ব্রজধাম

ব্রজধাম Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from ব্রজধাম, Media, West Bangla.

🌿 ভগবান শ্রীরামের বনবাস – এক পবিত্র যাত্রা 🙏বয়স ২৫... অযোধ্যার রাজা হওয়ার ঠিক আগেই, ১৪ বছরের বনবাস, যা রামায়ণের হৃদয়।ত...
19/06/2025

🌿 ভগবান শ্রীরামের বনবাস – এক পবিত্র যাত্রা 🙏

বয়স ২৫... অযোধ্যার রাজা হওয়ার ঠিক আগেই, ১৪ বছরের বনবাস, যা রামায়ণের হৃদয়।
তিনি পাড়ি দেন ১৪টি স্থান, যে প্রতিটিই পূণ্যতীর্থের চেয়ে কম নয়...

---

✨ ১. তমসা নদীর তীর – বনবাসের প্রথম রাত

👉 মা সীতা ও লক্ষ্মণকে নিয়ে রথে চড়ে পৌঁছান
📍 অযোধ্যা থেকে মাত্র ২০ কিমি
🛌 এক রাতের শয়ন

---

✨ ২. শৃঙ্গবেরপুর – নিষাদরাজ গুহকের ভালোবাসা

🚣‍♂️ গঙ্গা পার করান নিজে
🪔 বনবাসের শর্ত এখানে পূরণ করা যেত, কিন্তু তিনি ছিলেন এক রাত

---

✨ ৩. চিত্রকূট – ভরতের প্রার্থনা

👣 এখানে ভরত এসে রামকে ফিরিয়ে নিতে চাইলেন
👑 রাম দিলেন তাঁর পাদুকা – অযোধ্যা চলল সেগুলোর রাজত্বে

---

✨ ৪. ঋষি অত্রির আশ্রম – সাধু সান্নিধ্য ও আশীর্বাদ

🌊 মন্দাকিনী নদীর উৎস
🧘‍♂️ ঋষিদের সঙ্গ পেলেন

---

✨ ৫. দণ্ডকারণ্য – ১০ বছরের তপস্যা

🌳 গভীর অরণ্য, রাক্ষস ও ধ্যানের ভূমি
🛖 রামের দীর্ঘ বাসস্থান

---

✨ ৬. শাহদোল (অমরকণ্টক) – সীতাকুণ্ডের পবিত্রতা

🌊 এক মনোমুগ্ধকর জলপ্রপাত
🕉️ বশিষ্ঠ গুহাও এখানে

---

✨ ৭. অগস্ত্য মুনির আশ্রম – পঞ্চবটীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

⚔️ অগ্নিকুণ্ড থেকে রাম পেলেন বিশেষ অস্ত্র
🌺 সীতার রোপণ করা পঞ্চবৃক্ষ

---

✨ ৮. সর্বতীর্থ – জটায়ুর আত্মবলিদান

🦅 রাবণের বিরুদ্ধে লড়ে সীতার জন্য প্রাণ দেন
🌌 রামের চোখে জল

---

✨ ৯. মাতা শবরীর আশ্রম – ভক্তির পরাকাষ্ঠা

🍇 শবরীর জঠর থেকে আহরণ করা জামফল
🌿 প্রেম দিয়ে পেশ করেন ভগবানকে

---

✨ ১০. ঋষ্যমূক পর্বত – হনুমান ও সুগ্রীবের সাক্ষাৎ

🦍 সীতার সন্ধান শুরু এখান থেকেই
🤝 রাম-হনুমান মিলন – এক ঐশ্বরিক বন্ধন

---

✨ ১১. রামেশ্বরম – শিবের আরাধনা

🕉️ যুদ্ধের পূর্বে রাম শিবলিঙ্গ স্থাপন করেন
🌊 সেতুবন্ধ রচনার সূচনা

---

✨ ১২. ধানুষ্কোডি – সমুদ্রবিজয়

🌊 এখান থেকেই লঙ্কার পথে সেতু তৈরি
🛠️ বানর সেনার ঐতিহাসিক কর্ম

---

✨ ১৩. নুয়ারা এলিয়া (লঙ্কার পার্বত্য অঞ্চল)

🏞️ রাবণের প্রাসাদের নিকটবর্তী
🗺️ এক অভিযানের চূড়ান্ত পর্যায়

---

✨ ১৪. লঙ্কা – ধর্মের বিজয়

⚔️ ১৩ দিনব্যাপী যুদ্ধ
☠️ রাবণ বধ, সীতার উদ্ধার

---

🔚 অবশেষে... ফের অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তন

একটি ১৪ বছরের দীর্ঘ ত্যাগ, প্রেম, ন্যায় ও ভক্তির যাত্রা...

---

🔱 জয় শ্রীরাম!

শুভ মঙ্গলবার 🥰🙏"যে জীবনে হনুমানজী আছেন, সেখানে ভয় নেই — শুধু আশীর্বাদ ও বিজয়!"রামদূত যেখানে, সেখানেই সাহস, শক্তি  আর স...
10/06/2025

শুভ মঙ্গলবার 🥰🙏
"যে জীবনে হনুমানজী আছেন,
সেখানে ভয় নেই — শুধু আশীর্বাদ ও বিজয়!"

রামদূত যেখানে, সেখানেই সাহস, শক্তি আর সাফল্য!

"জয় বজরংবলী!"🥰🙏

বেদ পরিচয় 🙏 চলুন জেনে নিই পবিত্র বেদ কে 🙏আমাদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ পবিত্র বেদ। বেদ ৪ টি - ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ এবং অথ...
15/05/2025

বেদ পরিচয় 🙏
চলুন জেনে নিই পবিত্র বেদ কে 🙏

আমাদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ পবিত্র বেদ। বেদ ৪ টি -
ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ এবং অথর্ববেদ।

এই চারি বেদের পরিচয় -

#বেদপরিচয়

সুপ্রভাত 🙏জীবনে চলার পথে যত বিপদ ই আসুক না কেন, বজরংবলির নাম স্মরণ করলে তিনিই চলার পথ মসৃণ করে দেন, বিশ্বাস আর ভক্তি নিয...
15/05/2025

সুপ্রভাত 🙏
জীবনে চলার পথে যত বিপদ ই আসুক না কেন, বজরংবলির নাম স্মরণ করলে তিনিই চলার পথ মসৃণ করে দেন, বিশ্বাস আর ভক্তি নিয়ে বজরংবলিকে স্মরণ করলে, তিনি তার ভক্তদের সকল বিপদ থেকে রক্ষা করবেন।
তাই বিশ্বাস আর ভক্তি দিয়ে বজরংবলিকে দর্শন করুন।
বজরংবলির আশীর্বাদ নিয়ে আপনার দিন ভালোভাবে শুরু করুন।
জয় শ্রী রাম 🙏
জয় বজরংবলি 🙏

29/04/2025

🔰 #জেনে_নিন_বাংলাদেশের_৬৪টি_জেলার_ইসকন_মন্দিরের_ঠিকানা।
ইসকন বাংলাদেশের কেন্দ্রসমূহঃ

✯✯✯✯✯✯চট্টগ্রাম বিভাগ✯✯✯✯✯✯

শ্রীশ্রী পুণ্ডরীক ধাম
গ্রাম:মেখল, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
মোবাঃ 01718312553

ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দির
ডাক: মেডিকেল, পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম।
মোবাঃ 01712164595

শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির
নন্দনকানন ১নং গলি, চট্টগ্রাম।
মোবাঃ 01812935123, 01815628851

শ্রীশ্রী রাধা-গোবিন্দ মন্দির
সেন্ট্রাল মোহরা, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম।
মোবাঃ 01818097519, 01823164171

শ্রীশ্রী গৌর নিতাই আশ্রম
২৩, গোলাপ সিং লেইন, নন্দনকানন ২নং গলি, চট্টগ্রাম।
মোবাঃ 018403388841, 01833313225

শ্রীশ্রী রাধা গিরিধারী মন্দির
নতুন ব্রিজ সংলগ্ন, কালাঘাটা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
মোবাঃ 01819620909

শ্রীশ্রী রাধা দামোদর মন্দির
কৃষ্ণানন্দ ধাম রোড, ঘোনারপাড়া, কক্সবাজার।
মোবাঃ 01720543254

শ্রী শ্রী আদিনাথ নামহট্ট মন্দির মহেশখালী কক্সবাজার মোবাঃ 01820402900

শ্রীশ্রী রাধা রাসবিহারী মন্দির
বনরূপা, হ্যাপির মোড়, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
মোবাঃ 01822879986

শ্রীশ্রী রাধা বঙ্কুবিহারী মন্দির
আদালত সড়ক, খাগড়াছড়ি বাজার, খাগড়াছড়ি।
মোবাঃ 01833544433, 01552701000

শ্রীশ্রী রাধা বংশীধারী মন্দির
দ.সহদেবপুর, ফেনী।
মোবাঃ 01716420953

শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর-নিতাই মন্দির
গ্রাম: নরোত্তমপুর, ডাক: পণ্ডিতবাজার, চৌমুহনী, নোয়াখালী।
মোবাঃ 01716220177

শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দির
এনাম নাহার মোড়, সন্দীপ।
মোবাঃ 01814321904

শ্রীশ্রী রাধা কৃষ্ণ জিউ মন্দির
উচ্চাঙ্গ, বাকিলা, হাজিগঞ্জ, চাঁদপুর।
মোবাঃ 01718296472, 01821216784

শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দির
জগন্নাথপুর, কুমিল্লা।
মোবাঃ 01924822666, 01731194383

শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির (নামহট্ট)
মধ্যপাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
মোবাঃ 0171543মন্দির

শ্রীশ্রী পরম ঈশ্বর শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর মন্দির
পুরাতন পৌরসভা রোড (জুবলী দিঘীর পূর্ব পাড়), লক্ষ্মীপুর।

✯✯✯✯✯✯ঢাকা বিভাগ✯✯✯✯✯✯

ইসকন স্বামীবাগ আশ্রম
৭৯, ৭৯/১ স্বামীবাগ রোড, স্বামীবাগ, ঢাকা-১১০০
মোবাঃ 01715001240

শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ জিউ মন্দির
৫ নং চন্দ্র বসাক স্ট্রিট, ওয়ারী (বনগ্রাম), ঢাকা-১২০৩
ফোনঃ 02-7116249, 7124260

শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দির
সাবালিয়া, মধ্যপাড়া, টাঙ্গাইল।
মোবাঃ 01712119216

শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দির
বৌয়াপুর (নদীর পাড়), নরসিংদী।
মোবাঃ 01711103333

শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দির
শোভারামপুর, ফরিদপুর।
মোবাঃ 01714362677

শ্রীশ্রী রাধাকান্ত মন্দির
২২২ লাল মোহন সাহা স্ট্রীট, দক্ষিণ মৈশন্ডী, ঢাকা।
মোবাঃ 01730059288

শ্রীশ্রী কানাইলাল জিউ মন্দির
কাতালপুর, সাভার, ঢাকা।
মোবাঃ 01716498108

শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির (নামহট্ট)
ইসকন মন্দির রোড, পাচুরিয়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাঃ 01718449482

শ্রীশ্রী হরেকৃষ্ণ নামহট্ট সংঘ। গোপ পাড়া, রিকাবী বাজার, মুন্সীগঞ্জ।

শ্রীশ্রী হরে কৃষ্ণ নামহট্ট সংঘ
সুপার মার্কেট, মুন্সীগঞ্জ সদর, মুন্সীগঞ্জ।

ইসকন হরেকৃষ্ণ নামহট্ট কেন্দ্রীয় কার্যালয়
শ্রীশ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ জিউ মন্দির, ৩৫, তনু গছুলেইন, সূত্রাপুর, ঢাকা-১১৮০
মোবাঃ 01714202072

শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দির
দেওভোগ, নারায়ণগঞ্জ।
মোবাঃ 01716498108

শ্রীশ্রী রাধা গোপীনাথ মন্দির
বিবেকানন্দ পল্লী, লৌকর রোড, বিনোদপুর, রাজবাড়ী।
মোবাঃ 01930653232

শ্রীশ্রী রাধা গিরিধারী মন্দির
ধনবান স্কুল সংলগ্ন, মাদারীপুর সদর।
মোবাঃ 01955129068

শ্রীশ্রী গৌরগোবিন্দ মন্দির
গড়গড়িয়া মাষ্টারবাড়ী, শ্রীপুর, গাজীপুর।

শ্রীশ্রী হরেকৃষ্ণ নামহট্ট সংঘ (ইসকন)
কিশোরগঞ্জ

শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ নামহট্ট মন্দির
অভয়া কালীবাড়ী, ৩৬৭, পূর্ব দাশড়া (রায়পাড়া), মানিকগঞ্জ।

শ্রীশ্রী নিতাই গৌর নামহট্ট মন্দির
শরীয়তপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (বুড়ির হাট) সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে, সদর, শরীয়ত পুর।

শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দির
মনোহর বাজার, শরীয়তপুর।

✯✯✯✯✯✯সিলেট বিভাগ✯✯✯✯✯✯

শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির
যুগলটিলা, কাজলশাহ্, সিলেট।
মোবাঃ 01711478190

কালাচাঁদ গোপাল-জিউ ইসকন মন্দির
কাজীর পয়েন্ট, সুনামগঞ্জ।
মোবাঃ 01786521021, 01724925452

শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির
পাথারিয়া, সুনামগঞ্জ।
মোবাঃ 01711031758

শ্রীশ্রী রাধা মদন গোপালজিউ মন্দির
পণতীর্থ, গড়কাঠি, তাহেরপুর, সুনামগঞ্জ।
মোবাঃ 01714528749

রঙ্গীরকুল বিদ্যাশ্রম (ইসকন)
ডাক: রঙ্গীরকুল, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার।
মোবাঃ 01715335574

শ্রী নৃসিংহ মন্দির
বগলা বাজার, হবিগঞ্জ।
মোবাঃ 01718671676, 01720831534

শ্রী গৌর নিতাই জিউ মন্দির
সৈয়ারপুর, মৌলভীবাজার।
মোবাঃ 01715335574

✯✯✯✯✯✯রংপুর বিভাগ✯✯✯✯✯✯

শ্রীশ্রী রাধা মদনমোহন মন্দির
ডাক+থানা: তারাগঞ্জ, রংপুর।
মোবাঃ 01718543679, 017130059232

শ্রীশ্রী রাধাগোপীনাথ জিউ মন্দির
তাজহাট, রংপুর।

প্রয়াগপুর শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দির ও নামহট্ট (ইর্সকন)
থানা: রাণীশংকৈল জেলা: ঠাকুরগাঁও
মোবাইল :01314201350, 01738278599

শ্রীশ্রী জগন্নাথ নামহট্ট মন্দির
পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়া, কুড়িগ্রাম।
মোবাঃ 01776858390, 01767-216551

নিত্যানন্দরামভক্তিবৃক্ষ সংঘ
পাঁচগাছী, মন্ডলপাড়া, কুড়িগ্রাম।
মোবাঃ +8801792748596

শ্রীশ্রী রাধা গোপীনাথ মন্দির
গোপালপুর আশ্রম, ডাক: গড়েয়া, ঠাকুরগাঁও।
মোবাঃ 01712537905, 01715412189

শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির ও ভক্তিবেদান্ত সংস্কৃত কলেজ
গড়েয়া, গোপালপুর, ডাক: গড়েয়া, ঠাকুরগাঁও।
মোবাঃ 01730059291

শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ জিউ মন্দির
কাহারুল, দিনাজপুর।
মোবাঃ 01732787809, 01766394146

শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দির (ইসকন)
দহসী, জয়ানন্দহাট, দিনাজপুর।
মোবাঃ 01712543323
জিতেন্দ্রিয় দাস 01911194400

শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির
গুঞ্জাবাড়ি, রাজবাড়ি, সদর দিনাজপুর।
মোবাঃ 01718690203, 01718543679, 017130059232

শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির
সেতাবগঞ্জ, নামহট্ট সংঘ (আশ্রম), বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর।
মোবাঃ 01735821416, 01751254570, 01740972565, 01745465668

শ্রীশ্রী রাধাগিরিধারী মন্দির
বানিয়ার দিঘী, লালমনিরহাট-৫৫০০।
মোবাঃ ০১৭৫৫৪৯৮০১৫, 01712998207

শ্রীশ্রী রাধামাধব নামহট্ট মন্দির
চানপাড়া, পঞ্চগড়।

ইসকন প্রচার কেন্দ্র গাইবান্ধা।
ভি, এইড রোড, কালীবাড়ী, গাইবান্ধা।

ইসকন প্রচার কেন্দ্র নীলফামারী
মিলন পল্লী, নীলফামারী।

শ্রীশ্রী নিত্যানন্দ নামহট্ট সংঘ
বামুনিয়া, নীলফামারী।

✯✯✯✯✯✯ময়মনসিংহ বিভাগ✯✯✯✯✯✯

শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির
জেলখানার চর, ময়মনসিংহ।
মোবাঃ 01730059339

শ্রীশ্রী নৃসিংহ জিউ মন্দির (ইসকন)
গৃদ্দা নারায়ণ, শেরপুর সদর-২১০০
মোবাঃ 01723280457, 01733208705

শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দির
গাড়া সাতপাই নেত্রকোনা।
মোবাঃ 01757831409

শ্রীশ্রী গোবিন্দ ঠাকুর বিগ্রহ মন্দির
পালপাড়া, জামালপুর।

✯✯✯✯✯✯খুলনা বিভাগ✯✯✯✯✯✯

শ্রীশ্রী রূপ সনাতন স্মৃতি তীর্থ (ইসকন)
ডাক: মাগুরাহাট, থানা: অভয়নগর
গ্রাম: রামসরা, যশোর।
মোবাঃ 01712128285

শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির
গল্লামারি, সোনাডাঙ্গা, খুলনা।
মোবাঃ 01711393291

শ্রীশ্রী গৌর-নিতাই মন্দির
কাটাখালি বাজার, পাকিজা, যশোর।
মোবাঃ 01712128284

শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ জিউ মন্দির
ফকরাবাদ, বড়দল, আশাশুনি, সাতক্ষীরা।
মোবাঃ 01718024040

শ্রীশ্রী রাধা শ্যাম সুন্দর মন্দির
আরোয়াপাড়া, কুষ্টিয়া।
মোবাঃ 01761132003, 01956223292

শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দির
মাঝিয়ারা, তালা, সাতক্ষীরা।
মোবাঃ 01712886865

ইসকন মন্দির
চাকলাপাড়া, দাসপাড়া, ঝিনাইদহ

ইসকন প্রচার কেন্দ্র মেহেরপুর
পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়া মেহেরপুর মোবাঃ 01795374810, 01864328011

ইসকন মন্দির নড়াইল
সরকারী ভিক্টোরিয়া কলেজ রোড, বাধাঘাট, নড়াইল।

ইসকন প্রচার কেন্দ্র,
সাহাপাড়া, নতুন বাজার, মাগুড়া।

শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণ মন্দির, বড়বাজার, চুয়াডাঙ্গা।

✯✯✯✯✯✯রাজশাহী বিভাগ✯✯✯✯✯✯

আনন্দ আশ্রম
সেউজগাড়ী, পালপাড়া, বগুড়া।
মোবাঃ 01712010927

শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ জিউ মন্দির
বগুড়া।
মোবাঃ 01737270384

শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির
রেশমপট্টি ঘোড়ামারা রাজশাহী।
মোবাঃ 01784390495

শ্রীশ্রী হরেকৃষ্ণ নামহট্ট সংঘ।
মোলান রশিদপুর, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট।

শ্রীশ্রী রাধা গোবিন্দ জিউ মন্দির
উত্তর সাহা পাড়া সেরপুর, বগুড়া।
মোবাঃ 01712010927

