CBN24

CBN24 CBN24 cbn24.ca কানাডার ২৪ ঘণ্টার সংবাদ জানায় বাংলায়

ডিমেনশিয়া বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিতডিমেনশিয়া নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কানাডিয়ান সেন্টার ফর ইনফরমেশন এন্ড নলেজ (CCIK) এ...
14/09/2025

ডিমেনশিয়া বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ডিমেনশিয়া নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কানাডিয়ান সেন্টার ফর ইনফরমেশন এন্ড নলেজ (CCIK) এর উদ্যোগে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) টরন্টোর ডেনফোর্থ এভিনিউস্থ বিআইইএস অফিসে আয়োজিত এ কর্মশালায় কমিউনিটির প্রায় ৩০ জন প্রবীণ অংশ নেন।



কর্মশালাটি পরিচালনা করেন কানাডিয়ান সেন্টারের প্রধান নির্বাহী ইমাম উদ্দিন। অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশী চিকিৎসক ডা. তাসমিয়া হুসেন। তিনি ডিমেনশিয়ার সাধারণ লক্ষণ, প্রতিরোধ ও যত্নের নানা দিক নিয়ে অংশগ্রহণকারীদের অবহিত করেন।



বক্তারা জানান, নিকটবর্তী স্মৃতি হারিয়ে যাওয়া, বারবার একই কথা বা কাজ করা, যুক্তি ও চিন্তার ক্ষমতা কমে যাওয়া, ব্যক্তিত্ব ও আচরণের পরিবর্তন—এসবই ডিমেনশিয়ার সাধারণ লক্ষণ। চিকিৎসকদের মতে, ডিমেনশিয়া হলো মস্তিষ্কের একটি ক্ষয়জনিত রোগ, যা মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি, স্মৃতিশক্তি ও ব্যক্তিত্বের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলে। সাধারণত ৬৫ বছর বয়সের পর এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। ডিমেনশিয়ার বিভিন্ন ধরন থাকলেও আলঝেইমার্স রোগ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।



২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কানাডায় প্রায় ৭ লাখ মানুষ ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন। ২০৫০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১৭ লাখে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে CCIK এ কর্মশালার আয়োজন করে, যা অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাস্তবধর্মী তথ্য সরবরাহে সহায়ক হয়।

বন্ধু, সহকর্মী ও অ্যাক্টিভিস্টসহ বিভিন্ন মানুষের সাথে আলাপ করে, ডাকসু ও জাকসুতে ছাত্রদলের শোচনীয় পরাজয়ের একটা সিম্পল কার...
14/09/2025

বন্ধু, সহকর্মী ও অ্যাক্টিভিস্টসহ বিভিন্ন মানুষের সাথে আলাপ করে, ডাকসু ও জাকসুতে ছাত্রদলের শোচনীয় পরাজয়ের একটা সিম্পল কারণ খুঁজে পেলাম। এই কারনটির সাথে রাজাকার ট্যাগ , বাংলাদেশের ইসলামিক রাজনীতির উত্থানে এবং শিবিরের অর্গানাইজেশনাল ক্যাপাসিটিরও কোনো সম্পর্ক নেই।

কারনটি খুব সহজ,
ছাত্রছাত্রীরা জাতিয়তাবাদি ছাত্রদলের মধ্যে একটা ছাত্রলীগ হিসেবে গড়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছে এবং নিশ্চিত করেছে যেন সেটা না হতে পারে।

গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেটওয়ার্কের একজন শিক্ষকের সাথে আলাপ হচ্ছিল। তিনি বললেন, সাদিক কায়েম এমন কি নির্বাচনের দিনেও একজন সাধারন ছাত্রের মত একজন কি দুইজন সাথে নিয়ে চলাফেরা করেছে। তাকে যখন বলেছি, তুমি এখানে কেন, এখানে তো প্রার্থীর আসার সুযোগ নেই—তখন সে “সরি স্যার” বলে চলে গেছে।

অন্যদিকে আবিদ বা হামিমের সাথে ১৫/২০ জনের ক্যাডার ছিল। তার হয়তো কোনো খারাপ নিয়ত নেই, কিন্তু তার ক্যাডার পরিবেষ্টিত হয়ে চলাফেরা এবং উপস্থিতি
সবার জন্য ইন্টিমিডেটিং ছিল —যা সবাইকে বারবার ছাত্রলীগের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।
এইটা একটা উদাহরণ এই ধরনের আরও অসংখ্য রেফারেন্স ছাত্র ছাত্রীরে দিতে পারবে।

ছাত্রছাত্রীরা ধরে নিয়েছে, বিএনপি ক্ষমতায় আসবে এবং ছাত্রদল একটা ছাত্রলীগের মতো পেটোয়া বাহিনিতে রূপান্তরিত হতে পারে। তাদের উপরে ১৫ বছর ধরে ছাত্রলীগের নিপীড়নের যে ট্রমা, সেটার বিকল্প তারা ছাত্রশিবিরে খুঁজে পেয়েছে।

ফলে তারা ছাত্র দলকে রিজেক্ট করেছে এবং ছাত্র শিবিরকে গ্রহণ করেছে।

অর্থনীতিতে এক্সপেক্টেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।মুল্যস্ফিতির মত একটা বিষয় এক্সপেক্টেশান থেকে আসে।
আপনি যেইটা প্রত্যাশা করবেন সেইটা আপনার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করবে। আর মানুষের এক্সপেক্টেশন তৈরি হয় সিগনালিং থেকে।

সাদিক কায়েমদের নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে ও পরের পুরো সিগনালিং হচ্ছে মডারেশন ও মধ্যপন্থার । এই মডারেশন শুধু আইডেন্টিটি বেইজড নয়, এটা তাদের রাজনৈতিক আচরণেরও। তারা সিগন্যাল দিয়েছে—আমি নিপীড়ক হবো না, আমি আবার গণরুম সংস্কৃতি তৈরি করবো না, আমি আবার জোর করে মিছিলে নিয়ে যাবো না।

ছাত্রদল সেই ধরনের সিগনালিং করতে শুধু ব্যর্থ হয়নি, তারা বরং তাদের আচরণ, কথাবার্তা, রাজনীতি, ব্যবহারে ছাত্রছাত্রীদের আশঙ্কাকে ভ্যালিডেট করেছে।
ধরুন, নির্বাচনের দিন ভাইস চ্যান্সেলরের সামনে ছাত্রদলের গণেশ চন্দ্র রায়ের ভিসির সাথে বেয়াদবি। ভিডিওটা দেখে আমি নিজেই নিন্দা জানিয়েছিলাম। আমার স্ট্যাটাসে বিএনপির সমর্থকেরা গালির বন্যা বইয়ে দিয়েছে যে—কুয়েটে জিয়া হাসান কোথায় ছিলেন। তারা বুঝতেই সক্ষম হচ্ছেন না, ডাকসু সব কিছু নয়, এই লিখন পুরো দেশের কোটি কোটি ছাত্রছাত্রী আর নাগরিককে হেলমেট বাহিনির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।

