12/12/2025
রেলে লোকসান দেখাইতো!
বিমানে অল্প লাভ দেখাইতো।
বাংলাদেশ স্যাটেলাইট ১ লোকসান দেখাইতো।
বন্দরে গ্যাঞ্জাম দেখাইতো!
কিন্তু মাত্র ১৬ মাস পর এই সবকয়টা সেক্টরে লাভের মুখ দেখলো বাংলাদেশ। ইউনূস দুর্নীতিকে আঙ্গুল দিয়া দেখাইয়া গেছে বাংলাদেশের মানুষকে।
এবার চিন্তা করেন ,চোর ,বাটপারেরা এতো বছর কি পরিমাণ চুরি করছে। জনগণের চোখ ফাঁকি দিয়া কি পরিমাণ লুটপাট করছে।
🟣 রেলে এবার লাভ হইছে ১১৮ কোটি টাকা, অথচ বিগত বছরগুলোতে রেলে লোকসান দেখাইতো আড়াই গুণ।
🟣 ছয় বছর পর বাংলাদেশ স্যাটেলাইট ১
লাভ দেখছে ৩৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকার।
🟣 বিমানে ৫৫ বছরের রেকর্ড পরিমাণ লাভ হইছে মানে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে অনিরীক্ষিত ৯৩৭ কোটি টাকা।
যেটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মুনাফা ছিলো ২০২১-২২ অর্থবছরে মাত্র ৪৪৪ কোটি টাকা।
অথচ বিমানের টিকেটের দাম সরকার কমাইছে!
বন্দরে কি হইলো?
আগে একটা পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে থাকতো দিনের পর দিন।
কিন্তু এখন ২ দিনের ভিতরে পুরোপুরি খালাস!
আগে কি লাভ হইতো না?
হয়তো কিন্তু সেই টাকা দুর্নীতিবাজরা মিলেমিশে খেয়ে দিতো। উল্টা লস দেখাইয়া জনগণের পকেট কাটতো।
১০ টাকার ট্যাক্স ১৫ টাকা করে দিতো।
ভাড়া বাড়াইয়া দিতো।
বিশ্বাস করেন, এদেশের মূল সমস্যা দুর্নীতি!
আর এই অনিয়ম আর দুর্নীতির মহা নায়ক এমপি, মন্ত্রী ও সরকারি বড় বড় কর্তারা।
শুধু দুর্নীতিটা বন্ধ করেন, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়া বলবো মাত্র ১০ বছরের ভিতরে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর ,মালয়েশিয়ার থেকে বেশি উন্নত হয়ে যাবে।
সিঙ্গাপুরে একটা সময় ভয়ংকর লেভেলের দুর্নীতি ছিলো।
প্রশাসন ছিলো দুর্নীতিগ্রস্ত।
তারপর "লি কুয়ান ইউ" প্রধানমন্ত্রী হয়ে বুঝতে পারে দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাঁধা প্রশাসনিক দুর্নীতি আর অনিয়ম।
তারপর দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে চালু করছে
'জিরো টলারেন্স পলিসি'
অর্থাৎ সিঙ্গাপুরে দুর্নীতিবাজদের কোন স্থান নাই।
এবার সে যতো বড় মাপের মানুষই হোক না কেন।
ফলাফল আজকের সিঙ্গাপুর পৃথিবীর সচ্ছ প্রশাসনের দেশ। মাথাপিছু আয়ে পৃথিবীর অন্যতম শীর্ষ দেশ।
তারা এতোটাই উন্নত দেশ, যেখানে মিলিয়নার
অভাব নাই।
সিঙ্গাপুরে না আছে তেল ,না আছে তেমন প্রাকৃতিক সম্পদ, না আছে আমাদের মতো এতো জনশক্তি।
কিন্তু কি আছে?
