CBN24

CBN24 CBN24 cbn24.ca কানাডার ২৪ ঘণ্টার সংবাদ জানায় বাংলায়

রেলে লোকসান দেখাইতো! বিমানে অল্প লাভ দেখাইতো। বাংলাদেশ স্যাটেলাইট ১ লোকসান দেখাইতো।বন্দরে গ্যাঞ্জাম দেখাইতো!কিন্তু মাত্র...
12/12/2025

রেলে লোকসান দেখাইতো!

বিমানে অল্প লাভ দেখাইতো।

বাংলাদেশ স্যাটেলাইট ১ লোকসান দেখাইতো।

বন্দরে গ্যাঞ্জাম দেখাইতো!

কিন্তু মাত্র ১৬ মাস পর এই সবকয়টা সেক্টরে লাভের মুখ দেখলো বাংলাদেশ। ইউনূস দুর্নীতিকে আঙ্গুল দিয়া দেখাইয়া গেছে বাংলাদেশের মানুষকে।

এবার চিন্তা করেন ,চোর ,বাটপারেরা এতো বছর কি পরিমাণ চুরি করছে। জনগণের চোখ ফাঁকি দিয়া কি পরিমাণ লুটপাট করছে।

🟣 রেলে এবার লাভ হইছে ১১৮ কোটি টাকা, অথচ বিগত বছরগুলোতে রেলে লোকসান দেখাইতো আড়াই গুণ।

🟣 ছয় বছর পর বাংলাদেশ স্যাটেলাইট ১
লাভ দেখছে ৩৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকার।

🟣 বিমানে ৫৫ বছরের রেকর্ড পরিমাণ লাভ হইছে মানে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে অনিরীক্ষিত ৯৩৭ কোটি টাকা।

যেটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মুনাফা ছিলো ২০২১-২২ অর্থবছরে মাত্র ৪৪৪ কোটি টাকা।

অথচ বিমানের টিকেটের দাম সরকার কমাইছে!

বন্দরে কি হইলো?

আগে একটা পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে থাকতো দিনের পর দিন।

কিন্তু এখন ২ দিনের ভিতরে পুরোপুরি খালাস!

আগে কি লাভ হইতো না?

হয়তো কিন্তু সেই টাকা দুর্নীতিবাজরা মিলেমিশে খেয়ে দিতো। উল্টা লস দেখাইয়া জনগণের পকেট কাটতো।

১০ টাকার ট্যাক্স ১৫ টাকা করে দিতো।
ভাড়া বাড়াইয়া দিতো।

বিশ্বাস করেন, এদেশের মূল সমস্যা দুর্নীতি!
আর এই অনিয়ম আর দুর্নীতির মহা নায়ক এমপি, মন্ত্রী ও সরকারি বড় বড় কর্তারা।

শুধু দুর্নীতিটা বন্ধ করেন, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়া বলবো মাত্র ১০ বছরের ভিতরে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর ,মালয়েশিয়ার থেকে বেশি উন্নত হয়ে যাবে।

সিঙ্গাপুরে একটা সময় ভয়ংকর লেভেলের দুর্নীতি ছিলো।

প্রশাসন ছিলো দুর্নীতিগ্রস্ত।

তারপর "লি কুয়ান ইউ" প্রধানমন্ত্রী হয়ে বুঝতে পারে দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাঁধা প্রশাসনিক দুর্নীতি আর অনিয়ম।

তারপর দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে চালু করছে
'জিরো টলারেন্স পলিসি'

অর্থাৎ সিঙ্গাপুরে দুর্নীতিবাজদের কোন স্থান নাই।

এবার সে যতো বড় মাপের মানুষই হোক না কেন।

ফলাফল আজকের সিঙ্গাপুর পৃথিবীর সচ্ছ প্রশাসনের দেশ। মাথাপিছু আয়ে পৃথিবীর অন্যতম শীর্ষ দেশ।

তারা এতোটাই উন্নত দেশ, যেখানে মিলিয়নার
অভাব নাই।

সিঙ্গাপুরে না আছে তেল ,না আছে তেমন প্রাকৃতিক সম্পদ, না আছে আমাদের মতো এতো জনশক্তি।

কিন্তু কি আছে?

শুধু আছে শিক্ষা ,শৃঙ্খলা আর সৎ নেতৃত্ব।
জনপ্রতিনিধিদের আছে সততা ,দেশপ্রেম আর জবাবদিহিতা।

সরকারি কর্তারা আজীবন জনগণের সেবাই দিয়ে যাচ্ছে।

এমপি ,মন্ত্রীরা দেশ এবং জাতির জন্য সারাজীবন কাজ করে।

তারা চিন্তা করে ,দেশকে কিভাবে ৫০ বছর এগিয়ে রাখা যায়। কিভাবে পরবর্তী প্রজম্মকে সুন্দর একটা দেশ উপহার দেয়া যায়।

আর আমাদের দেশের এমপি,মন্ত্রিরা দুর্নীতি করে, কিছু কিছু সরকারি কর্তাদের দিয়া।

কর্তারা যা খায় তার বড় একটা অংশ মন্ত্রী, এমপি মাফিয়াদের পকেটে যায়।

আর এদিকে জনগণের পকেট কাটে।

সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়।
নিম্নবিত্ত মানুষের পেটে ইচ্ছেমতো লাথি মারে।

