধী দলীয় নেত্রী জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা ...
12/11/2024

রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের স্থলে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় বিরোধী দলীয় নেত্রী জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা হাজী মকবুল হোসেন (বর্তমানে আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডি-মোহাম্মদপুর থানার এম পি এবং মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি) কে তিরিশ (৩০) লক্ষ টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপ্রতি পদপ্রার্থী করেন। অন্যদিকে এরশাদ এবং তার দল জাতীয় পার্টি সমর্থন নিয়ে সুপ্রীমকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হন। বিরোধী দলীয় নেত্রী জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা হাজী মকবুলকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করে রাখলে তার (শেখ হাসিনার) এবং তার দল আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে; ঐতিহ্য নষ্ট হবে ইত্যাদি বুঝিয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরীকে সম্মিলিত বিরোধী দলীয় প্রার্থী করার পরামর্শ দিলে এক পর্যায়ে তিনি (শেখ হাসিনা) রাজি হন এবং বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরীকে ধানমণ্ডি বত্রিশ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে ডেকে এনে আলাপ-আলোচনা শেষে, জননেত্রী বিরোধী দলীয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরীকে জামাতে ইসলামী বাংলাদেশ আমীর যুদ্ধাপরাধী '৭১-এর ঘাতক অধ্যাপক গোলাম আযমের সঙ্গে দেখা করে দোয়া নিয়ে আসার জন্য বলেন।

এদিকে হাজী মকবুল হোসেনকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার জন্য বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিলেও হাজী মকবুল প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে গড়িমসি শুরু করে। এক পর্যায়ে হাজী মকবুল হোসেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে দেওয়া তার তিরিশ লক্ষ টাকা ফেরত না পেলে রাষ্ট্রপতি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে অস্বীকৃতি জানায়।

তখন জননেত্রী বিরোধী দলীয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ধানমণ্ডি বত্রিশ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে লোক দিয়ে হাজী মকবুল হোসেনকে ডেকে (প্রায় ধরে এনে) এনে প্রথমে ধমকে জিজ্ঞেস করেন তার (মকবুল) মতো লোকের পক্ষে আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হওয়া সাজে কি না? তারপর বলেন, আমি (শেখ হাসিনা) আপনার মতো লোককে আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করে বিরল সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী করেছি। এটা কি আপনার জন্য যথেষ্ট নয়? তাছাড়া নির্বাচনে তো জিতবেন না। রাষ্ট্রপতি তো হতেই পারবেন না। এখন সম্মানের সাথে চুপচাপে বসে পড়েন।

হাজী মকবুল আমতা আমতা করতে থাকলো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, আপনি যা করেছেন, যা দিয়েছেন ভবিষ্যতে আমি তা মনে রাখবো এবং পুষিয়ে দেব। এই নিয়ে আর উচ্চবাচ্য করে ভবিষ্যত খোয়াবেন না। নিঃশব্দে পদত্যাগ করে আমার প্রতি আনুগত্য দেখান। অতঃপর আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী মকবুল হোসেন ভবিষ্যতে আশায় প্রার্থিতা প্রত্যাহার- করে জননেত্রী বঙ্গবন্ধ কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে।

#আমার_ফাঁসি_চাই #শেখ_মুজিবর_রহমান #শেখহাসিনা #খালেদাজিয়া #এরশাদ #বিশ্ববিদ্যালয় #মিছিল #পরামর্শ #ক্ষমতা #সাইকেল #পলক

হঠাৎ জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের কাছে ঘোষণা করলেন তিনি (শেখ হাসিনা) আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর পদ থেকে ...
11/11/2024