শুধু আছে শিক্ষা ,শৃঙ্খলা আর সৎ নেতৃত্ব।
জনপ্রতিনিধিদের আছে সততা ,দেশপ্রেম আর জবাবদিহিতা।
সরকারি কর্তারা আজীবন জনগণের সেবাই দিয়ে যাচ্ছে।
এমপি ,মন্ত্রীরা দেশ এবং জাতির জন্য সারাজীবন কাজ করে।
তারা চিন্তা করে ,দেশকে কিভাবে ৫০ বছর এগিয়ে রাখা যায়। কিভাবে পরবর্তী প্রজম্মকে সুন্দর একটা দেশ উপহার দেয়া যায়।
আর আমাদের দেশের এমপি,মন্ত্রিরা দুর্নীতি করে, কিছু কিছু সরকারি কর্তাদের দিয়া।
কর্তারা যা খায় তার বড় একটা অংশ মন্ত্রী, এমপি মাফিয়াদের পকেটে যায়।
আর এদিকে জনগণের পকেট কাটে।
সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়।
নিম্নবিত্ত মানুষের পেটে ইচ্ছেমতো লাথি মারে।
এই দেশটা কখনো জনগণের ছিলো না, গণতন্ত্র ছিলো না। এদেশের আইন জনগণের না।
মিথ্যা বলে বলে নেতারা জনগণকে বছরের পর বছর শোষণ করে যাচ্ছে।
নামে মাত্র জুডিশিয়ারি ,ক্ষমতা যেদিকে রায় যাচ্ছে সেদিকে।
মিডিয়া ক্ষমতাসীনদের দালালি করে।
একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী থেকে শুরু করে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা পর্যন্ত দুর্নীতিগস্ত( সবাই না কিন্তু মেক্মিমাম )
সংসদে মন্ত্রী থেকে শুরু করে ওয়ার্ডের মেম্বার পর্যন্ত দুর্নীতিগস্ত। পাতি নেতাও নাকি কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়।
সরকারি কর্তারা ২০ হাজার টাকার দামের চাকরি করে ৫/১০ তলা বাড়ি বানায়।
তো দুর্নীতি ক্যামনে বন্ধ করবেন?
দুর্নীতির প্রমাণ পেলে বদলি, আর শোকজ দিয়া?
না!
চীনের মতো মৃ’ ত্যুদণ্ড লাগবে!
দুদিন আগে চীনে এক সরকারি কর্মকর্তা ঘুষ খাইছে তারে মৃ’ ত্যুদণ্ড দিছে।
এক মন্ত্রী দুর্নীতি করছে তারে মৃ’ ত্যুদণ্ড দিছে।
কি মনে হয়!
কোন ঘুষখোর ,দুর্নীতিবাজ আর কখনো ঘুষ কিংবা দুর্নীতি করবে?
কখনো না!
কারণ তারা জানে দুর্নীতি করলে পৃথিবী থেকে নাই করে দিবে।
কিন্তু আমাদের দেশের দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোরেরা জানে কিছুই হবে না।
জেলে নিলে আইনজীবীরে টাকা দিলে সত্যরে মিথ্যা বানাইয়া আবার চাকরিতে ফিরবে।
এমুহূর্তে আমাদেরও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স লাগবে!
বড় বড় কয়েকটা দুর্নীতিবাজরে নাই করে দিতে হবে।
ঘুষখোরদকে ফাঁসিতে ঝুলাইতে হবে।
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিলে দুর্নীতি অটোমেটিক নাই হয়ে যাবে।
আগে সঠিক নেতৃত্ব লাগবে, যে নেতা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাকে বাছাই করতে হবে।
দোহাই আল্লাহর ,
৭১ এর রক্ত দেয়া জাতিকে আর ঠকায়েন না।
২৪ শে রক্ত দেয়া শহীদদের আর ঠকায়েন না।
এদেশের খেটে খাওয়া ,কৃষক মুজুর, প্রবাসীদের আর ঠকায়েন না।
জনপ্রতিনিধি নামে, সরকারি কর্তা নামে দুর্নীতি আর কইরেন না।
জনগণকে মিথ্যা গল্প আর শুনায়েন না।
আমাদের কিচ্ছু দরকার নাই!
দরকার শুধু সুশাসন , নিরপেক্ষ আইনের শাসন।
দরকার শুধু দুর্নীতিমুক্ত একটা দেশ!!!
© Anisur Rahaman