26/04/2023
শুধুমাত্র লাখপতি হওয়ার উদ্দেশ্যেই যে "উচ্চকাবিন" চাওয়া হয় এরকম ভাবলে ভুল হবে। এই উদ্দেশ্যের পাশাপাশি আরও কিছু উদ্দেশ্য থাকে।
যেমন : -----
#পরকীয়া করার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে । স্ত্রী পরকীয়া করে ধরা পড়ে গেলেও স্বামী যাতে তাকে কিছু বলতে না পারে বা বললেও যাতে কাবিনের টাকার ভয় দেখিয়ে স্বামীর মুখ বন্ধ করে দেওয়া যায় সেজন্য।
এক্ষেত্রে ডাক্তার আকাশের স্ত্রী ডাক্তার মিতুর 35 লক্ষ টাকা কাবিন লিখিয়ে নিয়ে, পরে নিজের ইচ্ছেমত একাধিক পুরুষের সাথে পরকীয়া করে যাওয়ার ঘটনাটা একটা বাস্তব উদাহরণ। এই উচ্চকাবিনের কারণেই মুলত স্ত্রী মিতুর পরকীয়া করে এটা জেনেও স্বামী ডাক্তার আকাশ মিতুকে ডিভোর্স দিতে পারেনি।
সুতরাং উচ্চকাবিন হচ্ছে বউয়ের পরকীয়া করার লাইসেন্স।
#স্বামীকে স্ত্রীর কথামত উঠবস করানোর উদ্দেশ্যে। সংসারে বউয়ের কথাই যেন শেষ কথা হয়। স্বামীর বাবা-মা কিংবা স্বামী নিজে যেন সংসারের কোন সিদ্ধান্ত নিতে না পারে।
#যেসব চরিত্রহীন মেয়েরা তাদের অতীতের নোংরামিগুলো গোপন করে বিয়ে করে, এবং ভবিষ্যতে তার এই প্রতারণা ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা এবং এর ফলে ডিভোর্সের সম্ভাবনা থাকে, সেসব মেয়েরা, অথবা সেসব মেয়েদের পরিবার উচ্চকাবিন লেখায়। যাতে সহজে ডিভোর্স দিতে না পারে। কোন কারণে যদি ডিভোর্স হয়েও যায়, তবুও যেন সেখান থেকে লাভ নিয়েই বাড়ি ফিরতে পারে মেয়ে।
উপরের তিনটা উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে এক বা একইসাথে একাধিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। যেটাই থাকুক না কেন সেটা যে আপনার সংসারে সুখ নিয়ে আসবে না সেটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। তাই আপনার যদি অঢেল সম্পত্তি থাকে, টাকা পয়সার কোন অভাব নাও থাকে, তবুও বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় উচ্চকাবিনে রাজি হওয়াটা উচিত হবে না। যদি আপনি সংসারে সুখ চান। এখন সেই উচ্চকাবিন বাকি কিংবা নগদ যাই লেখা হোক না কেন।
আর যদি রাজি হন, তাহলে আপনার চোখের সামনেই আপনার স্ত্রী পরকীয়া করবে, অথচ আপনি তাকে না কিছু বলতে পারবেন। না ডিভোর্স দিতে পারবেন। উল্টো আপনাকেই সে ডিভোর্স দেওয়ার ভয় দেখাবে। কাবিনের টাকাটার কথাও মনে করিয়ে দেবে।
#উচ্চকাবিন লেখানোর সময় প্রত্যেকটা মেয়ের পরিবার থেকেই মৌখিকভাবে বলা হয় যে এই টাকা ভবিষ্যতে কখনো দাবি করবে না তারা, জাস্ট সম্মান রক্ষার্থে লেখা, বা শুধু ফর্মালিটি মেইনটেইন করার উদ্দেশ্যে লেখা। কিন্তু বাস্তবে 99% ক্ষেত্রেই মেয়ের পরিবার পরবর্তীতে এই টাকা দাবি করে।