Mostarina Bizlee

Mostarina Bizlee The unexamined life is not worth living --Socrates. lets find the truth and real meaning together. my blog : https://idyllicbizlee.wordpress.com

এখন এতদিনে পার্বতীর কি হইয়াছে, কেমন আছে জানি না। সংবাদ লইতেও ইচ্ছা করে না। শুধু দেবদাসের জন্য বড় কষ্ট হয়। তোমরা যে-কেহ এ...
10/21/2025

এখন এতদিনে পার্বতীর কি হইয়াছে, কেমন আছে জানি না। সংবাদ লইতেও ইচ্ছা করে না। শুধু দেবদাসের জন্য বড় কষ্ট হয়। তোমরা যে-কেহ এ কাহিনী পড়িবে, হয়ত আমাদেরই মতো দুঃখ পাইবে। তবু যদি কখনো দেবদাসের মতো এমন হতভাগ্য, অসংযমী পাপিষ্ঠের সহিত পরিচয় ঘটে, তাহার জন্য একটু প্রার্থনা করিও। প্রার্থনা করিও, আর যাহাই হোক, যেন তাহার মতো এমন করিয়া কাহারও মৃত্যু না ঘটে।

মরণে ক্ষতি নাই, কিন্তু সে সময়ে যেন একটি স্নেহ-করস্পর্শ তাহার ললাটে পৌঁছে—যেন একটিও করুণার্দ্র স্নেহময় মুখ দেখিতে দেখিতে এ জীবনের অন্ত হয়। মরিবার সময় যেন কাহারও এক ফোঁটা চোখের জল দেখিয়া সে মরিতে পারে।

~শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

10/20/2025

What If Your Future Self Is Watching You Today?
Would You Be Proud of the Choices You’re Making today?

এমন একটা সময় আসে, বয়স আসে- কাউকে কৈফিয়ত দেবার প্রয়োজন হয় না।  কেউ কি ভাববে বা বলবে ভেবে পিছিয়ে যাওয়া অথবা চলন্ত রাস্তায় ...
10/16/2025

এমন একটা সময় আসে, বয়স আসে- কাউকে কৈফিয়ত দেবার প্রয়োজন হয় না।

কেউ কি ভাববে বা বলবে ভেবে পিছিয়ে যাওয়া অথবা চলন্ত রাস্তায় পেছন ফিরে কোন সন্দেহ উকি দেয়না। কে কি বুঝল, কেন বুঝল এসব নিয়ে মনে প্রশ্ন আসেনা। কোথায় কি হচ্ছে, কেন হচ্ছে এসব নিয়েও বাড়াবাড়ি রকমের চিন্তা নিতান্তই নিছক সময় অপচয় মনে হয়। কারো কাছে প্রয়োজন আছে বা ফুরিয়ে গেছে কিনা তা নিয়ে মাথাব্যথা নাই। কারো ইম্প্রেশন রক্ষা করার অযথা বারডেন নাই। কোন অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদের জন্য আর অবান্তর ভয় নাই, ক্ষয় নাই আর ক্ষয় নাই।

কি পেয়েছি আর কি পাইনি আর না পেলে কি হতে পারে- এই মাথা যন্ত্রণা করা ভাবনা গুলি মুক্ত হয়ে আকাশে ঘুরে বেড়ায়। কেউ কিছু বলেছে, অপমান করেছে বা গুরুত্ব দেয়নি সেগুলোর অধ্যায় সেখানেই শেষ -কোন রিয়েকশন নাই।

জীবন এমন একটা জায়গায় এসে দাড়িয়েছে - এখানে শুধু শান্তি আর শান্তি-কারন কোন কিছু চাইবার নেই, কোন বেদনা নেই, আফসোস নেই, ভূল বোঝা নেই, ভূলে ডুবে থাকাও নেই।

এই স্টেট অফ মাইন্ড শুধু সম্ভব চল্লিশে। চল্লিশ একটা গ্লোরিয়াস অধ্যায়, চল্লিশে উৎকন্ঠা পালিয়ে যায়, সব যুদ্ধ থেমে যায়, মন খারাপের দেয়াল গুলি ভেংে যায়। চল্লিশে "you are living through the wealthiest stage of life"

এমন একটা মনোবল গড়তে চাইলে ২০ থেকে ৪০ বছরের সময় গুলি নষ্ট কোরোনা, কাজে লাগাও। ভুল করো, শুদ্ধ করো, কাজে লাগাও।