ফলে ছাত্রছাত্রীরা ছাত্রদলকে শুধু ডাকসুতেই রিজেক্ট করেনি, জাকসুতেও রিজেক্ট করেছে, এবং সারা দেশে এই পরিণতি হবে।

এই একই সিগনালিং বিএনপি প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতিতেও দিচ্ছে। এটা বিএনপির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ৭১, ২৪, রাজাকার ইস্যু, জামাত-শিবিরের অর্গানাইজেশনাল ক্যাপাসিটি ইত্যাদি আগামী নির্বাচনের প্রধান ইস্যু নয়।
প্রধান ইস্যু হচ্ছে—বাংলাদেশের মানুষের আশংকা, এই দলটাকে ভোট দিয়ে আমরা আওয়ামি লীগের মত আরেকটা লুটেরা নিপীড়ক শক্তিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসছি কিনা।

মানুষ বিএনপির মধ্যে আরেকটা আওয়ামী লীগ দেখতে পাচ্ছে, যে ভয় বাংলাদেশের মানুষের ইসলামভিত্তিক রাজনীতির ভয়কে ছাপিয়ে সাধারণ মানুষকে জামাতমুখী করছে।

বিএনপি কি এটা বোঝে না? বিএনপির শীর্ষ নেতারা বোঝেন কিন্তু সো-কোল্ড তৃণমূল সেই বোঝাপড়া রাখে না।

আমার একজন কাছের বন্ধু সাম্প্রতিক কালে তারেক রহমানের সাথে সাক্ষাতে জিজ্ঞেস করেছিল, “আপনি জিয়া হাসানকে কিভাবে দেখেন?”

তারেক রহমান বলেছিলেন, “উনারা এই সমালোচনাগুলো না করলে আমার জন্য দল চালানো মুশকিল হয়ে যাবে।”

মন্তব্যটিতে খুবই অবাক হয়েছি এবং তারেক রহমানের উপরে প্রথম বার জেনুইনলি ইম্প্রেসড হয়েছি।

কিন্তু তারেক রহমানের প্রাইভেট মন্তব্য নয়, গণেশ রায়দের পাব্লিক আচরন বিএনপির প্রতি সাধারন মানুষের এক্সপেক্টেশান নির্মাণ করতেছে - যেইটাতে বিএনপিকে ঠিক আওয়ামি লীগের মত একটা দল মনে হচ্ছে।

বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী আমলের লুটপাট, মাস্তানি, দখলদারি ও চাঁদাবাজির অবসান চায়। কিন্তু বিএনপির নেতা-কর্মীরা সিগন্যাল দিচ্ছে যে, তারা সেইগুলো ফিরিয়ে আনবে অন্য দিকে শিবির বা জামায়াত দিচ্ছে, তারা সেই লুটপাট, মাস্তানি, দখলদারি ও চাঁদাবাজির অবসান ঘটাবে।

ফলে মানুষ এখন আর যুদ্ধাপরাধ বা সমাজে ইসলামি বয়ান কেন্দ্রিক ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থার আশংকাকে প্রধান ইস্যু হিসেবে দেখছে না।
ফলে বাংলাদেশের মানুষ বিএনপির আওয়ামি লীগের নিপীড়ন ফিরিয়ে আনার আশঙ্কার বিপরীতে জামায়াতের সুশাসন দেওয়ার গল্পটা বিশ্বাস করা শুরু করেছে।

তারেক রহমান যদি ফিরে এসে নাটকিয় ভাবে এই স্রোতটা ঠেকাতে না পারেন, তবে এই বিশ্বাসটা আগামী কয় মাসে গণজোয়ারে পরিণত হলে আমি অবাক হবো না।

@ Zia Hassan

আমি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি)। আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১–এর সামনে...
03/09/2025

আমি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি)। আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১–এর সামনে আমি আমার জবানবন্দি দিচ্ছি। আমার জীবনের দীর্ঘ সাড়ে ৩৬ বছরের পুলিশি দায়িত্বের শেষ পর্যায়ে যে ভয়াবহ ঘটনাগুলো ঘটেছে, তার সত্য আজ আমি এখানে প্রকাশ করতে চাই।

গত বছরের ১৮ জুলাই, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আমাকে ফোনে জানান যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে সরাসরি মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি তখন সদর দপ্তরে ছিলাম এবং আমার সামনে ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদার। প্রলয় সেই নির্দেশ সারা দেশে ছড়িয়ে দেন, যার ফলে সেদিন থেকেই আন্দোলন দমনে গুলি চালানো শুরু হয়। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের নির্দেশেই এই গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল।

এই সময় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ মারণাস্ত্র ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখান। আমাকে বলা হয়েছিল, যেকোনো মূল্যে আন্দোলন দমন করতে হবে। শেখ হাসিনাকে এ ব্যাপারে উৎসাহ দিতেন ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, ফজলে নূর তাপস ও মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের অবস্থান চিহ্নিত করে গুলি চালানো হয়েছিল। এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন র‍্যাবের মহাপরিচালক হারুন অর রশিদ। আন্দোলনপ্রবণ এলাকাগুলো ভাগ করে ব্লকরেইড করা হয়েছিল, যেখানে হেলিকপ্টার, ড্রোন ও মারণাস্ত্র ব্যবহার করে অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়। আওয়ামীপন্থী বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিককর্মী ও ব্যবসায়ীরাও সরকারকে এই দমননীতিতে উৎসাহিত করেছিলেন। সরকার নিজেই স্বীকার করেছে যে জুলাই অভ্যুত্থানে ৮৩৬ জন নিহত এবং ১৩ হাজার ৮০০ জন আহত হয়েছেন।

৪ আগস্ট আমি গণভবনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরাপত্তা সমন্বয় কমিটির বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানসহ মোট ২৭ জন উপস্থিত ছিলেন। আন্দোলন দমন কৌশল নিয়ে আলোচনা হলেও পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির কারণে বৈঠক স্থগিত হয়। রাতে আবার বৈঠক হয়, যেখানে ‘মার্চ টু ঢাকা’ ঠেকানোর পরিকল্পনা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ সমন্বিতভাবে কাজ করবে। আমি নিজেও সেনাবাহিনীর অপারেশন কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত ছিলাম।

৫ আগস্ট সকালে যখন ছাত্র-জনতা ঢাকায় প্রবেশ করতে শুরু করে, দুপুর নাগাদ খবর আসে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবেন। ওই দিন বিকেলে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার এসে আমাকে ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যায়। এর পরদিনই আমাকে আইজিপির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং কিছুদিন পর গ্রেপ্তার করা হয়।

আমি স্বীকার করছি যে আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ডিবির হারুনকে। তাঁদের ডিবি হেফাজতে এনে আন্দোলন প্রত্যাহার ও টেলিভিশনে বিবৃতি দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হারুনকে ‘জিন’ নামে ডাকতেন।

