DXN DAILY LIFE

DXN DAILY LIFE Sumon sumon

With Simply Tasnia  – I just got recognized as one of their top fans! 🎉
07/10/2024

With Simply Tasnia – I just got recognized as one of their top fans! 🎉

Kodak কোম্পানিকে মনে আছে? ১৯৯৮ সালে কোড্যাক কোম্পানিতে প্রায় ১লক্ষ ৭০ হাজার কর্মচারী কাজ করতেন।এবং বিশ্বে ছবি তোলার প্রা...
06/09/2024

Kodak কোম্পানিকে মনে আছে? ১৯৯৮ সালে কোড্যাক কোম্পানিতে প্রায় ১লক্ষ ৭০ হাজার কর্মচারী কাজ করতেন।
এবং বিশ্বে ছবি তোলার প্রায় ৮৫% ই কোড্যাক ক্যামেরায় তোলা হত। গত কয়েক বছরে মোবাইল ক্যামেরার বাড়বাড়ন্ত হওয়ায় এমন অবস্থা হয় যে Kodak ক্যামেরার কোম্পানীটাই উঠে যায়। এমনকি Kodak সম্পুর্ন দেউলিয়া হয়ে পড়ে এবং এদের সমস্ত কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক ছাঁটাই করা হয়।

ওই একই সময়ে আরো কতগুলি বিখ্যাত কোম্পানি তাদের ঝাঁপ পাকাপাকি বন্ধ করতে বাধ্য হয়। যেমন-

HMT (ঘড়ি)
BAJAJ (স্কুটার)
DYANORA (TV)
MURPHY (radio)
NOKIA (Mobile)
RAJDOOT (bike)
AMBASSADOR (গাড়ি)

এই উপরের কোম্পানিগুলোর মধ্যে কারুরই কোয়ালিটি খারাপ ছিল না। তবুও এই কোম্পানি গুলো উঠে গেল কেন? কারণ এরা সময়ের সাথে নিজেকে বদলাতে পারেনি।

এখনকার সময়ে দাঁড়িয়ে আপনি হয়তো ভাবতেও পারছেন না যে সামনের 10 বছরে দুনিয়া কতটা পাল্টে যেতে পারে! এবং আজকের 70%-90% চাকরিই সামনের 10 বছরে সম্পুর্নভাবে বিলুপ্ত হতে চলেছে। আমরা ধীরে ধীরে ঢুকে পড়েছি "চতুর্থ শিল্প বিপ্লব"-এর যুগে।

আজকের বিখ্যাত কোম্পানিগুলোর দিকে তাকান-

UBER কেবলমাত্র একটি software-এর নাম। না, এদের নিজস্ব কোন গাড়ি নেই। তবু আজ বিশ্বের বৃহত্তম ট্যাক্সি-ভাড়ার কোম্পানি হল UBER.

Airbnb হল আজকে দুনিয়ার সবথেকে বড় হোটেল কোম্পানি। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, পৃথিবীর একটি হোটেলও তাদের মালিকানায় নেই।

একইভাবে Paytm, ওলা ক্যাব, Oyo rooms ইত্যাদি অসংখ্য কোম্পানির উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে।

আজকে আমেরিকায় নতুন উকিলদের জন্য কোন কাজ নেই, কারণ IBM Watson নামে একটি আইনি software যে কোন নতুন উকিলের থেকে অনেক ভাল ওকালতি করতে পারে। এইভাবে পরের 10 বছরে প্রায় 90% আমেরিকানদের আর কোন চাকরি থাকবে না। বেঁচে থাকবে খালি বাকি 10%। এই 10% হবে বিশেষ বিশেষজ্ঞ।

নতুন ডাক্তারদেরও চাকরি যেতে বসেছে। Watson নামের software মানুষের থেকেও 4 গুন নিখুঁত ভাবে ক্যানসার এবং অন্যান্য রোগ শনাক্ত করতে পারে। 2030 সালের মধ্যে কম্পিউটারের বুদ্ধি মানুষের বুদ্ধিকে ছাপিয়ে যাবে।

সামনের 20 বছরে আজকের 90% গাড়িই আর রাস্তায় দেখা যাবে না। বেঁচে থাকা গাড়িগুলো হয় ইলেক্ট্রিকে চলবে অথবা হাইব্রিড গাড়ি হবে। রাস্তাগুলো ক্রমশঃ ফাঁকা হতে থাকবে। পেট্রোলের ব্যবহার কমবে এবং পেট্রোল উৎপাদনকারী আরব দেশগুলি ক্রমশঃ দেউলিয়া হয়ে আসবে।

