10/09/2025
ক্যাপশন টা পড়ুন
গাধাকে সৃষ্টি করার পর সৃষ্টিকর্তা বললেন, তুই আজীবন কঠোর পরিশ্রম করবি, অন্যের বোঝা বয়ে বেড়াবি। তোর মাথায় কোনো বুদ্ধি থাকবে না। তোকে আয়ু দিলাম ৫০ বছর।
গাধা মিনতি করে বলল, সে কি! এরকম কষ্ট করে আমি এতদিন বাঁচতে চাই না। দয়া করে আমার আয়ু কমিয়ে ২০ বছর করে দিন।
সৃষ্টিকর্তা তাই দিলেন।
এরপর সৃষ্টিকর্তা কুকুরকে বললে, তুই হবি মানুষের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু, কিন্তু লোকজনের উচ্ছিষ্ট খেয়ে বেঁচে থাকবি। তোর আয়ু হবে ৩০ বছর।
একথা শুনে কুকুর মাথা নিচু করে বলল, দয়া করে একটু কমিয়ে করে ওটা ১৫ করে দিন। এতদিন বেঁচে আমার হবে কি?
সৃষ্টিকর্তা এতেও রাজি হয়ে গেলেন।
এরপর উনি বানরকে বললেন, তোর একমাত্র কাজ হবে লাফিয়ে লাফিয়ে এক গাছ থেকে আরেক গাছে যাওয়া, আর রং তামাশা দেখিয়ে মানুষকে বিনোদন দেওয়া। তোর আয়ু দিলাম ২০ বছর।
বানর আবেগে কেঁদে ফেলে বলল, দিবেনই যখন ১০ বছর দিন, এত বড় জীবন দিয়ে আমি কি করব?
সৃষ্টিকর্তা তাতেও আপত্তি করলেন না।
সবশেষে তিনি মানুষকে বললেন, তুমি হবে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। সবচেয়ে জ্ঞানী এবং বিচক্ষণ। তোমার আয়ুও হবে ২০ বছর।
মানুষ তো খুশিতে পাগল হয়ে গেল। কিন্তু এত মহৎ জীবন নিয়ে আয়ু মাত্র ২০ বছর? সে করজোড়ে বলল, একটা কাজ করা যায় না? আপনি আমাকে গাধার ফেরত দেওয়া ৩০ বছর, কুকুরের ১৫ বছর, বানরের ১০ বছর দিয়ে দিন।
সৃষ্টিকর্তা বললেন, নিজের ভালো পাগলেও বোঝে, তুই বুঝলি না। যাহ, দিলাম।
সেই থেকে মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচে ২০ বছর, পরের ৩০ বছর গাধার মতো সংসারের বোঝা টানে, তার পরের ১৫ বছর ছেলেমেয়ে যা দেয় তাই খেয়েপড়ে কুকুরের মতো বেঁচে থাকে, আর তার পরের ১০ বছর বানরের মতো আজ এক সন্তানের বাসা তো কাল আরেক সন্তানের বাসায় ঘুরে বেড়ায় আর নেচেকুঁদে নাতি-নাতনিদের বিনোদন দেওয়াই হয় তার প্রধান কাজ