আমি আরও জানাতে চাই, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগের রাতে শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন তৎকালীন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী যে ব্যালট বাক্সে ৫০ শতাংশ ব্যালট আগে থেকেই ভর্তি করে রাখতে হবে। পরে সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হয় এবং যারা ভালোভাবে এটি সম্পন্ন করেছিলেন, তাঁদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছিল।

র‍্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় আমি প্রত্যক্ষ করেছি যে গোপন বন্দিশালা, অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার নির্দেশ আসত সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে। এসব নির্দেশ আসত প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে এবং নিয়ম ভেঙে সরাসরি র‍্যাব কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছানো হতো।

আজ আমি অকপটে স্বীকার করছি, আমার দায়িত্বকালেই এই ভয়াবহ গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। আমি শহীদ পরিবার, আহত ব্যক্তি, দেশবাসী এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমাকে দয়া করে ক্ষমা করবেন। আমি জানি এই অপরাধের দায় থেকে আমি কখনোই মুক্তি পাব না, তবে অন্তত সত্য প্রকাশের মাধ্যমে যদি আল্লাহ আমাকে হায়াত দেন, আমার বাকি জীবনটা কিছুটা হলেও অপরাধবোধ থেকে মুক্তির চেষ্টা করব।

এটাই আমার জবানবন্দি।

রুমিন ফারহানা লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি করেছেন। হাসনাত ইংরেজিতে মাস্টার্স করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। রুমিন ফারহানার ব...
27/08/2025

রুমিন ফারহানা লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি করেছেন। হাসনাত ইংরেজিতে মাস্টার্স করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

রুমিন ফারহানার বাবা স্বাধীনতা পুরস্কারজয়ী একজন রাজনীতিবীদ, ভাষাসৈনিক ও লেখক। হাসনাত আব্দুল্লাহর বাবা একজন সাধারণ মানুষ। তার চেহারায় পরিশ্রমের ছাপ। মুখে গ্রাম বাংলার হাসি।

হাসনাত তার বাবার মতো হননি। বাবার মতো হলে হয়তো এসএসসি পাশ করে মধ্যপ্রাচ্যে চলে যেতেন। হাসনাত হয়েছেন ঠিক সেটাই যেটা আল্লাহ তাকে বানাতে চেয়েছেন।

কৃষক ঘরের সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, ইংরেজিতে। বিসিএস দিয়ে বড় চেয়ারে বসে টেবিলের উপর নিচ দিয়ে সমানে টাকা কামাতে পারতেন। কিন্তু তিনি সময়ের দাবি মেনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘উই আর ওপেন টু কি*ল্ড’। দেশ উদ্ধারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন।

রুমিন ফারহানাও তার বাবার মতো হননি। রুমিনের বাবা ছিলেন জাঁদরেল রাজনীতিবীদ। ভাষা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। রাজনীতি করেছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মাওলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

অথচ ৭১-৭৪ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সেরা সময়ে তিনি আওয়ামী লীগ করেন নাই। মুজিবের সঙ্গ ত্যাগ করে যোগ দিয়েছেন মওলানা ভাষানীর সঙ্গে। শেখ মুজিবের বিরোধীতা করেছেন, গ্রেফতার হয়েছেন।

হাসনাত তার দাদার মতো হয়েছেন কি না জানি না; তবে রুমিন ফারহানা হয়েছেন হয়তো তার দাদার মতোই। রুমিন ফারহানার দাদা আবদুল ওহাব ছিলেন ব্রিটিশরাজের কর্মকর্তা। ডিস্ট্রিক্ট রেজিস্ট্রারের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

একদিকে ব্রিটিশরা এদেশের বিপ্লবীদের ফাঁ*সি দিচ্ছে, গু*লি চালাচ্ছে- যা দেখে রবীন্দ্রনাথের মতো মানুষ নাইট উপাধি বর্জন করছেন। অন্যদিকে রুমিন ফারহানার দাদা সকাল বিকাল অফিস করছেন, ফাইল সামলাচ্ছেন, বেতন নিচ্ছেন।

যার দাদা ডিস্ট্রিক্ট রেজিস্টার, বাবা স্বাধীনতা পুরস্কারজয়ী তার মেয়ে ব্যারিস্টার না হওয়াটা এক প্রকার অ*প*রা*ধ; আবার যার দাদা একজন সাধারণ মানুষ, বাবাও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ তার দেশ নিয়ে ভাবা এবং দেশের ঘারে চেপে বসা ১৭ বছরের জঞ্জাল মুক্ত করাও এক প্রকার অপরাধ। আজ সেই অ*প*রা*ধে*র শা*স্তি*ই হাসনাতকে দেওয়া হচ্ছে।

রুমিন ফারহানা হাসনাত আব্দুল্লাহকে ফকিন্নির পুত বলতেই পারেন। তার অর্থবিত্ত সাপেক্ষে আমি আপনি আমরা প্রায় সবাই ফকিন্নির পুত। হাসনাতকে বান্দির পুত বলতেই পারেন মেহের আফরোজ শাওন। তার অর্থবিত্ত সাপেক্ষেও আমরা সবাই প্রায় তাই।

কিন্তু, হাসনাত আব্দুল্লাহর ধারেকাছেও এরা দুই বড়লোকের পুত নাই। বাংলা ভাষায় যতদিন ইতিহাস রচিত হবে, ততদিন হাসনাত আব্দুল্লাহর অবদান লিখতেই হবে। এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নাই।

আরও লিখতে হবে, রুমিন ফারহানারা বড়লোকের বেটিলো হয়েও কিভাবে হাসিনার কাছে ফ্ল্যাট ভিক্ষা চেয়েছিল; যেখানে হাসনাতরা বলেছিল ‘ত*র*বা*রি*র সাথে গর্দানের সংলাপ চলতে পারে না।’

রুমিন ফারহানা, মেহের আফরোজ শাওনের সঙ্গে হাসনাতের একটা মিল আছে। তারা কেউ জনতার ভোটে সংসদ সদস্য হন নাই। অমিলও আছে বহু।

তবে গুরুত্বপূর্ণ অমিল হলো, শাওন-রুমিনরা সিংহের ঘরে জন্ম নেওয়া সাধারণ প্রাণী। হাসনাত সাধারণ ঘরে জন্ম নেওয়া সিংহ। সময়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান জন্ম নিয়েছে এক সাধারণ ঘরে। শ্রেষ্ঠ ঘরগুলোতে জন্ম নিয়েছে আবর্জনা। দেশের পরিবর্তন যে এসে গেছে তা কি আপনারা বুঝতে পারছেন? ২৬ বয়সের হাসনাত ৬২ বছরের বুড়ো ধারীদের ঘাম ঝরিয়ে ছারছে?