শ্রীশ্রী বৃন্দাবন মন্দির
দক্ষিণ চৌকিরপাড়, নাটোর।

শ্রীশ্রী রাধাগিরীধারী সেবাশ্রম।
কৃষ্ণ ক্ষেপাক্ষেপি আখড়া, গাংকুলা, সিংগা, পাবনা।

শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দির
মারোয়াড়ী পট্টি, সিরাজগঞ্জ।

শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দির
কোমাইগাড়ী, বাইপাস ব্রিজ, শিবপুর, নওগাঁ।

শ্রীশ্রী হরেকৃষ্ণ নামহট্ট সংঘ
নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

ইসকন প্রচার কেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ
শিবতলা চাঁইপাড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

✯✯✯✯✯✯বরিশাল বিভাগ✯✯✯✯✯✯

শ্রীশ্রী রাধা শ্যামসুন্দর মন্দির
শংকর মঠ, বি.এম. কলেজ রোড, বরিশাল।
মোবাঃ 01712222685

ইসকন মন্দির
রায়েরকাঠি, পিরোজপুর- ৮৫০০
মোবাঃ 01736483030

পটুয়াখালী ইসকন বৈদিক মন্দির
জুবিলী স্কুল রোড, পটুয়াখালী।
মোবাঃ 01733108584, 01730059288

শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দির (ইসকন)
পার্থ সারথী দাসের বাড়ী, তিন ঘাটলা, পশ্চিম চাঁদকাঠী, ঝালকাঠী।
মোবাঃ 01739591594

বিঃদ্রঃ আপনাদের পরিচিত নতুন মন্দিরগুলির ঠিকানা যেগুলি এই পোস্টে নেই, সেগুলি কমেন্টে দিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো 🙏

ধর্মের প্রতি আস্থা সব সময় থাকে,,, একজন সনাতনী যোদ্ধার। ❤️🥰❤️ 🚩❤️🚩❤️🚩  জয় শ্রী রাম   🚩❤️🚩❤️🚩
26/04/2025

ধর্মের প্রতি আস্থা সব সময় থাকে,,, একজন সনাতনী যোদ্ধার। ❤️🥰❤️

🚩❤️🚩❤️🚩 জয় শ্রী রাম 🚩❤️🚩❤️🚩


26/04/2025

আসুন জানি হরিনাম মহামন্ত্রের জপমালার ১০৮টি গুটির অর্থ ও তাৎপর্য;

👉হরিনাম মহামন্ত্র জপ করার জন্য ব্যবহৃত ১০৮টি গুটির মালা কেবল গণনার মাধ্যম নয়, বরং এর প্রতিটি গুটির রয়েছে গভীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্য। প্রতিটি গুটি আমাদের ধাপে ধাপে শ্রীকৃষ্ণের সান্নিধ্যের দিকে নিয়ে যায়, ঠিক যেমন ভক্ত ধীরে ধীরে কৃষ্ণপ্রেমে নিমগ্ন হয়।

এই প্রতিটি গুটির মূল উদ্দেশ্য হলো ভক্তকে আত্মশুদ্ধির পথে পরিচালিত করা এবং পরম ধাম গোলক বৃন্দাবন এর দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আসুন, এবার একে একে জানি হরিনাম জপমালার ১০৮টি গুটির আধ্যাত্মিক অর্থ ও তাৎপর্য।

১. ললিতা সখী – তিনি অষ্টসখীদের মধ্যে প্রবীণতম এবং শ্রীমতী রাধার প্রধান সখী। তাঁর স্বভাব উগ্র, সাহসী ও কর্তৃত্বশীল। তিনি কৃষ্ণের প্রতি রাধার অনুরাগ বৃদ্ধি করতে বিশেষ কৌশল প্রয়োগ করেন।

২. বিশাখা সখী – অত্যন্ত বুদ্ধিমতী এবং কূটনীতিতে পারদর্শী। তিনি রাধা-কৃষ্ণের মধ্যে প্রেমঘটিত ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

৩. চিত্রা সখী – বৃন্দাবনের সৌন্দর্যের প্রতীক। তিনি কৃষ্ণের সাজসজ্জা ও নানান অলঙ্কার ধারণের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।

৪. চম্পকলতা সখী – চঞ্চল ও তেজস্বী প্রকৃতির। তিনি কৃষ্ণের মহিমা প্রচার করেন এবং তাঁর লীলাগুলির বিস্তারে সহায়তা করেন।

৫. তুংবিদ্যা সখী – সংগীত, নৃত্য ও কাব্যে পারদর্শী। তিনি রাধা-কৃষ্ণের লীলার বিনোদনমূলক দিককে আরও মনোরম করে তোলেন।

৬. ইন্দুলেখা সখী – গম্ভীর ও দৃঢ়চিত্ত। তিনি কৃষ্ণপ্রেমে অটল এবং রাধার প্রতি অগাধ ভক্তিসম্পন্ন।

৭. রঙ্গদেবী সখী – সৌন্দর্য ও আনন্দের প্রতীক। তিনি বৃন্দাবনের রসময় পরিবেশ সৃষ্টি করেন এবং কৃষ্ণ-রাধার প্রেমকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলেন।

৮. সুদেবী সখী – গম্ভীর ও নির্ভরযোগ্য। তিনি রাধার বিশ্বস্ত সেবিকা এবং কৃষ্ণের সঙ্গে রাধার লীলাগুলিকে সফল করতে সহায়তা করেন।

৯. শ্রীদাম – শ্রীদাম কৃষ্ণের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সখা এবং রাধার বড় ভাই। তিনি শৈশবে কৃষ্ণের সঙ্গে গরু চরাতে যেতেন এবং নানা খেলায় অংশ নিতেন। কৃষ্ণের প্রতি তাঁর অগাধ ভক্তি ছিল, এবং তিনি সবসময় কৃষ্ণের কল্যাণ কামনা করতেন।

১০. সুভল – সুভল ছিলেন কৃষ্ণের অত্যন্ত প্রিয় এবং বিশ্বস্ত সখা। তিনি কৃষ্ণের লীলায় বিভিন্নভাবে সাহায্য করতেন, বিশেষ করে রাধার সঙ্গে কৃষ্ণের মিলন ঘটানোর জন্য নানা কৌশল প্রয়োগ করতেন।

১১. বসুদাম – বসুদাম ছিলেন শান্ত, গম্ভীর ও নির্ভীক প্রকৃতির। তিনি কৃষ্ণের রক্ষা ও সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করতেন এবং তাঁর প্রতি চরম বিশ্বস্ত ছিলেন।

১২. মধুমঙ্গল – মধুমঙ্গল ছিলেন অত্যন্ত হাস্যরসিক ও চঞ্চল প্রকৃতির। তিনি ব্রাহ্মণ বংশীয় ছিলেন এবং তাঁর কৌতুক ও রসিকতা বৃন্দাবনের পরিবেশকে আনন্দময় করে তুলত।

১৩. নন্দ মহারাজ – নন্দ মহারাজ ছিলেন বৃন্দাবনের রাজা ও গোপদের নেতা। তিনি কৃষ্ণকে তাঁর জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন এবং সর্বদা তাঁর সুরক্ষার কথা চিন্তা করতেন। তাঁর হৃদয় ছিল করুণায় পূর্ণ, এবং তিনি কৃষ্ণকে পৃথিবীর সকল সম্পদের চেয়েও মূল্যবান বলে মনে করতেন।

১৪. যশোদা মা – যশোদা মা কৃষ্ণের লালন-পালনের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন। তিনি কৃষ্ণকে আদর-স্নেহে বড় করেন, তাঁর জন্য দুধ দোহন করেন, তাঁর দুষ্টুমি সহ্য করেন, এবং মাঝে মাঝে শাসনও করেন। যশোদার স্নেহের তুলনা নেই, কারণ কৃষ্ণ নিজেই তাঁর আদরের জন্য আকুল থাকতেন। তাঁর কোলে থাকতেই কৃষ্ণ সবচেয়ে বেশি সুখ অনুভব করতেন।

১৫. কেশব – যিনি অসুর কেশীকে বধ করেছেন এবং যাঁর কেশ (চুল) অপার সৌন্দর্যমণ্ডিত।

১৬. নারায়ণ – যিনি সমস্ত জীবের আশ্রয়, যিনি সর্বত্র বিরাজমান।

১৭. মাধব – যিনি মা লক্ষ্মীর স্বামী এবং যিনি মধুর প্রেম ও করুণার আধার।

১৮. গোবিন্দ – যিনি গোপগণ ও গোরক্ষার অভিভাবক এবং যিনি ভক্তদের আনন্দদাতা।

১৯. বিষ্ণু – যিনি সর্বত্র বিরাজ করেন এবং বিশ্বজগৎকে ধারণ করেন।

২০. মাধুসূদন – যিনি মধু নামক অসুরকে বধ করেছেন এবং যিনি সকল অজ্ঞতার বিনাশ করেন।

২১. ত্রিবিক্রম – যিনি তিনটি বিশ্বকে (স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল) এক পায়ে পরিভ্রমণ করেছেন।

২২. বামন – যিনি বামন অবতার ধারণ করে মহাবলিকে প্রতারিত করেছিলেন এবং ধরিত্রীকে উদ্ধার করেছিলেন।

২৩. শ্রীধর – যিনি শ্রী (লক্ষ্মীদেবী) কে হৃদয়ে ধারণ করেন এবং যিনি সমস্ত ঐশ্বর্যের আধার।

২৪. হৃষিকেশ – যিনি সমস্ত ইন্দ্রিয়ের নিয়ন্ত্রক এবং যিনি ভক্তদের অন্তরের অধিপতি।

২৫. পদ্মনাভ – যাঁর নাভি থেকে এক পদ্ম জন্ম নেয়, যার উপর ব্রহ্মা অবস্থিত। এটি সৃষ্টির সূচনার প্রতীক।

২৬. দামোদর – যাঁর কোমরে যশোদামাতা দড়ি বেঁধেছিলেন এবং যিনি তাঁর ভক্তের প্রেমে বাঁধা পড়েন।

২৭. কৃষ্ণের জন্ম – কৃষ্ণ কারাগারে আবির্ভূত হন, যেখানে দেবকী ও বসুদেব তাঁর জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষা করেছিলেন।