এই দেশটা কখনো জনগণের ছিলো না, গণতন্ত্র ছিলো না। এদেশের আইন জনগণের না।

মিথ্যা বলে বলে নেতারা জনগণকে বছরের পর বছর শোষণ করে যাচ্ছে।

নামে মাত্র জুডিশিয়ারি ,ক্ষমতা যেদিকে রায় যাচ্ছে সেদিকে।

মিডিয়া ক্ষমতাসীনদের দালালি করে।

একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী থেকে শুরু করে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা পর্যন্ত দুর্নীতিগস্ত( সবাই না কিন্তু মেক্মিমাম )

সংসদে মন্ত্রী থেকে শুরু করে ওয়ার্ডের মেম্বার পর্যন্ত দুর্নীতিগস্ত। পাতি নেতাও নাকি কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়।

সরকারি কর্তারা ২০ হাজার টাকার দামের চাকরি করে ৫/১০ তলা বাড়ি বানায়।

তো দুর্নীতি ক্যামনে বন্ধ করবেন?

দুর্নীতির প্রমাণ পেলে বদলি, আর শোকজ দিয়া?

না!

চীনের মতো মৃ’ ত্যুদণ্ড লাগবে!

দুদিন আগে চীনে এক সরকারি কর্মকর্তা ঘুষ খাইছে তারে মৃ’ ত্যুদণ্ড দিছে।

এক মন্ত্রী দুর্নীতি করছে তারে মৃ’ ত্যুদণ্ড দিছে।

কি মনে হয়!
কোন ঘুষখোর ,দুর্নীতিবাজ আর কখনো ঘুষ কিংবা দুর্নীতি করবে?

কখনো না!
কারণ তারা জানে দুর্নীতি করলে পৃথিবী থেকে নাই করে দিবে।

কিন্তু আমাদের দেশের দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোরেরা জানে কিছুই হবে না।

জেলে নিলে আইনজীবীরে টাকা দিলে সত্যরে মিথ্যা বানাইয়া আবার চাকরিতে ফিরবে।

এমুহূর্তে আমাদেরও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স লাগবে!

বড় বড় কয়েকটা দুর্নীতিবাজরে নাই করে দিতে হবে।

ঘুষখোরদকে ফাঁসিতে ঝুলাইতে হবে।

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিলে দুর্নীতি অটোমেটিক নাই হয়ে যাবে।

আগে সঠিক নেতৃত্ব লাগবে, যে নেতা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাকে বাছাই করতে হবে।

দোহাই আল্লাহর ,

৭১ এর রক্ত দেয়া জাতিকে আর ঠকায়েন না।

২৪ শে রক্ত দেয়া শহীদদের আর ঠকায়েন না।

এদেশের খেটে খাওয়া ,কৃষক মুজুর, প্রবাসীদের আর ঠকায়েন না।

জনপ্রতিনিধি নামে, সরকারি কর্তা নামে দুর্নীতি আর কইরেন না।

জনগণকে মিথ্যা গল্প আর শুনায়েন না।

আমাদের কিচ্ছু দরকার নাই!

দরকার শুধু সুশাসন , নিরপেক্ষ আইনের শাসন।

দরকার শুধু দুর্নীতিমুক্ত একটা দেশ!!!

© Anisur Rahaman

খালেদা জিয়াকে নিয়ে তিনি কলতলার নারীদের মতো অশ্লীল মন্তব্য করতেন- কী সমাবেশে কী সংবাদ সম্মেলনে। এইট পাস, চোরের মা, এতিম...
29/11/2025

খালেদা জিয়াকে নিয়ে তিনি কলতলার নারীদের মতো অশ্লীল মন্তব্য করতেন- কী সমাবেশে কী সংবাদ সম্মেলনে। এইট পাস, চোরের মা, এতিমের টাকা মেরে খাওয়া- আরও কত কী! এমনকি খালেদা জিয়ার রূপ, এবং অন্য পুরুষের (পাকিস্তানি জেনারেলসহ) সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়েও আকারে ইঙ্গিতে অশালীন ও মুখরোচক রঙ্গ রসিকতায় লিপ্ত হতেন। বলতেন কী (মদ) খেলে লিভার পঁচে যায়, সেটা মানুষ জানে। মরে মরেও তিনি মরেন না- এ ধরনের কথা বলতেও তার মুখে আটকায়নি। শুধু তাই নয়, খালেদা জিয়ার চরিত্র হরণের উদ্দেশ্যে মায়ের বয়সী এই নারীর বেড সাইড টেবিল থেকে তিনি পর্নোগ্রাফি ম্যাগাজিন উদ্ধারের নাটকও সাজিয়েছিলেন। বের করে দিয়েছিলেন তার বাড়ি থেকে।

ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস- সেই খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য আজ সারা দেশের মানুষ প্রার্থনায় রত। এমনকি যিনি তাঁকে নোংরা ভাষায় আক্রমণ করতেন, তার দলের কর্মী সমর্থকরাও। আর অন্যদিকে, যিনি এসব করতেন, তার আজ কোন বাড়ি নেই, এমনকি নিজের দেশেও তিনি থাকতে পারেন নি। তার সারা হাতে শুধু রক্তের দাগ। ফাঁসির দড়ি ঝুলছে মাথার উপরে।