রুমিন-শাওনদের যুগ শেষ, আমরা নতুন যে যুগে পা দিচ্ছি, তা কেবল হাসনাতদের।

লেখা- Muhammad Asadullah

আপনি যদি ১৫ই আগষ্টে শেখ মুজিবর রহমানকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের সম্মান জানানোটা খালি চোখে দেখেন তাহলে মনে হবে এটি...
19/08/2025

আপনি যদি ১৫ই আগষ্টে শেখ মুজিবর রহমানকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের সম্মান জানানোটা খালি চোখে দেখেন তাহলে মনে হবে এটি হয়তো তার ১৯৭১ সালে দেশকে স্বাধীন করার সংগ্রামে অবদানের জন্য। কিন্তু অন্তরালে ঘটে গেছে এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্র।

পুরাটাই ছিলো একটা ওয়েল কো-অর্ডিনেটেড ক্যম্পেইন। হ‍্যা, কেউ কেউ সত্যিকার অর্থেই শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে যারা বিভিন্ন পোস্ট দিয়েছেন তারা আওয়ামীলীগের লং টার্ম এ্যালাই, কেউ অর্থের বিনিময়ে, কেউ বিজ্ঞাপন জগতের আওয়ামী মাফিয়ার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে। অন্যদের মধ্যে যারা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তারা হলেন গত ১৬ বছরে আওয়ামীলীগের সুবিধাভোগী—কিছু শিক্ষক, কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী এবং বিভিন্ন পেশার সুবিধাবাদী। তারা অতিরিক্ত উৎসাহ দেখিয়েছেন। কারণ, তারা চায় আওয়ামীলীগ ফিরলে তাদের দুর্নীতি, অবৈধ প্রভাব ও নৈতিক ছাড়পত্র অব্যাহত থাকবে।

শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তারা একটা ন্যারেটিভ দাঁড় করিয়েছে। সেটি ছিলো আইসোলেটেড ভাবে শেখ মুজিবকে গ্লোরিফাই করা। তার মানে হলো— গত ষোল বছর আওয়ামী লীগ শাসনামলে শেখ মুজিবের নাম নিয়ে যে অত্যাচার চালানো হয়েছে তা এড়িয়ে যাওয়া। আওয়ামীলীগ তাদের সব অপকর্ম শেখ মুজিবের ছবি ও নামের বর্মে ঢেকে রেখেছিলো, জুলাই বিপ্লবের কোনো উল্লেখ নেই। কিংবা ’আমরা শেখ মুজিবকে ভালোবাসলেও আওয়ামীলিগের গত ১৬ বছরের হত্যাযজ্ঞকে সমর্থন করি না’ এমন কোনো ডিসক্লেইমার নেই।

যদিও প্রত্যেকটি পোস্টে শেখ মুজিবের একাত্তরের অবদানকে গ্লোরিফাই করা হয়েছে, কিন্তু সচেতন ভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে মুজিবের ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের ভয়ানক দু:শাসন।

তার শাসনকাল মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে গণতন্ত্র নয়, বরং স্বৈরতন্ত্রের অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। রক্ষীবাহিনী গঠন ছিল এই শাসনের সবচেয়ে ভয়াবহ দিক, যারা অপহরণ, গুম, নির্যাতন ও হত্যার মাধ্যমে গোটা দেশকে আতঙ্কে ভরিয়ে তোলে। এই রক্ষীবাহিনী দ্বারা শেখ মুজিব প্রায় ৪০,০০০ মানুষকে প্রত্যক্ষভাবে খুন করিয়েছিলেন। ভিকটিমদের মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য অংশ ছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। সেই সময় রাজনৈতিক বিরোধী, ভিন্নমতাবলম্বী এমনকি সাধারণ নাগরিকদেরও নৃশংসভাবে দমন করা হয়েছিল।

এরই মধ্যে আসে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ, যা মুজিব সরকারের চরম অযোগ্যতা ও অমানবিক উদাসীনতার প্রতিচ্ছবি। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন রিসার্চারদের মতে ১৫ লক্ষ মানুষ সেসময় মারা যান। এত মানুষ মারা গেলেও মুজিব সরকার তখন ক্ষমতা পাকাপোক্ত করা, বিরোধীদের দমন করা এবং লুটপাটে ব্যস্ত ছিল। দুর্নীতি, অদক্ষতা ও দমনপীড়নই মুজিব আমলের মূল বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়ায়। জনগণের কাছে যে সোনার বাংলার স্বপ্ন তিনি দেখিয়েছিলেন, তা রূপ নেয় ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও মৃত্যুর দুঃস্বপ্নে।

১৯৭৫ সালের জনরোষ হঠাৎ তৈরি হয়নি—এটি ছিল মুজিবের ব্যর্থতা, তার রক্ষীবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ এবং দুর্ভিক্ষে মৃত্যুর কারণে জমা হওয়া ক্ষোভের বিস্ফোরণ। অবাক করা বিষয়, শোক প্রকাশ করার সময় এসব বিষয়ের কোনো নূন্যতম উল্লেখও ছিলো না।

আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যাকারীদের অধিকাংশই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে লড়েছিলেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই হত্যাযজ্ঞকে নিন্দা জানাই, কোনভাবেই এধরনের জঘন্য হত্যাকাণ্ড মেনে নেয়া সম্ভব না।

অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, রক্ষীবাহিনীর দমননীতি, ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে সরকারের ব্যর্থতা এবং মুজিবের একদলীয় স্বৈরশাসন সেই মুক্তিযোদ্ধাদের অসন্তুষ্ট করেছিল। প্রধান হত্যাকারীদের মধ্যে ছিলেন সৈয়দ ফারুক রহমান, খন্দকার আবদুর রশীদ, মহিউদ্দিন আহমেদ, বজলুল হুদা, এ.কে.এম. মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী। তাদের অধিকাংশেই মুক্তিযোদ্ধা এবং কয়েকজন মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্যে খেতাব পান। তাদের দাবি, জাতিকে রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ, যদিও ইতিহাসে এই ঘটনা দেশপ্রেম নাকি ব্যক্তিগত উচ্চাভিলাষ—তা নিয়ে বিতর্ক আজও চলমান।

এবার আসা যাক কীভাবে আওয়ামীলীগ এই সাকেসেসফুল ক্যাম্পেইন করলো। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক তথ্য মতে, ১৪ আগস্ট আওয়ামীলীগের সর্বোচ্চ কয়েকজন নেতা কয়েকজন প্রভাবশালী ইনফ্লুয়েন্সারের সঙ্গে বৈঠক করেন, যাদের মধ্যে জুলাই আন্দোলনে ইন্সফ্লুয়েন্সারদের আওয়ামীলীগের পক্ষে প্রচারণা চালানোর জন্য ভয়ভীতি দেখানো এক ইউটিউবার অন্যতম। এরপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে হাসিনার ঘনিষ্ঠ, সাংবাদিক মহলে এক পরিচিত মুখ পুরো প্রচারণার নকশা তৈরি ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব নেন। তার আবার বিনোদন জগতে ব্যাপক প্রভাব। এদের মূল কৌশল ছিল—যাদের প্রকাশ্যে আওয়ামীলীগপন্থী ভাবা যায় না, এমন সেলিব্রেটিদের দিয়ে পোস্ট করানো, যাতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয় এবং অন্য শিল্পী-সেলিব্রেটিরাও একই ধারায় পোস্ট দিতে রাজি করানো যায়।

