Sylhet To Canada

Sylhet To Canada এই চ্যানেলের মাধ্যমে বিশ্বের সৌন্দর্য তুলে ধরা এবং বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা..

স্মৃতিচারণ : আলহাজ্ব শেখ মোঃ মকন মিয়া #শেয়ার করে এই ক্ষনজন্মা কর্মবীরের জীবন ও সমাজ কর্মের কথা নতুন প্রজন্মের সবার কাছে ...
09/29/2025

স্মৃতিচারণ : আলহাজ্ব শেখ মোঃ মকন মিয়া
#শেয়ার করে এই ক্ষনজন্মা কর্মবীরের জীবন ও সমাজ কর্মের কথা নতুন প্রজন্মের সবার কাছে পৌঁছে দিন,প্লিজ।

সিলেটের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, শালিশ ব্যক্তিত্ব ও দক্ষিণ সুরমার কৃতি সন্তান মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মোঃ মকন মিয়া। তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত প্রায় ২৩ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার পূর্বে (১৯৬৩–১৯৬৭) পঞ্চায়েত কমিটির প্রধান ছিলেন হাজী তমিজ উল্লাহ। স্বাধীনতার পর প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন নুরুল ইসলাম দলা মিয়া (১৯৭৩–১৯৭৭)। এরপর পর্যায়ক্রমে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন—
• আব্দুল মজিদ জায়গীরদার (১৯৭৭–১৯৮৪)
• আব্দুল মালিক সারো মিয়া (১৯৮৪–১৯৮৯)
• হাজী মুজিবর রহমান (১৯৮৯–১৯৯৮)
* আলহাজ্জ্ব শেখ মোঃ মখন মিয়া (১৯৯৮-২০২৩)

প্রায় দীর্ঘ ২৩ বছর মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন শেখ মো মকন মিয়া।

তিনি তেলীরাই গ্রামের মরহুম আলহাজ্ব শেখ মোহাম্মদ তফুর আলীর সুযোগ্য সন্তান। দুই ছেলে ও পাঁচ মেয়ের জনক শেখ মো মকন মিয়া ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

শেখ মো মকন মিয়া শুধু জনপ্রতিনিধি নন—তিনি ছিলেন সিলেট জেলা ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি, দক্ষিণ সুরমা নাগরিক কমিটির সভাপতি, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবের পৃষ্ঠপোষক সদস্য এবং অসংখ্য সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলে।

রাজনৈতিক জীবনে তিনি বিএনপির সাথে যুক্ত ছিলেন। দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ছিলেন।

একজন শালিশ বিচারক হিসেবে তাঁর সুনাম ছিল সর্বজনবিদিত। মানুষের দ্বন্দ্ব-সংঘাত মেটাতে দিন-রাত নিরলসভাবে ছুটে বেড়াতেন। সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান অনন্য। শিক্ষা বিস্তারে স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ প্রতিষ্ঠায়ও তিনি ছিলেন অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী।

তিনি ছিলেন সহজ-সরল, নিরহংকার ও পরোপকারী এক মানুষ। যেকোনো সমস্যার সমাধানে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা নিতেন। রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক কিংবা ধর্মীয় অনুষ্ঠান—সবখানেই তাঁর সমান বিচরণ ছিল।

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায়, সিলাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে (২০০৮–২০১৬) দায়িত্ব পালনকালে তাঁর সহকর্মী হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম।প্রতিমাসের উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভা, শালিশ বিচার বা সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান—প্রায় সব জায়গায় তাঁর সাথে দেখা হতো। তিনি আমাকে স্নেহ করতেন, মূল্যবান পরামর্শ দিতেন। কাছ থেকে দেখেছি—তিনি ছিলেন সাদাসিধে, নিরহংকার ও মানবিক গুণাবলির অধিকারী একজন অসাধারণ মানুষ।

শেখ মকন মিয়া সমাজের যে কোন ছোট-বড় সমস্যার সমাধানে দ্রুত এগিয়ে যেতেন। তাঁর উপস্থিতি মানেই ছিল সমাধানের নিশ্চয়তা। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি ছিলেন আমাদের অভিভাবক, ব্যবসায়ীদের অবিসংবাদিত নেতা এবং সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলার রক্ষক।

তাঁর মতো একজন কর্মবীরের মৃত্যু আমাদের জন্য গভীর শোকের। তবে তাঁর কর্মগুণ ও সেবার স্মৃতি আমাদের মাঝে চিরকাল বেঁচে থাকবে।

মহান আল্লাহ পাক তাঁর জীবনের সব ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন—আমিন।

