https://www.facebook.com/101262282938650/

Walk with PEU in Canada, Winnipeg, MB (2025)

08/13/2025

সূরা আরাফ শুরু করলাম

আরাফে একটা ইন্টারেস্টিং ফেক্ট পেলাম

ছোট বেলা থেকে শুনে এসেছি যে

আখিরাতের পরিণাম হলো বাইনারি

হয় জান্নাত নয় জাহান্নাম

অথচ এই সুরার মাধ্যমে আমাদের জানানো হলো যে

না!

জান্নাত আর জাহান্নামের মাঝামাঝিও আরেকটা লোকেশন আছে

লোকেশনটার নাম আরাফ!

এই জায়গার নাম অনুসারেই এই সূরার নাম করন

"আরাফ" হবে তাদের জন্য

যারা এতটাও ভালো কাজ করেনি যেঁ জান্নাতের টিকেট পেয়ে যাবে

আবার এতটাও খারাপ কাজ করেনি যেঁ জাহান্নামে যেতে হবে

এ যেন মিডেল ক্লাসদের চরণ ভূমি!

এই আরাফবাশি সবসময়ই আশায় থাকবে যে

তাদেরকে যেন কোন না কোন সময় জান্নাতে আপগ্রেড করা হয়. [১]

এই আরাফ ছাড়াও হাশর আরেকটা ইম্পর্টেন্ট ফেক্ট আমাদের অনেকেরই অজানা

আর সেটা হলো কান্তারা!

আমরা মনে করি

"কোনো রকমে পুলসিরাত পার হইতে পারলেই বাঁচি!"

ভুল!

পুলসিরাত পার হতে পারলেই জান্নাত নয়

পার হতে পারলে অপেক্ষা করবে মুমিনদের জন্য ফাইনাল পরীক্ষা।

হাশরের দিনে বিশাসীদের বিচার হবে দু বার

এক বার হবে সিরাত পার হওয়ার পূর্বে

আরেক বার হবে সিরাত পার হওয়ার পরে

জি ঠিকই শুনেছেন

পূর্বের বিচার হবে

"স্রষ্টার হক নষ্ট করার বিচার"

আর পরের বিচার হবে

"বান্দার হক নষ্ট করার বিচার"

আর যে জায়গাটায় বিচারটি হবে

সেই জায়গাটির নামই হলো "কান্তারা"

আল-কান্তারাহ হলো সিরাতের পর আরেকটি ছোট সিরাত

বিস্বাসীগণ যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে

তারা এই কান্তারার উপর দিয়েই প্রবেশ করবে

এবং স্রষ্টা এই কান্তারার উপরেই মুমিনদের মধ্যকার আন সেটেলড ইস্যুস গুলো রিসোলভ করবেন [২]

কল্পনা করুন,

একজন ব্যক্তি আল-কান্তারাহ-তে জান্নাতের দরজার অলমোস্ট দ্বারপ্রান্তে

অথচ সে সেথায় ঢুকতে পারছে না

কারণ তার সব সৎকর্মগুলো যা নিয়ে নিয়ে সে বড়াই করতো সব শেষ

উলটো তাকে জাহান্নামে টেনে নিয়ে হচ্ছে

সেই হতোভাগাকে আপনি তখন কী বলবেন?

আমার রাসুল অবশ্য সেই হতভাগা কে ডিফাইন করেছেন "মুফলিস" হিসেবে

"মুফলিস" অর্থ হলো দেউলিয়া বা ব্যাংকরপ্টড

রাসূল বলেছেন

“তোমরা কি জানো , কে আসল দেউলিয়া?”

সাহাবারা উত্তর দেন

“যার কাছে অর্থ বা সম্পদ কিছুই নেই সে ইয়া রাসূলুল্লাহ?”

