01/08/2025
কানাডার অন্টারিও প্রদেশের লন্ডন শহরে অবস্থিত ফ্যানশও কলেজের নার্সিং বিভাগের ২য় বর্ষের নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মৃতদেহ এলাকার লেকের সৈকতে (পোর্ট ব্রুস) পাওয়া গেছে। ফ্যানশও কলেজের এই শিক্ষার্থী, নিধুয়া মুক্তাদির (১৯), গত ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে নিখোঁজ ছিলেন বলে রিপোর্ট করা হয়েছিল।
নিধুয়া মুক্তাদিরকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল তার আগের দিন হক ক্লিফ রোডে, পোর্ট স্ট্যানলি থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। এলাকায় বৃহৎ পরিসরের তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল, যাতে ওপিপি ডাইভার ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়।
অন্টারিও প্রভিনশিয়াল পুলিশ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী ২০২৫) জানিয়েছে যে গত শনিবার ওয়ানিটা সৈকতে এক নাগরিকের পাওয়া মৃতদেহটি ৪ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে নিখোঁজ ১৯ বছর বয়সী একজনের। তবে সেই সময় পর্যন্ত পুলিশ মৃত ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি।পুলিশ মৃত্যুর পরিস্থিতি তদন্ত করছে, তবে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে না,” বলে অন্টারিও প্রভিনশিয়াল পুলিশ জানিয়েছে।
নিধুয়ার ভাই আব্রাহাম মুক্তাদির স্থানীয় সংবাদপত্র "দি লন্ডন ফ্রী প্রেস"কে ফোনে নিশ্চিত করেছেন যে পুলিশ পরিবারকে তার বোনের মৃতদেহ পাওয়া যাওয়ার খবর জানিয়েছেন। বোন সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভাই আব্রাহাম তাকে একজন মানসিক দিক দিয়ে শক্ত এবং সাহসী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মাত্র দু'দিন আগে মুক্তাদিরের মা আশা প্রকাশ করেছিলেন তার মেয়ে জীবিত অবস্থায় ফিরে আসবে।“আমার মনে হচ্ছে আমি একটা দুঃস্বপ্ন দেখছি, এবং আমি জেগে উঠে দেখবো সব ঠিক আছে,” নিথুয়া মুক্তাদিরের এর মা' সামিনা নাসরিন চৌধুরী স্থানীয় সংবাদ পত্র "দি লন্ডন ফ্রী প্রেস" কে বলেছিলেন।
টরন্টোর অধিবাসী মা' নাসরিন চৌধুরী বলেন, তিনি শেষবার ২৯ নভেম্বর তার মেয়ের সাথে ফোনে কথা বলেছেন এবং সেটি ছিল একটি “সুন্দর কথোপকথন।” “তাকে সেদিন বিষণ্ণ মনে হয়নি,” “বরং সে খুব খুশি ছিল। সাধারণত, ফোনে কথা বলার সময় সে এতটা উৎসাহী থাকত না। কিন্তু সেদিন সে খুব উৎসাহী ছিল।” নাসরিন চৌধুরী তার মেয়েকে ৯ বছর বয়সে বাংলাদেশ থেকে কানাডায় নিয়ে এসেছিলেন।