একটা ছোট বীজ যেমন বড় একটা বৃক্ষ হতে সময় নেয়, ঠিক তেমনি ২০–৪০ বছর হলো সেই যত্নের সময়
যখন তুমি তাকে পানি দাও, সার দাও, ভালোবাসা দাও, সততা দিয়ে গড়ে তুল।

তোমার পরিশ্রম, অধ্যবসায়, আর আত্মনিয়ন্ত্রণের এই সঞ্চয়ই চল্লিশে গিয়ে তোমাকে পরিনত করবে এক unbeatable unstoppable mindset এ। তাই চল্লিশের পরের সৌন্দর্য সবদিক থেকে ঈর্ষনীয়।

আজকের ওয়েদার বেশ ভাল ছিল, ১৬-১৭° একদম perfect mix of warmth and cool air.বাসা থেকে বের হইছি সকাল ১১ টায়।প্রথমে ৩ কিমি হে...
10/13/2025

আজকের ওয়েদার বেশ ভাল ছিল,

১৬-১৭° একদম perfect mix of warmth and cool air.
বাসা থেকে বের হইছি সকাল ১১ টায়।

প্রথমে ৩ কিমি হেটেছি, এরপর পছন্দের পেস্ট্রি শপ থেকে চকলেট ক্রোসান্ট আর লেমন কাপ নিয়ে চলে গেছি দ্বিতীয় রাউন্ডে।
আরও ৫ কিমি। সব মিলিয়ে প্রায় ৮ কিমি।
So here’s to today - a day for movement, beauty of fall, treat and a small reminder that joy often lives in the simplest moments.

10/13/2025

A tour to Queen's university

Main Masters & PhD Programs :
Health Sciences: MNSc, MPH, MSc in Healthcare Quality, PhD in Nursing, PhD in Public Health
Engineering: MEng, MASc, PhD in Engineering (Civil, Mechanical, Electrical, Chemical etc.)
Sciences & Interdisciplinary: MSc & PhD in Biomedical, Molecular Sciences, Chemistry, Physics
Arts, Humanities, Social Sciences: MA, MEd, PhD in History, English, Sociology, Political Studies
Business & Management: MBA, Master of Management Analytics (MMA), PhD in Management Studies
Law: LLM, PhD in Law 🇨🇦

জীবনে ছোট ছোট এচিভমেন্ট গুলি সেলিব্রেট করার চেয়ে আমার কাছে ট্রু রিফ্লেকশন করাটা অনেক মিনিংফুল মনে হয়। আজকে তেমনি একটা দি...
10/10/2025

জীবনে ছোট ছোট এচিভমেন্ট গুলি সেলিব্রেট করার চেয়ে আমার কাছে ট্রু রিফ্লেকশন করাটা অনেক মিনিংফুল মনে হয়।

আজকে তেমনি একটা দিন, আমার কাছে ডিপলি ইমোশনাল একটা সময়। আজকে হয়তো শিবলী, আব্বু থাকলে একটা পরিপূর্ণ দিন মনে হত কিন্তু অপুর্নতার মধ্যেও যে অসম্ভব ভালবাসা অনুভব করতে পারা যায় সেটাও রিয়েলাইজশন হল। আমি জানিনা আমার এই অল্প লেখায় আমার মনের গভীরতা কতটা প্রকাশ করতে পারব৷

আমার লাইফে আজ পর্যন্ত পড়াশোনা বা চাকরি যেটা যখন করেছি, এই ব্যাপারে যে ডিসিশন নিয়েছি কোন ব্যাপারেই বিন্দুমাত্র রিগ্রেট নাই। না, বিন্দুমাত্র রিগ্রেট নাই। প্রতিটি ডিসিশন ভুল বা ঠিক হোক, প্রত্যেক টা জায়গায় শিখেছি। আমার অভিজ্ঞতা, ব্যাক্তিত্ত, আমার চিন্তা, আমার চলা বলা সবকিছু মিলেই তৈরি হয়েছে - আজকের এই আমি।

আমার জন্য ডিসিশন মেইক করা সবচেয়ে দুরুহ কাজ ছোটবেলা থেকেই। পি এইচ ডি করার সময় এতই কনফিউশান এ ছিলাম, কি করছি কেন করছি। এগ্রিকালচারের বাইরে গিয়ে এনিমেল সায়েন্স বুঝতে বুঝতে পিএইচডি র সময় শেষ হয়ে গেল। ২০১৫ তে যখন ফ্লোরিডায় ওয়ান অফ দ্য মোস্ট লারজেস্ট এবং প্রেস্টিজিয়াস কনফারেন্স (ADSA-ASAS) টুরে প্রায় ২৫০-৩০০ বিখ্যাত সায়েন্টিস্ট, রিসারচার এর সামনে নাইভ আমি ছোট খাট রিসার্চার!