তখন গাড়ি লাগলে, উবারের মত কোন software-এর কাছেই গাড়ি চাইতে হবে। আর গাড়ি চাইবার কিছুক্ষনের মধ্যেই সম্পূর্ণ চালক-বিহীন একটা গাড়ি আপনার দরজার সামনে এসে দাঁড়াবে। আপনি যদি অনেকের সাথে ওই একই গাড়িতে যাত্রা করেন, তাহলে মাথাপিছু গাড়িভাড়া বাইকের থেকেও কম হবে।

গাড়িগুলো চালকবিহীন হবার ফলে 99% দুর্ঘটনা কমে যাবে। এবং সেই কারণেই গাড়ি-বীমা করানো বন্ধ হবে এবং গাড়ি-বিমার কোম্পানি গুলো সব উঠে যাবে।

গাড়ি চালানোর মত কাজগুলো আর পৃথিবীতে বেঁচে থাকবে না। 90% গাড়িই যখন রাস্তা থেকে উধাও হয়ে যাবে, তখন ট্রাফিক পুলিশ এবং পার্কিং-এর কর্মী-দেরও কোন প্রয়োজন থাকবে না।

ভেবে দেখুন, আজ থেকে 10 বছর আগেও রাস্তার মোড়ে মোড়ে STD বুথ ছিল। দেশে মোবাইল বিপ্লব আসার পর, এই সবকটা STD বুথই কিন্তু পাততাড়ি গুটাতে বাধ্য হল। যেগুলো টিকে রইল, তারা মোবাইল রিচার্জের দোকান হয়ে গেল। এরপর মোবাইল রিচার্জেও অনলাইন বিপ্লব এল। ঘরে বসেই অনলাইনে লোকে মোবাইল রিচার্জ করা শুরু করল। এই রিচার্জের দোকান গুলোকে তখন আবার বদল আনতে হল। এরা এখন কেবল মোবাইল ফোন কেনা-বেচা এবং সারাইয়ের দোকান হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সেটাও বদলাবে খুব শিগগিরই। Amazon, Flipkart থেকে সরাসরি মোবাইল ফোন বিক্রি বাড়ছে।

টাকার সংজ্ঞাও পাল্টাচ্ছে। একসময়ের নগদ টাকা আজকের যুগে "প্লাস্টিক টাকায়" পরিণত হয়েছে। ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ডের যুগ ছিল কদিন আগেও। এখন সেটাও বদলে গিয়ে হয়ে যাচ্ছে মোবাইল ওয়ালেট-এর যুগ। Paytm-এর রমরমা বাজার, মোবাইলের এক টিপে টাকা এপার-ওপার।

যারা যুগের সাথে বদলাতে পারে না, যুগ তাদের পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়। তাই ক্রমাগত যুগের সাথে বদলাতে থাকুন।

সাফল্যকে সাথে রাখুন, সময়ের সাথে থাকুন।

পোষ্ট ভালো লাগলে পেজটি ফোলো করে রাখুন।

@

👍👍👍একজন প্রবীণ মহিলা বাসে উঠে বসল। পরের স্টপে একজন শক্ত সমর্থ যুবতী উঠে এসে বৃদ্ধা মহিলার পাশে বেশকিছু ব্যাগ নিয়ে ঠেলে ...
23/06/2024

👍👍👍একজন প্রবীণ মহিলা বাসে উঠে বসল। পরের স্টপে একজন শক্ত সমর্থ যুবতী উঠে এসে বৃদ্ধা মহিলার পাশে বেশকিছু ব্যাগ নিয়ে ঠেলে ঠুলে বসে পড়ল।

যুবতীটি যখন দেখল যে বয়স্কা মহিলা চুপ করে রয়েছেন, তখন সে বৃদ্ধা মহিলাকে জিজ্ঞাসা করল যে সে যখন ব্যাগ নিয়ে চেপে চুপে বসলো, তখন তিনি কেন অভিযোগ করলেন না!