১৫ আগস্টের প্রথম প্রহরেই আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ তারিন, তমালিকা, সাজু খাদেম, অরুণা বিশ্বাস ও শামিমা তুষ্টির মতো শিল্পীরা পোস্ট দিয়ে প্রাথমিক তরঙ্গ তৈরি করেন। এর পর বাংলা সিনেমার এক শীর্ষ নায়কের পোস্টকে “সেন্ট্রাল ভ্যালিডেশন” হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, ইচ্ছাকৃত ভাবে নয়, বরং সেই নায়ককে নানা ভাবে ইনফ্লুয়েন্স করে এমন পোস্টে বাধ্য করা হয়। এই নায়কও ওই নেতার সাথে ঘনিষ্ঠ এবং দুজনই এখন আমেরিকায় রয়েছেন।

এই গোটা প্রচারণায় সেই ইউটিউবার মাঠ পর্যায়ের নেটওয়ার্ক সক্রিয় করেন, আর তিনি কৌশলগত দিক নির্দেশনা দেন। পুরো উদ্যোগ ছিল পরিকল্পিত মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব বিস্তারের একটি অপারেশন।

আর আওয়ামীলীগের এখনকার মিশন হলো নানা ভাবে এই সব সেলিব্রেটিদের গ্লোরিফাই করা। তাদের অপারেশনের শুরুটা হয়েছিলো যাহের আলভী নামে এফ গ্রেডের এক ইউটিউবে প্রচারিত যৌন সুরসুরি মূলক নাটকের নায়ককে দিয়ে। তিনি ১৫ আগস্টের কয়েকদিন আগে পোস্ট করে জানান যে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কেউ তার লিস্টে থাকলে তারা যেনো তাকে আনফ্রেন্ড করে দেয়। সে আবার ১৫ আগস্টও শোক জানিয়ে স্ট্যাটাস দেয়।

এরপরই গতকাল প্রথম আলো তাকে নিয়ে বিরাট ফিচার প্রকাশ করে। এই এফ গ্রেডের নায়ককে প্রথম আলো গ্লোরিফাই করার কোনো যুক্তি নেই। এটি ছিলো তার পুরষ্কার। প্রথম আলোর বিনোদন বিটের এক সাংবাদিক সেই হাসিনা ঘনিষ্ঠ নেতার পরিচিত। এই কানেকশনের সূত্রেই প্রথম আলো যাহের আলভীকে ফিচার করে। এই সাংবাদিক আবার সেই শীর্ষ নায়কের ফেসবুক পেইজের এডমিন এবং অলিখিত বেতন ভূক্ত পিআর ম্যানেজার। সাংবাদিকের স্ত্রী একজন গাইকা। তিনিও শোক জানিয়ে পোস্ট দেন। আজ দেখলাম কালবেলাও তাকে নিয়ে রিপোর্ট করেছে। এখন থেকে দেখবেন এদের গ্লোরিফিকেশন চলছেই। এবং এর প্রত্যেকটিই ওয়েল কোঅর্ডিনেটেড।

এছাড়াও, বিজ্ঞাপন জগতের মাফিয়া হিসেবে পরিচিত একজনের নাম এসেছে । তিনি ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে। সরকারের উচিৎ এসব গভীরভাবে তদন্ত করা। কিন্তু অবশ্যই কাউকে বিনা দোষে হ্যারাস যেন না করা হয়। একটা বন্তুনিষ্ঠ তদন্ত হওয়া দরকার। এটা বের করা দরকার এটি কী জুলাই গণহত্যাকারী দলকে পুনর্বাসিত করার প্রাথমিক পদক্ষেপের ষড়যন্ত্র কী-না?

মুজিবের পর তাদের পরবর্তী ন্যারেটিভ হচ্ছে, ধীরে ধীরে সরা-সরাসরি আওয়ামীলগের পক্ষে বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের দিয়ে পোস্ট করানো। এরই মধ্যে দেখবেন যে ইমতু রাতিশ নামে এক সি গ্রেড সেলিব্রেটি আওয়ামীলীগকে মহিমান্বিত করে একটা পোস্ট দেওয়ার স্পর্ধা দেখিয়েছে। যেহেতু এখন আয়ানঘর নেই কিংবা ইউনূস সরকার সরাসরি কোনো বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত নয় তাই এই সাহস তারা দেখাচ্ছে।

আরো একটা বিষয় লক্ষণীয় বিষয় যে, প্রত্যেকটা শোক জানানোর পোস্টে কিংবা পতিত গণহত্যাকারীদের পক্ষে কোনো ন্যারেটিভে আপনি দেখবেন সাথে সাথে কয়েক হাজার কমেন্ট লাইক এবং শেয়ার হয়ে যাচ্ছে। এসব লাইক, কমেন্ট ও আওয়ামীলীগের ফ্যাসিলিটেট করা স্পটলাইটের লোভেও কেউ কেউ হিরো সাজতে পোস্ট দিচ্ছে। আর এসব লাইক কমেন্টকরীদের অধিকাংশই পলাতক। এদের কাজই হচ্ছে ফেসবুকে শোরগোল তোলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা করা। এমনও দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০র বেশি পোস্ট বেশি শেয়ার করেছে।

এরা এখন সাইকোলজিকাল ওয়ারফেয়ারে নেমেছে। তারা চাইনীজ দার্শনিক সান-জুর মূল ধারণা অনুযায়ী কাজ করছে। যেটি হলো যুদ্ধ কেবল শারীরিক সংঘর্ষ নয়; মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব, প্রতিপক্ষকে বিভ্রান্ত করা, এবং কৌশলগত পরিকল্পনা অপরিহার্য। তাই এই ডিজিটাল যুগে স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রপাগান্ডা, ভুল তথ্য, এবং মানসিক চাপ ও ভয় তৈরি এখন আওয়ামীলীগের প্রধান অস্ত্র। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অসংখ্য সমালোচনা ও ভুল থাকা সত্ত্বেও — সব সূচকে দেশ আওয়ামীলীগের চেয়ে ১০ গুণ ভালো থাকার পরও মানুষের মনস্তত্বে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে—’আগেই ভালো ছিলাম’ কিংবা ’আওয়ামীলীগই ভালো ছিলো’ শব্দমালা।

অন্যদিকে দেখবেন এনসিপি কিংবা জামায়াতের সমর্থকদের একমাত্র একটি কাজ হলো বিএনপির সমালোচনা করা। আওয়ামী প্রপাগান্ডা যেমন — বিএনপির নেতৃত্বকে ১০ পার্সেন্ট, বা খাম্বা; এ জাতীয় নোংরা ও পার্শ্ববর্তী দেশের এ্যাম্বাসি দ্বারা তৈরী একসময়ের ন্যারেটিভ এখন এসব রাজনৈতিক দলের দ্বারা সংঘবদ্ধভাবে সিডিং প্রক্রিয়ায় প্রচার হচ্ছে। ঠিক একইভাবে ছাত্রদল আবার ছাত্রলীগের ন্যারেটিভে জামাত শিবিরকে এ্যাটাক করছে।

অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো, এরা কেউই তাদের সামর্থের ১০ পার্সেন্টও আওয়ামীলীগের দু:শাসনের প্রচারে ব্যায় করছে না। অন্যদিকে হাসিনার পতনের পর তথাকথিত ‘মাস্টারমাইন্ডরা’ শুধু মুখে মুখে আওড়াচ্ছে— “মুজিববাদের কবর, মুজিববাদের কবর!”— যা মানুষের মধ্যে বিরক্তির সৃস্টি করছে।

এই সব বিভেদ গত ১৬ বছরে আওয়ামীলীগের দু:শাসন, স্বৈরতন্ত্র, ভোট চুরি এবং রাজনৈতিক দমনপীড়নকে ঢেকে দিচ্ছে। তিনটি জালিয়াতিপূর্ণ নির্বাচন কিংবা ভোট চুরির বিষয় এখন আর গুরুত্ব পাচ্ছে না। বিরোধীদলের রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা হাসিনা যে নির্মম নিপীড়ন চলিয়েছে এবং জুলাইয়ে যে গণহত্যা চালানো হয়েছে তা এখন আর এজেন্ডা না।

তাই জুলাইয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা শিক্ষার্থী, সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, আর আপামর জনসাধারণ আপনাদের স্টেক এখন হাই। আপনাদেরকেই এসব প্রপাগান্ডাকে প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।

আওয়ামীলীগ এখন মাঠে নেই। হয়তো ফিরতেও অনেক সময় লাগবে। কিন্তু ক্ষমা চাওয়া এবং তাদের বিচারের আগে যদি আওয়ামীলীগ কোনো ভাবে ফিরে তাহলে বাংলাদেশ নামক দেশটি সার্বভৌমত্ব হারাবে। বাংলাশের নিরাপত্তা বাহিনী কোনো দিন উঠে দাঁড়াতে পারবে না। সেনাবাহিনীকে পঙ্গু করে দেশে নতুন রক্ষী বাহিনী আবার হত্যাযজ্ঞ চালাবে।

তাই দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সর্বদা সচেষ্ট থাকার শানিত শপথ নিতে হবে। রুখে দিতে হবে জুলাই ম্যাসাকার চালানো কসাইদের।

@ জুলকারনাইন সায়ের

৮৭৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধ...
09/08/2025

৮৭৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

05/08/2025

হাসিনা পালানোর পর প্রথমে ঢুকেছিলাম সংসদ ভবনে। সেখানে অনেকক্ষণ থাকার পর তারপর রওনা দিলাম গণভবনের দিকে।

গণভবনের দিকে রওনা হবার পর দেখা হয় একটা ছেলের সাথে। তখন একসাথে বিজয় স্লোগান দিচ্ছিলাম সবাই।

হাঁটতে হাঁটতে অনেকক্ষণ কথাও হয় ছেলেটার সাথে।
ছেলেটা কলেজের স্টুডেন্ট। বাড়ি রাজশাহী।

আমি জিজ্ঞেস করলাম, 'এতদূর থেকে আসলে কিভাবে? প্রত্যেক পয়েন্টে তো পুলিশ, সেনাবাহিনী থাকার কথা।'

ছেলেটা বলল, 'ভাই লং মার্চের তারিখ পরিবর্তন হওয়ায় আমরা দুই বন্ধু মিলে তাড়াহুড়ো করে রওনা দিছি। পরে যদি আবার না আসতে পারি।'

আমি জিজ্ঞেস করলাম, 'পুলিশ কোথাও আটকায় নি?'

ছেলেটা উত্তর দিল, 'অনেককেই আটকাইছে। আসতে দেয় নাই। লীগের পোলাপান কয়েকজনকে কোপাইছেও। এজন্যে আমরা অন্য একটা ব্যবস্থা করেই আসছি।

মোবাইলে শেখ মুজিব আর হাসিনার অনেকগুলো ছবি ডাউনলোড করে রাখছি। পুলিশ ধরলে বলতাম আমরা ছাত্রলীগের পোলাপান।' বলেই ছেলে দুইটা একসাথে হাসি দিল।

তারপর আবার বলতে শুরু করল, 'আর পড়ে আসছি সবচেয়ে পুরাতন গেঞ্জি আর প্যান্ট টা। দেখলে যাতে মনে হয় কোন এতিম গরীব ছেলে। তাইলে আটকাইবো না।

যেভাবেই হোক আসতেই হইব এই শপথ নিয়াই রওনা দিসি। সরাসরি আসতে পারি নাই অনেকবার গাড়ি চেঞ্জ করে ভেঙে ভেঙে আসতে হইছে।'

তারপর আমি ছেলেটার মোবাইলের ওয়ালপেপারে দেখলাম - নাম, বাবার নাম, কলেজের নাম, নাম্বার লেখা একটা ছবি। যাতে মারা গেলেও কেউ চিনতে পারে এজন্যে এই ব্যবস্থা। ওর বন্ধুর মোবাইলেও একই।

আমি ওয়ালপেপার টা লক্ষ্য করতেছি দেখে ও আমাকে আরেকটা জিনিস দেখাল। গেঞ্জির ভেতরের সাইডে একটা ছোট কাগজে নাম, ঠিকানা লিখে পিন দিয়ে আটকে রাখা।

আমি জিজ্ঞেস করলাম, 'মোবাইলে থাকার পরও আবার এখানে লাগানো কেন? তাও আবার গেঞ্জির ভেতর।'

ছেলেটা বলল, 'এটা আমার মায়ের বুদ্ধি। মা ই আসার সময় এটা লাগাই দিসে। যাতে ভিড়ের মধ্যে যদি
মোবাইল টা হারাইয়াও যায় আর আমি মারা যাই তাইলে যেন গেঞ্জির ভিতরের ঠিকানা টা দেইখা লাশটা মায়ের কাছে পাঠাইতে পারে।'

কথাগুলো বলতে বলতে ওরা চলে গেল গণভবনের সামনের রাস্তার দিকে। আমি কিছুক্ষণের জন্যে স্তম্ভিত হয়ে সেখানেই দাঁড়িয়ে রইলাম।

যেই মা জীবিত ছেলেকে মিছিলে পাঠিয়ে লাশের জন্যে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে পারে এমন সাহসী মায়ের মুখটা বারবার মনে করার চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু পারছিলাম না!

