06/07/2025
কাউকে বিনা কারণে কষ্ট দিয়ে থাকলে, সেটা আপনার কাছে ফিরে আসবে—দুদিন আগে বা পরে, কিন্তু ফিরবেই।
এই কথাটি শুধু একটা প্রবাদ নয়, এটি জীবনের এক কঠিন বাস্তবতা। মানুষ যখন কাউকে অকারণে কষ্ট দেয়, তখন হয়তো সে ভাবে, কেউ কিছু দেখছে না, বুঝছে না। কিন্তু প্রকৃতি চুপচাপ সব দেখে রাখে। সময় সব মনে রাখে। আর ঠিক একসময় সেই অন্যায়ের প্রতিদান ফেরত আসে। হয়তো তখন আপনি ভুলে গেছেন, কাকে কীভাবে কষ্ট দিয়েছিলেন। কিন্তু জীবন কখনো ভুলে না।
কারণ কী?
মানুষের কষ্টের প্রতি সৃষ্টিকর্তা অত্যন্ত সংবেদনশীল। কেউ যখন বিনা কারণে অন্যের চোখে জল আনে, মন ভাঙে, অসম্মান করে—তখন সে শুধু একজনকে কষ্ট দেয় না, সে নিজের ভাগ্যকেও কলঙ্কিত করে।
আপনি কাউকে অপমান করলেন, হেয় করলেন, অথচ সে কোনো ভুলই করেনি—তখন তার দোয়া নয়, কিন্তু বুকের চাপা কষ্ট, একান্ত আর্তি আকাশের দিকে উঠে যায়। সেই আর্তনাদ একসময় ফিরে আসে, অন্য কোনো রূপে, হয়তো এমনভাবে যে আপনি ভাবতেও পারেন না, কীভাবে এমনটা হলো!
জীবনের নিয়ম–
জীবনে সবকিছুরই প্রতিদান আছে। আপনি যা দেন, তা-ই ফেরত পান। আপনি যদি কাউকে ভালোবাসা দেন, শ্রদ্ধা দেন, সেটা ফিরে আসে আশীর্বাদ হয়ে। কিন্তু আপনি যদি কাউকে দুঃখ দেন, তার নীরব কান্নার কারণ হন—তাহলে সেই দুঃখও আপনার জীবনে ফিরে আসে, কখনো দ্বিগুণ হয়ে।
শিক্ষা–
এ জন্যই মানুষকে ছোট করতে নেই, কষ্ট দিতে নেই। কারণ আপনি জানেন না, সে কার চোখের পানি ফেলছে। হয়তো সে একজন অসহায় বাবা, মা, স্ত্রী বা সন্তান—যার জন্য উপরের কেউ সজাগভাবে তাকিয়ে আছে। তখন আপনি শুধু তার সামনে অপরাধী না, উপরে তাকিয়েও কৈফিয়ত দিতে হবে।
"অন্যকে কষ্ট দিয়ে কেউ কখনো সুখী হতে পারে না। জীবন একদিন ঠিকই হিসেব নিয়ে হাজির হবে।"
তাই চলুন, কাউকে না কষ্ট দিয়ে, বরং ভালোবাসা, সহানুভূতি ও সহনশীলতার পথে হাঁটি। নিজের সুখের জন্যও অন্যের দুঃখ তৈরি করা কখনোই বুদ্ধিমানের কাজ নয়।