প্রবীণ মহিলা হাসি দিয়ে জবাব দিলেন: '' এত তুচ্ছ কিছু নিয়ে আলোচনা করার দরকার নেই, কারণ তোমাকে পাশে নিয়ে আমার ভ্রমণটি খুব ছোট কারণ আমি পরের স্টপে নেমে যাচ্ছি। "

এই উত্তরটি সোনার অক্ষরে লেখার দাবিদার: "এত তুচ্ছ কিছু নিয়ে আলোচনা করার দরকার নেই, কারণ আমাদের একসাথে যাত্রা খুবই ছোট"।

আমাদের প্রত্যেককে বুঝতে হবে যে, এই পৃথিবীতে আমাদের সময়টি এতটাই স্বল্প যে রেশারেশি, অনর্থক যুক্তি, তর্ক, হিংসা, অন্যকে ক্ষমা না করা, অসন্তুষ্টি এবং অন্যকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা মনোভাবটা দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া 'সময় এবং শক্তির' একটি হাস্যকর অপচয়।

কেউ কি আপনার হৃদয় ভেঙেছে?

শান্ত থাকুন,

ট্রিপটি খুব ছোট।

কেউ আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, ভয় দেখিয়েছে, ঠকিয়েছে বা অপমান করেছে?

"আরাম করুন। ক্ষমা করে দিন। কারণ ট্রিপটি খুব ছোট"।

কেউ আপনাকে বিনা কারণে অপমান করেছে?

"শান্ত থাকুন, এড়িয়ে যান কারণ ট্রিপটি খুব ছোট"।

কোন সাক্ষাতে আপনার বন্ধু আপনি যা পছন্দ করেন না এমন কোন মন্তব্য করেছিলেন?

"শান্ত থাকুন, তাকে উপেক্ষা করুন, ক্ষমা করে দিন, কারণ ট্রিপটি খুব ছোট"।

কেউ আপনার জন্য যে সমস্যাই নিয়ে আসুক না কেন, মনে রাখবেন যে একসাথে আমাদের যাত্রা খুব ছোট।

এই ভ্রমণের দৈর্ঘ্য কেউ জানে না। এটি কখন থামবে তা কেউ জানে না। আমাদের একসাথে ভ্রমণ খুব ছোট।

আসুন কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী না ভেবে সহযাত্রী ভেবে একে অন্যকে সহযোগিতা করি, কারণ ট্রিপ টি খুবই ছোট্ট কিন্তু কাজ অনেক।
এই অল্প সময়ে অনর্থক সময় নষ্ট না করে সততার সাথে নিজেকে সফল করতে চেষ্টা করি।
সবার জন্য অবিরাম ভালোবাসা।

#সংগৃহীত

09/06/2024
19/05/2024

আমাদের ছেলেরা কীভাবে পুরুষ হবে?

গ্রামের বাড়িতে গেছি বেড়াতে।
রাতের বেলা শুধু মুরগির বাচ্চার কিচিরমিচির শুনছি। একটু ডিস্টার্বই হচ্ছে। দোতলার বারান্দায় নাকি আম্মু মুরগির বাচ্চা এনে রেখেছেন। জানতে চাইলাম, মুরগির খোপ রেখে এখানে এগুলো কেন রেখেছেন? আম্মু জানালেন যে, মুরগির বাচ্চা মায়ের সাথে যত বেশিদিন থাকে তত দেরিতে ডিম দেয়, আর মা থেকে আলাদা করে রাখলে দ্রুত ডিম দেওয়া শুরু করে।

চট করে আমার চিন্তাটা মুরগির বাচ্চা থেকে সরে আমাদের বর্তমান সমাজের আধুনিক প্রজন্মের ‘ছেলেবাবুদের’ দিকে সরে গেল, যারা বয়স পচিশ-ত্রিশে এসেও মানসিকভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হতে পারে না।

আমার বন্ধু শরিফ। ওরা দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশি বৃটিশ। ওর বাবা গিয়েছিলেন ষাটের দশকে। ও ওর নিজের জীবনের দারুণ একটা ঘটনা শুনিয়েছিল আমাকে। ওর বয়স যেদিন ষোলো বছর পূর্ণ হয়ে সতেরোতে পড়ল, সেদিন ওর বাবা ওকে ডেকে বললেন, এখন থেকে তুমি বৃটিশ আইন অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্ক, স্বাধীন ও স্বনির্ভর পুরুষ।

এখন থেকে তোমার দায়িত্ব তোমাকেই বহন করতে হবে। তোমার লেখাপড়ার খরচা তোমাকেই যোগাতে হবে। আর আমার বাসায় থাকতে হলে বাসা ভাড়া, আর খেতে হলে খাবার খরচ দিতে হবে। যেই কথা সেই কাজ। কোনো ছাড় নেই। শরিফ বাধ্য হয়ে একটা শপে পার্টটাইম কাজ জোগাড় করল। স্কুল শেষে সেখানে কাজ করত।