শত অপমানেও খালেদা জিয়া কখনও ওই নারীর এসব অশ্লীল কথার জবাব দেননি। এই দুই নারীর জিহ্বাই তাদের ব্যক্তিত্বের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এই কথা আজ কে অস্বীকার করবে? অথচ স্বৈরাচারী এরশাদ শাসনের পতনের পর বাংলাদেশের রাজনীতি শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার এই ছবিটির মতো সৌহার্দ্যপূর্ণ হতে পারতো।

এটা চিরন্তন সত্য যে অন্যের সম্মানহানি করলে, অশ্রদ্ধা করলে, সেটা একসময় নিজের দিকে ঘুরে আসে। উপরে থুতু দিলে পড়ে নিজের মুখে। বাংলাদেশে আগামী দিনের রাজনীতিকরা কি সাম্প্রতিক এই ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবেন?
@ Mizanur Rahman Khan

পুওর বিতার্কিক তুষার আপনাদের কি সত্যিই মনে হয় আব্দুর নূর তুষার শুধুই দেশপ্রেম, শুদ্ধ বাংলা, উচ্চারণ, আদব–কায়দা, বা ৩২ ...
26/11/2025

পুওর বিতার্কিক তুষার

আপনাদের কি সত্যিই মনে হয় আব্দুর নূর তুষার শুধুই দেশপ্রেম, শুদ্ধ বাংলা, উচ্চারণ, আদব–কায়দা, বা ৩২ - এর মতো বিষয় নিয়ে এতটা চটেছেন?
না, একদমই না।

এতোদিন তিনি একাই বিতার্কিক হিসাবে একাই ছড়ি ঘুরিয়েছেন - কিন্তু এখন আর সেই আগের মতো পারেন না। কারণ, তার বিপরীতে এখন সমান তালে উঠে আসছেন সারওয়ার তুষার, সাইদ মোস্তাফিজসহ এনসিপির তুখোড় বক্তারা। যারা শুধু মুখের ভাষা নয় - ন্যায়নীতি, রাজনীতি, ইতিহাস, আধুনিক বিশ্ব - সব ক্ষেত্রেই দারুণ দক্ষ।

এরা কথার টেবিলে বসে তর্কই করে না - দেশের জন্য ঝুঁকি নিতে, রক্ত দিতে যে সাহস লাগে, সেটাও দেখিয়ে দিয়েছে। ফলে আব্দুর নূর তুষার বাস্তবেই ছেলের বয়সী তরুণদের কাছে মাঠে - মাঠে হার মানছেন। সত্যিই হাটুর বয়সি ছেলেদের সাথে তিনি পেরে উঠছেন না বলেই এতো ক্ষিপ্ত ।
কি করা দাদা ! অনেক হয়েছে - এবার যে মাঠ ছেড়ে দিতে হবে 😂

মানুষ এখন টক শোতে এনসিপির ছেলেদের খুঁজে টক শো দেখে। বস্তাপচা পুরনো বয়ান কিংবা বোম্বল দাশদের আর কেউ শুনতে চায় না।

পুওর বিতর্কিত তুষার - আপনার হিংসা জাতি স্পষ্ট দেখতে পায়।

26/11/2025

Big shout out to my newest top fans! 💎

Md Ashraf Ali

Big shout out to my newest top fans! 💎Drop a comment to welcome them to our community,
26/11/2025

Big shout out to my newest top fans! 💎

Drop a comment to welcome them to our community,

গতকালকে (সোমবার) ঢাকার একটা কোর্ট ধাক্কা খাওয়ার মতো দুটো আদেশ দিয়েছেন। নেসলে বাংলাদেশের বিদেশী এমডিসহ দুজন শীর্ষ কর্মকর্...
26/11/2025

গতকালকে (সোমবার) ঢাকার একটা কোর্ট ধাক্কা খাওয়ার মতো দুটো আদেশ দিয়েছেন। নেসলে বাংলাদেশের বিদেশী এমডিসহ দুজন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন, অভিযোগ নিম্নমানের কিটক্যাট বাজারজাতরকরণ। পাশাপাশি চিনিতে সালফার ডাই অক্সাইডের উপস্থিতি এবং মান অনুযায়ী সুক্রোজের অনুপস্থিতির অভিযোগে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন একই কোর্ট।

নেসলে বাংলাদেশ বৈশ্বিকভাবে বিরাট ব্র্যান্ড। সেই নেসলের এমডি ও চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা। কিন্তু আমাদের শীর্ষ কাগজগুলোতে নিউজ নেই। আর মেঘনা গ্রুপ বা ফ্রেশ হচ্ছে দেশীয় নিত্যপণ্যের বাজারের বৃহত্তম সরবরাহকারী। তাদের মহাক্ষমতাধর চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের আদেশ দিল কোর্ট- সেই নিউজও হাপিস।

প্রথম আলো, ডেইলি স্টারও নিউজটা কাভার করেনি। ব্যাপারটা একেবারে অবিশ্বাস্য!