আমার পেপারস এর অরাল প্রেজেন্টেশন করলাম,যেটাতে সামনে বসা এক্সপার্টস, প্রফেসরস, ইন্ডার্স্ট্রি প্রফেশনালস বেশ ইন্টারেস্ট পেল। অনেক কঠিন প্রশ্ন প্রেজেন্টেশন শেষে, গলা কাপতে কাপতে উত্তর দিলাম। পোস্টার ও ছিল -যেটা আমার লাইফের মাইলস্টোন অভিজ্ঞতা ছিল। পুরো জার্নি টা ট্রাইল এন্ড এরর এ গেছে, নতুন দেশ নতুন অভিজ্ঞতা।

কনভোকেশনের দিনেও বুঝিনাই কিভাবে পি এইচ ডির সময় টা শেষ হয়ে গেল, নেক্সট এ কি করব। আবার রিসার্চ এ যাওয়া তে একটুকুও মন বসে নাই। শিখেছি বাইরের কালচার, বাইরের মানুষ কিভাবে ভাবে ইত্যাদি ইত্যাদি আর মেইন যে স্কিল গুলি সেগুলি ত ছিলই কিন্তু সেগুলি কিভাবে কাজে লাগাব এগুলি কুল কিনারা খুজে পেতাম না। পি এইচ ডি ইটসেল্ফ আ হিউজ জার্নি। ব্রেক নিলাম, কোন ভিসন ই নাই কি করব। কানাডায় আসার পর আরেক যুদ্ধ, কালচারালি বাংলাদেশি কমিউনিটি তে বেশ এক্টিভ, রিটেইল জব করে ভালই সময় যাচ্ছিল। কারন তেমন কোন এম্বিসন নাই আর।

বাট সবচেয়ে বেশি যে স্কিল টা গ্রো করলো রিটেইল জবে- পিউপল স্কিল, কমিউকেশন, সেলিং, কাস্টমার সার্ভিস, প্রব্লেম সলভিং স্কিল। বাংলাদেশের মানুষেরা তখনও এই টা মেনে নিতে পারত না, লজ্জা পেত রিটেইলে জবের কথা প্রকাশ করতে কারো কাছে। আমাদের দেশের মানুষ বরাবরই বেশিরভাগই নাক উচু, নাক সিটকানো অভ্যাস, সততা তাদের কাছে দুর্বলতা আর হিপোক্রেসিতে তারা কমফোর্টেবল।

আজকে বলি, কেন এই আমার সোনার বাংলাদেশ ছেড়েছি: অনেক টা মোরাল এবং নিরাপত্তা ইস্যু তে। মনুষ্যত্ব থাকা মানুষের দেশে ষ্টে করা একটা স্ট্রাগল, সরি টু সে।

সাথে সাথে এই আনারি একটু একটু করে লিখে যাওয়া আমার ছোট্ট পেইজে। কোন কিছু ই প্লান নাই, শুধু এতটুকু জানতাম আমি আবার পড়াশোনায় ব্যাক করব। অনেকেই এইটা বললে নিরুৎসাহিত করত, কি করবা আবার পড়ে, টাইম নষ্ট, তোমার ত পি এইচ ডি আছে, পোস্ট ডকে ঢুকে যাও।

বাট আমার গাটস বলে, নাহ! এতে আমি কোন ইন্টারেস্ট পাচ্ছি না। আমার আগে থেকেই অন্য অনেক বিষয়ে লেখাপড়া করতে ইচ্ছে করত, যেমন, ফিলোসোফি বা আর্টসএর বা সায়েন্স এমনকি হার্বস বা ইয়োগা নিয়েও পড়তে ইচ্ছে হত কিন্তু এত ভাবতে ভাবতে কোন কুল কিনারা পেতাম না, মনে হত কেউ যদি আমাকে বলে দিত বিজলী এটা কর, এটা তোমার জন্য ভাল হবে- মনে হত আমার জন্য ডিসিশন নেয়া এত কঠিন কেন?

