09/01/2025
কৃষি বিষয়ক যে কোনো পরামর্শ নিতে পেইজটির সাথে থাকুন❤️
পেঁয়াজ চাষে সার প্রয়োগ ও সেচ ব্যবস্থা।
পেঁয়াজ একটি মসলা জাতীয় ফসল,বাংলাদেশের হাতে গুনে ৫-৮ টা জেলায় চাষ হয়।
অন্যান্য জেলার মধ্যে রাজশাহী কোনো অংশে কম নয় কারন পেঁয়াজের জন্মস্থান রাজশাহী। আর আমাদের চাষ পদ্ধতি সবচেয়ে আধুনিক ও উন্নত।
আমাদের দেশি জাত তাহেরপুরি আমাদের এখানে শুরু থেকেই বিঘা প্রতি ১০০+ মন উৎপাদন হয়ে থাকে।
আর বর্তমানে অন্যান্য জাত বিঘা প্রতি ১৫০+ ছাড়িয়েছে।
এটা আমাদের সফলতার অংশ।
আমাদের এখানে
তাহেরপুর, বানেশ্বর,ঝলমলিয়া,দূর্গাপুর,মোল্লাপাড়া হাট থেকে সপ্তাহে শতশত টন পেঁয়াজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে যায় ১২ মাস।
আসুন_জেনে_নিই_সার_প্রয়োগ_পদ্ধতি
রোপণের পূর্বে, শেষ চাষে৷ বা বেড করার পূর্বে।
★★জৈবসার_ও_ট্রাইকোডার্মা
বিঘা প্রতি ৮০ কেজি।
সাথে ট্রাইকোডার্মা ২ কেজি মিশিয়ে নিতে হবে,অথবা ট্রাইকোডার্মা মিশ্রিত জৈবসার নিতে হবে।
এতে জমির স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে এবং জৈবভাবে ছত্রাক দমন হবে।
পেঁয়াজ পঁচে যাবেনা।
জনপ্রিয় কয়েকটি কোম্পানির ট্রাইকোডার্মা হলোঃ
ইস্পাহানি-বায়োডার্মা,
হেকিম-ট্রাইকষ্ট,
জি এম ই- জি ডার্মা।
👉রোপণের_পূর্বে_শেষ_চাষে।
★★বিঘা প্রতি রাসায়নিক সার।
টি এস পি ৪০ কেজি।
ডি এ পি ৩০ কেজি।
এম ও পি ২০ কেজি।
জীব ১০ কেজি।
রুটণ(শিকড় বর্ধক) ৪ কেজি।
বোরণ ১ কেজি।
২.৫ ইসি বিষ ৪০০ মিলি।
দানাবিষ ৪ কেজি।
❌আগাছানাশক
★★★★রোপণের পরে অথবা পূর্বে, আগাছানাসক
পেন্ডামিথালিন ৩৩ ইসি দিতে হবে তাহলে ঘাস অনেক রোধ করা যায়।
আমরা পেঁয়াজ চারা রোপণের পূর্বে দিয়ে থাকি।
আর পানিডা স্প্রে করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেচ দিতে হবে।
এটা লিটার পানিতে ৪/৫ মিলি ব্যবহার করতে হবে ভালো ফলাফল পেতে।
কয়েকটি জনপ্রিয় কোম্পানির প্রোডাক্টঃ
অটো-পানিডা,
ইনতেফা-দাফা
স্কয়ার-তরুনীল
জি এম ই-পেন্ডি কেয়ার,
জি এম ই-ফুল ক্লিয়ার।
ফুল ক্লিয়ার,রোপণের পরে স্প্রে করা যাবেনা কারন এটায় মেটাক্লোর নামের উপাদান যোগ যার ফলে যেকোনো গাছের পাতায় পড়লে পাতা পুড়ে যায়।
আর আবহাওয়ার সাথে ম্যাচিং না হলে পেঁয়াজেও পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
পেঁয়াজ চারা রোপণের ৯০ দিন পর উত্তলোন করা যায়।
আর এসময়টাতে ৩-৭/৮ টা সেচ দেওয়া লাগে এলাকা ভেদে কম বেশি হে পারে।
আমরা ৬/৭ টা সেচ দিয়ে থাকি তাই সেভাবে পরবর্তী সার প্রয়োগ আলোচনা,করা হলো।
রোপণের পর
★★১ম_সেচঃ💧
১২-১৫ দিন বয়সে দিয়ে থাকি।
এই সেচ দেওয়ার পূর্বে কোনো সার দিইনা।
সেচের পরদিন বিকলে বিঘা প্রতি
ম্যাগনেসিয়াম ৪ কেজি।
ইউরিয়া ৮ কেজি।
★★২য়_সেচ💧
৩০ দিন বয়সে দিয়ে থাকি।
এসময়টাতে পেঁয়াজের গঠন ও মোটাতাজা হতে থাকে তাই এই সময় ভালো একটা ডোজ দিতে হয়।
বিঘা প্রতি
টি এস পি ২০ কেজি
ডি এ পি ২০ কেজি
এম ও পি ১০ কেজি
দস্তা ২ কেজি।
লবন ৮ কেজি কনফিডেন্স বা ফ্রেশ
হিউমিক এসিড ১ কেজি।
থিয়োভিট ১ কেজি।
৫৫ ইসি বিষ ৪০০ গ্রাম সব একসাথে মিশিয়ে সেচের পূর্বে দিয়ে সেচ দিতে হবে।
এবং সেচের পরদিন বিকেলে ইউরিয়া ১০ কেজি।
★★৩য়_সেচ💧
এটা ৪২-৪৫ দিন বয়সে দিয়ে থাকি।
এই সেচে বিঘা প্রতি
ডি এ পি ১০
এম ও পি ১০ কেজি
দস্তা ১ কেজি
বোরণ ১ কেজি।
সেচের পর ৮ কেজি ইউরিয়া ও ৪ কেজি ম্যাগনেসিয়াম
★★৪র্থ_সেচ 💧
এটা ৬০ দিন বয়সে দিতে হবে।
এই সেচে বিঘা প্রতি শুধু
এম ও পি ১০ কেজি ছিটিয়ে সেচ দিতে হবো।
সেচের পর প্রয়োজনবোধে ইউরিয়া ৭/৮ কেজি,দেওয়া যাবে।
★★৫ম_সেচ💧
৭২ দিন বয়সে দিতে হবে,
কোনো সার দরকার নাই।ফাঁকা সেচ।
★★৬ষ্ঠ_সেচ💧
এটা ৮৪ দিন বয়সে দিতে হবে কোনো সার দরকার নাই।তারপর ৯০+ দিন বয়সে হারভেষ্ট।
👉জমির অবস্থা ও এলাকা ভেদে সার, সেচ কম বেশি হতে পারে।
👉কৃষি বিষয়ক প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করুন অথবা আমাদের সাথেই থাকুন।
➡️➡️গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পেইজটি লাইক ও ফলো দিয়ে সাথে থাকুন।
ধন্যবাদ ❤️