হঠাৎ জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের কাছে ঘোষণা করলেন তিনি (শেখ হাসিনা) আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। সংশ্লিষ্ট সকল মহলে এই প"দ"ত্যাগের ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করলো। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা তো হতবাক! হতবাক কেন্দ্রীয় অফিস নির্বাহীরা। বলা নেই, কওয়া নেই, দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করলেন, তিনি প"দ"ত্যাগ করেছেন। কিন্তু তিনি (শেখ হাসিনা) হাসি পদত্যাগ করলেন কার কাছে? কোথায় তার (শেখ হাসিনা) পদত্যাগপত্র? দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কোন কেন্দ্রীয় নির্বাহীর কাছে সভানেত্রীর পদ+ত্যাগপত্র নেই। কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মিটিং-এ ও তিনি প'দ:ত্যাগ করলেন না। তাহলে তিনি প"দ"ত্যাগ করলেন কোথায় এবং কার কাছে? তিনি পদ+ত্যাগ করেছেন বলে সাংবাদিকদের কাছে ঘোষণাই বা করলেন কিভাবে? সভানেত্রী শেখ হাসিনার এই প"দ"ত্যাগের বিষয় নিয়ে দলের ভেতরে ও বাইরে চলছে জল্পনা-কল্পনা। কেউ বলছেন না তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করেননি। কেউ বলছেন, না তিনি (শেখ হাসিনা) স্বয়ং পদত্যাগ করেছেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার পদত্যাগ প্রত্যাহার করার দাবীতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীদের ব্যাপক মিছিল-মিটিং এবং আমরণ অনশন করার নির্দেশ দেন। কিন্তু জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা সভানেত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশে যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরা তেমন সাড়া না দিলে এবং পত্র-পত্রিকা পদত্যাগ নাটক নিয়ে হই চই শুরু করলে, দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের সাধারণ সম্পাদিকা সাজেদা চৌধুরীকে (বর্তমানে শেখ হাসিনার মন্ত্রীসভার বন ও পরিবেশ মন্ত্রী) সভানেত্রীর প"দ"ত্যাগপত্র ছিঁড়ে ফেলেছেন বলে ঘোষণা দেওয়ার জন্য যারপরানই অনুরোধ করেন। এই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সাজেদা চৌধুরী সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার (সাজেদা চৌধুরী) কাছে পদত্যাগপত্র দিলে তিনি তা ছিঁড়ে ফেলেছেন বলে ঘোষণা দেন এবং পদত্যাগ নাটকের অবসান ঘটান।

মটর সাইকেল আরোহী পুনরায় ফিরে এলে জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা বিরোধী দলীয় নেত্রী সাদর সম্ভাষণ জানিয়ে তার (শেখ হাসিনার) ব্যক্তিগত পরামর্শকের দায়িত্ব ও মর্যাদা পুনরায় ফিরিয়ে দেন। মটর সাইকেল আরোহী জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন সম্পর্কে এবং নতুন সরকার সম্পর্কে আর কোন কঠোর উক্তি না করে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন।

#আমার_ফাঁসি_চাই #শেখ_মুজিবর_রহমান #শেখহাসিনা #খালেদাজিয়া #এরশাদ #ক্ষমতা #জনতার #বিশ্ববিদ্যালয় #মিছিল #সাইকেল #সমাপ্ত #পরামর্শ #নাটক

সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসারগণ সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নূরুদ্দিন খানকে (বর্তমানে শেখ হাসিনার সরকারের মন্ত...
11/11/2024

সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসারগণ সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নূরুদ্দিন খানকে (বর্তমানে শেখ হাসিনার সরকারের মন্ত্রী) সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসারদের একটি গোপন বৈঠক করতে বাধ্য করলো এবং সেই বৈঠকে প্রেসিডেন্ট জেনারেল এরশাদকে আর সমর্থন না করার সিদ্ধান্ত হয়। সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নূরুদ্দিন খানকে বৈঠকের এই সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট এরশাদকে জানিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দিলে তিনি (সেনাপ্রধান নূরুদ্দিন খান) এই দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করলে নবম ডিভিশনের (সাভার ক্যান্টনমেন্টের) জি ও সি মেজর জেনারেল আব্দুল সালাম (বর্তমানে আওয়ামী লীগের এম পি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান) বৈঠকের এই সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট এরশাদকে জানিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেন এবং বৈঠক থেকে সোজা ঢাকা সেনাভবনে গিয়ে প্রেসিডেন্ট এরশাদকে সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসারদের বৈঠকে তাকে (এরশাদকে) আর সমর্থন না করার সিদ্ধান্তের কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেন।