একাধিক সাংবাদিক বন্ধুর সঙ্গে কথা হল। একজন যুক্তি দিয়েছেন, কোর্ট তো ভুল আদেশ দিতে পারে, ল্যাব রিপোর্ট তো ভুল হতেই পারে। আমার যুক্তি- ভূল হলে সেটা বলাও তো মিডিয়ার দায়। মেঘনার মতো দেশসেরা কোম্পানির বিরুদ্ধে ভুল আদেশ দেয়- সেটাও তো বিগ নিউজ।

প্রথম আলোর জানুয়ারির রিপোর্ট অনুযায়ী মেঘনা গ্রুপ (এমজিআই) এখন দেশের নিতপণ্যের বাজারের সর্ববৃহৎ সরবরাহকারী। চিনির বাজারের বড় শেয়ারও তাদের দখলে। প্রতিদিন কোটিখানেক মানুষ হয়তো তাদের চিনি খায়। সরকারের নথি বলছে তাদের সেই চিনিতে ভেজাল আছে যাতে জনস্বাস্থ্য হুমকিতে পড়তে পারে।

এটা কোন করার মতো নিউজ না?

নেসলের মতো মাল্টিন্যাশনালের বিরুদ্ধে খাবারে নিম্নমানের অভিযোগ করেছে বাংলাদেশের কোর্ট, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছে। লন্ডনের টেলিগ্রাফ পর্যন্ত সেটা কাভার করেছে। আর আমাদের শীর্ষ গণমাধ্যমগুলোতে পুরো ব্ল্যাকআউট।

নেসলের লোকেরা বলছেন, বাংলাদেশে ৩২ বছরের যাত্রায় এরকম ঘটনা এটাই প্রথম। নেসলে বাংলাদেশের অন্যতম বিদেশী বিনিয়োগকারী। তাদের সঙ্গে যদি কোন অন্যায় আচরণ হয়ে থাকে সেটাও তো পাবলিশ হওয়া উচিৎ ছিল।

গণমাধ্যমকে ব্যবসা করেই টিকে থাকতে হবে। কর্পোরেট স্বার্থ্যকে প্রাধন্য দিতে হবে, ব্যবসার সম্পর্কগুলো রক্ষা করতে হবে। তাই বলে জনস্বাস্থ্য আর জনস্বার্থ্য নিয়ে এভাবে আপোষ!

ফুটপাথের মিষ্টি ব্যবসায়ী, বেকারির দোকানদাররা ভেজাল দিলে বড় করে নিউজ করবো আর বড়রা ভেজাল করলে আস্তে করে চেপে যাবো। তারপর দোষ দেব সরকারকে? টক শোতে গিয়ে বলব সরকার আমাদের বাক স্বাধীনতা হরণ করে রেখেছে, সব দোষ সরকারের!

আমরা যদি সময়ের ভাবনাটাকে পড়তে না পারি তাহলে আমাদের অবস্থা এফডিসির সাবেক নায়িকাদের চেয়েও খারাপ হবে। আমি তো ট্রাক চালাবো, আপনারা কী করবেন?

৫ আগস্ট ২০২৪। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই ...
23/11/2025

৫ আগস্ট ২০২৪। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই আওয়ামী সমর্থক তারকাদেরকে ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে অনেকটাই কোণঠাসা করে ফেলা হয়। ফলে আওয়ামী সমর্থক বেশিরভাগ তারকা চলে যান আড়ালে, কেউ কেউ পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশেও।

বিনোদন দুনিয়ায় আলোচিত ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ তকমা পাওয়া তারকাদের নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে আলোচনা। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই তারকারা এখন রয়েছেন নাজুক অবস্থায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, একসময় রাজনৈতিক সভা-মঞ্চে নিয়মিত উপস্থিতি ও প্রচারাভিযানে অংশ নেওয়া কয়েকজন তারকা বর্তমানে পর্দার আড়ালে চলে গেছেন। কেউ কেউ বিদেশে অবস্থান করছেন, আবার কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সীমিত উপস্থিতি বজায় রাখছেন। অন্যদিকে, কয়েকজন আবার অভিনয় বা ব্যক্তিগত ব্যবসায় মনোযোগী হয়েছেন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন তারকারা ফ্যাসিস্টের দোসর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন-

জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থী ও সারা দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে শোবিজ তারকারাও যখন রাজপথে নেমে এসেছিলেন, ঠিক তখন শোবিজে দেখা যায় বিভক্তি। শিল্পীদের একটি অংশ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাজপথে থাকলেও, আরেক দল শেখ হাসিনা সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিল।

চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ১৮ জুলাই রাজধানীর রামপুরায় বিটিভি ভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি শিল্পীদের একাংশ। বিটিভিতে আগুন দেওয়ার প্রতিবাদ জানাতে চব্বিশের ১ আগস্ট বিটিভি প্রাঙ্গণে হাজির হন সংস্কৃতি অঙ্গনের আওয়ামীপন্থি একঝাঁক তারকাশিল্পী। তাদের মধ্যে ছিলেন অভিনেতা ফেরদৌস, রিয়াজ, আজিজুল হাকিম, অভিনেত্রী নিপুণ, সোহানা সাবা, রোকেয়া প্রাচী, জ্যোতিকা জ্যোতি, নূনা আফরোজ, কণ্ঠশিল্পী শুভ্রদেব, নির্মাতা এসএ হক অলীক, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরুসহ আরও অনেকে। তাদের হাতে ছিল বিভিন্ন স্লোগানসংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড। অগ্নিকাণ্ডে বিটিভির ক্ষয়ক্ষতি দেখে তাদের অনেকে অঝোরে কেঁদেওছিলেন। এর আগেও শেখ হাসিনার সমর্থনে বিটিভি ভবন পরিদর্শন করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সারা যাকের, পিযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, গোলাম কুদ্দুস, ঝুনা চৌধুরী, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগর ও শাইখ সিরাজ প্রমুখ।

