04/07/2025
এক শহরের এক প্রান্তে ছিল একটি ছোট মুদি দোকান। মালিকের নাম ছিল ফজলু চাচা। সাধারণ একজন মানুষ – খুব বেশি কথা বলতেন না, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছিলেন না, পত্রিকায় ছবি ছাপাতেন না।
তবে তাঁর দোকানে প্রতিদিন কিছু গরিব শিশু আসত, খালি হাতে।
ফজলু চাচা তাদের চিপস, বিস্কুট, কলম, খাতা ইত্যাদি দিতেন — হেসে বলতেন,
“ওরা আমার ভাইয়ের ছেলে-মেয়ে।”
বছরের পর বছর তিনি এমন করেই গরিব ছাত্রছাত্রীদের সহায়তা করতেন — কেউ না জানার ভান করে, তিনি জানাতে চেষ্টাও করতেন না।
কোনো বিধবা নারী তার দোকানে এসে মাসের শেষে টাকা দিতেন, কারণ তার পণ্য আগেই দেওয়া থাকত। কোনো দিন তিনি তাগাদা দেননি।
একদিন তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন। শহরের মানুষ হতবাক — সবাই জানত তিনি একজন “সাধারণ দোকানি”।
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, তার অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বহু মানুষ তার বাড়ির সামনে ভিড় করল — কেউ মেডিকেল সাহায্য নিয়ে এলো, কেউ টিফিন নিয়ে, কেউ তাঁর চিকিৎসার খরচ চালাতে চাইল।
হাসপাতালের নার্সরা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল,
“এত মানুষের ভালোবাসা? তিনি কে ছিলেন?”
এক বৃদ্ধ উত্তর দিলেন,
“তিনি ছিলেন একজন নীরব নায়ক — যিনি কাউকে না জানিয়ে শত মানুষের জীবন বদলে দিয়েছেন।”
বি:দ্র:
ভালো কাজ প্রচার করে নয়, হৃদয় দিয়ে করতে হয়। সমাজের আসল নায়করা চুপচাপ কাজ করেন, তারা পরিচিত নন আলোয়, কিন্তু তাদের ছায়ায় মানুষ বাঁচে।