রাসূল বললেন

“না! আমার উম্মতের মধ্যে প্রকৃত দেউলিয়া হচ্ছে সেই ব্যক্তি

যেই ব্যক্তি কিয়ামতের দিনে অনেক নামাজ, অনেক রোজা ও অনেক সদকা নিয়ে উপস্থিত হবে

অথচ সে দেখতে পাবে যে

সে ঐ দিনে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে কারণ জীবদ্দশায়

সে অন্যদের গালি দিয়ে বেড়াতো

অন্যদের অপবাদ দিয়ে বেড়াতো

অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করে বেড়াতো

অন্যের রক্তপাত ঘটিয়ে বেড়াতো এবং

অন্যকে প্রহার করে বেড়াতো

আজ তার সব সৎকর্মগুলো ভুক্তভোগীদেরকে ট্র্যান্সফার করে দিতে হচ্ছে

শুধু তাই না

যদি তার ভালো কাজগুলো ক্ষতিপূরণ গুলোকে কভার করতে না পারে

তাহলে তাদের পাপ গুলোও তাঁর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে

এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।” [৩]

তাই বলছি

আপনার যারা নামাজ রোজা সাদাকার পাশাপাশি

আপনার মুখের স্পিচ দিয়ে অন্যদের কষ্ট দিয়ে বেড়াচ্ছেন

কিংবা আমল দিয়ে অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করে বেড়াচ্ছেন

তাদের জন্য একটাই কথা

দেখা হবে বন্ধু

দেখা হবে কান্তারায়!

লেখা সামিউল হক হাফি.

©

08/10/2025

আজকের চাঁদ টা অনেক বেশী সুন্দর 😍
゚viralシfypシ゚゚viralシ #

08/05/2025

কী অবস্থা সবার? কেমন আছেন? আরও ২ সপ্তাহ এরকম inactive থাকবো। তারপর আশা করি full form এ ব্যাক করবো, ইনশাল্লাহ :)

08/01/2025

Radiate positivity and light 💗
゚viralシfypシ゚゚viralシ

07/30/2025

আমি ভাবছিলাম বন্ধু দিবস আরও ৩-৪ দিন পর।ফেসবুকে মানুষের পোস্ট দেখে বুঝলাম সেটা আজকে। ভাগ্যক্রমে কিছু ভালো বন্ধু জীবনের বিভিন্ন ধাপে পেয়েছি।

আমাকে যারা চিনে তারা রিতু, পারিজাত এই দুইটা নামের সাথে খুব ভালোভাবে পরিচিত। Ritu আমার জীবনের প্রথম ফ্রেণ্ড, নার্সারি থেকে আমরা একসাথে। সেইম স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটি। আর Parizat এর সাথে বন্ধুত্ব ক্লাস থ্রি থেকে। আমি, রিতু ইন্জিনিয়ারিং পড়লেও আমাদের পারি কিন্তু ডাক্তার ( বিসিএস ডক্টর 😎). আমাদের তিন বান্ধবীর সম্পর্ক টা লিখে প্রকাশ করতে পারবো না। কিন্তু Best Friend term টা যখনও বুঝি উঠি নাই তখন থেকে আমাদের ফ্রেন্ডশিপ। দিন শেষে একবার যদি আমাদের তিন বান্ধবীর গ্রুপ চ্যাটে না ঢুকি, মনে হয় কী যেন আজকে করি নাই।
ইউনিভার্সিটি লাইফে Jui , Prial , Zakiya নামের ৩ জন খুব ভালো বন্ধু পাই। University লাইফের বেস্ট কিছু সময় আমরা কাটিয়েছি একসাথে।সময়ের ব্যস্ততার কারণে এখন খুবই কম যোগাযোগ আমাদের কিন্তু ফেসবুকে একে অপরের ভালো সময় দেখে ঠোঁটের কিনারায় একটু হাসি জমা হয়েই যায়।
ভেবেছিলাম আর এরকম ফ্রেণ্ড পাবো না। বাংলালিংকে internship করতে গিয়ে Fariya এর সাথে পরিচয়। সেই internship period এর ফ্রেন্ডশিপ যে এত গভীর হবে তা কী জানতাম। বড় হওয়ার পর আরেকজন বেস্ট ফ্রেণ্ড যে এভাবে খুঁজে পাবো তা কখনো কল্পনাও করি নাই। আমাদের ডেইলি কথা হয় না, কিন্তু মন যখনই অস্থির লাগে আমি জানি ফারিয়ার সাথে ৫-১০ মিনিট কথা বললেই হালকা হয়ে যাবো, ফারিয়ার ক্ষেত্রেও একই।