তাদের এই কান্না নিয়ে সেসময় প্রচুর সমালোচনা হয়েছিল, যা এখনো চলমান রয়েছে। গণঅভ্যত্থানের স্বপক্ষের লোকজন তাদেরকে ফ্যাসিস্টের দোসর আখ্যা দিয়ে বলতে থাকে, ‘নিহত ছাত্র-জনতার জন্য তাদের চোখে কোনো পানি ছিল না। তাদের চোখের পানি গড়িয়েছে ইট-পাথরের দেওয়ালের জন্য।’

শুধু তাই নয়, আওয়ামীপন্থি সেসব শিল্পী খুলেছিলেন ‘আলো আসবেই’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। এ গ্রুপে দুই শতাধিক সংস্কৃতি কর্মী ছিলেন। যারা জুলাই বিপ্লবের পুরোটা সময় শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতা করে গেছেন। সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী আরাফাতের সমন্বয়ে এ গ্রুপের অ্যাডমিন ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ, রিয়াজ, সাজু খাদেম ও অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি। গ্রুপের অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন- অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, তানভীন সুইটি, জ্যোতিকা জ্যোতি, রোকেয়া প্রাচী, সোহানা সাবা, সুবর্ণা মুস্তাফা, বিজরী বরকতুল্লাহ, স্বাগতা, শমী কায়সার, আশনা হাবীব ভাবনা, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, হৃদি হক, দীপান্বিতা মার্টিন, নূনা আফরোজ, মেহের আফরোজ শাওন, সঙ্গীতা মেখাল, শাহনূর, অভিনেতা আজিজুল হাকিম, রওনক হাসান, জামশেদ শামীম, খান জেহাদ, ফজলুর রহমান বাবু, আশরাফ কবীর, সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, ঝুনা চৌধুরী, লিয়াকত আলী লাকি, সাইফ খান, স্মরণ সাহা, সায়েম সামাদ, মিলন ভট্ট, নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ, মাসুদ পথিক, জুয়েল মাহমুদ, মুশফিকুর রহমান গুলজার, এসএ হক অলীক প্রমুখ। এদের মধ্যে অনেকেই এখনো ফেসবুকে সক্রিয়ভাবে ও প্রকাশ্যে জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতা করছেন।

অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি অভিনেতা আহসান হাবিব নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা রওনক হাসান কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা হচ্ছে, এমন দাবি করে বিবৃতি দিয়ে প্রকাশ্যে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এ ছাড়া অনেকেই শেখ হাসিনার পদত্যাগের ‘এক দফা দাবি মানি না’ বলেও ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।

এ ছাড়া আন্দোলনে বেশ কিছু তারকাশিল্পী ছিলেন নীরব ভূমিকায়। এর মধ্যে রয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, মীর সাব্বির ও অভিনেত্রী তারিন জাহানও, নুসরাত ফারিয়া তো স্বয়ং হাসিনার রূপেই আবির্ভূত হয়েছিলেন। এ তালিকায় ছিলেন চিত্রনায়ক আরেফিন শুভও।

চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক- ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ তকমা পাওয়া এই তারকারা এখন কে কোথায় রয়েছেন-

আওয়ামীপন্থী বেশিরভাগ তারকায় এখন রয়েছেন অনেকটা আত্মগোপনে। কেউ কেউ চুপি চুপি কাজও করছেন। আবার অনেকেই ইতোমধ্যে পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশের মাটিতে। দুয়েকজনকে যেতে হয়েছে জেল হাজতেও।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন বলে জোর গুঞ্জন রয়েছে। অপর দিকে জায়েদ খান পাড়ি জমিয়েছেন আমেরিকায়। শুধু জায়েদ খান নয়, আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, মাহিয়া মাহি, পিকলু খান, এসএহ হক অলিকসহ আরও বেশ কয়েকজন তারকা।

চিত্রনায়িকা নিপুণ রয়েছেন দেশেই। মাঝে বিদেশে পাড়ি জমাতে চাইলেও বিমান বন্দরে তাকে আটকে দেওয়া হয়। শেষে ফিরে আসেন।

রোকেয়া প্রাচী দেশেই রয়েছেন- শুধু তাই নয়, আবির্ভূত হয়েছেন সাহসী নারীর ভূমিকায়। রোকেয়া প্রাচী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পক্ষে সোচ্চার রয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের নানা সমালোচনাতেও সিদ্ধহস্ত তিনি।

এদিকে ‘মুজিব: একটি জাতির রুপকার’ সিনেমায় শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করা নুসরাত ফারিয়াকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়।