এরপর ত নিম্ন মধ্যবিত্তদের ইমিগ্রেশন প্রসেস এর প্যারা আছেই, বিশাল বড় ফাইনানশিয়াল বারডেন, সাথে শুরু আব্বুর অসুখ জার্নি। আমার লাইফ নিয়ে কোন মাথাব্যথা নাই, কয়েক বার দেশে গেছি তার জন্য। কৃতজ্ঞ যে পরিবারকে কিছু সময় দিতে পেরেছি।

কানাডায় পি আর হওয়ার পর পড়াশোনায় ঢুকে গেলাম ইউনিভার্সিটি অফ সাস্কেচুয়ানের পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন এ । এক এক জনের এক এক রকম কথা, পিইচডি করে আবার ঢুকছে মাস্টার্স, পরিবার বড় করার কোন মাথাব্যথা নাই। যে পরিমান সময় দিতাম রিডিং এ : এমনিতেই ভোরেসিয়াস রিডার। ক্যাম্পাস লাইফ নতুন করে খুবি ভাল লাগল। মনে হল, এখানে পড়াশোনায় না ঢুকলে জীবনে বড় আফসোস থাকত।

নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করলাম আমার টিচার পিয়ার্স দের ফিডব্যাক শুনে, আমি রিসার্চ এ ভাল, রাইটিং আমার বেশ ভাল, আমার লেখার আইডিয়া ইউনিক ইত্যাদি। একটা একাডেমিং রাইটিং এ ভাল হওয়া চার টা কথা না আমাদের মত বাংলা মিডিয়েমে পড়ে। ভাগ্যিস, চ্যাট জি পি টি ছিল না নাহলে এই কথাই বলতে পারতামনা আজকে। পি.এইচডি যে ক্রিটিকাল আনালাইটিকাল/থিনকিং স্কিল গ্রো করে দিছিল এইটা বের করলাম।

নিজের পকেটের টাকা দিয়ে মাশটার্স কোন বোকায় করে। যারা পড়াশোনা টাকে এত সহজ বস্তু মনে করেন বা টাকা বানানোর মেশিন মনে করেন, আপনারা একাডেমিক মাইন্ডেড না, আপনাদের ভিশন অন্যদিকে। এক এক জনের ফোকাস, ভাললাগা এক এক দিকে থাকে৷ টাকা দিয়ে পড়তে গেলেও এইখানে আপনার কম্পিটিশন করে ঢুকতে হয়, স্ট্রং মোটিভেশান রিজন লাগে। এখানে পড়াশুনা টা খাওয়ার বিষয় না- যে গিল্লেন, ফ্ল্যাশ করলেন, বের হয়ে গেল৷ এখানে পড়াশোনা টা একটা মিনিংফুল লাইফের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করার কারিগর।

আজকেও আমি বলব, জীবনে যদি জেনুইন কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চান, বাইরে পড়াশুনা করবেন। এসব বিশ্ববিদ্যালয় আপনার মাইন্ডসেট যেভাবে তৈরি করবে সারাজীবন এর প্রতি গ্রেইটফুল থাকবেন। আরো হাম্বল হবেন। প্লিজ গো ফর ইট, নো সেকন্ড থট। দেয়ার ইস অনলি গেইন, নো লস।

এরপর ২০২০ আমার দিক ঘুরে গেল ৩৬০ ডিগ্রি এংেলে, পাব্লিক এডমিন এ কন্টিনিউ করাটা করোনার মধ্যে খুব ই চ্যালেঞ্জিং হয়ে গেল, সাথে আব্বুর অসুস্থতা। আমি মানষিক ভাবে একটা খুব টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। এরপর সাহস করে ঢুকলাম একাউন্টিং এ ডিপ্লোমা করতে আর সাথে মাস্টার্স টাও কন্টিনিউ করলাম সার্টিফিকেটের জন্য। আগের বার পিএইচডি থেকে মাস্টার্স এ নামছিলাম, এখন আরো ডাউনগ্রেড ডিপ্লোমা য়। মাই গড।

আপনাকে নতুন ডিসিপ্লিনে ঢুকতে হলে স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণ
দিয়ে শুরু করতে হবে, রাইট? কেন যেন আমি এত ডিস্কারেজড হইছি বেশির ভাগ মানুষের কাছে, বাট আমি একাউন্টিং খুব এ এঞ্জয় করছি পড়তে। আই থিনক এগ্রিকালচার নিয়ে পড়তেও আমার এত মজা লাগেনাই, তখন ত তেমন পড়তাম ই না।