৫ই আগস্ট, ২০২৪
~ Ibrahim Khalil Shawon

21/07/2025

BAF F7 বিমানটি মূলত চাইনিজ চেংডু জে-সেভেন ফাইটার বিমান, চীনে এর উত্‌পাদন চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে ২০১৩ সালে। ২০২৩ সালে চীন এর উড্ডয়ন পারমানেন্টলি বন্ধ করে দেয়।

ইউরেশিয়ান টাইমস এর সূত্র অনুযায়ী, ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এই ভ্যারিয়েন্ট এর মোট ১৬ টা বিমান কেনে চীন থেকে।

২০০৮ সালে এর একটা বিধ্বস্ত হয় টাঙ্গাইলে। পাইলট মোরশেদ হাসান নিহত হন, কারণ বিমানটির প্যারাশুট ঠিকমত কাজ করেনি।

২০১৫ সালে দ্বিতীয়টি বিধ্বস্ত হয় বঙ্গোপসাগরে। এর পাইলট লেফট্যানেন্ট তাহমিদকে আর খুঁজে পাওয়া যায় নি।

তৃতীয়টি বিধ্বস্ত হয় ২০১৮ সালে, আবার টাঙ্গাইলে। ফুয়েল ট্যাংকে আগুন ধরে যাওয়ায় এর পাইলট উইং কমাণ্ডার আরিফ আহমেদ দীপু বেঁচে ফিরতে পারেন নি।

অন্তত মন্দের ভাল ছিল, আগের তিনটি লোকালয়ে বিধ্বস্ত হয় নি।

চতুর্থটি বিধ্বস্ত হল আজ জনাকীর্ণ উত্তরায়, মাইলস্টোন স্কুলের বাচ্চাদের ওপর। পাইলট তৌকির নিহত হল আর সাথে আমরা হারালাম আমাদের ফুলের টুকরা বাচ্চাদের।

এখন প্রশ্ন হল, বাকি বিমানগুলোর কী হবে? আরো তো মনে হয় এই ঘরানার ১২টা বিমান আছে। কোথায় ক্র্যাশ করবেন উনারা?

মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ যেমন বিষ, মেয়াদোত্তীর্ণ যুদ্ধযান তেমনি আত্মধ্বংসী।

বাতিল লোহালক্কড়ের এই ফালতু মহড়া দিয়ে কী করব আমরা? অপঘাতে মরার জন্য আর কীভাবে কীভাবে সীটবেল্ট বেঁধে রাখব? এমনই যুদ্ধযান উনারা, নিজ দেশের মানুষ যাদের টার্গেট!

(তথ্যসূত্র: Rupol Nadim Rossy)

19/07/2025

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দেশের একটা গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করা আমার এক ছোট ভাইকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তোমাদের মতে হাসিনার পতনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন কোনটা?

এক সেকেন্ডের মধ্যে তার উত্তর ছিল ১৮ জুলাই, প্রাইভেট ভার্সিটির নজিরবিহীন প্রতিরোধ। ও বলল, সরকার কনফিডেন্ট ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে, বিএনপি-ছাত্রদল-জামাতের কিছু শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে নজরদারিতে রাখতে পারলে এবং গ্রেফতার করলে এই আন্দোলনকে আটকে দেয়া যাবে। মাদ্রাসাকেন্দ্রিক একটা মুভমেন্ট হতে পারে এ ব্যাপারেও সরকার প্রিপেয়ার্ড ছিল। এজন্য হেফাজত নেতৃবৃন্দ নজরদারিতে ছিল।

এ কারনে সরকার, গোয়েন্দা সংস্থা, তদকালীন পুলিশ-র‍্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তে ১৭ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ভ্যাকান্ট করা হয়। শীর্ষ সমন্বয়কদের খুঁজে খুঁজে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত হয়। ২/১ দিনের মধ্যে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত হয়। ফলে আন্দোলনকে সংগঠিত করার কোন শক্তি অবশিষ্ট থাকবে না এরকমটা ভাবা হয়।

কিন্তু সব ইকুয়েশনকে ওলট পালট করে দিয়েছিল প্রাইভেট ভার্সিটি। এরা ম্যাক্সিমাম সরকারি চাকরিতে আসে না। সো কোটা নিয়ে তারা খুব একটা মাথা ঘামাবে এই ধারণা সরকারের ছিল না।

কিন্তু তারাই নজিরবিহীনভাবে বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে গেল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেল। একের পর এক শিক্ষার্থী মারা গেল। বাংলাদেশে ঘটলো সেই সময় পর্যন্ত সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী শিক্ষার্থী-পুলিশ-র‍্যাব সংঘর্ষ। ৩৫ এর কাছাকাছি শিক্ষার্থী শহীদ।

প্রাইভেট ভার্সিটির এই মুভ সরকারের জন্য সিলেবাসের বাইরে থেকে প্রশ্ন ছিল, যার উত্তর তাদের জানা ছিল না। এরা কোথেকে আসলো, কিভাবে আসলো, কারা এদের সংগঠিত করলো এটা নিয়ে সবাই পাজেলড ছিল।

প্রাইভেট ভার্সিটির এই নজিরবিহীন ঘুরে দাঁড়ানো পুরো বাংলাদেশের ভয় ভেংগে দিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেল। সরকার আতংকিত হয়ে গেল। শেখ হাসিনা বাধ্য হল কারফিউ দিতে। আর বাংলাদেশে কারফিউ দেয়ার পর কোন সরকার কখনো টিকে থাকতে পারেনি।

প্রাইভেট ভার্সিটির এই নজিরবিহীন ঘুরে দাঁড়ানো আরেকটা কাজ করলো যেটা বিএনপি জামাতের ১৭ বছরের আন্দোলন করতে পারেনি। সেটা হচ্ছে শহুরে মিডল ক্লাস এবং আপার মিডল ক্লাসকে এই আন্দোলনে যুক্ত করে ফেলা।

প্রাইভেট ভার্সিটি মূলত শহুরে মিডল ক্লাস এবং আপার মিডল ক্লাসকে রিপ্রেজেন্ট করে। এই গ্রুপটা নিজেদের ক্যারিয়ার আর জীবন নিয়ে থাকতেই বেশি পছন্দ করে। যখন তাদের সন্তানদের বুকে গুলি চলেছে এটা তাদের জন্য রেড লাইন ছিল।

একটা সরকার সব সময় টিকায় রাখে মিডল ক্লাস, আপার মিডল ক্লাস। এই কারনে হাসিনা ঢাকাকে ক্যান্টনমেন্ট বানায়ে রাখছিল। সারা দেশে আন্দোলন হলেও ঢাকাতে কখনো কাউকে দাঁড়াতেই দেয় নাই।

১৮ জুলাইয়ের পর আপার মিডল ক্লাস রাস্তায় নামতে শুরু করলো, সোশ্যাল মিডিয়াতেও কথা বলতে শুরু করলো। ফলে হাসিনার গদিও নড়েচড়ে উঠলো।