সেই টাকা দিয়ে বাসা ভাড়া আর খাবার বিল দিত। লেখাপড়া তো সরকারি স্কুলে, তাই এক বাচা বাঁচল। বৃটিশ কালচারে এটা স্বাভাবিক হলেও বাঙালী হিসেবে বাবার এই আচরণ মেনে নিতে ওর বেশ কষ্ট হয়েছিল। এই সময়টাতে বাবার প্রতি জমেছিল এক রাশ ঘৃণা আর অভিমান। এই ঘৃণা আর অভিমান কিভাবে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় রূপ নিয়েছিল তা আমরা একটু পরে বলছি।

জীবনের এই প্রথম ধাক্কাই তাকে অনেকটা পরিপক্বতা এনে দিয়েছিল। ১৯ বছর বয়সে বিয়ে করেছিল। এখন মাত্র ৪৫ বছর বয়সে ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে গেছে।

আমি শরিফকে আমার এই বিশ বছরের বন্ধুত্বের জীবনে অসংখ্য ভালো কাজের উদ্যোগ নিতে ও অংশগ্রহণ করতে দেখেছি। অনেক অসহায় মানুষকে, পরিবারকে ও সাহায্য করেছে।

ঠিক এর বিপরীতে গেলে আমাদের সমাজে অসংখ্য মানুষ দেখতে পাবেন, যারা ত্রিশে এসেও বালকসুলভ জীবন কাটায়, পুরুষ হয় না। কোনো দায়িত্ব নিতে সক্ষম নয়, কোনোকিছুতে স্থির নয়, কোনো লক্ষ্যপানে ধাবিত নয়, কোনো অর্জনের জন্য স্থির নয়।

আমাদের অধিকাংশ মানুষদের দেখবেন বলতে, ছেলেমেয়েদের জন্যই তারা খেটে মরে, বাড়িগাড়ি বানায়। জিজ্ঞেস করলে বলে, আমরা যে কষ্টের মধ্য দিয়ে গেছি আমার ছেলেমেয়েরা যেন তার মধ্য দিয়ে না যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এ ধরণের চিন্তার বাবা-মায়ের সন্তানরা খুবই অযোগ্য ও দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়।

যে বাবা-মা তাদের জন্য খেটে মরেছে, তাদের জন্য কিছু করা তো দূরের কথা, তারা নিজেদের দায়িত্বই নিতে সক্ষম হয় না। বাবা-মায়ের রেখে যাওয়া সম্পদের উপর নির্ভরশীল হয়। সেটা ফুরিয়ে গেলে চরম মানবেতর জীবনযাপন করে।

আমাদের ভিতরে যারা একটু স্মার্ট এবং বাস্তবসম্মত চিন্তা করেন, তারা ভাবেন—ছেলেমেয়েদের জন্য বাড়িগাড়ি রেখে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব নয়, তাদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলাই আমাদের দায়িত্ব।

তারা দেখা যায় উন্নত লেখাপড়ার জন্য ছেলেমেয়ের পিছনে অঢেল টাকাপয়সা ব্যয় করেন, দুনিয়ার সকল ঝুটঝামেলা ও বাস্তবতা থেকে এমনভাবে দূরে রাখেন, ফলে তারা হয় ‘শিক্ষিত বলদ’।

সত্যিকারভাবে ছেলেদেরকে পুরুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ খুব কম মানুষই গ্রহণ করতে পারেন। আর এর অবধারিত ফল হলো ব্যক্তি হিসেবে, পরিবার হিসেবে, সমাজ ও জাতি হিসেবে পিছিয়ে পড়া।

একটা মানুষ যদি পৃথিবীর জন্য পনেরো-ষোলো বছর থেকে অবদান রাখা শুরু করতে পারে, তাহলে তার অবদানের মাত্রা ও মান দুটোই অনেক বৃদ্ধি পায়। পক্ষান্তরে কথিত মাস্টার্স শেষ করে কর্পোরেট স্লেইভ হতে হতে যে সময় ব্যয় হয়ে যায়, তাতে অবদান রাখার সময় যেমন হারিয়ে যায়, তেমনই অবদানের মানও আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভালো হয়ে ওঠে না।