শুধু তাই নয়, আলো আসবেই গ্রুপের সোহানা সাবা ও মেহের আফরোজ শাওনকে গোয়েন্দা পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল। পরে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। দুজনেই এখন ঢাকায় রয়েছেন, এবং দুজনেই নানা অসংগতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভুমিকা পালন করছেন।

অপরদিকে অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতিকে শিল্পকলা একাডেমির পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন দেশেই অবস্থান করছেন। এদিকে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম দেশেই ছিলেন। সম্প্রতি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাসমাবেশে সক্রিয় ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ। গত বছরের ৭ আগস্ট তিনি বিদেশে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে খবর পাওয়া যায়। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়, এমন একটি প্রতিবেদন সে সময় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি তাকে। তিনি কোথায় আছেন, কেমন আছেন- জানা যায়নি কিছুই। একটি বিশেষ সূত্রের খবর, রিয়াজ ঢাকাতেই আছেন। তবে প্রকাশ্যে আসছেন না।

‘আলো আসবেই’ গ্রুপে যুক্ত ছিলেন চিত্রনায়িকা অরুণা বিশ্বাস। আর সেখানে তার পরামর্শ ছিলো, ছাত্রদের ওপর গরম পানি ছিটানোর। এসব কথার স্ক্রিনশট ভাইরাল হলে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয় অভিনেত্রীকে ঘিরে। এরপর দেশের পট পরিবর্তন হলে গোপনে কানাডা পাড়ি দেন অরুণা বিশ্বাস- এমনই খবর মেলে। এখন পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করছেন বিতর্কিত এই অভিনেত্রী। জানা গেছে, বহু বছর আগে থেকেই তিনি কানাডার নাগরিকত্ব পেয়েছেন। সেখানে শুধু তিনি একাই নন, তার মা, ছেলে, ভাই ও তার পরিবার স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী উর্মিলা শ্রাবন্তী কর। আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ও গ্রেফতারকৃত সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে উর্মিলার জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর থেকে উর্মিলা শ্রাবন্তী কর আত্মগোপনে রয়েছেন এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ আছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শমী কায়সার। ছিলেন ই-ক্যাবের সভাপতিও। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় ২০২৪ সালের ৫ নভেম্বর রাতে উত্তরার বাসা থেকে আটক করা হয় শমী কায়সারকে। গত ১১ আগস্ট হাইকোর্ট তাকে জামিন দেয়। এখন দেশেই রয়েছেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেত্রী ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তারিন জাহান। সরকার পতনের পর থেকেই আড়ালে রয়েছেন তিনি। খবর রয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে দেশ থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। যদিও অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশেই আত্মগোপনে রয়েছেন তারিন। অভিনেত্রীর অবস্থান নিশ্চিত না হওয়া গেলেও নিয়মিত ফেসবুকে সরব তিনি। প্রতিনিয়ত সরকারবিরোধী পোস্ট করেন নিজের ফেসবুকে।

‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করে চিত্রনায়ক আরিফিন শুভও বনে যান ফ্যাসিস্টের দোসর। তিনি দেশেই রয়েছেন, কাজও করছেন। তবে তার পূর্বাচলের সরকারি বরাদ্দের প্লটটি বাতিল করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

আওয়ামী ঘরানার অনেক জনপ্রিয় তারকা দেশে থাকলেও ইদানিং কাজ পাচ্ছেন না তারা। রাজনৈতিক কারণে অনেক জনপ্রিয় তারকা কোণঠাসা হওয়ায় অনেকটাই থমকে গেছে শোবিজ অঙ্গন। অনেকেই মন্তব্য করেছেন— তারকাদের রাজনীতিতে অংশ নেওয়া ঠিক নয়। তবে যেটাই হোক না কেন, সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করে সবার অংশগ্রহণে আবারও চাঙা হয়ে উঠুক শোবিজ অঙ্গন— এমনটাই প্রত্যাশা বিনোদনপ্রেমীদের।

#সুদীপ্ত সাইদ খান

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে যে ইতিবাচক পরিবর্তনের ধারা তৈরি হচ্ছে, এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি তারই একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। আশা ক...
19/11/2025

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে যে ইতিবাচক পরিবর্তনের ধারা তৈরি হচ্ছে, এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি তারই একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। আশা করি, ভবিষ্যতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন—তারা এই ইতিবাচক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চা অব্যাহত রাখবে এবং আরও সমৃদ্ধ করবে।

আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও নেতাদের কিংবা ওই সময়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ফোনকলের রেকর্ড আপনারা অনেকেই শুনেছেন। এক...
19/11/2025

আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও নেতাদের কিংবা ওই সময়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ফোনকলের রেকর্ড আপনারা অনেকেই শুনেছেন।

একটা জিনিশ খুব কমন। শেখ হাসিনাকে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। ভয় পাচ্ছেন। এ ওকে বলছেন আপনি বলেন, ও একে বলছেন, আপনি বলুন। কেউ বলতে পারছেন না। এই ভয়টা কীসের?