সো হাসিনার পতন হয়ে গেছে মূলত ১৮ জুলাই। ৫ আগস্ট ছিল আনুষ্ঠানিকতা।

আমরা যাদেরকে ফার্মের মুরগি ডাকি, সেই ফার্মের মুরগিগুলো দেশের বিপদে বুক পেতে দিল, রক্ত দিল, মানুষকে কাঁদালো আর তারপর নিজেদের পড়ার টেবিলে ফিরে গেল। না চাইলো ক্ষমতার ভাগ, না দাবী করলো অন্য কোন কিছু।

এই জাতিকে মুক্তির রাস্তা দেখানোর জন্য এই সেলফলেস ফার্মের মুরগিগুলোর প্রতি রইলো অনেক অনেক দোয়া।

Collected

অভিনেত্রী হুমায়রা আসগর আলীর মরদেহ ৬ মাস পর নিজ বাসা থেকে উদ্ধার…এক হৃদয়বিদারক ঘটনায় পাকিস্তানি জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল ...
10/07/2025

অভিনেত্রী হুমায়রা আসগর আলীর মরদেহ ৬ মাস পর নিজ বাসা থেকে উদ্ধার

এক হৃদয়বিদারক ঘটনায় পাকিস্তানি জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল হুমায়রা আসগর আলীর মরদেহ তার লাহোরের ডিফেন্স হাউজিং অথরিটি (DHA) এলাকার নিজ বাসা থেকে প্রায় ছয় মাস পর উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই বাসা থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় বাড়ির মালিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দেন। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে হুমায়রা আসগরের পচাগলা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তদন্তকারীরা জানান, তার শেষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয়তা ছিল ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে। তিনি প্রায় ৯ মাস ধরে বাসাভাড়া পরিশোধ করেননি। অক্টোবর ২০২৪ থেকে তার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল, আর প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ। এছাড়া তার বাসায় থাকা খাদ্যসামগ্রীর মেয়াদও ২০২৪ সালেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।

অভিনেত্রী হুমায়রা আসগর আলীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে কোনো অফিসিয়াল জিজ্ঞাসাবাদ বা ওয়েলফেয়ার চেক না হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন ও সমাজের মানবিক দায়িত্ববোধ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এই মর্মান্তিক ঘটনা শুধু একটি মৃত্যুর নয়, বরং এটি আধুনিক সমাজে নিঃসঙ্গতা, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং একে অপরের প্রতি উদাসীনতার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।

হুমায়রা আসগর একাধিক টেলিভিশন নাটক ও ফ্যাশন প্রকল্পে কাজ করেছেন। তার অকাল মৃত্যু শোবিজ অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে।

CBN ডেস্ক রিপোর্ট

এই কৃষক সাহেব নিজের গাছের কাঁঠাল এনে আদর করে খাওয়াচ্ছেন নাহিদ, হাসনাত, তাসনিম জারাদের। আর নাহিদকে দেখেন, গলায় গামছা দিয়ে...
03/07/2025

এই কৃষক সাহেব নিজের গাছের কাঁঠাল এনে আদর করে খাওয়াচ্ছেন নাহিদ, হাসনাত, তাসনিম জারাদের।

আর নাহিদকে দেখেন, গলায় গামছা দিয়ে কাঁঠাল খাচ্ছেন, যেন কতদিন ধরে গ্রামে থাকেন।

তাসনিম জারাকে দেখে বোঝা যায় উনি অক্সফোর্ড থেকে পড়ে আসা মানুষ?

বরং মনে হচ্ছে বাংলাদেশের সাধারণ এক তরুনী।

এখানে কোন রাজা নাই, রাজপুত্র নাই।

এই কৃষকটা কি কোনদিন ভুলতে পারবে? ২৪ এর বিপ্লবের নায়কেরা, একটা রাজনৈতিক দলের হেড তাঁর সাথে গামছা গলায় দিয়ে কাঁঠাল খেয়েছিল?

এই রাজনীতিটাই আমরা এতদিন দেখতে চেয়েছিলাম।

আজ কুড়িগ্রামে দেখলাম, দোকান থেকে লোকজন নেমে এসে নাহিদ, হাসনাতকে জড়িয়ে ধরছে, স্কুলের মেয়েরা সার্জিসের থেকে অটোগ্রাফ নিতেছে।

সাধারণত রাজনৈতিক প্রোগ্রামে স্কুলের পোলাপান আসে না। জোর করে আনতে হয়।

অথচ আজ সার্জিসকেই বরং মেয়েদের মধ্যে থেকে নাহিদ ভাই টেনে বের করে নিয়ে গেছে।

মানে, সমাজের প্রতিটা বয়সের মানুষ এখানে ইনভলভ হইতেছে।

এই রাজনীতিটা জারি রাখেন।

রাস্তায় হাঁটেন, গেরস্তের উঠানে খান, গাছের আম কাঁঠাল খান।

ভোটের হিসাব পরে হবে মানুষের ভালোবাসাটাই আপাতত বুক ভরে গ্রহন করেন।

ভোট দিয়ে যা হয় না, ভালোবাসা দিয়ে তা হয়।

@ Sadiqur Rahman Khan

এই আইকনিক ছবিটা ছাপা হয়েছিল ৩৩ জুলাই ২০২৪ প্রথম আলোয়। সেদিনই শেয়ার দিয়েছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, কিন্তু আন্দোল...
02/07/2025

এই আইকনিক ছবিটা ছাপা হয়েছিল ৩৩ জুলাই ২০২৪ প্রথম আলোয়। সেদিনই শেয়ার দিয়েছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, কিন্তু আন্দোলন দাবানলের মত ছড়িয়ে গেছে সবখানে। এটা উত্তরার ছবি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা আর কলেজের শিক্ষার্থীরা সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। তার কয়দিন পরই তো আওয়ামি লীগ সরকারের পতন হল। কিন্তু এই দুই তরুণীকে আর কখনই কোথাও দেখা গেল না। কোনো পদ বা সুবিধার দাবি নিয়ে তারা সামনে এল না। কোনো টকশোতেও না। ফিরে গেল যার যার ক্লাশরুমে। মিশে গেল ভিড়ে।

এদের জন্যই সার্তিও লিখেছিলেন “....the common hero, an ubiquitous character, walking in countless thousands on the streets....This anonymous hero is very ancient. [S]he is the murmuring voice of societies. In all ages, [s]he comes before texts. [S]he does not expect representations."

তোমরাই আমাদের নায়ক, এই বর্ষাবিপ্লবের জননী। ভিড়ের হৃদয়ে থাকো, তোমাদের কোনো নাম নেই, দাবি নেই, কিন্তু যখন প্রয়োজন হয়, ইতিহাসের পাতা থেকে ঠিক ঠিক উঠে এসে সামনে দাঁড়াও। আশ্বাস হয়ে, বরাভয় হয়ে। তোমাদের জন্যই আমাদের এই বেঁচে থাকা অর্থবহ হয়। ভালো থেকো, যেখানেই থাকো।

@ Dr Sumon Rahman

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when CBN24 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to CBN24:

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share

CBN

CBN, কানাডায় বাংলাদেশের মুখপত্র

www.cbn24.ca

E-mail: [email protected]