স্মৃতিচারণে…..
মোঃ ইকবাল হোসেন
সাবেক চেয়ারম্যান,
সিলাম ইউনিয়ন পরিষদ
দক্ষিণ সুরমা, সিলেট।

#বি:দ্রষ্টব্য— জনাব আলহাজ্ব শেখ মো মখন মিয়া চেয়ারম্যান সাহেব সম্পর্কে আমার লেখায় তথ‍্যগত কোন ভুল কারো কাছে ধরা পডলে দয়াকরে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন প্লিজ।আমি সাথে সাথে সংশোধন করে নিবো।

09/29/2025

সুন্দর বিকেলে দুই কন্ঠশিল্পী'র সংগীত অনুষ্ঠান।

09/28/2025

সৃজনশীল দু'জন কন্ঠশিল্পীর আঞ্চলিক ভাষায় কতোপকতন।

09/28/2025

এখনোও থামেনি স্কলারস হোম কলেজের ছাত্র আজমানের মায়ের কান্না....

এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেছে জকিগঞ্জের মারওয়া ইসলাম।আলহামদুলিল্লাহ, পরম করুণাময়ের অশেষ রহমতে আমার মেয়ে চট্টগ্রাম মেডিকে...
09/28/2025

এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেছে জকিগঞ্জের মারওয়া ইসলাম।

আলহামদুলিল্লাহ, পরম করুণাময়ের অশেষ রহমতে আমার মেয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
এখন সে Dr. Marwa Islam ।
নজরুল ইসলাম, গঙ্গাজল, জকিগঞ্জ, সিলেট।

চট্টগ্রামের রাউজানে একসঙ্গে ১৮ সন্তানের জন্ম দিলেন এক মা। পৃথিবীর ইতিহাসের মধ্যে একটি অলৌকিক ঘটনা, আল্লাহ চাইলে সবই পারে...
09/28/2025

চট্টগ্রামের রাউজানে একসঙ্গে ১৮ সন্তানের জন্ম দিলেন এক মা। পৃথিবীর ইতিহাসের মধ্যে একটি অলৌকিক ঘটনা, আল্লাহ চাইলে সবই পারেন, আলহামদুলিল্লাহ।

জনাব মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী: এক জনসেবী মহাপুরুষের জীবন ও কর্ম……সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জালালপুর ইউনিয়নে...
09/26/2025

জনাব মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী: এক জনসেবী মহাপুরুষের জীবন ও কর্ম……

সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জালালপুর ইউনিয়নের মিরারগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জনাব মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী। জীবনের দীর্ঘ সময় তিনি প্রবাসে কাটালেও মাতৃভূমির প্রতি অগাধ টান ও এলাকার মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে একসময় ফিরে আসেন প্রিয় জন্মভূমি জালালপুরে।

ফিরে এসে তিনি নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন সমাজ সেবামূলক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে। তাঁর জীবনের প্রতিটি অধ্যায় ছিল মানুষের সেবায় নিবেদিত। আজকের অনেক নতুন প্রজন্ম হয়তো জানেন না এই মহৎ ব্যক্তিত্বের ত্যাগ ও অবদান সম্পর্কে। তাই আজ আমি স্মরণ করবো তাঁর অতীত জীবনের নানা কর্মকাণ্ড—শিক্ষা উন্নয়ন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, রাস্তাঘাট উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নসহ নানা উদ্যোগ।

প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান….

সরপঞ্চ প্রথা বিলুপ্তির পর ইউনিয়ন কাউন্সিল চালু হলে, জালালপুর ইউনিয়নের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন প্রবাস ফেরত সমাজসেবক জনাব মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী। ১৯৪৮ সালে সিঙ্গাপুরে ব্যবসা সফলভাবে পরিচালনা করলেও হঠাৎ আপন ভাইয়ের মৃত্যুতে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং সিদ্ধান্ত নেন দেশে ফিরে আসবেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে তিনি ফিরে আসেন মাতৃভূমি জালালপুরে।

শিক্ষা উন্নয়নে অনন্য অবদান…

ফিরে এসে তিনি বুঝতে পারেন, একটি অনগ্রসর অঞ্চলকে উন্নত করতে হলে সর্বপ্রথম শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। তাই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও যুবসমাজকে নিয়ে ঘন ঘন বৈঠক করেন এবং একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন। সবার সহযোগিতায় অবশেষে ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জালালপুর দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়, যা ছিল তাঁর আজীবন স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ।

ডাকঘর ও সড়ক উন্নয়ন….

