20/10/2024
১৮+ বাসর রাতটা আমার একটু অন্যরকম ভাবেই কাটছে। পায়ে শাড়ি বাঁধা আর হাতে বাঁধা ওড়না। তাও ঝর্নার হাতের সাথে। যেন পালিয়ে না যেতে পারি। সে ঘুমোচ্ছে।
তবে তার ধারনা নেই,আমিতো বাঁধনটা খুলে পালিয়েউ যেতে পারি। তবুও আহম্মকের মত বেঁধে রেখেছে।
কিন্তু এই মুহুর্তে আমার চরম ভাবে হি*সু লেগেছে। কী করবো ভেবে পাচ্ছিনা। যদি বাঁধনটা খুলে কাজটা সারতে যাই। আর সেই সময় যদি তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। তাহলে অন্য কিছুও হয়ে যেতে পারে।
তাকে ডাকতেউ পারছিনা এই কারনে যে,সে হয়ত খুব গভীর ঘুমেই মগ্ন হয়ে আছে। সারা দিনের ক্লান্তি মাখা শরীর।
হাত দিয়ে তবে ডাকতে পারবো না।দুই হাত এক সাথে বাধা। নরম ভাবে ডাকা যাবেনা। মুচকি হাসি দিয়ে ভাবলাম,ঠোঁ*টের ছোঁয়া দিয়ে ডাকলে কেমন হয় ?
ব্যাপারটা কী ভাল হবে বলে মনে হয়।
বাধা মানলাম না।
ধীরে ধীরে উষ্ণ শ্বাস নিয়ে এগিয়ে গেলাম তার ঠোঁ*টের দিকে। খুব ধীরেই তার মুখের উপরে আমার উষ্ণ নিঃশ্বাসটা ছেড়েছিলাম।
হালকা করে ছুঁয়েছি মাত্র তার ঠোঁ*ট টা।
ঘুমটা যেন তার হুট করে ভেঙ্গে যায়। ঘুম ভাঙ্গার সাথেই অনেক বড় বড় চোখ করে তাকায় আমার দিকে।
আমি তার মুখের সামনেই নিস্তব্ধ হয়ে যাই। যেন কোনো হিং*স্র বাঘিনীর সামনে পরে গেছি। এখনি ঝাপিয়ে পরে শেষ করে দিবে আমাকে।
তবুও ঢোক গিলে ধীর কন্ঠে জিজ্ঞেস করলাম তাকে।
আপনি ঘুমাননি ?
ঝার্না পাল্টা একটা হুঙ্কার ছেড়ে বসলো।
থেমে গেলেন কেন আজব ?
আমি এক বিশাল দ্বিধার মধ্যে পরে গেলাম। তাকে কী তবে উষ্ণতা দিতেই এখন ডাকতে গেছি। নাকি আমার হিসু বিসর্জন দেওয়ার জন্য। কী করবো এখন ?
মনের ভেতর ভয় নিয়ে আবার ঢোক গিললাম। কপাল থেকে ততক্ষনে আমার ফোটা ফোটা ঘাম জড়ো হয়ে গেছে।
বলেই বসলাম।
ঝর্না ,আমার না খুব হি*সু লেগেছে। একটু বাধনটা খুলে দেননা।
ওরে ফাজিল,মুতাই যখন লেগেছে। তাহলে ঠোঁ*টের দিকে কেন ?
ডাকতে !
সেটা কী হাত দিয়ে হতো না ?
আচ্ছা সব উত্তর দিচ্ছি। আগে খুলে দেন।
নাহ,এখন এটা খোলা যাবেনা। আমিও যাবো ভেতরে। আমি অন্য দিকে ঘুরে থাকবো।
এবার যেন হিসুর বেগটা বন্ধই হয়ে গেল কথাটা শুনে। মেয়েটা কী আসলে আমাকে এতটাই অবিশ্বাস করছে ?
আমি ভেবে পাচ্ছিনা কিছু।
আমি মুখটা গোমরাহ করে বালিশে মাথা রেখে শুয়ে পরলাম।
ঝর্না তখন বললো। কী হলো যাবেন না ?
নাহ। আমাকে যখন এতটাই অবিশ্বাস করেন। তাহলে বিয়ে করলেন কেন ?
আপনার মত কাউকে পাবো না তাই।
কাউকে অবিশ্বাস করে জীবন চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়না।
কেন বিশ্বাস করিনা। সেটার জন্য আপনি দায়। আমি না । আমি ততক্ষন না পর্যন্ত বিশ্বাস করবো না। যতক্ষন না পর্যন্ত..
কথা শেষ করে না সে। তবে শেষ কথাটা আমার জানা। এটা আর না বললেউ চলবে।
আমি তখন কিছু ভাবতে যাচ্ছিলাম গভীর ভাবে। কিন্তু তখন দেখি আমার বাধনটা খুলে দিচ্ছে ঝর্না।
বাধনটা খুলে সে অন্য দিকে ফিরে শুয়ে পরে।
আমি আর অপেক্ষা করিনা।
উঠে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসি।
বারান্দায় এসে অনেক্ষন দাঁড়িয়ে থাকলাম। ভাবতে থাকলাম তার আর আমার ভেতরের রহস্যটা। তবে আমরা দুজনেই এখন একা। তার আমি ছাড়া আর আমার সে ছাড়া আর কেউ নেই এখন।
এটা ভাবতেই চোখের সামনে হঠাৎ ভেসে উঠে বাবার হাত ধরে হাটা সেই দৃশ্যটা।
ভাবতেই চোখ দুটো খুব করে ব্যথা করে উঠলো। কিন্তু এই ব্যথার কোনো মুল্য এখন নেই। সব কিছুর রহস্য অনেক দূরেই চলে গেছে। কবে ফিরবে আবার ,জানা নেই।
আমি ছেলে হয়েই সহ্য করতে পারছিনা। তাহলে ঝর্নার ভেতরের অবস্থাটা কেমন। তা ভাবনাতে আসছেনা আমার।
ঘরের দিকে পা বাড়ালাম। বিছানার কাছে এসে দেখি ,ঝর্না এখনও সেইদিক ফিরেই শুয়ে আছে।
আমি তখন তার পাশে গিয়ে কোমরে হাত রাখলাম। আস্তে করে চাপ দিয়ে নিজের দিকে টেনে আনি। কিন্তু সে কেন যেন আমাকে এখন সায় দিচ্ছেনা।
আমি বুঝতে পারি তার অভিমানটা। খুব শক্ত করে চেপে ধরি পেছন থেকে। মুখটা নিয়ে যায় কানের কানের কাছে। একটা উষ্ণ নিঃশ্বাস ছাড়তে থাকি।
চলবে*
গল্প : ঠোঁট
০১