13/09/2025
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় জবিয়ান ভাই ও বোনেরা
আমি কামরুল হাসান রিয়াজ,মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১৭ তম আবর্তনের একজন শিক্ষার্থী।আপনারা জানেন যে সরকার পরিবর্তনের পর থেকে ঢাকা তে অত্যাধিক ব্যাটারি চালিত রিকশা বেড়ে যায়,যাতে করে নিয়মিত দুর্ঘটনা আর জ্যাম জট আমাদের নিত্য সঙ্গী হয়ে পড়ে।এর থেকে কিভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায় সে লক্ষ্যে গত বছরের শেষ দিক থেকে আমি ইলেকট্রিক রিসোর্ট কার/শাটল কার গুলো নিয়ে কাজ করা শুরু করি।এই গাড়ি গুলো সাধারণত চায়না তে পাওয়া যায় সেখান থেকে দেশে আনতে মোটামুটি ১২-১৫ লাখ+- পড়ে যায়।তো আমি দেশেই তৈরি করতে চাচ্ছিলাম ওই গাড়ি গুলো যাতে করে মোটামুটি রিজনেবল খরচে বানানো যায়।এর প্রেক্ষিতে গত ৪-৫ মাস আগে আমার ভার্সিটি এর ফ্রেন্ড এবং রিলেটিভ থেকে ইনভেস্ট নিয়ে এই কাজে নেমে পড়ি ।যার ফলে একটা ওয়ার্কশপ থেকে গত ৪ মাসে আগে দেশীয় ভাবে তৈরি করি গাড়িটি এবং এটি আমার এলাকা মিরপুর ১ এর আনসারক্যাম্প থেকে পুকুরপাড় এবং পুকুরপাড় থেকে আনসারক্যাম্প প্রায় ১ km রাস্তা তে শাটল হিসেবে অটো রিকশা এর বিকল্প হিসেবে চালু করি।এখানে রিক্সা ভাড়া ২০-৩০ টাকা করে থাকলেও আমাদের গাড়িতে ১০ টাকা করে রাখি।তারপর মাসখানেক প্রচারণা করার পর মোটামুটি ভালোই সাড়া পাই এবং যাত্রীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে গত মাসে আরেকটা গাড়ি নামাই।
তো বিষয় টা এই মুহূর্তে আপনাদের কাছে এই জন্যেই share করতেছি কারণ সম্প্রতি আপনার আমার সকলের দাবির প্রেক্ষিতে আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রাঙ্গণ থেকে বাস স্ট্যান্ড সরিয়ে রায় সাহেব বাজার নিয়ে যাওয়া হয়েছে।এতে করে আমরা নিত্যদিনের যানজট এবং দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি পেয়েছি।তবে এদিকে আবার রিক্সার চাহিদা বেড়ে গেছে এবং ভাড়াও বৃদ্ধি পেয়েছে।এমতবস্থায় আমরা হয়রানি তে পড়তেছি ,আর এটা কে সুযোগ হিসেবে নিয়ে যেন পুনরায় বাস স্ট্যান্ড এখানে না আসতে পারে সে জন্য আপনারা চাইলে বা প্রশাসন যদি চায় তাহলে আমি এই রুটে আমার গাড়ি গুলো নামাতে চাই।বা মাস খানেক সময় দিলে এবং প্রপার ইনভেস্টমেন্ট পেলে ৫-১০ টা গাড়ি বানানোর সক্ষমতা রাখি in Sha Allah। এক্ষেত্রে আমি আপনাদের কিছু কথা বলি কেনো এই গাড়ি অটো রিকশা এর বিকল্প হবে -
১.প্রথম এতে ব্যবহার করা হয়েছে অয়েল ব্রেক যাতে করে গাড়ি জায়গায় দাঁড়িয়ে যাবে,দুর্ঘটনা তে পড়ার চান্স নেই তেমন in Sha Allah।
২. চার চাকা হওয়াতে উল্টে যাওয়ার সমস্যা নেই।
৩.এক টি গাড়ি তে ১০-১২ জন যেতে পারবে ,এতে করে ৪-৫ টি অটো রিকশা এর যাত্রী এক গাড়িতে করে যেতে পারবে এবং যানজট কমাবে।
৪.গাড়ি তে প্রাইভেট কার এর চাকা,tata e x 2 স্টিয়ারিং আর উন্নত মানের মোটর রয়েছে।
৫. ব্যাটারি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে পরিবেশ বান্ধব লিথিয়াম ব্যাটারি।
৬.তারপর যদি ভাড়ার কথা বলি তাহলে তাঁতীবাজার থেকে একদম সদরঘাট পর্যন্ত ১০ টাকা করে ধরা যাবে,যাতে করে শুধু শিক্ষার্থী না, আসে পাশের সকলের লঞ্চ গামী যাত্রীদের ও সুবিধে হয়।
তাছাড়াও যদি এখানে গাড়ি চালানোর অনুমতি বা সুযোগ মিলে তাহলে আমার ইচ্ছা আছে এখানে আমাদের ভার্সিটি বা আসে পাশের শিক্ষার্থীদের ট্রেনিং দিয়ে শিফট ভিত্তিতে গাড়ি চালানো তে নিযুক্ত করা(এই গাড়ি তে গিয়ার বা ক্লাচ এর কোনো ঝামেলা না থাকায় চালানো অনেক সহজ)।তাতে করে আমরা অনেক শিক্ষার্থী দের একটা এক্সট্রা ইনকাম এর সুযোগ করে দিতে পারব in sha allah
লিখাটা বড় হওয়াতে দুঃখিত।কিন্তু আপনারা যদি লিখাটি পড়ে মনে করেন আমার এই উদ্যোগ আপনাদের সুবিধে দিবে তাহলে অন্যদের বা যাদের জানালে এই উদ্যোগ টি আমি সফল করতে পারব তাদের জানাতে পারেন।আপনারা চাইলে এক মাসের মাঝেই in Sha Allah আপনারা এই রুটে এই গাড়িগুলো দেখতে পাবেন।