সম্পাদকীয়
পৃথিবীর ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় যুদ্ধ এবং শান্তি, এ দুটি বিষয় হাত ধরে পাশাপাশি চলেছে। বরং বলা যায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই মানুষ যুদ্ধ করেছে। এই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য লক্ষ কোটি মানুষ জীবন দিয়েছে এবং নিয়েছে। কিন্তু আদৌ কি শান্তির দেখা মিলেছে? তাহলে এই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা কি অর্জন করেছি? কোরো জন্য যেটা শান্তি অন্য কারো জন্য সেটাই অশান্তি।
তাহলে কি আমরা বুঝবো পৃথিবীতে শান্তি অর্জন করা
সম্ভব নয়? কিংবা শান্তি সম্পূর্ণ আপেক্ষিক বিষয়? তাহলে কি বুঝবো সম্পূর্ণ অস্পষ্ট একটি ধারণার ওপর ভিত্তি করে আমরা যুগের পর যুগ ধরে জীবন নিতে এবং দিতে থাকবো?
আমরা মনে করি মানুষের মুক্তির মধ্যেই শান্তি নিহিত। সে মুক্তি চিন্তায়, স্বাধীনতায়, সার্বভৌমত্বে, সংস্কৃতিতে, অর্থনীতিতে। আমরা মনে করি জীবন দেয়া-নেয়ার সংগ্রামের বদলে ব্যক্তি থেকে শুরু করে সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মানুষের নিজস্ব মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সে মতের উপযুক্ত মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
আমরা মনে করি কেবল স্বাধীন চিন্তার চর্চার মধ্য দিয়েই একটি কাঙ্খিত মানব সভ্যতা গড়ে উঠতে পারে। পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমাদের চিন্তা কারো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে কি-না। কিংবা ঘটনা প্রবাহগুলোর আংশিক উপস্থাপন করে আমাদের চিন্তাগুলোকে, সামগ্রিক অবস্থানকে বিশেষ খাতে প্রবাহিত করা হচ্ছে কি-না, সে বিষয়ে সাম্যক অবগত হওয়া প্রয়োজন।
তাই মানুষের চিন্তার স্বাধীনতা বিনির্মাণে ব্যক্তি থেকে সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অংশগ্রহণ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।