২৮. বসুদেবের গোপনে নন্দগৃহে যাত্রা – বসুদেব কৃষ্ণকে কংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য গোকুলে নিয়ে যান এবং যশোদার কাছে রেখে আসেন।

২৯. যশোদার কোলে লালন-পালন – যশোদা ও নন্দ কৃষ্ণকে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করেন, এবং গোপালরূপে তিনি শৈশব কাটান।

৩০. পুতনা বধ – কৃষ্ণ শৈশবে রাক্ষসী পুতনাকে বধ করেন, যিনি তাঁকে বিষ দুধ পান করাতে এসেছিলেন।

৩১. শকটাসুর বধ – শিশু কৃষ্ণ তাঁর ছোট্ট পা দিয়েই শকটাসুর নামক রাক্ষসকে পরাস্ত করেন।

৩২. তৃণাবর্ত বধ – কৃষ্ণ এক ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় রূপী অসুরকে হত্যা করেন, যিনি তাঁকে আকাশে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।

৩৩. নবনী চুরি লীলা – শিশু কৃষ্ণ মাখন চুরি করে গোপীদের ঘরে আনন্দপূর্ণ দুষ্টুমি করেন।

৩৪. যশোদার বিশ্বরূপ দর্শন – যশোদা যখন কৃষ্ণকে শাস্তি দিতে গিয়ে তাঁর মুখ খুলে দেখতে চান, তখন তিনি পুরো ব্রহ্মাণ্ডের দর্শন লাভ করেন।

৩৫. উখলবন্ধন লীলা – যশোদা কৃষ্ণকে দুষ্টুমির জন্য উখলে বেঁধে রাখেন, কিন্তু কৃষ্ণ সেই অবস্থাতেই যমলার্জুন গাছ উপড়ে ফেলেন এবং দুই গন্ধর্বকে মুক্ত করেন।

৩৬. বাল্যলীলার পূর্ণতা – কৃষ্ণ তাঁর শৈশবের দুষ্টুমি ও অলৌকিক ঘটনাগুলোর মাধ্যমে সকলকে মুগ্ধ করেন এবং তাঁর লীলার মহিমা প্রকাশ করেন।

৩৭. বৎসাসুর বধ – কৃষ্ণ গরু চরানোর সময় বৎসাসুর নামে এক অসুরকে বধ করেন, যে বাছুরের রূপ ধারণ করেছিল।

৩৮. বকাসুর বধ – বিশাল এক বকের রূপে থাকা অসুরকে কৃষ্ণ তাঁর শক্তি দ্বারা বিনাশ করেন।

৩৯. অঘাসুর বধ – কৃষ্ণ এক দৈত্যাকার সাপের গুহার মতো মুখে প্রবেশ করে তাকে হত্যা করেন এবং ব্রজবাসীদের রক্ষা করেন।

৪০. ব্রহ্মার মোহিনী লীলা – ব্রহ্মা কৃষ্ণের শক্তি পরীক্ষা করতে এসে তাঁর অলৌকিক মহিমা দেখে বিভ্রান্ত হন এবং পরে কৃষ্ণের চরণে আত্মসমর্পণ করেন।

৪১. গোপালদের সঙ্গে কৃষ্ণের বনভোজন – কৃষ্ণ ও তাঁর বন্ধু গোপালরা একসঙ্গে মাঠে বসে প্রীতিভরে প্রসাদ গ্রহণ করেন।

৪২. দেণুকাসুর বধ – কৃষ্ণ ও বলরাম এক গাধা-রূপী অসুরকে পরাস্ত করেন, যে বৃন্দাবনের তাল বাগানে অবস্থান করত।

৪৩. কালীয় দমন – কৃষ্ণ যমুনার বিষাক্ত সর্প কালীয়কে পরাস্ত করে তাঁকে বৃন্দাবন ছাড়তে বাধ্য করেন এবং যমুনার জলে পবিত্রতা ফিরিয়ে আনেন।

৪৪. গোপীদের মথুরার পথে অবরোধ – গোপালদের সঙ্গে কৃষ্ণ নানা ছল ও মজার খেলায় মেতে ওঠেন এবং গোপীদের সঙ্গে হাস্যপর্বে লিপ্ত হন।

৪৫. বৃন্দাবনের নানান ক্রীড়া – কৃষ্ণ বৃন্দাবনের নানা লীলা করেন, যেমন ময়ূরপুচ্ছ ধারণ, বাঁশি বাজিয়ে সবাইকে মোহিত করা, গোপালদের সঙ্গে দুষ্টুমি করা ইত্যাদি।

৪৬. গোপীদের চুরি করা পোশাক – যমুনার তীরে গোপীরা যখন উপবাস করে কৃষ্ণকে স্বামী হিসেবে পাওয়ার জন্য ব্রত করেন, তখন কৃষ্ণ তাঁদের পোশাক চুরি করে এক বিশেষ লীলার মাধ্যমে তাঁদের ঈশ্বরত্ব বোঝান।

৪৭. ইন্দ্রযজ্ঞ বন্ধ – কৃষ্ণ বৃন্দাবনবাসীদের বোঝান যে, কৃষি ও গবাদি পশুপালনই তাঁদের প্রকৃত ধর্ম, তাই ইন্দ্রের পূজা না করে গোবর্ধন পূজা করতে বলেন।

৪৮. গোবর্ধন ধারন – ইন্দ্রের ক্রোধে যখন প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়, তখন কৃষ্ণ তাঁর কনিষ্ঠাঙ্গুলিতে গোবর্ধন পর্বত তুলে ব্রজবাসীদের আশ্রয় দেন।

৪৯. গোবর্ধন পূজার মহিমা – কৃষ্ণ ব্রজবাসীদের বোঝান যে প্রকৃতি ও গরুদের পূজা করাই প্রকৃত ধর্ম, যা ইন্দ্রযজ্ঞ বন্ধের পরে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হয়ে ওঠে।

৫০. ইন্দ্রের আত্মসমর্পণ – গোবর্ধন ধারণের পর ইন্দ্র নিজের ভুল বুঝতে পারেন এবং কৃষ্ণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

৫১. সুরভী গোমাতা আশীর্বাদ – ইন্দ্রের সাথে স্বর্গ থেকে সুরভী গোমাতা আসেন ও কৃষ্ণকে ‘গোবিন্দ’ উপাধি দেন।

৫২. গোপীদের সঙ্গে কৃষ্ণের লীলা – কৃষ্ণ গোপীদের সঙ্গে নানা হাস্যকৌতুক ও মধুর কথোপকথনে ব্যস্ত থাকেন।

৫৩. শারদীয় রাসলীলা – শরৎকালে পূর্ণিমার রাতে কৃষ্ণ গোপীদের সঙ্গে মহারাসের আয়োজন করেন, যেখানে প্রতিটি গোপীর জন্য তিনি পৃথকভাবে উপস্থিত থাকেন।

৫৪. গোপীদের বিরহ – কৃষ্ণ কিছু সময়ের জন্য গোপীদের দৃষ্টির আড়ালে চলে যান, যাতে তাঁদের প্রেমের পরীক্ষা হয় এবং তাঁদের হৃদয়ে কৃষ্ণের প্রতি আরও গভীর আকর্ষণ জন্মে।

৫৫. বৃন্দাবনে গোপীদের সঙ্গে কৃষ্ণের মধুর লীলা – গোপীরা কৃষ্ণের জন্য ব্যাকুল হয়ে বিভিন্ন কীর্তন গেয়ে তাঁর সন্ধান করতে থাকেন।

৫৬. গোপীদের কৃষ্ণ দর্শন – কৃষ্ণ আবার গোপীদের কাছে ফিরে আসেন এবং তাঁদের প্রেমের মূল্যায়ন করেন।

৫৭. বৃন্দাবনে কৃষ্ণের দৈব লীলা – কৃষ্ণ তাঁর অলৌকিক ক্ষমতা দিয়ে ব্রজবাসীদের রক্ষা করেন এবং তাদের শাশ্বত প্রেমের পথে পরিচালিত করেন।

৫৮. আকরূরের আগমন – কংসের দূত আকরূর বৃন্দাবনে আসেন ও কৃষ্ণ-বলরামকে মথুরায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান।

৫৯. ব্রজবাসীদের মধ্যে বিচ্ছেদবেদনা – কৃষ্ণ ও বলরামের মথুরা যাত্রার সংবাদ শুনে গোপ, গোপী ও ব্রজবাসীরা অত্যন্ত ব্যথিত হন।

৬০. বৃন্দাবন ত্যাগ – কৃষ্ণ ও বলরাম গোপনভাবে ব্রজ থেকে বিদায় নেন এবং মথুরার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

৬১. মথুরার পথে কৃষ্ণ ও বলরাম – বৃন্দাবন ত্যাগ করে কৃষ্ণ ও বলরাম আকরূরের সঙ্গে মথুরার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

৬২. আকরূরের দর্শন – যমুনার তীরে আকরূর কৃষ্ণ ও বলরামের প্রকৃত রূপ (নারায়ণ ও শংখ-চক্র-গদা-পদ্মধারী) প্রত্যক্ষ করেন এবং তাঁদের ভক্তিতে অভিভূত হন।

৬৩. মথুরায় প্রবেশ – কৃষ্ণ ও বলরাম মথুরায় প্রবেশ করেন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে কংসের অত্যাচারের কথা শোনেন।

৬৪. কুব্জার শুদ্ধি ও আশীর্বাদ – কৃষ্ণ কুব্জা নামে এক কুঁজো নারীকে স্পর্শ করে তার দেহ সুগঠিত করে তোলেন এবং তাকে আশীর্বাদ দেন।

৬৫. ধনুর্ভঙ্গ লীলা – কৃষ্ণ রাজসভায় প্রবেশ করে কংসের মহাধনুষ ভেঙে ফেলেন, যা তাঁর অসীম শক্তির প্রকাশ।

৬৬. মল্লযুদ্ধ – কংসের নির্দেশে কৃষ্ণ ও বলরামের সঙ্গে চাণূর ও মুষ্টিক নামে দুই শক্তিশালী মল্লের যুদ্ধ হয়।