শুভকে বিয়ে করে একজন ভালো বন্ধু পেলাম, Orin (শুভর মামাতো বোন)। ওর আর আমার সম্পর্ক টা অনেক গভীর। হয়তো ডেইলি কথা হয় না, কিন্তু ভালোবাসা টা সবসময় আছে। শ্বশুরবাড়ি এসেও যে এরকম একটা ভালো বন্ধু পাবো আশা করি নাই, ননদ কম, বন্ধু বেশী।

এইসব ছেড়ে যখন কানাডাতে অজানার উদ্দেশ্য পাড়ি দিলাম, ভাবলাম এই জীবনে এরকম বন্ধুত্ব আর তৈরী হবে না। কিন্তু কানাডা তে quarantine এ থাকা অবস্থায় লোডশেডিং এ খুঁজে পেলাম নতুন এক বন্ধু, Mukta। বিশাল অন্ধকারের মাঝে চিলতে আলো নিয়ে সে আসলো। কানাডা জীবনের প্রথম বন্ধু। আর এরপর আমাদের এই দুই বান্ধবীর দুনিয়ায় যুক্ত হলো ফাহিম ও রাইসা। আমরা ৪ বন্ধু। Fahim এর সাথে আমার সখ্যতা বাড়ে আমাদের spouse visa আলাপ নিয়ে, আর এখন সম্পর্ক টা এমন কোন কিছু ওকে ছাড়া ভাবতেই পারি না। আর Raisa, ও আর আমি ২ জন দুই মেরুর মানুষ ছিলাম 🤣 কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এখন আমরা closest friend 😁 Fahim এর কারণে Lima এর মত একটা ভালো বন্ধু পাইছি, Lima কে বন্ধু কম, বোন বেশি লাগে 😁 কানাডার আমাদের এই বন্ধু গ্রুপই এখন আমাদের পরিবার।

লিখতে লিখতে realize করলাম, আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে জীবনের প্রতি ধাপেই কিছু ভালো বন্ধু উপহার দিয়েছে। আশা করি সবার জীবনেই এরকম ভালো বন্ধু আসুক 💗
HAPPY FRIENDSHIP DAY!!!!! 🎉

07/29/2025

গত weekend এ গিয়েছিলাম "Katy Perry : The lifetime world tour 2025" Concert এ 😍 It was an amazing experience 😍
যা উপভোগ করলাম তার সামান্য glimpse আপনাদের সাথে share করলাম :)
゚viralシfypシ゚゚viralシ

07/27/2025

Katy Perry world tour 2025

07/21/2025

উত্তরার মাইলস্টোন কলেজের ঘটনাটা খুবই দুঃখজনক। এতগুলো নিষ্পাপ প্রাণ ঝরে গেলো, ভবিষ্যত প্রজন্মের একটা পার্ট নিমিষেই শেষ হয়ে গেলো। ১৯৭৬ এর ফাইটার জেট যেটা মিউজিয়াম এ থাকার কথা, অথচ সেটা দিয়ে ট্রেনিং দেয়া হচ্ছিল :( আল্লাহ ওই শহীদ পাইলট ও ওই নিষ্পাপ বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলোকে জান্নাতবাসী করুক। আমিন

07/21/2025

Good Morning with my go to breakfast in a lazy morning 💗
゚viralシfypシ゚゚viralシ

07/20/2025

অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম আমার শৈশব টা কেমন কেটেছিলো সেটা লিখে রাখবো স্মৃতি হিসেবে। কখনো যদি ভুলেক্রমে ভুলে যেতে থাকি বয়সের দোষে, লেখা টা পড়ে স্মৃতিচারণ করতে পারি। লিখাটা বেশ বড় কিন্তু জার্নিটা অসাধারণ।