শিক্ষার পাশাপাশি তিনি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নেও উদ্যোগী ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে এলাকাবাসী ও প্রবাসীরা মিলে জালালপুরে ডাকঘর প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া দেওয়ান আব্দুর রহীম, মন্ত্রী আব্দুর রব, খাঁন বাহাদুরসহ বিশিষ্টজনদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করে সুলতানপুর রোড নির্মাণ ও সংস্কারের উদ্যোগ নেন। প্রবাসী ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় এই সড়ক বাস্তবে রূপ নেয়, যা এলাকায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা করে।

সমাজসেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত..

জনাব ইদ্রিস আলী এলাকার অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন-শৃঙ্খলা ও অবকাঠামো উন্নয়নে তাঁর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। দিন-রাত তিনি কাজ করে গেছেন সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য। নিজের শরীরের দিকে খেয়াল না রেখে একসময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার অবহেলার কারণে ১৯৬৪ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে জালালপুরবাসী গভীর শূন্যতা অনুভব করে, যা আজও বিদ্যমান।

পরিবার ও উত্তরসূরিরা…

মৃত্যুকালে তিনি দুই পুত্র ও সাত কন্যাসন্তান রেখে যান। তাঁর বড় ছেলে কয়েছ আহমেদ বর্তমানে কানাডার টরন্টোতে বসবাসরত এবং একজন খ্যাতিমান সমাজসেবক। সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০০১ সালে টরন্টো সিটি মেয়র অ্যাওয়ার্ড, ২০০৪ সালে কানাডার গভর্নর জেনারেল অ্যাওয়ার্ডসহ নানা সম্মাননায় ভূষিত হন। ইদ্রিস আলীর ছোট ছেলে লন্ডনে বসবাস করেন এবং তাঁর কন্যারা বিভিন্ন স্থানে সুনামের সঙ্গে সংসার করছেন।

এক মহাপুরুষের স্মরণে…

জনাব ইদ্রিস আলী ছিলেন সত্যিকার অর্থে সমাজসেবী ও উন্নয়নকর্মী। তাঁর জীবন ছিল মানুষের জন্য নিবেদিত, আর কর্মকাণ্ড ছিল ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্তস্বরূপ। আজকের তরুণ সমাজ যদি তাঁর কর্মজীবন থেকে শিক্ষা নিতে পারে, তবে তাঁর অবদান সার্থক হবে।

আমরা সবাই মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করি—
আল্লাহ পাক যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন। আমিন।

✍️ লেখক:
মোঃ ইকবাল হোসেন
সাবেক চেয়ারম্যান, সিলাম ইউনিয়ন পরিষদ
উপজেলা দক্ষিণ সুরমা, জেলা সিলেট।

09/24/2025

🌊✨ নায়াগ্রা ফলসের অপরূপ সৌন্দর্য ✨🌊
নায়াগ্রা ফলস উপভোগ করতে গেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রঙধনু না দেখে ফেরা অসম্ভব! 🌈
জলধারার সো-সো শব্দ আর পানির কলকল ধ্বনি—এ এক অনন্য অনুভূতি, যা মনে গেঁথে থাকে আজীবন। 💙

🌿 মরহুম নছির মিয়া – আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার— #বর্তমান প্রজন্মের সবাইকে অনুরোধ করছি মরহুম নছির মিয়া সাহেবের জীবনী পডব...
09/23/2025

🌿 মরহুম নছির মিয়া – আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার—

#বর্তমান প্রজন্মের সবাইকে অনুরোধ করছি মরহুম নছির মিয়া সাহেবের জীবনী পডবেন,এলাকার প্রবীন মুরব্বিয়ানদের কাছ থেকে তাঁর জীবন এবং কর্ম সম্পর্কে জানবেন এবং তাঁর আদর্শের উপর ভিত্তি করে সমাজ ব্যবস্থায় সেভাবে নিজেদেরকে গড়ে তুলবেন।

#সত্যিই এক অজানা তথ্য আজ নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরলাম,সবাই খুব মনোযোগ সহকারে পড়বেন।মরহুম নছির মিয়া সাহেবকে নিয়ে আমার লেখা বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে তিনির বাস্তব জীবনের কিছু অংশ এখানে তুলে ধরেছি।তাঁর জীবনী পড়বেন,জানার চেষ্টা করবেন!এতে করে নিজের জীবনকে সততার উপরে দাঁড় করাতে পারবেন।
#শেয়ার করে আমাদের সিংহ পুরুষ মহান হৃদয়ের অধিকারী মরহুম নছির মিয়া সাহেবর জীবনী সবাইকে জানার সুযোগ করে দিবেন প্লিজ।