৬৭. কংসবধ – কৃষ্ণ কংসকে তার সিংহাসন থেকে টেনে নামিয়ে বধ করেন এবং মথুরায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন।

৬৮. উগ্রসেনকে সিংহাসনে প্রতিষ্ঠা – কৃষ্ণ তাঁর দাদু উগ্রসেনকে মথুরার রাজা হিসেবে পুনর্বহাল করেন।

৬৯. বসুদেব ও দেবকীর মুক্তি – কৃষ্ণ তাঁর জন্মদাতা বসুদেব ও দেবকীকে কারাগার থেকে মুক্ত করেন এবং তাঁদের যথাযথ সম্মান দেন।

৭০. গুরুসংগতি – কৃষ্ণ ও বলরাম গুরুকুলে গিয়ে মহর্ষি সংদীপনির কাছে শিক্ষালাভ করেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে সমস্ত বিদ্যা আয়ত্ত করেন।

৭১. গুরুর ঋণ শোধ – গুরুসংদীপনির পুত্র সমুদ্র দ্বারা হরণ হলে কৃষ্ণ তাকে পাতাল থেকে উদ্ধার করে আনেন এবং এইভাবে গুরুর ঋণ পরিশোধ করেন।

৭২. মথুরায় রাজনীতি ও যুদ্ধের প্রস্তুতি – কংসের মৃত্যুর পর তার বন্ধু জরাসন্ধ মথুরা আক্রমণ করতে থাকে, কৃষ্ণ তখন কৌশলে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেন।

৭৩. জরাসন্ধের ক্রমাগত আক্রমণ – কংসবধের পর জরাসন্ধ ক্রোধে ফেটে পড়ে এবং ১৭ বার মথুরা আক্রমণ করে। প্রতিবার কৃষ্ণ ও বলরাম তাঁকে পরাজিত করেন।

৭৪. কালযবনবধ – কালযবন নামে এক শক্তিশালী অসুর মথুরা আক্রমণ করলে কৃষ্ণ তাঁকে যুদ্ধের পরিবর্তে এক গুহায় নিয়ে গিয়ে মুচকুন্দ মুনির দ্বারা বধ করান।

৭৫. দ্বারকার প্রতিষ্ঠা – ক্রমাগত আক্রমণের কারণে কৃষ্ণ তাঁর লোকদের সুরক্ষার জন্য সমুদ্রের মাঝে এক দুর্ভেদ্য নগরী স্থাপন করেন, যা দ্বারকা নামে পরিচিত হয়।

৭৬. সত্রাজিত ও স্যমন্তকমণি – সত্রাজিত সূর্যদেবের কাছ থেকে স্যমন্তকমণি পায়, যা দৈনিক বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ উৎপন্ন করত। পরবর্তীতে এই মণিকে কেন্দ্র করে নানা ঘটনা ঘটে।

৭৭. সাত্যভামার সাথে বিবাহ – কৃষ্ণ সত্রাজিতের কন্যা সাত্যভামার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই বিবাহ কৃষ্ণের রাজসিক ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার দিকটি তুলে ধরে।

৭৮. জাম্ববন্তের সঙ্গে যুদ্ধ – কৃষ্ণ জাম্ববন্তের সঙ্গে দ্বন্দ্বযুদ্ধে লিপ্ত হন এবং পরে জাম্ববন্ত তাঁর কন্যা জাম্ববতীকে কৃষ্ণের সঙ্গে বিবাহ দেন।

৭৯. কুরুক্ষেত্রের প্রস্তুতি – কৃষ্ণ কৌরব ও পাণ্ডবদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কথা জানতে পারেন এবং রাজনীতির মাধ্যমে ধর্ম প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেন।

৮০. রুক্মিণী হরণ – বিদর্ভরাজ ভীষ্মকের কন্যা রুক্মিণী কৃষ্ণকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করতে চান। কৃষ্ণ রথে এসে তাঁকে তুলে নিয়ে যান এবং তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

৮১. নরকাসুর বধ – কৃষ্ণ সাত্যভামার সঙ্গে নরকাসুরকে বধ করেন এবং ১৬,১০০ বন্দী রাজকন্যাকে উদ্ধার করেন, পরে তাঁদের বিবাহ করেন।

৮২. পাণ্ডবদের সঙ্গে সম্পর্ক – কৃষ্ণ কুন্তীর পুত্রদের প্রতি স্নেহ দেখিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ান এবং ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁদের সহায়তা করেন।

৮৩. রাজসূয় যজ্ঞ – যুধিষ্ঠিরের রাজসূয় যজ্ঞে কৃষ্ণ অংশ নেন এবং শিসুপালকে বধ করেন, যিনি তাঁকে বারবার অপমান করছিলেন।

৮৪. দ্বারকার সুশাসন – কৃষ্ণ দ্বারকাকে এক শক্তিশালী ও সুশাসিত নগরীতে পরিণত করেন, যেখানে ধর্ম ও ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।

৮৫. দ্বারকার প্রতিষ্ঠা – কৃষ্ণ যখন মথুরায় ছিলেন, তখন জরাসন্ধ বারবার আক্রমণ করছিলেন। কৃষ্ণ তখন দ্বারকাপুরী নির্মাণ করেন এবং সেখানে যাদবগণকে স্থাপন করেন। এটি ছিল এক অলৌকিক নগরী।

৮৬. রাজা কৃষ্ণ – দ্বারকায় কৃষ্ণ এক যোগ্য শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। যদিও তিনি সরাসরি রাজ্য পরিচালনা করেননি, তবুও তাঁর উপস্থিতিতেই রাজ্য সুখ-সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ ছিল।

৮৭. রুক্মিণী হরণ – বিদর্ভরাজ ভীষ্মক তাঁর কন্যা রুক্মিণীর বিয়ে শিশুপালের সঙ্গে ঠিক করেন, কিন্তু রুক্মিণী কৃষ্ণকে মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতেন। কৃষ্ণ তাঁকে হরণ করে নিয়ে আসেন এবং তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

৮৮. কৃষ্ণের ১৬,১০৮ বিবাহ – কৃষ্ণ শুধুমাত্র আট প্রধান রানি—রুক্মিণী, সত্যভামা, জাম্ববতী, কালিন্দী, মিত্রবৃন্দা, লক্ষ্মণা, ভদ্রা ও মাদ্রীকে বিবাহ করেছিলেন। এছাড়া, ১৬,১০০ রাজকন্যাকে নারকাসুরের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে তাদের সম্মানরক্ষার্থে বিবাহ করেন।

৮৯. সত্যভামার সৌন্দর্য ও অহংকার – সত্যভামা একবার কৃষ্ণের প্রতি অহংকার প্রকাশ করেন, তখন নারদের অনুরোধে কৃষ্ণ তাঁকে বোঝান যে সত্যিকারের ভালোবাসা অহংকারের ঊর্ধ্বে।

৯০. পারিজাত ফুলের লীলা – সত্যভামা কৃষ্ণের কাছ থেকে পারিজাত ফুল চাইলে, কৃষ্ণ ইন্দ্রলোক থেকে সেই বৃক্ষ এনে তাঁকে দেন। এটি ইন্দ্রের অহংকার ভাঙার এক লীলা।

৯১. নরকাসুর বধ – নরকাসুর বহু নারীকে বন্দী করেছিল। কৃষ্ণ ও সত্যভামা একত্রে যুদ্ধ করে তাঁকে পরাজিত করেন এবং বন্দি নারীদের মুক্ত করেন।

৯২. স্যামন্তক মণির কাহিনি – কৃষ্ণের বিরুদ্ধে একবার স্যামন্তক মণি চুরির মিথ্যা অভিযোগ ওঠে। তিনি তা প্রমাণ করে দেন যে, সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তি কখনও অন্যায় করতে পারেন না।

৯৩. রাজসূয় যজ্ঞ – যুধিষ্ঠির রাজসূয় যজ্ঞ সম্পন্ন করতে চাইলে কৃষ্ণ তাঁকে সহায়তা করেন এবং এই যজ্ঞে শ্রীকৃষ্ণকে প্রধান অতিথি করা হয়।

৯৪. শাল্ববধ – শাল্ব এক অসুর ছিল, যে কৃষ্ণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। কৃষ্ণ দ্বারকার রক্ষার জন্য শাল্বকে বধ করেন।

৯৫. দ্বারকার শাসন – কৃষ্ণ দ্বারকার রাজ্য পরিচালনায় পরামর্শ দিতেন এবং সকলকে ধর্মপথে পরিচালিত করতেন। তাঁর নির্দেশে রাজ্য শান্তি ও সমৃদ্ধিতে পূর্ণ হয়েছিল।

৯৬. ঋষিদের আশীর্বাদ – বিভিন্ন ঋষি ও মুনি কৃষ্ণকে আশীর্বাদ করেন এবং তাঁর লীলার প্রশংসা করেন। শ্রীকৃষ্ণ ধর্মসংস্থাপনের জন্য যুগে যুগে আবির্ভূত হন—এই সত্যটি আবারও প্রতিফলিত হয়।

৯৭. মৈত্রেয় মুনির ভবিষ্যদ্বাণী – মৈত্রেয় মুনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে দ্বারকায় যাদবগণের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হবে এবং সেই কারণে কৃষ্ণের লীলাসমাপ্তি ঘটবে। এটি শ্রীমদ্ভাগবতে বর্ণিত ভবিষ্যদ্বাণী, যা পরবর্তীতে সত্য হয়।

৯৮. যাদব বংশের বিনাশ – কৃষ্ণ জানতেন যে তাঁর যাদব বংশের অহংকার বৃদ্ধি পেয়েছে। একদিন দ্বারকার যাদবগণ পারস্পরিক বিবাদে লিপ্ত হয় এবং অভিশাপবশত তারা নিজেদের মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যায়। কৃষ্ণ এতে হস্তক্ষেপ করেননি, কারণ এটি ঈশ্বরের পরিকল্পনারই অংশ ছিল।