এবার বুঝে পড়লাম, বেশি বয়সে পড়াশোনা করাটা যেন ভাললাগা হয়ে উঠল। ইট ওয়াজ এ ওয়াইল্ডেস্ট রাইড ফর শিঊর। বাট এভ্রি সিংগেল এফর্ট ওয়াজ ওয়ার্থ ইট ইন দি এন্ড। বিসশাস করেন ২ টা বছরে যত টাইম দিয়ে ডিপ্লোমা শেষ করছি এটাতে আমার মাথার চুল, ঘুম, চোখের জ্যোতি, চেহারা সবই ড্রাস্টিকালি অনেক খারাপ হইছে বাট এন্ড রেজাল্ট ছিল অদ্ভুত ভাললাগার। নিজের প্রতি আত্নবিশ্বাস এত বেড়ে গেল যে নতুন করে জানলাম নিজেকে-আমার এখনো কষ্ট করার স্টামিনা আছে, আমি অন্য বিষয় নিয়ে পড়তে পারি, দক্ষতা অর্জন করতে পারি।

আমার ভাগ্য বরাবরই অনেক বেশি টাফ টাইম দেয়, পথচলা থামবেনা এটুকু বিসশাস ছিল শুধু। কাজ করে যাব, ফলাফলের কথা, যোগ বিয়োগ করিনাই। এইত এক্টু যখন হাটি হাটি পা করে আগাচ্ছি, ২০২৩ এ এক বিশাল ঝড় এসে আমাদের জীবনের বেচে থাকার শক্তি নিয়ে গেল। সব কিছু যেন শেষ, কিচ্ছু নাই, পারপাস নাই, জীবনে সবকিছু অলট পালট।

সবকিছু থেকে আইসোলেটেড হয়ে যাওয়া, কেউ একটু কোল্ড সাইন দেখালে দূরত্ব সৃষ্টি করতাম কারন শোকের মধ্য দিয়ে যে যায়নি সে কিচ্ছু বোঝেনা, তাই আমার নীরবে লুকিয়ে থাকাটাতেই কমফোর্ট তৈরি হল। কিন্তু স্টাডি করা ছাড়িনি, যখন যে লাইফে সিচুয়েশন এসেছে সে বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করেছি। আমি ভেবেছি আমার জীবনে কিছু যদি নাও থাকে, রাস্তায় নামি, পৃথিবীকে জানা ছাড়ব না, শেখা ছাড়ব না।

২০২৩ এর আগস্ট থেকে ২০২৫ এর মার্চ পর্যন্ত কিসের মধ্যে ছিলাম এটা লিখতে গেলে মনে হয় নিসশাস ই বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু হিল করার অনেক চেষ্টা করেছি, সাথে শুধুমাত্র একটা চেষ্টাই করেছি কানাডায় গভার্নমেন্ট জবে ঢোকা। কানাডার সিটিজেনশিপ পাওয়া,পড়াশোনা কম্পলিট করে এমনিতেই দেশ্টার প্রতি মায়া, সম্মান দুটো ই বেড়ে গেছে। এত বছর পর যখন সরকারি চাকরির চেষ্টা করছি তখন আমার কপাল খারাপ, এত মন্দা সময়ে চাকরি খুজছি যখন কানাডায় এত এত ক্রাইসিস, জব মার্কেট, হাউজিং সবকিছুর অবস্থা খুবই নাজুক।

একদিকে শোকের অধ্যায়, আরেকদিকে একটু একটু করে সরকারি চাকরির ইন্টারভিউ দিই। এক একটা প্রসেস হতে সময় লাগে ৬-৭ মাস তারপরে একটা পুলে রাখে। ২০২৪ এ মোটামুটি দেখি আমার ফেডারেল গভার্মেন্টে ৯ টা পুলে কোয়ালিফাইড ক্যান্ডিডেট হিসেবে আমি সিলেক্টেড হই বিভিন্ন একাউন্টটিং আর ফাইনান্স পজিশন এ। একটু ভেতরে ক্ষিন আশা তৈরি হল এই মন্দার বাজারে। আই থিনক যারা এই সময় গভমেন্ট জব এপ্লাই করবেন তারা বুঝবেন কেমন লেন্দি জার্নি এটা।