ব্রিটিশ শাসনের অধীনে, গ্রাম চৌকিদারি আইন ১৮৭০ এর মাধ্যমে আধুনিক ইউনিয়ন কাঠামোর ভিত্তি স্থাপিত হয়। এই আইনের অধীনে প্রতিটি গ্রামে পাহারা টহল ব্যবস্থা চালু করার উদ্দেশ্যে কতগুলো গ্রাম নিয়ে একটি করে ইউনিয়ন গঠিত হতো।

১৯৫৯ সালে অর্থাৎ পাকিস্তান আমলে Basic Democracy Order-এর অধীনে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদসহ চারটি স্তরের স্থানীয় সরকার সংস্থা স্থাপন করা হয়, যার মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে।

বাংলাদেশের ইউনিয়ন পরিষদের আগে মূলত পঞ্চায়েত প্রথা প্রচলিত ছিল, যা গ্রাম চৌকিদারি আইন ১৮৭০ এর অধীনে গঠিত ইউনিয়ন পরিষদের পূর্বসূরি। ১৯৫৯ সালে বেসিক ডেমোক্রেসি অর্ডার এর অধীনে স্থানীয় সরকার সংস্থা হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হয়, যার মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রশাসনিক কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হয়।

সুতরাং, ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান কাঠামো প্রতিষ্ঠার আগে পঞ্চায়েত প্রথা প্রচলিত ছিল, যা পরবর্তীকালে ব্রিটিশ আমলে এবং পাকিস্তান আমলে স্থানীয় সরকার সংস্থা হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদকে রূপ দিয়েছে।

আজ আমি আপনাদের সামনে স্মরণ করছি আমাদেরই অহংকার, আমাদের গর্ব – মরহুম নছির মিয়া, সাবেক চেয়ারম্যান সিলাম ইউনিয়ন পরিষদ, দক্ষিণ সুরমা, সিলেট।

👉 সমাজসেবায় তিনি ছিলেন এক অবিসংবাদিত নেতা।
👉 শালিস বিচারে তাঁর তুলনা তিনি নিজেই।
👉 মহান আল্লাহ তাঁকে দিয়েছিলেন নেতৃত্ব দেওয়ার অসাধারণ গুণাবলী।
👉 তিনি ছিলেন অসীম মেধাবী ও জ্ঞানের বিশাল ভাণ্ডারের অধিকারী।

সিলেট জেলার সর্বত্র তিনি পরিচিত ছিলেন। শালিস বিচারক ও ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল সমগ্র সিলেটে।

🏡 ব্যক্তিগত ও পারিবারিক পরিচয়:

মরহুম নছির মিয়া সাহেবের বাড়ি ছিল সিলাম ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামে।
তিনি ছিলেন মরহুম আব্দুল মালিক সাহেবের পিতা, যিনি স্বাধীনতার পর নির্বাচিত হয়ে সিলাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন টানা ১২ বছর (১ এপ্রিল ১৯৭৪ – ৩১ মার্চ ১৯৮৪)।

স্বাধীনতার পূর্বে তিনি প্রায় ১৩/২৪ বছর পঞ্চায়েত কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৯ সালে তিনি বাঘ মার্কা প্রতীক নিয়ে উপজেলা (দক্ষিণ সুরমা ও বালাগঞ্জ এলাকা নিয়ে গঠিত) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, কিন্তু সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।

১৯৮৪ সালে তিনি সৈয়দ মকবুল হোসেন মাখন মিয়া সাহেবের কাছে পরাজিত হন এবং এরপর আর তিনি নির্বাচনে অংশ নেননি।
সম্ভবত ১৯৮৮ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে রেখে যান তিন পুত্র –
• বড় ছেলে: মরহুম আব্দুল মতিন
( ছাত্রদল মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বির সুযোগ্য পিতা)
• মেঝ ছেলে: মরহুম আব্দুল মালিক (সাবেক চেয়ারম্যান)
• ছোট ছেলে: আব্দুন নূর ( লন্ডন প্রবাসী)
এছাড়া রেখে যান অসংখ্য গুণগ্রাহী।

💔 একজন সিংহপুরুষের বিদায়:

তাঁর মৃত্যুতে সিলামবাসী হারায় এক সিংহপুরুষ, এক পিতৃতুল্য অভিভাবক।
বিশেষ করে সিলাম ৯ পাড়ার মানুষ আজও তাঁর শূন্যতা অনুভব করেন।