৯৯. কৃষ্ণের মহাপ্রয়াণ – কৃষ্ণ যখন দ্বারকার বাইরে এক গাছতলায় ধ্যানমগ্ন ছিলেন, তখন এক ব্যাধ ভুলবশত তাঁকে হরিণ ভেবে শরবিদ্ধ করে। এটি ছিল শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছা অনুযায়ী সংঘটিত ঘটনা, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর লীলাসমাপ্তি ঘোষণা করেন।

১০০. বৈকুণ্ঠে প্রত্যাবর্তন – শরীরত্যাগের পর কৃষ্ণ তাঁর স্বরূপে বৈকুণ্ঠে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি পার্থিব লীলা শেষ করে পুনরায় তাঁর চিরস্থায়ী ধামে প্রবেশ করেন, যেখানে ভক্তরা অনন্তকাল ধরে তাঁকে ভজনা করে।

১০১. গীতার উপদেশের সারমর্ম – কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের আগে অর্জুনের মানসিক দ্বিধা দূর করতে শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা উপদেশ দেন। এই গুটিটি স্মরণ করিয়ে দেয় যে গীতা কেবলমাত্র অর্জুনের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য এক চিরন্তন জ্ঞানভান্ডার।

১০২. কর্মযোগের শিক্ষা – শ্রীকৃষ্ণ গীতায় কর্মযোগের উপর জোর দেন। তিনি বলেন, "কেবল ফলের প্রত্যাশায় কর্ম করো না, কর্ম করো নিঃস্বার্থভাবে, কারণ এটি তোমাকে পরম মুক্তির দিকে নিয়ে যাবে।"

১০৩. ভক্তিযোগের মহিমা – কৃষ্ণ অর্জুনকে বলেন, "যে আমাকে প্রেম ও ভক্তির সঙ্গে স্মরণ করে, সে সর্বদা আমার মধ্যে থাকে এবং আমিও তার মধ্যে থাকি।" ভক্তি হলো আত্মসমর্পণের সর্বোচ্চ রূপ।

১০৪. জ্ঞানযোগ ও গীতার গূঢ় তত্ত্ব – শ্রীকৃষ্ণ জ্ঞানযোগের মাধ্যমে ব্রহ্মতত্ত্ব উপলব্ধি করার কথা বলেন। সত্য জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে জীব মুক্ত হতে পারে এবং কৃষ্ণভাবনায় স্থিত হতে পারে।

১০৫. শরণাগতির উপদেশ – গীতার শেষের দিকে কৃষ্ণ অর্জুনকে বলেন, "সর্বধর্মান্ পরিত্যজ্য মমেকং শরণং ব্রজ।" অর্থাৎ সব কিছু পরিত্যাগ করে কেবল আমার শরণাগত হও, আমি তোমাকে সকল পাপ থেকে মুক্তি দেব।

১০৬. কৃষ্ণের নিত্যসত্তা ও সর্বব্যাপ্ত রূপ – শ্রীকৃষ্ণ বলেন, "আমি সময়, আমি সৃষ্টি ও প্রলয়, আমি সমস্ত জগতের ঈশ্বর।" কৃষ্ণ কেবল একজন ঐতিহাসিক চরিত্র নন, তিনি সর্বত্র বিরাজমান চিরন্তন সত্য।

১০৭. গীতার প্রসার ও ভবিষ্যৎ ভক্তদের জন্য বার্তা – কৃষ্ণ বলেন, "যে কেউ ভক্তিভাবে গীতার জ্ঞান প্রচার করবে, সে আমার প্রিয়ভক্ত হবে এবং সে পরম ধামে ফিরে আসবে।"

১০৮. কৃষ্ণভক্তির চূড়ান্ত লক্ষ্য – গীতার সারমর্ম হলো, "সর্বোচ্চ ধ্যান এবং আত্মসমর্পণই কৃষ্ণপ্রাপ্তির পথ।" এই শেষ গুটিটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে জীবনের একমাত্র লক্ষ্য কৃষ্ণপ্রেমের অভিজ্ঞতা লাভ করা এবং চিরস্থায়ীভাবে তাঁর সান্নিধ্যে থাকা।

হরিনাম মহামন্ত্রের জপমালা কেবল গণনার মাধ্যম নয়, বরং এটি এক মহান আধ্যাত্মিক পথ, যা ভক্তকে ধাপে ধাপে কৃষ্ণভাবনার শীর্ষস্থানে পৌঁছে দেয়। প্রতিটি গুটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় কৃষ্ণের অপার মহিমা, তাঁর লীলা, ভক্তদের প্রতি তাঁর অপার করুণা এবং শুদ্ধ ভক্তির মাধ্যমে তাঁকে লাভ করার পথ। এই ১০৮টি গুটির প্রতিটির মধ্যে এক একটি আধ্যাত্মিক শক্তি নিহিত, যা ধ্যান ও একাগ্রতার মাধ্যমে আমাদের অন্তরে প্রবেশ করে।

যে ব্যক্তি প্রতিদিন নিষ্ঠার সঙ্গে হরিনাম জপ করে, সে কেবল পার্থিব বন্ধন থেকে মুক্ত হয় না, বরং ধীরে ধীরে শ্রীকৃষ্ণের চরণাশ্রয়ে স্থান পায়। এই জপই আমাদের চেতনার উন্নতি ঘটায়, হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করে এবং চিরন্তন শান্তি ও আনন্দের পথ খুলে দেয়। তাই আসুন, আমরা সবাই এই মহান পথকে গ্রহণ করি এবং শ্রীকৃষ্ণের চরণকমলে আমাদের হৃদয় নিবেদন করি।
শ্রীকৃষ্ণের পরম দয়া লাভের জন্য জপ করুন:

🙏॥ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে ॥
॥ হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ॥🙏🕉️🙏

**আমি পরশুরামের কঠোর কুঠার**       *নিঃক্ষত্রিয় করিব বিশ্ব, আনিব শান্তি শান্ত উদার***************************** 👉হিন্দু ...
26/04/2025

**আমি পরশুরামের কঠোর কুঠার**
*নিঃক্ষত্রিয় করিব বিশ্ব, আনিব শান্তি শান্ত উদার*
****************************

👉হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী শান্তি আনতে ধরিত্রীকে ২১ বার ক্ষত্রিয়শূন্য করেছিলেন #বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার #পরশুরাম।

👉১৬ ই বৈশাখ ১৪৩২ বাংলা, ৩০ শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার পুণ্য অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে ভগবান #পরশুরাম অবতারের শুভ আর্বিভাব তিথি!!

তার সম্বন্ধে আপনাদের কাছে কিছু অজানা তথ্য উপস্থাপন করছি। জেনে রাখুন তার জীবনী ও কর্ম উদ্দেশ্যঃ-

মহর্ষি ভৃগুর (পরশুরামের প্রপিতামহ) বাক্যানুযায়ী পরশুরাম বৃত্তিতে হয়েছিলেন ক্ষত্রিয়।
তাই জগতে তিনিই প্রথম যোদ্ধা ব্রাহ্মণ। পরশুরামের মা রেণুকা ছিলেন অযোধ্যার সূর্যবংশের কণ্যা, এই বংশেই রামচন্দ্রের জন্ম হয়।

ঋষি জমদগ্নির ঔরসে রেণুকার গর্ভে পাঁচ পুত্রের মধ্যে পরশুরাম ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ, তিনি বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার। তিনি ত্রেতা যুগে এবং দ্বাপর যুগে বর্তমান ছিলেন। পরশুরামের পিতা জমদগ্নি #ব্রাহ্মণ হলেও, মা রেণুকা ছিলেন #ক্ষত্রিয়। কঠোর তপস্যা করে তিনি #শিবের নিকট হতে পরশু (কুঠার) লাভ করেন এবং যুদ্ধবিদ্যা শেখেন।
কথিত আছে, তিনি সমুদ্রের আগ্রাসন থেকে কোঙ্কণ ও মালাবার অঞ্চলকে রক্ষা করেছিলেন। এই কারণে কেরল ও কোঙ্কণ উপকূলীয় অঞ্চলকে #পরশুরামক্ষেত্র বলা হয়।
পরশুরাম ছিলেন #ব্রহ্মক্ষত্রিয়, মহর্ষি জমদগ্নি-র পত্নী রেনুকা-র গর্ভে পাঁচটি পুত্র সন্তান জন্মায়, তাঁরা যথাক্রমে–বসু,
বিশ্ববসু, বৃহদভানু, বৃহৎকৰ্থ ও রামভদ্র। এই কনিষ্ঠ পুত্র #রামভদ্রই পরবর্তীতে হয়ে ওঠেন মহর্ষি কশ্যপের শিষ্য, ভগবান বিষ্ণুর অবতার, প্রবল পরাক্রমী ক্ষত্রিয়কূল বিনাশী পরশুরাম।