দোতালা বাসার বিশাল বারান্দা ওয়ালা বাসা হলো শেওড়াপাড়া তে আমাদের ২১১ নং বাসা। বাহির থেকে কেউ বলতেই পারবে না এই দুই তালা বাসাটার ভিতর প্রায় ৩০ জন মানুষের বসবাস। হ্যাঁ, আমরা যৌথ পরিবার ছিলাম। আমার আব্বুরা ৫ ভাই, ১ বোন।
বাসার সামনে ছিলো আমাদের বিশাল বাগান। আম,কাঁঠাল, বড়ই, কৃষ্ণচূড়া, গন্ধরাজ ফুল, জবাফুল, তালগাছ সবই ছিলো আমাদের এই বাগানে। একপাশে ছিলো বিশাল বড় উঠান। আমাদের নিত্যদিনের খেলার জায়গা।
বাগান পার হয়ে বাসায় ঢুকতেই নিচতলার বাম দিকের বড় বারান্দার সাথের রুম টাতে থাকতো দাদা-দাদু (আমি যদিও দাদা বেঁচে থাকতে তাকে ওহাব প্রধান দাদু, আার দাদী কে মহিলা দাদু ডাকতাম 🫢)। নিচ তলায় আরো থাকতো বড় কাক্কু, বড় চাচ্চী ও তাদের ছেলে মেয়েরা। একটা রুমে আমাদের ফুপু থাকতো তার ছেলেমেয়েদের নিয়ে ফুপা মারা যাওয়ার পর। নিচতলায় একটা বিশাল বড় ড্রইং রুম ছিলো যেখানে বড় টিভিতে আমরা একসাথে সব প্রোগ্রাম দেখতাম আয়োজন করে। কারেন্ট চলে গেলে অন্য বাসা থেকে ৪-৫ টা মাল্টিপ্লাগ কানেক্ট করে টিভি দেখার যে ব্যাপার টা ছিলো তা অসাধারণ। ওই ড্রইং রুমে প্রতিদিন রাত ১০ টার পর আব্বু কাক্কুরা মিলে দরজা লাগিয়ে পারিবারিক মিটিং করতো, কী আলাপ হতো আজও জানি না😁 মাঝে ছিলো ডাইনিং রুম আর এক বিশাল লম্বা রান্নাঘর।
যাইহোক দ্বিতীয় তালায় ছিলো বিশাল এক বড় বারান্দা, যেটা এখনকার যে কোন বড় মাস্টার বেড রুমের সমান। বারান্দার ডান পাশের রুম টা ছিলো ছোট কাক্কুর রুম। বাম পাশের বড় রুম টাতে ফারুক কাক্কু,লাকী চাচ্চী ও তাদের ছেলেমেয়ে। বারান্দা পার হয়ে সোজা একটা করিডোর। সেটা পার হলেই হাতের ডানপাশে ২টা বিশাল বড় রুম। সেই দুই রুমে থাকতো আমার মেঝো (শহীদ) কাক্কু, পারুল চাচ্চী ও তাদের ছেলেমেয়ে। আর করিডোরের বাম পাশেই ছিলো আমাদের রুম।আব্বু,আম্মু,আমি ও অর্ণব। এতগুলো মানুষ যে আমরা থাকতাম, বলে রাখা ভালো, আমাদের ওই সব রুমগুলো এখনকার সময়ের রুমের ২-৩ গুণ বিশাল। দুই তালাতেও একটা কিচেন, ডাইনিং স্পেস ছিলো। অনেক ছোট থাকতে আমাদের খাওয়া দাওয়া সব একসাথে ছিলো। আস্তে আস্তে সেটা পরিবর্তন হয়ে খাওয়া আলাদা হয়ে গেলো। কিন্তু তারপরেও সবার মধ্যে মিল ভালোবাসার কমতি ছিলো না। একে অপরের প্রতি ছিলো সম্মান।