আমি ড্রাইভিং শিখেছিলাম ৩৩ বছর বয়সের দিকে। আমার এক বন্ধু তখন বলেছিল—তুমি এখন আর ফার্স্ট ক্লাস এফিশিয়েন্ট ড্রাইভার হতে পারবা না, তুমি হবা ‘আংকেল ড্রাইভার’। সামনের আরেকটা গাড়ির পেছনে পেছনে স্টিয়ারিং ধরে গাড়ি চালিয়ে তোমার জীবন যাবে।

আমি খুব গভীরভাবে লক্ষ্য করলাম যে, কথা খুবই সত্য। আমার পাশ দিয়ে বহু গাড়ি কাটিয়ে চলে যায়, আর আমার কাছে সামনের গাড়ির পিছনে ধরে রাখাকেই নিরাপদ ও আরামদায়ক মনে হয়। তাই দেরি করে দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারটা শুধু দায়িত্বজ্ঞানহীন করে তা-ই নয়, দায়িত্ববোধের মান ও দায়িত্ব পালনের যোগ্যতাও হ্রাস করে ফেলে।

বাবার প্রতি শরিফের ঘৃণা আর অভিমানের কথা মনে আছে? এবার বলি সেই ঘৃণা আর অভিমান কিভাবে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় রূপ নিয়েছিল। বিয়ের দু’বছর পর যখন একটা ব্যবসা দাড় করানোর জন্য ভালো অংকের একটা নগদ অর্থ দরকার হলো তখন সেই কঠোর বাবা তার হাতে পাউন্ডের একটা বান্ডিল দিয়ে বলেছিলেন, ‘এটা বাসা ভাড়া আর খাওয়ার খরচ হিসেবে দেওয়া তোমার সেই অর্থ।

এমন কোনো প্রয়োজনের সময় দেওয়ার জন্য জমা করে রেখেছিলাম’। জীবনে কোনো এক সময় যদিও বাবার প্রতি শরিফের ঘৃণা জন্মেছিল, কিন্তু এখন বাবার সেই কঠোরতাটুকুকে সে তার জীবনের অমুল্য সম্বল মনে করে এবং বাবাকে নিয়ে সে আজ সত্যিকারে গর্ব অনুভব করে।

সেই মুরগির গল্পে ফিরে আসুন। ফিরে আসুন ইসলামের বাতলানো সমাজ চিন্তায়। মুরগির বাচ্চা যেমন মায়ের ডানার তলে থাকলে ডিম দেবে না, তেমনি আপনার ছেলেকে যতদিন ডানার নিচে রাখবেন সে দায়িত্বশীল হবে না। এটা সৃষ্টির প্রকৃতির মধ্যে দেওয়া স্রষ্টার অমোঘ নিয়ম। ইসলাম বলে একটা ছেলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার তিনটা সাইন:

১. স্বপ্ন*দো-ষ হওয়া
২. নাভির নিচে লো+ম গজানো, কিংবা
৩. বয়স পনেরো বছরে উপনীত হওয়া

এরপর ইসলামি আইনমতে সে একজন পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ। তার উপর শরিয়তের সকল আইন কার্যকর। মহান আল্লাহ এই সীমাটা এইজন্যই নির্ধারণ করেছেন যে, এই বয়স থেকে সে জীবন ও জগতে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন শুরু করবে।

আমাদের উচিত ছিলো, আমাদের সন্তানদেরকে এই বয়সে উপনীত হওয়ার আগেই তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন ও যোগ্য করে গড়ে তোলা; কিন্তু সেটা না করে একটা দীর্ঘ সময় তাদেরকে স্পুন ফিডিং করে আমরা একটি অকর্মন্য ও অযোগ্য প্রজন্ম গড়ে তুলছি।

(কালেক্টেড)

 যারা স্টুডেন্ট আছেন, অনুরোধ থাকবে ধৈর্য্য নিয়ে সম্পূর্ণ লেখাটা পড়া শেষ করবেন...আজকাল বেশির ভাগ স্টুডেন্টদেরই একটা সমস্য...
10/05/2024

যারা স্টুডেন্ট আছেন, অনুরোধ থাকবে ধৈর্য্য নিয়ে সম্পূর্ণ লেখাটা পড়া শেষ করবেন...