তখন স্বৈরাচারী হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ সম্পূর্ণ হতবিহ্বল হয়ে পড়ে এবং তারপরই পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার জন্য প্রথম উপ-রাষ্ট্রপতি মওদুদ আহমেদ পদত্যাগ করেন এবং সুপ্রীমকোর্টের প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহম্মেদ উপ-রাষ্ট্রপতি হন। তারপর রাষ্ট্রপতি জেনারেল এরশাদ উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহম্মেদের কাছে পদত্যাগ করলে উপ-রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হন এবং তাঁর নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে ১৯৯১ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারী জাতীয় সংসদের নির্বাচন দেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম দেশের সবক'টি রাজনৈতিক দল স্বাধীন, মুক্ত এবং স্বেচ্ছায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ-এর নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে। নির্বাচনী প্রক্রিয়া দ্রুত এবং জোরদারভাবে এগিয়ে চলছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল দল প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে। দেশের জনগণও এই প্রথম মুক্ত স্বাধীন এবং নিরপেক্ষভাবে আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেয়ার দৃঢ় মনোভাব নিয়ে আগামী ২৭শে ফেব্রুয়ারী ১৯৯১ সাল ভোট দেবার স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্ত নেয়। সারা দেশে চলে ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারাভিযান। পোস্টার আর দেয়াল লিখনে ভরে গেছে সমস্ত জায়গা। দিবা-রাত্রি চলছে মিছিল-মিটিং। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি মূলত এই দু'টি দলের মধ্যে তীব্র নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ এই দু'টি দলের কোথায় কে জেতে কে হারে বলা কঠিন। এরই মধ্যে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বললেন, বিএনপি দশটির বেশি সিট পাবে না। অর্থাৎ বিএনপি তিনশ' (৩০০) আসনের মধ্যে দশটি (১০) আসনে বিজয়ী হবে এবং দুশ' নব্বই (২৯০) আসনে পরাজিত হবে।

স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, ঘরে-বাইরে, মাঠে-ঘাটে সর্বত্র নির্বাচনী আলোচনা আর প্রচারণা। এক কথায় নির্বাচনী প্রচারণা এখন তুঙ্গে। আজ ১০ই ফেব্রুয়ারী। ধানমণ্ডি বঙ্গবন্ধু ভবনের একটি কক্ষে রুদ্ধদ্বার বৈঠক বসলো। সামনের ২৭শে ফেব্রুয়ারী নির্বাচন। এই নির্বাচন উপলক্ষেই আজকের বৈঠক। এই বৈঠকের আলোচনায় মটর সাইকেল আরোহী যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে বলল, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাবে না। আগামী ২৭শে ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হবে এবং জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্য শেখ হাসিনা ঢাকার দু'টি আসনেই পরাজিত হবেন।

বৈঠকে উপস্থিত রবিউল আলম চৌধুরী (বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পি এস মোক্তাদির চৌধুরী) ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন, মিয়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাবে না মানে কি? আওয়ামী লীগ তো ক্ষমতায় যেয়েই আছে। ঐ যে পাশের ঘরে বসে আছে হোম সেক্রেটারী, সংস্থাপন সচিব, পররাষ্ট্র সচিব। অন্য পাশের ঘরে বসে আছে পুলিশের আই জি। একটু আগে এসেছিল সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল নূরুদ্দিন খান। তারপরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাবে না। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হবে না।

মটর সাইকেল আরোহী বলে সেক্রেটারীরা (সচিবগণ) যতই বসে থাকুক, পুলিশ প্রধান, সেনাপ্রধান যতই সালাম দিয়ে যাক ২৭শে ফেব্রুয়ারী নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্রুদ্ধস্বরে বলেন, তুমি এখনই বের হয়ে যাও, আর আসবে না।বের হয়ে যেতে যেতে মটর সাইকেল আরোহী বলে নেত্রী, আপনি বের করে দিলে আমি বেরিয়ে যেতে বাধ্য, তবে যা বললাম আর ক'দিন পরেই তা আপনি বুঝবেন। ১৯৯১-এর ২৭শে ফেব্রুয়ারী শুধু বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে নয়, উপ-মহাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে নর-নারী নির্বিশেষে জনগণ হাসতে হাসতে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলো। ভোট গণনায় দেখা গেল আওয়ামী লীগ পরাজিত হলো। ঢাকার দুই আসনেই জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিপুল ভোটে ব্যক্তিগতভাবে পরাজিত হলেন। বেগম খালেদা জিয়া ও তার বিএনপি নির্বাচনে বিজয়ী হলেন। জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বললেন, ভোটে সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে, আর সূক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমেই আমাকে পরাজিত করা হয়েছে। আমি এই ফলাফল মানি না এবং বেগম জিয়া সরকার গঠন করলে আমি এক মিনিটও খালেদা জিয়াকে সুস্থ থাকতে দেব না।
#আমার_ফাঁসি_চাই #শেখ_মুজিবর_রহমান #শেখহাসিনা #খালেদাজিয়া #এরশাদ #বিশ্ববিদ্যালয় #ক্ষমতা #জনতার #মিছিল

Address

Uttarati

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আমার ফাসি চাই। posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share