রাতে কারেন্ট চলে গেলে অপেক্ষা করতাম ছাদে কখন যাবো। আগে লোডশেডিং মানে ১-১.৫ ঘন্টার আগে কারেন্ট আসবে না। ছাদে কেনো জানি গুনে গুনে ৩ টা চেয়ার ছিলো। পাটি, হাতপাখা এসব তো নেয়া হতোই। আম্মু, চাচ্চীরা সবাই একসাথে বসতো। চেয়ার এ বসার অবস্থান ও চেন্জ হতে থাকতো। যে সবার ছোট সে চেয়ার ছেড়ে দিয়ে তার ইমিডিয়েট বড়কে দিত। বড় চাচ্চী আসলে আম্মু উঠে যেতো, তখন আম্মু সবচেয়ে ছোট বউ, দাদু আসলে সেঝো(লাকী) চাচ্চীও উঠে যেতো। আমি,ফাহিম,মৌ,অর্ণব খেলাতে মগ্ন থাকতাম। ছাদের অন্য কিনারা তে মিতি আপু, দিতি আপু,ডলি আপু,লিজ আপু,পুষ্পা আপু,শাহিন আপু,শাওন ভাইয়া সবাই মিলে আড্ডা দিতো। ওরা সব তখন টিনেজ বয়সী। রনি ভাইয়া থাকতো ছাদের যেই এক কোনায় টিনের চাল ছিলো, সেই তিন তালায় উঠে বসে থাকতো। ওদের আন্তাকসারি( গানের কলি) খেলা চলতো। মিতি আপু তার সিগনেচার সং "শকাতরে ওই কাঁদিছে" গান টা গাইতো। আর আমরা খেলাধুলা তে ব্যস্ত।আব্বু কাক্কুরা তাদের মত গল্পে ব্যস্ত।

আমাদের বাসায় সবসময় একটা উৎসব ভাব থাকতো। যেহেতু এতগুলো মানুষ। আবার ঝগড়া মনমালিন্য ও হতো। খুব স্বাভাবিক ব্যাপার, এত মানুষ থাকলে তো হবেই। কিন্তু সুন্দর ব্যাপার ছিলো কেউ সেটাকে ধরে বসে থাকতো না। এই মন কষাকষি, আবার কিছুক্ষণ পরই দেখা যাবে একসাথে বারান্দায় বসে চা খাচ্ছে, আড্ডা দিচ্ছে। আর একটা সুন্দর ব্যাপার ছিলো, চাচ্চী-আম্মুরা, আব্বু-কাক্কুরা কখনোই তাদের মন খারাপের ব্যাপার গুলো আমাদের উপর প্রভাব ফেলতে দেয় নাই। অনেকের শুনেছি মা-চাচীদের ঝগড়া, কাজিন দের ও কথা বন্ধ, একে অপরের বাসায় যাওয়া বন্ধ। আমরা এই জিনিসটা কখনোই ফিল করি নাই। হয়তো আম্মুর সাথে কোন এক চাচ্চীর কথায় অমিল হয়েছে, তাতে আমার কী। দেখা যাবে ঐ সময় আমি ওই চাচ্চীর ঘরে বসে উল্টা খাওয়া দাওয়া করছি।ব্যাপারটা ঠিক এরকমই ছিলো।
মানুষ বেড়াতে গেলে বাসায় ফিরে আসতে চায় না, কিন্তু আমার কাছে নানুবাসায় বেড়াতে গেলে বাসায় কবে ফিরবো এটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।
পার্বিক পরীক্ষা শেষে আমরা ছোটরা ছাদে করতাম ইটের চুলায় ডিম খিচুড়ি রান্নার পিকনিক।
আমরা সব কাজিনরা কিন্ত সেইম স্কুল থেকে "মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়"।
আমার ছোট কাক্কু পরিবার সহ সৌদি থাকতো। ৪ বছর পর পর আসতো। ২-৩ মাইক্রো ভাড়া করে এয়ারপোর্ট থেকে কাক্কু কে আনতে যাওয়া ও একটা উৎসবের মত ছিলো।
ও হ্যাঁ, ঈদের সময় গুলো ছিলো অন্যরকম মজা।
কোরবানির ঈদ ছিলো বেস্ট। আমাদের বাসার নিয়ম গরু আসবে ২দিন আগে। এই দুই দিন আমি,ফাহিম,মৌ,অর্ণব গরু নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকতাম। গরু কি খাবে, গরুকে এক মুহূর্তের জন্য একা রাখা যাবে না। ঈদের দিন সকালে আমাদের গরু কোরবানীর জন্য এলাকার ছেলেদের ভীড় লেগে যেতো 🫢 এই একটা দিন বছরে যেদিন আমাদের বাসার বিশাল গেইট টা পুরোটা খোলা থাকতো। আর বারান্দায় দাঁড়িয়ে কুরবানি দেখতো আমার সুন্দরী কিশোরী বোনেরা। 😍 আর এই সুযোগেই অনেক এলাকার ছেলেরা খুবই দায়িত্ব নিয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে আসতো গরু ফেলার জন্য 😂 এরকমই মিষ্টি মধুর হাজারো স্মৃতি আছে আমাদের এই বাসার। সবাই আস্তে আস্তে বড় হতে থাকলো। মজার ব্যাপার হচ্ছে ম্যাক্সিমাম ফ্যামিলি তে লিগ্যাসি থাকে পাবলিক ইউনিভার্সিটি। আমাদের ফ্যামিলি লিগ্যাসি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি 😶 মহাখালী ক্যাম্পাস থেকে বসুন্ধরা, সব জেনারেশন ই পড়েছে এইখানে। শুধু আমি আহসানউল্লাহ আর পুষ্পা আপু ইস্ট ওয়েস্ট।