আজকাল বেশির ভাগ স্টুডেন্টদেরই একটা সমস্যা আছে। আর সেটা হলো, এরা সবাই ভালোবাসার জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছে। এরা বলে তাদের নাকি সত্যি কারের প্রেম হয়ে গেছে?
তাহলে আমি আপনাকে বলতে চাই, এই পৃথিবিতে প্রেম- ভালোবাসা বলে কিছু হয় না। আর যদিও সেটা হয় তবে তার সংখ্যাটা খুবই কম। তাই আজকাল যা কিছু হচ্ছে এটা কেবল মাত্র "এট্রাকশন"।

"এট্রাকশন" প্রাকৃতিক একটা জিনিস। আপনি ছেলে হলে মেয়ের প্রতি হবে আর মেয়ে হলে ছেলের প্রতি হবে। আর এই "এট্রাকশনকে" আমরা ভালোবাসা নাম দিয়ে দেই।

সত্যি বলতে আপনার কোনো লাভ হয় নি কেউ যদি আপনাকে বলে সে আপনাকে সত্যিই ভালোবাসে। তবে সেটা পরিক্ষা করে দেখুন...

যেমনঃ আপনি তাকে বলুন আপনার শরীর অসুস্থ এবং আপনি বেশি দিন বাঁচবেন না। দেখবেন কিছুদিন পরে সে আপনাকে কোনো অজুহাতে ছেড়ে চলে যাবে । কিন্তু একই কথা আপনি আপনার বাবা মা কে বলে দেখুন, দেখবেন তারা ঠিকই আপনাকে মেনে নিবে। আর যদি প্রয়োজন হয় এরা আপনার জন্য নিজেদের বিক্রি করে দিবে। আর এটাই হচ্ছে রিয়েল লাভ।

আর আজ লোক "এট্রাকশনকে" লাভ মনে করছে। আর এর জন্য নিজের জীবনকেও নষ্ট করে দিচ্ছে। আর এই সব কিছু আপনি ভূল করছেন। আপনার ক্যারিয়ার ছেড়ে যদি আপনি এই সবকিছু করেন তাহলে আপনার জীবনটাই নষ্ট হয়ে যাবে। আপনি যে সম্পর্ক তৈরি করেন আপনার স্কুল, কলেজ কিংবা কোচিংয়ে এসব সম্পর্ক পারমানেন্ট সম্পর্ক হতে পারে না।

আপনি যদি আপনার গার্লফ্রেন্ড, বয়ফ্রেন্ড কে বিয়ে করেন তাহলে সেটা আপনার জন্য বেস্ট ছেলে, মেয়ে হবে। কিন্তু আপনার বাবা মা যাকে পছন্দ করবে সেটা আপনার জন্য ইউনিক হবে। যদি আপনি বেস্ট পছন্দ করেন তবে আপনি নাম্বার ওয়ান হবেন, আর যদি ইউনিক পছন্দ করেন তাহলে আপনি (You will only one) ইউ উইল ওয়ানলি ওয়ান হবেন।
তাই আপনার যদি ভালোবাসতেই হয়, তবে আপনার বইকে ভালোবাসুন, আপনার কাজকে ভালোবাসুন।
কারণ, এরা আপনাকে কখনোই ধোকাঁ দিবে নাহ, কিছু না কিছু অবশ্যই দিয়ে যাবে।

দিন সবার জন্যই ২৪ ঘন্টার হয়। এমন না যে কেউ আলাদা করে সময় পায়। কিন্তু এই ২৪ ঘন্টায়ই কেউ ভালোবেসে পতি হতে চায়, আবার কেউ পরিশ্রম করে কোরো পতি হতে চায়। এখন আপনিই ভেবে দেখুন, আপনি কি হতে চান?

লোক কিছু বছর পর যখন আপনার সঙ্গে দেখা করবে তখন তারা এটা জিজ্ঞেস করবে না যে, আপনার কয়টা গার্লফ্রেন্ড, বয়ফ্রেন্ড আছে। তারা এটাই জিজ্ঞেস করবে, আপনি কতো টাকা রোজগার করেন, আপনার যোগ্যতা কতোটা?