শেখ হাসিনা সবার কাছ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন। করোনার সময় বছর দুয়েক নাকি তিন চারজন ছাড়া শেখ হাসিনার চেহারা কেউ সরাসরি দেখেনি।

আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ লোক জানতো না, শেখ হাসিনা কীভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছেন। তারা শুধু জানতো সব সমস‍্যার সমাধান তাদের নেত্রীর কাছে আছে।

একটা অদৃশ‍্য ক্লোজ সার্কেল মেনটেন করতেন তিনি।
এই সার্কেলের বেশিরভাগ লোককে আওয়ামী লীগাররাও চিনতো না। এই সার্কেলে পেশাদার খুনিরা ছিলেন। শেখ হাসিনাসহ পুরো সার্কেলকে সবাই ভয় পেত। সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি ভয় পেত।
জুলাই আগস্ট আন্দোলন শেখ হাসিনা সামাল দিতে পারবেন না, এটা আওয়ামী লীগের কেউ শেষ দিন পর্যন্ত ভাবেনি।

তিনি যেদিন থেকে মানুষ মারা শুরু করলেন সেদিন থেকে অনেক নেতা নাকি ভেবেছিলেন, একটা নতুন ধরনের শাসনব্যবস্থার সূত্রপাত ঘটেছে। দমনমূলক এই ব‍্যবস্থা চলবে আগামী পাঁচ বছর।

হাজার খানেক ছাত্রজনতা ১২/১৪ দিনে শহীদ হওয়ার পর আওয়ামী ঘনিষ্ঠ একজন সাংবাদিককে আমি ফোন দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, ভাই এত হত‍্যা করে কি ক্ষমতায় থাকা যায়?

তিনি বলেছিলেন, একজন উচ্চপদস্থ ব‍্যক্তি শেখ হাসিনাকে হত‍্যাকাণ্ড বন্ধের পরামর্শ দিতে গিয়েছিলেন। কথা শুনে শেখ হাসিনা তাকে বের করে দিয়েছিলেন।
ওই সাংবাদিককে ওই ব‍্যক্তি বলেছিলেন, শেখ হাসিনা শেষ দিকে রক্তের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছিলেন।
তাকে অত‍্যধিক শান্ত মনে হতো। স্বভাবসুলভ প্রগলভতা বা ক্ষেপে যাওয়ার বদলে আস্তে আস্তে অল্প কথা বলতেন।

কেউ কেউ মনে করতেন, শেখ হাসিনা পাগল হয়ে গিয়েছেন। কী এক অজানা প্রতিহিংসা তার ওপর ভর করেছে।

@ মাহবুব মোর্শেদ

বাবা হাউমাউ করে কাঁদছে আর অস্বাভাবিক আচরণ করতেছে, কি হয়েছে এখনো বুঝে উঠতে পারতেছে না, কোনো সেন্স নাই। বড় ভাই নির্বাক।মর্...
14/11/2025

বাবা হাউমাউ করে কাঁদছে আর অস্বাভাবিক আচরণ করতেছে, কি হয়েছে এখনো বুঝে উঠতে পারতেছে না, কোনো সেন্স নাই। বড় ভাই নির্বাক।

মর্মান্তিক এক ঘটনা ঘটে গেছে গতকাল রাতে।

মিরপুরের ৩ বন্ধু; সাইয়াফ, নাহিয়ান ও অজ্ঞাত আরেকজন। ৩ বন্ধুকে টাকার লোভ দেখিয়ে পলাতক লীগের একটা গ্রুপ কনভিন্স করায় বাসে আগুন দেবার জন্য।

লোভে পড়ে ৩ জনই রাজি হয়ে যায়। কথা ছিলো সেই টাকা দিয়ে তিন বন্ধু মিলে করবেন পার্টি!

আব্দুল্লাহ সাইয়াফ মিরপুর নেভাল একাডেমি কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী, রুদ্র মোহাম্মদ নাহিয়ান ঢাকার স্বনামধন্য একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছাত্র।

চুক্তিমতো রাত সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুর বেড়িবাঁধে একটি বাসে আগুন দেয তারা। আগুন দেখে স্থানীয় জনতা ধাওয়া দেয় ৩জনকে।

ধাওয়া খেয়ে বাঁচার জন্য সাইয়াফ নদীতে ঝাঁপ মারে ব্রিজ থেকে। নাহিয়ানকে দৌঁড়ে ধরে ফেলে জনতা। আরেকজন পালিয়ে যায়।

সাঁতার না জানা সাইয়াফ ছটফট করতে করতে নদীতেই ডুবে মৃত্যুবরণ করে।

সামান্য কিছু টাকার লোভে আগুন দিতে গিয়ে নিজের জীবনটাই শেষ করে দিলো এরা।

এরাতো তবুও শিক্ষিত ছেলে-পেলে, লীগ আগুন সন্ত্রাস করে মানুষ পুড়িয়ে মারার জন্য টোকাইদেরকেই বেশি ভাড়া করছে। ককটেল ফুটানোর জন্য জনপ্রতি ৫ হাজার করে দিচ্ছে। ৫০০ করে দিচ্ছে মিছিলে যোগ দিতে। নেশাখোরদের কাছে ৫০০ টাকাই অনেক সারাদিনের নেশার টাকার জন্য।

বিদেশ বসে লুটের টাকা খরচ করতেছে দেশের মানুষকে পুড়িয়ে মারার জন্য। এ কেমন রাজনীতি?