গত ৪ মাস যাবত ফাইনান্স স্পেশালিষ্ট হিসেবে কাজ করছি ফেডারেল গভার্মেন্টে এবং ট্রুলি এভ্রি লিটিল এফর্ট ম্যাটার্স। আমার কাজের জায়গা, পরিবেশ, সম্মান, রেকগনিশন : প্রতিটি ব্যাপার, প্রতিটি মুহুর্ত আমাকে আরো হাম্বল করতে শেখায়। আমার কাজ আমার কাছে খুবি ইন্টারেস্টিং লাগে, যতক্ষণ কাজে থাকি খুব ভাল লাগে, ডোপামিন হরমোন কাজ করে। আমি ঠিক এই জায়গাটাতেই বিলং করতে চেয়েছি। পুরো এগ্রিকালচার থেকে একাউন্টটিং/ ফাইনান্স-এটা বিগ ট্রান্সিশন, বিগ চ্যালেঞ্জেস ছিল লাইফে।

কিন্তু এখন যে জব করি আমার পুরো একাডেমিক ফাউন্ডেশন, আমার প্রতিটি অভিজ্ঞতা এই জবের কাজগুলোকে কমপ্লিমেন্ট করে৷

আজকে আমার সুপারভাইজার যখন শুধুমাত্র আমার কাজের জন্য না আমাকে মানুষ হিসেবে আমার পারসোনালিটি, আমার সততা, আমার হিউম্যান স্কিল, আমার শিক্ষা, আমার ইন্টেগ্রিটি : এই স্ট্রং মোরাল গুনের জন্য যেভাবে এপ্রিসিয়েট করে, রেস্পেক্ট করে,আমাকে অন্যের সামনে এত দারুণভাবে প্রেজেন্ট করে,কমপ্লিমেন্ট দেয়-: আমার দুচোখ ভরে পানি এসে যায়, আমার সম্মানে মাথা নিচু হয়ে যায়। কানাডায় সফট স্কিল কতটা গুরুত্বপূর্ণ এটা যারা আছেন বলতে পারবেন।

আব্বা আম্মার একটা কড়া শাসনে বড় হইছি। আব্বা কেন যেন আমাকে ওত এপ্রিসিয়েট করতোনা বা হয়তো অত প্রকাশ করতে পারত না।

আজ থাকলে হয়ত একটু হলেও মেয়েকে নিয়ে ভাবত। শিবলী র সাথে কত কিছু বলতাম, কত ধরনের প্রশ্ন করত আমাকে।

শেষ কিছু কথা: জীবন কে এক্সপেরিমেন্ট করেন নিজেকে বোঝার জন্য আর ভাল ট্রেইট গুলি আয়ত্ত করেন, ভাল মানুষ হোন।

Dont get discouraged by challenges or by anyone’s opinion. People will always speak from their own experiences, limitations, and understanding not yours. What they say often reflects their world, not your potential.

Stay close to what you truly want to do. Trust your intuition. Don’t doubt your journey. You may not see the destination now, but every little effort, every quiet step, will one day make sense.

Don’t chase money, fame, or power. Focus on your inner growth, your skills, and becoming a good human being. That’s the greatest gift and the truest achievement life can offer.

Be honest with yourself. Don’t lie to your heart. Reflect often, stay open to learning, remain humble, and always be kind because those are the values that will carry you through everything.

Thank you for taking your time to read this long post.

জীবনে কোন জিনিসে বা সম্পর্কে বা কোন অনুভুতি তে এতটা  নির্ভরশীল হয়ে যাবেন না যে, সেখান থেকে ছিটকে পড়লে ঊঠে দাড়ানোর শক্তি ...
10/08/2025

জীবনে কোন জিনিসে বা সম্পর্কে বা কোন অনুভুতি তে এতটা নির্ভরশীল হয়ে যাবেন না যে, সেখান থেকে ছিটকে পড়লে ঊঠে দাড়ানোর শক্তি হারিয়ে ফেলবেন। এটা লাইফে সবচেয়ে বড় বোকামো।

চিন্তায়, কর্মে, চলাফেরায় আত্ননির্ভরশিল হয়ে উঠাটা একটা বড় স্কিল। আপনার জীবন কেউ গুছিয়ে দিবেনা বা আপনি কারো জীবন গুছিয়ে দিতে পারবেন না। কারো মুখের অবান্তর কথা বন্ধ করতে পারবেন না কিন্তু নিজের কান আর চিন্তা কে শিখিয়ে নিতে পারেন- কি করলে কি হবে, কেন হবে, কেন কিভাবে চলবেন।