এটাই পৃথিবীর নিয়ম, লোক কখনওই আপনার অবস্থা জিজ্ঞেস করবে না। তারা আপনার আর্থিক অবস্থা জিজ্ঞেস করবে। আজকাল লোক প্রমিস করে আমি তোমার সাথে সারা জীবন থাকবো। তাহলে আমি বলবো কেউ কারোর সাথে থাকে না, লোক যখন জানাযায় যায় তখনও কেবল কাধ অদল বদল করে নিয়ে যায়।

আর তাই এখন যদি আপনি মাথা নিচু করে পড়েন, আমি বলছি কিছুদিন পর আপনার মাথা সবার উপরে থাকবে। আর এখন যদি আপনি আরাম করার কথা ভাবেন তাহলে আপনার সারা জীবন কষ্ট সহ্য করতে হবে। আজ যদি আপনি আপনার বই কে আর কাজকে ভালোবাসেন, তাহলে কাল লোক আপনাকে ভালোবাসবে।

কোনো ড্রিম গার্ল/ড্রিম বয়ের জন্য কখনও নিজের বাবা মায়ের ড্রিমকে নষ্ট করবেন না।
আপনি আজ যেটাকে খুশি মনে করছেন সেটা কোনো খুশিই নয়। সত্যি বলতে কোনো স্টুডেন্ট এখনও খুশি দেখেই নি।
খুশি আপনি কবে পাবেন জানেন?
যেদিন আপনি প্রথম সেলারি পাবেন কিংবা আপনি আপনার বিজনেস শুরু করবেন (সেটাও কিন্তু খুশি নয়) কিন্তু যখন আপনি আপনার প্রথম সেলারি নিয়ে গিয়ে আপনার মায়ের হাতে দিবেন তখন আপনার চোখে পানি থাকবে।
তখন আপনি ফিল করবেন, যেই মায়ের আঙ্গুল ধরে আমি পথচলা শিখছি সেই মায়ের হাতেই আমি আমার প্রথম ইনকাম তুলে দিয়েছি। আর ঠিক তখনই আপনি সত্যিকারের খুশিটা ফিল করবেন। আর যখন আপনি ইনকাম করা শুরু করবেন তখন আপনি বুঝতে পারবেন, লক্ষ টাকারও কোনো মূল্য নেই সেই এক টাকার পিছনে, যখন আপনার মা স্কুল যাবার সময় আপনার হাতে দিতো।

একটু ভালোভাবে বাবা মায়ের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখুন, এটাই হলো সেই আয়না, যেখানে সন্তান কখনও বৃদ্ধ হয় না।

আর সব শেষ এটাই বলবো....
জীবনে কখনো নিজের মাঝে অহংকার কে আসতে দেবেন না। কারণ, অহংকার অনেক খারাপ জিনিস।
ছাদের অনেক অহংকার ছিলো তার ছাদ হবার, আর যখনই তার উপরে ঘর তৈরি হয় তখন সে মেঝে হয়ে যায়। তাই অহংকার করবেন না। যেদিন আপনার মধ্যে অহংকার আশা শুরু করবে যে, আমি অনেক বড় হয়ে গেছি, অনেক কিছু জেনে নিয়েছি, অনেক কিছু পড়ে নিয়েছি, আমি অনেক সাকসেস হয়ে গেছি, সেদিন আপনি কোনো কবরস্থানে কিংবা কোনো শসানে গিয়ে দেখে আসবেন, আপনার থেকে অনেক সেরা মানুষ আজ মাটির সাথে মিশে গেছে। তাই জীবনে কখনোই অহংকার করবেন না।

ধন্যবাদ সবাইকে ❤️

কালেক্ট করা

হটাৎ কিছু হওয়ায় লাভের চেয়ে ক্ষতিটাই বেশি হয়১ লাখে পাবেন ১১ লাখ টাকা...আপনি রিকশায় উঠেছেন। নামার সময় রিকশাচালক আপনাকে একট...
09/05/2024

হটাৎ কিছু হওয়ায় লাভের চেয়ে ক্ষতিটাই বেশি হয়
১ লাখে পাবেন ১১ লাখ টাকা...

আপনি রিকশায় উঠেছেন। নামার সময় রিকশাচালক আপনাকে একটা ডলার বা ইউরোর নোট দেখিয়ে বোকা বোকা ভাব নিয়ে বলবে, স্যার এইটা কী জিনিস দেখেনতো। আমার রিকশায় একজন ব্যাগ ফেলে গেছে। সেখানে এক বান্ডেলে ১০০টা এই কাগজ আছে।