দাদু(দাদী) যতদিন বেঁচে ছিলো, এই বাসাটা ছিলো। এরপর বাসাটা ডেভেলপার কে দিয়ে দেওয়া হলো। আমার মেঝো (শহীদ) কাক্কু ও আর পৃথিবীতে নেই। এখন আমাদের পরিবারের সব সদস্যরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। আমেরিকা, কানাডা, লণ্ডন ও ঢাকার শেওড়াপাড়া। পরিবার এখন আরো বড় হয়েছে, নতুন সদস্য যুক্ত হয়েছে। তবে ডেভেলপার কে দিলেও বিল্ডিং টা আমাদের দুই দাদুর নামেই "জামিনা ওহাব পার্ক "। তবে আমাদের এরকম পারিবারিক শিক্ষার জন্যই আমাদের বন্ডিং এখনো আলহামদুলিল্লাহ অনেক স্ট্রং। চাচ্চী কাক্কু দের সাথে সম্পর্ক টা এমন যে ঘন্টার পর ঘন্টা গল্প করেও বোরিং লাগে না কখনো।
ফেসবুকে আমাদের ফ্যামিলি গ্রুপের নাম " জামিনা ওহাব পরিবার"। ওখানেই এখন চলে সেই ২১১ এর মত হাসাহাসি, জাস্ট একটু ডিজিটাল ভার্সন 💗

07/19/2025

কানাডা আসার পর বুঝতে পারলাম জীবনে আসলে সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত হল দুপুরের/রাতের খাবারের জন্য কী রান্না করব এটা decide করা। ভয়াবহ এক চ্যালেঞ্জ 🥲😭

07/18/2025

আমি কানাডা আসছি প্রায় ৪.৫ বছর হতে চললো। কিন্তু এখন পর্যন্ত আম্মু আমার দিন রাত মিলাইতে পারলো না। Still now সে আমাকে ফোনে কথার মাঝে বলবে "ও তোদের এখন সকাল, আমিতো ভাবলাম রাত" 😶 অথচ দুনিয়ার বাকি সবকিছু তে সে আলহামদুলিল্লাহ সেরা, শুধু আমার দিনরাতের বেলায় সে tata bye bye 😶

Walk with PEU in Canada

08/13/2025

08/10/2025

08/05/2025

08/01/2025

07/30/2025

07/29/2025

07/27/2025

07/21/2025

07/21/2025

07/20/2025

07/19/2025

07/18/2025

Address

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share

Category