
22/06/2025
“জ্যাঠামশাই, আমরা হিন্দুস্থান চলিয়া গিয়াছি। ইতি সোনা।”
দেশভাগের দোলাচলে সোনাদের পরিবার চলে গেল ওপার বাংলায়—দেশ, ভিটেমাটি, সোনালি বালুর চর, সেই কিংবদন্তির খাল যেখানে বছর ঘুরে মানুষ ডুবে মরে, বাল্যবন্ধু ফতিমা আর খেলার সাথী ঈশম চাচা—সবকিছু ছেড়ে।
পূর্ব বাংলার হাজার হাজার হিন্দু পরিবার নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে ছুটে গেল। কিন্তু এই নীলকণ্ঠ পাখি কী? কেউ বলল নীলকণ্ঠ পাখি নারীসুখ, কেউ বলল স্বামীসুখ, কেউবা দুবেলা দুমুঠো খাবার আবার কারো কাছে তা স্বাধীনতার প্রতীক। নীলকণ্ঠ পাখি হলো মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্তি, যার জন্য মানুষ সারাজীবন ঘুরে বেড়ায়, কিন্তু কখনো পায় না। অথচ অস্তিত্বহীন এই নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজ নিয়েই মানুষের ছোটাছুটি থামে না।
ঢাকা জেলার রাইনাদী গ্রামের মানুষের জীবন-যাপন নিয়েই এগিয়েছে উপন্যাসের কাহিনি।
“জ্যাঠামশাই, আমরা হিন্দুস্থান চলিয়া গিয়াছি। ইতি সোনা।” দেশভাগের দোলাচলে সোনাদের পরিবার চলে গেল ওপার বাংলায়—দেশ...