হিসাব করে দেখলেন, ১০০ ডলারের একটি নোটে ১১ হাজার টাকা। ১০০টা নোট যদি নিতে পারি তাহলে ১১ লাখ টাকা পাবো। তাহলে আমারে আর পায় কে। রিকশাচালককে বোকা মনে করে অফার করলেন যে, এটা কোনো টিকিট বা অন্য কিছু, আপনাকে কিছু টাকা দিচ্ছি কাগজগুলো আমাকে দিয়ে দেন। তখন সে বলবে, আরেকজনকে দেখিয়েছিলাম, ওই স্যার ৭০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি দেইনি। তখন আপনি ১ লাখ টাকা দিতে চাইলেন। রিকশাচালক রাজি হয়ে গেল।

এবার আপনি টাকা জোগাড় করলেন। নিজের কাছে না থাকলে, মা, বন্ধু, খালা, ফুফু বা কারো থেকে ধার নিলেন। রিকশাচালককে ফোন করে বা দেখা করে তার সঙ্গে গেলেন। ১ লাখ টাকা দিলেন। সে কোথাও নিয়ে গিয়ে আপনাকে বান্ডেল এনে দিয়ে দিল।

আপনি এবার ডলার ভাঙ্গাতে গেলেন। এবার আপনার মাথায় ঠাটা পড়বে। দেখলেন ওই একটি নোট বাদে বাকি সব জাল নোট। রিকশাচালকও নাই, আপনার ১ লাখ টাকাও নাই। সঙ্গে আপনি যে মোটরসাইকেল কিনবেন, প্রেমিকাকে আইফোন গিফট করবেন, বোনের জন্য সোনার চেইন কিনবেন, আরো যেসব স্বপ্ন দেখেছিলেন সেগুলোও অন্ধকার হয়ে গেছে। এবার আপনি যার থেকে ১ লাখ টাকা নিয়েছিলেন সে এসে টাকা চাইতে থাকল। প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে বিপদে পড়লেন। লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু।

সচেতন হোন, অন্যকে সচেতন করতে পোষ্টটি শেয়ার করুন।

- আপনি যদি বুদ্ধিমান হন, তাহলে কখনোই হঠাৎ বড়লোক হওয়ার চিন্তা করবেন না। মনে রাখবেন, যেখানেই অস্বাভাবিক কিছু, সেখানেই কোনো একটা গন্ডগোল আছে। অস্বাভাবিক কিছুতে জড়িয়েছেন মানে একটা গন্ডগোলে জড়িয়েছেন।

  ব্যাবসা আমরা কেন করবো?আমি বলবো DXN আমাদের প্রত্যেকের করা উচিত। কারণ আমরা আমাদেরকে প্রশ্ন করি,আসলে আমরা জীবনে কি চাই।1,...
06/05/2024

ব্যাবসা আমরা কেন করবো?
আমি বলবো DXN আমাদের প্রত্যেকের করা উচিত। কারণ আমরা আমাদেরকে প্রশ্ন করি,আসলে আমরা জীবনে কি চাই।
1, আমরা প্রত্যেকে চাই নিজেকে সুস্থ্য রাখতে।
2, আমরা প্রত্যেকে চাই ভালো ইনকাম করতে।
3, আমরা প্রত্যেকে চাই আমাদের ভালো একটা কেরিয়ার গড়তে।
4, আমরা প্রত্যেকে চাই একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে।
5, আমরা প্রত্যেকে চাই ফেমাস হতে। আমরা প্রত্যেকে চাই আমাকে সকল মানুষ চিনুক।
6, আমরা প্রত্যেকে চাই দেশ বিদেশে ঘুরতে।
কিন্তু আমরা এগুলো পূরন করতে পারি না। তাই আমি বলবো DXN আমাদের জন্য একটি সুযোগ। পৃথিবীর যেকোন দেশ থেকে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে। আমরা আমাদের স্বপ্ন আশা পূরণ করতে পারি। শুধু কাজের পাশাপাশি 1 থেকে 3 বছর অবসর সময় কাজে লাগিয়ে এগুলো অর্জন করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
আর এ ইনকাম থাকবে সারা জীবন। জেনারেশন টু জেনারেশন।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন ইনবক্সে।

11/04/2024

DXN MUSSAFA Office Eid Celebrity Programme

06/04/2024

I got 9 reactions on my recent top post! Thank you all for your continued support. I could not have done it without you. 🙏🤗🎉

25/01/2024

dxn বন্ধ হয়ে যাবে চলে জাবে
সব হতে হতে ৩১ বছর হয়ে গেলো বিস্তারিত থাকছে ভিডিওতে

Address

Al Manamah

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when DXN DAILY LIFE posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to DXN DAILY LIFE:

Share