
18/07/2025
যেদিন থেকে সচেতনভাবে চিন্তা করতে শিখেছি, সেদিন থেকেই আমার দেশের মানুষের আচরণ ও মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ দেখে বারবার অবাক হয়েছি। একসময় মনে হতো, হয়তো আমারই দৃষ্টিভঙ্গিতে সমস্যা।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশ, সংস্কৃতি ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের সঙ্গে মিশে, একটা জিনিস পরিষ্কারভাবে বুঝেছি—আমাদের মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট জাতিগত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বা নৈতিক ভিত্তি নেই। আমরা আসলে একক কোনো জাতিগত বা নৈতিক পরিচয়ে গড়া জাতি নই।
আমাদের চেহারা-আকৃতি ও আচরণে বৈচিত্র্য এতটাই প্রবল, যা দেখে মনে হয়, যেন আমরা একক কোনো জাতি নই—বিচ্ছিন্ন কিছু মানুষের সমষ্টি মাত্র।
সবচেয়ে কষ্টদায়ক সত্য হলো, আমাদের সমাজের একটি বড় অংশ—কমপক্ষে ৯০% মানুষ—নানাভাবে টক্সিক মানসিকতায় ভুগছে। আমাদের মধ্যে এক শ্রেণির মানুষ আছে, যাদের নৈতিক শিক্ষার ছিটেফোঁটাও নেই।
আমরা অহংকার করি, হিংসা করি, বিভেদ সৃষ্টি করি। অন্যের ক্ষতি করতে পারলেই যেন আত্মতৃপ্তি পাই। নিজে কিছু না করে, অন্যের দোষ খোঁজাই যেন আমাদের প্রিয় অভ্যাস। অন্যের দুঃখে আনন্দ পাই, আবার অন্যের সুখে হিংসায় জ্বলি।
আর ভয়ংকর সত্য হলো—আমরা যদি কারও মৃত্যুতেও শোক জানাতে চাই, তখনও আগে জিজ্ঞেস করি সে কোন দল করে, তার ধর্ম কী, সে কোন জাতির মানুষ!
এই অবস্থায় একটাই প্রশ্ন থেকে যায়—
আপনি আমি আমরা মানুষ তো?
#মানুষ_হই #মানবিকতা #ভণ্ড_সমাজ #অহংকার_হিংসা #বাংলাদেশ #নিজেকে_প্রশ্ন_করুন