একদিন স্নানকালে রাজা চিত্ররথকে তাঁর স্ত্রীদের সাথে জল ক্রীড়ারত দেখে ঋষিপত্নী রেনুকার মনে কাম ভাবের উদয় হয়।
ফলে রেনুকা মােহিত হয়ে যান, এতে আশ্রমে ফিরে আসতে দেরী হয়ে যায়। রেনুকা ফিরে এলে, ঋষি জমদগ্নি দিব্যদৃষ্টি দ্বারা সমস্ত বিষয় জানতে পেরে ক্রোধে ক্ষুব্ধ হয়ে রেনুকাকে হত্যা করার জন্যে পুত্রদের আদেশ দিলেন।
প্রথম চার পুত্র পিতার আদেশ পালন করতে অক্ষমতা প্রকাশ করলে, জমদগ্নি-র অভিশাপে তাঁদের #জড়ত্ব (প্রস্তরীভূত) প্রাপ্তি ঘটে। কিন্তু কনিষ্ঠ পুত্র #পরশুরাম পিতার আদেশ মত, তাঁর কুঠার দিয়ে মাতৃ-হত্যা করলেন।
কোনও বিচার না করে পিতার আদেশ পালন করার জন্যে, জমদগ্নি তাঁর কনিষ্ঠ পুত্রের প্রতি প্রীত হলেন এবং বললেন, তিনি যেন #মাতৃহত্যা-র পাপ মােচনের জন্য তিব্বতে গিয়ে ব্রহ্মপুত্র নামক মহাকুণ্ডের জলে স্নান করেন এবং সেই মহা পুন্যবান জল পান করেন, তবেই তাঁর এই মহা পাপ-এর মুক্তি ঘটবে।
পিতার উপদেশ মতাে পরশুরাম সেই লোহিত-সরােবরে এসে, ব্রহ্মপুত্র নামক মহাকুণ্ডের জল পান করে ও সেই জলে স্নান করে, মাতৃহত্যার মহাপাপ মুক্ত হলেন।
সেই ব্ৰহ্মকুণ্ড থেকে জমদগ্নি-র আশ্রমে ফিরে আসার পথে, পরশুরামের সাথে দুই মহান ব্রহ্মর্ষি, বশিষ্ঠ ও অগস্ত্যের সাক্ষাৎ হলে, তিনি তাঁদেরকে পুরাে ঘটনা খুলে বলেন। ঋষিবরেরা তাঁকে, পিতার কাছে বর প্রার্থনা করে মাতার জীবনকে পুনরায় ফিরিয়ে দিতে এবং এই মহা পুন্যবান ব্ৰহ্মকুণ্ডের জলকে পর্বত সমুহ ভেদ করে বিশ্বের কল্যাণের কাজে লাগানাের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্যে ও বিন্দু-সরােবরে গিয়ে মাতৃ-তর্পণ করার জন্যে উপদেশ দেন। ঋষিবরদের আশিষ নিয়ে পরশুরাম পিতার কাছে ফিরে এলেন,ফিরে এসে জমদগ্নিকে তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র পরশুরাম প্রশ্ন করলেন যে........
তাঁর আদেশ মতাে মাতৃ-হত্যা করে দেওয়ার জন্যে তিনি খুশি কি না?
উত্তরে জমদগ্নি বলেন, অবশ্যই বিনা বিচারে পিতার আদেশ পালন করার জন্যে তিনি অত্যান্ত প্রসন্ন, এই জন্য পরশুরাম যেন তাঁর কাছে থেকে বর প্রার্থনা করে নেন।
তখন পরশুরাম বললেন, যদি প্রসন্ন হয়েই থাকেন, তবে আমার মা-কে পুনরায় #জীবিত করে দিন এবং আমি যে তাঁকে হত্যা করেছিলাম একথা যেন তাঁর মনে না থাকে। পুত্রের বর রক্ষা করতে জমদগ্নি আহ্বান করলেন, দেব-বৈদ্য তথা ব্রহ্মর্ষি দধীচি-র শিস্য, সূর্যপুত্র #অশ্বিনী কুমার দ্বয়-কে, তাঁরা এসে পরশুরামের কথা মতােই তাঁর মা রেনুকা-কে সুস্থ করে তােলেন।

মা রেনুকা সুস্থ হওয়ার পরে পরশুরাম গেলেন তাঁর দ্বিতীয় কার্যক্রম পূর্ণ করতে, অর্থাৎ এবার তিনি বিশ্বের সমগ্র জীবকূলের কল্যাণের কাজে ব্যবহৃত করার জন্যে, #ব্রহ্মপুত্রের মহাপুন্যবান জলকে প্রবাহিত করার ব্যবস্থা করতে, নিজের কুঠার দিয়ে পর্বত সমূহ ভেদ করে, পথ তৈরি করলেন। পরশুরামের দেখানাে পথেই বহ্মপুত্রের জল- প্রবাহের প্রবাহিত হওয়ার সুচনা হল-
তিব্বতের লােহিত-সরােবর থেকে পূর্ব দিকে প্রাগজ্যোতিষ প্রদেশের মধ্যে দিয়ে গিয়ে, কামাখ্যা পর্বত স্পর্শ করে, বঙ্গ প্রদেশ দিয়ে সেই জল প্রবাহ সাগরে এসে মিলিত হয়। এরপর পরশুরাম গেলেন সিদ্ধপুর, তাঁর তৃতীয় দ্বায়িত্ব পালনে, সেখানে বিন্দু- সরােবরের জলে #মাতৃ-তর্পণ সেরে তিনি মাতৃ হত্যার পাপ থেকে নিশ্চিন্ত হলেন।

এবার আসি #ক্ষত্রিয়-কূল সমূহের ধ্বংসের কথায়ঃ- একদা নর্মদার তীরের ঋষি জমদগ্নির আশ্রমে পুত্রদের অনুপস্থিতির সুযােগে হৈহয়-রাজ #কার্তবীর্য-অর্জুন, মহর্ষি জমদাগ্নির আশ্রম আক্রমণ করেন। সব কিছু ভেঙে তছনছ করেন এবং #হােমধেনু গাভী হরণ করে নিয়ে যান। আশ্রমে ফিরে পরশুরাম পিতার কাছে এসব কথা শুনে স্তম্ভিত হলেন, তাঁর #ক্রোধাগ্নি জ্বলে উঠল এবং প্রতিজ্ঞা করলেন, কার্তবীর্যকে তিনি বধ করবেন।
এদিকে গুরুদেব কশ্যপের আশ্রমেও যাওয়া মানা, তাই তিনি তখন #ব্রহ্মর্ষি অগস্ত্যের কাছে গেলেন এবং অগস্ত্যের কথা মত, হিমালয়ের মানস সরবর, গঙ্গোত্রী ইত্যাদি পার করে তপােবনে গিয়ে তপস্যাতে রত হলেন। তপস্যা শেষে, নর্মদার তীরে, পিতা জমদগ্নির আশ্রমে ফিরে এসে পরশুরাম, #সহস্রবাহু কার্তবীর্যকে যুদ্ধে আহ্বান করেন, কার্তবীর্যকে সহস্রবাহু বলা হত, কারন সহস্র সংখ্যক সেনা দ্বারা এক সংগঠিত রণ নিপুণ সেনাবাহিনী ছিল তাঁর, প্রবল যুদ্ধ শুরু হল, তীক্ষ্ণ তীরের আঘাতে কার্তবীর্যের সহস্রবাহুছেদন করলেন পরশুরাম। এই যুদ্ধে কার্তবীর্যের পক্ষে মিথিলা, মৎস্য, মগধ প্রভৃতি সাম্রাজ্যের রাজারও যুদ্ধ করেন।
কিন্তু সেই সব রাজাকে পরশুরাম পরাজিত ও হত্যা করেন এবং যুদ্ধ শেষে কার্তবীর্য নিহত হন।
এবার জমদগ্নি পুত্র পরশুরামকে বলেন, ক্ষত্রিয় বধ করে তুমি পাপের ভাগী হয়েছ, প্রায়শ্চিত্তের জন্যে তপস্যাতে নিজেকে নিয়ােজিত কর। পিতার নির্দেশে, পরশুরাম তপস্যার জন্যে চলে গেলেন গঙ্গোত্রী পার করে সেই হিমালয়ের তপােবনে। পরে এর প্রতিশােধ নেওয়ার জন্যে, কার্তবীর্য-এর #পুত্রেরা পরশুরামের অনুপস্থিতিতে, আশ্রমে এসে জমদাগ্নিকে হত্যা করেন। জমদগ্নি বীরছিলেন, নিজের আত্মরক্ষা করতে পারতেন,কিন্তু তিনি তখন তপস্যাতে মগ্ন ছিলেন, তপশ্চর্যা ব্যহত হবে ভেবে, তিনি আত্মরক্ষার কোনও চেষ্টা করলেন না, জমদাগ্নির মৃত্যু হল।
মাতা রেনুকা-র আহ্বানে, নিজের তপস্যা ভঙ্গ করে আশ্রমে ফিরে, নিহত পিতাকে দেখে পরশুরাম উন্মাদের মত হয়ে গেলেন।
প্রথমে শােকে ভেঙে পড়লেন, তারপর হৈহয় বংশ #বিনাশ করবার জন্যে বের হলেন।
প্রথমে কার্তবীর্যের পুত্রদের ও তাঁদের অনুচরদের হত্যা করলেন!!
এইখানেই শেষ নয়, তিনি দেখলেন, পিতা জমদাগ্নিকে, কার্তবীর্যের পুত্রেরা #একুশ বার আঘাত করে হত্যা করেছেন। তাই এই উন্মত্ত ক্ষত্রিয়দের ক্ষমতা ২১বার চুর্ণ করার জন্যে প্রতিশােধের হায়, পরশুরাম মােট একুশবার পৃথিবীকে নিঃক্ষত্রিয় করার প্রতিজ্ঞা করলেন।

প্রতি দশ বছর অন্তর পৃথিবী নিঃক্ষত্রিয় করার জন্যে তিনি যুদ্ধ অভিযানে বের হতেন, এবং মধ্যবর্তী সময় তপস্যা রত থাকতেন। কার্তবীর্য পুত্রের সব স্মৃতি, পৃথিবী থেকে মুছে দিলেন, হৈহয় রাজাদের মহিষ্মতি নগরী ধ্বংস করে বংশে বাতি দেওয়ার জন্যে কেবলমাত্র এক জনকেই রাখলেন,,, তাঁর নাম #বীতহােত্র**
বিভিন্ন ক্ষত্রিয় নৃপতিদের হত্যা করার শেষে আবার তপস্যা করতে ফিরে গেলেন মহেন্দ্র পর্বতে, তবে তা শুধু দশ বছরের জন্যে।
তাঁর শিষ্য অকৃতব্রণকে তিনি বলেছিলেন, প্রতি দশ বছর অন্তর তাঁর এই ক্ষত্রিয় নিধনের সময় এলে যেন সে, তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেয়। এইভাবে মােট একুশ বার, অর্থাৎ ২০০ বছর ধরে, প্রতি দশ বছর অন্তর তিনি ক্ষত্রিয়কুল বিনাশ করেছেন এবং এতে তিনি অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, ক্ষুদ্রক, বিদেহ, ত্রিদত্ত, কুন্তি প্রদেশ, মাতৃশ্যামা, তামধীত, ত্রিবর্ত ইত্যাদি প্রদেশের প্রায় ১২ হাজার প্রধান রাজাকে নিহত করেছেন। এর পরে তিনি হাজার ক্ষত্রিয় রাজাকে বন্দী করে কুরুক্ষেত্রে নিয়ে আসেন, সেখানে পাঁচটি কুণ্ড খনন করে, তা ঐ রাজাদের রক্তে পূর্ণ করেন।
সেই রক্তে রুধির স্নান করে নিজের পিতৃপুরুষের তর্পণ করেন! কুরুক্ষেত্রের এই পাঁচ-কুণ্ড সমস্ত #পঞ্চক' তীর্থ নামে প্রসিদ্ধ।
পরশুরাম মহেন্দ্র পর্বতেই তপস্যা রত হয়ে, পরবর্তী ক্ষত্রিয় বিনাশ করার সময় আসার অপেক্ষাতে রইলেন। এরপর হনুমান ও পরশুরামের যুদ্ধ এবং পরশুরামের ক্রোধের সমাপ্তির কথা তুলে ধরছিঃ-