মানুষ পুড়িয়ে মারার রাজনীতিই কি লীগের প্রধান অস্ত্র? ময়মনসিংহে রাতে বাসে আগুন দিয়ে ঘুমন্ত চালককে পুড়িয়ে অঙ্গার করে ফেলেছে লীগ সন্ত্রাসীরা, বিভিন্ন জায়গায় আরো অনেক দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

জুলাইয়ে সহস্র মানুষকে খু*ন করেছে, হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু-অঙ্গহারা করে দিয়েছে, এখনো তাদের রক্ত ক্ষুধা মিটেনি। আরো রক্ত চায় তারা। দেশের মানুষের রক্ত আর লাশ দেখা ছাড়া ইন্ডিয়া পলাতক ডাইনিটার ঘুম হয় না।

এরা দেশের মানুষের কাছে নিকৃষ্ট ও ঘৃণার পাত্র হয়েই বেঁচে থাকতে চায়, এদের সংশোধনের সুযোগ নেই।

30/10/2025

আমি বলছিলাম, শেখ হাসিনার ভয়েসটা ক্লোন ভয়েস, রিয়েল না।
হাসিনা হয়ে কথা বলে অন্য কেউ।

স্ট্রোক করার পর তার একে তো মুখ বাঁকা হয়ে যায়, আর দ্বিতীয়ত সে কোমায় চলে যায়।

ফলে তার যে কথা আমরা শুনি, এগুলো সে না। সেটা পরশু আমার একটা পোস্টে উল্লেখ করি।

পোস্টটা ভাইরাল হওয়ার পর লোকজন এক ধাপ বাড়িয়ে, হাসিনাকে মেরে ফেলে।

যাই হোক, হাসিনা আবারও একটা অডিও দিয়ে বলে - সে বেঁচে আছে। তার কোনো অসুখ হয় নাই। গত ৭ মাসে তার কাঁশিও হয় নাই। তাও কিন্তু ভিডিও না, অডিও।

কাল রয়টার্স একটা সাক্ষাৎকার ছাপে হাসিনার।

মজার ব্যাপার হলো, রয়টার্সকে হাসিনা অডিও কলেও সাক্ষাৎকার দেয়নি।

কীভাবে দিয়েছে জানেন?

ইমেইলে।

রয়টার্টাস ইমেইল পাঠিয়েছে,
হাসিনা মেইলের রিপ্লাই করে তার উত্তর পাঠিয়েছে।

রয়টার্সকে ইভেন অডিও সাক্ষাৎকারও সে দেয়নি।

নেতাকর্মীদের যে অডিও দিয়ে সে কথা বলে, রয়টার্সকে সেই অডিও দেয়ার সাহসও সে করেনি।

কী মনে হয়? কেন?

Collected!

২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর, ঐদিন শুধু সাজেদুল ইসলাম সুমনকে র‍্যাব বসুন্ধরার একটা বাসা থেকে তুলে নেয়নি, তুলে নিয়ে গিয়েছে সুমনে...
24/10/2025

২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর, ঐদিন শুধু সাজেদুল ইসলাম সুমনকে র‍্যাব বসুন্ধরার একটা বাসা থেকে তুলে নেয়নি, তুলে নিয়ে গিয়েছে সুমনের আরো ৫ বন্ধুকে। এছাড়া ও ঐ রাতেই শাহীনবাগ এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় আরো দুই বিএনপি নেতাকে। যারা কেউই আর ফেরেনি।

সাজেদুল ইসলাম সুমন ছিলেন ঢাকা মহানগর ২৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। সুমনের ছিলো দুই মেয়ে, গুম হবার সময় ছোট মেয়েটার বয়স ছিলো ২ বছর। মেয়েটা এখনো বিশ্বাস করে ওর বাবা মালিবাগের ওদের অন্য বাসায় গিয়েছে, ওর বাবা ফিরবে। সুমনের বাবা নেই, মা সুমনকে হারিয়ে পাগলপ্রায়।

সুমনের মায়ের ডাকের সাথে এমন শত শত মায়ের ডাক শুনতে পেয়ে সাজেদুল সুমনের বোন, আজ থেকে ১২ বছর পূর্বে গুম হওয়া পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করে "মায়ের ডাক" নামক প্রতিষ্ঠান। যে প্রতিষ্ঠান গুম হয়ে যাওয়া প্রতিটি পরিবারের হয়ে দেশে বিদেশে সংবাদ সম্মেলন, মানবন্ধন সহ নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে গিয়েছে। " গুম হওয়া পরিবার গুলোর আর্তনাদ এই সংগঠন পৌছে দিয়ে আন্তর্জাতিক মহল পর্যন্ত। স্বয়ং আমেরিকার রাষ্ট্রদূত, জাতিসংঘের প্রতিনিধি সানজিদা তুলির বাসায় "মায়ের ডাকের " কার্যালয়ে সফর করেছে।

সেই সানজিদা তুলি ঢাকা ১৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী। সানজিদা তুলি হয়তো আর্থিক দিক দিয়ে তার নিকটতম প্রার্থীগুলোর থেকে অনেক পিছিয়ে, কিন্তু তার সংগ্রাম অন্য সব প্রার্থীর থেকে যোজন যোজন এগিয়ে।

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when CBN24 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to CBN24:

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share

CBN

CBN, কানাডায় বাংলাদেশের মুখপত্র

www.cbn24.ca

E-mail: [email protected]