আমি তখন ছোট, বয়স মাত্র ১১/১২ বছর। প্রায় প্রতিদিন সিলাম চকের বাজারে আলতা মিয়া সাহেবের দোকানে তাকে দেখার সুযোগ পেয়েছি। দোকানটি ছিল তাঁর অঘোষিত অফিস রুম।প্রতিদিন শত শত মানুষ তাদের বিভিন্ন অভাব,অনুযোগ,অভিযোগ নিয়ে চকের বাজারের অফিসে আসতেন।তিনি মনোযোগ দিয়ে তাঁদের কথা শুনতেন এবং বিষয়ের সুন্দর একটি সমাধান করে দিতেন।যার কারণে মানুষ তাঁর উপর খুবই সন্তুষ্ট হতেন।
তাঁকে ঘিরে শত শত মানুষের ভালোবাসা – সত্যিই আজকের প্রজন্ম কল্পনাও করতে পারবে না।

তাঁর সরল পোশাক, লম্বা সুঠাম দেহ, পান্জাবি,সাদা লুঙ্গি,দাঁড়িভরা মুখ এবং সদা উপস্থিতি ছিল অনন্য।

তাঁকে দেখেই মূলত আমার সমাজসেবার প্রতি আগ্রহ জন্মায়।

🌹 শেষ শ্রদ্ধা

তাঁর মতো মহান হৃদয়ের অধিকারী ব্যক্তি আর দ্বিতীয় জন খুঁজে পাইনি।
আজকের প্রজন্মের প্রতি আমার অনুরোধ – সবাই মরহুম নছির মিয়া সাহেবের জীবনী পড়ুন, তার আদর্শকে ধারণ করুন।

যদি তাঁর আদর্শ আগামী দিনের সমাজ ব্যবস্থায় কাজে লাগানো হয়, তবে যেমন গ্রাম সম্মানিত হবে, তেমনি সম্মানিত হবে সমগ্র এলাকা ও ইউনিয়ন।

মহান আল্লাহ পাকের দরবারে প্রার্থনা করি –
আমাদের হৃদয়ের মানুষ, শ্রদ্ধেয় মরহুম নছির মিয়া সাহেবের সকল ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করে তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। আমিন।



✍️ স্মৃতিচারণে
মো. ইকবাল হোসেন
সাবেক চেয়ারম্যান
সিলাম ইউনিয়ন পরিষদ, দক্ষিণ সুরমা, সিলেট

09/23/2025

🌊✨ নায়াগ্রা ফলস – প্রকৃতির অপরূপ এক বিস্ময়

09/22/2025

দৈনিক শ্যামল সিলেট'র বার্তা সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক আবুল মোহাম্মদ'র জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

স্টাফ রিপোর্টার এম এ ওয়াহিদ চৌধুরীর প্রতিবেদনে বিস্তারিত।

দৈনিক শ্যামল সিলেট'র বার্তা সম্পাদক সাংবাদিক আবুল মোহাম্মদ এর মৃত্যুতে সিলেট টু কানাডা চ্যানেল পরিবারের শোকঃইন্নালিল্লাহ...
09/22/2025

দৈনিক শ্যামল সিলেট'র বার্তা সম্পাদক সাংবাদিক আবুল মোহাম্মদ এর মৃত্যুতে সিলেট টু কানাডা চ্যানেল পরিবারের শোকঃ

ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।দৈনিক শ্যামল সিলেট'র বার্তা সম্পাদক ও সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য সাংবাদিক আবুল মোহাম্মদ গত রাত্র ৪ টায় শরীর কিছুটা খারাপ অনুভব করলে সকালে পরিবার তাকে সিলেট ইবনে সিনা হসপিটাল লিমিটেড নিয়ে ভর্তি করান।

সেখানে দুপুর আনুষ্ঠানিক ১.৩০ মিনিটে মৃত্যু বরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন সিলেট টু কানাডা চ্যানেল 'র চেয়ারম্যান ও

সিলাম ইউনিয়নের সাবেক স্বনামধন্য চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজসেবী ও রেমিট্যান্স যোদ্ধা মোঃ ইকবাল হোসেন ও স্টাফ রিপোর্টার এম এ ওয়াহিদ চৌধুরী সহ পরিবারের সকল সদস্যদের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

নেতৃবৃন্দ এক শোকবার্তায় সিলেট টু কানাডা চ্যানেলের নেতৃবৃন্দ মরহুম সাংবাদিক আবু্ল মোহাম্মদ'র বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

সিলেটের সাংবাদিকতায় আবুল মোহাম্মদ'র অবদান স্মরণ করে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, তাঁর মৃত্যুতে সিলেটের সাংবাদিক সমাজের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি যা সহজে পূরণ হবার নয়।
মহান আল্লাহ পাক জান্নাতের মেহমান বানিয়ে দিন, আমিন।

Address

Robinson Avenue
Toronto, ON

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sylhet To Canada posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sylhet To Canada:

Featured

Share