এইভাবে একুশ তম বারে যখন পরশুরাম ক্ষত্রিয় নিধন করে চলেছেন, তাঁর এই প্রতিজ্ঞার শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন, তখন সেইস্থানে ঘটনাক্রমে উপস্থিত হয়ে পড়েন, সঙ্কটমােচন বীর হনুমান।
কিছু ক্ষত্রিয় রাজাকে লুকিয়ে পালাতে দেখে, হনুমান তাঁদের এভাবে লুকিয়ে পড়ার কারণ জানতে চান। তাঁরা হনুমানকে পরশুরামের এই ২১ বার পৃথিবী নিঃক্ষত্রিয় করার প্রতিজ্ঞার কথা জানান। হনুমান সম্পূর্ণ বিষয়টা বুঝে দেখেন এক রাজার অন্যায়ের সাজা তাে পরশুরাম অনেক রাজবংশের উপরে দিয়ে চলেছেন, এতে অনেক নিরপরাধ রাজার মৃত্যু হয়েছে, এ তাে অধর্ম হচ্ছে।

পরশুরামের ক্রোধ তাে অনিয়ন্ত্রিত হয়ে চলেছে, একে নিয়ন্ত্রণ করা খুব দরকার। এই ভেবে মহাদেবের রুদ্র অবতার পবন-তনয় কেশরী-নন্দন মহা-বলশালী বীর হনুমান রুখে দাঁড়ালেন শ্রীহরি-বিষ্ণুর প্রবল পরাক্রমী অবতার পরশুরামের এই ক্ষত্রিয়কুল বিনাশ যজ্ঞ।
পরশুরাম ও হনুমান দুজনেই #চিরজীবী, কিন্তু একে অপরের ব্যাপারে জানেন না।
নারায়ণের অবতার পরশুরাম যেমন দেবাদিদেব মহাদেবের বিশেষভক্ত সাধক, তেমন মহাদেবের অবতার হনুমানের জীবনের মূল লক্ষ্য নারায়ণের পরবর্তী অবতার শ্রীরামচন্দ্রের সেবা করা। এই দুই মহা-পরাক্রমী পরশুরাম ও হনুমান এখন মুখােমুখি! প্রথমে হনুমান এক পাহাড়ের চূড়া তুলে এনে বেঁচে থাকা অবশিষ্ট ক্ষত্রিয়দের আড়াল করে পরশুরামের সামনে ফেললেন এবং সেই পাহাড়ের মাথার উপর উঠে দাঁড়ালেন জগৎ-সংসারে কেউ তাঁর ক্রোধের সম্মুখে আসার সাহস দেখায় না, তাঁর পথরােধ করে দাঁড়ানাে এই কপি-র পরিচয় তখন জানতে চাইলেন পরশুরাম। হনুমান উত্তরে নিজের সম্পূর্ণ পরিচয় দিয়ে বলেন, হে ঋষি শ্রেষ্ঠ মহাবীর পরশুরাম, আপনি ক্রোধের বশে তাে এত দিনে অনেক নিরপরাধ ক্ষত্রিয় রাজার প্রাণ নিয়ে ফেলেছেন, এখন ক্ষান্ত হােন।
এবার পরশুরাম উত্তরে, আরও ক্রুদ্ধ হয়ে হনুমানকে তাঁর সাথে যুদ্ধে আহ্বান জানালেন। তখন হনুমানের গদার সাথে পরশুরামের কুঠারের আঘাতের ঝংকারে ত্রিভুবন প্রকম্পিত হয়ে উঠল।
শুরু হল মহা ভয়ঙ্কর যুদ্ধ, পরশুরামের সাথে হনুমানের এই বিশাল যুদ্ধ দেখে দেবতারা প্রমাদ গুনলেন, যুদ্ধ করতে করতে উভয়েই পাতাললােকে প্রবেশ করলেন, আবার সেখান থেকে বেরিয়ে এলেন। হনুমান দেখলেন, পরশুরাম প্রবল ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর সাথে যুদ্ধ করে চলেছেন, এমতাবস্থায় তাঁকে কিছু বােঝানাে সম্ভব নয়। এবার হনুমান পরশুরামের মস্তিষ্কের উপর মানসিক বল প্রয়ােগ করে তাঁকে মূর্ছা গ্রস্থ করলেন।

পরশুরাম তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থাতেও ক্ষত্রিয় নিধন করার প্রলাপ বকতে লাগলেন,দেখে হনুমান বুঝলেন তাঁর ক্ষোভ এতটাই প্রভাবিত হয়ে রয়েছে যে মস্তিষ্ককেও আচ্ছন্ন করে রেখেছে।

এবার মূৰ্ছিত পরশুরামের দেহের পাশে হনুমান ধ্যানে বসলেন এবং সুক্ষ্ম শরীরে পিতৃলােকে প্রবেশ করে পরশুরামের পিতা-মাতা জমদাগ্নি ও রেনুকা কে আহ্বান করলেন। তাঁরা এসে পুত্র পরশুরামকে বােঝালেন যে, তাঁর এই অনিয়ন্ত্রিত ক্রোধের জন্যে মৃত্যুর পরেও তাঁরা শান্তি পাচ্ছেন না, তাই পরশুরাম যেন #শান্তির পথে ফিরে আসেন।
এবার পিতা-মাতা বিদায় নেওয়ার পরে,পরশুরামের মূৰ্ছা ভঙ্গ হয়ে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন, হনুমানের প্রতি প্রণাম জ্ঞাপন করে শান্ত মনে মহেন্দ্র পর্বতে তপস্যাতে চলে গেলেন। সেখান থেকে মহাদেবের কাছে আর্তি জানালেন যে, এত বছর ধরে তাঁর ক্ষত্রিয় হত্যার ফলে পৃথিবীর সকল নদ-নদীর জল রক্তে ভরে গেছে, সে সকলকে পুনরায় বিশুদ্ধকরে দিতে।
এরমধ্যে একদা মহর্ষি কশ্যপ, অবুদ পর্বতে তপস্যারত ছিলেন, সেখানে চিন্তামগ্ন এই ঋষির কাছে, রক্তাক্ত ছিন্ন-ভিন্ন অবস্থায় পাঁচ-ছয় জন ক্ষত্রিয় এসে তাঁকে প্রণাম করেন ও তাঁদের দুর্দশার কাহিনী বর্ণনা করেন, ওঁদের মধ্যে একজনের নাম বীতহােত্র।
তাঁর কাছ থেকে বিস্তারিত সকল কিছু শুনে ও বুঝে কশ্যপ দেখেন তাঁর প্রিয় শিষ্য পরশুরাম-ই হলেন এঁদের দুঃখের কারন। তখন তিনি তাঁদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, তিনি নিজে গিয়ে সব সমাধান করে দেবেন। এরপর কশ্যপ গেলেন মহেন্দ্র পর্বতে, পরশুরামের কাছে। তাঁকে দেখে পরশুরাম ছুটে এসে গুরুদেবের পায়ে লুটিয়ে পড়লেন, এবং বললেন, আপনাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, আমি অকারণে যুদ্ধ করিনি।
গুরুদেব কশ্যপ, পরশুরামকে শান্ত করে বলেন, তােমার প্রতিজ্ঞা সম্পন্ন হয়েছে, তাই তােমার সকল কাজ ও শেষ, এবার আমার #গুরুদক্ষিণা দাও।
তখন পরশুরাম তার বিজিত সকল রাজ্য গুরুদেবকে অর্পণ করলেন। সেখানে দেবরাজ ইন্দ্র উপস্থিত ছিলেন..........
পরশুরাম গুরু কাশ্যপ ও ইন্দ্রকে আর যুদ্ধ না করার কথা দিলেন এবং পিতৃ-পুরুষের প্রতি তর্পণ করে শান্ত হলেন। তারপর গুরু কাশ্যপের কথামত, স্যাদ্রি পর্বতে গিয়ে থাকা শুরু করলেন। তিনি চিরজ্ঞীবি তাই এখনও তিনি তপস্যামগ্ন রয়েছেন। মহাভারতের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ভীষ্ম ও দ্রোণাচার্য পরশুরামের কাছে অস্ত্রবিদ্যা গ্রহন করেন, রামায়ণে রামের হরধনু ভঙ্গের সময় তিনি প্রতিবাদী ছিলেন, কলিযুগেও তিনি ব্রাহ্মণ সমাজের আদর্শ হিসেবে বিরাজমান। তবে বর্তমান সময়ে তার মতো শস্ত্রধারী বীরের ভারতবর্ষে উপস্থিতি কামনা করি তবেই সমাজের অসুররুপি ম্লেচ্ছ জাতির সমুলে বিনাশ সম্ভব হবে।

তাই সকলে আসুন আগামী অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যলগ্নে এই মহাবীর পরশুরাম অবতারের আবাহনে দীপ প্রজ্বলন করি এবং প্রার্থনা করি সমাজের ব্যাধি স্বরুপ ম্লেচ্ছজাতিকে তিনি পৃথিবী থেকে উচ্ছেদ করুন ও শান্তি ফিরিয়ে আনুন।

💞🙏 _____🌿জয় শ্রী পরশুরাম🌿_____🙏💞

Address

West Bangla

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ব্রজধাম posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category