আপনার জীবনের যেকোনো অবস্থায় এই "কেন" প্রশ্নের সমাধান করতে পারলে মনে করবেন অনেক বড় সমস্যা সমাধান করে ফেলেছেন। কারন নিজের মন কে বশ করা সবচেয়ে দুরুহ কাজ। আর এই কঠিন কাজে আপনি পারদর্শি হলে কাছের মানুষ টিকে সাহস, শক্তি দিতে পারবেন। তারা আপনাকে অনেক শক্তিশালি ভাবতে শুরু করবে, আপনাকে বিশ্বাস করতে শুরু করবে, আস্থা পাবে। তারা মনে করবে আপনি সবকিছুর উপায় বের করতে পারেন।

কারো চিন্তার প্যাটার্ন আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন না। বেশি ঘাটতেও যাবেন না কেউ কেন এই ভাবে ভাবছে। জানি বলা সহজ,সমস্যা হয় যদি কাছের আশেপাশের মানুষ হয় সেক্ষেত্রে কিছু জিনিস উপেক্ষা করা বা সেগুলোতে প্রভাবিত না হওয়া কঠিন।

সবচেয়ে ভাল স্ট্রাটেজি হচ্ছে তাদের কথায় বেশি ইনভেস্ট না করা, জড়িয়ে না পড়া, সেটা নিয়ে চিন্তায় ডুবে না যাওয়া। চিন্তায় ডুবে গেলেই মন কে বিপদ সংকেত দিবেন "তোমার টাইম শেষ, এখন অন্যদিকে মন ঘুরাও"। অনেক টা আপনার লাইফের ইকুয়েশন এর মত, সূত্র বের করতে পারলে আপনি যেকোনো সিচুয়েশনের সমাধান বের করতে পারবেন।

মন পরিচালনা করা মস্ত বড় কাজ।

নিউরোসায়েন্স বলে, আমাদের ব্রেইন বেশিরভাগ সময় সেই জিনিস বা অভিজ্ঞতার দিকে আকর্ষিত হয়- যা আমাদের নাই।  যেমন- কোথাও ঘুরতে য...
10/07/2025

নিউরোসায়েন্স বলে, আমাদের ব্রেইন বেশিরভাগ সময় সেই জিনিস বা অভিজ্ঞতার দিকে আকর্ষিত হয়- যা আমাদের নাই।

যেমন- কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে এত উত্তেজনা, জল্পনা কল্পনা মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে, তখন থেকেই আমাদের আনন্দ শুরু হয়ে যায়। এজন্য দেখবেন, ঘুরতে যাওয়ার আগে প্লান করার সময় যে উত্তেজনা বা আনন্দ কাজ করে তা একচুয়ালি অন দা স্পটে উপস্থিত হওয়ার থেকে বেশি।

ডোপামিন বা সুখি হরমোন বেশি নি: সৃত হয় কোন কিছু পাওয়ার আগে। কারন, our brain is addicted to anticipation not actual experience. এজন্য দেখবেন কোন কিছুর প্রতি নস্টালজিক ইমোশন গুলি খুব প্রবলভাবে কাজ করে। অতীতের কোন সময়, জায়গা বা মানুষকে কল্পনায় এত সুন্দর দেখায় যে সেটা বাস্তবের চেয়েও বেশি সপ্নের মত লাগে।

এইভাবেই আমাদের মন ফ্যান্টাসির মধ্যে হারিয়ে যায়।
যা ছিল না তাও নিখুঁত মনে হয়, আর যা আছে, সেটাকে ততটা অনুভব করতে পারি না।

শখের মানুষ, শখের জায়গা, শখের জিনিস বাস্তব লাইফে পাওয়ার জন্য এই যে অবাস্তব লংগিং বা কাল্পনিক চিন্তা/ ফ্যান্টাসি একটা সময় আপনার চিন্তাজগত কনজিঊম করে ফেলে। কারন আপনি কোন কিছুর পারফেক্ট অবয়ব বা নিখুঁত কন্সেপ্টের প্রতি একটা অগাধ বিশ্বাস বা আবেগ তৈরি করেছেন।

তাই আপনার কাছে ফ্যান্টাসি অনেক বেশি কমফোর্টেবল, বাস্তবতা নয়। এতে ভয়ংকর ভাবে দিন দিন আপনার নিজের কনফিডেন্স কমে যাচ্ছে, আপনার মধ্যে অজানা ভয় গ্রাস করে নিচ্ছে। যদি আপনার কাঙ্খিত প্রিয় মানুষ টি আপনার সপ্নের মত না হয়!

আমরা যখন কল্পনায় কোন মানুষ, জায়গা বা জিনিসে চরমভাবে আসক্ত হয়ে যাই - এতে বাস্তব জীবনের সব সত্যি অনুভুতি বা অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হই।

তাই ফ্যান্টাসি কে খুব বেশি পাওয়ার দিয়ে ফেলবেন না। বাস্তবতা ফেইরি টেলস না।

সত্যি কারের শান্তি বা সুখ তখন থেকেই উপলব্ধি করতে পারবেন যখন থেকে মেনে নিতে শিখবেন যে, অন্য কেউ,বা কোন জিনিস বা স্থান আপনাকে পরিপূর্ণ করতে পারবেনা।

You need to believe that you are already worthy of love.

And when that happens
you no longer chase love… you learn to receive it.

বি: দ্র: লেখার আইডিয়াটা "টেড টক" এর একটা প্রেসেন্টেশন থেকে নেয়া। চাইলে দেখতে পারেন। চমৎকার বলেছে আমান্ডা ম্যাক ক্রাকেন।
"How longing keeps us from healthy relationship"

লাস্ট ৪ মাসে আমার প্রতিদিনের অভ্যাসে কিছু চেঞ্জ আনার কারণে যেভাবে নিজের এনার্জি লেভেলের ব্যাপক পরিবর্তন দেখতে পাই, এজন্য...
10/06/2025

লাস্ট ৪ মাসে আমার প্রতিদিনের অভ্যাসে কিছু চেঞ্জ আনার কারণে যেভাবে নিজের এনার্জি লেভেলের ব্যাপক পরিবর্তন দেখতে পাই, এজন্য আমি নিজের কাছে অনেক বেশি কৃতজ্ঞ।

আগেও হাটতাম কিন্তু হাটার রেগুলারিটি মেইনটেইন করা হত না। যেখানে আগে আড়াই- তিন কিমি হাটার পর বডি ওয়ার্ম আপ হত এখন সেখানে ৫-৬ কিমি কিছুই মনে হয়না। ৬ কিমি একটা পারফেক্ট ওয়াকিং ডিসটেন্স মনে হয়। এর সাথে সাথে খাদ্যাভাসে প্রোটিন আর সব্জির পরিমান বাড়িয়ে দেয়া, কার্ব কমিয়ে দেয়ায় "I feel so much better physically and mentally ". ব্রেইন ফগ টা হয় না, অনেক ক্লিয়ার ভাবে চিন্তা করতে পারি, নিজেকে আরও প্রডাক্টিভ মনে হয়।

একটা মানুষের জীবনে বখে যাওয়া বা নিজের লাইফ ধবংস করার অনেক কারন থাকতে পারে, হতাশা থাকতে পারে। নিজের পরিবারের লিমিটেশনস, সমাজের বাউন্ডারিস, নিজের অনগোয়িং ট্রমা থাকতে পারে। এক্সকিউজ বের করা খুবই সহজ যে কেন আপনি ভাল পথ খুজে নেন নি কিংবা ব্যার্থ হয়েছেন।

সত্যি কথা বলতে নিজের উইলপাওয়ার আর ভাল ইন্টেনশনের কাছে জগতের সমস্ত কাটা, বাধা, এক্সকিউজ ব্যর্থ হয়ে যায়- এটা আমি আমার নিজের জীবন থেকে শিখেছি। আপনার মাইণ্ডসেট, আপনার বেসিক যদি আপনি স্ট্রং করেন যে কোন সিচুয়েশন আপনি ডিল করতে পারবেন। আমার জীবনের গল্প টা অনেক টা সিনেমার মতই, অনেক বেশি ইভেন্টফুল।

প্রতিটি মানুষের লাইফেই সমস্যা আছে, বাধা আছে কিন্তু এই ক্রাইসিস সময় গুলো কে ধৈর্য এবং বুদ্ধি নিয়ে পরিচালনা করেন তাহলে দেখবেন there is no power that can defeat you.

আমি গ্রেইটফুল যে, রেসিলিয়েন্স কে আয়ত্ত করা আমার জীবনে অনেক বড় রিয়েলাইজেশন এনেছে। জীবনে ভুল পথে বখে যাওয়া অনেক সহজ বরং ভাল পথে থেকে সুস্থ মন নিয়ে পথ চলাটা কঠিন কিন্তু খুবি সম্ভব। এটা সবচেয়ে পাওয়ারফুল একটা স্কিল যেটা প্রতিটি মানুষের শেখা এবং চর্চা করা উচিত।

ভাল থাকবেন।

Address

Regina, SK

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mostarina Bizlee posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mostarina Bizlee:

Share

Category